নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একরাশ স্বপ্ন নিয়ে সুদুরের পানে চেয়ে থাকা থাই রাজা ভুমিবল
থাইল্যান্ডবাসীর পিতা এবং তাদের হৃদয় বলে উল্লেখিত রাজা ভুমিবল লাখো দেশবাসীকে কাঁদিয়ে আজ বিকেলে না ফেরার দেশে চলে গেলেন । সারা পৃথিবীতে সর্বাপেক্ষা দীর্ঘদিন সিংহাসনে আরোহনকারী রাজা বলে স্বীকৃত ভুমিবল পরিনত বয়সেই মারা গেছেন। সন্তানহীন চাচার সিংহাসনের অধিকারী হয়েছিলেন মাত্র ১৮ বছর বয়সে। সত্তর বছর শাসনকালে দেশের বহু রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সময় ঐক্যের প্রতীক ছিলেন রাজা। তার প্রতি দেশের প্রতিটি জনগনের অকুণ্ঠ ভালোবাসা নিখাদ এবং সন্দেহাতীত।
রাজা ভুমিবল আদুলেয়াদজে
নানা রকম শারিরীক অসুস্থতার কারনে অনেকদিন ধরেই তিনি হাসপাতালে ছিলেন, অনেক দিন ধরেই তিনি তার প্রিয় প্রজাদের সামনে আসতে পারেন নি। গত কয়েকদিন ধরে রাজকীয় প্রাসাদ সুত্র এবং হাসপাতাল সুত্র থেকে তার চরম অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ে দেশের আনাচে কানাচে। আমরাও এ ব্যপারে ছিলাম উদবিগ্ন, খোজ নিচ্ছিলাম বিভিন্ন তথ্য সুত্র থেকে। হাজারও থাইবাসী রাজতন্ত্রের প্রতীক হলুদ রঙ আর সুস্থতার জন্য গোলাপী রঙ এর পোশাক পড়ে সিরিরাজ হাসপাতালের সামনে দিনরাত ক্রমাগত প্রার্থনা করে যাচ্ছিল।
সিরিরাজ হাসপাতালের সামনে কান্নারত থাই জনগন
থাইল্যান্ডে বেশিরভাগ জনগন জন্মে এই রাজাকেই দেখেছেন সিংহাসনে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর এক আশাহীন জাতিকে টেনে এনেছেন উন্নতির শিখরের দিকে। দিকভ্রান্ত জাতিকে নাবিকের মতন আলোর পথ দেখিয়ে তীরে তুলে এনেছেন একান্ত ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায়।
চক্রী রাজবংশের নবম রামা রাজা ভুমিবলের মাঝে ছিলনা কোন নিষ্ঠুরতা, ক্রুরতা,প্রতিহিংসা/ প্রতিশোধপরায়নতা। ছিলেন নির্লোভ এক অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব। আর দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য ছিল অসীম দরদ। যার জন্যই তিনি দেশের আপামর জনগনের হৃদয়ের গভীরে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সন্মানিত, ছিলেন ভালোবাসার আর আস্থার এক স্থান । এই ভালোবাসা চির অটুট থাকবে তাদের হৃদয়ে এই বিশ্বাস প্রতিটি থাইবাসী মনেপ্রানে লালন করে ।
সেই পথনির্দেশক , আধুনিক থাইল্যন্ডের সব ধরণের উন্নয়নের রূপকার রাজা ভুমিবলের জন্য বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে অনেক অনেক আবেগীয় লেখা হয়েছে। তার থেকে বেছে একটা শেয়ার করলাম সবার সাথে যা পোষ্ট করা হয়েছিল রাজার মৃত্যুর খানিক আগে।
আকাশপানে চেয়ে ক্রন্দনরতা
"থাইল্যান্ডের বাইরে আমার বন্ধুরা।
তোমরা হয়তো অবাক হচ্ছো তোমাদের সব থাই বন্ধুর প্রোফাইল ছবিতে আমাদের রাজার ছবি দেখছো। ভাবছো কি হলো?
কারন হলো আমাদের প্রিয় রাজা যে ভালো নেই, আমরা সবাই তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।
তোমরা হয়তো আরো অবাক হচ্ছো কেন থাই জনগন তাদের রাজাকে এত ভালোবাসে?
আমাকে গর্বের সাথে বলতে দাও।
আমাদের রাজা ভুমিবল তার দীর্ঘ সত্তর বছরের রাজত্বকালে কখনো অন্য রাজার মত বিলাসী জীবন যাপন করেন নি। আমি যতদুর মনে করতে পারি তিনি দিন রাত জনগনের সেবায়, তাদের উন্নতির জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন।
তিনি তার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছেন তার প্রজাদের অবস্থা দেখতে। যেখানে আমরা যেতেও সাহস করি না। তার হাতে থাকতো মানচিত্র আর পেন্সিল। নির্মান করেছিলেন রাজার অধীনে হাজারের ও উপরে বিভিন্ন প্রজেক্ট, যেমন পানি, কৃষি, ডেইরী, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ আরো অনেক কিছু যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।
কর্মঠ রাজা ভুমিবল
তার রাজপ্রাসাদ অন্য রাজাদের প্রাসাদের মত ছিল না। সেই প্রাসাদ ছিল তার নেয়া বিভিন্ন পরিকল্পনার গবেষণাগার যা পরবর্তীকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োগ করা হয়েছিল সাফল্যের সাথে।
শুধু আমাদের দেশের রাজা বলেই যে আমরা তাকে ভালোবাসি তা নয়। তাকে ভালোবাসি কারন তিনি সারা জীবন সাধারন মানুষের সাথে সাধারন মানুষের মত কাজ করে গেছেন। কিন্ত তার বদলে উনি কখনো আমাদের কাছে কিছু চান নি।
এই জন্য থাই জনগনের কাছে আমাদের রাজা ভালোবাসা আর ভালোমানুষের প্রতীক।
তোমাদের ধর্ম যাই হোকনা কেন অনুরোধ রইলো আমাদের প্রিয় রাজার সুস্থতার জন্য একটুখানি প্রার্থনা "
লেখক :
Tatrawee harikul
কিন্ত না লাখো মানুষের কোন প্রার্থনাই অবিসংবাদিত রাজা ভুমিবল আদুলেয়াদজে কে সুস্থ করতে পারে নি। আজ বিকেল তিনটা বায়ান্ন মিনিটে সমগ্র দেশবাসীকে কাদিয়ে ৮৮ বছর বয়স্ক রাজা বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করতে করতে অবশেষে হার মানলেন। নির্বান লাভ করলেন জীবনের জন্য। সন্ধ্যা সাতটায় আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে মৃত ঘোষনা করা হলো। তার একমাত্র ছেলে এখন থাইল্যান্ডের রাজা বলে ঘোষিত হলো।
হাসপাতাল থেকে পরদিন রাজার মরদেহ রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাবার পথে পিনক্লাও ব্রীজের উপর শোকের কালো পোশাকে লাখো থাইবাসী, গাড়ি বহরকে একটিবার নিজ চোখে দেখার আশায়
কালো পোশাকে লাখো থাইবাসী রাজপ্রাসাদের সামনে সানাম লুয়াং চত্বরে
লেখাটির মাধ্যমে এক অসাধারন দেশপ্রেমিক রাজা, এক পিতার মত শাসকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
সব ছবি নেট থেকে নেয়া।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১১
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু। ২য় মহাযুদ্ধের পর কঠোর সংগ্রামের মাধ্যমে একটি আশাহীন জাতিকে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড় করিয়েছে রাজা ভুমিবল তার একান্ত ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় । তার জন্য শ্রদ্ধা থাকবে সবারই।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
একজন শাসকের জন্যে এরকম অশ্রুজল , দেখুক চেয়ে বিশ্ববাসী ।
শ্রদ্ধার্ঘ্য .......................
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১২
জুন বলেছেন: এমন শাসকের জন্য শ্রদ্ধা। মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শ্রদ্ধা রইল
এমন রাজা পৃথিবীতে খুব কমই আসবে যাদের জন্য এভাবে দেশবাসি কাঁদবে
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৪
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে সম্পুর্ন একমত পোষন করছি কাজী ফাতেমা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার সামান্য লেখাটি দেখার জন্য।
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
সোহানী বলেছেন: আহ্ এমন রাজা যদি পেতাম। বুকের দীর্ঘশ্বাসটা বাড়িয়ে দিলেন জুন আপু... ধণ্যবাদ লিখাটির জন্য।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২০
জুন বলেছেন: এমন আমারো মনে হয় সোহানী। গত জুনে আমি যখন এখানে তখন একদিন দেখি রাস্তা ঘাট শপিং মল যানবাহনে ধনী গএঈব সবার পরনেই হলুদ পোষাক। কারন জিজ্ঞেশ করে জানলাম আজ তাদের রাজার সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর পুর্তি হলো। তাদের তো কোনখান থেকে নির্দেশ আসেনি সেই রঙের এর কাপড় পড়ার। এটা শুধু তারা অন্তরের টান থেকেই করেছে। ভালোবাসা থেকে করেছে সোহানী।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এমন মানুষদের মৃত্যু নেই। থাইল্যান্ডের প্রতিটি মানুষের মাঝে তিনি বেচে থাকবেন। মহৎপ্রান এই মানুষের বিদেহী আত্মা শান্তি পাক। সে কামনা রইল!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৬
জুন বলেছেন: ভ্রমরের ডানা, থাইল্যান্ডের অনেক মানুষ বিশ্বাস করে তাদের রাজা ভুমিবল দেবতার অংশ। মানুষ হলে এমন তার দেশের প্রতিটি জনগনের প্রতি এত উদার, এত স্নেহপ্রবন, এত ভালোবাসা, এত দেশপ্রেমিক হতে পারে না।
তাকে নিয়ে লেখার আমার বহুদিনের ইচ্ছে ছিল। অত্যন্ত চমকপ্রদ তার জীবনী। মানুষের কল্যানে একজন শাসক কতদুর যেতে পারে তা না শুনলে আর না দেখলে বিশ্বাস হয় না।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: একটু আগে একটা মন্তব্য করলাম আসে নাই! টাইম আউট টাইম আউট! ধুর.....
যাহোক সদ্য প্রয়াত থাই রাজার প্রতি অনেক অনেক শ্রদ্ধার্ঘ্য রইলো!
আর আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটার মাধ্যমে এমন একজন মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য! শুভ কামনা আপু!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১২
জুন বলেছেন: সাহসী আমিও বার বার অটো লগ আউট হয়ে যাচ্ছি। এই নিয়ে তিনবার হলো
জানিনা প্রিয় সামু নিজেকে আরো আপগ্রেড করতে গিয়ে আরো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে কেন!!
আর ব্যস্ততা কিছুটা আছে বৈকি।
রাজার জন্য জনগনের হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা দেখে অবিশ্বাস্য লাগছে। সকালে একটু কাজে বের হয়েছিলাম। চারিদিকে শুধু শোকের পোশাক কালো জামা পড়া লোকজন।
এটা এম আরটির একটি এক্সিলেটর আর তাতে কালো পোশাকের ভীড়ে আমরা।
মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: এমন দেশপ্রেমিক রাজা নেই বললেই চলে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১৬
জুন বলেছেন: আমিতো প্রাচীন থেকে আধুনিক ইতিহাস পড়েছি প্রামানিক ভাই। সত্যি বলতে জনগনের বিশেষ করে গরীব প্রজাদের দীর্ঘস্থায়ী উন্নতির জন্য তার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা ও সফলতার জন্য তিনি চিরজীবন তার দেশবাসীর হৃদয়ের মনিকোঠায় আসন গেড়ে থাকবে।
সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩২
সুমন কর বলেছেন: রাজা ভুমিবলের আত্মা শান্তি পাক, এ কামনা রইলো।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১৯
জুন বলেছেন: সমগ্র থাইল্যান্ডবাসীর এটাই কামনা সুমন কর। আমরা তার দেশের নই তারপর ও তার প্রয়ানে অত্যন্ত ব্যাথিত। শুধুমাত্র তার আচার আচরন আর কাজের জন্য।
পোষ্টটি পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১৩
সোহাগ সকাল বলেছেন: যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২১
জুন বলেছেন: আপনার মতই বলি যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক রাজা ভুমিবল।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:১৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
রাজা ভুমিবল সত্যিই ভূমির বল ছিল।
এমন দেশপ্রেমিক, প্রজাপ্রেমিক রাজার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
জুন বলেছেন: আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত জানাই । শুভকামনা জানবেন রকতিম ।
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫০
মানবী বলেছেন: থাই ভাষায় খুব সম্ভবত "পুমিপন আদুনইয়াদেত", এক অনন্য সাধারণ রাজার নাম। জনগণের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন শুধু নিজের দেশ প্রেম, সততা আর মানুষের উপকার করা অদম্য প্রচেষ্টা আর একান্ত ইচ্ছে থেকেই।
সক প্রতকুলতা আর হিংস্রতা থেকে থাইল্যান্ড নামক দেশ ও তার জনগণকে যেনো পাখির ডানা দিয়ে আগলে রাখার মতো করে তিনি নিরাপদে রেখেছিলেন। যেকোন ক্যু বা সহিংসতায় তিনি ছিলেন শুধু মাত্রই জনগণ আর থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি। থাই জনগণ রাজা ভূমিবল বা পুমিপনের পুত্রের মাঝে তাঁর সেই সততা, নির্লোভ নিঃশ্বার্থ দেশপ্রেম আর কঠিন পরিশ্রমের ছায়া অনুপস্থিত মনে করেন বিধায় রাজার মৃত্যুতে শোকাহত হবার সাথে সাথে অসহায় আর শংকিত হয়ে আছেন।
এমন নির্লোভ, সাদামাটা, নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমী আর জনগণের কল্যানের লক্ষ্যে কঠিন পরিশ্রমি এক নেতার স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ।
থাই রাজার প্রতি আপনার শ্রদ্ধান্জলী ছুঁয়ে গেছে প্রিয় জুন।
পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭
জুন বলেছেন: আমি যা বলতে চেয়েছি তা আপনি বলে দিয়ে গেলেন মানবী । আমি ইতিহাসের ছাত্রী। বিশ্বের প্রচুর রাজা বাদশার ইতিহাস আমার পড়া। সত্যি বলতে কি এমন জনদরদী, প্রজাহিতৈষী রাজার সাক্ষাত আমি কোথাও খুজে পাইনি । শুধু এখনই নয়, আমি এর আগেও তার কার্যক্রম দেখেছি, পড়েছি, তাতে দেখলাম আমাদের দেশে এনজিও রা দরিদ্রদের দারিদ্র্য মোচনের জন্য যে সব কাজ করে থাকে তার সবগুলোই তিনি করেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিকাঠামোতে যে বিপ্লব তিনি এনেছেন। জাতির মাঝে যে ঐক্য, যে চেতনা তিনি ধরে রেখেছিলেন তা অবিশ্বাস্য।
রাজার মৃত্যুতে শুধু দু:খই নয় তারা তাদের ভবিষ্যত নিয়েও ভীষন চিন্তিত।
আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মানবী অনেক শুভকামনা রইলো।
১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জনগণের রাজা বলতে যা বোঝায় ঠিক তাই ছিলেন তিনি । থাই জাতির জনক রাজা ভুমিবল আদুলেয়াদজে এর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯
জুন বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা রূপক বিধৌত সাধু। সত্যি শ্রদ্ধা পাবার মতই একজন ব্যক্তিত্ব।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। সামু এত স্লো যে বিরক্ত লাগে। নিজের লেখার মন্তব্যের উত্তর দিতে পারি না। অন্যদের লেখায় ও একই অবস্থা।
শুভেচ্ছা রইলো আর সাথে থাকার জন্য প্রত্যাশা।
১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: রক্তিম দিগন্তের মন্তব্য ভালো লেগেছে। আর রাজার ব্যাপারে আগেও জানার চেষ্টা করেছি। সবার সাথে সহমত।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে ফরিদ আহমদ চৌধুরী। আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশী হয়েছি। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। শুভেচ্ছান্তে।
১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
ক্লে ডল বলেছেন: একজন রাজার প্রতি প্রজার এমন অশ্রুজল সত্যিই বিরল!
ধন্যবাদ ভুমিবলকে নিয়ে লেখার জন্য।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২
জুন বলেছেন: নির্লোভ,প্রজা ও দেশ দরদী,এমন রাজা সত্যি বিরল ক্লে ডল। তাই তার জন্য অশ্রুজল খুবই স্বাভাবিক। পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো।
১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
ক্লে ডল বলেছেন: একজন রাজার প্রতি প্রজার এমন অশ্রুজল সত্যিই বিরল!
ধন্যবাদ ভুমিবলকে নিয়ে লেখার জন্য।
১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
পুলহ বলেছেন: সৌভাগ্যবান শাসক ছিলেন, তা না হলে মানুষ তাঁর মৃত্যুতে এতো ব্যথিত হয়!
মানবী আপুর মন্তব্যটাও ভালো লেগেছে।
শুভকামনা আপু!
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫
জুন বলেছেন: আমি মনে করি তিনি তার কাজের মাধ্যমেই জনগনের ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন পুলহ। তিনি ও তার স্ত্রী রানী সিরিকিট প্রচুর দাতব্য কাজের সাথে সংযুক্ত।
মানবী আপা সবসময়ই অত্যন্ত সুচিন্তিত মন্তব্য করে থাকেন।
আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা।
১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
নীলপরি বলেছেন: বিরল দৃষ্টান্ত । শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
জুন বলেছেন: সেই আদি থেকে বর্তমান যুগের প্রায় প্রতিটি শাসক যেখানে লুটপাট আর নানা দুর্নীতিতে জড়িত, সেখানে তার মত একজন নীতিবান রাজা সত্যি বিরল নীলপরি।
লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার!
শাসক হয়েও শাসন করেন নি। প্রতিপালন করেছেন।
হাজার বছর বেঁচে থাকবেন অগণিতের চোখের জলে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬
জুন বলেছেন: ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার!
শাসক হয়েও শাসন করেন নি। প্রতিপালন করেছেন।
যথার্থ মন্তব্য দিশেহারা। ১৩ ই অক্টোবর ২০১৬ সালে যে জন্মেছে তারো রাজা ছিলেন তিনি, ৯ই জুন ১৯৪৬ সালে যে জন্মেছিল তারও রাজা ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সত্তর বছর প্রজাদরদী এক রাজা নিয়ে গর্বিত থাই জনগন।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সোহানী বলেছেন: আহ্ এমন রাজা যদি পেতাম। বুকের দীর্ঘশ্বাসটা বাড়িয়ে দিলেন জুন আপু... ধণ্যবাদ লিখাটির জন্য।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
জুন বলেছেন: সোহানী ঠিকই বলেছে জহির। আমরা আশায় আছি। একদিন হয়তো এমন মিরাকেল ঘটতেও পারে।
মন্তব্য আর সাথে থেকে উতসাহিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:১৮
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মন্তব্যের মাধ্যমে এক অসাধারন দেশপ্রেমিক রাজা, এক পিতার মত শাসকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
পোস্টে লাইক আপুনি!
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া মন্তব্য আর ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান। সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায়।
২১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭
পথহারা মানব বলেছেন: আমাদের দেশে হবে
সেই রাজা কবে
কথায় না বড় হয়ে
থাই রাজার মত হবে!!!!!!
ভালো লাগল পোষ্ট+++++
(আচ্ছা আপু থাই সরকার নাকি এক বছরের জন্য শোক ঘোষনা করেছে...আর এটাই প্রমান করে রাজা ভুমিবলের অবস্থান কোথায়!!)
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩২
জুন বলেছেন: আশা করতে দোষ কি পথহারা মানব। হয়তো একদিন পথ হারিয়ে এদেশে চলেও আসতে পারে তাই না?
হ্যা সরকার এক বছরের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষনা করেছে।।আপনি ঠিকই শুনেছেন।
ভালোলাগার জন্য অশংখ্য ভালোলাগা রইলো
২২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বিশাল শিক্ষণীয় একটি বিষয়। আমাদের রাষ্ট্রপ্রধানদের অনেক কিছু শেখার আছে এই রাজার কাছ থেকে। তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, সাম্যবাদ... কোন বাদ... কোন তন্ত্রই সুশাসক ছাড়া ভালো ফল দিতে পারে না।
জুন আপার লেখাটি খুবই প্রত্যাশিত ছিল। আমার কোন মন্তব্যের উত্তরে আপনি হয়তো থাই রাজার গুণের কথা বলেছিলেন। রাজার মৃত্যুর পরের সংবাদগুলো পড়ে আপনার কথা মনে পড়লো আমার।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
জুন বলেছেন: তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, সাম্যবাদ... কোন বাদ... কোন তন্ত্রই সুশাসক ছাড়া ভালো ফল দিতে পারে না।
ঠিক বলেছেন আপনি। আমরা এটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি। আমি অনেকদিন ধরেই ওনার বর্ণাঢ্যময় জীবন নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম। হয়ে ঊঠেনি। ওনার দুখজনক মৃত্যুর পর পরই অত্যন্ত তাড়াহুড়ো করে এই লিখাটি দেই আমার স্মৃতিতে ধরে রাখার জন্য, এক বিশাল ঘটনার পুর্বাপর সাক্ষী হিসেবে সেদেশে উপস্থিত থাকার জন্যই মুলত এটি লেখা।
যাই হোক আপনি বহুদিন পর আসলেন মনে হয় মইনুদ্দিন মাইনুল। খুব ভালোলাগলো আপনাকে দেখে। আশাকরি ব্যস্ততা কমিয়ে নিয়মিত হবেন ব্লগে। শুভেচ্ছা বিকেলের।
২৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
নায়না নাসরিন বলেছেন: আপু ,
থাই রাজার বিষয়ে কিছুই জানা ছিলনা । আপনার লেখায় জানা হলো । মহান রাজা ।
+++++
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭
জুন বলেছেন: জী নায়না নাসরিন এটা অনেকেই জানে না । না জানারই কথা তাই না ? অনেক অনেক শুভকামনা জানাই আপনাকে । সাথে থাকবেন আগামীতেও আশাকরি
২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
অদৃশ্য বলেছেন:
দারুন এক রুপকথার রাজার কথা শোনালেন আপু...
শুভকামনা...
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
জুন বলেছেন: সত্যি রুপকথার রাজাদের মতই শোনায় তার জীবনী অদৃশ্য। দেশের জন্য, দেশবাসীর জন্য, দেশের অখন্ডতা বজায় রাখার জন্য তাঁর অবদান অতুলনীয়।
পোষ্টটি পড়া ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
২৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সেই অসাধারন দেশপ্রেমিক রাজা,এবং পিতার মত শাসকের প্রতি শ্রদ্ধা !
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪
জুন বলেছেন: গত পরশু এদেশীয় এক মেয়ের সাথে কথা হচ্ছিল। সে ভাংগা ভাংগা ইংরাজীতে কান্না ভেজা গলায় বলছিল " সে তো আমাদের পিতা, আমাদের থাই জাতির পিতা, আমাদের সবাইকে সে সন্তানের মত দেখতেন। তার কাছে আমরা সবাই সমান ছিলাম, সিয়ামে বোমা হামলায় মৃতদের জন্য আমাদের রাজা কেঁদেছিল "। বার বার সে গর্বের সাথে "আমাদের রাজা, আমাদের রাজা " বলে উল্লেখ করছিল
এটা শুধু সেই একক মেয়েটির অনুভুতির কথা নয়, গোটা দেশবাসীর অনুভূতি। চারিদিকে কালো পোশাক ছাড়া কাউকে দেখছিনে।
রাজার জন্মদিন ৫ই ডিসেম্বর সেখানে বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
এমন আমাদের কাছে অকল্পনীয় মনিরা। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সেই অসাধারন দেশপ্রেমিক রাজা,এবং পিতার মত শাসকের প্রতি শ্রদ্ধা !
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮
জুন বলেছেন: সেই অসাধারন দেশপ্রেমিক রাজা,এবং পিতার মত শাসকের প্রতি শ্রদ্ধা !
২৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
জেন রসি বলেছেন: ভুমিবল জনগনের সেবায় ঠিক কি কি পলিসি মেক করেছিলেন সেসব সম্পর্কে জানা নেই। তবে জনগন তাকে ভালোবাসত এটা বুঝাই যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২২
জুন বলেছেন: রাজা ভুমিবল তার দেশবাসীর জন্য কোন কোন খাতে উন্নয়ন করেনি সেটাই গবেষনার বিষয় জেন রসি। এমনি তো আর কারো জন্য সমগ্র দেশবাসী কাদে না, শোকার্ত হয়না। অবশ্যই তার পেছনে কারন থাকে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত লেখার আশা রাখি।
আপনি সব সময় প্রতিটি লেখায় অত্যন্ত গুরুত্ববহ মন্তব্য করেন যা আপনার গভীর জ্ঞ্যানের পরিচয় বহন করে থাকে।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সব সময়ের জন্য। পাশে থাকুন সেই প্রত্যাশায়।
২৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন থাইল্যন্ডের নবম রাজা ভুমিবলকে আমাদের কাছে । সত্তর বছর ধরে তিনি করে গেছেন দেশ সেবা , প্রসংসা কুড়িয়েছেন জগত জুরে । ১৯৫৭ তে থাইল্যন্ডে মিলিটারী কুর ফলে যদিও থাই রাজতন্ত্র হয়েছিল ঝুকির সম্মুখীন , তিনি তা সাফল্যের সাথে উতরিয়েছেন । তাঁর সুকর্মের জন্য তিনি থাই জনগনের হৃদয়ে পেয়েছেন ঠাই , গন্য হয়েছেন দেবতুল্য বলে । তাই তার মহাপ্রয়ানে থাই জনগন ব্যথায় হল নীল । সব জায়গায় এখন উৎকন্ঠা একটাই তার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী একমাত্র ছেলে কি পারবে পিতার মত থাই রাজ তন্ত্রের প্রেস্টিজ ও প্রভাব ধরে রাখতে ।
প্রয়াত জনপ্রিয় রাজা ভুমিবলের প্রতি রইল প্রগার শ্রদ্ধা ।
ধন্যবাদ জুন আপুকে রাজা ভুমিবলের সুকির্তি ও তারঁ প্রতি থাই জনগনের অনুভুতি আমাদেরকে জানানোর জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
জুন বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ ডা: এম আলী প্রাসঙ্গিক এবং যথার্থ একটি মন্তব্য দেয়ার জন্য। বিভিন্ন বিষয়ে আপনার অগাধ পান্ডিত্যে আমি বিস্মিত হই।
জী আপনি ঠিকই বলেছেন রাজা ভুমিবল সম্পর্কে। তার মত প্রজাহিতৈষী, জন দরদী রাজার কথা আমি ইতিহাসের ছাত্রী হয়েও কখনো শুনেছি বলে মনে পরে না।
আগামীতেও আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের প্রত্যাশী হয়ে থাকলাম। শুভকামনা আপনার জন্যও থাকুক সবসময়।
২৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২৮
বাঘ মামা বলেছেন: কান্নার মত এত সুন্দর কিছু এই দুনিয়াতে নেই, সেই সুন্দর টুকু থাই জনগন তাদের রাজার জন্য অবলিলায় বিলিয়ে দিচ্ছে, ভাগ্যবান তাদের রাজা ভাগ্যবান তারা। থাই এক স্বর্গ রাজ্য। আমার ভালো লাগার এক দেশ।
কেমন আছো আপু তুমি? সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ
শুভ কামনা সব সময়
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০
জুন বলেছেন: রাজা নিজেও যেমন জনগনের ভাগ্যের উন্নতির জন্য নিজের সারাটি জীবন ব্যয় করেছে। তেমনি জনগনও ভালোবাসা দিয়ে তার প্রতিদান দিচ্ছে। তারপর ও তাদের আক্ষেপ উনি যতটুকু তাদের জন্য করেছে তার প্রতিদান তারা দিতে পারে নি। আমার খুব ক্লোজ একটি মেয়ে গর্বের সাথে বলে, 'মাই কিং, মাই ফাদার'। মেয়েটি জানালো দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য ছিল তার অকুন্ঠ ভালোবাসা। যে যত খারাপ ই হোক তারপরো বলতেন সেতো আমারই সন্তান। কতজন রাস্ট্র নায়ক এমন কথা বলতে পারে বাঘ মামা ?
আমারো বেশ ভালো লাগে, মেজরিটি জনগনই ভালো। অল্প কিছু শোনা কথা দিয়ে অনেকে তাদের যাচাই করতে আসে। আমিতো দেখি।
যাক আমি আছি একরকম নিজ দেশ ছেড়ে পরভুমে যত আরামেই থাকি তা কি আর নিজের মনে হয়?
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো সবসময় আমার পক্ষ থেকেও ।
বাঘ মামা অনেক দিন পর পর আসলেও আমাকে ভুলে যে যাওনা তার প্রমান মন্তব্যগুলো। সেই কতদিন ধরে সাথে থাকা চাট্টিখানি কথা নয়।
৩০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯
আলোরিকা বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা !
অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ারিং -র জন্য
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
জুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য আলোরিকা।
মৃত্যুর পরদিন আমাদের সাথে ওয়াটার ট্যাক্সিতে শোকাহত জনগনের কিছু অংশ।
৩১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের দেশে কি এমন নেতা হবেনা , দল, মত নির্বিশেষে যাকে প্রান ভরে আমরা শ্রদ্ধা জানাতে পারি ?
২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৭
জুন বলেছেন: এ মনে হয় আমাদের জন্য স্বপ্নই থেকে যাবে গিয়াস উদ্দিন লিটন। অত্যন্ত মৃদুভাষী , কোমল হৃদয়ের অধিকারী এই রাজাকে নিয়ে অনেক অনুষ্ঠান দেখছি । এই পর্যন্ত তার গলায় একটা জোরে শব্দ শুনিনি।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি মন্তব্যের জন্য । তাইতো বলি ইতিহাসের ছাত্রী না হলে কি এমন সুন্দর করে থাই রাজার ইতিহাস উঠে আসে লিখায় ।
আমার বিবেচনায় ইতিহাস বিষয়টি দুনিয়ার সবচাইতে কঠীনতম সাবজেক্ট । ইতিহাসের পরিধি বিশাল ব্যপৃত । কিসে নেই ইতিহাস । অতীতের কথা লিখতে গেলে তাতে সঙ্গত ভাবেই উঠে আসে , রাজনৈতিক , সামাজিক , ধর্মীয়দিক , কাব্যকলা , সাহিত্য সংস্কৃতি, অর্থনীতি , সমরনীতি , কুটনীতি , বিজ্ঞান , শিক্ষা, স্বাস্থ্য , স্বাপত্য , চিকিৎসা, খেলাধুলা কেনটি যায়না বাদ । ইতিহাস চর্চার সময় ইতিহাসবিদদের এসকল বিষয়ের উপরই থাকতে হয় জ্ঞান প্রগার , তা না হলে লিখা ও বিশ্লেষণ সকলই হবে অসার । তাই ইতিহাস বিষয়টি নিয়ে পড়াশুনা ও চর্চা প্রকৃত অর্থেই আপনার বিশাল পান্ডিত্বেরই পরিচায়ক ।
শুভেচ্ছা রইল ইতিহাস চর্চায় সফলতা আসুক আরো বেশী মাত্রায় ।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২০
জুন বলেছেন: আমি জানিনা ডা: এম আলী আমি আপনার মত একজন বিদগ্ধ ব্যাক্তিত্বের এত প্রশংসার যোগ্য কিনা। তারপরো কেউ ভালো বললে ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক।
ইতিহাস পড়ার সময় আমরা বারবার পড়েছি এই বাক্যটি " হিস্ট্রি রিপিটস ইটসেল্ফ"। তাই সবাই যেন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করে। বিশেষ করে রাজনীতিবিদ দের জন্য এ বাক্যটি সবচেয়ে গুরুত্ববহ।
পৃথিবীর অনেক দেশে ইতিহাস বিষয়টি অনেক দামী। একমাত্র আমাদের দেশ ছাড়া। কানাডাতে ইমিগ্রেশনের জন্য একজন এপ্লাই করছিল তাতে ইতিহাস বিষয়ে ছিল সর্বোচ্চ পয়েন্ট। আফসোস ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়াটা আমাদের দেশের জন্য বেশি জরুরী বলে আমি মনে করি।
আপনার মন্তব্যে আমি আভিভুত হোলাম তার জন্য রইলো অশেষ কৃতজ্ঞতা। আগামী দিনগুলোতেও সাথে থেকে এমনি ভাবে অনুপ্রানিত করবেন সেই প্রত্যাশায়।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
৩৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮
মুরশীদ বলেছেন: জনগনের রাজা ভুমিবলের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা । +++
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২১
জুন বলেছেন: মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
৩৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমাদের যদি এমন কোন নেতা থাকত
২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
জুন বলেছেন: আমাদের যদি এমন কোন নেতা থাকত। অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখে অনেক ভালো লাগলো।
৩৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভুমিবলের মৃত্যু হয়েছে; দেখলাম, মানুষ উনার জন্য কেঁদেছে। কিন্তু কিছু মানুষ আছে, যাদের মৃত্যর কথা শুনলে মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচে, দু:খজনক!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
জুন বলেছেন: আপনি যথার্থ সত্য কথাটি বলেছেন চাদগাজী। মানুষ হাফ ছেড়ে বাচে।
গত শনিবার রাজ প্রাসাদের সামনে রাজকীয় যে সংগীতটি আছে তার লাইভ অনুষ্ঠানে কালো পোশাকে শোকাকুল থাইবাসী। এক অচিন্তনীয় দৃশ্য। ভেতর থেকে আবেগ না থাকলে এমনটা সম্ভব না। নীচে দেখুন একই অনুষ্ঠান একটি দিনের, লাখো মোমবাতি হাতে একটি রাতের।
৩৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিউত্তরের জন্য । এ ব্লগবাড়ী আরো সমৃদ্ধ হোক আপনার ঐতিহাসিক লিখায় ও ছবি লিপিতে এ কামনা রইল ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
জুন বলেছেন: আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ জানাবো ভেবে পাচ্ছি না । এত সুন্দর অনুপ্রেরনা মন্তব্যে।
আগামীতে সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশায় ডা: এম আলী
৩৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আমাদের যদি এমন রাজা থাকতো,
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
জুন বলেছেন: একমত শাহরিয়ার কবির । আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যে।
৩৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৭
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: রাজা রাজড়াদের সিষ্টেমটা আমার কাছে ভাল্লাগেনা। শুধুমাত্র উত্তরাধিকার এর কারনেই একজন পুরো দেশের প্রধান হয়ে যাবে! আজীবন সেই পদে থাকবে! কোন মানে হয়! অবশ্য আমাদের দেশেও গনতন্ত্রের নামে অনেকটা তাই চলছে। যাহোক এমনভাবে ক্ষমতার অধিকারী হয়েও একজন যে প্রজাদের এতটা ভালবাসা অর্জন করতে পেরেছেনন এটা অবিশ্বাস্য। জেনে ভাল লাগল
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ অঞ্জন ঝনঝন।
এখনকার দিনে তো আর তেমন রাজা ও নেই, নেই রাজ্যপাট। কিন্ত স্বৈর শাসনে এখন অনেকদেশের প্রধানরা রাজা রাজড়াদেরো ছাড়িয়ে গেছে। আর অনেকদেশের মতই রাজা ভুমিবল নিয়মতান্ত্রিক রাজাই ছিলেন। তিনি তার সারাটি জীবন দেশের মানুষের কল্যানেই নিয়োজিত ছিলেন। এজন্যই এখানে লোকজন তাকে দেবতার একটি অংশ বলেই মনে করে।
আর বর্তমান বিশ্বে গনতন্ত্র আর তা প্রতিষ্ঠার জন্য যে পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তাতে তথাকথিত গনতন্ত্রের প্রতি আমার আর আস্থা নেই। এই গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে গনতন্ত্রের ধ্বজাধারী আমেরিকা ইরাক সহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বে কি নারকীয় ঘটনাই না ঘটালো।
আপনার ভালোলেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। সাথে থাকুন শুভেচ্ছা আর শুভকামনায়।
৩৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: তার বিদেহী আত্না শান্তি থাকুক ।
আপনার দেওয়া লিংকে উনার কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যাপারে পড়েছিলাম। উনার চিন্তা -ভাবনা অনেক উন্নত ছিলো। দেশের প্রতি কতটা ভালবাসা থাকলে তিনি এই ধরনের ভাবনা --চিন্তা করতে পারেন।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫
জুন বলেছেন: রাতুল অনেকদিন পর বিনা কষ্টে ব্লগে ঢুকতে পেরে আর সবার লেখা পড়তে পেরে খুব ভালোলাগছে। তোমার লেখাটিও অসাধারন ।
সত্যি তার মত দুরদর্শী চিন্তা ভাবনা শুধু একজন রাজ্য প্রধান হিসেবেই নয়, একজন মানুষ হিসেবেও অবিশ্বাস্য। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য একক ভাবে স্বীকৃত রাতুল যা অবিশ্বাস্য। কৃত্রিম বৃষ্টি ছাড়াও বিশ্বের ২০ পেটেন্ট এবং ১৯টি পন্যের ট্রেড মার্কের মালিক। আজকের আধুনিক থাইল্যান্ডের প্রতিটি ক্ষেত্রের জনক।
অনেক বড় মন্তব্যের উত্তর হয়ে গেল। ভালো থেকো। শুভকামনা নিরন্তর
৪০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: আচ্ছা ইবনে বতুতা আপনি কি এখন থাইল্যান্ডে আছেন না বাংলাদেশে?
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫
জুন বলেছেন: দুজায়গায় মিলিয়েই আছি রাতুল । তবে আল বেশিদিন এখানে থাকবো না হয়তো
৪১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: ব্লগে ঠিক মত লগ ইন করতে পারছি না। কারো মন্তব্য দেখতে পারছি না। খুব প্রবলেম।
ব্লগে নিয়মিত হতে গিয়ে পারছিনা । কি বিরক্তিকর!!!!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯
জুন বলেছেন: এটাযে কতখানি বিরক্তিকর তা বলার মত না । কোন নোটিফিকেশন আসে না । কে কোন পোষ্টে কবে মন্তব্য করেছে তাও দেখি না এত পোষ্ট প্রতিদিন চেক করা কি সম্ভব বলো ? শুধু নেশার টানে পরে আছি বলতে পারো । আরেকবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রাতুল ।
৪২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমাদের স্বজাতির এইরকম অভিভাবক থাকলে এতটা অধঃপতন হতো না। খুব দুঃখজনক, আমাদের কেউই মানুষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চান না।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২১
জুন বলেছেন: রাজা ভুমিবল প্রথমবার জাপান সফরে গিয়ে জেনে এসেছিলেন কি ভাবে তার দেশের দুস্থ জনগনের পুষ্টির অভাব দূর করবে। তখন ফিশারি ডিপার্টমেন্ট এ গিয়ে জেনেছিলেন দ্রুতবর্ধনশীল নাইল নাইলোটিকা মাছের কথা।
তার আগ্রহে জাপানের সে সময়ের রাজা তাকে পঞ্চাশটি নাইলোটিকা মাছ উপহার দিয়েছিলেন। পথে চল্লিশটি মাছ মারা যায়। বাকি দশটি নাইল নাইলোটিকা রাজা ভুমিবল তার নিজস্ব রাজপ্রাসাদ চিত্রলদার সুইমিং পুলকে হ্যাচারী বানিয়ে তাতে নিজস্ব তত্বাবধানে চাষ শুরু করেন। এক বছর পর সারা দেশে বিতরনের জন্য ১০.০০০ মাছ ফিশারি বিভাগকে দেয়া হয়। বর্তমানে থাইল্যান্ড প্রতি বছর ২২০.০০০ টন অত্যন্ত উন্নত জাতের নাইল নাইললোটিকা উতপাদন করছে ৩০০.০০০ নার্সারির মাধ্যমে। এতে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজের সংস্থান, অল্প খরচে জনগনের পুষ্টি সমস্যার সমাধান করা ছাড়াও বিদেশে রফতানি করেছে দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে ...
গেম এত কথা লেখার একটি কারন তা হলো বিলাস ব্যাসনে যে জীবন কাটিয়ে দিতে পারতো সে তা না করে জনগনের সেবায় এভাবেই কাটিয়ে গেছে দীর্ঘ ৮৮ বছর।
মন্তব্যের মাধ্যমে তার আরেকটি অবদান তুলে ধরার সুযোগ দেবার জন্য ধন্যবাদ
৪৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন শ্রদ্ধেয় রাজা তার প্রজাদের মন ভালবাসা আর কঠোর পরিশ্রম দিয়ে জয় করেছিলেন। থাইল্যান্ড আগে আমাদের চেয়েও অনেক দরিদ্র দেশ ছিল। সেই থাইল্যান্ডকে রাজা ভূমিবল কোথায় নিয়ে গেছেন! কত সামরিক অভ্যুল্থান হয়েছে সে দেশটিতে, কিন্তু রাজার প্রতি সবাই অনুগত থেকেছেন।
লেখাটা পড়তে গিয়ে আমার চোখ বারবার আর্দ্র হয়ে এসেছে একজন রাজা ভূমিবলের প্রতি সমবেদনার জন্য যতটা নয়, রাজার প্রতি একজন মমতাময়ী জুন এর অন্তর থেকে বের হয়ে আসা শ্রদ্ধাবোধ আর ভালবাসার পরিচয় পেয়ে তার চেয়ে অনেক বেশী। আপনার লেখায় যতটা, মন্তব্যগুলোতে তার চেয়ে অনেক বেশী শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে। পাঠককূলও আপনার সাথে সাথে রাজার কথা পড়ে ব্যথিত হয়েছে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৩
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি দেখেছি কিন্ত উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল তার জন্য আন্তরিক দু:খিত খায়রুল আহসান। তবে এর মাঝে দু একবার চেষ্টা করে বিফল হয়েছি।
আপনি যে অত্যন্ত মনযোগী পাঠক তা আর নতুন করে স্মরন করিয়ে দিতে চাই না। রাজা র মৃত্যুর পর থেকে এতদিন ধরে তার উপরে বিভিন্ন টিভি প্রতিবেদন দেখিছিলাম। উনি কোন বিষয়ে অযোগ্য ছিলেন তা ভেবে পাই না। সপ্তাহের সাতটি দিন সে দেশের আনাচে কানাচে ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের জনগনের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য টেকসই আর লাগসই প্রযুক্তীর সন্ধানে এবং তার সার্থক প্রয়োগের মাধ্যমে দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছেন। তাই তো এদেশের মানুষ বলে উনি আমাদের যত ভালোবেসেছেন তার প্রতিদান আনরা দিতে পারি নি।
এখনো রাজপ্রাসাদের প্রধান মঠে হাজারো শোকার্তো মানুষের ভীড়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন আর সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞ।
৪৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখায় যতটা, মন্তব্যগুলোতে তার চেয়ে অনেক বেশী শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে (৪৩ নং মন্তব্য) -- এখানে "মন্তব্যগুলোতে" বলতে আমি আপনার প্রতিমন্তব্যগুলোকে বুঝিয়েছি। আশাকরি সেটা বুঝতে পেরেছেন এমনিতেই, তবুও সন্দেহ নিরসনের জন্য এ ব্যাখ্যাটুকু দিয়ে গেলাম।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
জুন বলেছেন: জী বুঝতে পেরেছি
৪৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন ইতিহাস নির্মাতার প্রতি আরেকজন ইতিহাসবিদের শ্রদ্ধার্ঘ্য অন্তর ছুঁয়ে গেল!
থাই রাজার প্রতি আপনার শ্রদ্ধান্জলী ছুঁয়ে গেছে প্রিয় জুন -- ১১ নং মন্তব্যে মানবী আমার মনের কথাটিই বলে গেছেন।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪২
জুন বলেছেন: ব্লগার মানবী অত্যন্ত জ্ঞ্যানী গুনী সমাজ সচেতন একজন ব্যাক্তিত্ব। ওনার লেখা ছাড়াও মন্তব্যগুলোও যথেষ্ট পরিশীলিত এবং যুক্তিযুক্ত। আরেকবার এসেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
৪৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: আমি রাজা ভূমিবলের ( কিং রামা ৯ ) ভক্ত। তাঁকে ভীষণ শ্রদ্ধা করি। তাঁর এক জন্মদিনে থাইল্যান্ডে দেখেছি সাধারণ মানুষ তাঁকে খুব ভালোবাসেন। তাঁকে সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ,আপু।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬
জুন বলেছেন: মনে হলো বহু যুগ পরে অনেক পলিচিত পুরোনো প্রিয় এক মুখ দেখলাম । অনেক ভালোলাগলো সেটা বলাই বাহুল্য । অনেক ধন্যবাদ ।
আপনি অনেকবার থাইল্যান্ডে এসেছেন সুতরাং প্রয়াত রাজা ভুমিবল এদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে কতখানি স্থান জুড়ে আছে তা আমার না বল্লেও চলবে এটি এম কামাল । তাকে নিয়ে বছর দুএক আগে লেখা একটি গান প্রতিটি পাবলিক প্লেসে বেজে চলছে । অথবা বিভিন্ন কনসার্টে জনগনের অনুরোধে শিল্পীরা অত্যন্ত আবেগমথিত কন্ঠে গাইছৈ তাদের প্রবাদ প্রতিম প্রান প্রিয় রাজাকে নিয়ে লেখা গানটি। আমি আপনি হয়তো ভাষা বুঝবো না কিন্ত আবেগটা ধরতে পারবো এটা নিশ্চিত।
নীচে গানের লিংকটি দিলাম । দেখবেন আর শুনবেন আশাকরি ।
৪৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩
জুন বলেছেন: https://youtu.be/x8DfD8_FiEQ
৪৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২০
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: শুনলাম। গানটির সুর আর আবেগ অনুভব করার চেষ্টা করলাম। তিনি শেষ পর্যন্ত গণমানুষের রাজায় পরিণত হয়েছিলেন।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭
জুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি । মৃত্যুর পরদিন ওনার মরদেহ যখন রাজপ্রাসাদে নিয়ে আসা হলো তখন মেঘ ভেংগে সুর্যের আলো বিচ্ছুরিত হয়েছিল । তাই দেখে কুসংস্কারবর্জিত অত্যন্ত শিক্ষিত এক মেয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে বলে উঠেছিল, "কা ঐ পথ দিয়েই আমার রাজা হেভেনে চলে গেলো"।
তাদের দৃঢ় বিশ্বাস এত ভালো একজন মানুষ হেভেন ছাড়া আর কোথাও যেতে পারে না ।
গানটির অর্থ যতটুকু শুনেছি উনি সব রাজাদের রাজা । মহান একজন । আমরা তাকে ভালোবাসি এমন ধরনের কিছু। আবার আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এটি এম কামাল ।
৪৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: থাই এয়ারওয়েজ চড়ার সুযোগ হয়েছিল একবার। রাজার জন্য তাদের যে ভালবাসা, তা তাই এয়ারওয়েজ ২ মিনিটের এক চিএ প্রকাশ পায়। থাইল্যান্ড এয়ারপোর্ট মনে হয় ওনার নামে বানানো।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৯
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে কলিমুদ্দি দফাদার
জী এখনো সরকারী ও বেসরকারী কর্মচারী থেকে শুরু করে অনেক সাধারন জনগন কালো বা অনুজ্জ্বল রঙ এর পোষাক পড়ে চলেছে । কিম্বা পোশাকে কালো ব্যাচ যা আপনি থাই এয়ার ওয়েজের কেবিন ক্রুদের পোশাকে দেখতে পাবেন। এটা এক মাসের জন্য নির্ধারিত থাকলেও জনগন নিজের ইচ্ছায়ই তা পরছে কলিমুদ্দি দফাদার ।
থাইল্যান্ডের প্রধান এবং নতুন যে এয়ারপোর্ট সুবর্নভুমি এটা রাজার নামে নয় তবে নাম রেখেছিলেন উনি ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । সাথে থাকবেন আগামীতেও ।
৫০| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: থাইবাসীর মত আপনার অতিথি আপ্যায়ন এ আমি মুগ্ধ। : D আশা করি আগামিতে সাথে পাবো
২২ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪১
জুন বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যে ধন্যবাদ কলিমুদ্দি দফাদার ।
৫১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
জোবাইর বলেছেন: বহু দেশের অনেক বিখ্যাত রাজবংশের উত্তরসূরিরা এখন কোনো রকমে নামেমাত্র রাজা হিসাবে টিকে আছেন। উদাহরণ - ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। কারণ বর্তমান যুগে আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজাদের সেই ক্ষমতাও নেই, মানুষও সেই রাজার শাসনকে পছন্দ করে না। তাই এখনকার রাজারা শুধুমাত্র পোশাকী।
কিন্তু বর্তমান যুগে দেশের উন্নয়নে রাজা ভূমিবলের প্রত্যক্ষ ভূমিকা এবং তাঁর প্রতি সাধারণ মানুষের অগাধ ভালোবাসা ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা! এই কমজানা বিষয়টি আপনার লেখাটি পড়ে আরো ভালোভাবে জানলাম। ধন্যবাদ আপা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১২
জুন বলেছেন: একটা অবিশ্বাস্য ভালোবাসার সাক্ষী ছিলাম আমি । এক মাস কালো পোশাক পরে শোক প্রকাশ করতে বলেছিল তারা স্বতস্ফুর্তভাবে এক বছর তা পালন করে । এছাড়াও বিভিন্ন শপিং মলে খোলা যায়গায় তাকে নিয়ে কত যে ইভেন্ট , কত যে গান সেই করুন গানগুলো আজও আমার কানে বেজে বেজে যায় ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকুন নিরন্তর ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক অসাধারন দেশপ্রেমিক রাজার পরিচয় পেলাম লেখার মাধ্যমে।
এক অসাধারন দেশপ্রেমিক রাজা এক পিতার মত শাসকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে আমাদের পক্ষ থেকেওে রইল আন্তরিক শুভকামনা!