নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুকুর কাহিনী
সন্ধ্যার পর পাশের হোলসেল মার্কেটে গিয়েছি সংসারের টুকটাক জিনিস কিনতে আমরা দুজন বুড়ো বুড়ি । সেই মার্কেটের পাশ দিয়ে এলাকার একটি রাস্তা গিয়ে মিশেছে বড় রাস্তায়। যার ওইপাশে আরেকটি শপিং সেন্টার। সেই হোলসেল মার্কেটের সামনের দিকে বিশাল চত্বর যেখানে গাড়ি পার্কিং ছাড়াও খোলা জায়গা। আমরা সাইড রাস্তা দিয়ে ঢুকতেই দেখি এক জোড়া ছেলে মেয়ে একটি কুকুরের সাথে লুকোচুরি খেলছে। ওকে রেখে এদিক ওদিক দৌড়ে যাচ্ছে। আর কুকুরটাও ওদের খুজে বের করছে। আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি। একটু পর ওরা কুকুরটিকে একটু দুরে নিয়ে রেখেই চোখের পলকে দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে পাশের শপিং সেন্টারের কাচের দরজা খুলে ঢুকে গেলো। কুকুরটা দৌড়ে গেল ঠিকই কিন্ত আর তাদের খুজে পেলো না। পাবেও না কারন ওখান থেকে উল্টো দিক দিয়ে বের হয়ে যাবার অনেক দরজা আছে। কুকুরটা পাগলের মত একবার এদিকে ওদিকে যাচ্ছে, দরজা ঠেলেতো আর ভেতরে ঢুকতে পারছে না সেই অবোলা প্রানিটি। আমরা দাঁড়িয়ে রইলাম দেখার জন্য ওরা ফিরে আসে কি না? নাহ নেই নেই নেই তার মালকিনদের দেখা, আমার সংগী জানালো "বুঝেছো ওরা তাকে জন্মের মত পরিত্যাগ করে গেলো"। আমার যে কি ভীষণ কষ্ট লাগছিলো তা বলার মত নয়। কিছু না কিনেই ফিরে আসলাম।
বিড়াল কাহিনী
বিকেলের দিকে পার্কে হাটতে গিয়েছি। এক চক্কর দিয়ে আসতেই দুর থেকে দেখি অদুরে সদ্য চোখ ফোটা ছোট্ট এক বিড়াল ছানা দুজন বিদেশি ছেলের পা বেয়ে উঠতে চেষ্টা করছে আর মিউ মিউ করছে। ছেলে দুটো তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আমি কাছাকাছি আসতেই ছেলে দুটো বিড়াল ছানাকে রেখে এগিয়ে গেল গেটের দিকে। আমি তখন ছানাটাকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি দ্রুততার সাথে। বিড়াল ছানাটি করুন স্বরে মিউ মিউ করতে করতে আমার পিছু পিছু আসতে লাগলো। আমি বারবার পিছন ফিরে দেখছি সে দৌড়ে আসতে
চেষ্টা করছে। একসময় হাল ছেড়ে বসে পরলো আর আমার দিকে এমন করুনভাবে চেয়ে রইলো যা আমি লিখে বোঝাতে পারবো না। এটা বেশ আগের ঘটনা, আমি ব্লগে অনেকের মন্তব্যে বলেছিও। কিন্ত আজও আমি তার সেই তাকিয়ে থাকাটা ভুলতে পারি নি। পরদিন পার্কের কেয়ার টেকারকে জিজ্ঞেস করলাম ছানাটার কথা। সে বল্লো সে জানে না।
পাখি কাহিনি
বুনো পাখিদের প্রতি আমার ভালোবাসার কথা অনেকেই জানেন। দেশের বাইরে থাকলে ফোনে প্রথম প্রশ্ন থাকে পাখিগুলোকে খেতে দিয়েছে নাকি? আর নিজে থাকলে তো কথাই নাই। তাদের ভালোলাগার খাবার দেই নিয়মিত দিনে তিন চারবার। কয়েক মাস আগে নীচ তালা থেকে অভিযোগ আসলো আমরা কি পাখি পালি নাকি? পাখির খাবার উড়ে গিয়ে তাদের বারান্দা নোংরা করছে। কিছু দিন বন্ধ রেখে আবার একটু আধটু দেয়া শুরু করলাম। কিন্ত কাল গৃহকর্তা নিজে ফোন করলো আমার কর্তাকে। সেই একই অভিযোগ। ও বল্লো থাক আর দিও না, ওনাদের যখন সমস্যা হচ্ছে। আজ সকাল থেকে দিনভর একের পর এক টিয়া, বুলবুলি, শালিকরা খালি থালা সামনে নিয়ে চেচামেচি করছে বারান্দার গ্রীলের সাথে বেধে দেয়া ডালে বসে। আবার ক্যা ক্যা করতে করতে উকি দিয়ে দিয়ে দরজার ভেতরে আমাকে দেখে শালিকগুলো। আমার যে কি কষ্ট হচ্ছে বলার না। কিন্ত শহুরে জীবনে এমন হাত পা বাধা হয়েই হয়তো চলতে হবে। কিন্ত আমার শিকলি কাটা স্বাধীন পাখিদের কি হবে?
প্রথম ও দ্বিতীয় ছবিটি নেট।
তৃতীয়টি আমার মোবাইলে আমার তোলা।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪২
জুন বলেছেন: সত্যি বেদনাদায়ক প্রান্ত। পাখিরটা সদ্য হলেও বাকি দুটো আগেরই কিন্ত কিছুতেই মন থেকে সরাতে পারি না ওদের চাহনি। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জেনো আর সাবধানে থেকো এই করোনাকালে।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২১
মুক্তা নীল বলেছেন:
জুন আপা ,
তিনটি গল্প মর্মস্পর্শী ও বেদনাদায়ক । রাস্তায় ধারে কোন
মানব শিশুকে (অসুস্থ ) ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবারের মানুষজন
ফেলে যায় । আর আর কুকুর ছানা গুলো এবং বিভিন্ন পশু পাখির প্রতি আচরণ এতো আদিম নিষ্ঠুরতার সাথে মিশে
আছে ।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭
জুন বলেছেন: আমি একসময়ে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরীর সুবাদে কিছু বস্তি এলাকায় যেতাম। সেখানে দেখেছিলাম অসুস্থ বিকলাঙ্গ শিশুদের সাথে তার আপনজনদেরই কি অমানবিক আচরণ। সেই আট দশ বছরের বাচ্চাটার করুন মুখ দেখে খুব কষ্ট হতো মুক্তানীল।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালোবাসা অনেক সময়ই কষ্টের। অনেক মানুষই আছে যারা ভালোবাসা পায়ে মাড়িয়ে দেয়।
ভালোবাসার মূল্য দেয়া উচিত।
০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৯
জুন বলেছেন: ভালোবাসার মূল্য দেয়া উচিত। আপনি ঠিকই বলেছে সাজ্জাদ হোসেন। আমরা মানুষের ভালোবাসারই মূল্য দেই না সেখানে পশু পাখি।
মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছোট বেলায় আমরা একটা ময়না পাখি পালতাম। পাখিটাকে আমরা শিষ দেয়া শিখিয়েছিলাম। এছাড়া পাখিটা আমাদের সবার নাম মানুষের মত বলতে পারতো। পরবর্তীতে পাখিটা কিছুটা অসুস্থ হতে থাকে। পাখিটা ওড়া ভুলে গিয়েছিল। আমরা তখন ওটাকে ঢাকা চিড়িয়াখানায় দিয়ে দেই। হয়ত ওখানে অন্য পাখির সাথে থাকলে ও আবার স্বাভাবিক হবে। পরবর্তীতে চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম কিন্তু ওটাকে আর আলাদাভাবে চিন্তে পারিনি। আসলে পাখিটার শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল আমাদের অজানাই ছিল।
১০ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
জুন বলেছেন: পোষা প্রাণীদের প্রতি মমতা আর তাদের বিয়োগ ব্যাথায় হৃদয়কে কতটা রক্তাক্ত করে সেটা সেই অনুভব করে যারা এর মাঝ দিয়ে যায়। এনিয়ে আমার একটি লেখা আছে "তুংতুং এক মুটু বিড়ালের উপাখ্যান "। যদিও উপাখ্যানের নায়ক আমার ছেলে তারপরও তুং তুং আমার মনে আজও গভীর দাগ একে রেখে গ্যাছে সাড়ে চুয়াত্তর। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য আর আপনার ময়নার কাহিনীটুকু শেয়ার করার জন্য।
ভালো থাকুন সবসময়।
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
কুকুর, বিড়াল পাখি
আর কিছু কি রইলো বাকী !
শুধু মানুষই দিতে জানে ফাঁকি.............
ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা চাওয়া উচিৎ গাছেদের কাছে । গাছ কাউকে ছেড়ে পালায় না, ছায়া দিয়েই যায়!
আপনার লেখা পড়ে রবীন্দ্রনাথের "পোস্টমাষ্টার" গল্পের শেষের এপিক বাক্যটি মনে পড়লো - এ পৃথিবীতে কে কাহার...
১০ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৭
জুন বলেছেন: অবোলা অবোধ প্রানীদের ভালোবাসা যে কতটুকু গভীর হৃদয়স্পর্শী তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। বিশেষ করে কুকুরের বিশ্বস্ততার কথাতো অনেক বই পুস্তকেই লেখা আছে আহমেদ জী এস। আমরা যখন ছোট তখন আমাদের বাসায় বিশাল এক এলসেশিয়ান কুকুর ছিল টাইগার নামে। তার জন্য আমাদের বাসায় অনাহুত কেউ ঢুকতে পারতো না। তাকে যখন চোরের দল বিষ খাইয়ে মারলো তখনো সে আমার মায়ের পায়ের উপর মাথা গুজে মারা গেল। কতদিন যে কেদেছি টাইগারের জন্য।
পোস্টমাস্টারের উদাহরণটি অনেকটা পলায়নপর কোন ব্যাক্তির নিজের মনকে স্বান্তনা দেয়ার জন্য এক স্বগতোক্তি আরকি। এই লোকটাকে কোনদিন পছন্দ করতে পারি নাই .
ভালো থাকুন সবসময়। আর অত্যন্ত আন্তরিক এক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি একটি বড় ঝুঁড়ির মাঝখানে খাবারটা রেখে দেখতে পারেন।
১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০২
জুন বলেছেন: ভালো বুদ্ধি দিয়েছেন চাদগাজী কিন্ত গ্রীলের ফাক দিয়ে বড় ঝুড়ি কি ভাবে বাইরে নেবো এক হয় ঝুড়ি বানানোর উপকরণ যেমন বাশ বেত বাইরে নিয়ে তারপর ঝুড়ি বোনা। আপনি একটা বুদ্ধি দেন না হয়। পাখিগুলোর জন্য আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: তিনটি গল্পই মন স্পর্শ করলো।
১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর নিয়মিত সাথে থেকে উৎসাহিত করার জন্য।
৮| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমরা এখনো মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি
১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪২
জুন বলেছেন: মানুষ হয়েছি হয়তো তবে মানবিক গুনাবলী রপ্ত করতে পারি নি। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে নুরুল ইসলাম ০৬০৪।
৯| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পশুপাখির প্রতি কিছু মানুষের আচরণ দেখে ব্যথিত হই
১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪
জুন বলেছেন: পাখি দেখলেই ঢিল ছুড়ে মারি, কুকুর বেড়াল পাশ দিয়ে গেলেই পা উঠে যায় তাদের গায়ে, কিন্ত তাদের প্রতি কেন এই অকারণ বিদ্বেষ আমাদের বুঝি না আমি আর্কিও।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তিনটিই বেদনা দায়ক। প্রথম টি সবথেকে বেশি। আমরা এখন বেদনা নিয়েই থাকি।
১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮
জুন বলেছেন: সত্যি অনেক অনেক কষ্টের সেলিম আনোয়ার। ভালো থাকুন সবসময়।
১১| ১০ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:৩৬
সোহানী বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প।
১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
জুন বলেছেন: মনে হলে আমারও অনেক খারাপ লাগে সোহানী। তারপর কেমন আছেন এই করোনাকালে সুদুর বিদেশে? কতদিন ঘরবন্দী তাই না?
১২| ১০ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৪৬
ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। চমৎকার সাবলীল।
১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১
জুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইসিয়াক আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার কবিতায় আমি অনেক সময় কিছু বলতে চাই তবে আমি মনে করি কবিতা না বুঝে তাতে কিছু বলা ঠিক না। তবে গল্পগুলো নিয়মিত পড়ি। ভালো থাকুন সবসময়।
১৩| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৪
অচেনা হৃদি বলেছেন: পৃথিবীর সব গল্পগুলোই যদি মন ভালো করার মত হত ভালো হত। মন খারাপ করা গল্প মন খারাপ করেই দেয়।
তিনিটি ঘটনার সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন আপু।
১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১০
জুন বলেছেন: পৃথিবীর সব গল্পগুলোই যদি মন ভালো করার মত হত ভালো হত। কি ভালোই না হতো অচেনা হৃদি । আর এজন্যই আমি মিলনাত্মক গল্প পছন্দ করি । অনেক অনেকদিন পর অচেনা হৃদিকে ব্লগে দেখে খুব ভালোলাগলো । এমন করে কই চলে যান ? এভাবেই তো একদিন অচেনা হয়ে যাবেন চেনাজানাদের ভীড়ে । সাথে থাকুন সব সময় এই প্রত্যাশা রইলো । মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
১৪| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৫
মুজিব রহমান বলেছেন: খুবই কষ্ট লাগে। বোবা কান্না বোবা প্রাণীদের- নিরুপায় হয়ে যেতে হয়।
১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১১
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো আপনার মন্তব্যে । ধন্যবাদ সাথে শুভকামনাও ।
১৫| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যিই মনটা কেমন করে উঠলো!!!
আহারে, অবোধ প্রাণের না বলা কষ্ট!!
আমার বাসায় বেড়াল পালা ছেড়েই দিয়েছি। একটা খালি যেখানে খুশী সেখানে পিসু করতো!
রাগ করে ফেলে দেব। বস্তা ধরে আমি ডাকি আসে না। গিন্নি ডাকতেই সুরসুর করে ঢুকে গেল।
ভেতরে গিয়ে যে বসলো বাইরে আসার নাম নেই। অনেক খন বস্তার মূখ খোলা রাখলাম। উঁকি দিয়ে
দেখে আবার ভেতরেই বসে রইল! যেন বুঝৈ গেছে তার পরিণতি!
ফেলে দিয়ে এসে ওদের কান্না দেখবো কি আমার কান্নাই অনেকে ভির করে দেখলো!!!
আরেকবার নতুন অতিথি। ঠান্ডায় আক্রান্ত হলো। ড্রপার দিয়ে অষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। খাওয়া দাওয়াও ছেড়ে দিয়েছে
সামনে মাছ, দুধ কিছূ খায় না। ড্রপার দিয়ে কোলে নিয়ে নিয়ে খাওয়ায়...
সকালে দেখি মারা গেছে।
বাসার সবার কান্না থামছেই না।
এরপর থেকে কিড়ে কেটেছি- মায়ার বাঁধনে আর না।
বড্ড পোড়ায়
১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২১
জুন বলেছেন: বছর খানেক আগের ঘটনা ভৃগু , আমি ঢাকায় এসে দেখি আমাদের গ্যারেজে ছোট্ট এক কালো মিশমিশে বিড়াল ছানা ।ঐ অতটুকু প্রানীর চেহারার মধ্যে ফুটে উঠেছে কিছুটা হীনমন্যতার ছাপ, হতে পারে সেটা তার রঙ নিয়ে । মনে হলো প্রানী জগতেও কি সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি তার গায়ের রঙ ? য়ামি প্রতিদিন তাকে মাছ দিয়ে ভাত খেতে দেই । ছোট একটা কার্টুন দিয়েছি ঘুমানোর জন্য । গেটের প্রহরী জানালো আরো এক তালার স্যারের মেয়ে বাটিতে করে দুধ দিয়ে যায় । কয়েকদিন পর আমি নীচে নেমে দেখি বিড়াল ছানাটি নেই । প্রহরী জানালো আমাদের কেয়ারটেকার তাকে বস্তায় ভরে কোন দূরে নাকি ফেলে দিয়ে এসেছে কোন স্যারের নির্দেশে । এত খারাপ লাগছিলো তা বলার নয় । মানুষ কেন এত নিষ্ঠুর হয় আমি বুঝি না ।
আমার ছেলের কয়েকদিনের পোষা বিড়াল তুং তুং কে নিয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম সেখানেও আমার ছেলে বলেছিল "কোথাও থিতু না হয়ে আর এদের কাছে টেনে নেবো না" ।
মন্তব্য আর আপনার কোমল হৃদয়ের কাহিনী জেনে মন খারাপ করা ভালোলাগা রইলো ভৃগু । ভালো থাকুন আর সাবধানে । অনেক ধন্যবাদ ।
১৬| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: আমার আগের কর্মস্থলে আমার ঘরের সামনে একটা কুকুর ছিলো। তাকে প্রতিদিন খাবার দিতাম। আমি ঘরে থাকলে, সে আমার ঘরের সামনে থাকতো। সন্ধ্যার সময় বাইরে বের হলে, সে রাস্তা পর্যন্ত আমার সাথে যেত (রাস্তায় শেয়ালের উৎপাত ছিলো)।
আমি বাসায় আসলে, আমার কলিগদের মুখে শুনতাম, সে আমার দরজার সামনে শুয়ে বসে থাকে। পরে কলিগদের বলেছি, তাকে কিছু খাবার দিতে। পরবর্তিতে সে সবার প্রিয় হয়ে উঠেছিলো। শেয়াল দেখলে সে তাদের দৌঁড়ানি দিত।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, সে এলাকার সকল কুকুরদের আমাদের ব্যাপারে বলে রেখেছে।
এক শীতে অন্য এক কুকুরের ছানা হয়েছে। আমরা সেই কুকুর ছানা দেখতে গেলে, মা কুকুর আমাদের তেড়ে আসে, অন্য এক পুরুষ কুকুর তাকে থামিয়ে দেয়। পরের দিন আবার সেই কুকুর ছানার কাছে গেলে, মা কুকুর ছানা আর কিছু বলে না।
বাড়িতে কুকুর পুষতে চেয়েছিলাম, আম্মা মানা করে দিয়েছে। তবে এখনও শখ আছে।
১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
জুন বলেছেন: তোমার কুকুর ভালোবাসার কাহিনী ভালো লাগলো রাতুল। আসলে পশুপাখিদের প্রতি মমতা আমাদের মাঝে একটু কমই আছে। আমার পরিচিত একজন বিদেশী ঢাকা ঘুরতে এসে কয়েক বাসায় আমন্ত্রিত হয়েছিল।সেই প্রতিটি বাসাই ছিল স্বচ্ছল ধনী পরিবারে। আমার প্রতি তার বিস্মিত প্রশ্ন ছিল,
"তোমাদের কারো বাসায় কোন পেট দেখতে পেলামনা! তোমরা কি প্রানীদের ভালো বাসো না!! "
কুকুর বিড়ালকে ট্রেনিং দিলে ওরা মানুষের চেয়ে সভ্য হয়। আমি একটা বিড়াল দেখেছিলাম সে কমোডে পটি করে ফ্লাশ করলো! আমি সত্যি বিস্মিত হয়েছিলাম।
বহুদিন ধরে মন্তব্যের মাধ্যমে উতসাহ দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রাতুল। ভালো থেকো। আমার ভাস্তের নাম ও রাতুল
১৭| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: বোবা পশুদের প্রতি আপনার অনুভূতি সত্যিই খুব ভাল লাগলো।
আমার পরিচিত এক বড়ভাই আছেন যিনি প্রতিদিন ঠিক দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মটর সাইকেল নিয়ে সারা শহর ঘুরে ঘুরে কুকুরদের খাওয়ায়। এটা শুধু দু-একদিনের না, অনেকদিন ধরে চলছে।
শুভেচ্ছা রইল আপু।
১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
জুন বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। আপনার বড় ভাই এর মত একটি ঘটনা দেখেছিলাম। সুয়ান লুয়ান রামা নাইন পার্ক থেকে হেটে হেটে মেইন রোডে ফিরছি। বাদিকে বিশাল এলাকা টিন দিয়ে ঘেরাও করা বোধহয় নির্মান কাজ হবে। এমন সময় এক মধ্য বয়স্ক লোক কাপড়ে চোপড়ে নিম্ন বিত্তই মনে হলো। মটর সাইকেল চালিয়ে আমাদের পাশ ঘেষে ফুটপাতে থামলো। তারপর সামনে ঝোলানো বড় একটি কাপড়ের ব্যাগ নামিয়ে টিনের নীচের খোলা জায়গা দিয়ে খালি টিনের প্লেট বের করে আনলো। আমরাও কৌতূহল নিয়ে দেখতে দেখতে এগিয়ে যাচ্ছি। এবার লোকটা ব্যাগ থেকে ছোট ছোট টুকরো করা মাংস বের করে প্লেটে ঢেলে ঢুকিয়ে দিল। সাথে সাথে অনেকগুলো কুকুর আর বিড়ালের ডাক শুরু হলো। এমন করে একটু দুরে দুরে পাচটা প্লেট ভরে খাবার দিলো আর আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছিলো। ভাবছিলাম অনেক পয়সাওয়ালার চেয়েও তার অন্তরটা না জানি কত বড়?
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
১৮| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আমি পশু পাখিদের ভালোবাসি।
আমি প্রতিদিন ছাদে গিয়ে চাল, ভাত, রুটি রেখে আসি। আমাদের ছাদে অনেক পাখি আছে। এদের মধ্যে চড়ুই পাখির সংখ্যা বেশী।
রাস্তায় কুকুর দেখলে আমার ভিষন মায়া লাগে। আমি তাদের রুটি ড্রাইকেক বিস্কুট খাওয়াই।
১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ভালো একটি কাজ করেন রাজীব নুর। আমাকে একজন বলেছিল ফলের গাছে জাল দিয়ে রাখে কাঠবিড়ালি আর পাখিরা খেয়ে ফেলে বলে। আমি তাকে বলেছিলাম আপনার গাছের ফলে তাদেরও অধিকার আছে।
রাস্তার কুকুর আমি ভয় পাই তবে বিড়াল দেখলে মায়া লাগে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৯| ১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মানবিক মন তাই মায়া হয়।
১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
জুন বলেছেন: মানবিক মন বাহ সুন্দর বলেছেন মোঃ মাইদুল সরকার। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২০| ১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: কুকুর বিড়াল বা পাখির প্রতি কষ্ট লাগলে কিন্তু বিপদ আছে। তখন আর ওকে ছাড়তে পারবেন না। আমার আগের বাসার বারান্দায় একটা ভাঙা মাটির ব্যাংক টানিয়ে দিয়েছিলাম যেনো পাখি এসে বাসা করে। তার নিচে খাবার ও পানি দেয়ার জন্য পাত্র। এর ফলাফল খুব খারাপ হয়েছিলো। পাখিতে বাসা করে, খাবার খেতে এসে বারান্দা চরমভাবে নোংরা করে রাখতো, কিন্তু পাখিগুলোর দিকে তাকিয়ে সেটাকে আর বন্ধও করতে পারিনি, নিয়মিত খাবার দিয়ে গেছি।
এখন নতুন বাসায় এসে দেখছি- আমাকে বাসা বানিয়ে দেয়া লাগেনি, কোত্থেকে এক বুলবুলি দম্পতি নিজ দায়িত্বে বারান্দায় বাসা করে বাচ্চা ফুটিয়ে চলে গেছে। এগুলোকে অবশ্য খাবার দেয়া লাগছে না।
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০১
জুন বলেছেন: জী আপনার আশংকাই সত্যতে পরিনত হয়েছে পদ্মপুকুর। ছাড়তে পারছি না। সারাক্ষণ মাথায় ঘুর ঘুর করছে। একটা বিকল্প ব্যাবস্থার চিন্তাভাবনা করছি। দেখা যাক কি হয়।
আপনার জীবনের ঘটনাগুলো শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সবসময়।
২১| ১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক সময় স্বাধ থাকলেও সাধ্য থাকে না, এসবই জীবনের সাথে জড়িত। মন নরম হলেই বেশি কষ্ট পেতে হয়। আল্লাহ আপনার মন ভালো করে দিন
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫১
জুন বলেছেন: একদম সঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন কাজী ফাতেমা। মন নরম বলে অনেকের মিথ্যা কথাও সত্যি বলে ভাবি। তবে পশু পাখিরা তো আর মানুষের মত এত ফেরেববাজ না তাদের ভালোবাসা সত্যিই হয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সবসময় আর সবাইকে নিয়ে নিরাপদে থাকুন।
২২| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সবগুলি অনুগল্পই ভাল লেগেছে। অনুগল্প পাঠই আমার ভাল লাগে কারণ গল্পের ছোট ছোট সুখপাঠ্য বিষয়গুলির সাথে পাঠেও সময় কম লাগে বলে ।
কুকুর নিয়ে অনুগল্পটি পাঠে আমার ছোট একটি কথা মনে পড়ে যায় । বছর দুয়েক আগে বাসার কাছে পার্কের লেকের ধারে ইভেনিং ওয়াকে বের হয়েছিলাম ।লেকের পারে পানির কাছে দেখি প্রতিবেশী একজন মহিলা তার ছেলে ও পোষা কুকুরটি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় হাই হেলু বলে তার কুকুরটির দিকে দৃষ্টি আকর্ষন করে জানতে চাইলাম এর নাম কি? তিনি বললেন কিটি, নাম শুনে আমি বললাম ইযুর কিটি ইজ ভেরী কিউট ।
আর যায় কোথায় হঠাত করে কুকুর আমার আদর পাওয়ার জন্য দুই পায়ে দাঁড়িয়ে আমার দিকে ঝুকে গেল। বাসা হতে অজু করে বেরিয়েছি পার্কে ভ্রমন শেষে ফিরার পথে মসজিদে নামাজ পড়ে ঘরে ফিরব।তাই কুকুরের ছোয়ায় অজু ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে চট করে সরে যেতে গিয়ে বা পায়ের গোড়ালী মচকে যায়,সেকি ব্যথা , তারপরেও কোশল বিনিময় করে মন প্রফুল্য রেখে মচকানু পায়ে ব্যথা নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে ঘরে ফিরলাম।
আপনার গল্পের কুকুর ছানাটির প্রতি ছেলেদের নিষ্ঠুর আচরণ দেখে মনে পড়ে কুকুর প্রভুভক্ত প্রাণী, সে তার মনিবকে ভালবাসে, মনিবের জন্য জীবনটাও দিয়ে দিতে পারে। এক গল্পে পড়েিলাম জাহাজের ডেক হতে কুকুরের মনিবের ছোট একটি বাচ্চা পানিতে পড়ে গেলে কুকুরটি তার জীবনকে বিপন্ন করে পানিতে ঝাপিয়ে পরে তার মনিবের বাচ্চাকে উদ্ধার করেছে। প্রভুভক্ত কুকুর তার মনিবকে কেবল ভাল বেসেই গেল , তার উপর নিষ্টুর আচরনের পরেও সে তার মনিবকে ভালবেসে যায়। এই প্রাণীদের প্রতি মানুষের নিষ্ঠুর আচরণ করতে দেখলে কিংবা তাদের প্রতি কারো নিষ্ঠুর মনোভাব পোষন করতে দেখে আপনার মনোকষ্টের গল্প পাঠে আমাদেরও মনে কষ্ট লাগছে ।
তাইতো প্রয়াত কন্ঠশিল্পী এন্ড্রো কিশোর এর কন্ঠে ভালবেসে গেলাম শুধু ভালবাসা পেলাম না গানটি শুনতে শুনতে এই মন্তব্যটি লিখতে ছিলাম, আপনিও শুনেন ভাল লাগবে বলে মনে করি।
ভালবেসে গেলাম শুধু ভালবাসা পেলাম না আশায় আশায় দিন যে গেল আশা পূরণ হলো না।। কারো আশার তরী হায়রে পায় খুঁজে কিনারা, নিরাশারই আধার আমার করে শুধু ইশারা, কারো আশার মালাখানি কন্ঠেতে শোভা পায়, আমার আশার ফুলগুলো সব ঝরে ঝরে পড়ে যায়, কেন জানি না আমি কেন জানি না।। চোখের কাছে সুখের পাখি খাঁচায় ধরা দিল না ।
তবে আপনার বেলায় তা হবেনা, প্রাণী ও পাখীদেরকে ভালবেসে যান, সুখের পাখী কোন দিনই খাঁচা ছেড়ে যাবেনা যাবেনা যাবেনা।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
জুন বলেছেন: ডঃ এম এ আলী প্রথমেই ক্ষমা চাচ্ছি মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরীর জন্য। বুঝেনই তো সংসারের অনেক কাজ সামলে আসি আপনাদের মাঝে। অবশ্য এগুলো কোন এক্সকিউজ না, আসল কথা হলো আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে আমাকে একটু ভাবতেই হয়।
ওযু নষ্ট করার জন্য কুকুরটাকে দায়ী করতে পারছি না আমি । বেচারাতো আর এটা বুঝে নি। কিন্ত আপনি জেনেশুনে ওই প্রতিবেশী মহিলার সাথে কথা বলতে গেলেন যে ঘটনাটা কি বলেন তো
কুকুরের প্রভুভক্তের অনেক কাহিনী আছে। কত কুকুরতো তাদের মনিবের কবরের উপরেই শুয়ে থাকে দিনের পর দিন। থাই রাজা ভুমিবলের অনেকগুলো কুকুর ছিল যা তার প্রিয়। তার মৃত্যুর এক বছর পর যখন তার শেষকৃত্য হলো তখন তার চিতা হিসেবে নির্মিত সেই স্থাপনায় অনেক দেব দেবতা আর প্রানীকুলের মুর্তির সাথে তার প্রিয় তংদয়ের ( সবচেয়ে প্রিয় কুকুর) মুর্তিও ছিল।
আপনার দেয়া গান শুনতে শুনতে উত্তর দিচ্ছি। জানি পাল্লায় উঠালে আমার দিকটা আকাশে উঠে যাবে। যাইহোক আমি জানি আপনি তা ক্ষমার দৃষ্টিতেই দেখবেন
অনেক অনেক ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন সবসময়।
২৩| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমার একটা পোষা কুকুর ছিলো। আমরা যখন গঞ্জে পরীক্ষা দিতে যেতাম, আমাদের পেছন পেছন হাঁটতে হাঁটতে চলে আসত পুরো রাস্তা। পিয়ন কাকা আমার কুকুরকে ইট মেরে খোঁড়া করে দিয়েছিলেন; কুকুরটা তবু চলে যায় নি, পাঁচিলের ওপাশে শুয়ে শুয়ে কুঁইকুঁই করছিলো।
আজো নিজেকে অপরাধী মনে হয় সেই স্মৃতি মনে পড়লে।
১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮
জুন বলেছেন: আপনি পিয়ন কাকাকে কিছু বলেন নি প্রফেসর! কুকুরটা তো আপনাদের পোষা ছিল। যাইহোক আমাদের মানসিকতাই এমন। অকারণ আমরা প্রাণীদের প্রতি এমন আচরণ করি ভাবতেও খারাপ লাগে। আপনার সাথে সাথে আমার মনটাও খারাপ হয়ে গেল।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আকিব ইজাজ বলেছেন: অনুভুতি গুলো ভোতা হয়ে গেছে, তাই সহসাই কোন জিনিষে মায়া জন্মায় না। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ কোন মোড়ে চোখে চোখ মেলালে নিজের ভেতরই নড়ে উঠে, আকুতি বাড়ে, ভালোলাগা গুলো নড়ে-চড়ে বুকে বুদবুদ সৃষ্টি করে। কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক জঞ্জালের টানে চোখ আবারও গন্তব্যপানে দৃষ্টি মেলে ধরে। পেছনে পড়ে থাকে মায়াময় মহিমা।
এভাবে কেউ আর কাউকে পিছনে ছেড়ে না যাক, আপন করে নিয়ে নিক সব আপনে...
১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
জুন বলেছেন: স্বাগত জানাই আমার ব্লগে। আপনার অত্যন্ত আন্তরিক এক মন্তব্যে অভিভূত আকিব ইজাজ।
ভালো থাকুন এই দুর্যোগে।
২৫| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১২
করুণাধারা বলেছেন: অনু গল্পগুলো পড়ে মনখারাপ হয়ে গেল। অবোধ প্রাণীগুলো অসহায়, কিন্তু মনকেমন করলেও কিছু করার উপায় নেই। আপনার নিয়মিত অতিথি পাখিদের জন্য খারাপ লাগছে।
ডঃ এম এ আলীর গল্পও চমৎকার। আপনার আর ডঃ এম এ আলী- দুজনের গল্পেই প্লাস।
১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
জুন বলেছেন: আমার যে কি মন খারাপ লাগছিল তা বলার নয় করুনাধারা। যাই হোক আরেকটা দিক দিয়ে চেষ্টা করছি পাখিদের খাবার দিতে। দেখি সফল হই কি না। আমরা একটা জিনিস অবজার্ভ করেছি সেটা হলো অন্ততপক্ষে তিনদিক থেকে একটু খোলামেলা না হলে পাখিরা আসতে ভয় পায়।
ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়।
২৬| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জুন আপা,
কুকুর - বিড়াল - পাখি তিনটিই বাড়ি, ঘর, সমাজ, পরিবেশ সহ দেশ, বিশ্ব এমনকি মানবজাতির বন্ধু।
১। আমাদের ফসলি ক্ষেতে ইঁদুর হলে সকল চেষ্টা ব্যার্থ হলে আমাদের শেষ ভরসা বাড়ির দুষ্ট বিড়াল। জমিতে ভুলিয়ে ভালিয়ে বিড়ালগুলোকে নিয়ে যেতে হয় তারপর শুরু হয় যুদ্ধ।
২। কুকুর আমার প্রিয় পোষা প্রাণী। আমি আমার জীবনে কুকুর জাতির কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। কুকুরের কাছে এতো উপকার পেয়েছি যা লিখতে গেলে উপন্যাস হবে।
৩। পাখি ছাড়া বাড়ি হয় না, যে বাড়িতে পাখি আসে না, সে বাড়ি বাড়ি না। কবরস্থানেও পাখি থাকে। যিনি পাখি পছন্দ করেন না তিনি অবস্যই অবস্যই মানুষ না। খুনি মার্ডারারও পাখি পছন্দ করেন - খুনি মার্ডারার ও মানুষ। তাই বুঝতেই পারছেন যিনি মানুষের কাতারে নেই, তিনি কেমন হতে পারেন?
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৬
জুন বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ঠাকুর মাহমুদ এই তিনটি প্রানীই মানুষের খুব কাছাকাছি আসে। আপনাদের ক্ষেতের ইদুর মারার জন্য বিড়াল ব্যবহার করার কথা শুনে মনে পরলো লরা ইংগলস ওয়াইল্ডারের বই এর কথা। ইদুরের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে লরার বাবা বাধ্য হয়েছিল সেই অর্থনৈতিক দুরবস্থার মাঝেও পয়সা খরচ করে বিড়াল কিনতে। সেই বিড়াল ওদের ক্ষেতের ইদুর মেরে খেয়ে আবার ওদের জন্যও নিয়ে আসতো
আপনি শীঘ্রই আপনার প্রিয় কুকুর নিয়ে কিছু লিখবেন আমাদের জন্য। আমার আব্বার খুব শখ ছিল কুকুর পোষার। সব সময় আমাদের বাসায় কুকুর ছিল। জ্ঞান হওয়ার দেখেছিলাম বিশাল এক এলসেশিয়ান নাম টাইগার। অনেক বছর ছিল আমাদের সাথে।
পাখিও পুষতেন আমার আব্বা। তবে আমার খাচায় বন্দী পাখি ভালো লাগে না।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরী হলো তার জন্য আন্তরিক দুঃখিত আমি।
২৭| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অবোলা প্রাণীদের নিয়ে আপনার অনুভূতির পরিচয় ইতিপূর্বেও পেয়েছি।ছোট্ট করে তিনটি ঘটনাই খুবই মানবিক এবং হৃদয় স্পর্শ কাতর। তবে একদম প্রথম ঘটনাটি সম্পর্কে শৈশবে আমাদেরও একটি মজার কাহিনী মনে পড়ল।বাড়িতে প্রত্যেক বছর বিড়ালের অনেকগুলো বাচ্চা হত।কয়েকদিনের মধ্যে বাচ্চাগুলো পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়াতো।সারাক্ষণ মিউ মিউ শব্দ আমার একেবারেই ভালো লাগত না। এরকম ক্ষেত্রে পাড়ার কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে চটের বস্তার মধ্যে ভরে অনেক দূরে ছেড়ে দিয়ে আসতাম।ওমা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেখতাম সবগুলো আবার ফিরে এসেছে আমাদের বাড়িতে।অবশ্য ওদের ওভাবে ফিরে আসাটা থেকে আমরা খুব মজা পেতাম।ছোটবেলায় অন্যতম একটা মজার খেলা ছিল চটের বস্তার মধ্যে বিড়াল ভরে দূরে কোথাও রেখে আসা।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১০
জুন বলেছেন: পদাতিক আপনার বিড়াল পার করার কাহিনি পড়ে মজাও পেলাম আবার খারাপ ও লাগছে। আগে আসলে খোলামেলা জায়গা নিয়ে সবার বাসা বাড়ি ছিল বিড়াল পালতে কোন সমস্যা হতো না। এখন কংক্রিটের খাচায় একটু অসম্ভবই মনে হয়। যদিও বিদেশে বেশিরভাগ বিড়ালই ট্রেনিং প্রাপ্ত।
আপনি সাতক্ষীরা পর্বের সাথে অন্যান্য লেখাও দিন যাতে আমরা পড়ার সুযোগ পাই। ধারাবাহিক লিখলে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকা আমার পক্ষে কষ্টকর। বুঝেনইতো প্রেশারের রোগী। তাই সবটা যখন কমপ্লিট করবেন তখন এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলবো।
ভালো থাকবেন সবসময়।
২৮| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৬
মোঃমোজাম হক বলেছেন: অনেকদিন পর আবারো এলাম।
আপা ভাল আছেনতো?
১৩ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
জুন বলেছেন: সালাম নিবেন মোজাম ভাই। কেমন আছেন আপনি ? আমি ভালো আছি এখন পর্যন্ত আপনাদের দোয়ায়। আপনি এখন কোথায়? ছেলে মেয়ে ভাবী? সবাই আবার একত্রিত হতে পেরেছেন কি? কি যে দুর্যোগ কবে যে সব আগের মত হবে চিন্তায় কিছু ভালো লাগে না। ভালো থাকবেন আর আমাদের জন্য ও দোয়া করবেন।
২৯| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: তিনটি গল্পই মর্মস্পর্শী ও বেদনাদায়ক ।
আমারো পশু পাখীর প্রতি অনেক দূর্বলতা আছে।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জুন বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন কতদিন হয় আপনি কিছুই লিখেন না। কেন? নাকি পাঠক থেকেই যাবেন আগামী দিনগুলোতেও?? মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়।
৩০| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:২৯
শায়মা বলেছেন: পোষা প্রাণীদের উপর মায়া! এই কষ্ট যে কি রকম কষ্ট তা বুঝানোর মত ভাষা নেইআসলে। কুকুরটা খুঁজছে। চোখের সামনে যেন দেখতে পেলাম। আমি হলে জীবনেও এটা করতাম না।
আজ আমারও মন খারাপের একটা অনু গল্প আছে। যেই গল্পটা কাউকে বলতে পারলে হয়তো মন হালকা হত। কিন্তু .....
১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
জুন বলেছেন: সত্যি শায়মা সেই কুকুরটা যে কি পাগলের মত দৌড়ে একবার এদিকে আরেকবার ওদিক করছিলো। কিন্ত ওরা হয়তো ওই পাশে আরো দুই তিনটা বিশাল শপিং মলের কোন একটা দিয়ে বের হয়ে চলে গিয়েছিল। খুবই কষ্ট লাগে এসব দেখলে। তোমার অনু গল্পটাও লিখে ফেলো। অপেক্ষায় রইলাম।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৩
অন্তরন্তর বলেছেন: জুন আপু তিনটি ঘটনাই খুব কষ্টকর। আপনার এই জীবজন্তুর প্রতি ভালবাসা দেখে আমার সবসময় মনে হয় সেই কথাটা জীবে দয়া করে যেজন সেজন সেবিছে ঈশ্বর। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে গভীরভাবে আবেগাপ্লুত হোলাম। দোয়া করবেন মনটা যেন এমনই থাকে সবসময়। আপনিও ভালো থাকুন আর সাবধানে।
৩২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১২
আসিফ মাহমুদ জীবন বলেছেন: আমার বাড়ির ঠিক পাশে কদিন আগে এক বিড়ালছানা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। মাকে বারবার অনুরোধ করলাম, বিড়ালটা রাখি মা? মা রাখতে দিলেন না। গতদিন দেখি সেই বিড়ালটার একটা চোখে কোনোভাবে ক্ষত হয়েছে। খুব খারাপ লেগেছিল দেখে, আপনার ঘটনা পড়ে সেটা ফের মনে পড়ল।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২
জুন বলেছেন: স্বাগত জানাই আমার ব্লগে আসিফ মাহমুদ জীবন। আসলে ইদানীং আমাদের জীবনযাত্রাও এত জটিল হয়ে পরেছে যে কেউ আর বাড়তি ঝামেলা নিতে চায় না। নাহলে আগে আমরা অনেকেই যখন খোলামেলা অনেক বড় জায়গায় নিয়ে বাসাতে থাকতাম তখন বাসায় বিড়াল, কুকুর, মুরগী, হাস, পাখি সব কিছু নিয়েই ছিল আমাদের জীবন। এখন এটা চিন্তা করাও যায় না।
আমারও সেদিন বিড়াল বাচ্চাটার জন্য অনেক মন খারাপ লেগেছিল যা এখনো মনে পরলে কষ্ট হয়।
আপনার একই মন্তব্য দুবার এসেছে তাই একটা মুছে দিলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৩| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: আপু আপনার মন্তব্যে আমিও অনুপ্রাণিত।
আমাদের বাসায় গাছ আছে তাই অনেক পাখি আসে, আমার বাবা ও আমি মাটির বাটিতে পানি দিয়ে রাখি ওরা এসে খেয়ে যায়, গোসল করে। দেখেই প্রাণটা ভরে যায়, মনে হয় আমাদের পানি দেয়ার অপেক্ষাতেই বোধহয় ছিল।
ধন্যবাদ।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১
জুন বলেছেন: ঢুকিচেপা পাখিদের প্রতি আপনি ও আপনার বাবার মমতার কথা জেনে খুব ভালো লাগলো। এখন তো বর্ষাকাল অনেক জায়গায় পানি আছে, তাই এখন পানির মনে হয় প্রয়োজন নেই। এখন একটু একটু করে খাবার দিতে পারেন। তবে এর কিছু ঝামেলাও হয়তো আপনাকে সহ্য করতে হবে। যেমন থালায় খাবার না থাকলে ওরা বাইরে থেকেই দরজা বরাবর উকি ঝুকি দিতে থাকে, জানালার কাচে টুকটুক করে ঠোঁট দিয়ে আঘাত করে অথবা বিশেষ করে শালিকগুলো ক ক করে মহা চিল্লাচিল্লি শুরু করে দেয়। আমার অবশ্য ভালোই লাগে। তাই যতই ব্যাস্ত থাকি তারপরও দৌড়ে তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসি
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে সাথে রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।
৩৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: বিদেশীদের গ্রামে নিয়ে আসবেন- হাঁস মুরগী, খরগোশ, ছাগল গরু ভেড়া সব দেখতে পাবে।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
জুন বলেছেন: হাস মুরগী গরু ভেড়া পোষ্য না রাতুল। এগুলো অর্থকরী পশু যার মাধ্যমে তুমি টাকা আয় করছো। কিন্ত পেট হলো শখের যার পেছনে তুমি উল্টো টাকা খরচ করছো। বিদেশে বিড়ালের জন্যই কত বড় বড় দোকান আছে। সেখানে তাদের সাজ সজ্জার নানা উপকরণ বোঝাই। বিড়ালের জন্য বিউটি পার্লার ও আছে কুকুর বিড়ালের খাবার দিয়ে গুরমেট মার্কেটে আলাদা বিশাল কর্নার ও আছে। সুতরাং ছাগল গরু দেখাইলে আমারে কি ভাববে আল্লাহ মালুম
৩৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০৯
সোহানী বলেছেন: ভালো আছি আপু তবে আবারো বিজি হয়ে পড়েছি। বন্দী জীবনে আছি সাথে আবার হোম অফিসের পাল্লায়। আর বাচ্চারাও সামারে স্পেশাল স্কুল নিয়েছে অনলাইনে তাই তাদেরকে নিয়েও বিজি।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
জুন বলেছেন: আসলে এই পরিস্থিতিতে সবার অবস্থাই করুন সোহানী। মনে হয় সবাই মিলে কাজ ভাগাভাগি করে করলে আর সমস্যা কি? কিন্ত আমার মনে হয় কাজ আরও বেশি। বিশেষ করে বাইরে থেকে খাবার আনাটা এখন অনেক ভয় লাগে। আগেতো এক বেলা ঘরে খেলে আরেকবেলা বাইরে। এখন সবই ঘরে
এত ব্যাস্ততার মাঝেও এসে মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৩৬| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: সোহানী বলেছেন: বন্দী জীবনে আছি সাথে আবার হোম অফিসের পাল্লায়।
হোম অফিস খুব যন্ত্রণার। সারাদিন জুম মিটিং। ওয়াশরুমে যাইতে হলে জুমে পারমিশন নিয়ে যাইতে হয়। অফিসে তো একটা স্বাধীনতা থাকে। জুমে সেটাও নেই।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
জুন বলেছেন:
৩৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
জুনাপু, আমার মনে হয় তারা কুকুরটিকে ছেড়ে যায়নি । হয়তো পরে ঠিকই ফিরে এসেছিলো বা কুকুরটা ঠিকই তাদের খুঁজে নিয়েছিলো । সচরাচর ওরাতো প্রানিদের সাথে এতো অমানবিক হয়না ।
আমার বাসায় প্রতিদিন ২৪/২৫ টা শুভ্র সুন্দর কাকাতুয়া আসতো । ঝাক ঝাক করে ।আমি তাদের খাবার দিতাম । প্রতিদিন রুটিন করে তারা চলে আসতো । একসময় এটা দেখতে বন্ধুরাও আসতো । সবাই লাইক করতো । একটা ছিল যেটা অন্যগুলোর চেয়ে একটু আলাদা রং, একটু উইক । ওটাকে মার্ক করে রেখেছিলাম বলেই বুঝতাম যে এরা সেইম গ্রুপটাই প্রতিদিন আসছে । ব্যালকনির সামনে অনেক বড় বড় গাছ ছিল । ওখানে বসতো । আমাকে দেখলেই বুঝতো খাবার দেবো সাথে সাথে বারান্দায় চলে আসতো । আমি অবাক হয়ে ভাবতাম কি করে চেনে অথবা বোঝে । একই সময় আসতো বিকেলের দিকে ।
একদিন কি হয়েছে । অনেক সকাল বেলায় , অফিস যাব রেডি হচ্ছি দেখি ঠুক ঠুক করে জানালার গ্লাসের মধ্যে একটা পাখী নক করছে । প্রথমত এটা অসময়, এই সময় কখনই আসেনা আর দল ছাড়া একটা একা বিচ্ছিন্ন । কি আর করা তাকে খাবার দিয়েই অফিস গেলাম । সেই বাসা ছেঁড়ে যখন চলে এসেছি খারাপ লেগেছিল । এখনো মিস করি ওদেরকে । ভীষণ সুন্দর !
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৩
জুন বলেছেন: মিরোরডল আপনার কাকাতুয়ার কাহিনী শুনে ভালোও লাগলো আবার তাদের ছেড়ে চলে গেছেন শুনে খারাপ ও লাগছে। এখন যারা সেই বাসায় থাকছে তারা কি আপনার মত আদর যত্ন করছে কি না কে জানে। আমি টিভিতে দেখেছিলাম অস্ট্রেলিয়ার এক বাসিন্দার বারান্দায় অজস্র টিয়া পাখি আসে। লাইন ধরে বসে তাদের জন্য রাখা খাবার খেয়ে যায়।
আমার এখানে আসে সব দেশি পাখি আসে, বুলবুলি শালিক চড়ুই টিয়া কাঠটোকরা আরও সব অন্য পাখি। খাবার না পেলে ওরাও জানালার কাচে এসে টুক টুক করে আওয়াজ করেছিল। তবে বেশিরভাগ সময়ই চেচামেচি করতে থাকে আর দরজার দিকে চেয়ে উঁকিঝুঁকি দিতে থাকে।
তবে কুকুরটার কথা আর জানি না। হ্যা এভাবে ছেড়ে ওরাতো কখনো যায় না।
ভালো থাকুন অনেক অনেক। আর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো সাথে শুভকামনা অনেক।
৩৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কুকুর-বিড়াল নিয়ে কাছাকাছি ধরনের ঘটনা আমার জীবনে ঘটেছিল। বহুদিন আগে। তবে, পাখি নিয়ে তেমন কোন ঘটনা নাই। আসলে আমার পশু-পাখি প্রেম আছে, তবে সেটা প্রকাশিত না তেমন একটা। কলেজে পড়ার সময়ে আমার একটা কাঠবিড়ালী ছিল। ব্যক্তিগত পোষ্য বলতে এই একটাই। তারও আগে, স্কুলের প্রথমদিকে বাড়িতে একটা টিয়াপাখি ছিল। সেটা অবশ্য ছিল পারিবারিক।
আপনার ঘটনাগুলি মন খারাপ করার মতোই। প্রথম দু‘টার ক্ষেত্রে আপনার কিছুই করার নাই। তবে, পাখিদেরটার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে। চাইলেই ওগুলোকে আপনি খাওয়াতে পারেন। বারান্দার বাইরে না দিয়ে ভিতরের ফ্লোরে একটা ঝুড়ির মধ্যে খাবারের পাত্রটা রেখে দেন। ওরা ওখান থেকেই খাবে। নো টেনশান!
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১
জুন বলেছেন: কাঠবিড়ালি পোষার কথা কখনোই শুনি নি। তবে আমার এক কাজিন আটলান্টা থাকে তার ব্যাক ইয়ার্ডে হরিণ, শেয়াল পাখী আর কাঠবিড়ালি আসে। কোনটাই পোষ্য নয় তবে ওর বাগানের ফল আর তরকারি খেয়ে শেষ করে। মাঝে মাঝে ছবি দেখি খুব ভালো লাগে। মনে হয় আমার কাছেও যদি এমন হরিন শেয়াল আসতো।
আমার পাখিদের খাবারের একটা ব্যবস্থা করেছি। বারান্দার যেই দিকে তাদের খাবার দিতাম তার অপজিটে দিচ্ছি কারন তার নীচে একটা চওড়া স্ল্যাব আছে। বারান্দায় ঢুকে খাবে না মনে হয় ভুয়া।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক একটি ধন্যবাদ আপনাকে
৩৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ্যা, কাঠবিড়ালি একটু আনইউজ্যুয়াল পোষ্য। তবে আমার ছিল, নাম ছিল কুট্টুস! আমার পড়ার টেবিলের একটা ড্রয়ার ছিল ওর ঘর।
এখানে আমাদের ব্যাক ইয়ার্ডেও রাতে শেয়াল, আর দিনে কাঠবিড়ালি আসে।
যাক, পাখীদের সমস্যার সমাধান হয়েছে। ভরন-পোষণ নিয়ে কথা, সেটা যেভাবেই হোক!
১৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯
জুন বলেছেন: তাহলেতো খুব আনন্দময় একটা সময় কাটে আপনার নতুন নতুন কুট্টুসদের নিয়ে। শেয়াল সম্পর্কে ছোট বেলায় যত গল্প পড়েছি তা ঠাকুর মার ঝুলি আর রাশিয়ান উপকথাই বলুন তার কোনটাতেই সে একটা সুবিধাজনক চরিত্র না
পাখি খাবার পাচ্ছে আর কি চাই কন! দেখেন সাত সক্কালে কাঠঠোকরা বাবাজী হাজির
৪০| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মন্তব্যের প্রতি উত্তরের প্রেক্ষিতে জানাই পায়ে ব্যথা না পেলে
অজু ভেঙ্গে গেলেও ঐ কিউট কিটিকে কোলে তুলে নিতাম।
আর উনিতো নেক্সট ডোর নেইবার পথে ঘাটে দেখা হলে
সৌজন্যতামুলক একটু হাই হ্যলুতো করতেই হয় ,এটা
আপনার বেলাতেও হয় বলেই মনে করি
শুভেচ্ছা রইল
১৭ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২
জুন বলেছেন: হ্যা হ্যা অবশ্যই হাই হ্যালো আমিও করতাম ডঃ এম এ আলী ভাই
একটু মজা করলাম আর কি। ভালো থাকুন অনেক।
আপনার পোস্ট দেখেছি কিন্ত সেটা পুরোটা পড়ে হৃদয়ংগম করে মন্তব্য করা সময়ের ব্যাপার। আর এখন তো হেল্পিং হ্যান্ড ছাড়াই দুই বুড়ো-বুড়ি বাড়ির সব কাজ করে চলেছি। তাই একটু সময় চেয়ে নিচ্ছি প্রিয় ব্লগার। ভালো থাকুন অনেক অনেক।
৪১| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
হা হা বুজেছিলাম মজা করেছেন ।
নাতি পুতির মুখ এখনো দেখেন নি ,বললেই হবে এখনই বুড়ো হয়ে গেছেন !
একটি ঘটনার কথা বলি । দেশ হতে এখানে এসেছিল পতির হাত ধরে এক যুবতী।
গিন্নীর সাথে পরিচয়ের সুত্র ধরে থাকার জায়গাসহ একটি ছোটখাট চাকুরীর ব্যবস্থা
করে দেয়া হয়েছিল তাকে। একদিন কাঁদতে কাঁদতে সে বাসায় এসে হাজির ।
জানতে চইলাম কি হয়েছিল কেন এই অসময়ে এখানে । বলল সে একই প্রোডাকসন
লাইনে থাকা তার এক বয়স্ক সহকর্মীকে আন্টি ও ওল্ড উমেন বলে ডেকেছিল সে
মমতা ভরে । কিন্তু তার একথা শুনে মহিলা রেগে মেগে নাকি আগুন হয়ে বলেছিল
তাকে , তার বয়স নাকিএখন মাত্র ষাট ,জীবনের অর্ধেকটা সময় নাকি এখনো তার
বাকী আছে। আর তাকেই নাকি সম্বোধন করেছিল বুড়ো বলে ।সেই মহিলা রেগে মেগে
লাইন ম্যনেজারের কাছে নালিশ করে আসে। লাইন ম্যনেজার নাকি তার কাছে
এসে বলে এক্ষুনী Go Home,বাকিটা চিঠি দিয়ে জানানো হবে । তার মানে কারো
পারসনাল ডিগনিটিতে আঘাত দেয়ার ফলে রেসিয়াল বিধানে তার বিরোদ্ধে প্রশাসনিক
ব্যবস্থা নেয়া হবে। শেষ পর্যন্ত সেখানে সে তার চাকুরীটা বাঁচাতে পারলনা।
দুর্ভাগ্যই বটে।
তাই বুড়ো হতে এখনো অনেক বছর বাকি আছে , আবার নীজকে এখনই বুড়ো
বললে জনতার আদালতে নালিশ দিব ঠুকে বুঝবেন ঠ্যালা কাকে বলে!!
যাহোক, সময় সুযোগ মতে পোষ্টটি দেখে কটি কথা বলে আসলেই হবে ।
আপনার মুল্যবান মতামত কামনা করি, কারণ ভাবনাটি নিয়ে এগিয়ে
যাওয়া হবে আরো কিছুটা দুরে ।
শুভেচ্ছা রইল
২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
জুন বলেছেন: হা হা হা আপনার সত্যি গল্প শুনে হাসতে হাসতে শেষ
অনেক বছর পশ্চিম বাংলার বিখ্যাত বাংলা সাহিত্যিক শংকরের এপার বাংলা ও বাংলা পড়ে জেনেছিলাম আপাত চাকচিক্যময় আমেরকান সমাজের ভেতরের অনেক করুন কাহিনী। সেখানে বুড়ো হতে অনেক ভয়।
অবশ্যই আপনার লেখায় আসছি। সময় চলে যাচ্ছে করোনার আতংক আর খবর শুনে। মাঝে মাঝে কেমন একটা হতাশা গ্রাস করে। কিছু ভালো লাগে না কিছু না। খুব ভালো থাকুন। আসছি শীঘ্রই।
৪২| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: তিনটাই মন খারাপ করা ঘটনা।
২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
জুন বলেছেন: মন খারাপ করা কিছু লিখতে চাই না এই মন খারাপের দিনে আমি তুমি আমরা।
লেখাটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশ মন কেমন করা গল্প !
২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২১
জুন বলেছেন: মন খারাপের সময় মন খারাপ গল্পই করলাম সবার সাথে মনিরা। ভালো আছেন তো? লেখাটি পড়ার জন্য অনেক খুশি হয়েছি।
৪৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৬
মা.হাসান বলেছেন: আমার এক সারের বাসার কুকুর দেখে এক অরিয়েন্টাল তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো- একে কবে খাচ্ছো?
গরু-ছাগল-মুরগি খাওয়া গেলে কুকুর-বিড়াল খাইতে আর সমস্যা কি? আপনি বললেন পেট হল শখেরর জিনিস, অর্থকর বিষয় না; কিন্তু অসহায় জিব কে রাস্তায় ফেলার চেয়ে কেটে খাওয়া ভালো।
আর মানুষ এখন নিজের বয়স্ক বাব-মাকে রাস্তায় ফেলে দেয়, সদ্যজাত বাচ্চাকে ডাস্টবিনে ফেলে দেয় তো কুকুর-বিড়ালের কি দশা হতে পারে ভাবার দরকার নেই।
পাখির বিকল্প ব্যবস্থা হয়েছে এটা আশার কথা।
১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০৮
জুন বলেছেন: মা হাসান কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো বুঝতে পারতেছিনা । একটা চাইলাম তিনটা পাইলাম
একলাফে নব্বই এর ঘরে
বিড়াল কুকুর খাওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারি না । চীন সফরে গিয়ে এক টুকরা কাগজে কুকুর আর মুরগীর ছবি একে নিয়ে গেছিলাম । খাবার দোকানে দেখায় বলতাম এইটা না এইটা আমার ছেলে ছিল সাথে সে মাংস ছাড়া অন্য কিছু খেতে চায় না এখনো । নইলে আমরা ভেজই হইতাম
গতকাল পেপারে দেখলাম একটা বুড়ো লোককে কারা যেন রাস্তায় ফেলে গেছে পাশে ব্যাগের ভেতত কলা পাউরুটি আর ১০০ টাকা । এত অমানুষ কেমনে হয় ?
হ্যা পাখিরা আমার খুউব হ্যাপী কিন্ত টিয়াগুলো কেন জানি আসে না
আবারও শুভেচ্ছা রইলো মাহা
৪৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১০
মা.হাসান বলেছেন: ৩১ জুলাই তারিখে বলেছিেন দুই দিন পরে নন অ্যাটাকিঙ মুডের ছবির পোস্ট দিবেন। দেখতেছি না। ঐটাও কি সুমন করের পোস্টের মতো মুছে গেলো?
আপনার ঝিনুক চকলেটে চলবে না , হোরাসের এক ডজন কবচ লাগবে ।
মফিজ ভাইকেও ব্লগে দেখি না। উনি কি খালি সুমনা ভাবির বাসায় দাওয়াত খাওয়া নিয়েই ব্যস্ত?
১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
জুন বলেছেন: কাভা বলেছেন ঃ আপু, নির্বাচিত পাতা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে, তাই আপাতত এই পোস্টটি সিলেক্ট হচ্ছে না। সমস্যাটি সমাধান হওয়া মাত্রই এটা নির্বাচিত পাতায় যাবে এবং এই সময়ের ভালো পোস্টগুলো নিয়ে একটা আলাদা পোস্ট আসবে।
পোস্ট লিখছি বাট এই অপেক্ষায় আছি মাহা
না ঝিনুক চকলেট ভালা পাই না মফিজরে বলছি
হোরাসের চক্ষু আমার আছে সেদিন দেখলাম ।
আরেকবার আসা ও খোজ খবর নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
৪৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৩
মা.হাসান বলেছেন: আমার চির যৌবন ধরিয়া রাখিবার রহস্য পোস্টে (আপনার পড়া, কাজেই দাওয়াত দিলাম না, তাহা ছাড়া, চকলেট জোগাড় না করিয়া দাওয়াত দেয়া ভদ্রতার লক্ষন না) আগেই বলিয়াছি, ব্লগের সকল আপুদের বয়স ১৮ বছর, এক দিন ও বেশি না। কাজেই বয়স বাড়াইবার অপচেষ্টা করিবেন না।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২২
জুন বলেছেন: ঠিকই বলছেন মাহা, তাই বয়স বাড়াইবার অপচেষ্টা করতাছি না |
চকলেট নিয়া জলদি আসেন। আপনার ট্রাং ভ্রমণের গল্প আর শুনাইলেন্না দেখলাম।
ভুয়া আবার একটা আউলা ঝাউলা পোস্ট দিয়া মানুষের মাথা নষ্ট করতেছে সাথে কিছু পোলাপাইন্না ধাধা যার উত্তর আমি দিছি। আপনে আমার মন্তব্য পড়লে সহজেই উত্তর দিতে পারবেন তার জন্য আমাকে আগাম ধন্যবাদ দেন
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তিনবার করে এসেছেন। ভালো থাকুন আর সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশায়।
৪৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৩
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: প্রথম ঘটনাটি বুকে বাজলো বেশী, মানুষগুলো কুকুরটার সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি করে ওকে অসহায়ের মত ডিচ করলো বলে। তৃতীয় ঘটনাটি আপনার জন্যে বেশী কষ্টদায়ক হওয়ার কথা, আপনারই পোষা পাখির অসহায়ত্ব নিয়ে লিখেছেন বলে।
পশু-পাখি পছন্দ করলেও আমি কোনদিন পেট এনিমেল নিতে পারি নি এই ভয়েই যে - ব্যস্ত জীবনে হয়তো ওর হক ঠিকমত আদায় করতে পারবো না। বোবা একটি প্রাণী আমার অবহেলায় কষ্ট পাবে।
ভালো থাকবেন ম্যাডাম, শুভকামনা আপনার জন্যে। : )
২০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
জুন বলেছেন: প্রথম ঘটনাটি আমাদেরও অনেক মন খারাপ করে দিয়েছিল। এখনো সেই অসহায় কুকুরটির দৌড়াদৌড়ির কথা মনে হলে খারাপ লাগে। পেটা ছিল আমাদের ছোট বেলার জীবনে যেখানে অনেকখানি জায়গা নিয়ে বসতবাড়ি ছিল। এখন এই এপার্টমেন্ট লাইফে আর এসব চিন্তা করি না। তবে পাখি গুলো আমি খাচায় পুষি না। ওরা মুক্ত স্বাধীন। আমি বারান্দার গ্রীলের বাইরে ডাল বেধে তার উপর প্লেট দিয়ে তাতে খাবার আর পানি দেই। ওরা খেয়েদেয়ে চলে যায়। না থাকলে ওইখানে বসেই তীব্র গলায় চেচাতে থাকে
অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম। নাকি আসেন, আমি হয়তো খেয়াল করিনি। পোস্টে আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বিড়াল পুষেছি আমরা বেশ কয়েকবছর, মূলত আমার বোনের ভালোবাসায়। আর আমার আছে ক্যাপ্টেন নিমো, পোষা কুকুর, একদম ছোট অবস্থায় আমি ওকে নিয়ে আসছিলাম। কুকুর নিয়ে ট্যাবু আছে অনেক, জানেন তো। সেইগুলো ফেস করে ক্যাপ্টেন নিমো এখন পরিবারের সদস্য!
যে তিনটা গল্প শেয়ার করলেন, এরকম কত ঘটনাই ঘটছে ক্রমাগত চারপাশে, অল্প কিছু মানুষ হৃদয়ের চোখ দিয়ে দেখে আর কষ্ট পায়।
জগতের সকল প্রানী সুখি হোক!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪২
জুন বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ ,
সেই ২রা সেপ্টেম্বর মন্তব্য করেছেন আর কিনা দেখলাম আজ । অত্যন্ত দুঃখিত আমি । জানেনইতো নোটিফিকেশন আসে না ।
বিড়াল আমরাও ছোটবেলায় পুষতাম যখন খোলামেলা আংগিনা সহ বাড়ি ছিল । এখন এই ফ্ল্যাট কালচারে পেট পোষা বেশ কষ্টকর ।
আপনার নিমো সুখে থাকুক আপনাদের আদরে যতনে এই কামনাই করি । জগতের সকল প্রান সুখি হোক আমারও প্রত্যাশা ।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
৪৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১২
নীল-দর্পণ বলেছেন: পাখি কাহিনীটা পড়ে খুব খারাপ লাগল। এই প্রতিবেশীর অভিযোগের কারনে আমার খুব শখের খরগোশ জোড়া বিদায় করেছেন আব্বা!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭
জুন বলেছেন: আজ সকালে দেখি পর্দার ফাক দিয়ে দুটো টিয়ে বসে আছে ।
কি যে ভালোলাগলো দেখে নীল দর্পন । অন্য সাইডে খাবার ব্যবস্থা করার পর এই নিয়ে মোট দুদিন আসলো তারা একমাসের মধ্যে
তবে অন্য পাখিরা আসে প্রতিদিনই ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । অনেক অনেকদিন পর আসলেও আমাকে স্মরণ করেন দেখে খুব ভালোলাগছে ।
শুভকামনা রইলো
৫০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
নীল-দর্পণ বলেছেন: কী সুন্দর পাখি দু'টো! ধরে আদর করতে মনে চায়। অনেক দিন পরে পরে আসলেও চেষ্টা করি আপনি সহ আরো কয়েকজন আছেন তাদের ব্লগে এসে দেখে যেতে । যখন দেখি আগের মতই লিখছেন খুব ভালো লাগে। আবার আসার তাগাদা বোধ করি। আল্লাহ সুস্থ রাখুন, ভালো রাখুন সবাইকে
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
জুন বলেছেন: আপনিও অনেক ভালো থাকুন নীল দর্পন। পাখি দুটো আসলেই সুন্দর এত সবুজ আর সতেজ যে হাত দিয়ে ছুতে ইচ্ছে করে। কিন্ত চেষ্টা করি না, ভয় পাবে হয়তো আর আসবে না
৫১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৬
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
আমার নিজে একটি বিড়াল পুষি।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
জুন বলেছেন: এটা কি মেনকুন দফাদার ? কি সুন্দর । আমার খুব শখ কিন্ত অনেক সমস্যা
৫২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৮
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
জুন বলেছেন: আপনার মত নিজে পুষতে পারি না তাই ছবি দেখেই শান্তি কলিমুদ্দি
৫৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: এইটা পার্সিয়ান জাতের একটি বিড়াল আমি ডাকি গুমতিন বলে। বয়স ৭ হলে ও আমার সাথে আজকে ৩ বছর।
কুকুর-বিড়ালের নিষ্পাপ ভালবাসা ওদেরকে না আনলে বুঝা সম্ভব না। আমি প্রতিদিন সকালে যখন কাজে যাই, সে নিয়ম করে এসে আমার মাথার চুল নিয়ে টানাটানি করে এসে আমাকে জাগিয়ে দেয়। আবার কাজ শেষে আসার পর দরজায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।
“মিউ মিউ” করে আমার কাছে এসে মাথা ঘষে।
আমি নিজের ছেলের মত করে পালি। খাওয়া-দাওয়া চিকিৎসা কোন কিছুর কমতি রাখি না।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮
জুন বলেছেন: গুমতিনের জন্য অনেক অনেক আদর রইলো । ভারী মিষ্টি বেড়াল গুমতিন । আমি ব্যংককে দেখি বিড়ালের জন্য কত শত জিনিস যে আছে । মাঝে মাঝে মালকিনের কোলে চেপে মলে আসে । তাদের চোখে মুখে এমন গর্বিত ভাব যা দেখার মত ।
বিড়াল নিয়ে আমার একটি লেখা দিলাম, পড়তে পারেন সত্যি ঘটনা কিন্ত । "তুং তুং " এক মুটু বিড়ালের উপাখ্যান
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৮
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: অত্যন্ত বেদনাদায়ক তিনটি ঘটনা..।