নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বর্নালী শোভায় শোভিত ঐতিহ্যবাহী লোহা প্রাসাত মন্দির
গতকালের সুর্যকরোজ্জ্বল আকাশটা আজ মেঘের ভারে টইটম্বুর, মাঝে মাঝে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির সাথে বাতাসে একটা ঠান্ডা শীতল ভাব । থাইল্যান্ডর বছর জুড়ে চলতে থাকা তাপদাহের মাঝে আজ যেন এক প্রশান্তিময় দিন। এমন দিনে ঘরে বসে থাকতে কি ভালো লাগে ! সহ পর্যটককে বললাম,
"কতদিন ধরে ব্যংককে আছি, দেশ বিদেশের কত যাদুঘরই তো দেখলাম কিন্ত আজ পর্যন্ত এদেশের জাতীয় যাদুঘরটি দেখাই হলো না, চলো না আজ দেখে আসি"। ভদ্রলোক কালিদাসের মত মোটেই রোমান্টিক নন যে মেঘ দেখে পাগল হয়ে আমার সাথে রওনা দিবে। টিভি থেকে মুখ না সরিয়েই সটান জানিয়ে দিল যাদুঘর দেখতে হলে যেই পরিমান হাটতে হবে সেই পরিমান এনার্জি বা শখ কোনটাই তার নেই । কারন আগের দিনই আমি নাকি তাকে কোন শপিং এরিয়াতে নিয়ে গিয়ে প্রচুর হাটিয়েছি। কি আর করা শেষ পর্যন্ত আমি একা একাই রওনা দিলাম।
নান্দনিক নকশায় তৈরী সেতু
সকাল সকাল বাসার কাছের বোট পিয়ের থেকে বোটে উঠে সোজা যাদুঘরের সবচেয়ে কাছের পিয়ের ফানফা লিলার্ড এর টিকিট কাটলাম ১৭ বাথ দিয়ে। হাল্কা বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে সানসেপের (খালে) মাঝ বরাবর নৌকা ছুটছে তীব্র গতিতে। এ ঘাট ও ঘাট করতে করতে একসময় ফানফা এসে পৌছালাম। এখানে নেমে কয়েকটি সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই ছোট একটা নান্দনিক নকশায় তৈরী লোহার ব্রীজ আর সেই ব্রীজ পার হলেই রাজপুরীতে যাওয়ার বিখ্যাত রাজপথ Ratchadamnoen Avenue । সুপ্রশ্বস্ত রাস্তার দুপাশে বাধানো ফুটপাথ জুড়ে যে ছায়াময় গাছ তারই ছায়ায় ধীরে ধীরে হেটে যাচ্ছি আমি। হাতের বায়ে রাজা নংক্লাও এর অনুরোধে ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দে নির্মিত ব্যাতিক্রমী নকশায় তৈরী বিখ্যাত লোহা প্রাসাত যাকে নিয়ে আমার একটি পোষ্ট লেখার ইচ্ছে আছে । আরেকটু এগুতেই ডানে শ্বেতাংগ পর্যটকদের স্বর্গ খাওসান রোড। এর চেহারায় অনেকে কলকাতার সদর স্ট্রীটকে খুজে পাবেন।
ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে উঠে আসা কোহ সামুই মেরিন পার্ক
ক্যালেন্ডারের পাতায় ছাপানো ছবির মতই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য ঘেরা থাইল্যান্ড দেশটি, ফিরোজা থেকে নীল,নীল থেকে গভীর নীলাভ আদিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র রাশি যার বুকে মাথা উচু করে আছে অসংখ্য দ্বীপমালা। ভঙ্গুর পাহাড়ের ফাকে ফাকে সাদা সফেদ বালুকাবেলা, আর গাঢ় সবুজ পাহাড়। প্রকৃতির এই অসাধারন রূপকে অত্যন্ত যত্ন আর সচেতনতার সাথে লালন করা ছাড়াও ঐতিহ্য প্রিয় থাইরা তাদের ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে একাধিক সমৃদ্ধ যাদুঘরের মাধ্যমে। এর মাঝে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাংকক জাতীয় যাদুঘর যা দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার মাঝে সবচেয়ে বৃহত্তম। ফি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটককের এক বিরাট অংশকে চুম্বকের মত টেনে আনে এই যাদুঘর ।
Ratchadamnoen Avenue র ফুটপাথ ধরে এগিয়ে চলেছি
যাদুঘরটি দেখতে আসার আগেই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা প্রাথমিক ধারনা নিয়েছিলাম যা আমার অভ্যাস। এর ফলে যা দেখতে যাচ্ছি তা কিছুটা ভালোভাবে বুঝতে পারা যায়। আধুনিক থাইল্যন্ডের ইতিহাসে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন চক্রী বংশের পঞ্চম রামা রাজা চুলালংকর্ন সম্পর্কে আমার জানাশোনা ছিল আগে থেকেই । তার প্রগাঢ় দেশপ্রেম ও দেশকে আধুনিকীকরনের জন্য অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন আর তারই একটি হচ্ছে এই যাদুঘরটি নির্মান। তাঁর পিতা গ্রেট কিং মংকুটের (চতুর্থ রামা) ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল থাই ইতিহাস ও শিল্পের অনেক দুস্প্রাপ্য ও দুর্লভ শিল্পকর্ম। প্রধানত সেগুলো সংরক্ষন ও জাতির সামনে শ্যামদেশের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার উদ্দ্যেশ্য নিয়েই রাজা চুলালংকর্ন ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দে এই যাদুঘরটি নির্মান করেন। ব্যাংককের এই যাদুঘর থাইল্যান্ডের জাতীয় যাদুঘরের অন্যতম প্রধান শাখা ।
পেছনেই থাই রাজকীয় প্রাসাদ
প্রথম দিকে যাদুঘরটি গ্রান্ড প্যালেসের ভেতরের দিকে ছোট অবস্থায় থাকলেও পরে পঞ্চম রামা একে সামনের প্রাসাদে (ফ্রন্ট প্যালেস) নিয়ে আসেন যা ছিল রাজা মংকুটের ভাই পিনক্লাও এর রাজকীয় প্রাসাদ। সে সময়কার নিয়ম অনুযায়ী পিনক্লাও ছিলেন রাজা মংকুটের সহরাজা। পরে চুলালংকর্ন এই সহরাজার প্রথাটি বাতিল করে সন্তান বা বংশধরের মাধ্যমে উত্তরাধিকারী প্রথার প্রচলন করেন সে আরেক ইতিহাস।
ব্যাংকক জাতীয় যাদুঘর তোরন
পরিচিত রাস্তার ফুটপাথ দিয়ে হেটে হেটে ইতিহাসের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া আমি অবশেষে হাজির হোলাম জাতীয় যাদুঘরে্র তোরনের সামনে। যার অদুরেই রয়েছে থাই রাজার আবাসস্থল গ্র্যান্ড প্যালেস। টিকিট কাটতে লাইনে দাড়িয়েছি, ছোট জানালার কাছে মুখ এনে ভাংগা ভাংগা ইংরেজীতে ভদ্রলোক আমাকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানিয়ে মাথা ঝুকিয়ে জানালো সংস্কার কাজের জন্য তাদের কিছু কিছু প্যাভিলিয়ন বা স্থাপনা বন্ধ আছে, আমি কি তারপরও তাদের যাদুঘর দেখতে রাজী কি না? কারন টিকিটের দাম কমানো সম্ভব না। কিন্ত আমি আজ দেখবোই তাই মাথাপিছু ২০০ বাথ বাংলাদেশি টাকায় ৬০০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করলাম যাদুঘরের আংগিনায়।
প্রথমেই নজর কাড়বে চারিদিক খোলা কালো আর সোনলী রঙ্গে অপরূপ কারুকাজ করা একেবারে ট্রাডিশনাল নকশায় তৈরী প্যাভিলয়ন সালা লং সং ।
বর্তমানে এই যাদুঘরের বিভিন্ন প্যাভিলিয়নের গ্যালারীতে সাজানো রয়েছে এই অঞ্চলের নিওলিথিক যুগের মানুষের হাতে তৈরী বিভিন্ন দুস্প্রাপ্য শিল্পকর্ম। প্রদর্শিত আছে সুকোথাই রাজ্যের বিখ্যাত রাজা যিনি থাই অক্ষরের জনক তথা স্রষ্টা সেই মহান রামখামহ্যাংএর থাই অক্ষরে লেখা বিখ্যাত শিলালিপিটি যা জাতিসংঘের সন্মানসুচক সনদপ্রাপ্ত। এই যাদুঘরে প্রদর্শিত শিল্পকর্মগুলোর উপর বিশেষজ্ঞরা গবেষনা করে দেখেছেন এগুলো সেই প্রাচীন শ্যামদেশের দিভারাভতী, সুকোথাই, আয়ুথিয়া ও প্রাচীন সুমাত্রার শ্রীবিজয়া রাজত্বকালের দুস্প্রাপ্য সব শিল্পসম্ভার। গৌতম বুদ্ধের জীবনের নানান ঘটনাকে উপজীব্য করে এশিয়ার এই ভুভাগে যে নতুন এক শিল্পকর্মের উদ্ভব হয়েছিল তার এক বিশাল সংগ্রহ রয়েছে এই যাদুঘরে। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ভারতের গান্ধারা শিল্প, চীনের তাং, ভিয়েতনামের চাম, ইন্দোনেশিয়ার জাভার বরবোদুর আর ক্যাম্বোডিয়ার খেমার শিল্পের নাম উল্লেখযোগ্য।
আগামী পর্বে সমাপ্তি ।
সমস্ত ছবি আমার ক্যামেরা আর মোবাইলে তোলা
শেষ পর্ব
ব্যাংকক জাতীয় যাদুঘর, থাই ইতিহাস আর ঐতিহ্যের মিলনমেলা ( শেষ পর্ব)
২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১০
জুন বলেছেন: হা হা হা ভালই বলেছেন ভাই ঠাকুর মাহমুদ ১৯৫২
আসলে আমি অত্যন্ত দুঃখিত । কাজের ফাকে ফাকে এসে ঢু মারি তাই হয়তো অনেক লেখাই বাদ পরে যায় ।
সেই জন্যই কি আমার পোস্টটি পড়েন নি ঠাকুর মাহমুদ :-*
তারপর ও মনে করে আসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে
২| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ ক'দিন পরে আপনার পোষ্ট পেলাম।
আপনার পোষ্ট মানেই অন্যরকম কিছু- এটাও তার ব্যাতিক্রম নয়
ছবির সাথে এমন নিখুত বর্ণনা শুধু আপনার কলমেই মানায়।
ভাল থাকবেন
২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১২
জুন বলেছেন: অনেক অনেকদিন পর আপনাকে দেখে কিযে ভালোলাগলো শেরজা তপন ।
লেখাটি নিয়ে মন খুলে প্রশংসা করেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০১
ঘরহীন বলেছেন: দারুন পোস্ট। ছবিগুলোও চমৎকার।
২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৩
জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে ঘরহীন , মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আহা কত কিছুই দেখা হয় নাই আমার।
২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৭
জুন বলেছেন: সারা জীবনই তো পরে আছে পাগলা জগাই । অনেক কিছুই দেখা হবে বৈকি
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম জাদুঘর ও তার উৎপত্তির মূলে রাজা চতুর্থ লামা বা তার পুত্র চুলালংকর্নের স্থাপত্য কীর্তির পরিচয় পেলাম। সুন্দর ছবিগুলোর সাথে দারুণ ভাষ্যে আমরাও আপনার সঙ্গে ছয়শো টাকার প্রবেশ মূল্যে ঘুরে এলাম।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২২
জুন বলেছেন: বলেন কি আপনি বিনা পয়সায় ঘুরলেন পদাতিক ভালোই, আমার একজন প্রিয় ব্লগার যে আমার সাথে সাথে ভুত হয়ে সব কিছু দেখে নিলো।
একবার কলকাতা মিউজিয়াম দেখার সময় ভাবলাম ভারতীয় সেজে স্থানীয় দামে টিকেট কাটবো। কিন্ত আমার গলার টোন শুনেই সে ধরে ফেল্লো। দুটোর বদলে দুইটা বলেছিলাম
আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ পদাতিক। সাথে থাকুন আগামী অর্থাৎ শেষ পর্বেও। তবে সেখানে মুলত ছবি থাকবে হয়তো বেশি।
সকালের শুভেচ্ছা রইলো।
৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪২
শাহ আজিজ বলেছেন: এত দফা ব্যাংককের ওপর দিয়ে যাওয়া এবং রাতটুকু থাকা কিন্তু ঘুরে দেখা হয়নি কখনো । থাইল্যান্ড বৌদ্ধ ও হিন্দু সমাজের শৈল্পিক মিশ্রনে গড়ে ওঠা এলাকা । এখানে চীনা এবং ভারতীয় মন্দির কলা এমন গভীরভাবে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে যা ঐ দুই দেশে তেমন ফোটেনি । থাই রাজন্য আর জনতা সুষম শিল্পে আস্থাবান । এক ফুল দিয়ে পৃথিবী মাতিয়েছে ওরা । একসময় যাব কিছুকাল থাকতে আর দেখতে ।
লেখার জন্য মুগ্ধতা ।
২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৯
জুন বলেছেন: আমারও এমন হয় অনেক কাছে থেকেও অনেক কিছু দেখা বাকি রয়ে যায় । আসলে ওরা যে কত শৈল্পিক আর পরিচ্ছন্ন তা তাদের প্যাকেজিং দেখলেই বোঝা যায় শাহ আজিজ । অর্কিডের প্রসারে একটা বড় ভুমিকা ছিল রাজা ভুমিবলের স্ত্রী রানী সিরিকিতের ।
লেখার প্রশংসা পেয়ে খুবই ভালোলাগলো । আগামী পর্বেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
ছবি গুলোও ভালো লাগলো।
২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৩
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো রাজীব নুর । আগামী পর্বেও সাথে থাকবেন আশা করছি
৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বুবু, আমার পোস্টে আপনাকে পাচ্ছিনা সেই ১৯৫২ সন থেকে!
আমারও একই কথা।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১১
জুন বলেছেন: রাজীব নুর,
এই করোনাকালে জুতা সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ সব কাজ নিজেদেরই করতে হচ্ছে কারো সাহায্য ছাড়া। ইচ্ছে থাকা সত্বেও আগের মত অখণ্ড অবসর সময় বের করতে পারছি না
তাই ফাকে ফোকরে উকি ঝুকি দেই। দু একটা মন্তব্য করে যাই।
সবার পোস্টেই যেতে চাই কিন্ত অসুমার কাজ আমাকে দেয় না অবসর
ভালো থাকুন শীঘ্রই যাচ্ছি। ভালো থাকুন অনেক অনেক।
৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩৮
মা.হাসান বলেছেন: আপনার সহ পর্যটকটি যখন যেতে রাজি হলেন না, ওনাকে রান্না-বান্না, ঘর মোছার দায়িত্ব দিয়ে যেতে পারতেন।
টিকেটের দাম কমানো যাবে না শুনে কষ্ট পেলাম। দামাদামি করেন নি? টিকেট না কেটে, গার্ডের সাথে মৌখিক চুক্তি করে কম খরচে যাওয়ার সুযোগ আছে কি? বাংলাদেশে কোথাও কোথাও কিন্তু এরকম করা যায়।
লোহা প্রাসাত নিয়ে লেখা দিবেন এই বিজ্ঞাপন ভালো লাগলো।
রাজা তো শুনেছিলাম ২০ জন রানী ( ) নিয়ে জার্মানির কোন হোটেলে, রাজ প্রাসাদ কি এখন খালি?
সহ রাজার প্রথা কি ছিলো, কবে বাতিল হলো এই বিষয়ে এবং থাই রাজ বংশের ইতিহাসের বিষয়ে পোস্ট দেয়ার অনুরোধ থাকলো।
আগে জানতাম শুধু বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক নেতাদেরকেই জাতি সংঘ সম্মাননা সূচক দেয়। এখন দেখছি শিলালিপিরাও এসব স্মারক পায়। এই স্মারক পাওয়ার জন্য থাই সরকার কত বাথ খরচ করেছিলো?
ছবি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
যাহার অ্যাটাকিঙ মুডের ছবি দেয় তাহাদের উচিৎ আপনার পোস্টের ছবি থেকে শালিনতা শিক্ষা নেয়া। আপসোস, কেহ কেহ কিছু হইতেই শিক্ষা নেয় না
আপনার সহ পর্যটক সম্ভবত সাহস বৃদ্ধির জন্য কোনো ট্যাবলেট খাচ্ছেন/খেয়েছিলেন। নাম জানলে আমিও ট্রাই করতাম।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য দেখে বুঝলাম পোস্টটি আপনি ভালোভাবেই পড়েছেন মাহা ( ধন্যবাদ মিররডলকে )
এতে আমি যারপরনাই খুশী হোলাম সহ পর্যটক অনেক চালাক সে কি মনে করেছেন ঘর ঝাড়া , রান্না বান্না এগুলো করবে ? আসলে ঘর বাড়ি ঝাড়া পোছার জন্য আমাদের রুম সার্ভিস আছে সপ্তাহে ২ দিন । তারা আগা পাস্তলা পরিস্কার করে দিয়ে যায় । আর রান্না খুব কম করি । পাশের মলেই ফুড কোর্টেই বেশি খাওয়া পরে । এছাড়া চেইন শপ , আর ইন্ডিয়ান রেস্তোরাতো আছেই ।
এরকম ফুডকোর্টে যা খাবেন আপনার বাজেটেই থাকবে, যেমন দুই তরকারী ছোট এক বাটি ভাত ৫০ বাথ । তরকারীর পরিমান বাড়লে দামও বাড়ে ১০ বাথ করে।
না দামাদামি করতে পারি নাই , আপনি জানেন ই তো তারা খুব কম কথা বলে। ফাও প্যাচাল পারে না। আগের রাজা ভুমিবল কোন প্রজেক্ট দেখতে গিয়েছিল। তার এডভাইস্যার উচ্চপদস্থ আমলা তারে পট পট কইরা অনেক কিছু কইতাছিলো । তখন রাজা কইছে "মুখ থাকলেই যে খালি কথা কইবা তা না। মনের কথা আগে মাথায় নিবা , মাথায় নিয়া চিন্তা কইরা তারপর মুখে আনবা" । এইটা জানার পর পুরা থাইবাসী স্বল্পভাষী হয়া গেছে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন তারা উচু স্বরে বা অযথা কেউ কথা বলে না।
লোহা প্রাসাতের কাহিনিটা বেশ ইন্টারেস্টিং । ২০ রানী না , যাদের ছবি দিছে সেখানে আমি তার দুই মেয়ে শ্রী ভান্নাভারি নারী রত্না আর বাজ রক্তিয়াভার ছবিও দেখছি । তবে ব্যংককের প্রাসাদ খালি থাকে না । এখানে বর্তমান রাজার মা বোন আর তার মেয়ে ছাড়াও রাজপরিবারের অনেক সদস্য থাকে ।
সহরাজার প্রথা রাজা চুলালঙ্গকর্নই বাতিল করেন তার রাজত্বকালেই ।
রামখামহ্যাং ছিলেন থাই অক্ষরের স্রষ্টা । সুতরাং তার খোদাই করা লিপিকে সনদ দেয়া কোন ব্যাপার হইলো । কত দেশের মানুষ ভুয়া সনদ বিক্রি করে
ছবিগুলো সুন্দর বলার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে । না ভাই আমার সহ পর্যটক যথেষ্ট সাহসী । ঔষধের নাম জানলে আমি খাইতাম
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড তাই সবার শিক্ষা নেয়া উচিত সবার কাছ থেকে
এত সুন্দর ও বিস্তারিত এক মন্তব্যের জন্য আরেকদফা থ্যাংকিউ । আর কিছু জানার থাকলে আইসা জিজ্ঞাস করতে পারেন
পরের পর্বেও সাথে থাইকেন ।
১০| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আসলে তারা তাদের দেশকে ভালোবাসেন। আর তাই তাদের দেশ সুন্দর। আমরা শুধু মুখের কথা বলি দেশপ্রেম হেনতেন কাজের বেলায় লবডঙ্কা। আমাদের মাঝে দেশপ্রেম থাকলে আমাদের দেশও সুন্দর হতো। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন্ রাস্তাঘাট হতো। ধুলোবালি কাদায় একাকার রাস্তার দেশ হতো না বাংলাদেশ। প্রবাসের সুন্দর সুন্দর ছবি দেখলে মন খারাপ লাগে।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮
জুন বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ আমি মাঝে মাঝে ব্যাংকক শহরেই বাসে করে ঘুরি । বেশিরভাগ বাস চালকদের মাঝে একটা জিনিস খেয়াল করেছি যে তারা সিগনালে থামা মাত্রই ছোট একটা ভেজা তোয়ালে দিয়ে নিজের হাত ছাড়াও স্টিয়ারিং সহ তার নাগালের মাঝে যা আছে তা বার বার মুছে নিচ্ছে । আসলে এই পরিচ্ছন্নতা তাদের জাতিগত । ছেড়া ফাটা জামাটাও রিফু করে ধুয়ে ইস্ত্রী করে পরা । নোংরা আউলা ঝাউলা কোন লোক খুব কমই দেখি । ওরা যে খুব উন্নত দেশ তাও না । তারপর ও তাদের আচার ব্যাবহার অনেক অন্যরকম ।
এখানে মানুষের শব্দ করে থুতু ফেলা আর নাক ঝাড়াটাই অসহ্য লাগে ।
আরেকবার বুবুর বাড়ী আসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ঠাকুর ভাই । আগামী পর্বেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় রইলাম ।
১১| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বহুদিন পর আবার ভ্রমন
সাথে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর দারুন ছবি বর্ণনা সমেত
বরাবরের মতোই ভাললাগা আর অপেক্ষা . . . .
+++
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৭
জুন বলেছেন: পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভৃগু। সব সময় সাথে থেকে উৎসাহিত করছেন এটা কিন্তু বিশাল ব্যাপার। আগামী পর্বেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা রইলো
১২| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: জাতীয় জাদুঘরের যে সরকারী কর্মকর্তা এসে আপনাকে প্রশ্ন করলো - কিছু অংশ সংস্কারের জন্যে বন্ধ থাকা সত্যেও আপনারা আজ জাদুঘর ভ্রমণ করবেন , কি না - এ অংশটা ভিন্নভাবে মনঃপীড়ার উদ্রেক করলো । সরকারী চাকুরীজীবীদের এহেন ভদ্রতা আমাদের দেশে খুবই বিরল।
সম্প্রতি জওহরলাল নেহরুর গ্লিম্পস অফ ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি বইটি পড়ছি। খ্রিস্টপূর্ব সময়কাল থেকেই দক্ষিণ ভারতের উপনিবেশ ছিল ইন্দোচিন, শ্যামদেশ, কম্বোজ রাজ্য (বর্তমানের কম্বোডিয়া) - ইত্যাদি দেশগুলো। তাই ওদের স্থাপত্যে এবং সংস্কৃতিতে আদি ভারতের ছাপ দেখা যায়। রাজপ্রাসাদের সামনের হস্তিমূর্তি দেখে তাই মনে হল।
শুভেচ্ছা নেবেন ম্যাডাম। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকবো। : )
২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
জুন বলেছেন: Overall Thailand by culture and religion was a part of India but the rule was there of another Kings. নেটের এ কথাটি আমি আপনাকে বলতে চেয়েছি যে তারা কখনোই কোন কালে কোন দেশের কলোনি ছিল না। তাদের উপর ভারতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মের প্রভাব ছিল বটে। এমনকি থাই ভাষা এসেছে পালি ভাষা থেকে।
আয়ুথিয়ার শেষ রাজা নারাই থেকে চক্রী রাজত্বের প্রথম দিকে ডাচরা থাইল্যান্ডকে তাদের করদ রাজ্যে পরিনত করতে চেয়েছিল। অসাধারণ কূটনৈতিক সাফল্যের মাধ্যমে তারা নিজ রাজ্য শ্যামকে বিদেশের কলোনি হতে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল যেখানে পুরো এশিয়াই কোন না কোন দেশের কলোনি ছিল । এ নিয়ে থাইবাসীরা অত্যন্ত গর্বিত।
আপনার উত্তরটা সবাইকে ডিংগিয়ে দিলাম তার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
১৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭
ওমেরা বলেছেন: নান্দনিক ছবি চমৎকার বর্ণনায় খুব ভালোলাগল পোষ্ট। সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপু।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৮
জুন বলেছেন: ভালোলাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ওমেরা। ভালো থাকুন সবসময়।
১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
বরাবরের মতোই ইতিহাসের ঘ্রান নিয়ে লেখা পোস্ট।
থাইবাসীদের মতো আমরা হতে পারলুম না! না পেরেছি কোনও ঐতিহ্যকে তেমন করে ধরে রাখতে , না পেরেছি এই সবুজ দেশটাকে স্বপ্নের মতো সুন্দর রাখতে!!!!!
না আছে আমাদের ভদ্রতা, না আছে আমাদের কোনও শিষ্টাচার। সবখানেই যেন কেমন রূঢ় ও হিংস্র মানুষে ভরা। দেশের প্রতি প্রেম, মানুষের প্রতি সম্ভ্রমের ছিটেফোঁটাও নেই এখানে। নিজে এদেশের হয়েও বলতে দ্বিধা নেই, আমরা একটা অপরিচ্ছন্ন জাতি!
আপনার এই লেখার ফাঁকে ফাঁকে এসবের উদাহরণ টেনে যেটুকু লিখলেন তাতেই এমন দীর্ঘশ্বাস ফেলতেই হলো।
পোস্টে প্লাস কিন্তু আগেই রেখে গেছি।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৫
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস ,
বরাবরের মতই অনাবদ্য ভাষার সুগন্ধ নিয়ে লেখা মন্তব্য ।
এটা ঠিক আমরা ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারছি না তা যে আমাদের অর্থনৈতিক দৈন্যতার জন্য তা নয় , এটা আমাদের মানসিক দৈন্যতার জন্যই । আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি তাদের জীবন যাত্রা । ধনী বা মধ্যবিত্তের কথা বাদই দিলাম এমনকি বেশিরভাগ প্রান্তিক লোকজনই ক্রমাগত চেষ্টা করছে তাদের চারপাশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে । অবশ্য এর জন্য প্রশাসনিক দিক থেকেও চাপ আছে। জরিমানার ভয় আছে । জরিমানার একটা টিকিট বাইরের লেটার বক্সে রেখে যায় আর সেটা তাকে পরিশোধ করতেই হবে । আইন মানার একটা রীতি তাদের মাঝে ভীষন ভাবেই লক্ষ্য করা যায় ।
আর অসভ্যতা হিংস্রতা উগ্র আচরণ এসব আমাদের টিভি নাটক আর বিজ্ঞাপন দেখলেই বোঝা যায় । শুধু মনে হয় আমাদের দেশের মানুষজন কি শালীনতা, নমনীয়তা, কমনীয়তা শব্দ গুলো কি ভুলে গেছে !!
যাক এসব কথা, প্লাস আর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। আগামী পর্বেও সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা রইলো । ।
১৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: গিয়েছিলাম এই রাজপ্রাসাদে । যাদুঘরেও গিয়েছিলাম। খুব সুন্দর। এক মহিলা টুরিস্ট গাইড পেয়েছিলাম যিনি আমাদের সব জায়গা ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন। তার বন্ধুত্বপুর্ন আচরনের কথা ভুলব না।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১০
জুন বলেছেন: অনেক বছর আগে আমি যখন ট্যুরিষ্ট হিসেবে থাইল্যান্ড ঘুরতে গিয়েছিলাম তখনই প্রথম বারের মত গ্র্যান্ড প্যালেস দেখেছিলাম ঢাবিয়ান । এরপরে তার চারপাশে অনেক ঘুরঘুর হয়েছে কিন্ত প্যালেস দেখতে যাইনি । এর দুটি অংশ ।
একটি অংশে মন্দির মঠ যেখানে ঠাই নাই ঠাই নাই অবস্থা আরেকটা বসবাসের জন্য নির্ধারিত ।
রাজকীয় মন্দির ওয়াত ফ্রা খিউর চারপাশ
থাই রাজকীয় প্রাসাদ
আমাদের দলের গাইড ছিল খুব হাশিখুশি একটি ছেলে । বের হয়ে আসার সময় বলেছিল এই তীব্র গরমে তোমরা আর কোথাও ঘুর ঘুর না করে নিজ নিজ রুমে এসি ছেড়ে বসো নাহলে কোন শপিং মলে যাও যেখানে খুব জোরে এসি চলে
মন্তব্য আর অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান । আগামী অর্থাৎ শেষ পর্বে দেখা হবে আশাকরি
১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
জুনাপু আনরোম্যান্টিক সহ-পর্যটকের অংশটুকু পড়তে দারুণ লেগেছে
আহারে বেচারা ! শপিং সেন্টারে হাঁটানোর কথা পড়ে আমারই পা ব্যাথা করছে ।
কারণ এই কাজটা আমিও পারিনা
সামুই মেরিন পার্কের ছবিটা দারুণ আপু !!!
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০৬
জুন বলেছেন: জুনাপু আনরোম্যান্টিক সহ-পর্যটকের অংশটুকু পড়তে দারুণ লেগেছে হা হা হা মিররডল আসলেই সত্যি ঘটনা ।
শপিং বলতে আমার বেশিরভাগই হয় উইন্ডোশপিং । কিন্ত তার মতে কিনবে না যখন সেটাতে হাত দিতে গেলে কেনো ! তার ভাষায় হাত দেয়া মানেই কিনতে হবে । এজন্য আমিও তাকে এক যায়গায় বসিয়ে ঘুরে ফিরে বেড়াই । আর ব্যাংককে বেশিরভাগ সময় খুব গরম থাকে । তাই ঠান্ডা শীতল মলে ঘুরতে খেতে বা বসে বিশ্রাম বা বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন লোকজনের আনাগোনা দেখতে খারাপ লাগে না আমার । এক মানুষই তো কত বিচিত্র ধরনের হয় তাই না ?
সামুই সহ সব ছবিগুলো আমার মোবাইলে তোলা জলযানের উপর থেকে তুলেছি এরপর আমিও নামি কায়াক ভ্রমনে ভয় ভয় উৎসাহ নিয়ে
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে । আগামী পর্বে সাথে থাকার অনুরোধ রইলো
১৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৮
জোবাইর বলেছেন: কাব্যিক ভাষায় বর্ণনা, ইতিহাসের তথ্য-উপাত্ত এবং আকর্ষণীয় ছবি - সব মিলিয়ে চমৎকার লেখা। ছবিগুলো আরো বড় করে দিতে পারলে ভালো হতো। ছবির ক্যাপশনগুলো ছবি থেকে একটু দূরে ও আকারে বড় হওয়ায় প্যারার শিরোনাম মনে করে ভুল করেছিলাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৪
জুন বলেছেন: আপনার প্রশংসা পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হোলাম জোবাইর । আপনার নিজের ভ্রমন পোস্টগুলো তো অসাধারন ।
এডিট অপশনে ছবির সাথেই লাগানো ক্যাপশন । পাবলিশ হওয়ার পর কেন যে আলাদা দেখাচ্ছে বুঝতে পারছি না ।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশী হয়েছি অনেক
খুব তাড়াতাড়ি আসছি । মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: শুরুটাই দারুণ।
ঘরের লোককে বাইরে আনতে না পারার চমৎকার মজার বর্ণনা।
তারপর প্রকৃতি, স্থান-কাল পাত্রের চমৎকার বর্ণনাশৈলীতে একরাশ মুগ্ধতা।
ব্লগে আসা হয় কম।
অনেকদিন আপনার লেখাও পড়া হয় না।
আজ পড়ে মনে হচ্ছে, লেখা আগের চেয়েও অনেক শক্তিশালী হয়েছে।
সেটাই তো প্রকৃত লেখকের পরিচয়।
সময়ের সাথে সাথে লেখার মানের উত্তরণ।
চলুক কলম। নিরবচ্ছিন্ন ভাবে।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
জুন বলেছেন: লেখা আগের চেয়েও অনেক শক্তিশালী হয়েছে। আপনার কাছ থেকে এমন প্রশংসা বাক্য শোনার পর যাকে বলে আনন্দে আত্মহারা শামসুল ইসলাম ।
মন্তব্য পড়লেই বোঝা যায় অনেক খুটিয়ে খুটিয়ে পড়েছেন আমার লেখাটি । হ্যা অনেকদিন পরেই ব্লগে আসলেন মনে হয় । মাঝে মাঝে আসবেন এই ব্লগ পাড়ায় । ভালোই লাগবে , আমি যে কি অসম্ভব ব্যস্ততায় আছি তারপরও ফাক পেলেই চেষ্টা করি ব্লগে উকি দিতে ।
আগামী পর্বের দাওয়াত রইলো কিন্ত । আপনার প্রত্যাশায় থাকবো ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ।
১৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
জুন আপা ,
লোহা প্রাসাদ , সেতু এবং রাজকীয় প্রাসাদ সব ছবিগুলোই মনোমুগ্ধকর । সামুই মেরিন পার্ক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কি যে ভালো লাগলো লিখে প্রকাশ করতে পারবো না ।
ভালো থাকুন আপা, ধন্যবাদ ।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২
জুন বলেছেন: মুক্তানীল
আপনি নিজে লেখালেখি না করলেও সবার পোষ্টে এমন মন খুলে অকুন্ঠ চিত্তে প্রশংসা করেন যা আপনার বড় মনের পরিচয়ই বহন করে তা না বল্লেও চলে । ছবিগুলো ভালোলাগার জন্য অনেক খুশী হয়েছি কারন ছবিগুলো আমার মোবাইলে তোলা
আপনিও ভালো থাকুন সাথে আগামী পর্বেও সাথে থাকুন
২০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
করুণাধারা বলেছেন: "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে"... বেশ করেছেন একলাই বেরিয়ে পড়েছেন, নাহলে এই চমৎকার সব ছবি আর তাই ইতিহাস জানা হতো না!!
ছবির সাথে মিলিয়ে ইতিহাসের পরিবেশনায় আপনার দক্ষতা অনন্য। গোগ্রাসে গিললাম। ছবিগুলো সুন্দর তুলেছেন।
একটা কথা, আমি মনে হয় কোথাও পড়েছিলাম আপনি সাঁতার জানেন না। সেক্ষেত্রে পানিপথে চলতে ভয় করেনি? আমি সাঁতার জানিনা দেখে পানিপথে ভ্রমণ করতে চাইনা।
পোস্টে ++++
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৩
জুন বলেছেন: "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে"..
আমি এই নীতি প্রায় ফলো করি করুনাধারা ।
আমি তো সব সময় সামান্য কিছুতেই আনন্দ খুজে পাই। নৌকার মাঝির সাথে গল্প করা, সুদুর গ্রামের রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে বসে চায়ে বেলা বিস্কিট ডুবিয়ে চা খাওয়া আর চা ওয়ালাটার সাথে গল্প করা । তার কথা "এই সব কি আজাইরা প্যাচাল পারছো শুনি" !
গোগ্রাসে গিলেছেন শুনে ভয় পাচ্ছি এর পরের পর্বের সময় অবশ্যই এক গ্লাস পানি নিয়ে বসবেন
সত্যি আমি সাতার জানিনা , ভয়ও হয় যখন খুব জোরে নৌকাগুলো ছুটতে থাকে ঢেউয়ের বাড়ি খেতে খেতে । দুপার বাধানো বলে ঢেউ খুব বেশিই থাকে । তারপর ও কোন ট্রাফিক সিগনালে পরতে হয়না বলে বেশিরভাগ সময় নৌকাতেই যাতায়ত করি । আর ব্যংককের প্রতিটা গুরুত্বপুর্ন এলাকার সাথেই এই নৌকার রুট আছে ।
এই ধরনের নৌকাই ছিল, তারপর একটু আধুনিক করেছে তবে এখন বায়ু দূষন বন্ধ করার জন্য থাই মেরিন ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রনিক নৌকা চালু করার পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে শুনেছি ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সাথে পরের পর্বেও আমন্ত্রন রইলো ।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
জুন বলেছেন: * ইলেকট্রনিক না ইলেকট্রিক নৌকা । টাইপো
২১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৩
সোহানাজোহা বলেছেন: ব্যাংকক মজার দেশ! ফুটপাথে চেয়ার-টেবিল পেতে খাওয়ার ব্যবস্থা। আর রান্নার জায়গাও রাস্তার পাশেই। সব আধুনিক সরঞ্জাম সমেত। ঠেলাগাড়িতে খাবারের দোকান৷রাস্তায় দাঁড়িয়েই রান্না, রাস্তাতেই পেট পুরে খাওয়া। ফলের রস থেকে বিয়ার, অথবা বিশুদ্ধ জল, সব ধরনের পানীয়ই মজুত রাস্তায় ঘোরা গাড়িতে। সম্ভবত করোনার করুণাতে সব উবে গেছে। করোনাতে সারা বিশ্বের স্ট্রিট ফুড সেলার’রা নিশ্ব হয়ে গেছেন।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৯
জুন বলেছেন: আমরা যখন ফুকেট ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন রাত প্রায় ১২টার দিকে আমরা খেতে বের হয়েছিলাম । রাস্তাঘাটে তেমন ভিড় নেই কিন্ত রেস্তোরা গুলো খোলা । সুন্দর সুন্দর দোকানী মেয়েরা একাকী মটরসাইকেল করে চুল উড়িয়ে চলে যাচ্ছে। হ্যা করোনায় এই সব ব্যাবসায়ীরা প্রচন্ড সমস্যার সন্মুখীন হচ্ছে ।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আগামী পর্বটিও পড়বেন বলে আশা রাখছি ।
২২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:০৪
জোবাইর বলেছেন: জুন আপা, পোস্টে ছবি বড় করে দেওয়ার বিস্তারিত বিবরণ আমার পোস্টে আপনার মন্তব্যের প্রতি-মন্তব্যে বর্ণনা করেছি। লোহা প্রাসাতের ছবিটি বড় করে (৮০০×৪৬৬) এখানে দিলাম।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০১
জুন বলেছেন: জোবাইর,
আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দেবো বুঝতে পারছি না । এই সাইজের ছবিটাই পার্ফেক্ট । বেশি বড় হলে ছবিটাই মুখ্য হয়ে যায়, লেখাগুলো হয়ে পরে গৌন । দেখি এরপরের পর্বে এই আকারের ছবি ব্যবহারের চেষ্টা করবো, আশা করি সাথে থাকবেন ।
আরেকবার এসেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আমার তরফ থেকে
২৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:১০
জোবাইর বলেছেন: জুন আপা, পোস্টে ছবি বড় করে দেওয়ার বিস্তারিত বিবরণ আমার পোস্টে আপনার মন্তব্যের প্রতি-মন্তব্যে বর্ণনা করেছি। লোহা প্রাসাতের ছবিটি square করে (৮০০×৮০০) এখানে দিলাম।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৬
জুন বলেছেন: এই ছবিটির চেয়ে উপরের মাপটাই সঠিক মনে হলো আমার কাছে । তারপর ও আপনি অনেক চেষ্টা করেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ।
২৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০২
নতুন নকিব বলেছেন:
বরাবরের মতই চমৎকার ভ্রমন পোস্ট। ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে সাবলিল সুন্দর বর্ণনায় উঠে এসেছে অজানা অনেক কিছুই। +
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪০
জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নতুন নকিব । আগামী শেষ পর্বেও সাথে থাকবেন এই আশা করছি ।
২৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্যের শুরুতেই আপনের কিছু প্রশংসা কইরা লই, পরে আবার ভুইলা যাইতে পারি। আপনের দেওয়া বর্ণনা, ছবি সবই অত্যন্ত চমৎকার হইছে। আপনে নিজেরে যে ইবনে বতুতার মহিলা ভার্সান কন, এইটা হুদাহুদি না। এর পিছনে ভুয়া না, জেনুইন কারনই আছে। দুঃখের বিষয় হইলো, আপনের থাই ভ্রমন নিয়া শিখনের বহুত কিছুই আছে.....কিন্তু আফসোস, কিরপিন জাতীয় বতুতারা থাই ভ্রমনে গিয়া পোষ্টের পর পোষ্ট দেয়, কিন্তু শ্যাষ করতে পারে না!!!
দুলাভাই আপনের সাথে যাইতে ক্যান রাজি হন নাই, সেইটা আমি জানি। কিন্তু আপনেরে কমু না।
থাই রাজার প্রাসাদ দেখছি বহু আগে। তখন আমার ডিজিটাল ক্যামেরা আছিলো না। ৩৬ ফিল্মের ক্যামেরার তোলা হার্ডকপি ছবির এ্যালবামটা অনেকদিন চোখের সামনে দেহি না। খুজতে হইবো। তয় তাগো মিউজিয়ামটা দেখি নাই। আপনে থাইগো খালি প্রশংসাই করেন, মিউজিয়ামে থাই ক্ষমতাশালীদের দূর্ণীতির কোন গ্যালারী নাই? আমার আইজকাইল কোন জাতীর এই দিকটা দেখনের আগ্রহ হইতাছে। অন্যান্য উন্নত দ্যাশের মন্ত্রীরা কি উনাদের মন্ত্রীদের এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য হন্যে হয়া ঘুরে? সামনের পোষ্টে এই বিষয়ের উপ্রে আলোকপাত করার দরখাস্ত রইলো।
আপনের ছবিগুলি দেখলে চোখে শান্তি লাগে, ভয়ের অনুভূতি আসে না। ব্লগে কিছু কিছু ছবি দেখতে গেলে ছাতি মাথায় দেওন লাগে। মনে হয়, এই বুঝি মাথার উপ্রে দরাম কইরা আইসা পড়লো!!!
মা.হাসান বলেছেন: যাহার অ্যাটাকিঙ মুডের ছবি দেয় তাহাদের উচিৎ আপনার পোস্টের ছবি থেকে শালিনতা শিক্ষা নেয়া। আপসোস, কেহ কেহ কিছু হইতেই শিক্ষা নেয় না। নিজের ক্রিয়াকর্ম অন্যের ঘাড়ে চাপানোরে জানি কি কয়? ভুইল্যা গেছি!!!
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৪
জুন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দেয়ার আগেই একখান কথা কইয়া লই নইলে আম্নের মত পরে ভুইল্লা যামু
আমারে তাত্তাড়ি পুস্টান কৈয়া আপ্নে দুইদিন পলাইয়া রইলেন, জিনিসটা খুব ভালো কইরা খেয়াল কর্লাম
আর আমারে না জানাইয়া পোস্ট দিলেও আমি জিপিএ ফাইভ পাওয়া ছাত্রীর মত পরথমেই হাত তুলি
এখন কন ঐ হুজুরের দরবারে যাওনের লিগা ব্লগে আইতে পারেন্নাই কন
যাউকগা লেটে আইসাও লেখার প্রশংসা করছেন এতেই মুগাম্বু খুশ
হ কিরপিন ট্রাং দেখানোর লোভ দেখাইয়া আনারসের খাটা বানাইতে বসলো । বুঝলাম না ঘটনা কি তা । আপ্নের কিছু জানা থাকলে আমারে জানাইয়েন ।
দুলাভাই আপনের সাথে যাইতে ক্যান রাজি হন নাই, সেইটা আমি জানি। কিন্তু আপনেরে কমু না।
আপনে কি কইবেন আবার ? হুদাই আমাগো মইধ্যে গিট্টু লাগাইতে চাইতাছেন মনে অয় ?
রাজার দেশেও এখন বহুত দুর্নীতি । মানুষ জন অতিষ্ঠ কিন্ত ঐ যে রাজা ভুমিবল এক প্রজেক্ট দেখতে গিয়ে তার এডভাইসাররে কইছিলো "মুখ আছে বইল্যাই কথা কইবা এইডা চইলতো ন । আগে মন থিকা মাথায় নিবা , মাথায় নিয়া চিন্তা কইরা তারপর মুখ দিয়া বাইর করবা" । রাজা এই কথা বলছে এইডা জানার পর পুরা থাইবাসী স্বলবাক হইছে । তবে আস্তে আস্তে ছাত্র আন্দোলন দানা বাধছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ।
আমার ছবি দেইখা শান্তি লাগে শুইনা খুব ভালোলাগলো কারন সবগুলো ছবি আমার তোলা
ভুয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত আসলেন দেখে । আগামী মানে শেষ পর্বের দাওয়াত রইলো ।
২৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: না আছে আমাদের ভদ্রতা, না আছে আমাদের কোনও শিষ্টাচার। সবখানেই যেন কেমন রূঢ় ও হিংস্র মানুষে ভরা। দেশের প্রতি প্রেম, মানুষের প্রতি সম্ভ্রমের ছিটেফোঁটাও নেই এখানে। নিজে এদেশের হয়েও বলতে দ্বিধা নেই, আমরা একটা অপরিচ্ছন্ন জাতি! জী এস ভাইয়ের কথার তেব্র পরতিবাদ জানাই।
আমার আব্বা অফিসিয়াল ট্যুরে ব্যাংককে প্রথম গিয়েছিলেন ১৯৭৮ সালে। ফিরে এসে উনার ফিডব্যাক ছিল.....ব্যাংককে মানুষ যায়? জ্যাম, ধুলাবালি, নোংরা পরিবেশ! এর মধ্যে মানুষ থাকতে পারে!!!
সেই ব্যাংকক কোন যাদুর ছোয়ায় বদলে গিয়েছে? এর পেছনে ছিল সেখানকার নেতৃত্বের কৃতিত্ব। সাধারন জনগন কাদার মতো। দক্ষ কারিগরের হাতে পড়লে এর থেকেই অনুপম ভাস্কর্য গড়ে উঠতে পারে। আমরা কি জাতি গঠনে তেমন কোন দক্ষ কারিগর পেয়েছি? ভাইজানের উত্তর জানতে চাই।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
জুন বলেছেন: আহমেদ জী এসের মন্তব্যে আপনের তীব্র প্রতিবাদ কি তার পোষ্টে যাইয়া জানাইতে হইবো ? কিছু কইলেন্না দেখি
হু স্বাধীনতার পর শুনছিলাম আমার খালু ব্যাংকক গেছিলো । তখন বিডি এক টাকায় তিন বাথ ছিল ।এখন এক বাথে তিন টাকা, বুঝেন তাইলে । আপনার ভাই একবার নয় মাসের এক কোর্সে ম্যানিলা গিয়েছিল । তার রুমমেট ছিল দুই থাই । তারা বর্ননা করেছিল কি ভাবে জনগনকে বাধ্য করেছিল নির্ধারিত যায়গায় ময়লা ফেলতে । এক দম্পতি স্বভাবগত ভাবেই চুপিচুপি রাস্তার পাশেই ময়লার ব্যাগ ফেলে গিয়েছিল । পুলিশ লুকিয়ে ঘটনাটি দেখে ব্যাগটা প্যাকেট করে ঐ দম্পতির বাসায় পোস্ট করে পাঠায় সাথে উচু লেভেলের জরিমানা যা তারা পরিশোধে বাধ্য ।এখনতো সিসি টিভি কোথায় যে নেই তাই বোঝা যায় না । সিগারেট খেয়ে তার শেষাংষ ফেল্লে ২০০০ বাথ জরিমানা সাথে সাথে দিতে হয় । অনেকের ১৫ দিনের খাওয়ার খরচও ২০০০ এর কম ।
@ ভাইজান ভুয়া আপনার মন্তব্যের প্রতীক্ষায়
২৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভয়ানক ব্যস্ততার মাঝে আছি।
বর্ণনা ও ছবিসুন্দর হয়েছে ।
এক নজর দেখে প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
পরে সময় নিয়ে ভাল করে পাঠের জন্য আসব ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০০
জুন বলেছেন: কিছু কিছু ব্লগারের মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় থাকি তার মাঝে আপনি একজন ডঃ এম এ আলী
আসেন সময় করে ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্যও
২৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৪
শায়মা বলেছেন: যাদুঘরে বেড়াও। কত শান্তি! করোনার ভুই নাই!!!!!
কিন্তু এত সুন্দর প্রাসাত দেখে তো মন ভরে গেলো। এটা কি প্রাসাত বলে নাকি প্রাসাদ!!!
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৭
জুন বলেছেন: তুমিও তো কত্ত সুন্দর সাজুগুজু করে পরীর মত বসে বসে দই খাচ্ছো । বাসায় আছো বলে মাস্ক পরতে হচ্ছে না, লিপিত্তিক লাগাতে পারছো । এইটা কত বড় বেনিফিট চিন্তা করছো ? নইলে আইলাইনার আর মাস্কারাই ভরষা করতে হতো হু হু
করোনাকে এরা ঘাড়ে ধরে নিয়ন্ত্রন করেছে । আজ দুই মাসের উপরে হলো কোন মৃত্যু নেই । মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬ জন । আমাদের মনে হয় আজ ৪হাজার ছাড়িয়ে যাবে ।
শায়মা এরা প্রাসাদকে প্রাসাতই উচ্চারন করে। রাজাকে রাচা বলে ।
তুমি সবটা ঠিক ঠাক মত পড়েছো তো দিদিমনি ?
নাকি প্রাসাতেই মুগ্ধ এখন থেকে উলটো দিদিমনিরও পরীক্ষা নিতে হবে বুঝলা
২৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুক্কুরবারে বেড়াইতে বাইর হইছিলাম। বাসায় ফিরত আইছি সোমবারে, মাইনে গতকাইল দুপ্পুর বেলা। লম্বা সফরে বাইর হইছিলাম। একটা ছোট হলিডে আছিলো, হের লাইগা একটা ফ্যামিলি ট্যুর দিলাম আর কি! ব্লগে আহনের অবস্থা ছিল না, ঘুরনের ফাকে ফাকে কাগজ-কলম দিয়া গল্পটা লেইখা ফালাইছিলাম। অহন বুঝছেন নি!!!
অ......ব্যাপারটা বুজতে পারছি। এর লাইগাই আমার গল্পে এমুন নিরস মন্তব্য? ভাবতাছিলাম ঘটনাটা কি? আপনেরে পুষ্টাইতে কইছিলাম ঠিকই.......কিন্তুক, এত্তোদিন দেরী করনের পরে আমার কওনের লগে লগেই যে আপনে পুষ্টাইয়া ফালাইবেন এইডা বুজবো ক্যাঠায়???
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
জুন বলেছেন: শুক্কুরবার হইলেই যে আপ্নের মন আনচান করে কোথাও যাওয়ার জন্য এইটা আমার বোঝা উচিত ছিল
তয় আমি না বুঝলেও মাহা বুঝছে
তা গেছিলেন কই ? কওন যাইবো ? ভ্রমন কাহিনী লেখার রশদ নিয়া আসলেন্নাকি
অ......ব্যাপারটা বুজতে পারছি। এর লাইগাই আমার গল্পে এমুন নিরস মন্তব্য?
সমঝদার কে লিয়ে ইশারাই কাফি
আমার কওনের লগে লগেই যে আপনে পুষ্টাইয়া ফালাইবেন এইডা বুজবো ক্যাঠায়
এই থিকা বুঝেন খালি বড় ভাইই না ছুটো ভাইগোও আমি কত্ত রেস্পেক্ট করি ,
তাগো কথা শিরোধার্য্য বইলা মাইনা নেই
৩০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার ট্রেডমার্ক ভ্রমণ পোস্ট। ছবিগুলো বেশ।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০০
জুন বলেছেন: ট্রেডমার্ক ভ্রমণ
এটাকি প্রশংসা নাকি অন্য কিছু বলতে চাইলেন বুঝলামনা আখেনাটেন
ছবিগুলো সব আমি তুলেছি মোবাইল ফোনে
ধন্যবাদ অনেক অনেক ।
৩১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
রাজকীয় থাইল্যান্ড তার ঐশ্বর্যমন্ডিত কিছু স্থাপত্যকির্তী নিয়ে সাবলিল বিবরণ ও নীজ হাতে তোলা ছবি দেখে মুগ্ধ ।
ঐতিহ্যবাহী থাই শিল্পরীতির সুষমা ও শৈল্পিক ঐশ্বর্যমন্ডিত লোহাপ্রাসাত মন্দিরের ছবিটি প্রথম দেখাতেই তাক লাগিয়ে দেয় । অনবদ্য স্থাপত্যশৈলী এবং অসাধারণ কারুকাজমণ্ডিত এই প্রাসাত দেখলে বিস্ময় জাগে ।বিশালাকার ইমারত, আর উচ্চতায় তাদের থেকেও বড় বৌদ্ধ স্তূপ৷ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকলাম সেই উচ্চতার দিকে, অপরূপ সৌন্দর্যে অভিভূত হলাম।কি চমৎকার অলঙ্করণ করা হয়েছে প্রাসাতের চূড়া এবং অন্যান্য অংশে ৷দূর থেকে এই অলঙ্করণ রত্নখচিত বলে ভুল না হয়ে যেতে পারেনা, তার নয়নাভিরাম ঔজ্জ্বল্য দেখে।
দৃশ্যশোভন সে লোহা প্রাসাত মন্দিরের ছবির পাশাপাশি নজর কাড়ে কারুকাজ করা অতিকায় যুগল হস্তিমূর্তি। দুর থেকে ছবিটা যে তুলছে সে আপনি নাকি তা দেখার জন্য ছবিটাকে একটু বড় করে দেখলাম। বুঝা গেলনা সে আপনি কিনা, তবে সেটা যে কে হবেন তা এখন কেবল আপনিই বলতে পারেন ।
ফিরোজা থেকে নীল, নীল থেকে গভীর নীলাভ আদিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র রাশির ছবিতে একরাশ মুগ্ধতার আবেস ছড়ায় ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম জাদুঘরের ফটকের ছবি দেখে মনে পড়ে যায় সেবার যাদুঘরের ভিতরে গিয়ে দেখা একটি বিশালাকার রাজকীয় রথ, সারি সারি কামানের ছবি, বুদ্ধাসনের মনোহর দেয়াল চিত্র, যুদ্ধ হস্তির মুর্তীসহ এন্টিক সমরাস্র, পাঁচ মাথা শীব মুর্তী সহ ভারতীয় হিন্দু পুরানের অনেক দেবদেবীর ভাস্কর্যের কথা, সবকিছুতেই ছিল শুধু মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা ।
উল্লেখ্য থাই সংস্কৃতির সঙ্গে খুব গভীরভাবে সংযুক্ত ভারতীয় হিন্দু পুরাণ৷ আমার মনে পড়ে শেষবরের মত যখন আমি ব্যাংককে গিয়েছিলাম তখন উঠেছিলাম হোটেল রাজ সিংহাসনে । হোটেলটির দেয়াল চিত্রে সংযুক্ত ছিল কিছু ভারতীয় হিন্দু পুরাণ অনুসরনে তৈরী ছোটছোট ভাস্কর্য।বুদ্ধদেবের সুন্দর মুর্তীও ছিল ভিতরে৷ সেখানে অন্তরের শ্রদ্ধা জানাবার সুযোগ পান সকলেই৷ সুগন্ধি ধূপ, দীপকাঠি এবং পদ্মফুল রাখা থাকে সেজন্যে ।
যদিও রাজার রাজশাসন দুর্দান্ত প্রতাপে আর নেই থাইল্যান্ডে, তবু রাজকীয়তা আর আভিজাত্য থেকে গেছে সর্বত্রই, নিজেদের ঐতিহ্যের এতটুকু অযত্ন করেন না থাই নাগরিকরা,নীজেদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন তারা বিভিন্ন স্থাপত্যে ও সযতনে সেগুলি সংরক্ষন করে চলেছেন তাদের বিখ্যাত জাতীয় যাদুঘরে ।
এসকল কথা সুন্দর ভাবে উঠে এসেছে লেখাটিতে । পোষ্টটি আগেই গেছে প্রিয়তে ।
অনেক আনেক শুভেচ্ছা রইল
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪০
জুন বলেছেন: রাজকীয় থাইল্যান্ড তার ঐশ্বর্যমন্ডিত কিছু স্থাপত্যকির্তী নিয়ে সাবলিল বিবরণ ও নীজ হাতে তোলা ছবি দেখে মুগ্ধ ।
আপনাকে মুগ্ধ করেছি জেনে কি যে খুশী লাগছে তা বলার নয় ডঃ এম এ আলী ভাই । লোহা প্রাসাতের নকশাও কিন্ত ব্যাতিক্রমী । এর পিতলের সুচালো দন্ডগুলো কিন্ত অন্য কোন থাই স্থাপত্যে দেখা যায় না । একে নিইয়ে লেখার একটা ইচ্ছে আছে আমার ।
হাতির ভাস্কর্য্যের ছবি আমি তুলেছি যখন কিং ভুমিবল মারা গিয়েছিলেন । দেখেন এর চারিদিকে ঘিরে রয়েছে কালো আর সাদা কাপড়ের বেষ্টনী । এখানে আমি নেই । হাতি বিশেষ করে সাদা হাতি আপামর থাইদের কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক।
আপনি ও যে রাজকীয় প্যালেস আর যাদুঘর দেখেছেন জেনে ভালোলাগলো ।
থাইল্যান্ডের ভাষা শিল্প ও সংস্কৃতির উপর হিন্দু সংস্কৃতির প্রবল প্রভাব তো অবশ্যই রয়েছে । তাদের ভাষা পালি আর সংস্কৃত থেকে সৃষ্ট । ধর্ম আর সংস্কৃতির সম্পুর্ন প্রভাব থাকলেও রাজা ছিল থাই , তারা কখনো কোন দেশের উপনিবেশ ছিল না ।
রাজার একচ্ছত্র শাসনের অবসান ঘটেছে ১৯৩৫ সালে চক্রী বংশের সপ্তম রামা রাজা প্রজাধীপকের শাসনকালে তার সিঙ্গহাসন ত্যাগের মাধ্যমে। কারন সে গনতান্ত্রিক সরকারের সাথে একমত হতে না পেরে দেশ ত্যাগ করেন । এরপর তার ভাই এর ছেলে আনন্দ মাহিদল ১০ বছর বয়সে রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসেন । আনন্দ মাহিদল একটি দুর্ঘটনায় মারা গেলে তার ছোট ভাই কিং ভুমিবল আসেন ক্ষমতায় । তারপর তো এক বিশাল ইতিহাস , সেই নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের মাঝে থেকেও কি করে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করা যায়, কি করে দেশের জনগনের মনের মনিকোঠায় অনন্য উচ্চতায় আর ভালোবাসায় এক চিরস্থায়ী স্থান লাভ করা যায় তার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তার দীর্ঘ ৭০ বছরের রাজত্বকালে । বর্তমান রাজা বেশিরভাগ সময় মিউনিখেই থাকেন বলে শুনি।
অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই , আগামী পর্বেও দেখা হবে সেই আশা রইলো ।
৩২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৯
আখেনাটেন বলেছেন: এটাকি প্রশংসা নাকি অন্য কিছু বলতে চাইলেন বুঝলামনা আখেনাটেন -- ইসরে, ইদানিং প্রশংসা করলেও মানুষ দেখি সন্দেহ করে বসে। কই যাইতাম।
আপনি হচ্ছেন গিয়া আমাদের ব্লগের ভ্রমণ বতুতা.........আপনার পোস্টের অভিনবত্ব, বিশেষত্বই আপনাকে এই জায়গায় এনেছে। আর কিছু কওন লাগবে। বেশি প্রশংসায় আবার উষ্ঠা খাইয়া হাত-পা ভাঙেন তা তো চাইতে পারি না।
পোস্ট ভাল্লাগছে। আমাগোর বরোবুদুর, প্রামবানান দেখবার শখ আছিল এই বছর.........মি: কোভিড থাপড়াইয়া শখ মিটাইয়া দিচে।
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০০
জুন বলেছেন: আসলে ভুয়া আমারে সকাল বিকাল গিয়ানী গিয়ানী বইলা একটা ভুয়া অপপ্রচার চালাইছে ব্লগে আসলে আমি যে কত বড় মুর্খ সেইটা ধরতে পারছেন আপনে নইলে দেখেন আপনের এত্ত উদার প্রশংসাও আমি ধরতে পারলাম না ক্যান কন??
ব্লগ কাকুও আমার লেখার প্রশংসা কর্ছে। এইটাই আমার ব্লগ জীবনে বড় পাওয়া। আসলেই অনেক অনেক খুশী হইছি কিন্ত
বরবদুর যাওয়ার আমাদেরও একটা প্ল্যান ছিল। কিন্ত করোনা সব প্ল্যান প্রোগ্রাম ধ্বংস করে দিল। এর আগে ইস্তাম্বুল যাবার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিল যুদ্ধ। দোয়া কইরেন এই করোনার অভিশাপ যেন দ্রুতই দুর হয় দুনিয়া থেকে।
আরেকবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আখেনাটেন
৩৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ব্যাংকক না গিয়েও যেন ঘুরে এলাম।
পোষ্টের চেয়ে কমেন্টেই বেশি আনন্দ বেশি জ্ঞান
সেখানে ভাল থাকুন। ঢাকা মুক্ত না হওয়া অব্দি ফেরার দরকার নেই।
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৭
জুন বলেছেন: পোস্ট থেকে কোন জ্ঞান লাভ করতে পারেন নাই শুনে মনে একটু কষ্ট পাইলাম মোজাম ভাই
তারপরও আমার লটবহরের সাথে আপনিও যোগ দিয়েছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো
আমিতো ঢাকা এসে এখন আটকে আছি। সেখানে এখন করোনা মোটামুটি কন্ট্রলে। আড়াই মাসের উপর কোন মৃত্যু নেই, স্থানীয় সংক্রমণও নেই। যে দু একজন বাইরে থেকে আসছে তাদের কেউ কেউ ভাইরাস আক্রান্ত। তারাও চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো হয়ে যাচ্ছে। ছেলে বারবার বলে কবে আসবা, কবে আসবা? এই জবাব দিতে পারি না। দোয়া করবেন এই গজব যেন তাড়াতাড়ি দুনিয়া ছেড়ে যায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন। আগামী অর্থাৎ শেষ পর্বেও সাথে থাকবেন মোজাম ভাই।
৩৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৮
পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আপু, কেমন আছেন?
থাইল্যান্ডে একবছর থাকলেও ওখানে যাওয়া হয়নি। আপনার চোখে দেখবো। তাড়াতাড়ি পরের পর্বগুলো পোস্ট করেন।
" গ্যালারিতে সাজানো রয়েছে নিওথিলিক যুগের মানুষের হাতে তৈরি দুষ্প্রাপ্য শিল্পকর্ম।"- দারুণ তো!
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
জুন বলেছেন: আমি ভালো আছি এখন পর্যন্ত পলক শাহরিয়ার। কতদিন পর আপনাকে দেখলাম। খুব ব্যাস্ত নাকি? এখন কি দেশে না বাইরে?
এক বছর থেকেও দেখেন নাই এটা কোন ব্যাপার না, এখন আমার সাথে ঘুরে ঘুরে দেখেন। আগামী পর্বেও সাথে পাবো এই প্রত্যাশা রইলো।
৩৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৫২
সোহানী বলেছেন: এইসব দেখায়ে লোভ ধরানোর জন্য মাইনাস ।
কোথাও যেতে পারছি না এই সামারে। মাত্রই শুরু করলাম হোম পার্টি। লাস্ট উইকে আমার বাসায় সবাই এসেছিল, অনেকটা সাহস করে দাওয়াত দিলাম। তবে এই উইকে বের হচ্ছি একটু আকটু করে। কিন্তু এখন আশে পাশের স্পটে এতো ভীড় যে বিরক্ত লাগে।
আপনি কি দেশে এখন?
৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৮
জুন বলেছেন: না না মাইনাস না সোহানী প্লাস দেন প্লাস
যাক তাও যে হোম পার্টি দিয়ে শুরু করেছেন। আসলে এই ভাইরাসটা যে কখন কাকে কি ভাবে ধরে কিছুই বলা যায় না এখনো এটাই ভয়ের । আমি বেশ কিছুদিন হলো ঢাকায় । এসে তো আটকে আছি । ছেলে তো প্রতিদিন ফোন করে জানতে চায় কবে যাচ্ছি । কিছুই বলতে পারছি না । আপনার বাবা করোনা মুক্ত হয়ে বাসায় ফিরে এসেছেন জেনে খুব ভালোলাগলো । আল্লাহ উনাকে সম্পুর্ন সুস্থ করে দিন এই কামনা করি ।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সোহানী । দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ শেষ পর্বটি পড়ার জন্য আমন্ত্রন রইলো আপনাকে
৩৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৯
রাকু হাসান বলেছেন:
বাপরে যেমন পোস্ট তেমন দামি মন্তব্য । ভয় পাচ্ছি কিছু বলতে। তবে বরাবরের মত ভাল এবং এক বুক আশায় রয়ে গেলাম। জুনপু
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৭
জুন বলেছেন: বাপরে যেমন পোস্ট তেমন দামি মন্তব্য । ভয় পাচ্ছি কিছু বলতে। আমার পোস্টেতো আসেননি না রাকু হাসান আর আসলেন তো এমন একটা মন্তব্য করলেন যে আমি মনে হয় বাঘ ভাল্লুক , নইলে ভয় পান কেন জানায়া যাইয়েন
কি আশায় রইলেন বুঝলাম না
তবে আপু ডাকলেন আর মন্তব্য করলেন এতে বোঝা গেল আমি রাক্ষস খোক্কস জাতীয় কিছু না
শেষ পর্ব দিয়েছি দাওয়াত রইলো ডড়াইয়েন না আবার
অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইলো ।
৩৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২২
রামিসা রোজা বলেছেন:
কি সুন্দর জায়গা চমৎকার করে গোছানো
প্রকৃতি ও মানুষের তৈরি এই দু'ই মিলে একাকার ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৯
জুন বলেছেন: স্বাগত জানাই আমার ব্লগে । মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে
সত্যি সুন্দর আর তার জন্য আপনাকে শহর থেকে কিছুটা বাইরে যেতে হবে রামিসা রোজা ।
৩৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: যাই হোক একলা গিয়া ভালোই করছেন আপি, সাথে কেউ গেলে আর আনরোমান্টিক হলে ফটো মটো তোলা যায় না ,
দুলাভাই কত্ত ভালা আপনাকে একা যাইতে দিছি। আর আমার যে লোকটা বদ, নিজেও যাইতোনা আমারেও যাইতে দিতো না।
আপনার সাথে আমরাও ভ্রমণ করে এলাম।
দেশের সমুদ্র ই দেখি নি এখনো
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
জুন বলেছেন: একলা ঘুরতেই আমার অনেক সময় ভালোলাগে। নইলে তার ঝারি খাইতে খাইতে অবস্থা ডাইল। তবে শপিং করার সময় তারে দরকার হয় ছবি আপা
কি কন জলদি কক্সবাজার ঘুরে আসেন করোনা শেষ হলে। এরপর হয়তো সমুদ্রও মরে যাবে। এখনি আর আগের সৌন্দর্য খুজে পাইনি করোনার আগে একবার গিয়ে।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
৩৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বদ লোক আমার কথা শুনে না আপি। আমিও উনি সাথে থাকলে ছবি তুলতে পারি না
আল্লাহ যদি রিযিক রাখে ইনশাআল্লাহ কোনো একদিন যাওয়া হবে
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৭
জুন বলেছেন: হা হা হা আমার ভাইরে বদ বইলেন না আপু।
ইনশাআল্লাহ যাবেন হয়তো শীঘ্রই।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৪০| ২১ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যাংকক ছিল আমার জীবনের প্রথম ভিনদেশী সফরস্থল। প্রথম গিয়েছিলাম আজ থেকে ৩৫ বছর আগে, সেই ১৯৮৬ সালে। এর পরে আরও ৪/৫ বার গিয়েছি। সর্বশেষ গিয়েছিলাম আমরা দু'বন্ধু সস্ত্রীক, ২০১৭ সালের নভেম্বরে। আমরা এই দু'বন্ধু সস্ত্রীক একসাথে বহুদেশ ঘুরেছি। সেবারে ব্যাংকক থেকে ফিরে আসার কিছুকাল পর বন্ধুপত্নীর ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি গত বছর এপ্রিলে মারা যান।
যতবারই থাইল্যান্ড গেছি, দেশটির প্রতি আমার ভালবাসা ততই বেড়েছে। দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নিয়ম কানুন, নিয়মের প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা এবং দেশটির সরলমনা জনগণের জীবন যাপন প্রণালী- সব কিছুই আমার ভাল লেগেছে। আর আপনার তো মনে আছে নিশ্চয়ই, গুহাবন্যায় আটকে পড়া সেই কিশোর ফুটবল টিমকে উদ্ধারের জন্য থাই নৌ-কমান্ডো বাহিনী "সীল" এর সেই প্রাণান্তকর চেষ্টা ও সাফল্যের কথা! ঘটনাটি নিয়ে আপনিই তখন এ ব্লগে প্রথম পোস্টটি লিখেছিলেন, পরে আমিও আরেকটি পোস্ট লিখেছিলাম অনেক তথ্য উপাত্ত সং গ্রহ করে।
আপনার সফরসঙ্গীকে দেয়া "সহ পর্যটক" উপাধিটা বড় ভাল লাগে!
২৩ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে একটু সময় প্রয়োজন। আসছি শীঘ্রই
৪১| ২১ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই পোস্টটি পড়ে একটি 'লাইক' রেখে গিয়েছিলাম সেই কবে! পরে মনে হয় কোন কারণে মন্তব্য করতে ভুলে গিয়েছিলাম।
একা একাই ঘুরে এলেন জাদুঘর? আপনি বেশ উদার, যে তাকে জোর করে নিয়ে যান নি। আমার মনে পড়ে যে হাঁটার ভয়ে আমিও বেশ অনিচ্ছুক ছিলাম জাদুঘরে যেতে, কিন্তু সঙ্গীদের আগ্রহের কথা ভেবে যেতে হয়েছিল।
ছবিগুলো খুবই সুন্দর! "ছবির সাথে এমন নিখুত বর্ণনা শুধু আপনার কলমেই মানায়" - শেরজা তপন এর এ কথার সাথে আমিও একমত। "থাই রাজন্য আর জনতা সুষম শিল্পে আস্থাবান । এক ফুল দিয়ে পৃথিবী মাতিয়েছে ওরা" - শাহ আজিজ এর এ কথাটার সাথেও।
২৬ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
জুন বলেছেন: আমি খেয়াল করেছি আপনি আমার পোস্টে অনেক দিন হলো তরতাজা কোন মন্তব্য করেন না খায়রুল আহসান। যখন লেখা আমার বাসী পুরান হয়ে যায় তখন আপনি আসেন আপনার মুল্যবান বক্তব্য নিয়ে। জানি না কারন কি? যাই হোক তারপর ও যে আসেন তাতেই আমি খুশি।
আপনিও যাদুঘর দেখেছেন যেনে খুব ভালো লাগলো। সহ পর্যটক ভাবে আছিইতো আরেকদিন গেলেই চলবে। কিন্ত আমি যে একাই চলে যাবো সেটা হয়তো ভাবে নি
শেরজা তপন একজন বিশিষ্ট ভদ্রলোক তাই হয়তো এমন করে বলেছে। আর ব্লগার শাহ আজিজ একজন শিল্পী তাই শিল্পের সাথে সৌন্দর্যটাও তার চোখে পরেছে।
আপনাকে আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই শেষমেশ এসেছেন বলে। শুভকামনা।
৪২| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ৮:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সর্বশেষ পোস্টটিতে সর্বপ্রথম মন্তব্যকারী খায়রুল আহসান!
এর পরে আর নতুন পোস্ট না এলে পুরনো পোস্টে যাওয়া ছাড়া খায়রুল আহসান এর আর কীই বা উপায় আছে?
২৬ শে মে, ২০২১ রাত ৮:০৬
জুন বলেছেন: কিন্তু আমি যখন এই পোস্ট দিয়েছি তখন কিন্ত আপনাকে সব সময় ব্লগে লগ দেখেছি, অন্যদের পোস্টে মন্তব্য করতে দেখেছি, শুধু আমার পোস্ট ছাড়া। যাক তারপর ও তো মনে করে যে খুজে খুজে আসেন তাইতেই আমি অনেক অনেক খুশী। একেবারেই যদি না আসতেন তাহলে কি আর এত সুন্দর, বিচক্ষণ ও বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্য পেতাম আপনিই বলেন? আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সাথে রাত্রির শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বুবু, আমার পোস্টে আপনাকে পাচ্ছিনা সেই ১৯৫২ সন থেকে!