নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধের দেবতা গুয়ান ইউ
করোনার আগে যখন মনের আনন্দে থাইল্যান্ড চষে বেড়াচ্ছিলাম তখন সুরাট থানি প্রদেশের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কোহ সামুইও যুক্ত ছিল। আমরা যখন গিয়েছিলাম সে সময় ছিল চীনা নববর্ষের ছুটি। চাইনীজ অধ্যুষিত কোহ সামুই দ্বীপটিতে চীন থেকে আসা চীনা পর্যটকরা যেন গিজ গিজ করছিল। ব্যাংকক থেকে সুরাট থানি প্লেনে গিয়েও সারাদিন লেগেছিল কোহ সামুই পৌছাতে । সেইদিন রেষ্ট নিয়ে পরদিন ভোর থেকেই সামুইর বিখ্যাত মেরিন পার্কের ঘুর ঘুর করে সন্ধ্যায় ফিরেছি।
তারানিম ম্যাজিক পার্কে এক দুরিয়ান চাষীর নির্মিত সব ভাস্কর্য্যের একটি নমুনা
পরদিন নিজেরাই ট্যাক্সি ভাড়া করে সামুইর সর্বোচ্চ পাহাড় চুড়ায় পাথরে নির্মিত ব্যাতিক্রমী সাথে অনিন্দ্য সুন্দর সব ভাস্কর্য্য আর কুটিরে সাজানো তারানিম ম্যাজিক পার্ক দেখতে গিয়েছিলাম এ বিষয় নিয়ে আমি আগেই ব্লগে লিখেছি। সেখান থেকে যখন কোহ সামুইর বিখ্যাত রিং রোড ধরে ফিরে আসছি তখন অনেক দূরে দিগন্ত রেখার কাছে হঠাৎ করেই কালো রঙের এক ভয়ংকর দর্শন মুর্তির দেখা পেলাম।
পাথরের ফটকের উপর লেখা কোহ সামুইর গ্যুয়ান ইউর মন্দির
যতই কাছে আসছি ততই যেন তাঁর বিশালত্ব আরও প্রকট হতে লাগলো। আমি সামনে ঝুকে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে আমাদের চটপটে ইংরেজীতে পারদর্শী গাড়ি চালক জানালো এটা হলো গুয়ান ইউর মন্দির, মুর্তিটা গুয়ান ইউর, আমরা কি দেখতে ইচ্ছুক ? গুয়ান ইউ কি জিনিস ! আমাদের তো কোন ধারনাই নেই, কিন্ত অচেনাকে জানার প্রবল আগ্রহ আমার তাই বার বার মাথা ঝুকিয়ে ইয়েস কা, ইয়েস কা, খাপুন কা বলে আমার আগ্রহ প্রকাশ করতে লাগলাম। ড্রাইভার আমার অবস্থা দেখে একটু হেসে মন্দিরের সামনে এসে বাদিকে টার্ন নিয়ে জায়গামত গাড়ি থামালো।
ছোটখাটো এই মন্দিরের আঙ্গিনার শেষ সীমানায় বসে আছেন ভয়ংকর দর্শন গুয়ান ইউ
গেটের কাছে গাড়ি থামতেই আমি ছোট্ট আংগিনা পেরিয়ে সেই বিকট দর্শন মুর্তির সামনে এসে দাড়ালাম। বিশাল একটি স্তম্ভের উপর তাঁর চেয়েও বিশাল এই চৈনিক মুর্তিটি মুল মন্দিরের প্রধান প্রবেশ মুখের সামনে নির্মিত। দেখলেই মনে হয় যেন ছাদের উপর বসে আছে।
ছবিটি অনেক কাছ থেকে তোলা হয়েছে, এখানে বোঝা যাচ্ছে তাঁর প্রকান্ডতা
কালচে সবুজের উপর স্বর্নালী ধাতু্র অস্ত্রে সাজানো সামরিক পোশাক পরে বসা বিখ্যাত সেনাপতি গুয়ান ইউ যিনি ইউ শাং বলেও পরিচিত। তাঁর বা হাতে স্বর্নালী রংগের একটি বই না কি যেন বুঝতে পারলাম না, ডান হাত দিয়ে তিনি তাঁর দীর্ঘ দাড়ি ধরে রেখেছেন। একটা জিনিস অবাক লাগলো যে কাছে আসার পর তাঁকে কিন্ত অতটা ভয়ংকর দর্শন লাগছিলো না যা দূর থেকে লাগছিলো।
গেটের পরে ভেতরে ঢোকার পর মন্দিরের দিকে দুদিক দিয়ে চলে গেছে এমন সুদৃশ্য সিলিং সহ করিডোর
গুয়ান ইউর ভাস্কর্য্যের সামনে তিন খন্ড কালো মার্বেল পাথরের উপর স্বর্নালী অক্ষরে লেখা আছে তাঁর পরিচিতি আর সংক্ষিপ্ত জীবনী। ১৬০ খৃষ্টাব্দে বর্তমান চীনের সাংশি প্রদেশে এক শিক্ষিত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহন করেন। পরবর্তীকালে চীনের বিখ্যাত থ্রী কিংডম বা ইস্টার্ন হান রাজত্বকালে তিনি নিজেকে বিখ্যাত এক সেনাপতি ও সমর নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
চারিদিকে এমন লাল পতাকায় শোভিত
তাঁর ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তবে সামরিক ও বেসামরিক বিষয়ে তাঁর প্রভুত জ্ঞ্যান, তার সমর কুশলতা, তাঁর সত্যবাদিতা, তাঁর বিশ্বস্ততা, তাঁর ধর্মপরায়নতা এই সব কিছু গুনাবলীর জন্য চীনারা তাকে যুদ্ধের এক মহান দেবতা হিসেবে গন্য করেন। আর এই কারনেই বিভিন্ন দেশের তাও, কনফুসিয়ান ও বুদ্ধ মন্দিরগুলোতে তাঁর ছবি দেখা যায় এবং সেখানে তিনি পুজিত হয়ে থাকেন। ২২০ খৃস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে এই মহান সমর নায়ক গুয়ান ইউর মৃত্যু হয়।
ছাদ থেকে ঝুলে আছে সুদৃশ্য লাল চাইনীজ বাতি
কোহ সামুইতে প্রচুর চীনাদের বসবাস তাই তারা এই বিখ্যাত যোদ্ধার স্মরনে ১৬ মিটার উচু এই মন্দির নির্মান করেছে যা দূর থেকেও মানুষের নজরে পরে। সামুইর পর্যটকদের কাছে এক আকর্ষনীয় স্থান বলে বই এ উল্লেখ থাকলেও সেদিন আমরা দুজন ছাড়া আর কেউ ছিল না। হয়তো বিকেলের দিকে আসে আমরা তো গিয়েছিলাম সেই ভর দুপুরে।
বিয়ের আয়োজন চলছে। আখ গাছটা দেখা যাচ্ছে এটা বরযাত্রীর সামনে দুজন ব্যাক্তির হাতে থাকে কনের বাড়ীতে যাবার সময়, তারপর গেট ধরা সেই আমাদের মতই সব কিছু।
এই মন্দিরের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এখানে চীনা পরিবারগুলো তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করাকে গুরুত্বপুর্ন বলে মনে করে থাকে। বর বধু ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিরাও এখানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আগ্রহী কারন এখানে এসে তারা গুয়ান ইউর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে যিনি কি না তাদের কাছে চুড়ান্ত সততা এবং আনুগত্যের প্রতীক। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিনও মনে হয় কোন বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রস্ততি চলছিল যা সেদিনের সাজসজ্জা থেকে ধারনা করেছিলাম।
মন্দিরের ভেতরে অপরূপ নকশা যা চীনা শিল্পকলাকে প্রতিনিধিত্ব করছে
লাল মুখের বিশাল দেহী গুয়ান ইউর মুর্তিটি ছাড়াও মন্দিরের ভেতরে সোনালী রঙের চৈনিক নকশায় অপরূপ কারুকাজ, চাইনীজ ক্যালিগ্রাফি দেখে মুগ্ধতার সাথে বিস্ময়ও মিশে ছিল আমার। নকশা করা বিশাল ড্রাম নানা রকম বাতির শেড আর ব্যানার ঝুলছিল ছাদ থেকে যা হচ্ছে সুপ্রাচীন চাইনীজ ঐতিহ্য। এখানে বলতে হয় যে চীনাদের কাছে লাল মুখ আনুগত্য আর ধার্মিকতার প্রতীক।
ঐতিহ্যবাহী চীনা সাজসজ্জা
হঠাৎ করেই এই ঐতিহবাহী স্থাপনাটি দেখা হলো যে সম্পর্কে আমাদের আগে কোন ধারনাই ছিল না। আপনারাও কোহ সামুই গেলে একে দেখে আসতে ভুলবেন না। আর গুয়ান ইউর মুর্তিটি এতই বিশাল যে আমার মোবাইলে তা ধারন করা সম্ভব হয় নি ।
মন্দিরের ভেতরের ১টি ছবি ছাড়া সব আমার মোবাইলে তোলা
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫
জুন বলেছেন: ওরা হেটে হেটে কনের বাড়ি আসে মিছিল করে বিয়ের সব জিনিসপত্র নিয়ে, মেয়ে পক্ষ গেট ধরে তবে খুব সিস্টেমেটিক। কোন হুড়াহুড়ি মারামারি নাই। ৮/১০ বছরের মেয়েরা সাদা ফুলের মালা দুদিকে দাঁড়িয়ে থাকে। এভাবে মোট ১৪ জন সাত স্তরে দাঁড়ানো থাকে। বর সুন্দর পুটুলি বাধা টাকার তোড়া এক জনের হাতে ধরিয়ে দিলে একটা গেট ছেড়ে দেয়। এভাবে সাতটা গেট পেরিয়ে ঘরর ঢোকে বর।
আমার পোস্টে মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সাড়ে চুয়াত্তর।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার ছবি আর ভ্রমণ বয়ান ভালো লাগলো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৬
জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জলদস্যু
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুধু মন্তব্য না আমি কিন্তু লাইকও দিয়েছি।
গেট ধরে যে টাকা চাইতে হয় এই বুদ্ধিটা ওদের দিয়ে দিতেন!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩২
জুন বলেছেন: লাইক দিছেন তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা চুয়াত্তর
কিন্ত আমার পোস্ট আর আপনার আগের মন্তব্য মনে হয় ঠিকঠাক মত পড়েনই নাই
লাল মুখের রহস্য নিয়েও শেষের দিকে লিখছি আর আপনার প্রথম মন্তব্যের উত্তরে লিখছি টাকার তোড়া হাতে দিলে ফুল দিয়ে গাথা সুতার এক মাথা ছেড়ে দেয়। এভাবে সাতটি ফুলের দড়ি টাকা দিয়ে পার হয়ে যেতে হয় বুচ্ছেন!! থাই বিয়ে করবেন্নাকি? এরপর থাই বিয়ে নিয়ে একটা পোস্ট দিবো ভাবছি
আরেকবার এসেছেন তার জন্য অনেক খুশী হয়েছি, ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর ভ্রমণ ব্লগ
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪
জুন বলেছেন: আপনি ভালো বলেছেন তাহলেতো আর চিন্তার কিছু নেই কাজী ফাতেমা ছবি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চীনারা না বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী (সাধারনভাবে), ওগো আবার দেবতা আইলো কোইত্থে? খাপুন কা মানে কি জ্বী কাকা? মানে কাকু? আপনের কাকু প্রেমের রহস্য মনে হয় এতোদিনে বুঝতে পারতাছি! সেনাপতির হাতে ধরা ওইটা বই না, রাজাকারদের লিস্টি। দাড়ি ধইরা চিন্তা করতাছে, কারে কারে মন্ত্রীসভার সদস্য করন যায়, আর কারে কারে ঝুলান যায়।
চীনাদের কাছে লালমুখ আনুগত্য আর ধার্মিকতার প্রতীক এইটা কি শুধু মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? লালমুখের বান্দরও দেখতে পাওয়া যায়। ওদের ক্ষেত্রে কি নির্দেশনা আছে? বান্দর জিনিসটা আমার খুবই প্রিয়, সেইজন্য জানতে চাইলাম আর কি! আশা করি, অন্যভাবে নিবেন না!!!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬
জুন বলেছেন: আমাদের মালয়েশিয়া ভ্রমণের সময় গাইড এক ঝকমকা এক চাইনীজ মন্দিরে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে বিশাল এক মুর্তি। গাইডকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম তার পরিচয়। সেটা হলো চীনাদের অর্থের দেবতা। চীনাদের অর্থের দেবতা ছাড়া নাকি আর কোন দেবতা নাই
আর ইউ শাং ওরপে গুয়ান ইউ তো মানুষ, তবে বৌদ্ধরা ভালো চরিত্রের অধিকারী যারা (আমি যা যা উল্লেখ করেছি) তাদের দেবতার মর্যাদা দিয়ে থাকে। যেমন রাজা ভুমিবলকে মনে করে দেবতা আর উনি নাকি সরাসরি স্বর্গে চলে গেছে।
খাপুন খা বা কা মানে ধন্যবাদ। এক্ষেত্রে মেয়েরা বলে কা, ছেলেরা বলে খাপুন খ্রাপ। সংক্ষেপে খা বা খ্রাপ। প্রতিটি কথার সাথে এই কথাটি না বলা তারা কল্পনাও করতে পারে না ভুয়া। আমি একটা জিনিস খিয়াল করছি সেটা হলো আপনি আমার কাকুকে কেন জানি উনি আমার অনেক পছন্দের জানেনই তো
লাল মুখ দেখা যায় চীনা অপেরার ভালো মানুষদের মুখের রংগে। এখন যার যেমুন নজর, কেউ দেখে অপেরা, আবার কেউ দেখে বানর
মজার একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়
৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আজ দেখি সব সেলিব্রেটি ব্লগাররা পোষ্ট দিচ্ছেন!!!
আপাতত চোখ বুলিয়ে গেলাম- আপনার লেখায় রসিয়ে মন্তব্য করতে হবে
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
জুন বলেছেন: সেলিব্রিটি ব্লগারের কোটায় আমার নাম দিয়েন্না শেরজা তপন। আমি হোলাম অতি নগন্য ব্লগার যাকে বলতে পারেন আমি ব্লগার
আপনার রসিক মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম কিন্ত
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
লালে লাল পোস্ট !
মনের আনন্দে থাইল্যান্ড চষে এই দেবতারে ফলিয়ে ব্লগে লাল চায়নীজ বাত্তির মতো ঝুলিয়ে দিলেন !!
অঙ্গভঙ্গি দেখে তো মনে হয় যমদূত! ভুয়া মফিজ এর কথাই মনে হয় ঠিক- "দাড়ি ধইরা চিন্তা করতাছে, কারে কারে মন্ত্রীসভার সদস্য করন যায়, আর কারে কারে ঝুলান যায়।"
তবে আপনার মোবাইলে গুয়ান ইউর বিশাল মূর্তিটি ধারন করা সম্ভব না হলে, মূর্তির যে দু'টো ছবি দিলেন তা কার মোবাইলের ? কপি পেষ্ট ?
শুধু ব্লগ বতুতাকেই নয় একই সাথে ব্লগের "থাই এ্যাম্বাসেডর"কেও সাধুবাদ কোহ সামুইকে পরিচিত করিয়ে দেয়ার জন্যে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫
জুন বলেছেন: লালে লাল পোস্ট ! লাল পেলেন কই আহমেদ জী এস !! এখানেতো কালচে সবুজ পোশাকে বসা এক বিশাল সেনাপতি যাকে দেখে আমি দূর থেকেই ভয় পেয়েছি :-&
লিখেছেন মনের আনন্দে ঘুরছি কি যে বলেন মনে আর আনন্দ নেই, এই করোনার ঘনঘোরে বিমর্ষ মন নিয়ে পুরনো স্মৃতি নিয়েই জাবর কেটে চলেছি । ভালো কথা মনে হলো আপনি তো আবার চিকিৎসক, আমার হলো গিয়ে দুই দিন ধরে মাথা ব্যাথা আর সাথে নাক দিয়ে মাঝে মাঝে ওয়াসার পানি। কি হয়েছে আমার বলেন তো ! আমার তো চিন্তা ভাবনায় দিন রাত ঘুমই আসে না
ভুয়ার মন্তব্যের উত্তরে কথাটা লিখতে ভুলেই গিয়েছিলাম তাই এখানেই বলি বলছিলাম কি এই কথা যদি ভুয়া আফগানিস্থান নিয়া বলে তাইলে আমার দুইখান কতা আছে, কিন্ত এইটা যদি বংগদেশ নিয়া বলে তো আর কোন কথা নাই
তবে আপনার মোবাইলে গুয়ান ইউর বিশাল মূর্তিটি ধারন করা সম্ভব না হলে, মূর্তির যে দু'টো ছবি দিলেন তা কার মোবাইলের ? কপি পেষ্ট ? না না আমারই তোলা , যেটা তুলিনি সেটার নাম উল্লেখ করে দিয়েছি । দূর থেকে তোলা কিন্ত সে যে কি প্রকান্ড তা সামনে থেকে তোলা দুস্কর । তাও আপনাকে একটা নমুনা দেই দেখেন
এটা সবচেয়ে কাছ থেকে তুলেছিলাম কিন্ত মাথা মুন্ডু কিছুই বোঝা যাচ্ছে না , দেখা যাচ্ছে খালি গুয়ান ইউর ঠ্যাং
মজাদার এক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন আর সবসময় সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা রইলো ।
৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বনি, ছবি + পোস্ট সবটাই চমতকার হয়েছে তার জন্য লেখায় +++।
সব কিছুর ধারা বিবরণী ই ভাল লেগেছে তবে সবচেয়ে ভাল লেগেছে বিয়ের আয়োজন ।তা দেখে মুনচায় আরেকবার ------------- (যদিও বয়স নাই)।
তার থেকে এই ভাল মন্ধিরে যাই গিয়ে সাধন-ভজন করি দেবতার।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯
জুন বলেছেন: পোষ্টটি পড়া, মন্তব্য করা আর সাথে এত্তগুলা প্লাস দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
বয়স কোন ব্যাপার না, থাই মেয়েরা খুবই ভালো গৃহ বধু হয়ে থাকে যতক্ষন না তাঁর সহ্যের সীমা অতিক্রম না করেন ।
তার থেকে এই ভাল মন্ধিরে যাই গিয়ে সাধন-ভজন করি দেবতার।
আপনার এই কথায় মনে পরলো একবার উড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বর বেড়াতে গিয়েছিলাম পুরী থেকে ট্যাক্সি করে। যেতে যেতে কোনার্কের মন্দির , চন্দ্রভাগা বীচ, দয়া নদী, সম্রাট অশোকের বানী ইত্যাদি। তো ভুবনেশ্বর শহরে যা দেখার ছিল দেখা হলো যা শেষ হলো এক বিশাল মন্দিরে। এবারের গন্তব্য একটি চিড়িয়াখানা নাম নন্দন কানন। ট্যাক্সি ড্রাইভার ভাংগা ভাংগা উড়িয়া আর বাংলায় আমাদের উপদেশ দিল তোমরা বুড়া মানুষ আছো তো তোমরা বাঘ ভালু দেখে কি করবা তাঁর চেয়ে এই মন্দিরে বসে ভগবানের নাম করো সেটাই ভালো হপে
৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: অতি মনোরম একটি পোষ্ট। খুব উপভোগ করলাম।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০
জুন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে রাজীব নুর
১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৮
এইচ তালুকদার বলেছেন: দারুন লাগলো। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২
জুন বলেছেন: দারুন লাগলো জেনে খুব ভালো লাগলো এইচ তালুকদার । ধন্যবাদ আপনাকেও ।
১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আজকে আমাকে বড় একটা কমেন্ট করতেই হবে।
প্রথমত- গুয়ান ইউয়ের দাঁড়ি নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকেই কমেন্ট করেছেন তবে আমি কিন্তু না পড়ে সৈনিক দেবতাকে ভয় পাইনি।যে মুহূর্তে পড়লাম ওনার কাছে গেলে অতটা ভয়ানক লাগেনা। তখনই আমার উল্টো মনে হলো। আমার ভীষণ ভয় করতে লাগলো।মনে হলো মাথায় ডান্ডা কষিয়ে দেয়। অনেক বছর আগের কথা। ট্রেনে করে গুয়াহাটিতে যাওয়ার সময় বম্মপুত্র পার হয়েই বিরাটাকার মহাদেব মূর্তিটির দেখে মনে হল এই বুঝে মাথায় খসে পড়ছে। ধ্যানে উপবিষ্ট মহাবীরের সঙ্গে এই মূর্তিটির অনেকটা সাদৃশ্য পেলাম।
আপু বৌদ্ধ মন্দিরে ঢোকার সময় যে ভাগ্যচক্রে হাত দিতে হয় আপনাদের সেরকম করতে হয়নি? আমাকে সিমলা, দার্জিলিং এমনকি ভুটানের ফুন্টসিলিংএ বৌদ্ধ মন্দিরে প্রবেশের আগে নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ মতো ভাগ্যচক্রে হাত দিয়ে চাকা ঘোরানোর প্রাথমিক শর্ত পূরণ করে তবে মন্দির দর্শনের সুযোগ পেয়েছিলাম।
তবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অহিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ থাকায় বন্ধুদের জিনিসপত্র নিয়ে বাইরে থেকে গেছি। পুরীতে সম্ভবত চৈতন্য দেবের মাসির বাড়ি না পিসির বাড়ি কোনো একটা জায়গায় লেখা ছিল আপনি যদি মাথা নিচু করে প্রণাম করতে না পারেন তাহলে ঢুকবেন না। কাজের সে মন্দিরেও আর ঢোকা হয়নি।
ভুটানের লেপচা জগতে বছর 4/5 এর আগে আমরা যে হোমস্টৈতে ছিলাম তার পাশেই দুই পাহাড়ি উপজাতি সম্প্রদায়ের তরুণ তরুণীর বিবাহ হচ্ছিল। আমি আগ্রহনিয়ে সেই বিবাহ দেখছিলাম।বিবাহ উপলক্ষে ওরা একটি কাঠের বিগ্রহকে সাদা কাপড় পড়িয়ে সকলে সেই কাপড়ের মূর্তির সামনে টাকা পয়সা জমা করছিল। কেন করছিল সেটা যদিও ভাষা সমস্যার কারণে বুঝতে পারেনি। কিন্তু যেই মুহুর্তে আমি ওখান থেকে উঠে চলে আসার জন্যে উঠে দাঁড়াই তখন উপস্থিত কয়েকজন আমার দিকে এদের করে ছুটে আসেন কিছু টাকা ওখানে ফেলতেই হবে। এটুকু আকার-ইঙ্গিতে বুঝেছিলাম যে নইলে তাদের অমঙ্গল হবে। আমি অবশ্য যৎসামান্য সেলামি দিয়ে ওদের হাত থেকে রেহাই পাই।
ভালো থাকবেন আপু সবসময়
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১
জুন বলেছেন: খাইছে এত বড় উটের রচনা দেইখা আমার ব্যাথাওয়ালা আরও ঘুরুন্টি দিয়ে উঠলো পদাতিক এই মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে কিছু হলে আপনি দায়ী থাকবেন
আসলে কাছে আসলে ইউ শাং এর মুখটা কিন্ত বেশ মায়াময়, অতটা হিংস্র না যতটা দূর থেকে লাগে । আমরা গোহাটি গিয়েছিলাম শিলং থেকে তাই ঐ বিশাল মুর্তিটি দেখিনি । আমি অনেক বৌদ্ধ মন্দিরে প্রবেশ করেছি কিন্ত কখনো কোন বাধার সম্মুখীন হইনি তবে পুরীতে যেহেতু লেখা আছে অনলি হিন্দুস আর এলাউড তাই আমরা তাদের ধর্মের প্রতি সন্মান দেখিয়ে বাইরে থেকেই দেখেছি । পুরী আমি দুবার গিয়েছি আর কটকি শাড়ি কিনেছি । আপনার ভাই ওখানকার রসগোল্লা খাবার জন্য নাকি আবার যাবে পুরী
জগন্নাথের পিসি বা মাসীর বাড়ি গুন্ডীচার মন্দির আমি যাইনি তবে দূর থেকেই দেখেছি । আমরা উপভোগ করেছি পুরীর সমুদ্র । কি পরিস্কার হাল্কা পান্না সবুজ পানি যেটা খুব কমই দেখা যায় ।
টাকা দেয়ার কথা বললেন ভুটানে এটা মনে হয় বৌদ্ধ রীতি । আমি একটি বিয়েতে উপস্থিত ছিলাম আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সেটা নিয়ে লিখবো একদিন পইড়েন কিন্ত। ওরাও বর বধুকে আশীর্বাদ করে সবাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা উপহার দেয় । ভালোই সিস্টেম কিন্ত যাই বলেন ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটা মজার সাথে আন্তরিক মন্তব্য করার জন্য ।
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: এখানে গিয়ে একটা বিবাহ করে আসতে হবে দেখছি ।
সেনা পতি সাহেবের বসার স্টাইলটা বেশ লাগছে । তার অন্য হাতে ঐ কি?
পোস্টে প্লাস দিয়ে গেলাম যদিও এই পোস্ট দেখলে বুকে কেবল হাহাকারই জন্মে ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮
জুন বলেছেন: তাড়াতাড়ি যান অপু তানভীর এখন করোনায় লোকজন কম, হয়তো ভেনু খালি পেয়েও যেতে পারেন। সেনাপতির এক হাতে দাড়ি আরেক হাতে বই নাকি বুঝতে পারছি না। এখনকার যুগ হলে বলতাম ট্যাব
হাহাহার মেশানো মন্তব্যে অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো, সাথে শুভকামনা
১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৪
কামাল১৮ বলেছেন: বহু বছর আগের কথা ,আমার মধ্যস্থতায় বিবাহ।বর স্বরাষ্ট মন্ত্রীর শালা পাত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোনের শশুর বাড়ীর আত্মিয়।বরপক্ষে আওরঙ্গ কন্যা পক্ষে মির্জা আব্বাস।গেটের টাকা নিয়ে তুমুল গন্ড গোল।বিয়ে ভেঙ্গে যায় এমন অবস্থা।বর আমার বন্ধু মানুষ, ডেকে বললো এই নিন টাকা ওরা যত টাকা চায় দিয়ে সমাধান করুন।ওটাই আমার মধ্যস্থতায় প্রথম এবং শেষ বিয়ে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৬
জুন বলেছেন: আমাদের দেশে গেট ধরা নিয়ে যেমন বেশ একটা হাল্কা চাপান উতোর চলে ওইখানে তা নাই। তারা সব সময় সতর্ক থাকে যে তাদের অজান্তেই ইমপোলাইট কিছু বলা বা করা হয়ে গেল নাকি! তাদের গেট ধরার ছবি দিলাম দেখেন, কনের কাছে যাবার জন্য মেয়ে পক্ষ তিনটি স্তরে মালার গেট বানিয়েছে, এটা সাতটা পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রাচীন নিয়ম ছিল স্বর্নের চেইন দিয়ে গেট ধরা। এখানে বরকে তিনটি প্রশ্ন করা হবে, বর উত্তর দিতে পারলে গেট খুলে দেয়া হবে। কিন্তু এখন অল্প কিছু টোকেন টাকা দিয়েই ঝামেলা চুকিয়ে ফেলে। ভাবছি আমার দেখা থাই বিয়ে নিয়ে একটা পোস্ট দিবো
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২১
হাবিব বলেছেন: ভ্রমণব্লগ ও ছবি ভালো লেগেছে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭
জুন বলেছেন: ধন্যবাদ হাবিব স্যার সাথে শুভকামনা সবসময়।
১৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:২১
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ভ্রমণের গল্প, ছবি এবং এদের সাথে কিছু ইতিহাস ,কিছু স্থানীয় প্রথার বর্ণনা। চমৎকার লেগেছে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো তমাল।
১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: ভাল লাগল
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪
জুন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আইনেস্টাইন
১৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮
আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: সব এমন ফাকা ফাকা কেন? আর কোন পর্যটক ছিলো না?
বিয়েতে বরপক্ষের নামে ঢুকে একটু খেয়ে দেয়ে আসতেন
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
জুন বলেছেন: পর্যটকরা সব মেরিন পার্কে মনে হয়। আর তখন ছিল দুপুর তাই হয়তো লোকজন কম। এখানে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় খুব ভোরে আর রাতে হয় খানাপিনা। মনে হয় পরদিন এর জন্য সাজসজ্জা করছে।
১৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৮
সোহানী বলেছেন: থাইল্যান্ড এ যাবার আগে আপনার পরামর্শ শিরধার্য। শীঘ্রই একটা পরামর্শ বুথ খুলেন।
যদি কখনো যাই অবশ্যই দেখতে যাবো এটি। তবে থাই বিয়ে নিয়ে আগ্রহ বাড়লো। অবশ্য্ই এ নিয়ে লিখবেন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৭
জুন বলেছেন: আমি ভাবছি থাইল্যান্ড নিয়ে একটা বই লিখবো আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে, যাতে থাকবে তাদের সাহিত্য সংস্কৃতি ছাড়াও ভ্রমণের উপর বিস্তারিত লেখা। আমাদের সাথে চিয়াং রাই ভ্রমণে গিয়েছিল দুটো আর্জেন্টাইন মেয়ে। তারা এক সেকেন্ড কি দেখলো, দুটো ছবি তুল্লো তারপর দেশে গিয়ে নাকি বিশাল এক বই লিখে ফেলেছে থাইল্যান্ড ভ্রমণ নিয়ে। তাদের সাথে আমার যোগাযোগ আছে মেইলে। আর আমি থাইল্যান্ডের প্রতিটি এলাকায় পদচিহ্ন রেখেও কিছু লিখলাম না এইটা কি ঠিক সোহানী কউ
আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে
১৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পোস্টের শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম গুয়ান ইউ হয়ত কোন পৌরাণিক চরিত্র হবেন, তবে পোস্ট পড়ে বুঝলাম তিনি বাস্তবের চরিত্র। একজন যোদ্ধার স্মরণে নির্মিত মন্দিরে বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণ কি?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০১
জুন বলেছেন: যোদ্ধাটি অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ, সৎ এবং ধার্মিক এইজন্যই তার আশীর্বাদ লাভের আশায় এখানে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে আসে। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা। ভালো থাকুন সব সময়।
২০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: যথারীতি চমতকার লেখা এবং প্রাসংগীক ছবি।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০২
জুন বলেছেন: লেখাটি পড়া ও আন্তরিক একটি মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২২
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ডিসেম্বর থাইল্যন্ডে ২ সপ্তাহ ভ্রমনের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আমার একজন বন্ধু আসবে সুইডেন থেকে।
কোভিড কালিন সময়ে থাইল্যন্ড ছিল মৃত। ধীরে ধীরে যদি পুর্বের অবস্হায় ফিরে আসতেছে শুনেছি।
তরুন ভ্রমণকারীদের থাইল্যন্ড সুস্হ বিনোদনের ব্যবস্হা কি? আপনার মত তো এত ঘুঁটি-নাটি ঘুরের অবস্হা নাই?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৬
জুন বলেছেন: ডিসেম্বর খুবই ভালো সিজন থাইল্যান্ড বেড়ানোর জন্য কারন এই গা পুড়ে যাওয়া গরমটা একটু কম থাকে । কোভিডে থাইল্যান্ড এর অবস্থা খুব খারাপ কলিমুদ্দি । পর্যটন শিল্প ও তাঁর সাথে জড়িতদের অবস্থা শোচনীয় । আপনি কি ধরনের ভ্রমন আর বিনোদন চান তা সেখানে অসংখ্য ট্যুর অপারেটর আছে তাদের অনেক প্রোগ্রাম আছে আপনি দেখে চয়েজ করতে পারবেন । যেমন আমরা দুজন যখন আমার ছেলেকে নিয়ে সমুদ্র কিনারে বেড়াতে যাই তখন আমার ছেলে জেট স্কি চালানো, কায়াকিং , স্নরকেলিং , সুইমিং প্যারাগ্লাইডিং এসব অপশন পছন্দ করে । আমারা তখন বীচের পাশের রেস্তোরায় বসে খানাপিনা করি আর সমুদ্রের পান্না সবুজ ঢেউ উপভোগ করি । তবে ঐতিহাসিক কিছু যা আমরা দেখতে পছন্দ করি তা সে পছন্দ করেনা অত । আমার মনে হয় আপনি ট্যুর অপারেটর বা নেটে সার্চ দিয়ে দেখেন । গত বার যখন চিয়াং মাই বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন দই ইনথানন দেখতে এক কোরিয়ান মা মেয়ে আমাদের সহ পর্যটক ছিল । অত্যন্ত ভদ্র আর কোমল দুজনাই মেয়েটি আমাদের দফাদার ভাবী নয়তো
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওরাও বিয়ের সময় গেট ধরে নাকি, জানতাম না। মানুষের মুখ কি লাল হয় নাকি!