নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পশ্চিমের পথে এক গুনাহগারের পবিত্র ওমরাহ যাত্রা

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩

মদীনার মসজিদে নববীর মাঝে এই স্থানটির নাম রিয়াজুল জান্নাত অর্থাৎ দুনিয়ার বুকে এক টুকরো বেহেশত । সেই রিয়াজুল জান্নাতের গম্বুজের মাঝে অসাধারন কারুকাজ করা ঝাড় লন্ঠন
বেশ কয়েক বছর আগের কথা থাইল্যান্ড হয়ে লাওস ঘুরে এসে দেবরের মুখোমুখি হোলাম। সে আমারই ক্লাশমেট, লন্ডন থেকে পোস্ট ডক্টরেট করা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, হাভেভাবে বেশ ভারিক্কী। মুখ তুলে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলো "কই গিয়েছিলে"। আমি জানালাম, সাথে সাথে তার বড় ভাইয়ের সামনেই আমাকে ধমক দিয়ে বল্লো "ঐ দিকে ক্যানো ! পশ্চিমে যাও, পশ্চিমে যাও "। প্রসঙ্গত সে খুব ধার্মি্‌ক, তবে গোড়া নয়। তার ধমক খাওয়ার পর থেকেই আমি অনেকবার পশ্চিমে যেতে চেয়েছি কিন্ত সুযোগ হয় নি। একটা কথাই প্রচলিত আছে যে আ;ল্লাহ না চাইলে তুমি হাজার চেষ্টা করেও তার ঘরে যেতে পারবে না ।

রাতের আধারে মসজিদে নববী
শেষ পর্যন্ত সব বাধা দূর করে আমরা ১৪ জনের এক দল এই ফেব্রুয়ারীতে পবিত্র ওমরাহর উদ্দেশ্যে মক্কার পথে রওনা দেই । তবে আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল মদীনা। কারন প্রথমে মক্কা গেলে আমাদের ঢাকা থেকে নিয়ত করে প্লেনে উঠতে হতো আর আমাদের পুরুষ সংগীদের ইহরাম বাধতে হতো। তাই মনে হয় প্রথম মদীনায় যাই। মদীনা থেকে মক্কা যাওয়ার পথে এক মসজিদে থেমে আমরা দু রাকাত নামাজ পড়ে ওমরাহর নিয়ত করি। ছেলেরা ইহরাম পরেই বাসে উঠেছিল।
এই আমাদের প্লেন দুবাই এর পথে, আমরা এখন হরমুজ প্রনালী অতিক্রম করছি
সকালে এমিরেটস এর ফ্লাইটে রওনা হোলাম, দুবাই ট্রানজিট, কিন্ত সেখানে পৌছে গেট খুজে জায়গা মত পৌছাতেই শুনি বোর্ডিং এর জন্য ডাক। প্রায় দুই ঘন্টার উপর ফ্লাই করার পর সৌদী আরব সময় বিকালে মদীনায় পৌছাই। এখানে একটা জিনিস দেখে খুব অবাক হয়েছি সেটা হলো ইমিগ্রেশনের সমস্ত অফিসাররা মহিলা। আমার স্বামীর আঙ্গুলের ছাপ উঠছিল না বলে তাকে এক নম্বর কাউন্টারে পাঠালো কারন সেখানে একমাত্র পুরুষ অফিসার বসে আছে। সেই ভদ্রলোক তার আঙ্গুল ধরে মুচড়ে টুচরে ছাপ বের করলো কারন সেদেশে মহিলারা তো পুরুষকে টাচ করবে না । সব ঝামেলা চুকিয়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে লাগেজ নিয়ে আরেক প্রস্থ চেক করে বাইরে বের হয়ে আসলাম । লোকজন, ভীড়ভাট্টা, কম, বেশিরভাগই আসে জেদ্দা এয়ারপোর্ট হয়ে মক্কায়।
আলো ঝলমল জেদ্দা এয়ারপোর্ট
যাক সারাদিন জার্নি করে ক্লান্ত শ্রান্ত আমাদের জন্য রিজার্ভ করা বাসে করে হোটেলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে মদীনা সময় রাত ১০ টা। রুম পেতে পেতে এগারোটা। সেদিন আর কোনদিকে না গিয়ে সোজা বিছানায়। ঘুমের অতল তলে। ভোরে আমাদের হোটেলের একেবারে কাছেই মসজিদে নববীর সামনে এসে দাড়ালাম, সামনের দিকে ছাতার মত চাদোয়া যেন রোদ না লাগে মুসুল্লীদের। সুউচ্চ মিনার সাথে সবুজ গম্বুজ যার নীচেই রসুল (সাঃ) এর রওজা মোবারক যার সাথে আছেন তার প্রিয় সাহাবী হযরত আবু বকর রা: আর ওমর (রাঃ)।
মসজিদে নববীর সামনে ছাতার মত অপরূপ কারুকাজ করা চাদোয়া যা চিন্তা করেছিলেন কিং আবদুল্লা বিন আবদুল আজিজ
চোখের সামনে এইসব দেখে অপার্থিব এক ভালো লাগায় মনটা আপ্লুত হয়ে উঠলো। মনে পরলো ওয়াইজ কুরুনীকে নিয়ে গাওয়া ট্রেনের সেই অন্ধ ভিক্ষুকের গানের কলিগুলো। আলী নবীজির মৃত্যু সংবাদ নিয়ে তার কাছে যেয়েও যখন বলতে পারছি্লেন না, তখন ওয়াইজ কুরুনি তাকে জিজ্ঞেস করেছিল "কোথা হইতে আসছো তুমি কোথায় ঠিকানা"! আলী (রা: ) উত্তর দিয়েছিলেন, "মদীনা শহরে ঘর, শশুর আমার পয়গম্বর, গায়ের জামা পাঠাইয়াছে আপনারাই কারন"। ওয়াইজ কুরুনী বুঝতে পারলেন এ কথার রহস্য কি। কথিত আছে এরপর মুহুর্তেই তিনি মারা যান।
মদীনার মসজিদে নববীর ওসমান বিন আফফান গেট
ছল ছল চোখ নিয়ে নামাজের জন্য মসজিদের দিকে এগিয়ে গেলাম। কত গুনাহগার আমি, নবীজির সাফায়াত কি আমি পাবো! আল্লার রহমত কি আমার উপর বর্ষিত হবে! আস্তে আস্তে আমাদের দলের ছয় জন মহিলা সহ মসজিদের ভেতরে বেছানো নরম সবুজ চোখ জুড়ানো কার্পেটের উপর জায়নামাজে গিয়ে বসি। বিশাল মসজিদ অনেক মানুষ কিন্ত কোন শোরগোল নেই, নেই কোন আওয়াজ। সাদা উচু উচু স্তম্ভ, কারুকার্য্যময় কাঠের বেড়া দিয়ে মেয়েদের নামাজের এলাকাটি আলাদা করা। মসজিদে সবার জায়গা হয় না তারা বাইরে কার্পেটের উপর বসেছে নামাজের উদ্দেশ্যে।
মসজিদের ভেতরে পথের দু পাশে সারি সারি সাদা সাদা ড্রামে জমজম কুয়ার পানি আর গ্লাস। কেউ খাচ্ছে কেউ বোতল ভরে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই একসাথে বসতে না পেরে যে যার মত বসে পরি ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য।

চলবে
সব ছবি আমার তোলা তবে বেশি বেশি ছবি বা নিজেদের ছবি তোলার মত মন ছিল না

পশ্চিমের পথে এক গুনাহগারের পবিত্র ওমরাহ যাত্রা(২য় পর্ব)

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু এইমাত্র লগ আউট করতে যাচ্ছিলাম। যদিও সময় নিয়ে আবার আসছি।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১

জুন বলেছেন: পদাতিক অনেক অনেক দিন পর ব্লগে এসেই তোমাকে দেখতে পেয়ে, তোমার মন্তব্য খুব ভালোলাগছে। মহা জজঅনেক দিন পর ল্যাপটপে হাত দিয়ে দেখি পাসওয়ার্ড মনে নেই , অভ্র থেকে ইংরেজীতে যেতে পারি না এক মহা ঝঞ্ঝাট । যাই হোক প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্ত্রিক ধন্যবাদ জেনো । পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা রইলো বাসার সবার প্রতি ।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ কয়েক বছর আগে ওমরাহ হজ করেছেন, আসল হজ এখনো হয়নি আপু?
ওমরাহ বলে মনে হয় এতোটা শান্ত কোলাহল মুক্ত পেয়েছেন। সাদা ড্রামে যে জমজম কুয়োর পানি ছবিতে দেখলাম ওগুলো কি গ্লাসের মতো না কি অনেকটাই বড়?

রমাদানের শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

জুন বলেছেন: না পদাতিক এই গত মাসেই ওমরাহ পালন করলাম। দেবরের ঝাড়ি খেয়েছিলাম অনেক আগেই। আসলে আমি নিজেও বেশ কয়েক বছর ধরেই এমনটি চাইছিলাম কিন্তু তোমার ভাইয়ের ফুরসত হয় নি। এ বছর থেকে তো সৌদি বাদশাহ আইন করেছে মাহরাম ছাড়া মহিলারা হজ্বে যেতে পারবে, আগে তো ছিল না।
ওমরাহ হলেও অনেক ভীড় ছিল, স্থানীয় অনেকে বলছিল এমন ভীড় তারা হজ্ব ছাড়া দেখেনি।
তুমি যেগুলো দেখছো ওগুলো জমজম পানি ভরা প্লাস্টিকের ড্রাম। পাশেই প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম ইউজ করার জন্য থাকে থাকে গ্লাস আছে।
আরেকবার আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ তোমাকে। এই রমজানে আমাদের মন থেকে হিংসা-বিদ্বেষ, কু-প্রবৃত্তি মুছে যায় এই প্রার্থনা থাকলো.।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



নিজকে কি কারণে গুনাহগার মনে হয়?

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১৬

জুন বলেছেন: আমার মনে হয় দুনিয়ায় যত জীবিত মানুষ আছে তারা সবাই একটু হলেও গুনাহগার। আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেকদিন পরে এলেন আপু ব্লগে। খুব ভাল লাগল আপনার ওমরাহ্‌ যাত্রার কাহিনী পড়ে ।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২০

জুন বলেছেন: আসলেই অনেক দিন পরই ঢাবিয়ান। সামুর পাসওয়ার্ড, ল্যাপটপ এর পাসওয়ার্ড সবই ভুলে গিয়েছিলাম। আমার ওমরাহ যাত্রার কাহিনি কিন্তু এখনো শেষ হয় নি। সাথে থাকবেন আশাকরি।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: দুনিয়ার বুকে এক টুকরো বেহেশত রিয়াজুল জান্নাত এ পবিত্র ওমরাহ যাত্রার ভ্রমণ বৃত্তান্ত ভাল লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

জুন বলেছেন: আমার লেখাটি পড়েছেন মন্তব্য করেছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে গেয়োভুত। ভালো থাকবেন আর সাথে থাকবেন পরবর্তী পর্বগুলোতে।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো লাগলো ওমরার বর্ণনা। এখন ওমরা এবং হজ্জ দুইটারই খরচ অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের দেশের চেয়ে ভারত এবং পাকিস্তানে হজ্জের খরচ সব সময় কম।

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫

জুন বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে আমারও অনেক ভালো লাগলো সাড়ে চুয়াত্তর। জী হজ্বে প্রায় এক লাখ আশি হাজার টাকা বেড়েছে। তবে তেমন সাড়া না পাওয়ায় ১১ হাজার টাকা কমিয়েছে সরকার। যেই ব্যাক্তিকে এক লাখ আশি হাজার টাকা অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি দিতে হবে সেকি এগারো হাজার টাকা দিতে অক্ষম! সরকারের যত তুঘলকি কারবার।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৯

জিকোব্লগ বলেছেন:

ঝাড় লণ্ঠনগুলো খুবই সুন্দর। উপরে আমার তোলা একটা লন্ঠনের ছবি দিলাম।

পুরা মসজিদে নববী-ই সত্যিই অনেক সুন্দর। মসজিদে হারামের চেয়ে মসজিদে
নববী-ই আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর মনে হয়েছে।

মদিনায় থাকাকালীন সময় মনে এমন শান্তি অনুভব হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত অন্য
কোথায়ও অনুভব হয় নি। মদিনায় আবার যেতে চাই এবং সব মুসলিমদের জীবনে
একবার হলে মদিনায় যাওয়া উচিত বলে মনে করি।

ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তানে যেকোন মাজার যিয়ারতে যান , আপনার কাছে
থেকে টাকা নেওয়ার জন্য কাড়াকাড়ি করবে। মক্কা মদিনায় এই ধরণের টাকা
বা দান নেওয়ার কোনো প্রথায় নাই। এটাও আমার কাছে ভালো লেগেছে ও
বেশ অবাক করেছে। এই জন্য এখনো একটা প্রশ্নের এখনো উত্তর পাই নি ,
সেটা হচ্ছে মাজারে দান / টাকা নিয়ে কাড়াকাড়ি কে বা কারা চালু করেছে ?!


আপনার ওমরাহর যাত্রা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩

জুন বলেছেন: আপনার তোলা ছবিটি অপুর্ব জিকো। রিয়াজুল জান্নাত আপনাদের দিক থেকে অনেকটা কাছে। মেয়েদের যেহেতু কবর জিয়ারত করা নিষেধ তাই আমরা একটা নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত ছিলাম।
মদিনায় থাকাকালীন সময় মনে এমন শান্তি অনুভব হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত অন্য
কোথায়ও অনুভব হয় নি। মদিনায় আবার যেতে চাই এবং সব মুসলিমদের জীবনে
একবার হলে মদিনায় যাওয়া উচিত বলে মনে করি।
আমারও একই কথা। এত শান্ত, নিরাপদ শহর আর নাই। সেখানে প্রচুর চিটাগং এর লোক কাজ করে। এ ব্যাপারে তাদের সাথেও অনেক কথা হয়েছে।
টাকা দেয়ার ব্যাপারটি নিয়ে আমি পরবর্তী পর্বে আলাপ করবো সেই পর্যন্ত সাথে থাকুন।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেকদিন পর পেলাম আপু কে, চমৎকার মন ভালো করা একটা পোষ্ট নিয়ে ফিরে আসায় স্বাগত !
অনেক ভালো লেগেছে বর্ণনা। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা।।

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

জুন বলেছেন: আসলে মনিরা কিছুদিন মনটা অস্থির ছিল কেমন একটা খারাপ লাগা। যাকে বলতে পারো ডিপ্রেশন। তারপর ওমরাহ থেকে ফিরে এসে দুজনেই জ্বর কাশিতে না না কোভিড না, বুস্টার সহ মোট ভারটে টিকা নেয়া।
তোমার মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। পরের পর্বেও সাথে থেকো কিন্তু।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: তাইতো বলি কোথায় গেলেন আপনি অনেকদিন ধরে দেখছিলাম না ব্লগে একটু চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন!
যাক বিশাল পূন্যের কাজ করে আসলেন। গ্রেট - সাথে আছি

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

জুন বলেছেন: আমাকে যে এত মানুষ ভালো বাসে, এত মানুষ খোজ নেয় তার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞ আমি শেরজা তপন। ভালো ছিলেন আশাকরি।
পাপ পূন্য জানি না তবে সেখানে গিয়ে মনটা অনেক ভালো হয়ে গেছে। মদীনা যাকে মানুষ বলে সোনার মদীনা আসলেও তাই। চারিদিকে নির্জন নিরিবিলি পরিবেশ। এই যে এত মানুষ তাও শান্ত। পরের পর্বে সাথে থাকবেন অবশ্যই।

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: জুন, বেশ অনেকদিন ধরে আপনাকে ব্লগে অনুপস্থিত দেখে ভাবছিলাম আপনার কী হতে পারে। বেশ কয়েকবার আপনি হয় পোস্টে না হয় মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে উল্লেখ করেছিলেন বলে মনে পড়ছে যে আপনার ব্লগের বর্তমান পরিবেশ ভালো লাগছে না। তাই ভেবেছিলাম হয়তো আপনি কিছুদিনের জন্য ব্লগ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু এখন আপনার এ পোস্টটা পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি কত একটা ভালো কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
মাবরুক! অভিনন্দন! আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আপনার সকল নেক নিয়্যাৎ এবং নেক আমলসমূহ কবুল করে নিন!
ব্লগে পুনঃপ্রত্যাবর্তনে সুস্বাগতম!

২৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯

জুন বলেছেন: জনাব খায়রুল আহসান প্রথমেই আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আমাকে এতটা মনে করার জন্য। আমি দেখেছি আপনি আমার কয়েকটি পোস্টে মন্তব্যের মাধ্যমে আমার খোজ নিয়েছেন। এখানেই ফুটে ওঠে একজন মানুষের মহানুভবতা, পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি।
আপনি ঠিকই বলেছেন একটা সময় সত্যি ব্লগে আমার আসতেই ইচ্ছে করে নি। নুরু ভাইয়ের মৃত্যুটা আমাকে ভীষণ ভাবে নাড়া দিয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে মনটা খানিক শান্ত হলে আমি ওমরাহ পালনের সিদ্ধান্ত নেই।
আপনি তো জানেনই আমি ইতিহাসের ছাত্রী। আমাদের একটা পেপার ছিল ইসলামের ইতিহাস। সে সময় আমি অত মন দিয়ে সেই ইতিহাস পড়িনি। কিন্ত এবার যখন নিজ চোখে সেই স্থানগুলো দেখলাম তখন আবার হাতড়ে হাতড়ে স্মৃতির পাতাগুলো খুলে দেখলাম। এখন মনে হয় আমি কিছুই ঠিকমত কর‍তে পারি নি। আবার যদি যেতে পারতাম।
অনেক অনেক ভালো থাকুন। দোয়া রইলো আপনার ও আপনার পরিবারের সবার জন্য।

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এখনো যাওয়ার সুযোগ হলোনা নসিবে। ইচ্ছে আছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ একদিন ইচ্ছে পূরন করবেন।

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

জুন বলেছেন: যাবেন ইনশাআল্লাহ। সত্যি ভালো লেগেছে অনেক জলদস্যু। মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হচ্ছে নানান ঝামেলায়। আশাকরি কিছু মনে করবেন না। অনেক ধন্যবাদ রইলো

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: বর্ননা পড়ে ভাল লাগল। ইনশাল্লাহ একদিন যাব সেখানে।

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

জুন বলেছেন: অবশ্যই যাবেন। আমার খুব ভালো লেগেছে। মনে হয় আবার যাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




অনেক অনেক দিন পরে আপনি এলেন। পশ্চিমে গিয়ে একজন গুনাহগার (?) পুণ্য অর্জন করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ভালো লাগলো ব্লগকে একেবারেই ছেড়ে যান নি দেখে ।
সহ-ব্লগার খায়রুল আহসান এর মতোই আমারও মনে হয়েছিলো, ব্লগের বর্তমান পরিবেশ ভালো লাগছে না বলেই হয়তো আপনি কিছুদিনের জন্য ব্লগ থেকে স্বেচ্ছায় নির্বাসন নিয়েছেন।

সৃষ্টিকর্তা আপনার ওমরাহ কবুল করে নিক।

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪১

জুন বলেছেন: জী আসলেই অনেক দিন ব্লগ ছাড়া ছিলাম নানা কারনে। তারপর ও আপনাদের মত কিছু শুভান্যুধায়ী আমার কথা মনে করেন ভেবে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আর তার উপর আপনাদের সবার আন্তরিক মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
সহ ব্লগার খায়রুল আহসান আমার বিভিন্ন পোস্টে যেয়ে খোজ খবর করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
আপনিও আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন সাথে রমজানের শুভেচ্ছা

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার মনে হয় আরবের এই পুণ্যভূমিতে কিছু একটা আছে । আমার মাতা গতো বছর হজ্ব করে এলেন । তার আবার হজ্বে যাবার ইচ্ছা পুরাদমে শুরু হয়েছে। দিনের মধ্যে একশত বার মক্কা মদীনার গল্প। সাত লাখে ধাক্কা সামলিয়ে উঠতে না ঊঠতেই মাতা আমাকে আরো একটা ধাক্কা দিতে মানুষিক প্রস্তুতী নিচ্ছেন । :)

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

জুন বলেছেন: আমারও সেইম অবস্থা রানার ব্লগ। কি যেন একটা ভালো লাগা। বিশেষ করে আমরা যে তিনটা শহরে ছিলাম মক্কা, মদীনা আর জেদ্দা অনেক নিরাপদ চলাচল ছিল আমাদের। আমিও আবার যেতে চাই।
ভালো থাকুন অনেক অনেক। আগামী পর্বেও সাথে থাকবেন আশা করছি।
পবিত্র রমজানের শুভকামনা রইলো।

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কবুল হোক আপনার ওমরাহ। সুন্দর ছবি দেখে চোখ প্রশান্ত হলো। ++++

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

জুন বলেছেন: চোখের প্রশান্তি আমার ছিল মদীনা শরিফে। কি যে এক ভালোলাগার পরিবেশ। মনে হয় আবার যাই। মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। আগামী পর্বে সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা রইলো।

১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ আপনার ওমরাহ কবুল করুন- আমিন।

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

জুন বলেছেন: আল্লাহ আপনার দোয়া যেন কবুল করেন। ভালো থাকুন সব সময়। আগামী পর্বে সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশা থাকলো।

১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আল্লাহ তাআলা আপনাদের ওমরাহ কবুল করুন। আমীন।

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮

জুন বলেছেন: আপনার দোয়া যেন আল্লাহ কবুল করে নেন। ভালো থাকুন সব সময়।

১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার জন্য একটু দোয়া করবেন। প্লীজ। বেশ বেকায়দায় আছি।

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

জুন বলেছেন: আমি বর্তমানে ঢাকায় রাজীব নুর , তবে সবার জন্য দোয়া করেছি তার মাঝে আপনিও আছেন । মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

১৯| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:




জুনাপু অনেকদিন পর। এখন বুঝলাম এতদিন কোথায় ছিলে।

সেই ভদ্রলোক তার আঙ্গুল ধরে মুচড়ে টুচরে ছাপ বের করলো কারন সেদেশে মহিলারা তো পুরুষকে টাচ করবে না।
এই লাইনটা পড়ে হাসলাম আপু :)

ছল ছল চোখ নিয়ে নামাজের জন্য মসজিদের দিকে এগিয়ে গেলাম।

গুনাহগার বান্দা তুমি পাপমোচন করতে গেছো, এটাতো আনন্দের বিষয়, তাহলে আবার চোখ ছল ছল কেনো আপু? #:-S
তুমিতো এখন শিশুর মতো পবিত্র। ব্লগে যে আবার আসলে, এখানেতো লেগপুলিং, কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি, মারামারি, গালাগালি হয়, থাকতে পারবেতো!

গুড টু সি ইউ ব্যাক জুনাপু।


৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২০

জুন বলেছেন:

ব্লগে যে আবার আসলে, এখানেতো লেগপুলিং, কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি, মারামারি, গালাগালি হয়, থাকতে পারবেতো!
আসলেও মিররড্ডল তুমি আমাকে বুঝতে পারো কিছুটা মনে হয় । এই জিনিস আমি কখনোই পছন্দ করি নাই , এখনো করি না । শুধু লিখতে ভালোবাসি বলে আসি।
ওমরাহ করার জন্য গিয়েছিলাম , সেখানে যে আমার এত ভালোলাগবে তা আগে বুঝতে পারি নি । সত্যি এখন মনে হয় আবার যাই যেমন রানার ব্লগ তার মায়ের কথা বলেছে ।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো । পরের পর্বে সাথে থেকো এই প্রত্যাশায় ।

২০| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বেশ কিছুদিন পর মুল্যবান একটি লেখা নিয়ে ব্লগে ফিরছেন দেখে খুশী হলাম ।

পশ্চিমের পথে পবিত্র ওমরাহ পালন উপলক্ষে আপনার
ভ্রমন বিবরণী ও প্রাসঙ্গিক ছবিগুলি খুবই সুন্দর হয়েছে।
পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

অপনার লেখায় উল্লেখিত ট্রেনের অন্ধ ভিখারির কন্ঠে গাওয়া ওয়াইস করনি প্রসঙ্গটি
পোষ্টটিকে ভিন্ন মাত্রিকতা দিয়েছে ।
যুগে যুগে এই পৃথিবীতে এসেছেন অসংখ্য মুসলিম মনীষী। তারা আল্লাহ ও নবী রাসুলের প্রতি প্রেমে থেকেছেন মগ্ন।
দীন প্রচার ও ইবাদত বন্দেগিতে স্থাপন করেছেন অনন্য সব দৃষ্টান্ত। তাদের জীবনের লক্ষ্য ছিল একটিই, আর তা
হলো অন্তরে আল্লাহকে ধারণ করা। তাদের ডাকে সৃষ্টিকর্তাও সাড়া দিয়েছেন, তৈরি হয়েছে অনন্য উপাখ্যান।
আল্লাহর কাছ থেকে তারা পেয়েছেন অনেক অলৌকিক ক্ষমতা। এমনই এক আধ্যাত্মিক প্রেমে মগ্ন আশেক
ওয়াইস করনি। বাহ্যিক দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন রাস্তার পাগল।

কথিত আছে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওফাতের আগে হজরত ওমর (রা.) ও হজরত আলী (রা.) কে বলেন,
আমার গায়ের জুব্বাটা আমার ইন্তেকালের পর শ্রেষ্ঠ আশেক ওয়াইস করনিকে পৌঁছিয়ে দিও। তাঁকে আমার
সালাম জানিয়ে বলবে, তিনি যেন আমার উম্মতের গুনাহ মাপের জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে।
নবীজীর এই আদেশ পালিত হয় যথাসময়ে।

হযরত আলী ওয়াইস করনির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তার হাতে চুমু দিলেন। তিনি নবীজী (সা.) এর নির্দেশ মতো
ওয়াইস করনির হাতে জুব্বা তুলে দিলেন। তাকে নবীর আহ্বান জানালেন। ওয়াইস করনি তখনি জুব্বাটি নিয়ে
সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করলেন উম্মতদের গুনাহ মাফের জন্য।
হজরত ওয়ায়েস করনী (র.) তার মাতৃভক্তির কারণেও উচ্চ মর্যাদা লাভ করেছিলেন ।
আপনার এই পোষ্টের কল্যানে এই মহান সাধকের প্রতিও রইল সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধা ।

আপনার এই পোষ্টটির শিরোনাম দেখেই বার বার মনে পড়ছিল
আমাদের জাতীয় কবি নজরুলের লেখা এই বিখ্যাত গানটির কথা
পুবাল হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া

পশ্চিমে যাওয়া নিয়ে মনের গহীনে গেথে থাকা
জাতীয় কবি নজরুলের গানের কথা হতে
কিছু কথা ধার করে আমিউ বলি যে হেথায় ।

ও আমার আপুরে, পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া
যাও রে বইয়া এই গোনাহগারের সালামখানি লইয়া।
এই বছরে কাবা জিয়ারতের আমারো ইচ্ছা ছিল
মিটল না সে সাধ, গুরুতর মাঝা ব্যাথার লাইগা রে ।
এই সুযোগে আপনাকে বলি (যদি এখনো পশ্চিমে থাকেন)
আপনার পানির সাথে লইয়া যাইবেন আমার চোখের পানি,
লইয়া যাইবেন যত্নে রাখা এই গোনাগারের মনের ইচ্ছাখানি
নবীজীর রওজায় একটু কাঁদিবেন বোনরে আমার হইয়া।
নবীর সাথী আবু বকর , হযরত ওমর (রাঃ) সহ
মা ফাতেমা হযরত আলীর মাজার যেথায় আছে,
আমার সালাম দিয়া আসবেন তাঁদের পায়ের কাছে
কাবায় মোজানাজাত করিবেন আমার কথা কইয়া ।

আপনারা সুস্থ থাকুন, ছহি সালামতে ফিরে আসুন
মনের যত কামনা বাসনা আছে সকলি পুরণ কইরা
এইনা দোয়া মাগি আমি এই খানেতে বইসা ।

শুভেচ্ছা রইল

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

জুন বলেছেন: এত আন্তরিক মন্তব্যে মনটা ভরে গেল ডাঃ এম এ আলী ভাই । আপনি যে ট্রেনের সেই অন্ধ ভিক্ষুকের গাওয়া গানটি খেয়াল করেছেন তা জেনে আমি সত্যি আভিভুত । এতে বোঝা যায় কিছুই আপনার চোখ এড়ায় না । জানেন এই গানটা গাইতো যে লোকটি তা চলন্ত ট্রেনে শুনেছিল আমার আব্বা। আর তার গান শোনার জন্য আমার আব্বা পর পর কয়েকদিন ঐ ট্রেনে করে সীতাকুন্ড থেকে চিটাগাং গিয়েছিল । পুলিশের একজন জাদরেল অফিসার হয়েও আমার বাবা ছিলেন সংস্কৃতমনা। গান কবিতা গল্পের বই ছিল তার সংগী । আব্বার কন্ঠেই এই ওয়াইজ করুনীর গানটি শুনেছিলাম ছোটবেলায় । এই গানের একটা লাইন না বুঝেই সেই সময় আমার গলাকে আদ্র করে তুলতো শুধু মাত্র আমার বাবার আবেগময় কন্ঠের জন্য । নবীজি আলী রঃ এর হাতে তার গায়ের জামাটি ওয়াইজ করুনীর জন্য দিয়ে বলছে ্‌্‌্‌্‌্‌্‌,

নবী কয় আলীর ধারে
শোনো বাবা কই তোমারে,
আমারও ওফাতের কথা তারে বইলো না,
যদি শোনে আমার ওফাতের কথা
পাগলা ছুটে আসবে আমার রওজায়,
ঊঠে তাজিম করতে হবে
তা কি জানোনা রে সোনার মদীনা ,,,,,


অর্থাৎ ওয়াইজ কুরুনীকে তাজিম করার জন্য নবীজিকে মৃত্যুর পরও আবার উঠে বসতে হবে । কত বড় ভক্ত ছিলেন ওয়াইজ কুরুনী !

আবারও ধন্যবাদ আপনাকে । আগামীকাল আগামী পর্বে সাথে থাকবেন সেই প্রত্যাশায় ।
শুভরাত্রি

২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



চমৎকার একটি কাজ করেছেন। জাজাকুমুল্লাহ।

আমার আরও অনেক আগেই এই প্রশ্নটা মনে এসেছিল যে, দুনিয়া দাপিয়ে বেড়ানো আপনার মত মানুষ কেন উমরাহ কিংবা হজ্বের সফরে যাচ্ছেন না। যাক, আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে কিছুটা দেরিতে হলেও পবিত্র হারামাইনের যিয়ারতে ছুটে যাওয়ার তাওফিক লাভ করলেন। আসলে এটা এভাবে ঠিক বলাও যায় না। কারণ, আপনার লেখাতেই কোথাও পড়লাম যে, এটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার কবুলিয়াতের বিষয়। আসলেই তাই। এটাই সত্যি। কারণ, তিনি মঞ্জুর না করলে কারও সাধ্য নেই, তার ঘর প্রিয় বাইতুল্লাহর একান্ত সান্নিধ্যে গিয়ে, কালো গিলাফের পরশে ধন্য হয়ে, কাবার চৌকাঠ স্পর্শ করে অশ্রু ঝড়া প্রার্থনায় অন্তরের যাতনা লাঘব করে। তিনি তাওফিক না দিলে কারও শক্তি নেই, তার প্রিয়তম হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রওজার আলোকিত প্রান্তরে ছুটে গিয়ে তাপিত হৃদয়ে প্রশান্তি আনয়ন করে। বহু অর্থ-বিত্তের অধিকারী মানুষ দেখেছি, জীবনে হজের কিসমত হয়নি; কিন্তু নিঃস্ব অসহায়কেও হজ কিংবা উমরাহ করে আসতে হরহামেশাই দেখা যায়। এটা নিঃসন্দেহে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার একান্ত করুণা ছাড়া আর কিছুই নয়।

দু'টি পর্ব পড়া হয়েছে। বাকিটাও দেখে নিব ইনশাআল্লাহ। তেমন কোন অসঙ্গতি চোখে পড়েনি। সুন্দর লিখেছেন।

প্রিয় ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরু ভাইয়ের প্রতি চূড়ান্ত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অপদস্ততা এবং হয়তো অভিমান বশতঃ নিরবে নিভৃতে তার তিরোধান আপনার মত আমাকেও ভীষনভাবে মর্মাহত করেছে। মূলতঃ তার বিদায়ের পর হতে আপনার মতই এত বছরের প্রিয় এই ব্লগবাড়ি কেন যেন এক অন্যরকম শূণ্যতায় ঢেকে আছে। আগের মত কেন যেন আর পেরে উঠি না।

যা হোক, আপনার উমরাহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা কবুল করে নিন। পরিবার-পরিজন সকলকে সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করুন। পুনরায় আবারও অতি দ্রুত প্রিয় হারামাইনে হাজিরা দেয়ার তাওফিক দান করুন। একই তাওফিক আমাদেরও তিনি দান করুন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

জুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক প্রীত হোলাম নতুন নকিব। আসলে অনেক দিন ধরেই যাবার নিয়ত করছিলাম কিন্ত নানা রকম বাধায় আর সম্ভব হয় নি। অবশেষে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের দিকে মুখ তুলে চেয়েছেন।
নুরু ভাইয়ের মৃত্যুটা আমাকে সত্যি আহত করেছে, করেছে অনেক দিন ব্লগ বিমুখ। এই লেখাটি আমি শেয়ার করেছি একটি ডাইরী হিসেবে।
দোয়া করবেন আমি যেন আবার কাবাঘর জিয়ারত কর‍তে পারি নিজের পায়ে দাড়িয়ে। আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য রইলো আন্তরিক দোয়া।

২২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়ে ভাল লেগেছে।
আমারও ইচ্ছে আছে একদিন ওমরাহ হজ্বে যাওয়ার।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জুন বলেছেন: প্রথম পর্ব ভালো লাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে মোস্তফা সোহেল। এবার বাকি পর্বগুলো পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। আপনার ইচ্ছে আছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আল্লাহ চাহেতো শীঘ্রই কাবা শরীফে হাজির হতে পারেন এই দোয়া রইলো।

২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: ওমরাহ করার নিয়ত আছে। পরের পর্বে যাচ্ছি। আরেকটা কথা - এক দুইবার আপনাকে প্রতিউত্তরে আমি আপনাকে যথেষ্ট সম্মান দেখাতে পারি নাই৷ আমার সে ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

জুন বলেছেন: ওমরাহ করার নিয়ত আছে। অবশ্য যাবেন আশা করি । মনটা অনেক ভালো হয়ে যায় ।

আরেকটা কথা - এক দুইবার আপনাকে প্রতিউত্তরে আমি আপনাকে যথেষ্ট সম্মান দেখাতে পারি নাই৷ আমার সে ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কবে কখন আমি সাজিদ ? আমি ভুলে গেছি । আমাকে কতটুকু চিনেছেন জানি না তবে নিজের সম্পর্কে আমি এতটুকু বলতে পারি তা হলো আমি কিন্ত কখনোই ভিন্ডিক্টিভ টাইপের না ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন । ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.