নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart---Helen Keller

জুন

ইবনে বতুতার ব্লগ

জুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার শৈশব

২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭

আমার শৈশব মানেই সীতাকুণ্ডের পাহাড়ের পাদদেশে কাটানো কয়েকটি বছর, যা আর কখনো ফিরে আসে নি। সে যে কি মধুর দিনগুলো যা বর্ননা করার ভাষা হাতড়ে বেড়াচ্ছি কিন্ত টুকরো টুকরো সৃতিগুলো জোড়া লাগানো বড় কষ্টকর।
মনে আছে আব্বার বদলীর সুত্রে ঢাকা থেকে সীতাকুন্ডে যখন হাজির হোলাম তখন আমাদের মত ছানাপোনাদের বেশ রাত। কম পাওয়ারের হলদেটে বাতির আলোয় শুধু নজরে এলো চারিদিকে বারান্দা ঘেরা বেশ পুরনো একতালা একটা বিল্ডিং।
ঘরে ঢুকে ফ্রেশ হতেই আম্মা বাবুর্চির রান্না ভাত আর মুরগীর মাংস ডাল দিয়ে মাখিয়ে একটি প্লেটে নিয়ে আমাদের মুখে তুলতে না তুলতেই আমরা ছোট ছোট চার ভাইবোন ঘুমিয়ে কাদা। তখন আমাদের কিইবা বয়স! কেউ স্কুলেও ভর্তি হইনি। তবে বড় ভাই ঢাকার একটা স্কুলে মাত্র ভর্তি হয়েছিল এটা আমার মনে আছে।
যাইহোক পরদিন খুব ভোরে প্রকৃতি প্রেমিক আব্বার ডাকে ঘুম ভাংলো। আমরা পরমরি করে দৌড়ে বারান্দায় আসলাম। বারান্দার বাইরে চারিদিক ঘিরে অসংখ্য নয়নতারা ফুটে আছে, সাথে সবুজ পাতার মাঝে সন্ধ্যামালতীর নত হয়ে পরা ফুল। সামনে বিশাল দিঘি যার বুকে শাপলারা মাত্র পাতা মেলছে। আমরা অবাক নয়নে দেখছি সেই অচেনা পরিবেশ আর তার রূপকে।
আব্বা ডেকে বল্লো "ফুল পরে দেখো, ওইদিকে তাকাও" বলে পুর্ব দিকে হাতের ইশারা করলো। বিস্ময়াভিভূত আমরা বড় দুই বোন মেঘে ঢাকা সবুজ শ্যমল সীতাকুণ্ড পাহাড়ের দিকে চেয়ে রইলাম। সমতল থেকে আসা কত ছোট আমরা তাও উপলব্ধি করলাম সেই বিশাল পাহাড়ের মহিমা আর তার সৌন্দর্য । যতদূর চোখ যায় সেই গাঢ় থেকে হাল্কা সবুজ ঘেরা সুউচ্চ পাহাড় টানা চলে গেছে উত্তর থেকে দক্ষিনে। পরে সেই পাহাড়ে অনেক চড়েছি কিন্ত প্রথম দিনের সেই রূপ আর কখনোই দেখিনি।

আসার সময় আমার এক কাজিন আমাদের দু বোনকে দুটো খেলনা সানগ্লাস উপহার দিয়েছিল সাথে কিছু রাশিয়ান উপকথা। বানান করে দুই এক লাইন পড়ি আর ছবি দেখি। দুদিন পর সকালে আমি আর আমার বোন সেই সানগ্লাস পরে প্ল্যাটফর্মের পাশ দিয়ে হাটছি। পাশে দাঁড়ানো এক মালবাহী ট্রেন। হঠাৎ সেই থেমে থাকা ট্রেন এর ইঞ্জিন রুম থেকে তেলচিটচিটে ইউনিফর্ম পরা এক লোক লাফ দিয়ে নেমে আসলো আর তার সেই তেল মবিল লাগানো হাত দিয়ে আমাদের দুজনের হাত ধরে হাসি মুখে বলে উঠলো,"আরে চশমেওয়ালী, চশমেওয়ালী"।
এখন মনে হয় লোকটা কি রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা ছিল যে কি না তার ছোট মেয়েকে অনেক দূর দেশে রেখে এসেছিল জীবিকার তাগিদে। আমাদের দেখে কি তার মেয়েদের কথা মনে পরেছিল! উত্তর জানা হয়নি কারন কুউউউ করে ট্রেন ছাড়ার বাশি বেজে উঠল লোকটা লাফিয়ে ইঠে জানালায় হাত রেখে চেয়ে রইলো আমাদের দিকে যতদুর দেখা যায়।


আর সব ছবি আমার মোবাইল


মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ

আরও কিছু স্মৃতি তুলে ধরবেন আপুন

২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮

জুন বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা ছবি।
আমার অনেক লেখায় শৈশবের কথা আছে। আপনিও লিখেছেন দেখলাম। পড়তে হবে। এত সময়ের অভাব আমার ইদানীং বুঝি না কারণ কি :(

২| ২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: জুন আপু এদ্দিন পরে আইলেন- তারপরে আবার এইটুকুন স্মৃতিচারন!!!! পোষাইলো না- এমন ভয়ঙ্কর ফাঁকি দিয়ে ব্লগারদের বঞ্চিত করার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাইতেছি।

২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

জুন বলেছেন: অনেক দিন পর আসলাম এইটা কথা সত্য শেরজা। অপেক্ষা করেন একদিন বিশাল এক উপন্যাস লিখবো শৈশব নিয়ে।
তা লেখাটি পড়েছেন কি! নাকি সাইজ দেখেই ডিক্লাইন :-*
B-) মন্তব্যের জন্য আর মনে রাখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।

৩| ২১ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন পড়ি নাই মানে- তাইলে লাইক দিলাম কেন?
তাই নাকি? অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম আপনার সেই উপন্যাসের...

২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

জুন বলেছেন: না না অবশ্য পড়েছেন আপনি শেরজা৷ আমি জানি এখন যদি পরীক্ষা নেই আপনি লাইন বাই লাইন বলতে পারবেন ;)
আমি এমনি বলেছি নয়া কবি। ইউক্রেনের যুদ্ধর খবর পড়লে তখনি মনে পরে আপনার কথা, মনে পরে বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক গোগোলের ইউক্রেনের বর্ননা, সুর্যস্নাত শ্যমল সবুজ আদিগন্ত বিস্তৃত মাঠ, তাতে অসংখ্য সূর্যমুখীর দুলে দুলে ওঠা আর ছোট ছোট স্বচ্ছ স্রোতস্বিনী এই বেকুব নেতার হাতে পরে ধ্বংস প্রায়।

৪| ২১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:২১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





আপনার গল্পে সেই কাবুলিওয়ালা চরিত্রের অবির্ভাব বেশ চমকপ্রদ ।
'কাবুলিওয়ালা' গল্পের একটি চরিত্র ছিল মিনি। গল্পের শুরুতে দেখা যায়
পাঁচ বছর বয়সের অত্যন্ত চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে মিনি। সে অনর্গল কথা
বলত। তার মা অনেক সময় ধমক দিয়ে তার মুখ বন্ধ করে দিতেন।
বাবার সাথেই তার সখ্যতা বেশী ছিল । এই বয়সের ছেলেমেয়েদের
অকাল পক্কতার ভাব সহজেই নজরে আসে , মিনির মধ্যেও তা ছিল,
একদিন মিনি তার বাবাকে প্রশ্ন করে বসেছিল বাবা মা তোমার কে
হয়
। আপনার শৈশবটাও কি অনেকটা তেমনই ছিল জানতে
ইচ্ছে করে । শৈশব বিবরন আরো একটু লম্বা করলে হযত আরো
অনেক মঝাদার গল্প শুনার সৌভাগ্য হতো ।

এই গল্পের ট্রেন কর্মীর কাবুলীওয়ালা ধর্মী সেই মানুষটির মত
কথা বলা যথা চশমেওয়ালী চশমেওয়ালী ডাকটি শুনে
চমকই লাগল।
একটি বিষয় খেয়াল করে দেখবেন তার কথার মধ্যে উর্দু বা
বিহারী ভাষায় কথা বলার একটা টান দেখতে পাওয়া যায় ।
সে সময় রেলওয়েতে চাকুরী জীবি বিশেষ করে ট্রেন চালক
আর টিকেট চেকারদের মধ্যে বেশীর ভাগই ছিল ভারত
হতে আসা বিহারী । তাদেরকে ততকালীন পাকিস্তান
সরকার জামাই আদরে রাখত এ দেশে । ট্রেনে উঠলে
টিকিট চেকারগন জিজ্ঝেস করত আপকা টিকেট কাহা,
জলদি টিকেট দেখা
। কোন কারণে যদি কেও টিকেট
দেখাতে না পারত তাহলে হাইরে! বিহারী স্টাইল উর্দুতে
নানান ধরনের বাতচিত হত । কি যে তখন খারাপ লাগত
তা ভাষায় প্রকাশ করা যেতোনা ।তবে মনে মনে বলতাম-
শুন বিহারী ভাই, তোরা মোদের রুখতে পারবি নাই
তোরা আপন তরে ভেদ বাড়ালি, বাংলায় কথা বল নাই
ভাইকে ভুলে করলি বড় পাকি -বিহার চেতনাটাই
বাঙালীকে মারলি তবু বিষ ছড়ালি— উর্দ্দু চাই ।
সেই যে বিহারী তথা উর্দু ভাষিদের বিপক্ষে
মানুষের মনে বিদ্ধেসের সুচনা সেটাই ক্রমে
ক্রমে দানা বেধে উঠেছিল বাংগালীর স্বাধিকার
চেতনায় । বিষয়টা ফেলে আসা আমার শৈশব
স্মৃতি চারণে সামুতে কিছুটা তুলে ধরেছি ।

আপনার শৈববের এই টুকরো গল্প খুবই ভাল লেগেছে ।

শুভেচ্ছা রইল

২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

জুন বলেছেন: ড: আলী ভাই আপনার সুচিন্তিত এবং বিস্তৃত মন্তব্য আমাকে মুগ্ধ করে।
এক সময়ের বিহারি বা উর্দু ভাষীদের ভাষা পরবর্তীতেও হয়তো তাদের সহকর্মীদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল৷ যা অজান্তেই তাদের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে।
আপনার লেখাটা পড়তে হবে তবে সময় লাগবে দু চার দিন। কারণ এই সপ্তাহে আমি ব্যাংকক যাচ্ছি এক মাসের জন্য। সময় আর সুযোগ পেলে অবশ্যই সবার লেখা পড়ার চেষ্টা করবো ।
দোয়া করবেন যেন সহি সালামতে ফিরে আসি। শুভকামনা রইলো।

৫| ২১ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: শৈশব সব সময় মধুর।

২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

জুন বলেছেন: গুড়ের চেয়েও রানার ব্লগ :)
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভাল হয়েছে, কিন্তু এতদিনের তৃষ্ণা এইটুকু জলে কি মিটে? আর একটু বড় হলে প্রাণ ভরত। শুভকামনা।

২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

জুন বলেছেন: ভাই গেয়োভুত গ্রামে থাকেন তো তাই শহুরে ভুতের প্যারা বুঝেন না :||
সকাল থেকে সন্ধ্যা একফোঁটা অবসর পাই না :(
আশা করি আগামীতে বড় সর একটা লেখা লেখার চেষ্টা করবো ইমানে কৈলাম।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণ ।

২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার লেখার সাথে থাকার জন্য।

৮| ২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

মিরোরডডল বলেছেন:




বারান্দার বাইরে চারিদিক ঘিরে অসংখ্য নয়নতারা ফুটে আছে, সাথে সবুজ পাতার মাঝে সন্ধ্যামালতীর নত হয়ে পরা ফুল। সামনে বিশাল দিঘি যার বুকে শাপলারা মাত্র পাতা মেলছে। আমরা অবাক নয়নে দেখছি সেই অচেনা পরিবেশ আর তার রূপকে।

পড়তেই এতো ভালো লাগছে, তোমাদের না যেনো কত ভালো লেগেছিলো।

বোঝা যাচ্ছে জুনাপুর বাবা একজন প্রকৃতিপ্রেমী ছিলেন।
তুমিও বাবার মতো।

আমাদের হাত ধরে হাসি মুখে বলে উঠলো "আরে চশমেওয়ালী, চশমেওয়ালী"। এখন মনে হয় লোকটা কি রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা ছিল যে কি না তার ছোট মেয়েকে অনেক দূর দেশে রেখে এসেছিল জীবিকার তাগিদে। আমাদের দেখে কি তার মেয়েদের কথা মনে পরেছিল! উত্তর জানা হয়নি কারন কুউউউ করে ট্রেন ছাড়ার বাশি বেজে উঠল লোকটা জানালায় হাত রেখে চেয়ে রইলো আমাদের দিকে যতদুর দেখা যায়।

চমৎকার আপু, এটা পড়ে আমি মুগ্ধ!


২৬ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:২৩

জুন বলেছেন: মিররডডল,
আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে আপনার আন্তরিক মন্তব্যের উত্তর দিতে আমার এত দেরী হলো।
সত্যি বলতে কি সীতাকুণ্ডই ছিল আমাদের পরিবারের সবচেয়ে আনন্দময় জীবন। ওখআন থেকে ঢাকা ট্রান্সফার হয়ে আসার পরই আমার আম্মার ভয়ংকর কর্কট রোগ ধরা পরে। তারপর ক্রমাগত ছয় বছর যুদ্ধ চলার পর শেষ হলো আম্মার কষ্ট। তাই মধুর সময়ের কথা মনে হলেই আমাদের ভাইবোনদের সেই সীতাকুণ্ডের কথাই মনে পরে মিরর।
আমি আসলে ঢাকা থেকে ব্যাংকক আসলাম আজ দু তিন হলো। এটা নিয়ে ব্যাস্ততার জন্য উত্তর দিতে দেরি হলো। ভালো থাকুন সব সময় :)

৯| ২১ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়লাম। সকলের মন্তব্য গুলোও পড়লাম।

২৬ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:২৭

জুন বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটি অনেক মজার রাজীব নুর । পোস্ট পড়লাম সাথে সবার মন্তব্য।

১০| ২১ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

শায়মা বলেছেন: চশমেওয়ালী আপু। তারপর কত চশমা পরলে এই জীবনে?

২৬ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:২৯

জুন বলেছেন: সেই লোকটা তো আমার সানগ্লাসকে চশমা বলেছে। তা ঠিক এই জীবনে অনেক অনেক সানগ্লাস আমি পরেছি শায়মা, সাথে রিডিং গ্লাস। হাজার হলেও বুড়ি তো তাই না!
তা তুমি কয়টা চশমা পরলা জানাইও B-)

১১| ২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:১৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: শেরজা তপন ভাইয়ার সাথে একমত, এত ছোট স্মৃতি শেয়ার করে ভয়ংকর ফাঁকি দেওয়া হয়েছ জাতিকে! আরো কিছু স্মৃতি শেয়ার করতেই হবে। অল্প হলেও এত সুন্দর বর্ননা, কী যে ভালো লাগল!

২৬ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৩৩

জুন বলেছেন: হায় নীল দর্পন আমিতো ছোট হলেও একটু আধটু লিখি। কিন্তু আপনি তো ইদানীং পুরোদমে পাঠকই হয়ে গেলেন :(
শৈশব নিয়ে আমার বেশ কয়েকটি স্মৃতিচারণ আছে ব্লগের পাতায়। ভাবছি সবকটা একসাথে করে একবার রিপোস্ট করবো :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১২| ২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার শৈশব স্মৃতিচারণ পড়ে আমার মেয়েদের শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। অবশ্য ওদেরকে আমার এখনো বড় হয়েছে বলে মনে হয় না। একটা চশমা পরায় মেঝে মেয়েকে সেদিন বলে ছিলাম প্রফেসর গেদুমনি। কিছু দিন আগেও ওরা দুষ্টমি করে আমার সাথে পিচ্চি মেয়ের গলায় কথা বলতো।

২৬ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৩৬

জুন বলেছেন: তাহলে এবার গেদুমনি সহ বাকি সব গল্প লিখে ফেলুন মহাজাগতিক চিন্তা। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।
পোস্ট পড়া আর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:২৩

শাওন আহমাদ বলেছেন: আমার এক বন্ধুর বাসা পাহাড়তলিতে, ও মাঝেমাঝে ওর রুমের জানলা থেকে আমাকে পাহাড়ের ছবি তুলে দেয় ,আমি সেই সব ছবি দেখি আর ওকে হিংসে করি। :(

২৬ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৩৯

জুন বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে শাওন আহমাদ।
জী আপনি ঠিকই বলেছেন পাহাড়তলীর প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেক সুন্দর। বাটালি হিল, স্টেশন লাগোয়া বিশাল দিঘি। জানিনা আর তেমনটি আছে কি না।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। উত্তর দিতে দেরি হলো বলে দু:খিত।

১৪| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




সীতাকুন্ডের পাহাড় থেকে নেমে এলেন শ্যামল-সবুজ ব্লগের মাঠে, অনেক অনেক দিনের পরে! মনে হলো, দীঘির জলে শাপলা পাতা মেলেছে ! বাগানে ফুটেছে নয়নতারা!

শৈশবের স্মৃতি কথা লিখেছেন "জুনীয়" ঢংয়ে।
"আরে চশমেওয়ালী, চশমেওয়ালী" ডাকের সাথে কাবুলিওয়ালার কথা পড়েই বুকের মাঝে কি রকম যেন শিরশির করে উঠলো। ছেলেবেলার পড়া কাবুলিওয়ালার কথা আপনার কলমে আবারও অন্যরকম করে উঠে এলো। চমৎকার চিত্রকল্প। নষ্টালজিক করে দিলেন। কাবুলীওয়ালা পড়ে গোপনে গোপনে কতো যে চোখের জল ফেলেছি সেই ছেলেবেলায়! আজ আবার সে রকমই চোখ শিরশির করে উঠলো ট্রেনের তেলকালি মাখা লোকটিকে নিয়ে যা বললেন সে কথায়।

ব্লগে থাকুন, সীতাকুন্ড পাহাড়ের মতো দৃষ্টি নন্দন হয়ে। মেঘে মেঘে যেন সারাবেলা ঢাকা-ই না থাকেন!

২৬ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৪৪

জুন বলেছেন: আহা এক্কেবারে আপনার নিজস্ব স্টাইলে এক কাব্যিক মন্তব্য নিয়ে আসলেন মনে হচ্ছে আহমেদ জী এস!
আপনার মতই রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা, পোস্টমাস্টার , শরতচন্দ্রের রামের সুমতি পড়ে কষ্টে গলা আটকে আসতো। কি অসাধারণ লেখনী আর গভীরতা যা বুকের ভেতরে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে যায়।
ব্লগে আছি কিন্ত বিভিন্ন কারনে বেশ কিছুদিন ব্লগে আসা হয়ে উঠেনি। আশা করি এবার নিয়মিত হতে চেষ্টা করবো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সব সময়।

১৫| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১:১২

সোহানী বলেছেন: কি যে মনে করিয়ে দিলে.............

সেই পাহাড় ঘেরা বাসা, বন ফুলের গন্ধ, নতুন স্কুল , নতুন বান্ধবী, নতুন জীবন......। আমিও স্মৃতিকাতর হলাম।

২৬ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৪৭

জুন বলেছেন: সোহানী সেই পরিবেশে যারা না থেকেছে তারা কল্পনাও করতে পারবে না সেই বাধনহারা জীবন সাথে সেই পরিবেশের এক অচীন রূপ, রস, গন্ধ মিলে হারিয়ে যাওয়া শৈশব। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সোহানী।

১৬| ২২ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: ছোট্ট সুন্দর অপূর্ব একটা লেখা।

কলেজের ইস্কারশনে সীতাকুণ্ড গিয়েছিলাম যখন, তখন একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সেবারই প্রথম কাছে থেকে পাহাড় দেখা। সেই পাহাড় চুড়ায় উঠলে দেখা যায় সমূদ্র। সেই সমূদ্রও জীবনে প্রথম দেখা।

সীতাকুণ্ড পাহাড়ের চূড়ায় একটা শিবমন্দির ছিল মনে পড়ে, আর তার পাদদেশে বেশ বড় সড় একটা পুকুরের পাড়ে আমাদের চড়ুইভাতি হয়েছিল সেবার।

২৬ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:০৪

জুন বলেছেন: : প্রথমেই বলছি আমি আন্তরিক দু:খিত যে জবাব দিতে বড্ড দেরি করার জন্য। আসলে ব্যাংকক আসার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত দেরি :(
শ্রাবনধারা, সীতাকুণ্ড পাহাড়ের উপর বিখ্যাত মন্দির রয়েছে এর মাঝে সবচেয়ে উচুটি হলো চন্দ্রনাথ, তারপর বিরূপাক্ষ, ৩ নম্বর একটি শিব মন্দির নাম শম্ভুনাথ, তারপর শংকর মঠ।
আপনারা যার পাশে পিকনিক করেছিলেন তা বোধহয় এই আশ্রমের পাশে।
অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভালো থাকুন অনেক অনেক।

১৭| ২২ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সোনালি শৈশব। অসাধারণ।

২৬ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:০৪

জুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সাধু

১৮| ২২ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

কাছের-মানুষ বলেছেন: স্মৃতিচারণ পড়ে ভাল লাগল, অসাধারণ হয়েছে। স্মৃতিচারণমূলক লেখা পড়তে ভাল লাগে, নস্টালজিক হয়ে যাই।

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

জুন বলেছেন: আমার শৈশবটা অনেকের চেয়ে অনেক অনেক মজার ছিল বলে আমি মনে করি কাছের মানুষ। বাবার বদলীর চাকরির সুবাদে অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি। আর তখন তো পড়ালেখার অত চাপ ছিল না। তাই ------
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

আমি সাজিদ বলেছেন: ছোট কিন্ত চমৎকার লেখা। আপনার প্রকৃতিপ্রেম ও ভ্রমণের উৎসাহের ভিত্তি যে সবুজ শৈশবকাল, তার বেশ খানিকটা ছোঁয়া লেখায় পাওয়া যায়৷


"বারান্দার বাইরে চারিদিক ঘিরে অসংখ্য নয়নতারা ফুটে আছে, সাথে সবুজ পাতার মাঝে সন্ধ্যামালতীর নত হয়ে পরা ফুল। সামনে বিশাল দিঘি যার বুকে শাপলারা মাত্র পাতা মেলছে। আমরা অবাক নয়নে দেখছি সেই অচেনা পরিবেশ আর তার রূপকে।" কি চমৎকার কথামালা!

২৬ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

জুন বলেছেন: বাবার চাকরির সুবাদে, পরবর্তীতে স্বামীর চাকরির সুবাদে দেশ বিদেশে ঘুরঘুর করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমি সাজিদ। সাথে প্রকৃতির প্রতি অসীম ভালোলাগা।
শেষ প্যারায় আমার লেখার ভালোলাগা অংশটুকু তুলে ধরেছেন আমি সত্যি অনেক খুশী হয়েছি। সব সময় আমার লেখার সাথে আছেন তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ছোট, তবুও খুব ভালো লাগল আপনার শৈশবের স্মৃতিকথা। + +
সীতাকুণ্ড পাহাড়ের পাদদেশে আপনাদের এ বাড়ীটার কিছুটা বর্ণনা আপনার পুরনো কিছু লেখায় এর আগেও পড়েছিলাম বলে মনে পড়ছে। তবে কয়লার ইঞ্জিন চালকের এ বর্ণনাটা এই প্রথম। তার "জানালায় হাত রেখে" তাকিয়ে থাকতে থাকতে চলে যাওয়ার দৃশ্যটা মনে গেঁথে রলো। আমার নিজের কিছু স্মৃতির সাথেও কিছুটা মিলে গেল।
বহুদিন পর .... আবার কি কখনো সীতাকুণ্ড গিয়েছিলেন, আপনাদের সীতাকুণ্ডের সেই বাসাটা খুঁজতে? আমার জন্ম এবং প্রথম ৬/৭ বছর কেটেছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে। ৩২ বছর পরে আবার একদিন আম্মাকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম, স্মৃতিময় আমাদের সেই পুরনো বাসাটা খুঁজে পেতে। পুরনো স্মৃতির কিছুই পাইনি সেখানে তখন, তাই আমরা দুজনেই খুব নিরাশ হয়েছিলাম।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

জুন বলেছেন: আপনার ভালো লাগবে আমি জানি। আচ্ছা আপনি সব সময় এমন সুন্দর আর আন্তরিক মন্তব্যগুলো সবার শেষে এসে লিখে যান ক্যানো? না পরে অন্যদের চোখে না পরে আমার পোড়া চোখে।
কয়লার ইঞ্জিন না ডিজেলের ইঞ্জিন ছিল। ওদের গায়ে তেল মবিলে মাখা পোশাকের কথা মনে পরায় কয়লার কথাই মনে পরেছে। আপনি এত সুক্ষ সুক্ষ বিষয়গুলো উল্লেখ করেন তাতে মনে হয় আপনি কতটা মনোযোগ দিয়ে সামান্য লেখাও পড়েন।
জী অনেক বছর পর দুবার সীতাকুণ্ড গিয়েছিলাম। আমি যেমন তাকে আলো ঝলমলে দেখেছিলাম তার চেয়ে অনেকটাই মলিন লেগেছে। তবে সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছি এক পুরনো প্রতিবেশীকে পেয়ে। উনার বড় ছেলে আমার ভাইয়ের স্কুল ফ্রেন্ড ছিল। ওনারা চিটাগং থাকেন বর্তমানে। সেদিন তার মা কি কারণে জানি সীতাকুণ্ড এসেছিল আর আমরাও গিয়েছিলাম স্মৃতির খোজে। কি যে আপ্যায়ন করলো সেই কত বছর পুরনো প্রতিবেশীকে দেখে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটা আন্তরিক মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন। শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.