নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
তোমার জীবনের বোঝা অনেক ভারী, জানি।
তোমার দেহে, মুখে তা্রই সুস্পষ্ট প্রতিফলন।
কপালে তোমার দুশ্চিন্তার ছাপ, চোখের নীচে
নিদ্রাহীনতার কালি। দুটি গালই ডেবে গেছে
চোয়ালের ভেতর। মাথার উপরে পীড়িত মা,
যন্ত্রনাকাতর। তাকে নিয়ে চলেছো তুমি এক
অজানা গন্তব্যে, কম্পিত পায়ে, মলিন মুখে।
তুমি যে দিনমজুর নও, তা তোমার পেশীহীন
বাহু দুটো বলে দেয়। চোখেমুখে অপুষ্টির ছাপ
বলে দেয়, কায়ক্লেশে যাপিত তোমার জীবন।
তথাপি শীর্ণ শরীরে তুমি মাকে করেছো যতন।
মাথায় নিয়েছো তাকে, আহা কি যতনে তারে
করেছো বহন! মাতৃঋণ লাঘবের এই সাধনা
জগতের সকল পুত্রগণকে দিক অসীম প্রেরণা!
স্রষ্টা আমাদের শিখিয়েছেন এক অনুপম প্রার্থনা।
'হে প্রভু, চাপিওনা মোদের ঘাড়ে এমন বোঝা,
দাওনি যা বহনের সাধ্য মোদের'। এই অমোঘ
ঐশী বাণীর কথা স্মরণ করেই আমি বলতে চাই,
'হে দয়াময়, হও তুমি সদয় এ ছেলেটার প্রতি,
এমন যতন করে যে তার মাকে মাথায় তুলেছে,
তার সকল বোঝা লাঘব করে দাও এই নিমেষে'।
পাদটীকাঃ জীর্ণ-শীর্ণ দেহের এক যুবক, এ্যাম্বুলেন্সের ব্যয় বহন করার সাধ্য যার নেই, একটি ডালিতে করে তার পীড়িত মাকে মাথায় বহন করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছে, ফেইসবুকে এমন একটি চিত্র দেখে অভিভূত হয়ে এই কবিতাটি লিখেছি।
(ইতোপূর্বে প্রকাশিত)
ঢাকা
১৪ অক্টোবর ২০১৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রামানিক। কবিতা ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫
এহসান সাবির বলেছেন: বেশতো।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, এহসান সাবির। বেশ বলেছেন!
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ছবিটা ও ঘটনাটাটার সাথে কবিতাটির অসম্ভব মিল রয়েছে। ছন্দের মাঝেই পুরোটা প্রকাশ হয়ে গেছে। ভাল লাগলো।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটা পড়ে এখানে মন্তব্য রাখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ছবিটা দেখে তাৎক্ষণিক অনুভূতি থেকে কবিতাটা লেখা।
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ছবি, কবিতা - সবমিলিয়ে একটা মানবিক আবেদন, সাড়া জাগায় মনে, নিজের বিবেকের কাছে।
ভাল থাকুন। সবসময়।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিটা আমার মনেও ভীষণ সাড়া জাগিয়েছিলো। বলা চলে, ছবিটা দেখা মাত্রই কবিতা লিখতে বসে গিয়েছিলাম।
আপনার সমব্যথী মন্তব্য পেয়ে ভীষণ অনুপ্রাণিত হ'লাম, শামছুল ইসলাম
৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: এই সব ছবি হঠাৎ দেখলে: মন খুব খারাপ হয়। কারণ মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহারের কথা মনে পড়ে যায়। এত ভুল করার পরও মায়ের কাছে কখনও ক্ষমা চাওয়া হয় না।
সুন্দর কবিতা..............
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, রাতুল_শাহ। কবিতার প্রশংসায় প্রীত হ'লাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: খুব ভাল লাগল কবিতা। ধন্যবাদ ভাই।