নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
"আমার কথা - ২" পড়ুন এখানেঃ Click This Link
এর কিছুদিন পর আমার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবিটা আব্বা সেই পূরণকৃ্ত ফরমটার উপর আঠা দিয়ে সেঁটে দিয়ে ফরমটা আমাকে পড়তে দিলেন। আগে ক্যাডেট কলেজ সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা ছিল না, তখনই প্রথম ক্যাডেট কলেজ কথাটার সাথে পরিচিত হ’লাম। পূরণকৃ্ত ভর্তি ফরমটা পড়ে বুঝলাম, এটা আমার স্কুলের চেয়েও উন্নত মানের কোন প্রতিষ্ঠান হবে। তবে উন্নত নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের কথা ভেবে পুলকিত হবার চেয়ে আমার ভালো লাগার পুরনো স্কুলটিকে ছেড়ে যাবার বেদনাই আমাকে বেশী আচ্ছন্ন করে রাখলো। স্কুলে আমার এক বন্ধু ছিলো, নাম আবুল হাসানাত ফাহিয়ান। তখনো খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেনি, কারণ সে ছিলো অন্য সেকশনে। শুধু আরবী ক্লাসে আমরা একসাথে হ’তাম। তখনকার দিনে ৫ম-৮ম শ্রেণীতে তৃতীয় ভাষা হিসেবে আরবী অথবা উর্দু নিতে হতো। আমাদের সেকশনের যারা উর্দু নিয়েছিলো, তারা আমাদের সেকশন থেকে ওদের সেকশনে যেত, আর ওদের যারা আরবী নিয়েছিলো, তারা ওদের সেকশন থেকে আমাদের সেকশনে আসতো। ফাহিয়ান আরবী নিয়েছিলো, তাই শুধু আরবী ক্লাসেই আমরা একসাথে বসতাম। সেই ফাহিয়ান একদিন অত্যুচ্ছ্বাসে আমাকে জানালো যে তার বাবা তাকে মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করানোর জন্য একটা ফরম কিনে এনেছে এবং সে অতি শীঘ্রই এই স্কুল ছেড়ে সেখানে চলে যাবে। স্কুল ও পরিবার ছেড়ে যাবার আনন্দ তার চোখে মুখে ঝিকিমিকি করে জ্বলছিলো। কেন, সেকথা পরে বলছি।
আমি তাকে আস্তে করে জানালাম যে আমার বাবাও একই কলেজ থেকে একটা ফরম এনেছেন এবং তা পূরণ করাও শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে আমার মধ্যে তেমন কোন উচ্ছ্বাস দেখতে না পেয়ে ফাহিয়ান আমাকে ক্যাডেট কলেজের আকর্ষণগুলোর কথা সবিস্তারে বর্ণনা করতে লাগলো, যার মধ্যে প্রধানতম ছিল বাবার শাসন থেকে মুক্তি। ফাহিয়ানের বাবা ছিলেন একজন প্রবাদ পুরুষ। তিনি তার ৬ ছেলে আর ১ মেয়েকে কঠোর নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ রেখে মানুষ করেছিলেন। অবশ্য এ কারণেই হয়তো তারা সবাই ‘মানুষ’ হতে পেরেছে। তিনি তার ৬ ছেলের প্রত্যেকের নাম রেখেছিলেন ‘আবুল হাসানাত’ দিয়ে শুরু করে এর পর একজন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম বসিয়ে। যেমন, চীনা পর্যটক ফা হিয়েন এর নামে আমার বন্ধুর নাম আবুল হাসানাত ফাহিয়ান, সে রকমভাবে ওর অন্যান্য ভাইদের নাম ফুয়াদ, ফারুক, ফেরদৌস, ফয়েজ ইত্যাদি। তিনি PTI এর সুপারিন্টেন্ডেন্ট ছিলেন। তার ছেলেরা সবাই আজ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত।
ফাহিয়ান সরকারী বৃত্তি নিয়ে পোল্যান্ডের মেরিন একাডেমীতে প্রশিক্ষণ শেষ করে বেশ কিছুদিন জাহাজে চাকুরী করেছিলো। কিন্তু ওর ধরণ ধারণ ওরকম শৃঙ্খলাবদ্ধ চাকুরীর জন্য সাযুজ্যপূর্ণ ছিলনা। তাই, সে ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতির পর নাবিকের চাকুরী থেকে ইস্তফা দিয়ে ব্যবসায়ে নেমেছিল। সে যে নিজ থেকে ঐ বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী ছিলো, মোটেই তা নয়। বরং কোন রকমে দেশ ছেড়ে জগতের যে কোন প্রান্তরে গিয়ে সে মুক্তির নিঃশ্বাস নিতে চেয়েছিলো। নইলে সে জানতো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়েও তাকে বাবার সামনে বসে থেকে পড়াশোনার মহড়া চালাতে হতো। তখন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে পোল্যান্ডের সদাশয় সরকার বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য সেখানকার মেরিন একাডেমীতে পড়ার নিমিত্তে কিছু বৃত্তি দেয়। ফাহিয়ান সেটার জন্য আবেদন করলো এবং নির্বাচিতও হলো। পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ শেষে সে এক রুশ মহিলাকে বিয়ে করে প্রথম সংসার শুরু করেছিলো, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে (কিংবা সৌভাগ্যক্রমে, হয়তো বা,) সে সংসার টিকেনি। পরে সে আবারো আরেক রুশ স্থপতি রমণীর পাণি গ্রহণ করে স্থায়ীভাবে চেক প্রজাতন্ত্রে আবাস গড়ে তোলে এবং সেখানে সে আজও সুখী জীবন যাপন করছে। তার আগের ঘরের ছেলেটাকেও তার দ্বিতীয় স্ত্রী পরম মমতাভরে লালন করেছেন এবং তারা এখনও একই ছাদের নীচে বসবাস করেন। চেক প্রজাতন্ত্রে ফাহিয়ান এখন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, প্রতি বছর সে একবার করে দেশে আসে। বৃদ্ধা মাকে দেখার টান তো আছেই, তবে ঠিক এর পরের আকর্ষণটি তার এমসিসি'র বন্ধুদের সাথে আড্ডা। যে ক'টা দিন সে দেশে থাকে, আমাদের সাথেই সে কয়েকদিন এক সাথে আড্ডা আর খাওয়া দাওয়া করে চলে যায়। ওর সবচেয়ে বড়ভাই আবুল হাসানাত ফারুক পিতার ন্যায় শিক্ষা বিভাগে যোগদান করেন এবং গভঃ ল্যাবোরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নেন। ওর ইমিডিয়েট বড় ও ছোট ভাই যথাক্রমে ফুয়াদ ও ফেরদৌস রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ থেকে পাশ করে। ফুয়াদ গণপূর্ত বিভাগের চীফ আর্কিটেক্ট হিসেবে অবসর নেয়। ফেরদৌস বিভিন্ন পাবলিক মেডিক্যাল কলেজেগুলোতে ফার্মাকোলজির প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর এখন অবসরপ্রাপ্ত। সবচেয়ে ছোট ভাই এক মালয় মহিলাকে বিয়ে করে মালয়েশিয়াতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। সেও বুয়েট থেকে পাস করা একজন প্রকৌশলী। ওর বাকী আরেক ভাইয়ের কাহিনী একাই একটা উপন্যাস হবে। তার কথা অন্য আরেকদিন প্রসঙ্গান্তরে বলা যাবে।
ফাহিয়ানের ভাইদের এতটা বর্ণনা দিলাম এই কারণে যে তারা বড় ছোট সবাই আমার ও আমার অন্যান্য বন্ধুদের কাছেও বন্ধুর মতই ছিলো। আর তারা সবাই নিজেদেরকে তাদের পিতার শাসনের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত বলে মনে করতো। সবার পরিস্থিতি এক হওয়াতে সবাই বন্ধুর মত হয়ে গিয়েছিলো। আমরা, মানে ফাহিয়ানের বন্ধুরা তাদের ৭১, শান্তিনগর এর বাসায় (জোনাকী সিনেমা হলের পেছনে) যখন যেতাম, তখন রীতিমত একটা রেকী করে জেনে নিতাম যে ওর বাবা বাসায় আছেন কিনা। তাঁর সামনে পড়ে গেলে আমরাও একই রকম ট্রীটমেন্ট পেতাম, অর্থাৎ ফাহিয়ান এবং তার ভাইদের সাথে আমাদেরকেও বই নিয়ে বসে যেতে হতো। একবার কয়েকজন বন্ধু মিলে জোনাকীতে একটা ম্যাটিনী শো দেখবো বলে টিকিট কেটে ফাহিয়ানকে ডাকার জন্য ওর বাসায় গেলাম। দুর্ভাগ্যক্রমে সরাসরি পড়ে গেলাম তার বাবার সামনে। কারণ, কি কারণে যেন সেদিন তিনি অফিসে যান নি। বলাবাহুল্য, সেদিন জোনাকিতে আমাদের সীট গুলো ফাঁকাই রয়ে গিয়েছিলো, আর আমরা সবাই টানা আড়াই ঘন্টা ফাহিয়ানের বাবার সামনে বসে পাটিগণিতের অংক কষে বিকেলে চা মুড়ি খেয়ে বাড়ী ফিরেছিলাম। আসলে তখন আমাদের গার্জেনরা সন্তানদের দেখভালের ব্যাপারে সবাই বোধহয় কম বেশী এরকমই ছিলেন। তারা ছেলেমেয়ের বন্ধুদেরকে নিজ সন্তানের মত আদরও যেমন করতেন, শাসনও তেমন করতেন। আমরা ওর বাবার আদেশপ্রাপ্ত হয়ে যেমন ভয়ে ভয়ে এক টেবিলে পড়তে বসতাম, তেমনি ওর মায়ের ডাকে ওদের পাশে বসেই এক সাথে খাবার খেতাম। আমার বাসায়ও ওদের মত অতটা কঠোর না হলেও, মোটামুটি কড়াকড়ি নিয়ম ছিল। নতুন কোন বন্ধু প্রথম এলে বাবা, মা কিংবা অন্য কারো না কারো একটা ছোটখাট ইন্টারভিউ এর বৈতরণী পার হয়েই কেবল সে নিজেকে ওয়েলকাম ফীল করতে পারতো। আর এখন আমরা বাবা মা হিসেবে অন্যের ছেলেকে কেন, নিজের ছেলেকেও শাসন করার আগে দু’বার চিন্তা করে নেই!
চলবে...
ঢাকা
০৬ জুলাই ২০১৫
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আমি ০০০।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: একটা সময় ব্যাপারটা কতই না আকর্ষণীয় ছিলঃ
//ক্যাডেট কলেজের আকর্ষণগুলোর কথা সবিস্তারে বর্ণনা করতে লাগলো, যার মধ্যে প্রধানতম ছিল বাবার শাসন থেকে মুক্তি। //
আপনার বন্ধু ফাহিয়ান অত্যন্ত সৌভাগ্যবানঃ
//বৃদ্ধা মাকে দেখার টান তো আছেই, তবে ঠিক এর পরের আকর্ষণটি তার এমসিসি'র বন্ধুদের সাথে আড্ডা।//
কৌতুক অনুভব করেছিঃ
//বলাবাহুল্য, সেদিন জোনাকিতে আমাদের সীট গুলো ফাঁকাই ছিলো, আর আমরা সবাই টানা আড়াই ঘন্টা ফাহিয়ানের বাবার সামনে বসে এ্যলজেব্রা কষে বিকেলে চা মুড়ি খেয়ে বাড়ী ফিরেছিলাম। //
পরের লাইনেই শ্রদ্ধাঃ
//আসলে তখন আমাদের গার্জেনরা সন্তানদের দেখভালের ব্যাপারে বোধহয় কম্ বেশী এরকমই ছিলেন। তারা ছেলেমেয়ের বন্ধুদেরকে নিজ সন্তানের মত আদরও যেমন করতেন, শাসনও তেমন করতেন। //
এবং এই শ্রদ্ধামিশ্রিত ভালবাসা নিয়েই বিদায় নিচ্ছি।
ভাল থাকুন। সবসময়।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এই লেখাটা সকাল সকাল আপনার এতটা মনযোগ পেলো, তাই ধন্য হলো। বরাবরের মতই চুলচেরা বিশ্লেষণ, আর প্রেরণাদায়ক মন্তব্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, শামছুল ইসলাম।
এই লেখাটায় অনেক ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ এসেছে, তবে আমি ফাহিয়ানের অনুমতি নিয়ে লিখেছি। সেও এই লেখাটা দেখেছে।
সম্প্রতি তার মহিয়সী মা প্রয়াত হয়েছেন। আপনারা তাঁর জন্য দোয়া করবেন। কোন ভালো লেখকের কাছে তাঁর জীবনীটা মেলে ধরলে, তিনি তাঁর কথা লিখে বিখ্যাত হতে পারতেন।
ব্যক্তিগত প্রসঙ্গের অবতারণা না করলে সেই সময়ের চিত্রটা ঠিকমত উঠে আসতো না।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: আমার কাছে আপনার আত্মকথা ভাল লাগছে, আপনি লিখতে থাকেন আমি সঙ্গে আছি।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ, প্রামানিক।। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার আত্মকথাটি যদি বই আকারে প্রবেশ করেন তবে ভালো হত। প্রথম ২ পর্ব পড়া হয় নি। তবে সময় করে পড়ে নিব। চালিয়ে যান।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বই আকারে বের করার ইচ্ছে আছে, তবে এখনই নয়। পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
আগের দুটো পড়া হলে জানাবেন আশাকরি, কেমন হলো।
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নিঃসন্দেহে একটি মান সম্পন্ন পোস্ট ।
চালিয়ে যান , সাথে আছি ।
শুভ কামনা ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম।সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, গিয়াস উদ্দিন লিটন।
আশাকরি আগের দুটো সিকোয়েলও পড়েছেন বা পড়ে নিবেন সময় করে।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লেগেছে আপনার লেখা । সুন্দর +
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সেলিম আনোয়ার। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০১
ডাঃ মারজান বলেছেন: আমি আপনার প্রতিটি লেখাই পড়ি। অনেক অনেক ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন। এই কদিন ব্লগে থাকবনা। লেখা আসলে এক বারে সব পড়ে ফেলব। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত উৎফুল্ল হ'লাম আপনার এ উদার মন্তব্য পেয়ে। যেখানেই যান এবং থাকুন, নিরাপদেই যান এবং থাকুন। আবার নিরাপদেই ফিরে আসুন এ ব্লগে।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কি এখনো ব্লগে ফেরেন নি, ডাঃ মারজান?
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
পুরাতন আামি বলেছেন: ভাল লাগা রইল
ভাল থাকবেন
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, পুরাতন আামি।
আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, ভালো লাগার কথা জানিয়ে গেলেন।
প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ।
ফাহিয়ানের বাবার বা ফাহিয়ানের বাবাদের মতো বাবাদের কঠিন আচরণটাই আমাদের চোখে পড়ে। কিন্তু সন্তানের বন্ধুদের সাথে মেলামেশা বা তাদের পরিবার সম্পর্কে খোঁজ নেয়াটা এক অর্থে ভালোই।
শুভকামনা রইলো।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় আপনি এই প্রথম এলেন, মন্তব্য রেখে গেলেন, সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে, অপর্ণা মম্ময়।
কিন্তু সন্তানের বন্ধুদের সাথে মেলামেশা বা তাদের পরিবার সম্পর্কে খোঁজ নেয়াটা এক অর্থে ভালোই।
- শুধু এক অর্থে নয়, আমি বলবো সব অর্থেই ভালো।
আপনার প্রথম লেখাটাতে দুটো কথা রেখে এলাম। আশা করি পড়ে নেবেন সময় করে। আমার মন্তব্যের শেষাংশটুকু সম্বন্ধে যদি কোন দ্বিমত থাকে, তবে জানাবেন। লেখাটার শিরোনামটুকুও বেশ ভালো লেগেছে - 'অভ্যন্তরের বিহঙ্গ বিহান'।
১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
মানবী বলেছেন: ভালো লেগেছে স্মৃতি চারন। আপনার বন্ধু ফাহিয়ানের বাবার মতো বাবার হারিয়ে যাচ্ছেন খুব দ্রুত। কড়া ও কঠিন অণুশাসনের মাঝেও যে সন্তানের বন্ধুদের একান্ত আপন করে নেয়া তা ঠিক উচ্ছল কৈশোরে আনুধাবনা করা যায়না।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার স্মৃতিকথা পড়তে আপনার ভালো লাগছে জেনে অনুপ্রাণিত হ'লাম। আপনি ঠিকই বলেছেন,
ফাহিয়ানের বাবার মতো বাবার হারিয়ে যাচ্ছেন খুব দ্রুত
শুভেচ্ছা জানবেন।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কি এ ব্লগ থেকে একেবারেই অন্তর্হিত হয়ে গেলেন, মানবী?
১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সে সময়টা অন্য রকম ছিল আর আপনার বর্ণনা খুব ভাল লাগছে পড়তে । শুভ কামনা ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, সে সময়টা অন্য রকম ছিল
সিরিজটা পড়তে ভালো লাগছে জেনে খুশী হলাম। ধন্যবাদ।
১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//আমরা, মানে ফাহিয়ানের বন্ধুরা তাদের ৭১, শান্তিনগর এর বাসায় (জোনাকী সিনেমা হলের পেছনে) যখন যেতাম, তখন রীতিমত একটা রেকী করে জেনে নিতাম যে ওর বাবা বাসায় আছেন কিনা।//
-জেনারেলদের কিছু আত্মজীবনী পড়ার কারণে আপনার 'রেকি' বুঝতে পারলাম। একটু বাড়তি মজা পেলাম।
-জানি না বন্ধুর বাবা কতটুকু কঠোর/স্বেচ্ছাচারী ছিলেন। আপনার লেখা পড়লে তার আচরণের সুফলই চোখে পড়ে।
-অবশ্য তাদের দু'জন বিদেশিনীর পাণি গ্রহণ করার বিষয়টুকু আলাদাভাবে দেখতে হবে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: অবশ্য তাদের দু'জন বিদেশিনীর পাণি গ্রহণ করার বিষয়টুকু আলাদাভাবে দেখতে হবে -- বলতেই হয়, আপনার দৃষ্টি অত্যন্ত অন্তর্ভেদী। এতজন পাঠক পাঠ করে গেলেন, মন্তব্য করে গেলেন, কেউ তো এই ব্যাপারটাকে খেয়াল করলেন না। 'রেকি' কথাটা সম্পর্কেও আপনার পর্যবেক্ষণে মুগ্ধ হ'লাম।
আপনার মত মনযোগী পাঠক যেকোন কবি-লেখকেরই পরম আকাঙ্খিত।
বাকী গুলোতেও আপনার মন্তব্য পাবো বলে আশা করছি।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১
আরমিন বলেছেন: "আমা্র বাসায়ও নতুন কোন বন্ধু প্রথম এলে বাবা, মা কিংবা অন্য কারো না কারো একটা ছোটখাট ইন্টারভিউ এর বৈতরণী পার হয়েই কেবল নিজেকে ওয়েলকাম ফীল করতে পারতো! "
এরকমই মনে হয় ভালো ছিলো!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও তাই মনে করি, আরমিন২৯। আমার লেখাটা পড়ে তা থেকে এখানে উদ্ধৃতি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আশাকরি বাদ বাকী তিনটে পর্বও সময় করে পড়ে নেবেন।
১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৫
আরজু পনি বলেছেন:
এইচএসসি পাশ করার পর আমিও ময়মনসিংহ ছাড়তে মরিয়া হয়ে গিয়েছিলাম বর ভাইয়ের নিষ্পেষণ থেকে মুক্তি পেতে ।
আমি অবশ্য মুক্তি পেয়েছিলাম ঢাবিতে এসে ।
পড়তে ভালো লাগছে।
পোয়েম হান্টারে আপনাকে দেখলাম, আপনার কবিতা পড়বো ওখানে আশা করছি ।
শুভ সকাল ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাইরাতো বোনদের রক্ষাকবচ। ভাইরাও বোনদেরকে নিষ্পেষণ করে নাকি?
ঢাবিতে কোন বিষয়ে পড়েছেন?
পোয়েম হান্টারে আমার ১৬৪ টা ইংরেজী কবিতা আছে। তবে, এখন আর অনেকদিন ধরে লিখছিনা। এই ব্লগ অনেকটা সময় নিয়ে নিচ্ছে। পোয়েম হান্টারে Pristine Love নামে আমার একটা কবিতা আছে। সেটা একটা মাসাধিকব্যাপী প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছিলো।
লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে কোন তাড়াহুড়ো নেই। ধীরে সুস্থে পড়ুন।
১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: এখন কি আপনার বন্ধু ফাহিয়ানের সাথে যোগাযোগ হয়?
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যাঁ হয়। তার সম্বন্ধে এসব কথা আমি লিখছি, এর আগে আমি তার অনুমতি নিয়ে রেখেছি। সে প্রায়ই আমাকে প্রাগ থেকে ফোন করে দীর্ঘ আলাপ করে।
১৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
রাতুল_শাহ বলেছেন:
১৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৫
কালীদাস বলেছেন: ক্যাডেট কলেজের নিজস্ব একটা ব্লগ আছে। গেছেন কখনও সেখানে? ট্রাই করতে পারেন, পোস্টগুলো খুবই ইন্টারেস্টিং এবং ব্লগের মান অনেক কনসিসটেন্ট সামহ্যোয়ারের তুলনায়।
আইয়ুব খানের সিনেমার হাফ টিকেট তো মনে হয় আপনাদের সময় ছিল, ঠিক না?
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ক্যাডেট কলেজের নিজস্ব একটা ব্লগ আছে। গেছেন কখনও সেখানে? -- জ্বী, গত প্রায় বছর দেড়েক ধরে ওখানেও আমি কন্ট্রিবিউট করে থাকি।
খুবই ইন্টারেস্টিং এবং ব্লগের মান অনেক কনসিসটেন্ট সামহ্যোয়ারের তুলনায় -- তবে এখন কেন জানি ব্লগটা ঝিমিয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গত মাস ছয়েক ধরে। একটা পোস্ট প্রায় মাসাধিক কাল ধরে প্রথম পাতা দখল করে থাকে।
আইয়ুব খানের সিনেমার হাফ টিকেট আমাদের সময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। ট্রেনেও কনসেশন পাওয়া যেত। রেলওয়ের ফুলবাড়িয়া (পুরাতন ঢাকা) স্টেশনে অবস্থিত ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসারের দপ্তর থেকে কনসেশন ভাউচার সংগ্রহ করতে হতো।
১৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এই পর্বটিও ভাল লেগেছে! স্মৃতির প্রখরত্বে, পেলব শব্দমালার বুনট যেন নিখুঁত গাঁথুনি!!
১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যটি আমাকে অশেষ প্রেরণা দিয়ে গেল। ৮ম "লাইক" ক্লিক করার জন্য ধন্যবাদ।
১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪১
করুণাধারা বলেছেন: আমার পোস্টে উল্লিখিত জীবনের জার্নাল খুঁজে পেলাম না। কিন্তু যা পেলাম তা অসাধারণ!
আগে অনেক বাবারাই ফাহিয়ানের বাবার মত ছিলেন। বেড়াতে আসলে তারা বাড়ির ছোটদের কোন অংক করতে দিতেন বা ট্রান্সলেশন করতে দিতেন। আজকার দিনে এমন ভাবাই যায় না।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনের জার্নাল এখানে আমার কথা হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।
আমার বাবাও অনেকটা ফাহিয়ানের বাবার মতই ছিলেন।
পুরনো পোস্ট পড়ে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
২০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:০১
মাহবুব রোহমান বলেছেন: ফা হিএন ভাই-এর সাথে ২০১৭ সালে ৩০ আগস্ট দেখা হয়েছিলো। উনি দুই ঘণ্টা ড্রাইভ করে এসে ব্রণও শহরে আমাদের হোটেল থেকে তুলে দু এক্ টা যায়গা ঘুরিয়ে পোল্যান্ড যাবার বাসে তুলে দিয়েছিলেন। উনি কি স্কুলেও ভাল খেলোয়াড় ছিলেন?
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক পুরনো একটা লেখা পড়ে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
চীনা পর্যটকের নামটি যদিও ছিল 'ফা-হিয়েন', ওর বাবা ওর নামের বানানটি লিখেছিলেন 'ফাহিয়ান'। ফলে, সেভাবেই সব সনদপত্রে ওরা নামটি 'ফাহিয়ান' লেখা হয়েছে।
ফাহিয়ান একজন ভাল স্প্রিন্টার ছিল। শর্ট ডিসট্যান্স দৌড়ে ও খুব ভাল ছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই, ফুটবলেও তার এ দক্ষতাটুকু কাজে দিত। বল নিয়ে সবার আগে দৌড়ে যেতে পারতো। কিন্তু বলকে গোলে ঢুকানোর পারদর্শিতা ওর চেয়ে আরো অনেকের ভাল ছিল।
২১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে, আমার বাল্যবন্ধু আবুল হাসানাৎ ফাহিয়ান গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর দুইটায় চেক প্রজাতন্তের য্লীন শহরের এক হাসপাতালে কিডনী প্রতিস্থাপনোত্তর অসুস্থতায় মাসাধিককাল ভোগার পর অনন্তলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন তাঁর অপার করুণা ও দয়ায় ফাহিয়ানের সকল দোষ-ত্রুটি, ছোট বড় সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে তার রূহের প্রতি সদয় হউন এবং তাকে শান্তিময় পরলোক দান করুন!
ফাহিয়ান আর আমি ক্যাডেট কলেজে যাবার আগেও একই স্কুলে দু’বছর পড়েছি। ওর সাথে আমার অর্ধ শতাব্দী জুড়ে অনেক স্মৃতিময় বন্ধুত্বের জীবন! ফাহিয়ানের সাথে শেষ দেখা হয়েছিল খুব সম্ভবতঃ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে, গুলশানের গ্লোরিয়া জীন্স কফিশপে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একত্রিত হয়েছিলাম। আর হোয়াটসএ্যাপে ওর সর্বশেষ বার্তাটি পেয়েছিলাম ০৩ মার্চ, ২০২০ তারিখে। মাত্র ৪৩ দিনের মাথায় জ্বলজ্যান্ত একটা মানুষ ‘নাই’ হয়ে গেল!
আমি পাঠকের কাছে আমার বন্ধুর জন্য সর্বান্তঃকরণে দোয়া প্রার্থী।
২২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৯
মা.হাসান বলেছেন: আমার এক খালাতো বোন এবং দুলাভাই তাদের বাচ্চাদের উপর খুব কঠোর ছিলেন। ওনাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাচ্চাদের তুলনায় ওনাদের বাচ্চারা পরবর্তীতে জীবনে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত। বাচ্চাদের বাবা মারা ভালো চান বলেই হয়তো এত কঠোরতা অবলম্বন করেন তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এত কঠোর হওয়ার পক্ষপাতী না। আপনার এই বন্ধুটির সাথে আপনার অন্যরকম হৃদয়ের সম্পর্ক ছিল বলেই মনে হয়, নাহলে শুধু ওনাকে নিয়ে একটি পর্ব লিখতেন না।
উনার আত্মার সর্বাঙ্গীন শান্তি এবং মঙ্গল কামনা করছি।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে আমিও বাচ্চা কাচ্চাদের মানুষ করার ব্যাপারে এতটা কঠোর হওয়ার পক্ষপাতী নই।
হৃদয়ের সম্পর্ক - ব্যাপারটা আপনি ঠিকই ধরেছেন। আমি ওর ব্যাপারটা নিয়ে ঐ বয়সে অনেক ভাবতাম। আমার বাবাও খুব রাশভারী লোক ছিলেন এবং শাসনের ব্যাপারে কঠোর ছিলেন। কিন্তু ও যেভাবে ওর বাবাকে ভয় পেতো, আমিও তার কাছাকাছি ভয় পেলেও, তার মত বাবাকে কখনো demon ভাবতে পারিনি। তুলনামূলকভাবে ওর চেয়ে আমার ভাগ্যটা অন্ততঃ এ ব্যাপারে ঈষৎ ভাল হলেও, ওরটা খারাপ হবার কারণে দুঃখবোধ করতাম।
দোয়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার স্মৃতি কথা। কত সুখদুঃখ জড়িয়ে যে বন্ধুর সঙ্গে সে আর নেই ভাবলেই যেন ভিতরটা হাহাকার করে ওঠে। তবুও এটা আমাদের মানতেই হবে স্যার। মনকে কখনোই দুর্বল করবেন না। অব্যক্ত কথাগুলো লেখনীতে ফুটিয়ে তুলুন। ২১ নং এ আপনার নিজের মন্তব্য ও মা.হাসান ভায়ের মন্তব্যটি ভালো লেগেছে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: কত সুখদুঃখ জড়িয়ে যে বন্ধুর সঙ্গে সে আর নেই ভাবলেই যেন ভিতরটা হাহাকার করে ওঠে - সত্যি তাই। এই এপ্রিল মাসে মাত্র বার দিনের ব্যবধানে আমি দু'জন বাল্যবন্ধু এবং একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর পত্নীকে হারিয়েছি। তাদের অনেক স্মৃতি মনের মাঝে অহরহ ঘুরে বেড়ায়।
পুরনো পোস্টে মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার প্রিয় বন্ধুর বাবার মত বাবার গল্প আমি হুমায়ুন আহমেদের বইতে পড়েছি । বাস্তবেও যে এমন মানুষ আছে তা আপনার লেখা পড়ে জানতে পারলাম । আমার যে কয়জন কাছের বন্ধু বান্ধব আছে, স্কুল জীবনে অবশ্য তাদের বাবারা এতো কড়া ছিলেন না । আর আমি বরাবর স্কুলে প্রথম দিককার ছাত্র ছিলাম বলে তাদের বাবা মূলত খুশি হতেন যখন দেখতেন তাদের ছেলেদের সাথে আমি মিশছি ।
মন্তব্য ঘরে আপনার বন্ধু মৃত্যুর সংবাদ পড়ে ব্যাথিত হলাম । প্রিয় একজন মানুষ ওপাশে চলে যাওয়াটা সব সময় কষ্টের ।
০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুরনো পোস্টে মন্তব্য রাখার জন্য ধন্যবাদ। এই সুযোগে নিজের লেখাটা আমিও আরেকবার পড়ে নিলাম এবং সেই সাথে মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলোও।
ফাহিয়ানের বাবা যেমন একজন কড়া মানুষ ছিলেন, ওর মা তেমনই একজন নির্বাক, নিরীহ স্নেহশীলা মা ছিলেন। দু'জনের যৌথ অবদানে ওরা এতগুলো ভাইবোনের মধ্যে প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত হতে পেরেছেন এবং জীবনে সফল ক্যারীয়ার গড়ে নিতে পেরেছেন। সে আমলে এরকম কঠোর বাবা আনকমন ছিল না।
মন্তব্যে আমার লেখার সূত্র ধরে আপনার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে প্রাণিত হ'লাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৭
আমি ০০০ বলেছেন: 'আসলে তখন আমাদের গার্জেনরা সন্তানদের দেখভালের ব্যাপারে বোধহয় কম্ বেশী এরকমই ছিলেন। তারা ছেলেমেয়ের বন্ধুদেরকে নিজ সন্তানের মত আদরও যেমন করতেন, শাসনও তেমন করতেন।'
পরন্ত বিকালের অভিগ্গতা থেকে অনেক কিছু জানার আশা রাখছি।