নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
এক শালিখে দুঃখ আসে, দুই শালিকে হর্ষ,
কে দিয়েছে এমন বিধান কে জানে সে রহস্য।
তিন শালিখে পত্র আসে, উদোম কিম্বা খামে,
চার শালিখে আসে কুটুম, সবাই কি তা মানে?
ছোটবেলায় বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে,
শালিখ দেখে ঠিক করতাম, কি আছে মোর ঘটে।
ভয় পেতামনা এক শালিখে, জানতাম মনে মনে,
জোড়াটি তার পাবোই খুঁজে, ডানে কিংবা বামে।
পাখীরাতো মানুষ নয়, তারা হয়না সঙ্গীহীন,
জীবন তাদের মায়ায় ভরা, মমতায় অসীম।
নিকাহনামায় সই না করেও, বাঁধন তাদের অটুট,
উড়ে বেড়ায়, ঘুরে বেড়ায়, নেই বুদ্ধি কূট।
তাই এক শালিখে দুঃখ আসার ভয় ছিলনা কোন,
তার জোড়াটাকে পাবই খুঁজে, জানতাম আমি যেন।
জোড়া শালিখের ঘুরা উড়া দেখতাম উল্লাসে,
আর ভাবতাম, এবার যেন কি সুখ-বারতা আসে!
ওয়ান ফর সরো, টু ফর জয়।
সত্যিই কি এমন, সবসময় হয়?
থ্রী ফর লেটার্স, ফোর ফর গেস্ট,
চীয়ার্স, চীয়ার্স, ফরগেট দা রেস্ট!
পাদটীকাঃ আজ সকাল থেকেই জানালার ওপাশে দুটো শালিকের আনাগোনা দেখছিলাম। মনে পরে যাচ্ছিল ছোটবেলার সেই "ওয়ান ফর সরো, টু ফর জয়" এর কথা। সেটার স্মরণেই এ লেখাটা।
(ইতোপূর্বে প্রকাশিত)
ঢাকা
০৯ মার্চ ২০১৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনার এই সদয় সপ্রশংস মন্তব্যের জন্য, এম রাজু আহমেদ।
এই ব্লগে আপনার প্রথম পোস্ট, "অসমাপ্ত পান্ডুলিপি" পড়লাম। ভালো লেগেছে। মুগ্ধতা রেখে এসেছি।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
পাখীরাতো মানুষ নয়-- মানুষেরা দিন শেষে বড্ডো একা ৷
স্নিগ্ধ পদ্যমালা ৷
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অল্প কথায় খুব সুন্দর মন্তব্য রেখে গেলেন, জাহাঙ্গীর.আলম। এ্যপ্রিশিয়েট করছি।
আপনার প্রথম লেখা কবিতাটা পড়ে এলাম। ভালো লেগেছে।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: সুখপাঠ্য!! খুব ভাল লেগেছে। তবে শালিকের নাম্বারিংয়ের ব্যপারটা অদ্ভুত ঠেকলো~
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে শালিকের নাম্বারিংয়ের ব্যপারটা অদ্ভুত ঠেকলো - ওটা আমাদের সময়ের একটা প্রচলিত শ্লোক ছিলঃ
"ওয়ান ফর সরো, টু ফর জয়, থ্রী ফর লেটার্স, ফোর ফর গেস্ট"। অর্থাৎ, এক শালিক দেখলে দুঃখ পাবে, দুই এ আনন্দ। তিনটা দেখলে চিঠি পাবে, চারটা দেখলে অতিথি আসবে। এরকম ৫,৬....১০ পর্যন্ত ছিল, তবে বাকীগুলো মনে নেই।
এই ব্লগের আপনার প্রথম লেখাতে কিছু কথা রেখে এসেছি। সময় করে দেখে নেবেন।
'শালিখ সমাচার' এ মন্তব্য রাখার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১
সাবলীল মনির বলেছেন: চমৎকার !
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এই সংক্ষিপ্ত মন্তব্যের জন্য, সাবলীল মনির
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শালিক দিয়ে সুন্দর কবিতা প্রচেষ্টায় + ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সেলিম আনোয়ার।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রথম প্যারাটা দারুন হয়েছে ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম, সেলিম আনোয়ার।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, নীলপরী।
আপনার প্রথম লেখাটা পড়ে সেখানে কিছু কথা রেখে এলাম। আশাকরি সময় করে পড়ে নেবেন।
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩
শামছুল ইসলাম বলেছেন: শালিকদের নিয়ে চমৎকার কাব্য।
সঙ্গীহীন মানব/মানবী'র কথাটা মনে ধরেছেঃ
//পাখীরাতো মানুষ নয়, তারা হয়না সঙ্গীহীন,
জীবন তাদের মায়ায় ভরা, মমতায় অসীম।
নিকাহনামায় সই না করেও, বাঁধন তাদের অটুট,
উড়ে বেড়ায়, ঘুরে বেড়ায়, নেই বুদ্ধি কূট।//
ভাল থাকুন।সবসময়।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, @শামছুল ইসলাম।
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধন্যবাদ আংকেল। আপনার পোস্টে আগেও এসেছিলাম। আপনার লেখাগুলো আসলেই ভাল লাগে। আর আমার প্রথম পোস্টে আপনার লেখার উত্তরও দিয়েছি।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। উত্তরটা দেখলাম।
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
কিরমানী লিটন বলেছেন: এক শালিখে দুঃখ আসে, দুই শালিকে হর্ষ,
কে দিয়েছে এমন বিধান কে জানে সে রহস্য।
তিন শালিখে পত্র আসে, উদোম কিম্বা খামে,
চার শালিখে আসে কুটুম, সবাই কি তা মানে? - অনবদ্য ভালোলাগার কবিতা,সমাজের প্রচলিত কুসংস্কার গুলি চমৎকার ভাবে কবিতায় তুলে ধরেছেন- অনেক শুভকামনা প্রিয় খায়রুল আহসান ভাই... +
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭
জুন বলেছেন: আমি এখনো এক শালিক দেখলে তাকিয়ে থাকি তার জোড়াটা দেখার জন্য।
ভালোলাগলো শালিক নিয়ে সেই পুরনো প্রবাদকে ভিত্তি করে লেখা কবিতাটি।
+
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভয় পেতামনা এক শালিখে, জানতাম মনে মনে,
জোড়াটি তার পাবোই খুঁজে, ডানে কিংবা বামে। -- এখনো তাই করি। এবং জোড়াটাকে খুঁজেও পাই।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
রাশেদ মহাচিন্তিত বলেছেন: আপনাদের সময় এরকম করলেও, আমরাও এইতো সেদিন ঠিক একই কাজ করেছি। কোন রকমে এক শালিক দেখলে আশে পাশে খুঁজতাম।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: পেছনে গিয়ে কবিতা পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, রাশেদ মহাচিন্তিত।
কিছু কিছু (কু)সংস্কার তো থেকেই যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২
এম রাজু আহমেদ বলেছেন: খুব সুন্দর ছন্দময় উপস্থাপনা।
খুব ভাল লাগলো পড়ে।