নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আমার কথা - ৫ পড়ুন এইখানেঃ আমার কথা - ৫
দু’দিন বিশ্রাম নেয়ার পর ফের স্কুলে যাওয়া শুরু করলাম। আবার স্কুলের ক্যালেন্ডারের সাথে একাত্ম হ’লাম, ক্যাডেট কলেজের ভাবনা ধীরে ধীরে মাথা থেকে চলে গেলো। একদিন শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে স্কুলটা এক পিরিয়ড আগে শেষ হলো। আমরা কয়েকজন মিলে ঠিক করলাম, বাসায় গিয়ে বই রেখে পুনরায় স্কুলে আসবো আর দুই দলের মধ্যে একটা কম্পিটিশন ম্যাচ খেলবো। তাড়াহুড়ো করে বাসায় ফিরলাম। দরজা খুলতেই আমার চেয়ে সাত বছরের ছোট বোনটা ঘোষণা দিলো যে আমি পাশ করেছি। কিসে পাস করেছি, সে সম্বন্ধে তার কোনই জ্ঞান ছিলোনা, তবে বড়দের পাশে বসে আলোচনা শুনে সে বুঝতে পেরেছে যে আমি বেশ বড় একটা কিছু করে ফেলেছি। এজন্যই সে বেশ উল্লসিত ছিলো। সন্তর্পনে ঘরে ঢুকলাম। আম্মা কাছে ডেকে আদর করে জানালেন যে আমি ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। টেবিলের উপরে দেখি পত্রিকার পাতা খোলা। যে পাতায় আমার রোল নম্বরটা আছে, সেটা খোলা। যদিও রেজাল্ট আমি সদ্য জেনে গেছি, তবুও চোখ দুটো খুব দ্রুত নম্বরগুলো স্ক্যান করতে লাগলো। ১০৪৮ এ এসে দৃষ্টিটা থেমে গেলো। অনেকক্ষণ ধরে নম্বরটা দেখতে থাকলাম। ফাহিয়ানের রোল নম্বরটাও জানা ছিলো। সেটাও দেখলাম আমারটার পাশেই, ১০৫১। পাশাপাশি এ দুটো নম্বর দেখতে পেয়ে মনটা খুশীতে ভরে গেলো। কম্পিটিশন ম্যাচটার কথা বেমালুম ভুলে গেলাম।
দেখতে দেখতে আমার ভাইভা আর মেডিকেল পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে এলো। পরপর দু’দিন হবে, প্রথম দিন ভাইভা, সেটাতে টিকে গেলে পরের দিন মেডিকেল। আমার একটা চোয়ালের দাঁতে পোকা ধরেছিলো (যদিও ডেন্টিস্টদের বদৌলতে এখন জানি, দাঁতের পোকা বলতে কিছু নেই)। এ নিয়ে আব্বার নতুন করে চিন্তা শুরু হলো। তিনি তাঁর অফিসের কলীগ আর প্রতিবেশী মুরুব্বীদের সাথে আলোচনা করলেন। সবাই পরামর্শ দিলো দাঁতটাকে তুলে ফেলার। যতদূর মনে পড়ে, তখন ঢাকায় মাত্র একজনই নামকরা ডেন্টিস্ট ছিলেন, তাঁর নাম ডাঃ জামান, বসতেন জিন্নাহ এভিনিউ এ (এখনকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ)। ভাইভার তিনদিন আগে সেখানে গিয়ে দাঁতটাকে তুলে এলাম। দাঁত তোলার সময় সামান্য ব্যথা পেয়েছিলাম, তবে সেটা সহ্য করার মত। কিন্তু সমস্যা শুরু হলো বাসায় ফিরে। বাসায় আসতে আসতে প্রচন্ড দাঁতব্যথা শুরু হলো, সাথে রক্তক্ষরণ। কিছুক্ষণ পর ব্যথায় জ্বর এসে গেলো। আব্বা আমাকে নিয়ে পুনরায় ছুটলেন ডাক্তারের চ্যাম্বারে। এবারে তিনি অনেকক্ষণ ধরে পরীক্ষা করে কি যেন একটা স্প্রে করে দিলেন। আর মুখ ভরে তুলো গুঁজে দিলেন। ধীরে ধীরে ব্যথা আর রক্তক্ষরণ দুটোই কমে এলো। তবুও, তিনদিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে কিনা, সে দুশ্চিন্তাটা রয়েই গেলো।
ভাইভার জন্য শুরু হয়ে গেলো ক্র্যাশ প্রোগ্রাম। সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজী কথোপকথন আর পোশাকে আশাকে আমাকে চোস্ত বানানোর এক প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। একটা কমন কোশ্চেন- তুমি কেন ক্যাডেট কলেজে যেতে চাও- এর উপর মোটামুটি একটা নোট লিখে আমাকে মুখস্থ করতে দেয়া হলো। আমি নিষ্ঠার সাথে মুখস্ত করলাম, যদিও তা করতে মোটেই ভালো লাগছিলোনা। বাসায় ডাকযোগে ইন্টারভিউ কার্ড এলো। সেখানে প্রিন্সিপালের নাম লেখা দেখলাম M W Pitt, MA, Oxon. এই নামটা আমার মনে এক নতুন দুশ্চিন্তার জন্ম দিলো। খবর শোনা আর পেপার পড়া আমার অন্যতম হবি ছিল বিধায় এতদিন ভাইভা সম্পর্কে বিশেষ উদ্বিগ্ন ছিলাম না। কিন্তু ঐ নামটা দেখার পর থেকে খুব অস্থির বোধ করতে লাগলাম, কারণ আমি জীবনে কখনো কোনদিন কোন ইংরেজকে সামনা সামনিই দেখি নাই, তার সাথে কথা বলাতো দূরের কথা। তার প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবো কিনা, তার চেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হলো তার প্রশ্নটা ঠিকমত বুঝতে পারবো কিনা। আব্বা শিখিয়ে দিলেন, ভয় নেই, সাহেবরা খুব ভালো মানুষ হয়। যতবার বুঝতে পারবোনা, ততবারই যদি বলি ‘বেগ ইয়োর পার্ডন স্যার’, তবে ইংরেজ সাহেব যে করেই হোক, আমাকে সহজ করে বুঝিয়ে দিবেন। আসলে আমার মনে সাহস সঞ্চার করাই ছিল আব্বার মূল উদ্দেশ্য। এটা শোনার পর থেকে আর সব বাদ দিয়ে শয়নে স্বপনে জাগরণে ‘বেগ ইয়োর পার্ডন স্যার’টাই আওড়াতে শুরু করলাম।
ভাইভার দিন খুব নার্ভাস ফীল করতে লাগলাম। ভয় ঐ একটাই, যা একটু আগেই বলেছি। কলেজের একজন শিক্ষক আমাদের সিরিয়াল ঠিক করে দিলেন। আমার ক্রম সাত নম্বরে। আমাদেরকে বলা হলো প্রিন্সিপাল সাহেব যদি আমাদের হাতে কোন কাগজ দেন, তবে আমরা যেন বাইরে এসে সেটা তাঁর হাতে জমা দেই। প্রথম তিনজন গেল আর খালি হাতে বেরিয়ে এলো। চতুর্থজন একটা কাগজ হাতে বেরিয়ে এলো। বুঝলাম, সে টিকে গেছে। ওর হাতের কাগজ দেখে আমার হৃদকম্পনটা একটু বেড়ে গেলো, যদি আমি কোন কাগজ না পাই? যখন ১০৪৮ ডাকা হলো, তখন মে আই কাম ইন স্যার বলে উত্তরের অপেক্ষা না করেই যন্ত্রচালিতের ন্যায় ভেতরে প্রবেশ করলাম। কারণ, আমার ‘মে আই কাম ইন স্যার’ এর উত্তরে প্রিন্সিপাল স্যার ইয়েস বললেন, না নো বললেন, সেটাও যদি না বুঝি?
ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিলো। প্রিন্সিপাল স্যারের এক হাসিতে আমার মনে হলো তিনি আমার অনেক দিনের চেনা। যখন আমার নাম, বাবার নাম ইত্যদি জিজ্ঞেস করলেন, ততক্ষণে ভয় ডর দূর হয়ে গেছে। দেখলাম, তিনিতো আমাদের মতই কথা বলেন। বরং মনে হলো আমাদের চেয়েও স্পষ্ট। প্রিন্সিপাল স্যারের চোখের মাঝে স্নেহের আধার খুঁজে পেলাম। আর একদম ভয় রইলোনা। তিনি প্রথমে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের নাম জিজ্ঞেস করলেন। আমি উত্তর দেয়ার পর তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, “ডু ইউ নো হোয়্যার হি ইজ নাও”? খবর শোনা আর পেপার পড়ার কল্যানে জানতাম যে প্রেসিডেন্ট আইউব খানের ঐ দিন রাজশাহী যাবার কথা। যতটুকু পারলাম, ইংরেজীতে তাই বললাম। তিনি ও তাঁর পাশের জন খুশী হলেন বুঝতে পেরে বুকের সাহস অনেকটা বেড়ে গেলো। তার পর এলো সেই কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নঃ “হোয়াই ডু ইউ ওয়ান্ট টু জয়েন ক্যাডেট কলেজ”? কিন্তু কি আশ্চর্য! এতদিনের সেই ঝরঝরে মুখস্থ করা আর রিহার্সেল দেওয়া উত্তরটা মোটেই মুখে এলোনা। তার বদলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে আমার মুখে চলে এলোঃ “আই ওয়ান্ট টু জয়েন ক্যাডেট কলেজ বিকজ আই লাইক ফ্রেন্ডস। ইন ক্যাডেট কলেজ আই শ্যাল হ্যাভ মেনী ফ্রেন্ডস। আই শ্যাল স্টে উইথ মাই ফ্রেন্ডস টুগেদার।“
কে আমার মুখে এই কথাগুলো তুলে দিয়েছিলো, তা আজও জানিনা। কিন্তু Mr M W Pitt এর মুখে দুইবার গুড গুড শোনার পর মনে হয়েছিলো আমি যেন কোন দৈববাণী শুনতে পাচ্ছি। এই সৌম্যকান্তি, স্নেহপ্রবণ, আলোকবর্তিকাতুল্য ব্যক্তিত্বের সাথে ওটাই ছিলো আমার প্রথম পরিচয়, এবং ওটাই শেষ। কারণ আমরা এমসিসিতে প্রথম যোগদান করে অন্য একজন প্রিন্সিপালকে পেয়েছিলাম। ততদিনে তিনি কর্তব্যপালন শেষে নিজ দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। তিনি একটা কাগজে খস খস করে কিছু একটা লিখে আমার হাতে ধরিয়ে হাসিমাখা মুখে বললেন, ইউ মে গো নাও। কাগজটা নিয়ে আমি প্রস্থান করলাম, মুখে বিজয়ের হাসি। জমা দেবার আগে হাতের লেখাটা পড়ে দেখলাম, “Selected for Medical Test”.
আমার পরে ১০৫১ এর ডাক পড়লো। পথে ফাহিয়ানের সাথে দৃষ্টি বিনিময় হলো। ওর মুখ দেখে মনে হলো, ওর চিকণ দুটো কাঁধে যেন পৃ্থিবীর বোঝা।
চলবে...
(ইতোপূর্বে প্রকাশিত)
ঢাকা
০৯ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Mr. M W Pitt, the first Principal of Momenshahi Cadet College - আমার জীবনে দেখা প্রথম ইংরেজ, যার সামনাসামনি বসে জীবনের প্রথম আনুষ্ঠানিক ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। তাঁর হাসিমুখ আমার কিশোর মনে সেদিন স্থায়ীভাবে খচিত হয়ে গিয়েছিলো, সে স্মৃতি আজও সমুজ্জ্বল, আপন আলোকে দীপ্যমান।
(ফটো ক্রেডিটঃ মাহবুব শহীদ ভাই, ক্যাডেট নং ৩)
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, শামছুল ইসলাম, পোস্টটি লাইক করে এখানে মন্তব্য রাখার জন্য। অনুপ্রাণিত হয়েছি।
আপনি বেশ ভাল গাইডেন্স পেয়েছিলেনঃ
জ্বী, আমার মরহুম পিতা ছিলেন আমার জীবনের আদি অকৃত্রিম শিক্ষাগুরু। তাঁর দীক্ষাই আমার জীবনের পাথেয়। মানবিক মূল্যবোধ আর নৈ্তিকতার শিক্ষা ছাড়াও, একাডেমিকালী তিনি আমাকে শৈশবেই তিনটি জরুরী বিষয়ে শিক্ষাদান করেছিলেন। সেগুলো হচ্ছে ইংরেজী ভাষা, আরবী পড়া আর সামান্য কিছু আরবী ব্যাকরণ এবং অংক। এই তিনটি বিষয়ে আমার শৈশবে তিনি যে শক্ত ভিত গড়ে দিয়েছিলেন, তার উপরেই আমি দাঁড়িয়ে গেছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতবাসী করুন!
১০৫১, অর্থাৎ ফাহিয়ানও সফল হয়েছিলো। আগেই কোন একটা লেখায় বলেছি, সে একজন রুশ রমণীর পাণি গ্রহণ করে বর্তমানে তিন ছেলে নিয়ে চেক প্রজাতন্ত্রে সুখী জীবন যাপন করছে।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাল লাগছে , একটা পর্ব মিস করে গেছি মনে হয়
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: সমস্যা নেই। সময় হলে খুঁজে নিয়ে পড়বেন, না পড়লেও তেমন কিছু মিস হবেনা। সাদামাটা জীবনের সাদামাটা কথা, নিতান্তই ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ। না শুনলেও কিছু যাবে আসবেনা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮
ইমতি২৪ বলেছেন:
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ইমোটিকনের ব্যাপারে আমি ভীষণ ব্লক হেডেড, ইমতি২৪। নিজেও দিতে পারিনা, অন্যের দেয়াগুলোরও পাঠোদ্ধার করতে পারিনা। একবার একটা ভুলভাল ইমোটিকন ব্যবহার করে বেশ বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছিলাম।
Brevity is the wit of soul. এই Brevityর সন্ধানে আমরা বাক হারিয়ে ইমোটিারকনের পৃষ্ঠে সওয়ার হয়েছি।
তবে এটা বুঝেছি। আমার লেখা পড়ে তুমি হেসেছো। ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পোস্ট ভালো লাগে বিধায় নিয়মিত পড়ছি। পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় আছি।
অফ টপিক - রোজ রোজ বা একই দিনে ২ টা পোস্ট না দিয়ে আপনি কিন্তু চাইলে প্রত পোস্টের পর মিনিমাম ৭ দিনের গ্যাপ নিতে পারেন। তাহলে একঘেয়েমি আসবে না।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কিন্তু চাইলে প্রত পোস্টের পর মিনিমাম ৭ দিনের গ্যাপ নিতে পারেন। তাহলে একঘেয়েমি আসবে না।
একঘেঁয়েমি চলে এসেছে? আচ্ছা, তাহলে তো বিরতি নিতেই হয়! কিন্তু আপনাদের সান্নিধ্য ছেড়ে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে পারবোনা যে! এখন থেকে তাহলে "আমার কথা" একদিন পরপর এখানে আসবে। একদিন কবিতা, একদিন "আমার কথা", এভাবে।
পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় আছি।
- অপেক্ষায় আছেন, তার পরেও সাত দিনের গ্যাপ চাচ্ছেন?
৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আপনার কথা -পড়তে ভীষণ ভাল লাগছে । আপনি কি এখন লিখছেন না কি আগে থেকেই ডাইরিতে লিখে রেখেছিলেন ?
ভাল থাকুন ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা। আমার কথা -পড়তে আপনার ভীষণ ভাল লাগছে জেনে প্রীত হ'লাম। প্রতিটি পর্বের নীচে যে তারিখ দেয়া আছে, সেই তারিখেরই লেখা ওটা। তারিখের ব্যাপারে আমি সর্বদা স্বচ্ছ থাকি। অনেকেরই দুটো করে জন্মতারিখ থাকে, একটা স্কুলের নথিপত্রের জন্য, অপরটা প্রকৃত। আমারও দুটো, এ নিয়ে আমি ত্যাক্ত বিরক্ত। যখনই কোন ফরম পূরণ করতে হয়, তখনই একটা করে লিখিত মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। সেই জন্য শুরুতেই আমি সাবধানী ছিলাম। আমার তিন ছেলের জন্ম তারিখ সকল নথিপত্রে একটাই, প্রকৃ্তটা। তাদের নামও রেখেছি একটাই, কোনদিন কোন ডাকনামে ডাকিনি।
আমার লেখাগুলো সরাসরি মগজ থেকে ল্যাপটপে চলে আসে। স্মার্টফোন থেকে লেখার মত স্মার্ট আমি এখনো হতে পারিনি। আমার কোন চিরকুট নেই, কোন নোটবুক নেই, কোন ডায়েরী নেই।
৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
মানবী বলেছেন: ভালো লেগেছে স্মৃতিচারন পড়ে।
কলেজে গিয়ে পিট সাহেবের পরিবর্তে নতুন প্রিন্সিপালকে পেয়েছেন জেনে মন খারাপ হলো।
সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী, লেখাটা লাইক করার জন্য এবং এ্যপ্রিশিয়েট করে মন্তব্য রাখার জন্য।
কলেজে গিয়ে পিট সাহেবের পরিবর্তে নতুন যে প্রিন্সিপালকে পেয়েছিলাম, তিনিও ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁর কথাও সবিস্তারে বলবো। আশাকরি সময় করে পড়ে নেবেন।
৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
কাবিল বলেছেন: স্মৃতিচারণ পোস্টে ভাল লাগা রইল। আমার সবগুলো পড়া হয়নি, পড়তে হবে।
অফ টপিক- প্রত্যেক পর্বে আগের পর্বের একটা লিঙ্ক দেয়া আছে।
যদি পর্বে পর্বে আগের সবগুলো লিঙ্ক এক সাথে দিলে কেমন হত?
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্য এবং 'লাইক' পেয়ে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম, কাবিল।
সবগুলো পড়া হয়নি, তাতে সমস্যা নেই। একটার সাথে আগেরটার লিঙ্ক দেয়া আছে, চাইলে সময় করে পড়ে নিতে পারবেন।
আগের সবগুলো লিঙ্ক দিলে একটু হিবিজিবি হয়ে যাবে। তাছাড়া, তেমন কোন উল্লেখযোগ্য লেখা এগুলো নয় যে পড়তেই হবে। কেউ যদি আগ্রহী হন, তবে লিঙ্ক ধরে ধরে এগোলেই পড়ে নিতে পারবেন।
৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আসলে আমি যখন ব্লগে প্রথম রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম,আমারও ঘন ঘন পোস্ট দিতে ইচ্ছে করতো এবং দিতামও। পরে ব্লগের ব্যক্তিগত বার্তার মাধ্যমে জানতে পারি ব্লগে রোজ বা একদিন পর পর পোস্ট দিলে অনেকেই ভালো ভাবে নেয় না বা একঘ্যেমি লাগে একজনের পোস্ট এ কমেন্ট করাটা।
আপনার ব্লগ বারি,আপনার যখন এবং যতবার ইচ্ছে পোস্ট দিবেন, কারো কিছু বলার নাই । হাহহহা
৭ দিন পরে বা ১৪ দিন পরে হোক, আপনার আমার কথা সিরিজ এলে পড়বো, সেই হিসেবে বলেছি পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায়।
ভালো থাকুন। নিরাপদ থাকুন
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: বুঝলাম। ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ।
ব্লগে রোজ বা একদিন পর পর পোস্ট দিলে অনেকেই ভালো ভাবে নেয় না বা একঘ্যেমি লাগে একজনের পোস্ট এ কমেন্ট করাটা। - ক'জনাই বা কমেন্ট করেন! তবে ঠিকই বলেছেন, একঘেঁয়েমি কাম্য নয়।
কিন্তু তার পরেও, আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল.... কতটা ব্যাকুল, তার উপরেই নির্ভর করবে, কতটা গ্যাপ হবে।
৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমি আবার দেরি সইতে পারিনা
লেখা হয়ে গেলেই পোষ্ট হলে ভাল হয় । প্রায়ই ঘুরে যাচ্ছি ''আমার কথা'' আসছে কিনা /
বেশি গ্যাপ পড়লে কাহিল হয়ে যাব কিন্তু ।
সাহেবের ছবিটা কেমন মায়া মায়া । এই পর্ব ও ভাল লাগলো ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি আবার দেরি সইতে পারিনা .... বেশীতো দেরী নয়, কেবল একদিন পর পর।
লেখা হয়ে গেলেই পোষ্ট হলে ভাল হয় - - এগুলো তো সব আগের লেখা। বলেছিনা, "ইতোপূর্বে প্রকাশিত"!
গত বেশ কিছুদিন ধরে "রাইটার্স ব্লক" এ আছি। কোন লেখা আসছেনা। টুকটাক কিছু কবিতা বা ছড়া ছাড়া।
সাহেবের ছবিটা কেমন মায়া মায়া - - ধন্যবাদ, এই মন্তব্যটার জন্য। ভালো লেগেছে। আসলেই তিনি খুব কাইন্ড ছিলেন।
১০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
জুন বলেছেন: আমি কিন্ত যারপরনাই অবাক হচ্ছি আপনার জীবনী পড়ে জনাব খায়রুল আহসান! সেটা হচ্ছে আপনি বাসার সবাইকে ছেড়ে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হবেন আপনি এত আনন্দিত কি হচ্ছেন ভেবে পাচ্ছি না।
আবার আমার স্বামীর রেফারেন্স টানছি না। আমি নিজেও কেদে কেটে একসা হয়েছিলাম যখন একবার কথা হয়েছিল আমাদের দু বোনকে ভারতেশ্বরী হোমসে দেয়ার কথা শুনে। বাবা মা কে কেমন নিষ্ঠুর লাগছিল। যাক শেষ পর্যন্ত তাদের চিন্তাধারা বদলে যাওয়ায় কি যে হাফ ছেড়ে বেচেছিলাম বলার নয়। আশাকরি আমার মন্তব্য আপনি অন্যভাবে নেবেন না। আমি আমার মনের কথাটি বললাম মাত্র
অনেক সহজ সাবলীল লেখা আপনার জীবন কাহিনি ভালোলাগছে। বন্ধুর পাশের অপেক্ষায়।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অন্যভাবে নেয়ার তো প্রশ্নই আসেনা, বরং এটাই তো একটা স্বাভাবিক অনুভূতি। তবে আমিও যে খুব একটা আনন্দিত হচ্ছিলাম, আমার লেখায় সত্যিই কি তা বোঝা যাচ্ছে? জানিনা, পাঠকেরাই তা ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে বাসার সবাই তাই চাচ্ছিলো, খুব সম্ভবতঃ শুধু আম্মা ছাড়া। আম্মারও খুব প্রকট বিরোধীতা ছিলনা, কারণ তিনি সব সময়েই আব্বার সিদ্ধান্তের উপর আস্থাবান ছিলেন। বাসার আর সবার আনন্দই আমারও আনন্দের উপকরণ ছিলো। আমিও আব্বার সিদ্ধান্তের উপর আস্থাবান ছিলাম।
যদি আপনি তখন ভারতেশ্বরী হোমসে চলে যেতেন, তাহলে হয়তো আপনার সাথে চাক্ষুষ দেখাও হয়ে যেতো। কেন, তা জানতে পারবেন "আমার কথা" ১৮ কিংবা ১৯ পর্বে, সম্ভবতঃ।
বন্ধুও পাশ করেছিলো। তার সাথে পরে একসাথে আরও ছ'টা বছর একান্ত সান্নিধ্যে কাটিয়েছি। তার সম্বন্ধে আরো কিছু কথা প্রথম মন্তব্যের উত্তরে বলেছি।
আপনি প্রতিদিন আমার লেখাগুলো পড়ছেন, ভীষণ খুশী হচ্ছি। ধন্যবাদ, জুন।
১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
রাবার বলেছেন: সেই সময় কি বিদেশি টিচার ছিল ভালোলাগা দিলাম
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: হ্যা, দুই তিনজন মাত্র ছিলেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম দুটি লেখায় আমি কিছু মন্তব্য রেখে এসেছি, রাবার। আশাকরি তা দেখে থাকবেন।
১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
রোদেলা বলেছেন: আপ্নাদের পরীক্ষা গুলোতো ভীষন রকম খটর মটর হয় বলে জানি,আর মানুষ গুলি বেজায় কঠিন নিয়ে বাঁধা।ব্লগে এমন লেখা -ভীষন ভালো লাগলো।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: There are more things in heaven and earth, Horatio,
Than are dreamt of in your philosophy.
- Hamlet (1.5.167-8)
লেখাটা পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। লেখাটা ভাল লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম।
১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আগের পর্বগুলি পড়িনি। এটা পড়লাম আর এরপর যা আসবে তা পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়ে গেছে।
আপনার লেখাটা পড়ে আমার ছেলের কথা মনে হয়ে গেল। ক্যাডেটে সে পড়বেনা আগেই বলে দিয়েছে,সে মা ছাড়া থাকতে পারবেনা তাই।
৩ মাস আগে তাকে ৩টা স্কুলে নিয়ে গেলাম,বলেছি সে যে স্কুল পছন্দ করবে আমরা সেই স্কুলেই তাকে ভর্তির চেষ্টা করব। সে একটা স্কুল পছন্দ করেছে, পরেরদিন নিয়ে গেলাম ভর্তি পরীক্ষা দিতে। মাঝে ২মাস বইয়ের সাথে তার যোগাযোগ ছিলনা। ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা ছিল।আমি উকি দিয়ে দেখি সে কোন রকম ভয় ছাড়াই লিখেই যাচ্ছে।তারপর পাসও করে ফেলল।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, চমৎকার! আপনার ছেলের সাফল্যের কথা শুনে মুগ্ধ হ'লাম।
ক্যাডেটে সে পড়বেনা আগেই বলে দিয়েছে -- এর আগের একটা সংখ্যায় আমার ছেলেরও এরকম সোজা সাপ্টা কথা বলার কথা বলেছি, কোন এক পাঠকের মন্তব্যের উত্তরে।
তবে আমি আশা করবো, আপনি একটু সময় করে আগের পর্বগুলোও পড়ে নেবেন, তাহলে ধারাবাহিকতা থাকবে।
লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১
প্রামানিক বলেছেন: আপনার ধারাবাহিক লেখাটা আমি নিয়মিত পড়ছি। আপনি লিখতে থাকুন। ধন্যবাদ আপনাকে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, প্রামানিক।
১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৮
কিরমানী লিটন বলেছেন: ধারাবাহিক রচনার অনবদ্য লিখনির মুগ্ধ ভালোলাগা ছুঁয়ে যাওয়া , শুভকামনা ...
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, কিরমানী লিটন। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬
আরমিন বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার ইন্টারভিউ পর্ব আর Mr M W Pitt এর ছবিটা দেখেও ভালো লাগলো!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমারও ভালো লাগলো আপনি লেখাটা পড়লেন এবং ভালো লাগার কথা জানালেন বলে।
প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, আরমিন২৯।
১৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কঠিক প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ
ব্যাপারগুলো এমনই মনে হচ্ছে। কিন্তু প্রস্তুতি নিয়ে আর যা-ই হোক ব্ক্তৃতা/বিবৃতি/সাক্ষাৎকার এসব হয় না। আপনারে ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। অবশেষে ইমপ্রোভাইজ করতে হয়। তবু প্রশিক্ষণ বা পূর্বপ্রস্তুতি আমাদেরকে আত্মবিশ্বাস এনে দেয়।
বয়স বিবেচনায় ঘটনাগুলো খুবই উত্তেজনার।
প্রিন্সিপাল এম ডাব্লিউ পিট'র সঙ্গে পরিচিত হয়ে বাড়তি আনন্দ পেলাম।
শুভেচ্ছা জানবেন, প্রিয় লেখক
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু প্রস্তুতি নিয়ে আর যা-ই হোক ব্ক্তৃতা/বিবৃতি/সাক্ষাৎকার এসব হয় না। আপনারে ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। অবশেষে ইমপ্রোভাইজ করতে হয়। তবু প্রশিক্ষণ বা পূর্বপ্রস্তুতি আমাদেরকে আত্মবিশ্বাস এনে দেয়। -- একদম ঠিক কথা বলেছেন, ১০০%।
"বয়স বিবেচনায়" লেখার এবং লেখকের উত্তেজনাটুকু অনুভব করতে পেরেছেন দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ হ'লাম। পাকা চোখ ছাড়া এগুলো দেখা বা অনুভব করা যায় না।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, মাঈনউদ্দিন মইনুল।
১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫
আরজু পনি বলেছেন:
‘বেগ ইয়োর পার্ডন স্যার’...
হাহাহাহাহাহা
ভাপা পিঠা খেতে খেতে পড়ছিলাম, মুখে পিঠা নিয়ে হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে এসেছে ।
অসাধারণ !
আমি একবার এক স্কটিশের কাছে ভাইভা দিয়েছিলাম, ওরা এতো কঠিন করে মুখের ভেতর রেখে ইংরেজি বলে যে আমি যতবার উনার কথা বুঝতে পারিনি উনার পাশে থাকা যে সহজ ইরেজিতে সেটা বলেছিলেন সেটাকে মাতৃভাষার মতো সহজ মনে হয়েছিল।
আপনার বাবার প্রতি আমার রেড স্যালুট রইল । যিনি আপনাকে এজন আলেকিত মানুষ হতে সাহায্য করেছেন।
আরো আগে এই লেখা পড়ার সুযোগ হলে আপনার বাবার সাথে দেখা করতে চাইতাম উনার কথা শোনার জন্যে ।
আমি খুব ভালো "মা" হতে চাই । যেনো আমার বাচ্চারা আলোকিত মানুষ হতে পারে ।
আমার কন্যা আরেকটু বড় হলে এই সিরিজটা পড়াবো...
১৪ তারিখে ওর পরীক্ষা শেষ দেখি একবার ওর সামনে প্রিন্ট করে পড়তে দিব ।
----------
আপনি বই প্রকাশের চিন্তা করতে পারেন । আমার কোন সহযোগিতা লাগলে করতে প্রস্তুত আছি, যেহেতু আপনি বলছেন বই প্রকাশ করা ঝামেলার। অনুপ্রাণন প্রকাশনী অনেক ব্লগারদের বইই প্রকাশ করেছে নিজেদের উদ্যোগে । এমন কথাগুলো বাবা-মা সহ উঠতি বয়সের বাচ্চাদের পড়া উচিত ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ১। এত সুন্দর, সুবিবেচিত একটা মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ভালো লাগলো (লাইক)।
২। যে সহজ ইরেজিতে সেটা বলেছিলেন সেটাকে মাতৃভাষার মতো সহজ মনে হয়েছিল। - চমৎকার লাগলো এই কথাটা।
৩। আপনার বাবার প্রতি আমার রেড স্যালুট রইল -- এ 'রেড স্যালুট' নেয়ার জন্য তিনি আর আজ এ ইহজগতে নেই। তাঁর হয়ে এটা আমিই নিলাম এবং তাঁর পক্ষ থেকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানালাম।
৪। আমি খুব ভালো "মা" হতে চাই । যেনো আমার বাচ্চারা আলোকিত মানুষ হতে পারে - যার অন্তর্দৃষ্টি এতটা গভীর এবং যিনি নিজেই এতটা আলোকিত, যিনি এমন একটা সাধারণ লেখার মাঝে অসাধারণ এত কিছু দেখতে পান, তিনি একজন ভালো মা না হয়ে পারেনই না। এটাই আমার বিশ্বাস।
৫। আমার কোন সহযোগিতা লাগলে করতে প্রস্তুত আছি, যেহেতু আপনি বলছেন বই প্রকাশ করা ঝামেলার। -- অনেক, অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, এ স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্যের অঙ্গীকারের জন্য। 'অনুপ্রাণন প্রকাশনী'র কারো সাথে কি পরিচয় আছে?
৬। মন্তব্যে ভীষণ খুশী হয়েছি।
১৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
রাতুল_শাহ বলেছেন:
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রাতুল_শাহ।
২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫২
কালীদাস বলেছেন: অভিনন্দন জানাচ্ছি ক্যাডেটে চান্স পাওয়ার জন্য বেশ দেরি হয়ে গেল, কিন্তু কিছু করার নেই আমার জন্ম আশির দশকে কিনা খুবই সংগ্রামী ভর্তি পরীক্ষা পার করেছেন দেখলাম আগের পর্বে
খুবই অবাক হলাম তখনও ইংরেজদের প্রিন্সিপাল পোস্টে দেখে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, পরীক্ষাটা ভীষণ কম্পিটিটিভ ছিল। অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ।
প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ক্যাডেট কলেজগুলো বানিয়েছিলেন নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ তৈরী করার জন্য। সেজন্য তিনি কমনওয়েলথ এর শরণাপন্ন হয়েছিলেন বলে শুনেছি এবং তাদের কাছ থেকে কিছু ভাল শিক্ষক এনেছিলেন।
২১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
পড়তে বেশ ভাল লেগেছে। জনাব পিটের সৌম্যমূর্তি বেশ আকর্ষণীয়।
তৃতীয় প্যারার তৃতীয় লাইনে পোশাকে আশাকে বানানটা একটু দেখে নেবেন। শুভকামনা সুপ্রিয় লেখক।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "পোশাকে আশাকে" এর শুদ্ধ বানানটা ঠিক কী রকম হবে?
বাহ্যিক চেহারাটা অনেক সময় মানুষের ভেতরের রূপটাকেও প্রকাশ করে। ওনারটাও তেমনি। আমি কলেজে গিয়ে তাকে পাইনি, তার আগেই তিনি বদলী হয়ে নিজ দেশে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার সুনাম সুখ্যাতি ক্যাডেট, স্টাফ এবং শিক্ষকমন্ডলী, সবারই মুখে মুখে ছিল। ভাইভার সময় আমি শুধু তার স্নেহময়তার কিছটা আভাস পেয়েছিলাম মাত্র।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে বিশেষ অনুপ্রাণিত হ'লাম।
২২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
সোহানী বলেছেন: "বেগ ইয়োর পার্ডন"............. হায় হায় সব বাবারাই কি একই ইংরেজী শেখায় নাকি আপনার বাবার সাথে কোনভাবে যোগাযোগ ছিল আমার বাবার!!!!
ভালোকথা মনে করিয়ে দিলেন... প্রথম ইংরেজ দেখার অভিজ্ঞতা!!!
২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: হায় হায় সব বাবারাই কি একই ইংরেজী শেখায় নাকি আপনার বাবার সাথে কোনভাবে যোগাযোগ ছিল আমার বাবার - সব বাবাদের লক্ষ্য একই থাকে। এজন্যেই এমনটা হয় বোধহয়।
আবারো অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, পুরনো পোস্টে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। সেই সুযোগে আমারও আরেকবার করে সুযোগ হচ্ছে, পুরনো লেখাগুলো দখে যাবার।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!
২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
জুন বলেছেন: সোহানীর লেজ ধরে আবারো আপনার প্রথম দিকের এই অসাধারন সিরিজটিতে হাজির হোলাম খায়রুল আহসান । তা এই চমৎকার সিরিজটির এত তাড়াতাড়ি ইতি ঘটিয়ে দিলেন যে !!
আমার অংক আতংকে আপনার মন্তব্যের জবাব দিয়েছি কিন্ত । আশাকরি সময় পেলে দেখবেন
আপনার স্টাইলে দারুন কার্যকর নোটিফিকেশন ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: তা এই চমৎকার সিরিজটির এত তাড়াতাড়ি ইতি ঘটিয়ে দিলেন যে - ভাবছি, আবার শুরু করবো। কিন্তু 'আমার কথা' শোনার মানুষ কই?
আমার অংক আতংকে আপনার মন্তব্যের জবাব দিয়েছি কিন্ত - দেখেছি, উত্তরও করেছি। তবে আমার বিশ্বাস হয়না, আপনি ছাত্রজীবনে অংকে ততটা কাঁচা ছিলেন!
২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: কত ভালো ভালো পোষ্ট যে আগে মিস করে গেছি।
এখন আফসোস হচ্ছে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দেরীতে হলেও পোস্টে আসার জন্য। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬
শামছুল ইসলাম বলেছেন: কিছু কিছু নাম্বার সারা জীবনেও ভোলা যায় না - ১০৪৮।
আপনি বেশ ভাল গাইডেন্স পেয়েছিলেনঃ
//সাহেবরা খুব ভালো মানুষ হয়। যতবার বুঝতে পারবোনা, ততবারই যদি বলি ‘বেগ ইয়োর পার্ডন স্যার’,আমাকে সহজ করে বুঝিয়ে দিবেন। আসলে আমার মনে সাহস সঞ্চার করাই ছিল আব্বার মূল উদ্দেশ্য। এটা শোনার পর থেকে আর সব বাদ দিয়ে শয়নে স্বপনে ‘বেগ ইয়োর পার্ডন স্যার’টাই আওড়াতে শুরু করলাম। //
খুব ভাল লাগল।
১০৫১ এর কাহিনীর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ভাল থাকুন।সবসময়।