নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আমার কথা - ৬ পড়ুন এখানেঃ আমার কথা - ৬
ভাইভার পর মেডিকেল টেস্টকে নিছক আনুষ্ঠানিকতা বই অন্য কিছু মনে হয়নি আমার, যদিও সেখানেও প্রায় ২০/২৫ জন প্রার্থী বিভিন্ন কারণে বাদ পড়েছিলো। শেষ বৈতরণীটি পার হবার পর থেকে মনটা বেশ ফুরফুরে থাকতো। আমারও, বাড়ীর আর সবারও। পাড়া পড়শীর কাছে আমার সম্মান অনেক বেড়ে গিয়েছিলো। পাড়াতো চাচারা, চাচীরা ডেকে নিয়ে আমাকে দেখিয়ে তাদের ছেলেমেয়েদেরকে বলতো, ওর মত হতে চেষ্টা করো। চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হয়েছি, এটা জানার পর আর স্কুলে যাবার তাগিদ অনুভব করতাম না, বাড়ী থেকেও তেমন কোন চাপ ছিলোনা। এই প্রথম জীবন প্রণালীর শক্ত বুনটে কেমন যেন এক ঢিলে ঢালা ভাব অনুভব করতে শুরু করলাম। অবশেষে সেই প্রতীক্ষার পালা শেষ হলো। হাতে এলো কলেজে যোগদানের নির্দেশাবলী। অপেক্ষা করতে লাগলাম, কবে আসবে ০৭-০৭-১৯৬৭।
বাসার ছোটখাট বাজার সদাই করার দায়িত্বটা অনেক ছোট বয়সে আমার কাঁধে চাপে। কারণ ভাইবোনদের সিরিয়ালে আমার অবস্থানটা ঠিক মধ্যখানে। আমার ওপরেও বোন, নীচেও বোন। বড় বোনের ওপরের ভাইটা বাজার করার জন্য অতিশয় মুরুব্বি। আর ছোটবোনের ছোট ভাইটা অতিশয় পিচ্চি। মাসের বাজারটা আব্বা নিজেই করতেন। দৈনন্দিনের দায়িত্বটা তাই এসে পড়েছিল আমার উপর। তখন তো আর এখনকার মত জায়গায় জায়গায় শপিং মল ছিলোনা। পাড়ায় পাড়ায় দুই একটা মুদি দোকান ছিলো বটে, তবে সেখানে সব্জী, মাছ মাংসের মত কোন "ফ্রেশ" আইটেম পাওয়া যেতোনা। বাজারের আভ্যন্তরীণ বিচিত্র অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই, বাজারে যাওয়া আসার পথেও যে প্রতিদিন কত চমকপ্রদ ঘটনার সম্মুখীন হতাম! ছোটবেলায় যোগীন্দ্রনাথ সরকারের “কাজের ছেলে” কবিতাটা পড়ে খুব মজা পেয়েছিলাম। বাজার করা শুরু করার পর থেকে আমার অবস্থাটাও অচিরেই সেই কাজের ছেলেটার মতই হয়ে গেলো। কবিতাটা আপনারা ভুলে গিয়ে থাকলে এখানে পাবেনঃ কাজের ছেলে
গ্রামে গঞ্জে গেলে দেখা যায় যে প্রতি তিন চারশ' গজ দূরে দূরে একেকটা মাচা বা টং এ মুদি দ্রব্যের কিংবা চা পান এর পসরা সাজিয়ে বসা আছে একজন যুবক অথবা মধ্যবয়স্ক দোকানদার বা চা ওয়ালা, অপেক্ষায় কখন তার দোকানে ক্রেতা কিংবা শুধুই একজন গসিপিস্ট আসবে, আর চায়ের কাপে ঝড় তুলবে। পৃথিবীর আর কোন দেশে যুবশক্তির এমন অপচয় হয়না। অবশ্য বাল্যকালে, এমনকি কিশোরবেলায় আমিও পথেঘাটে ক্যানভাসারদের আহ্বানে সোৎসাহে সাড়া দিতাম এবং তাদের উৎসুক শ্রোতার সারিতে ভিড়ে যেতাম। বলাই বাহুল্য, তাদের চমৎকার বাকপটুতা আর মার্কেটিং স্কিল দেখে আমি এতটাই বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যেতাম যে প্রায়শঃ আমাকে পকেটমারদের খপ্পরে পড়ে পকেটে যা দু'চার টাকা থাকতো, সেটাও হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে বাড়ী ফিরতে হতো।
পরিবারের জন্য বাজার করার দায়িত্বটা আমার কাঁধে fait accompli হিসেবে চেপে বসেছিলো। এর কারণ কিছুটা হাল্কাভাবে আগেই উল্লেখ করেছি। তবে এই দায়িত্বপালন আমাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। প্রথমতঃ, নানান কিসিমের ঠগ-বাটপারের সাথে পেরে ওঠার বুদ্ধিটুকু ছোটবেলা থেকেই রপ্ত করতে শিখেছিলাম। তারপর, এটা আমার নিজের উপর আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছিলো। বাজারে যাওয়া আসার পথের নানারকম বৈচিত্র আমাকে আকর্ষণ করতো। বাকপটু ক্যানভাসারদের একনিষ্ঠ শ্রোতা হিসেবে আম জনতার সাথেও টুকটাক আলাপ সালাপ হতো। মাস পিপল এর সাথে এই যোগাযোগ আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতো এবং আমার ভেতরের জড়তাকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতো। পঁচা মাছ চিনতে শিখেছিলাম, কয়েকদফা বাসায় নিয়ে আসার পর। ওজনের কারচুপি ধরতে শিখেছিলাম। সবচেয়ে উপকার হয়েছিলো আরেকটা বিষয়ে। সেটা এ প্রজন্মের লোকেরা বুঝতে পারবে কিনা কে জানে। আমি যখন বাজার করতাম, তখনো দেশে মেট্রিক সিস্টেম চালু হয়নি। পণ্য ক্রয় বিক্রয় হতো মণ, সের, ছটাক আর তোলার হিসেবে। তখন পাটিগণিতে নানারকম আর্যা (some kind of rhymed arithmetical formulae) শেখানো হতো। আমরা শ্লোকের সাহায্যে সেগুলো ধারাপাতের Tables এর ন্যায় মুখস্থ করতাম। বাজার করার সময় সেগুলো ম্যাজিকের ন্যায় কাজে দিতো। দুর্ভাগ্যজনক, যে সেসব আর্যা বা শ্লোক আজ আর আমার মনে নেই। থাকলে দুই একটা উদাহরণ দিলে সহজে বুঝা যেতো। তবে, উদাহরণস্বরূপ সহজ ভাষায় বলি, কোন জিনিসের মূল্য মণপ্রতি যত টাকা হবে, আড়াই সের এর দাম ঠিক তত আনা হবে। চালের মণ ৪০ টাকা হলে আড়াই সের এর দাম হবে ৪০ আনা, অর্থাৎ আড়াই টাকা। এভাবে পাটিগণিতের আর্যা প্রয়োগ করে আমি খুব দ্রুত ক্রয়কৃ্ত পণ্যের হিসেব মানসিকভাবে বের করতে পারদর্শী হয়ে উঠেছিলাম। পরবর্তীতে চাকুরী জীবনে যখন একাউন্টস ক্লার্ক তার একাউন্টস লেজার সাইন করানোর জন্য আমার কাছে নিয়ে আসতো, আমি পুরো পৃষ্ঠার সব এন্ট্রির যোগফল মুখে মুখে বের করে ফেলতে পারতাম কোন ক্যালকুলেটর ছাড়াই। একাউন্টস ক্লার্ক ক্যালকুলেটরের সাহায্য নিয়ে যতক্ষণে রেজাল্ট বের করতো, আমি তার অর্ধেক সময়ে নির্ভুলভাবে ফলাফল বের করতে পারতাম।
সাব্যস্ত হয়েছিলো, ০৭-০৭-৬৭ তে বাসায় আর্লি লাঞ্চ করে আমি আর আব্বা দু’জনে মিলে রওনা হবো আমার নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে। বাসার সবাই মিলে সানন্দে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো যে ঐ দিনের বাজারটা আমার না করলেও চলবে। কিন্তু আমার কাছে এ দায়িত্বমুক্তির সিদ্ধান্তটা ভালো লাগছিলো না। বরং খুব চাচ্ছিলাম, শেষ দিনের দায়িত্বটাও ঠিকভাবে পালন করে যেতে। উসখুস করতে করতে আম্মার কাছে গিয়ে আমার ইচ্ছেটার কথা জানালাম। আম্মা প্রথমে কিছুটা আপত্তি করলেও আমার পীড়াপীড়ীতে বাজারের থলেটা হাতে ধরিয়ে দিলেন। তবে হয়তো তাঁর সেদিন আমার উপর খুব মায়া হয়েছিলো। আমি সবসময় হাঁটাপথেই বাজারে যাওয়া আসা করতাম। রিক্সায় যেতে হলে চার আনা (২৫ পয়সা) ভাড়া গুনতে হতো। আম্মা কোন কোন দিন রিক্সাভাড়া বাবদ আমার হাতে অতিরিক্ত চার আনা ধরিয়ে দিলে আমি সেটা বাঁচিয়ে আমার পছন্দমত খরচ করতাম। সেদিন আম্মা আমাকে পাঁচ আনা দিয়ে বললেন, তাড়াতাড়ি বাজার করে যেন রিক্সায় করে বাসায় আসি। আমি রওনা হবার সাথে সাথে আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি এলো। আজ ১০-৭-১৫ তারিখে যখন এই মুহূর্তে আমি এই লেখাটা লিখছি (১২ টা ১২), এখন যেমন আকাশটা মুষলধারে ঝরছে, ঠিক তেমন করেই সেদিন আকাশটা ভেঙ্গে এসেছিলো। অন্যদিন হলে দৌড়ে কোথাও কাভার নিতাম। কিন্তু সেদিন তা ইচ্ছে হলোনা। আমার কোন দুঃখে আমি কখনো কারো সামনে কাঁদতে পারতাম না। ভীষণ লজ্জা লাগতো। কেন যেন সেদিন সকাল থেকেই আমার মনের মধ্যে খুব দুঃখ দুঃখ একটা ভাব এসে জমা হচ্ছিলো। প্রকৃ্তি তার অপার উদারতায় আমার জন্য ইমোশনাল ক্যাথার্সিস (emotional catharsis) এর একটা ব্যবস্থা করে দিলো। আমি বৃষ্টিতে ভিজে পথ চলতে চলতে প্রাণভরে কাঁদতে শুরু করলাম।
চলবে…
(ইতোপূর্বে প্রকাশিত)
ঢাকা
১০ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় এটাই আপনার প্রথম মন্তব্য। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার প্রথম লেখাটাতেও কিছু কথা রেখে এলাম।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট "আত্নপরিচয়ে পরিচিত লোক প্রয়োজন" এবং "প্রস্তাব: কমলাপুর রেল স্টেশন" পড়ে দুটো মন্তব্য রেখে এলাম। জানিনা, এগুলো কবে আপনার নজরে আসবে, বা আদৌ আসবে কি না।
আশাকরি, ভাল আছেন। শুভকামনা---
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা । পড়তে ভাল লাগছে ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা। ভালো লাগছে জেনে খুশী হ'লাম। আগামীতেও পড়বেন, আশাকরি ওগুলোও ভালো লাগবে।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০০
মনুমনু বলেছেন: ব্লগিং আইডিয়া / উদ্দেশ্য কিন্ত এটাই।
আজকাল কাদা ছোড়াছুড়ি বড় কষ্ট পাই।
সেই কবে প্র্থম লিখেছি.....আমিও খুজে পাইনা।
ভালো থাকুন।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, মনুমনু।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১
মনুমনু বলেছেন: ঐ সময় ব্লগে এতটুকুতেই সবাই আনন্দ পেতাম। গঠনমূলক আলোচনা ছিল। আর বাংলা লিখাও ামার জন্য কষ্টকর ছিল।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি অবশ্য একজন নবীন ব্লগার। ভালোমন্দ সবখানেই আছে। বিশেষ করে আমরা পরমতের প্রতি চরম অসহিষ্ণু। রাজনীতির কোন সবক না নিয়েই, কোন পড়াশোনা বা বিশ্লেষণমূলক উপলব্ধির চেষ্টা না করেই আমরা সবাই নিজেকে বিজ্ঞ রাজনীতিক ভাবতে শুরু করে দেই। ফলে অন্যদের বক্তব্য শোনার বা অনুধাবন করার সময় আমাদের হয়ে ওঠেনা। আমরা অন্যদের প্রতি ভীষণরকম পক্ষপাতমূলক, judgemental আচরণ করে থাকি। মূলতঃ এরই বহিঃপ্রকাশ যতরকমের কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।
তবে বলতে দ্বিধা নেই, গত প্রায় দু'মাসে আমি এখানে অত্যন্ত বিচক্ষণ ও সহৃদয় কিছু ব্লগারের সাথে তাঁদের লেখার মাধ্যমে পরিচিত হয়েছি।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৯
জুন বলেছেন: যাক শেষ পর্যন্ত কাঁদলেন খায়রুল আহসান। আমিতো ভেবেছি আর্মিতে যাবার আগেই আপনার ঐ ট্রেনিংটা ছিল।
ভারী চমৎকার করে আপনি সেসব দিনের আশেপাশের ঘটনাগুলো দক্ষ তুলির আচড়ে তুলে ধরছে।। সেই সব অজানা অচেনা দিনগুলোর ইতিহাস পড়ে এ যুগের পাঠকরা মুগ্ধ হবে বলে আমি মনে করি।
অনেক অনেক ভালোলাগা
+
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: কাঁদতে পারাটা খুব সৌভাগ্যের ব্যাপার, জুন। এতে মন ভালো থাকে। তবে আমার কাঁদাটা খুবই বিচিত্র রকমের। আমি আমার খুব প্রিয়জনদের মৃত্যুতে একফোঁটা কাঁদতে পারিনি। আচমকা বিপদ আপদ এসে যখন আমাকে নিঃস্ব করে গেছে, তখনো পারিনি। কিন্তু আমি মানুষের কথা শুনে বা পড়ে নীরবে কাঁদি। আমার এক বন্ধুর যুবক ছেলের আকস্মিক এবং অকালমৃত্যুর পর তার মরদেহ যখন গোরস্তানে নেয়ার জন্য ট্রাকে তোলা হচ্ছিল, তখন শোকে পাথর হওয়া বন্ধুর নিষ্পলক অভিব্যক্তি দেখে আমি অঝোরধারায় কেঁদে ফেলেছিলাম। আমার প্রতি স্রষ্টার অপার করুণার কথা ভেবে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলি, কোন দেশাত্মবোধক গানের চরণ শুনে কাঁদি। আর্মিতে যখন প্রথম গিয়েছিলাম, তখন দেখতাম প্রশিক্ষণের নির্দয় কঠোরতায় কিংবা প্রশিক্ষকদের অন্যায় জুলুমে অনেকে কাঁদতো, কিন্তু আমি কখনো সে কারণে কাঁদিনি। তবে আমার কান্নার কিছুটা নমুনা পাবেন আপনি আমার এ কবিতাটিতেঃ
অব্যক্ত অনুভূতি
দীর্ঘ সামরিক জীবনে,
যখনি কোন আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ করেছি,
ব্যান্ডের তালে তালে মার্চপাস্ট করেছি,
জাতীয় সংগীতের সুরে সশস্ত্র সালাম দিয়েছি,
কেউতো দেখেনি আমার নীরব অশ্রুপাত।
কেন জানিনা,
সামরিক ব্যান্ডগুলোর সুরের মূর্ছনায়,
অপূর্ব বাঙময় হয়ে উঠে যেকোন গান।
দেশাত্মবোধক হলে তো কোন কথাই নেই,
অশ্রু ও স্বেদ একাকার হয়ে প্রবাহিত হয়।
যেখানেই শুনেছি,
'দি লাস্ট পোস্ট' এর করুণ বিউগল ধ্বনি,
সেখানেই মাটিতে মিশে গেছে আমার দুফোঁটা অশ্রু।
হায়, ময়নামতির ড্রিল স্কোয়ারে, ঘর্মাক্ত কলেবরে,
কতইনা ঝরেছে আনন্দাশ্রু, Auld Lang Syne এর সুরে।
কেউ্তো শোনেনি,
ম্রিয়মান এই সৈনিকের একান্ত নিভৃত অনুভুতির কথা।
সতীর্থরা দেখেছে তাকে আনমনে একই লয়ে পথ হাঁটতে,
তাদেরই মত। তারা কখনো জানেনি তার স্বপ্নের কথা।
যে স্বপ্নে প্রোথিত ছিল একটি ভূগোল আর একটি ইতিহাস।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
মানবী বলেছেন: কৈশোরে হোস্টেল বা ক্যাডেট কলেজে যাবার সময় উদরে যেভাবে প্রজাপতির উপস্থিতি অনুভূত হয় তা মনে হয় জীবনের আর সময় সেভাবে অনুভব করা যায়না। আপনার লেখায় সেই অণুভূতি সংক্ষেপে হলেও সুন্দর ফুটে উঠেছে।
ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক এর পরের পর্বটাতেই আমি ক্যাডেট কলেজে যাবার সময় উদরে যেভাবে প্রজাপতির উপস্থিতি অনুভূত হয় সেরকম অনুভূতির কথা বলেছি। আশাকরি পড়ে দেখবেন, মানবী।
প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হয়েছি, অনেক ধন্যবাদ।
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
আপনার এই সিরিজটি আমার পড়া হয়ে ওঠেনি । হঠাৎ হঠাৎ চোখ বুলিয়ে যা বুঝলুম তা , আপনার জীবনের কিছু ভালোলাগা - মন্দ লাগার অনুভূতি নিয়ে সাজানো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: যে লেখক হঠাৎ হঠাৎ চোখ বুলানো পাঠকের দৃষ্টিকে তার লেখায় ধরে রাখতে পারেনা, তার লেখা কোন লেখা নয়, আহমেদ জী এস।
এমন অকিঞ্চিৎকর লেখার উপরেও যে আপনি নজর বুলিয়েছেন, সেজন্য যারপরনাই ধন্য হ'লাম।
শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৪
শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনি বরাবরই খুব সিরিয়াস ছিলেনঃ
//এই প্রথম জীবন প্রণালীর শক্ত বুনটে কেমন যেন এক ঢিলে ঢালা ভাব অনুভব করতে শুরু করলাম। //
মাঝামাঝির সমস্যাটা বেশ উপভোগ করলাম।
হা-হা-হাঃ
//বলাই বাহুল্য, তাদের চমৎকার বাকপটুতা আর মার্কেটিং স্কিল দেখে আমি এতটাই বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যেতাম যে প্রায়শঃ আমাকে পকেটমারদের খপ্পরে পড়ে পকেটে যা দু'চার টাকা থাকতো, সেটাও হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে বাড়ী ফিরতে হতো। //
আপনার শেখার ইচ্ছাটাকে সাধুবাদ জানাইঃ
//মাস পিপল এর সাথে এই যোগাযোগ আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতো এবং আমার ভেতরের জড়তাকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতো।পঁচা মাছ চিনতে শিখেছিলাম, কয়েকদফা বাসায় নিয়ে আসার পর। ওজনের কারচুপি ধরতে শিখেছিলাম।//
বাহ, চমৎকার থিওরী এবং কর্মজীবনে তার ব্যবহারঃ
তবে, উদাহরণস্বরূপ সহজ ভাষায় বলি, কোন জিনিসের মূল্য মণপ্রতি যত টাকা হবে, আড়াই সের এর দাম ঠিক তত আনা হবে। চালের মণ ৪০ টাকা হলে আড়াই সের এর দাম হবে ৪০ আনা, অর্থাৎ আড়াই টাকা। এভাবে পাটিগণিতের আর্যা প্রয়োগ করে আমি খুব দ্রুত ক্রয়কৃ্ত পণ্যের হিসেব মানসিকভাবে বের করতে পারদর্শী হয়ে উঠেছিলাম। পরবর্তীতে চাকুরী জীবনে যখন একাউন্টস ক্লার্ক তার একাউন্টস লেজার সাইন করানোর জন্য আমার কাছে নিয়ে আসতো, আমি পুরো পৃষ্ঠার সব এন্ট্রির যোগফল মুখে মুখে বের করে ফেলতে পারতাম কোন ক্যালকুলেটর ছাড়াই। একাউন্টস ক্লার্ক ক্যালকুলেটরের সাহায্য নিয়ে যতক্ষণে রেজাল্ট বের করতো, আমি তার অর্ধেক সময়ে নির্ভুলভাবে ফলাফল বের করতে পারতাম।
সেদিন আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি এসেছিল আর আজ রোদ্র স্নাত সকালে আমার মনটা মেঘে ঢেকে গেলঃ
//আকাশটা ভেঙ্গে এসেছিলো। অন্যদিন হলে দৌড়ে কোথাও কাভার নিতাম। কিন্তু সেদিন তা ইচ্ছে হলোনা। আমার কোন দুঃখে আমি কখনো কারো সামনে কাঁদতে পারতাম না। ভীষণ লজ্জা লাগতো। কেন যেন সেদিন সকাল থেকেই আমার মনের মধ্যে খুব দুঃখ দুঃখ একটা ভাব এসে জমা হচ্ছিলো। প্রকৃ্তি তার অপার উদারতায় আমার জন্য ইমোশনাল ক্যাথার্সিস (emotional catharsis) এর একটা ব্যবস্থা করে দিলো। আমি বৃষ্টিতে ভিজে পথ চলতে চলতে প্রাণভরে কাঁদতে শুরু করলাম।//
স্মৃতিরা অমর হোক।
ভাল থাকুন। সবসময়।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: এতটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মন্তব্য করে আমায় ঋণী করে গেলেন, ভাই শামছুল ইসলাম। আপনার এ মন্তব্যে আমার লেখাটা ধন্য হলো।
অশেষ ধন্যবাদ ও নিরন্তর শুভেচ্ছা!
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
কিরমানী লিটন বলেছেন: এই সিরিজটি আপনার জীবনের বিশেষ বিশেষ কিছু ভালোলাগা - মন্দ লাগার অনুভূতি নিয়ে সাজানো ।শুভকামনা রইলো...
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এটাকে স্মৃতিকথা বলা যেতে পারে। এক ধরণের গল্প, যা কারো হয়তো ভালো লাগতে পারে, কারো লাগবে না। এটা পড়ে এখানে মন্তব্য রাখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কিরমানী লিটন।
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার সেদিনকার আবেগ আজ আমাকেও ছুয়ে গেল । অসাধারণ হয়েছে। আপনার বর্ণনার কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে।
আর হ্যা, অঙ্ককে গুরুত্ব দিতে হবে বুঝতে পারলাম ।
শুভেচ্ছা ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ০০৭, আপনার আবেগটাও আমি অনুভব করলাম।
আপনার বর্ণনার কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে -- কেমন আলাদা বৈশিষ্ট্য, একটু জানতে পারি কি?
অঙ্ককে গুরুত্ব দিতে হবে বুঝতে পারলাম -- অঙ্ক সকল বিজ্ঞানের প্রসূতি।
১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
ইমতি২৪ বলেছেন: ভাইয়া এর আগে ইমোটকন দিয়ে আপনার ঝাঁড়ি খাইছি(জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা)। তাই আজ থেকে হাসি কান্নার শর্ট কাট অনুভুতি বাদ সরি এর পর থেকে।
কবিতা লিঙ্ক এ গেলাম “Sorry, but the page you requested cannot be found.”
পৃথিবীর আর কোন দেশে যুবশক্তির এমন অপচয় হয়না…সেদিন সকাল থেকেই আমার মনের মধ্যে খুব দুঃখ দুঃখ একটা ভাব এসে জমা হচ্ছিলো… এত দিন আগের কথা কিভাবে যে মনে রেখেছেন !!
ভাল লাগা জানবেন।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ লেখাগুলো পড়ে অনেকেই আশ্চর্য্য হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, এত পুরনো দিনের কথা আমি এতটা ডিটেলসে স্মরণ করছি কিভাবে। আমাের উত্তরঃ মনের ভেতরে গেঁথে যাওয়া অনুভূতি থেকে এগুলো লিখছি, তাই এতটা নিখুঁত। এখনকার কথা জিজ্ঞেস করুন, অনেক কিছুই আমি বলতে পারবোনা।
কবিতা লিঙ্ক এ গেলাম “Sorry, but the page you requested cannot be found.” -- কোন কবিতার কথা বলা হচ্ছে এখানে?
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আজকের পর্বটা আমার বেশি ভালো লেগেছে। বৃষ্টির সাথে সাথে কান্নাকে ছুঁইয়ে দেয়া।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: বৃষ্টির সাথে সাথে কান্নাকে ছুঁইয়ে দেয়া -- ওটাতো সবাই সুযোগ বুঝে করে থাকে, অপর্ণা মম্ময়!
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
জুন বলেছেন: অসাধারন এক কবিতা শেয়ারের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ময়নামতীতে ড্রিল হয়তো সেনানিবাসের কথা মিন করেছেন খায়রুল আহসান। কিন্ত তাতে আমার মনে ভেসে এলো অন্য কিছু কথা, অন্য এক কাহিনী। লিংক দিতে কেমন জানি লাগে, তারপর ও দিতে হয়
দেখুন আমার চোখে যেখানে আমার চোখেও বাধ ভেংগে জল নেবে এসেছিল।
এখানে
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, ময়নামতি সেনানিবাসের কথাই বলেছি। আমাদের সময় বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী বা বিএমএ ময়নামতি সেনানিবাস, কুমিল্লায় ছিলো। তখনো চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে বিএমএ প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। সেই ময়নামতি সেনানিবাসের শহীদ এম আর চৌধুরী স্টেডিয়ামে আমাদের পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। তাই ময়নামতি সেনানিবাস আমার স্মৃতি বিজড়িত। কাকতালীয় ব্যাপার যে ময়নামতি সেনানিবাস দিয়ে আমার সামরিক জীবন শুরু হয়, আবার ৩১ বছর পর ঐ ময়নামতি সেনানিবাসেই তা শেষ হয়। সেখান থেকেই আমি অবসরে যাই।
আপনার অসাধারণ পোস্টটা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: যেমন ধরেন - প্রকৃ্তি তার অপার উদারতায় আমার জন্য ইমোশনাল ক্যাথার্সিস (emotional catharsis) এর একটা ব্যবস্থা করে দিলো।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বুঝলাম, ধন্যবাদ মাহমুদ০০৭।
ইমোশনাল ক্যাথার্সিস (emotional catharsis) সাইকোলজির একটা পরিভাষা। এর মানেটা যারা জানেন, তারা পুরোপুরিই অনুধাবন করতে পারবেন আমার তখনকার অনুভূতিটুকু।
১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনার লেখা গুলো যতই পড়ছি ততই ভাল লাগছে। একজন অগ্রজের জীবনানুভুতি এই অধমে যথেষ্ট ছাপ ফেলা শুরু করেছে। চালিয়ে যান স্যার।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত হয়েছি, ভ্রমরের ডানা। এই ভালোলাগাটুকু আমায় আরো এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার আত্মজীবনী পড়ে বেশ ভালো লাগছে বাকি গুলো পরে পড়ে নেব । আমারও এরকম বোর্ডিং স্কুলে পড়ার অভিজ্ঞতা আছে তবে আমি খুব আগ্রহ নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু চার মাসের মাথায় আমার বাবা আমাকে নিয়ে আসতে বাধ্য হয় কারণ আমি আমার পিতামাতা ছাড়া থাকতে পারছিলাম না । দিনগুলো মনে পরে গেলো ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে , ভালো থাকবেন ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাকি গুলো পরে পড়ে নেব -- এ কথা জেনে খুব খুশী হ'লাম।
কারণ আমি আমার পিতামাতা ছাড়া থাকতে পারছিলাম না -- এরকম অনেকেরই হয়। এরকম পরিস্থিতিতে চলে আসাটাই ভালো।
সময় করে আমার লেখাগুলো পড়ছেন, এজন্য অনেক প্রীত হয়েছি। অনুপ্রানিত বোধ করছি।
শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ, গুলশান কিবরীয়া।
১৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
কাবিল বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা ও আত্মজীবনী সিরিজটা সুন্দর বর্ণনায় বেশ জমে উঠছে।
সাথেই আছি।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ, কাবিল। লেখার প্রশংসায় প্রীত হ'লাম।
১৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০
তিথীডোর বলেছেন: আমার হাসব্যান্ড ও এক্স মোমেনশাহী ক্যাডেট (ব্যাচ ১৩। ওর ক্যাডেট কলেজের গল্প শুনতে শুনতে সব মুখস্ত হয়ে গেছে!...অনামিকায় বেদনা, আগে খাইয়া লই---কত গল্প!...ওর কাছ থেকেই শচীন দেব বর্মন (শচীন কর্তা!) এর গানের ভক্ত হয়ে উঠেছিলাম! খুব প্রান্জল আপনার লেখা....
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা যখন এমসিসি ত্যাগ করি, তখন ১১তম ব্যাচ কলেজে গিয়েছে। ১৩তম ব্যাচকে আমরা কলেজে পাইনি। তবে, আগের একটা লেখায় ("দুটি ক্ষুদ্র সাফল্যের কথা" যেমনটা বলেছি, আমি কিছু সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছি। সেখানে ১৩তম ব্যাচের কয়েকজনের সাথে বেশ ভালো হৃদ্যতা হয়েছে। আপনার হাসব্যান্ডের নাম জানালে হয়তো তাকে চিনলেও চিনতে পারি।
খুব প্রান্জল আপনার লেখা.... -- মন্তব্যে প্রীত ও মুগ্ধ হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, তিথীডোর।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে ইমোটা সেখানে ভুলক্রমে বসে গেলো, তিথীডোর। আমি আমার লেখায় পারতপক্ষে কোন ইমো ব্যবহার করিনা।
১৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬
তিথীডোর বলেছেন: ওদের ব্যাচের আর্কিটেক্ট জগলুল ভাইকে চেনেন? ...উনিও অনেক সামাজিক /জনকল্যানমূক কাজের সাথে জড়িত আছেন, ওর বেস্ট ফ্রেন্ড! নামটা জানাতে পারছিনা বলে দুঃখিত...দেশ ছেড়েছে বুয়েটে গ্রাজুয়েশনের পরে, আমরা এখন নিউ ইয়র্কে আছি।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: জগলুলকে খুব ভালো করে চিনি। অত্যন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর, কর্মঠ, উদ্যোগী ও উদ্যমী একজন পঞ্চাশোর্ধ তরুণ। খোলা হাতে দান করে, বহু সমাজকল্যাণমূলক কাজের উদ্যোক্তা। ওকে দেখেই আমি জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হই এবং ওর সাথেই জড়িয়ে পড়ি।
২০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২৬
কমরেড নীল বলেছেন: পড়তে ভাল লাগছে
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, কমরেড নীল। প্রীত হ'লাম।
আশাকরি আগে পড়ের গুলোও পড়বেন।
২১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
বলেছেন - "যে লেখক হঠাৎ হঠাৎ চোখ বুলানো পাঠকের দৃষ্টিকে তার লেখায় ধরে রাখতে পারেনা, তার লেখা কোন লেখা নয়... " ।
ব্যাপারটি কিন্তু লেখকের ব্যর্থতায় পাঠক ধরে রাখা বা না রাখার মতো কিছুই নয় । ব্লগে যারা যারা ঢুঁ মারেন তারা সবাই মনে হয় অফুরান সময় নিয়ে আসেন না, আমার ধারনা এমনটাই । মনের টানেই তারা আসেন খানিকটা সময় আনন্দে ভরিয়ে তুলতে । লেখকদের সাথে একাত্ম হতে । আমার বেলাতেও তাই ।
সময়.....সময়..... বড়বেশী কৃপনতা করে সময়। যেটুক ঋন দেয় তার বিনিময়ে সকল লেখকের লেখা গলাধঃকরন করে মনের জঠর খানিকটা ভরিয়ে তুলতে না তুলতেই চলতি হিসাব বন্ধ করে দেয় । তৃপ্তি মেলেনা । তাই বলে বাকী লেখকের লেখা সুখখাদ্য হয়না এমনটা নয় । কিছুতেই নয় ।
কাল রাত করে আপনার এই সিরিজটা প্রথম থেকে পড়েছি অন্যসব বাদ দিয়ে । যাতে আপনার মনে সামান্যতমও ক্ষেদ না থাকে আপনার নিজের কলমের জোর সম্পর্কে । আমি যে লেখাটি পড়ি তা খুঁটিয়েই পড়ি । মনঃপূত হলে লেখার ভাবের সাথে মিলিয়ে আন্তরিকতার সাথেই মন্তব্য করি । শুধু- দারুন বা অসাধারন বলেই ছেড়ে দিইনে ।
আপনার এই সিরিজে আপনি নিজকথনের ভেতরে যে আসলে একটি অতিক্রান্ত সময়ের সুন্দরতর ছবি তুলে ধরে , চলতি সময়ের অনাত্মীয়তার আভাসে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন গোপনে গোপনে তা বোঝা যায় ।
আর নয় । শুধু এই লাইনটি দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই আপনাকে ------------------
আহা .... কি মধুর মধুর বংশী বেজে গেছে সেই ফেলে আসা দিনগুলোতে !!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনার এই সুবিবেচিত মন্তব্যের জন্যে, আর অন্যসব বাদ দিয়ে এই সিরিজটা প্রথম থেকে পড়ার জন্যে, আহমেদ জী এস।
২২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
আরমিন বলেছেন: এপর্যন্ত সবগুলো পর্ব পড়লাম। শুভকামনা আপনার জন্য। ভালো থাকুন।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। খুশী হ'লাম, অনুপ্রাণিত হ'লাম।
বাকী তিনটে পর্ব সম্পর্কেও সময় করে কিছু বললে আরও খুশী হবো।
আপনিও ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা রইলো।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আশাকরি, আপনি এর পর্বগুলো থেকেও অন্ততঃ কয়েকটা পড়ে দেখবেন।
২৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
কমরেড নীল বলেছেন: সবগুলো পড়লাম। শুভকামনা রইলো
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, কমরেড নীল।
সাতটার মধ্যে কোনটা সবচেয়ে ভালো লাগলো?
২৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০২
কমরেড নীল বলেছেন: প্রকৃ্তি তার অপার উদারতায় আমার জন্য ইমোশনাল ক্যাথার্সিস (emotional catharsis) এর একটা ব্যবস্থা করে দিলো। আমি বৃষ্টিতে ভিজে পথ চলতে চলতে প্রাণভরে কাঁদতে শুরু করলাম।
আমার কথা
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কথা - অন্যের কথা বলতে পারাটা একজন লেখকের জন্য একটা বড় সাফল্য।
ধন্যবাদ, কমরেড নীল।
২৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: তখনো তাহলে পকেটমার ছিল?
ছটাক, পোয়া এসব হিসাব কোনদিন আমার মাথায় আসেনি।বাজার করা তো বিশাল কাজ, আপনি দেখি ছোটবেলাতেই রপ্ত করে ফেলেছিলেন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: তখনো তাহলে পকেটমার ছিল? -- হ্যাঁ ছিলো, তবে নিতান্তই বোকা সোকা না হলে তাদের শিকার কেউ হতোনা। আমি তাই ছিলাম।
বাজার করা তো বিশাল কাজ, আপনি দেখি ছোটবেলাতেই রপ্ত করে ফেলেছিলেন -- হ্যাঁ, ঠিক তাই। সেই থেকে আজ অবধি কাজটা আমি নিষ্ঠার সাথে পালন করে চলেছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রীত হয়েছি।
২৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: 'পাটিগণিতে নানারকম আর্যা'- আমার মায়ের কল্যাণে খুব ছোটবেলাতেই ব্যাপারটার সাথে পরিচয় হয়েছিল। গত ২০/২৫ বছরে আর শোনা হয়নি। আপনার সাথে আমার বয়সের পার্থক্য অনেক হলেও মনে হলো আমাদের ছেলেবেলার অভিজ্ঞতা কয়েক দশকের ব্যবধানে একইরকম ছিলো।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: তোমার মন্তব্য পড়ে খুবই ভালো লাগলো, গার্ডেড ট্যাবলেট। লেখাটা যে তোমাদের বয়সীদের কাছে বোরিং মনে হচ্ছেনা, এটা ভেবে আমি আনন্দিত বোধ করছি।
মন্তব্যের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: তোমার পুরনো পোস্ট - "৭দিন পর্যবেক্ষন এবং নতুন ব্লগার" (প্রথম পোস্ট) পড়ে একটা মন্তব্য রেখে আসলাম।
২৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: //গ্রামে গঞ্জে গেলে দেখা যায় যে প্রতি তিন চারশ' গজ দূরে দূরে একেকটা মাচা বা টং এ মুদি দ্রব্যের কিংবা চা পান এর পসরা সাজিয়ে বসা আছে একজন যুবক অথবা মধ্যবয়স্ক দোকানদার বা চা ওয়ালা, অপেক্ষায় কখন তার দোকানে ক্রেতা কিংবা শুধুই একজন গসিপিস্ট আসবে, আর চায়ের কাপে ঝড় তুলবে। পৃথিবীর আর কোন দেশে যুবশক্তির এমন অপচয় হয়না।//
-অনেক উন্নয়ন এসছে আমাদের পোস্ট-মডার্ন সমাজে। অনেক সমৃদ্ধি এসেছে। শুধু ওই জায়গাটিতে কোন পরিবর্তন আসে নি।
পারিবারিক বাজার-হাটে আপনার দক্ষতা ও হিসাব কষার অভিজ্ঞতা দেখে হিংসা হচ্ছে
একাজটি আমি ছোটবেলায় করতে পছন্দ করি নি। আমার ছোটভাই হাল ধরেছে। এখনও বাধ্য হয়ে করছি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোটবেলায় আমিও বাধ্য হয়ে হাল ধরেছিলাম। তবে সে অভিজ্ঞতাটুকু সারাজীবন কাজে দিয়েছে।
"আমার কথা"য় আবার আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
জনাব মাহাবুব বলেছেন: আপনার লেখাটি এই প্রথম চোখে পড়ল।
আপনার লেখাটি মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়লাম এবং অনুভব করলাম সেই সময়ের অনুভূতি।
আপনার আগের লেখাগুলোও পড়ে ফেলব ইনশাআল্লাহ।
আপনার লেখার হাত দারুন, আপনি আপনার এই সিরিজটি বই আকারে প্রকাশ করতে পারেন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার লেখাটি মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়লাম এবং অনুভব করলাম সেই সময়ের অনুভূতি -- পাঠকের কাছ থেকে পাওয়া এ ধরণের প্রণোদনা যেকোন লেখকের জন্যই একটা তুষ্টির বিষয়। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ উদার মন্তব্যের জন্য, জনাব মাহাবুব।
বই বের করাটা একটা ঝামেলার ব্যাপার বলেই জানি। তাই আপাততঃ ওপথে যাচ্ছিনা।
আপনার আগের লেখাগুলোও পড়ে ফেলব ইনশাআল্লাহ -- খুবই উৎসাহিত বোধ করলাম এ কথায়।
২৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আরও দু'টি কথা বলার ছিল, বলতে ভুলে গেলাম:
১) পারিবারিক কাছে কিশোর বয়সেও আপনার দায়িত্বশীলতা... এটি নিশ্চয়ই পরবর্তি কর্মজীবনে ভাল প্রভাব ফেলেছে।
২) কবিতার লিংকটি কাজ করে নি
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ১। হ্যাঁঁ, ঠিক বলেছেন। এই দায়িত্বশীলতার কারণে খোদ পরিবারের ভেতরেই আমার একটা আলাদা সম্মান ছিলো। ৭ ভাইবোনের মধ্যে আমার স্থান ছিলো একদম মাঝামাঝি, চতুর্থ। কিন্তু আমাকে আমার বড় ভাইবোনেরাও খুব ভালোবাসতো, ছোটরাও খুব সমীহ করতো। আমার আব্বা খুব রাগী মানুষ ছিলেন। আমার বড় ছোটরা তাঁর কাছে হরহামেশা চড় থাপ্পর খেতেন, কিন্তু আমি কদাচিৎ। আমি পরিবারের প্রতি খুব attached ছিলাম। আব্বাকে দেখে বুঝতে পারতাম, তিনি একজন sincere এবং সৎ মানুষ ছিলেন। মধ্যবিত্তের টানাপোড়েনের সংসারে মানুষ হয়েছি। সেখানে প্রত্যেকেরই একটা ভূমিকা পালনের slot ছিলো। আমারটা আমি সাধ্যমত আন্তরিকতার সাথে পালন করতাম। পরবর্তীতে নিজের ছেলেদেরকেও সেভাবেই বড় করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুনিয়া পাল্টে গেছে। তাই যতদূর সম্ভব adjust করে সর্বোত্তম পথ খোঁঁজার চেষ্টা করেছি।
২। কবিতার লিঙ্কটি কাজ না করাতে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পুরো কবিতাটিই এখানে তুলে দিলামঃ
দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল,চিনি-পাতা দৈ,
দু’টা পাকা বেল, সরিষার তেল, ডিমভরা কৈ।
পথে হেঁটে চলি, মনে মনে বলি, পাছে হয় ভুল;
ভুল যদি হয়, মা তবে নিশ্চয়, ছিঁড়ে দেবে চুল।
দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ,
দু’টা পাকা বেল, সরিষার তেল, ডিমভরা কৈ।
বাহবা বাহবা – ভোলা ভুতো হাবা খেলিছে তো বেশ!
দেখিব খেলাতে, কে হারে কে জেতে, কেনা হলে শেষ।
দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ,
ডিম-ভরা বেল, দু’টা পাকা তেল, সরিষার কৈ।
ওই তো ওখানে ঘুরি ধরে টানে, ঘোষদের ননী;
আমি যদি পাই, তা হলে উড়াই আকাশে এখনি!
দাদখানি তেল, ডিম-ভরা বেল, দুটা পাকা দৈ,
সরিষার চাল, চিনি-পাতা ডাল, মুসুরির কৈ!
এসেছি দোকানে-কিনি এই খানে, যত কিছু পাই;
মা যাহা বলেছে, ঠিক মনে আছে, তাতে ভুল নাই!
দাদখানি বেল, মুসুরির তেল, সরিষার কৈ,
চিনি-পাতা চাল, দুটা পাকা ডাল, ডিম ভরা দৈ।
৩০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//আব্বাকে দেখে বুঝতে পারতাম, তিনি একজন sincere এবং সৎ মানুষ ছিলেন। মধ্যবিত্তের টানাপোড়েনের সংসারে মানুষ হয়েছি। সেখানে প্রত্যেকেরই একটা ভূমিকা পালনের slot ছিলো। //
-হাও ট্রু!!!! এমন পরিবার নিয়েই বাংলাদেশ। উচ্চবিত্তরা দেশের মেজোরিটিকে প্রতিনিধিত্ব করে না
ছড়াটি অনেক পড়েছি শৈশবে।
অনেক মজার ভুলগুলো... অনেক হাসতাম!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, মাঈনউদ্দিন মইনুল, আপনার ভাবনাটি শেয়ার করার জন্য এবং প্রসঙ্গটি এখানে তোলার জন্য।
ভাল থাকবেন।
৩১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
রাশেদ মহাচিন্তিত বলেছেন: সেই ফাইভ আমি শুধু প্রতিদিনের হাট না, মাসের বাজার নিয়োমিত করতাম। এটা আমি বেশ উপভোগ করি। অবশ্য ছোটবেলায় শুধু ভাল লাগার জন্য না, কিছু পকেটে থাকতো বলেই আগ্রহ আরও বেশি ছিল।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এখানে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, রাশেদ মহাচিন্তিত।আশাকরি এ ব্যাপক অভিজ্ঞতাটা আপনার পরবর্তী জীবনে ফলপ্রসূ হয়েছে।
৩২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: বাজার করতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়। পকেটে অন্তত কিছু পয়সা থাকে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: পকেটে অন্তত কিছু পয়সা থাকে -- তা থাকে বটে, আবার অসাবধানে ধরাও পড়তে হয়। ক্লাস সিক্সে থাকতে একবার বাজার থেকে বেঁচে যাওয়া চার আনার একটি কয়েন শার্টের বুক পকেটে রেখেছিলাম। ছোট ভাইবোনদের সাথে বাসায় লাফালাফি করতে গিয়ে হঠাৎ কয়েনটা লাফ দিয়ে বের হয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে একেবারে আম্মার পায়ের কাছে গিয়ে থামলো। আর শুরু হলো আম্মার কাছে আমার জবাবদিহিতার পালা!
আপনার মন্তব্যটা স্মৃতিটাকে মনে করিয়ে দিলো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রাতুল_শাহ।
৩৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২২
আরজু পনি বলেছেন:
আপনার কান্নাটা যেনো অনুভব করতে পারলাম...
ছোট এক কিশোরের সফল পথ চলা দেখলাম...
শুভেচ্ছা রইল ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পেছনে পথ হেঁটে লেখাটা পড়ার জন্য অনেক, অনেক ধন্যবাদ, আরজুপনি।
ছোট্ট মন্তব্য, তবু অভিভূত হ'লাম। অনেক।
সেই ছোট এক কিশোরের সাথে আপনার পথ চলা অব্যাহত থাকবে, আশাকরি।
৩৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সোহানী বলেছেন: আহ্ এতোটা আবেগী স্মৃতিচারন অনেকদিন পড়েনি। ভাগ্যিস স্কিপ করার ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
কি বলবো.... জানি না কারন আপনার পরিবারের ভালোলাগা চলা সব কিছুই আমাদেরটা প্রতিফলন দেখতে পাই। মইনুল ভাইয়ের মতোই বলি, এটাই বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র। একজন সৎ অফিসার বাবা আর কিছুটা অভাব কিছুটা স্বাচ্ছন্দে অনেক ভালোবাসায়পূর্ণ একটি পরিবার। আর যে পরিবার থেকে কখনই কোন অসৎ সন্তান জন্মেনি। কারন তারা জন্ম থেকেই দেখেছে আদর ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটি জীবন. সৎ আদর্শই মূলমন্ত্র বেচেঁ থাকার।
মেয়ে হিসেবে বাজার করার দায়িত্ব কখনো পাইনি। তারউপর মা ছিলেন পুরো পরিবারের সামলানের দায়িত্বে। তাই বাজার থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা মা করেনি। তাই আমাদের সুযোগ ছিল না। বাবা তাঁর অফিস আর বই পত্রিকা পড়া বা লিখালিখি নিয়েই দিন পার করতো। তবে আমাদের কাজের ছেলে ওহাব কাকার কথা আগেও বলেছিলাম, ও মাঝে মাঝে কাকাদের সাথে বাজারে যেত কিন্তু মায়ের হিসাবে ফাকিঁ দেবার কোন সুযোগ পেত না।
সেদিন অাপনার বুকের কষ্টগুলোকে সঙ্গ দেবার জন্য বৃষ্টি হয়ে ঝরেছিল, হয়তো আবারো তারা সঙ্গ দিয়েছিল সে দিনটা স্মরণের জন্য। কিন্তু আপনার লিখা পড়ে নিজের স্মৃতির কষ্টগুলোর সঙ্গ কেউ দিল না।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: এটাই বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র - হ্যাঁ, এটাই আমার সমাজের চিত্র ছিল তখনকার সময়ে। আমি গর্বিত, মধ্যবিত্ত সমাজের একজন হয়ে বেড়ে ওঠাতে। জীবন নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তদেরকে এমন অনেক কিছু শেখায়, যার সুযোগ উচ্চবিত্তেরা পায় না।
অনেক ধন্যবাদ। বরাবরের মতই মন্তব্যে এবং উদার প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার পড়ার এবং মন্তব্যের সুবাদে আমারও সুযোগ হচ্ছে নিজের লেখার উপর আরেকবার করে চোখ বুলিয়ে নিতে। খুব ভাল লাগছে। বিশেষ করে সিরিজের এ পর্বটাতে এমন অনেক কয়েকজনের একাধিক মন্তব্য পেয়েছি, যারা আমার আর কোন পোস্টে আর কখনোই, আগে বা পরে, আসেন নাই। তাদেরকেও মিস করছি।
৩৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৬
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিকথা পড়ে। আপনি আর্মিতে ছিলেন জেনে (মন্তব্য থেকে) একটু অবাক হলাম, কারন আপনার লেখার ধরন অনেক সফট! লিঙ্ক দেবার জন্যে ধন্যবাদ, সময় করে বাকিগুলোও পড়ে নিবো। আমি ছোটবেলায় যখন মামারবাড়ি বেড়াতে যেতাম, মেঝো মামা এসব আনা, পাই, ছটাক, সের নিয়ে খুব যন্ত্রণা দিতেন। শীতের সকালে আরাম করে যখন ঝোলা গুড় দিয়ে মুড়ি খাচ্ছি, তখন এসে এক সের গুড় এতো টাকা হলে, দুই আনায় কতটুকু গুড় পাওয়া যাবে এইসব বলে খাওয়া মাটি করে দিত। মামার সাথে হাটে যেতাম, অখানেও এসব হিসাব আমাকেই করতে হত। নস্টালজিক হয়ে গেলাম, ধন্যবাদ জানবেন।
২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাজার করা সংক্রান্ত আপনার একটি পোস্টে আমি আমার এ কথাগুলোর কথা বলে এসেছিলাম প্রাসঙ্গিকতার কারণে। আপনি সেখানে দেয়া লিঙ্ক ধরে এখানে এসে তা পড়ে গেলেন, মন্তব্য করে গেলেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ। মামাবাড়ির অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, সেটাও ভাল লেগেছে।
আপনি আরও বেশি করে পোস্ট দিবেন, সে আশাটা করতেই পারি, মনে হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭
মনুমনু বলেছেন: এ পারফেক্ট ব্লগ। ক্যারি অন ব্রাদার।