নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা - ৯

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০১

'আমার কথা - ৮' পড়তে চাইলে এখানে পড়ুনঃ আমার কথা - ৮

My Alma Mater, MCC, etched permanently in my heart. The foundation of my education was laid in this building by capable scholars and leaders. This is the front view of the main Academic Building of the then Momenshahi Cadet College, now known as Mirzapur Cadet College.
(Photo credit: Mahbub Shaheed Bhai, Cadet No. 3)
যতই রিক্সা এগোচ্ছিলো, ততই আমার ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছিলো। আমরা সরু পীচঢালা যে পথ ধরে এগোচ্ছিলাম, তার ডানপাশ দিয়েই একটা মাটির পায়ে চলা পথ ধরে কিছু সাধারণ মানুষ যাতায়াত করছিলো। বৃষ্টিতে ভিজে সে পথটা ভীষণ কর্দমাক্ত হয়ে গিয়েছিলো। আশেপাশে গাছপালা আর খাল নালা দেখছিলাম। পুরোপুরি গ্রামীণ পরিবেশে রিক্সা এগিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ সামনে দেখা গেল এক চমৎকার স্থাপত্যের সাদা বিল্ডিং। আরো একটু অগ্রসর হলে আরো কিছু বিল্ডিং নজরে এলো। সাদা শার্ট, সাদা ট্রাউজার্স আর কালো টাই পরা কিছু জেন্টলম্যানকে দেখা গেলো, সাথে খাকী ইউনিফরম পরা কিছু সেনাসদৃশ ব্যক্তি। সবুজের মাঝে হঠাৎ এই শুভ্রতার আবির্ভাবে সবকিছুই কেমন যেন ঝলমলে হয়ে উঠলো। একটা জায়গায় এসে আমাদেরকে রিক্সা থেকে নামতে হলো। ব্যাগসহ আমাকে এবং আমার মত আগত অন্যান্য ক্যাডেটদেরকে একটা বড় হলরুমে নিয়ে যাওয়া হলো, যার নাম পরে জেনেছি ‘কলেজ অডিটোরিয়াম’। সেখানে আমাদেরকে আমাদের সাথে আগত অভিভাবক ও অতিথিদের থেকে পৃ্থক করা হলো। কে কোন হাউজে থাকবে তা জানিয়ে দেয়া হলো। আমার জন্য বরাদ্দ ছিল ‘জিন্নাহ হাউজ, স্বাধীনতার পরে যেটাকে ‘ফজলুল হক হাউজ’ নামে নতুন নামকরণ করা হয়েছিলো।

একটা স্বাগত সম্ভাষণের পর আমাদেরকে হাউজে নিয়ে যাবার জন্য প্রস্তুত করা হলো, তার আগে সুযোগ দেয়া হলো আমাদের অভিভাবকদের সাথে শেষ কথাবার্তা সেরে ফেলার জন্য। ইতোমধ্যে দেখলাম আব্বা অন্যান্য কয়েকজন অভিভাবকের সাথে পরিচিত হয়ে আলাপরত। তাঁরই সমবয়সী একজনের সাথে তিনি এগিয়ে এসে আমাকে তাঁর পুত্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমি সালাম দিলাম। পরে জেনেছি তিনি ছিলেন আমার সতীর্থ মুজিব(২৩০) এর বাবা। আব্বা আমাকে বললেন, কোন অসুবিধা হলে আমি যেন আ্মার শিক্ষকগণকে জানাই। এছাড়া তিনি আমাকে প্রতি সপ্তাহে অন্ততঃ একটা করে চিঠি লেখার পরামর্শ দিলেন। তিনি আমাকে অভয় দিয়ে বললেন, এখানে আমার কোন অসুবিধে হবেনা, কারণ এখানকার সবাই ভদ্র ও মার্জিত। আমি আশ্বস্ত হলাম।

আব্বাকে পায়ে ধরে সালাম করার সময় আব্বা আমার মাথায় তার স্নেহের হাত বুলালেন। আমি বিগলিত হলাম, অনেক কষ্টে অশ্রু সংবরণ করলাম। তারপর আব্বা আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফিরতি পথ ধরলেন। এখানে আসার সময় আমরা দুজনা একসাথে ছিলাম। এখন ফেরার পথে আব্বা একা। একা একা ফিরতে তার মনটা কতটা খারাপ লাগবে সেকথা ভেবে ব্যথিত বোধ করলাম। একটানা তাকিয়ে থাকলাম তাঁর দিকে, যতক্ষণ পর্যন্ত দেখা যায়। একসময় তাঁর অবয়বটা অদৃশ্য হয়ে গেলো। তবে জগতে কোন ব্যথাই স্থায়ী নয়। বিধাতা মানুষের মনে যেমন ব্যথার অনুভূতি দেন, তেমনি ব্যথা ভোলারও যথেষ্ট উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন। আব্বা দৃষ্টির আড়ালে চলে যাবার পর আমি আমার নতুন ঠিকানায় আশ্রয় নেয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম এবং আহ্বানের অপেক্ষায় রইলাম। এদিক সেদিক একটু হাঁটাহাঁটি করে দূর থেকে আমার ‘হাউজ’টাকে দেখে নিলাম। আর বিস্তীর্ণ খেলার মাঠ আর সাদা ডাইনিং হলটাকে দেখে অবাক বিস্ময়ে চেয়ে রইলাম। ভাবতে থাকলাম, এমন গহীন গ্রামে এত সুন্দর দালান কোঠা আর খেলার মাঠ কে তৈরী করে দিলো?

আমার ‘হাউসে’ আসার পর থেকে মনটা ভালো হয়ে গেলো। আমাকে দোতলার মাঝামাঝি একটা ৮ বেডের রুমে রাখা হয়েছিলো। রুমে আমার জিনিসপত্র রেখে একটু বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম, চোখ জুড়িয়ে গেল। সামনে তাকালেই দেখা যায় সাদা ডাইনিং হলটা আর আমাদের মতই আরেকটা হাউস, যার নাম তখন ছিলো লিয়াকত হাউস, বর্তমানে সোহরাওয়ার্দি হাউস। সবচেয়ে ভালো লাগলো ডানদিকে কোণাকুণি তাকাতে। বিস্তীর্ণ ফুটবল মাঠের উপর দিয়ে দেখা যায় দূরে কয়েকটি দালান, যেগুলো পরে জেনেছি শিক্ষক ও স্টাফদের আবাস ছিলো, আর তার ফাঁক দিয়ে আরও দূরে দেখা যায় নদীর মত কিছু একটা। আসলে ওটা ছিলো নীচু জলাভূমি, কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে যা ফুলে ফেঁপে নদীর আকৃ্তি নিয়েছিলো। আমাদের কক্ষের ৮ জনের মধ্যে ৬ জনই আমরা নবাগত ক্যাডেট, আর দরজার কাছের দুই বেডে আমাদের চেয়ে দুই ক্লাস জ্যেষ্ঠ দুই সিনিয়র ক্যাডেট, যথাক্রমে আবেদ আহাদ চৌধুরী ভাই এবং ইফতেখার আহমেদ (অথবা হাসান) চৌধুরী ভাই। প্রথমজন রুম ক্যাপ্টেন আর দ্বিতীয় জন তার সহকারী। তাদের উভয়কে মনে হলো অত্যন্ত মৃদুভাষী এবং অতি সজ্জন ব্যক্তি। কয়েকদিন পরে অবশ্য টের পেয়েছিলাম যে দু’জন অতি সজ্জন ছিলেন ঠিকই, তবে মৃদুভাষী হিসেবে একজন ছিলেন আসলেই স্বভাবগত, আরেকজন আরোপিত। নতুন ক্যাডেটদের সামনে একটু ‘ভাব’ আনার জন্যই দ্বিতীয়জন মৃদুভাষী সেজেছিলেন। শ্রোতা পেলে তার মত আলাপী লোকের জুড়ি মেলা ভার, এটুকু বুঝতে আমাদের জন্য দু’তিন দিনই যথেষ্ট ছিলো।

চলবে…
(ইতোপূর্বে প্রকাশিত)

ঢাকা
১২ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রথম দেখাঃ

//পুরোপুরি গ্রামীণ পরিবেশে রিক্সা এগিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ সামনে দেখা গেল এক চমৎকার স্থাপত্যের সাদা বিল্ডিং।//

এবং প্রথম অনুভূতি, এখনো অমলিনঃ

//সাদা শার্ট, সাদা ট্রাউজার্স আর কালো টাই পরা কিছু জেন্টলম্যানকে দেখা গেলো, সাথে খাকী ইউনিফরম পরা কিছু সেনাসদৃশ ব্যক্তি। সবুজের মাঝে হঠাৎ এই শুভ্রতার আবির্ভাবে সবকিছুই কেমন যেন ঝলমলে হয়ে উঠলো। //


তারপর আগামী কয়েক বছররের জন্য প্রিয় ঠিকানাঃ

//আমার জন্য বরাদ্দ ছিল ‘জিন্নাহ হাউজ, স্বাধীনতার পরে যেটাকে ‘ফজলুল হক হাউজ’ নামে নতুন নামকরণ করা হয়েছিলো। //

কিন্তু প্রিয় মানুষের সাথে বিচ্ছেদের বেদনা হৃদয় ছুঁয়ে গেছেঃ

//আব্বাকে পায়ে ধরে সালাম করার সময় আব্বা আমার মাথায় তার স্নেহের হাত বুলালেন। আমি বিগলিত হলাম, অনেক কষ্টে অশ্রু সংবরণ করলাম। তারপর আব্বা আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফিরতি পথ ধরলেন। এখানে আসার সময় আমরা দুজনা একসাথে ছিলাম। এখন ফেরার পথে আব্বা একা। একা একা ফিরতে তার মনটা কতটা খারাপ লাগবে সেকথা ভেবে ব্যথিত বোধ করলাম। একটানা তাকিয়ে থাকলাম তাঁর দিকে, যতক্ষণ পর্যন্ত দেখা যায়। একসময় তাঁর অবয়বটা অদৃশ্য হয়ে গেলো। তবে জগতে কোন ব্যথাই স্থায়ী নয়। বিধাতা মানুষের মনে যেমন ব্যথার অনুভূতি দেন, তেমনি ব্যথা ভোলারও যথেষ্ট উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন।//

প্রিয় কলেজের প্রিয় ক্যাডেটদের সাথে সাহচার্যের হলে শুরুঃ

//তাদের উভয়কে মনে হলো অত্যন্ত মৃদুভাষী এবং অতি সজ্জন ব্যক্তি। কয়েকদিন পরে অবশ্য টের পেয়েছিলাম যে দু’জন অতি সজ্জন ছিলেন ঠিকই, তবে মৃদুভাষী হিসেবে একজন ছিলেন আসলেই স্বভাবগত, আরেকজন আরোপিত। নতুন ক্যাডেটদের সামনে একটু ‘ভাব’ আনার জন্যই দ্বিতীয়জন মৃদুভাষী সেজেছিলেন। শ্রোতা পেলে তার মত আলাপী লোকের জুড়ি মেলা ভার, এটুকু বুঝতে আমাদের জন্য দু’তিন দিনই যথেষ্ট ছিলো।//

অনন্য একটা দিনের স্মৃতি লেখকের মত পাঠককেও আলোড়িত করেছে।


১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ মনোগ্রাহী এই বিশ্লেষণের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, ভাই শামছুল ইসলাম। এতটা মনযোগের সাথে আপনি প্রতিটা লাইন পড়েছেন, দেখে অভিভূত হ'লাম।
শুভকামনায়...

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার খুব ইচ্ছে ছিল হোস্টেল এ থাকার। কিন্তু পড়াশুনার গতিপথই ছিল সাধারণ গ্রেডে। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের বিল্ডিং এর সাথে আমার ছেলের স্কুলের কিছুটা মিল পেলাম। আমার খুব ইচ্ছে ছিল হোস্টেল এ থাকার। কিন্তু পড়াশুনার গতিপথই ছিল সাধারণ গ্রেডে। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের বিল্ডিং এর সাথে আমার ছেলের স্কুলের কিছুটা মিল পেলাম।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখাটা পড়ে আপনার ছেলের স্কুলের ছবিটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। এই ৫ জনের মধ্যে আপনার ছেলে কোনটা?
আমাদের কলেজটা ছিল একেবারে অজ পাড়াগাঁয়। চারিদিকে ছিল হতদরিদ্র জনগণের বাস। তখনকার এক সরু ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড ছাড়া যোগাযোগের আর কোন ব্যবস্থাই ছিলনা। গ্রাম থেকে গ্রামে আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল পদব্রজে অথবা নৌকায় আর মহিলা, শিশু আর বৃ্দ্ধদের জন্য গরু কিংবা মহিষের গাড়ী। কলেজ প্রতিষ্ঠার কারণে অবশ্য আশেপাশের অনেক লোকজন চাকুরী পেয়েছিলো। আমরা তাদের কথা ভুলিনি। সুযোগ পেলেই আমাদের মধ্যে যারা ডাক্তার আছেন, মাঝে মাঝে তারা ঐসব গ্রামে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণও করেছি।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ডান বা বাম দিকে থেকে তৃতীয় জন হচ্ছে আমার বাবুই পাখি

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: লম্বায় যেমন সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে, দোয়া করি মেধায়ও যেন তেমন হয়।
স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে ওকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে। চিকণ কাঁধের উপর ওর এপোলেটটা খুব উজ্বল দেখাচ্ছে।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

বিষক্ষয় বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, ক্যাডেট কলেজ জিনিসটা আমার কাছে একটা অমানবিক সিস্টেম বলে মনে হয়। একটা শিশুর সঠিক পরিপূর্ন মানবিক বিকাশের জন্য পরিবার ও সমাজের অবদান গুরুত্বপূর্ণ যা ক্যাডেট কলেজে সিস্টেমে অনুপস্তিত

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ বিষক্ষয়, নিজস্ব মতমত ধারণ ও প্রকাশ করার অধিকার আপনার অবশ্যই আছে। তবে সব মুদ্রারই এপিঠ ওপিঠ দুটো পিঠ থাকে। সিস্টেমটা "অমানবিক" অবশ্যই নয়, তবে এ সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা পেতে এবং আমার ধারণা জানতে হলে আপনাকে এ সিরিজটিতে যতক্ষণ ক্যাডেট কলেজের কথা থাকবে, তার পুরোটাই পড়ে যেতে অনুরোধ করবো।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: শুভাশিস রইলো ...

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, কিরমানী লিটন।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: দারুন একটি লেখা খায়রুলভাই। আপনি ক্যাডেট জেনে আরও ভালো লাগলো। সুশৃঙ্খলতার প্রতীক বলতে আমি আগে ক্যাডেটদেরকেই বুঝতাম আমার ছেলেবেলায়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, আমি ময়ূরাক্ষী। সুশৃঙ্খলতা ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠান আমাকে আরও অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমার এই সিরিজটাতে নিয়মিত থাকলে তা জানতে পারবেন। আর সময় করে আমার বাকী কথাগুলোও পড়ে নিলে খুশী হবো।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: পড়বো খায়রুলভাই। হঠাৎ এত ব্যাস্ততা বেড়েছে জীবনে।যদিও এই ব্যাস্ততাটুকু মধুর তবুও মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে উঠি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, ধন্যবাদ।

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আপনার লেখার ভঙ্গিটি এত নিখুঁত মনে হচ্ছে যেন সব দেখতে পাচ্ছি ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখার সময় আমিও সবকিছু নিখুঁতভাবে দেখতে পাই যে, সেজন্যই বোধহয় লেখার ভঙ্গিটা ওরকম হয়।
প্রায় ৪৮ বছরের পুরনো স্মৃতি হাতড়িয়ে লিখে চলেছি, তবুও সবকিছু পরিষ্কার দেখতে পাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা।

৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বরাবরের মতোই ভালো লাগল+

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, রুদ্র জাহেদ, লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল ভাই।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, প্রামানিক।

১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
পিতার সাথে বিদায়ের ঘটনায় নিজেও স্মৃতিতাড়িত হলাম।

আরোপিত মৃদুভাষীর আলোচনায় মজাও পেলাম।

শুভেচ্ছা জানবেন :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি সময় করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখাটি পড়ে আপনার নিজের কিছু ভাবনা শেয়ার করাতে খুশী হলাম।
আপনিও আমার শুভেচ্ছা জানবেন। আপনার এবং ইমোটিকনের, দুটো হাসিই মন ভালো করে দেয়। ধন্যবাদ।

১২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: কয়েকদিন পরে অবশ্য টের পেয়েছিলাম যে দু’জন অতি সজ্জন ছিলেন ঠিকই, তবে মৃদুভাষী হিসেবে একজন ছিলেন আসলেই স্বভাবগত, আরেকজন আরোপিত। নতুন ক্যাডেটদের সামনে একটু ‘ভাব’ আনার জন্যই দ্বিতীয়জন মৃদুভাষী সেজেছিলেন। শ্রোতা পেলে তার মত আলাপী লোকের জুড়ি মেলা ভার, এটুকু বুঝতে আমাদের জন্য দু’তিন দিনই যথেষ্ট ছিলো।

হা হা হা....................

আমরা বড় ভাইদের ভাব দেখেছি, আমরা আবার জুনিয়রদের কাছে ভাবও নিয়েছি।

জুনিয়রদের প্রতিটা কথার উত্তরে "হুমমম" .........উচ্চারিত হত। (মনে মনে বলতাম এই তো দেখি আমার সাথে মিলে যায়।)

অনেক সময় ৩-৪টা প্রশ্ন করলে একটা উত্তর দিতাম।

ভাবই আলাদা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাবই আলাদা -- চমৎকার বলেছেন!
এভাবেই জল উপর থেকে নীচে গড়ায়।
'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১০

আরজু পনি বলেছেন: এখানে আমার কোন অসুবিধে হবেনা, কারণ এখানকার সবাই ভদ্র ও মার্জিত

ভদ্র ও মার্জিত...এই ধরণের মানুষগুলোতেই স্বস্তি । আপনার বাবা খুব দরকারী দু'টো শব্দ ব্যবহার করেছিলেন ।

বিধাতা মানুষের মনে যেমন ব্যথার অনুভূতি দেন, তেমনি ব্যথা ভোলারও যথেষ্ট উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন।...কীযে সুন্দর একটা কথা ।

দ্বিতীয় প্যারাটা মনে হলো আপনার আরেকটু মনোযোগ পেতে পারতো হয়তো...আমার ভুলও হতে পারে ।

দোতলায় দাড়িয়ে আপনার সাথে আমিও প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে নিলাম যেনো !

অনেক ভালো লাগা রইল ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভদ্র ও মার্জিত...এই ধরণের মানুষগুলোতেই স্বস্তি -- চেষ্টা করেছি নিজেকে সবসময় ওভাবেই রাখতে, ছেলেদেরকেও ওভাবেই গড়তে।
দ্বিতীয় প্যারাটার ব্যাপারে ফ্র্যাঙ্ক অপিনিয়ন দেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসলে আমার এই লেখাগুলো সবই একটানে লেখা। অতটা নজর আসলে কোথাও দিতে পারিনি। তবু আরেকটু খুলে বললে সম্পাদনা করে নেব। লেখাগুলো বই আকারে বের হচ্ছে। একটু তাড়াতাড়ি বললে উপকৃত হবো।
দোতলায় দাড়িয়ে আপনার সাথে আমিও প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে নিলাম যেনো -- এমন একজন মনোযোগী পাঠক আমার কোন লেখা পড়ছেন, এ কথা ভাবতেই কি যে ভালো লাগে!
আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, আরজুপনি। কিঞ্চিৎ বিলম্বটুকু ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন আশা করি।
(তবে ধরিয়ে না দিলে হয়তো আরো বিলম্ব হয়ে যেতো)।

১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

কালীদাস বলেছেন: আপনি মাশাল্লাহ অনেক লেখেছেন ব্লগে, সিরিজের নবম লেখা বের করতে খবর হয়ে গেছে ব্লগের সার্ভারের সমস্যার কারণে। ২৫০ পোস্ট!!!!
কাকতালীয় বলা যায় বটে। আমি ঢাকা ইউনিতে ফজলুল হক হলে এটাচড ছিলাম স্টুডেন্ট থাকা অবস্হায়। নিজের হলে কখনও রাতে থাকিনি, শহীদুল্লাহ হলে মাঝে মাঝে রাত কাটিয়েছি।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কথা ১-১৫ নভেম্বর ২০১৫ মাসে লিখেছিলাম, পরেরগুলো ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাসে। আমার আর্কাইভে গিয়ে এ দুটো মাসে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় সিরিজটা পেতে পারেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার কথা জেনেও ভাল লাগলো। সম্ভব হলে আপনিও সিরিজ লিখুন।

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৩৬

সোহানী বলেছেন: এতো ছোট লিখা যে পড়তে পড়তেই শেষ........।

তবে আমার কোন হোস্টেল জীবন ছিল না, হলের জীবনই প্রথম বাইরের জীবন।....... অনেক ভালো লাগলো প্রিয় লেখক।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এতো ছোট লিখা যে পড়তে পড়তেই শেষ - বোধহয় একটু বেশীই ছোট হয়ে গেছে। :)
তবে ব্লগে তো সবাই ছোট লেখাই পড়তে পছন্দ করে!
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.