নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
"আমার কথা - ৯" এখানে পড়ুনঃ আমার কথা - ৯
আমাদের ভাইভা আর মেডিকেল টেস্ট শেষ হবার পর পরই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের পোষাক আশাকের মাপযোখ নেবার জন্য কলেজ থেকেই এক টেইলর মাস্টারকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। তিনি বেশ মনযোগ দিয়ে আমাদের শরীরের মাপযোখ নিচ্ছিলেন আর তা রেজিস্টারে লিখে রাখছিলেন আমাদের পোষাক তৈ্রীর জন্য। তখন আমাদেরই মধ্যকার একজন, হ্যাংলা পাতলা, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমাধারী ছোটখাট ধরণের কাজী ইকবাল হোসেন (১৮৮), খুব ফুরফুরে মেজাজে ফড়িং এর মত এদিক সেদিক ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো আর অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলো। ভাইভার প্রথম দিনেও সে এতটাই কথা বলছিলো যে তত্তাবধানকারী শিক্ষক তাকে ‘টকেটিভ’ বলে মৃদু ভর্ৎসনাও করেছিলেন। তাকে খুব স্মার্ট আর সবজান্তা বলে মনে হচ্ছিলো। কলেজে যোগদানের পর আমাদের একথা জানতে খুব বেশিদিন লাগেনি যে কাজী ইকবাল হোসেন স্বপন আসলেও ছিল একজন 'সকল কাজের কাজী'। সেই ইউওটিসি গ্রাউন্ডেই (এখন বোধহয় ওটাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম বলে) সে অন্যান্য সতীর্থদের কাছ থেকে অনতিবিলম্বে ‘চাল্লি’ উপাধি অর্জন করেছিলো, যা আজীবন তার মাথায় শিরোপা হিসেবে রয়ে যায় এবং আজও আছে। আমি নিশ্চিত যে আজ এই ৪৮ বছর পর আমাদের অনেকেই তার আসল নামটা স্মরণ করতে না পারলেও, চাল্লি বললেই সহজে তাকে চিনে যাবে এবং তাকে নিয়ে অফুরন্ত গল্পের বাক্স খুলে বসবে। সেই ইউওটিসি গ্রাউন্ডেই সে কলেজ থেকে পাঠানো কল আপ লেটারের লেফাফাটি হাতে নিয়ে সবাইকে দেখিয়ে বেড়াচ্ছিলো। তার বাবা তখন কোন একটা সেন্ট্রাল জেলের ‘জেলার’ (Jailor) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখন তো আর কম্পিউটার ছিলোনা, ঠিকানাগুলো লেখা হতো হস্তলিপিতে। কোন এক করণিক হয়তো ভুলে তার বাবার ঠিকানায় Jailor শব্দটির স্থলে Tailor লিখেছিলো। অথবা হাতের লেখার কারণে J টাকে T এর মত দেখাচ্ছিলো। আর এটা নিয়েই সে আসর গরম করে তুলেছিলো। মাপ নেয়া সেই টেইলর মাস্টারকে দেখিয়ে সে বলে বেড়াচ্ছিলো, “My father is not a tailor like him, he is a Jailor”! আমরা বেশ মজা পাচ্ছিলাম, বোধকরি সেও পাচ্ছিলো। ওর কাহিনী সবিস্তারে বলার জন্য আলাদা একটা চ্যাপ্টার এর প্রয়োজন পড়বে। তাই আপাততঃ ওর প্রসঙ্গটা এখন তোলা রইলো।
সেই টেইলরের প্রসঙ্গটা টানলাম এই জন্য যে হাউসে এসে আমি অবাক বিস্ময়ে দেখলাম আমাদের সবার বেডের উপরে (বেড বলতে ছিলো জুট টেপ লাগানো এক চারপয়) সদ্য বানানো আমাদের ইউনিফর্ম ও অন্যান্য পোশাকাদি সুন্দর করে লে-আউট করে রাখা হয়েছে। আমরা কয়েকটা পোষাক, ক্যাপ, বুট ইত্যাদি পরিধান করে দেখে নিলাম, কেমন লাগে। যে টেইলরের কথা এতদিনে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম, তার নিখুঁত হাতের বানানো পোষাক আমাদের চেহারাই পাল্টে দিয়েছিলো। পাশেই ছিলো একটা কাবার্ড, যার উচ্চতা আমার চেয়ে সামান্য বেশী ছিলো। বড়ভাই দু’জন আমাদেরকে বেশ নিষ্ঠার সাথে শিখিয়ে দিচ্ছিলেন, কি করে কাবার্ডে কাপড় চোপড়, বইপত্র ইত্যাদি সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে হবে। তখন সাপ্তাহিক ছুটি ছিলো প্রতি রবিবারে। ঐদিন “প্রিন্সিপালস ইন্সপেকশন”, আর প্রতি সোমবারে “প্রিন্সিপালস প্যারেড” অনুষ্ঠিত হতো। সেখানে কারো কোন দোষত্রুটি বা খুঁত ধরা পড়লে হাউসের নম্বর কাটা যাবে আর এজন্য অপরাধীকে হাউসের আর বাদবাকী সবার রোষানলে পড়তে হবে, একথা ভাইয়েরা জানিয়ে দিলেন দ্ব্যর্থহীনভাবে। আর আবেদ ভাই অতি মৃদুস্বরে জানিয়ে দিলেন, রুম ক্যাপ্টেন হিসেবে এজন্য তাকেও লজ্জিত ও অপদস্থ হতে হবে।
দেখতে দেখতে রাত প্রায় সাড়ে আটটা বাজতে চললো। রুম ক্যাপ্টেন জানালেন, হুইসেল বাজলেই আমাদেরকে ডিনারের জন্য ‘ফল-ইন’ হতে হবে। আমরা তাড়াতাড়ি ডিনার ড্রেসটা পড়ে নিলাম, অর্থাৎ সাদা শার্ট, সাদা ট্রাউজার্স, নেভী ব্লু রঙের একটা সুন্দর ডিনার বেল্ট আর টাই। মুশকিল হলো নবাগত ৬ জনের মধ্যে ৪ জনই আমরা টাই এর নট বাঁধতে শিখি নাই। বাকী ২ জন বাসায় রিহার্সেল দিয়ে এসেছিলো, তা সত্ত্বেও একজন কোন রকমে নট জাতীয় কিছু একটা বানালো যা একটুতেই খুলে গেলো, তবে অপরজন, অর্থাৎ আবদুল্লাহ (১৯৩) একাই খুব সুন্দর একটা নট বাঁধতে পেরেছিলো। বড়ভাইয়েরা প্রথমদিন আমাদের নট বেঁধে দিয়ে জানালেন যে এর পর থেকে শেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী আমাদের নট আমাদের নিজেদেরই বেঁধে নিতে হবে। আর শেখানো হবেনা। আমি ভয়ে প্রথম দিনের সেই বাঁধা নটটা প্রায় একমাস ধরে কোনদিন খুলিনি। পরে বন্ধু আবদুল্লাহ সুন্দর করে আমাকে এবং আরো কয়েকজনকে টাই এর নট বাঁধা শিখিয়ে দিয়েছিলো, যে শিক্ষা আজীবন আমার ঝুলিতে রয়ে গেছে। এজন্য আবদুল্লাহকে ঘটা করে কোনদিন ধন্যবাদ জানাইনি, তবে এই ছোট্ট ইহসানটুকুর জন্য নিশ্চয়ই প্রকৃ্ত বিনিময়দাতা তাকে পুরস্কৃত করবেন। আর আমার এ লেখাটা যদি কোনদিন আবদুল্লাহ’র নজরে আসে, তবে সে সহজেই আমার অন্তরের উষ্ণ কৃ্তজ্ঞতাটুকু অনুভব করে নিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
হঠাৎ কান ফাটানো এক হুইসেল এর শব্দে চমকে উঠলাম। পরে জেনেছিলাম, এমন কর্ণ বিদীর্ণকারী হুইসেল গোটা দশেক স্টাফদের মধ্যে কেবল একজনই বাজাতে পারতেন, তার নাম হাবিলদার মেজর আব্দুল আজিজ, ওরফে নিক্কু। বলা বাহুল্য নিক্কু উপাধিটা ক্যাডেটদের তরফ থেকে দেয়া ছিলো। কেন, সেকথায় আসবো পরে। হুইসেল শোনার সাথে সাথে আমরা সবাই তড়িঘড়ি করে হাউস এর সামনের রাস্তায় ‘ফল-ইন হ’লাম। ছোটবেলায় ‘মুকুল ফৌজ’ এর প্যারেড করায় ‘ফল-ইন’ কথাটার সাথে আগেই পরিচিত হয়েছিলাম, কিছুটা ‘লেফট-রাইট, এবাউট টার্ণ, রাইট টার্ণ, লেফট টার্ণ’ ইত্যাকার ওয়ার্ডস অব কমান্ডের সাথেও পরিচিত ছিলাম। ডাইনিং হলে যাবার জন্য তখন দুই হাউসের মাঝখানে এখনকার মত কাভার্ড ওয়াক ওয়ে ছিলোনা। হাল্কা ঝিরঝিরে বৃষ্টির মাঝে অনভ্যস্ত পায়ে সবার সাথে মার্চ করতে করতেই ডাইনিং হলে প্রবেশ করলাম। আমাদের কলেজে সপ্তাহে সপ্তাহান্তে (উইক এন্ড নাইট) অর্থাৎ শনিবার রাত্রে পোলাও দেয়া হতো। যতদূর মনে পড়ে, বোধকরি নবাগত সম্বর্ধনা উপলক্ষে সেদিনটা শুক্রবার হওয়াতে শনিবারের পরিবর্তে ঐ সপ্তাহের পোলাওটা শুক্রবার রাতেই দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। আগেই বলেছি, সেদিন দুপুরে বাসা থেকেও পোলাও খেয়ে এসেছিলাম, কিন্তু মন খারাপ করা আবেগের কারণে খুব সামান্যই খেতে পেরেছিলাম। মাঝে অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়াতে বেশ ক্ষুধা পেয়েছিলো। মনে আছে, কলেজের প্রথম ডিনারটা বেশ তৃপ্তির সাথেই খেয়েছিলাম।
খাওয়া শেষ করার পর আমরা এক এক করে পিঁপড়ার মত সারি বেঁধে ডাইনিং হল ত্যাগ করলাম। খাওয়ার শুরুতে আর শেষে কলেজ ক্যাপ্টেন কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে দোয়া পাঠ আমাকে চমৎকৃত করেছিলো। উল্লেখ্য যে তখনো কলেজে আলাদাভাবে ডাইনিং হল ক্যাপ্টেন এর পদ সৃষ্টি করা হয় নাই। আর কলেজ ক্যাপ্টেনকে তখন কলেজ ক্যাপ্টেন নয়, ‘সিনিয়র ক্যাডেট’ হিসেবে সম্বোধন করা হতো। হাউসে ফিরে আসার পর রুম ক্যাপ্টেন আমাদেরকে হাউস কমন রুমে নিয়ে গেলেন। সেখানে দেখলাম, বেশ কিছু ইংরেজী আর বাংলা সংবাদপত্র স্ট্যান্ডের উপর কাঠের মার্জিন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। দুটো দাবার বোর্ড, দুটো ক্যারম বোর্ড আর একটা টেবিল টেনিস এর সরঞ্জাম দেখতে পেলাম। দূরে কোণায় বোধকরি একটা থ্রী ব্যান্ড রেডিওও ছিলো। এসব দেখে খুব খুশী হলাম। একপাশে একটা জায়গায় নামাযের ব্যবস্থাও দেখতে পেলাম। উল্লেখ্য যে তখনো কলেজে কোন মাসজিদ নির্মিত হয়নি। আর এখনকার মত তখন মাগরিব এর নামায পুরো কলেজ এক জামাতে পড়ার কোন ব্যবস্থা ছিলনা। নামায পড়া উৎসাহিত করা হতো বটে, তবে কলেজের দৈনন্দিন অবশ্য করণীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিলোনা। আমরা জুম্মার নামাজ পড়তাম স্টাফ রুমে আর তার সামনের বারান্দাটাতে। মেহেন্দীর লাল রঙে রঞ্জিত শ্মশ্রুমন্ডিত একজন হুজুর আমাদের নামাযে ইমামতি করতেন। নবাগত সপ্তম শ্রেণীর যারা পবিত্র ক্বোরান পাঠ জানতোনা, হুজুর তাদেরকে শুক্রবার বিকেলে ক্বোরান পাঠ শিক্ষা দিতেন। যারা জানতো, তাদেরকেও আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকতে হতো। তাদের কোন কাজ থাকতোনা বলে তারা একটু আধটু দুষ্টুমি করতো। হুজুর রেগে গেলে আমাদেরকে “হায়েনার দল” বলে সম্বোধন করতেন, একথা বেশ মনে আছে।
কমন রুম দেখার পর যার যার বেডে ফিরে এসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলাম। বাসা থেকে আনা স্লীপিং ড্রেসটা পড়ে নিলাম। লাইন ধরে দাঁত ব্রাশ করে এলাম। আমাদেরকে জানানো হলো, রাত ঠিক দশটায় বিউগল বাজানো হলে সাথে সাথে রুমের সমস্ত আলো নিভিয়ে দিতে হবে। বিউগল যথাসময়ে বাজলে আমরা লাইট অফ করে দিয়ে যার যার বেডে শুয়ে পড়লাম। শুরু হলো এক নতুন অধ্যায়। আব্বা ফিরে যাবার পর থেকে সতীর্থ সবার সাথে মিলে মিশে যাওয়ায় একবারের জন্যও তাঁর কথা মনে হয়নি। শোয়ার পর যেন এক সিনেমা দেখতে শুরু করলাম। সারাদিনের কর্মযজ্ঞের ছবি সেলুলয়েডের ফিতের মত চোখের সামনে দিয়ে ভেসে যেতে শুরু করলো। আম্মা ও ভাইবোনদের কথাও খুব করে মনে পড়তে লাগলো। ভাবতে থাকলাম, ওরাও নিশ্চয়ই তখন আমার কথা ভেবে মন খারাপ করছে। আকাশ ভেঙ্গে মুষলধারে আষাঢ়ের বৃষ্টি ঝরা শুরু হলো। সাথে আকাশ চেরা বিজলীর চমকানি আর তার পরপরেই বজ্রের হুঙ্কার। আমাদের হাউসটার আশে পাশে অনেকগুলো শেয়ালের বাসা ছিলো। তারা তারস্বরে চীৎকার শুরু করে দিলো। আমার বিছানাটা ছিলো জানালার ঠিক পাশেই। খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো একটুখানি জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়াই, কিন্তু সিনিয়রের ভয়ে সাহস হচ্ছিল না। এক সময় মনে হলো সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। একজনের ফিসফিসানিতে মনে হলো সে জেগে আছে, কিন্তু কথা বলার কোন উপায় নেই। সিমপ্যাথেটিক ডেটোনেশন হলো। আমার দুটো চোখ দিয়েও নীরবে অশ্রু ঝরে পড়তে লাগলো। মোচড়ানো ভেজা বালিশটাকে এপাশ ওপাশ করেও আর অনেক দোয়া দরুদ পড়েও সারারাত চোখে ঘুম আনতে পারলাম না। প্রথম রাতটা বলতে গেলে নির্ঘুম কাটালাম। ভোরের দিকে বৃষ্টি থেমে গেলে আমি চুপি চুপি পায়ে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।
চলবে…
ঢাকা
১৪ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সেদিনের স্মৃতিচারণ করে একটা ইংরেজী কবিতা লিখেছিলাম গতবছরে, যা একটি ইংরেজী কবিতার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছেঃview this link
এই ছবিটা বোধহয় ঠিক ৭ম শ্রেণীতে থাকাকালীন তোলা নয়। যতদূর মনে পড়ে, এটা ৮ম কি ৯ম শ্রেণীতে থাকাকালীন তোলা হয়েছিলো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: এতটা আগ্রহ নিয়ে আমার লেখাগুলো পড়ছেন, সত্যিই খুব কৃতজ্ঞ বোধ করছি।
উদ্ধৃতিটুকুর জন্য অনেক ধন্যবাদ। এতদিন পরেও যখন আমরা আবার একসাথে হই, তখনো আমাদের আলাপে উঠে আসে প্রথম রাতের স্মৃতি।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০১
শামছুল ইসলাম বলেছেন: কবিতাটাও পড়লাম।
খুব সুন্দর হয়েছে।
//And that's when came the discomforting moments,
As memories of home began unfolding in segments
Like a celluloid tale in our tender minds' canvases.
With subdued weeping, some counted life's curses.
Some eyes turned red and some pillows got wet,
The jackals crying outside made some more upset.
Some wise souls wondered: Is this the life of a cadet? //
ভাল থাকুন। সবসময়।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। কবিতার প্রশংসায় প্রীত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
নিয়মের নিগূঢ় শৃঙ্খলে বাঁধা পড়তে যাওয়া একটি জীবনের কথা শুনছি ..................
চলুক ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার আগ্রহে বেশ উৎসাহিত বোধ করছি। ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস।
চলবে...
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯
বৃতি বলেছেন: পড়তে বেশ ভালো লাগছিলো আমার বোন ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেটে পড়েছে, তাই মোটামুটি একটা ধারণা আছে ক্যাডেট লাইফ সম্পর্কে। আমারও পড়ার ইচ্ছে ছিল- সব ধরণের পরীক্ষা শেষে সেখানে আমার অ্যাডমিশন হল, নিজের স্কুল থেকে বন্ধুরা কেঁদেকেটে আমাকে বিদায় জানালো অনুষ্ঠান করে-- অনেক গিফটও পেয়েছিলাম ওদের থেকে। সব কিছু গোছানো, প্যাক করা-- কিন্তু শেষ মুহুর্তে আমার আব্বু নিমরাজি থাকার কারণে আম্মু আর যেতে দিলেন না। আমার পরবর্তী কান্না ছিল বহুমাত্রিক- এক) কলেজে না যেতে পারার দুঃখে, দুই) এইরকম নাটকীয় বিদায়ের পর সেই বন্ধুদের কাছে এই মুখ প্রতিদিন কিভাবে দেখাবো সেই লজ্জায়। সে এক বিরাট ইতিহাস!
ভালো থাকুন
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক সময় পিতামাতার স্নেহের আতিশয্য সন্তানের মনোবেদনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিরাট ইতিহাসের আরো কিছু অংশ শুনতে চাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
আরজু পনি বলেছেন:
আপনার প্রোফাইলে লেখা কথাগুলো আমার কিছু প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিয়েছে ।
আপনার প্রোফাইল পিকচার দেখে ভাবছিলাম এই নিকের মালিকের কি এটা ছবি না কি তার পছন্দের কারো ছবি...
আপনার কথা গুলো আশা করি প্রথম পর্ব থেকেই পড়বো... হয়তো অফলাইনে ।
আমি অনলাইনে বেশি সময় ব্লগিং করার সময় পাই না ।
তবে রাস্তায় থাকা অবস্থায় কোন স্থানে অপেক্ষারত অবস্থায় (নিয়মিতই অপেক্ষারত থাকতে হয়) অফলাইনে বেশি ব্লগ পড়ি...যদিও অফলাইনে পড়া সব পোস্টে মন্তব্য করা হয়ে উঠে না ব্যস্ততায় বা মনে না থাকার কারণে ।
অনেক ভালো থাকুন আর শেয়ার করতে থাকুন আপনার মতো করে ।
-----------
আমি ব্লগে কাউকে ভাই/বোন/মামা/চাচা/খালা/ফুফু জাতীয় কোন রকম সম্বোধনে জড়িয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না । সেক্ষেত্রে আপনাকেও হয়তো আপনার ব্লগ নিকেই ডাকবো...কিন্তু তাতে আশা করি আপনার প্রতি আমার সম্মানের কোন ঘাটতি হবে না ।
আমার এই সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কথা গুলো আশা করি প্রথম পর্ব থেকেই পড়বো... -- এ কথাগুলোতে বেশ উৎসাহিত বোধ করছি।
সেক্ষেত্রে আপনাকেও হয়তো আপনার ব্লগ নিকেই ডাকবো... -- সেটাই সমীচীন। এখানে আমরা সবাই ব্লগার। আর সম্মান তো প্রকাশ পায় লেখার ভাষায়, নিছক সম্বোধনে যতটা নয়।
প্রোফাইলের ছবিটা আমারই। দেড় বছর আগে তোলা।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। খুশী হয়েছি। তবে লেখাটা সম্বন্ধেও একটু কিছু বললে আরেকটু খুশী হতাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমার কথা - ১" এ রাখা আপনার মন্তব্য পড়ে এখন পরিষ্কার বুঝতে পারছি, কেন এখানে আমার লেখার মূল বিষয়টির উপর আপনার কোন মন্তব্য নেই। ব্যাখ্যাটুকুর জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল লাগা রইল ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা।
৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫
কাবিল বলেছেন: এই পর্বে কিছু মজার স্মৃতি উপভোগ করলাম, Tailor & Jailor হা হা হা
বড়ভাইয়েরা প্রথমদিন আমাদের নট বেঁধে দিয়ে জানালেন যে এর পর থেকে শেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী আমাদের নট আমাদের নিজেদেরই বেঁধে নিতে হবে। আর শেখানো হবেনা। আমি ভয়ে প্রথম দিনের সেই বাঁধা নটটা প্রায় একমাস ধরে কোনদিন খুলিনি।
মধুর স্মৃতিগুলো ভাল লাগলো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, কাবিল আপনাকে, লেখাটি এত মনযোগের সাথে পড়ার জন্য এবং অংশ বিশেষ এখানে উদ্ধৃত করার জন্য। লেখায় বর্ণিত আমার স্মৃতিগুলো আপনি উপভোগ করেছেন জেনে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭
কাবিল বলেছেন: বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম
আপনার এম সি সি স্মৃতিচারন কবিতা দারুন হয়েছিল।
And that's when came the discomforting moments,
As memories of home began unfolding in segments
Like a celluloid tale in our tender minds' canvases.
With subdued weeping, some counted life's curses.
Some eyes turned red and some pillows got wet,
The jackals crying outside made some more upset.
Some wise souls wondered: Is this the life of a cadet?
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটি পড়েছেন, এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো লাগার অংশটুকু এখানে উদ্ধৃত করেছেন, এতে বিশেষ প্রণোদনা পেলাম।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পড়লাম এই পর্বটা।
১ম দিন থেকেই নিয়মের ভেতর বাধা পড়ে বলেই হয়ত ক্যাডেট এ যারা পড়ে তাদের সারাজীবন নিয়মের ভেতর দিয়েই যেতে হয়।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমার কথা"র এ পর্বটা পড়েছেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, ফেরদৌসা রুহী। আশাকরি, সময় করে আরও দুই একটা পর্ব পড়ে নেবেন।
নিয়মের ভেতরে থাকাটাই তো ভালো, তাই না? স্রষ্টার সব কিছুই তো একটা নিয়মের ভেতর দিয়েই চলে। তবে ক্যাডেটরা সারাজীবন নিয়ম মেনেই চলে, এ ধারণাটাও পুরোপুরি ঠিক নয়।
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি। শুভেচ্ছা জানবেন।
১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনি অনেক সুদর্শন ছিলেন !
সিনেমার নায়কের চেয়ে আপনি ও কম নন !!
আরো ছবি চাই ।
ক্যাডেট লাইফের এই সুশৃঙ্খল জীবনধারা আমার পছন্দের। সুশৃঙ্খলতা জীবনের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় ।
এলোমেলোকে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই ।টাই এর ব্যাপারটায় মজা পেয়েছি।
//শোয়ার পর যেন এক সিনেমা দেখতে শুরু করলাম। সারাদিনের কর্মযজ্ঞের ছবি সেলুলয়েডের ফিতের মত চোখের সামনে দিয়ে ভেসে যেতে শুরু করলো। আম্মা ও ভাইবোনদের কথাও খুব করে মনে পড়তে লাগলো। ভাবতে থাকলাম, ওরাও নিশ্চয়ই তখন আমার কথা ভেবে মন খারাপ করছে। আকাশ ভেঙ্গে মুষলধারে আষাঢ়ের বৃষ্টি ঝরা শুরু হলো। সাথে আকাশ চেরা বিজলীর চমকানি আর তার পরপরেই বজ্রের হুঙ্কার। আমাদের হাউসটার আশে পাশে অনেকগুলো শেয়ালের বাসা ছিলো। তারা তারস্বরে চীৎকার শুরু করে দিলো। আমার বিছানাটা ছিলো জানালার ঠিক পাশেই। খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো একটুখানি জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়াই, কিন্তু সিনিয়রের ভয়ে সাহস হচ্ছিল না। এক সময় মনে হলো সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। একজনের ফিসফিসানিতে মনে হলো সে জেগে আছে, কিন্তু কথা বলার কোন উপায় নেই। সিমপ্যাথেটিক ডেটোনেশন হলো। আমার দুটো চোখ দিয়েও নীরবে অশ্রু ঝরে পড়তে লাগলো। মোচড়ানো ভেজা বালিশটাকে এপাশ ওপাশ করেও আর অনেক দোয়া দরুদ পড়েও সারারাত চোখে ঘুম আনতে পারলাম না। প্রথম রাতটা বলতে গেলে নির্ঘুম কাটালাম। ভোরের দিকে বৃষ্টি থেমে গেলে আমি চুপি চুপি পায়ে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।//
এ স্মৃতি একান্তই আপনার ।
ভাল থাকবেন ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিটা মলিন। তারপরেও এত প্রশংসা, বিশেষ করে সিনেমার নায়ক কথাটার উল্লেখ কিছুটা লজ্জাই দিয়ে গেলো, তবে আপনার এ উদারতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। লেখাটায় টাই পড়ার প্রসঙ্গ এসেছিলো যেটা পড়ে আপনি মজা পেয়েছেন। প্রাসঙ্গিকতার কারণেই একটা টাই পড়া ছবি খুঁজছিলাম। পুরনো এলবাম ঘেটে ক্যাডেট কলেজের টাই পড়া এই একটাই ছবি পেলাম, তাই এখানে দিয়ে দিলাম।
সুশৃঙ্খলতা জীবনের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় -- অবশ্যই তাই। ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে জাতীয় জীবন পর্যন্ত।
আমার লেখা থেকে উদ্ধৃতিটুকুর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৪
কিরমানী লিটন বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
নিয়মের নিগূঢ় শৃঙ্খলে বাঁধা পড়তে যাওয়া একটি জীবনের কথা শুনছি ..................
চলুক । পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা আর শুভকামনা ...
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কিরমানী লিটন।
শুভেচ্ছা রইলো।
১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১০
মানবী বলেছেন: নতুন পরিবেশে প্রথম ভোজটা তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো :-)
সাধারণত এমন অবস্থায় হোমসিক থাকার কারনে অধিকাংশের খাবারের রুচি চলে যায়!
অনেক ধন্যবাদ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: তখন খুব ক্ষুুধার্ত ছিলাম, কারণ বাসা থেকে আসার সময় বিষাদের কারণে খেতে পারিনি, শুধু গলধঃকরণ করেছিলাম। আর তা ছাড়াা রুচি তো চলে গিয়েছিলো হোমে থাকতেই। নতুন পরিবেশে নতুন বন্ধুদের পেয়ে তা আবার ফিরে এসেছিলো।
বেশ কিছুদিন গ্যাপ দিয়ে এলেন। খুশী হলাম।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ১।আপনার নিকনেমটা খুবই সার্থক একটা নিক, মানবী।
২।আমার দুই একটা কবিতায়ও আপনার মন্তব্য পেলে খুব খুশী হতাম। অবশ্য কবিতার প্রতি অনেকেরই এক ধরণের বিমুখতা থাকে, তা জানি। তবুও...
১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আহা পোলাও আমার খুব পছন্দের খাবার। পোলাও একটানা আমাকে ৭ দিন খেতে দিলে ভাত রেখে আমি পোলাও আর চিকেনই খাবো। আমার ছেলেও তাও।
ক্যাডেট লাইফ দেখিনি বা পাওয়া হয়নি বলেই ঐ জীবনের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা। নিজেরে ছেলেকে পারতাম দিতে কিন্তু ঘরে একজন মাত্র বাচ্চা তারে দূরে রাখাতে মন সায় দেয় না। সে নিজেও অবশ্য আগ্রহী নয়।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, অপর্ণা মম্ময়। একমাত্র ছেলেকে ক্যাডেট কলেজে না দিয়ে ভালোই করেছেন। "ওনলী চাইল্ড" রা ক্যাডেট কলেজে গেলে তারা এবং তাদের মাতাপিতারা অন্যান্যদের চেয়ে অনেক বেশী নিঃসঙ্গতায় ভোগে। অনেক সময় এটা কুফল ডেকে আনে।
আশাকরি বাকী পর্বগুলোও পড়ে দেখবেন। তাহলে ঐ জীবনের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা কিছুটা হলেও হয়তো মিটবে।
১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
জুন বলেছেন: আপনার সিরিজটা পড়ছি খায়রুল আহসান নিয়মিত ভাবেই। এমন ধারা শৃংখলিত জীবনের কথা মনে করে আমার দম আটকে আসছে।
ভালোলাগছে আর সাথে আছি। চলুক
+
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ কয়েকদিন পরে এলেন, জুন। ভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন বুঝি?
সিরিজটা নিয়মিত ভাবেই পড়ছেন জেনে খুব খুশী হ'লাম। আমার পাতায় আপনার মত একজন পুরনো ও ব্যস্ত ব্লগারের পদচারণা অনেক প্রেরণা দেয়। তাছাড়া, আপনি একজন সুলেখক ও বোদ্ধা পাঠকও বটেন।
এমন ধারা শৃংখলিত জীবনের কথা মনে করে আমার দম আটকে আসছে। -- আমার দম আটকাতো না। আর আটকাতে চাইলেও দম নেবার মত অনেক ফাঁক ফোকর খুঁঁজে রেখেছিলাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নেবেন।
১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: পোষ্টের সাথে চলছি...........
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, রাতুল_শাহ। প্রীত বোধ করছি।
১৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ডাঃ মারজান বলেছেন: আমিতো পিছিয়ে পড়েছি। অনেক দিন পর এসে আপনার পোস্টটি প্রথম পড়লাম। অনেক অনেক ভালো লাগা রইল। ধন্যবাদ
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক দিন পর এসে আপনার পোস্টটি প্রথম পড়লাম -- এজন্য জানাচ্ছি অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে, ডাঃ মারজান।
আপনি সাময়িক বিদায় নেয়ার আগে বলে গিয়েছিলেন আবার ফিরে আসবেন, আমি অপেক্ষায় ছিলাম। আজ এসেই আমার লেখাটায় মন্তব্য করলেন, আর আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করলেন।
আশাকরি ভালোই ছিলেন এতদিন। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪
ডাঃ মারজান বলেছেন: ভাই ব্লগ ছেড়ে কোথায় যাবো! আপনাদের ভালোবাসা নিয়েই তো আছি। অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই চমৎকার কথা, আপ্লুত হ'লাম, ডাঃ মারজান।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন ধরে আপনাকে ব্লগে দেখছিনা। আশাকরি, ভাল আছেন।
আজ আপনার লেখা "পর্ব৩ এভারেস্টঃ হারিয়ে যাওয়া যোদ্ধাঃ ফ্রান্সিস ও সেরগেই আরসেন্তিভ" পোস্ট পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম।
১৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ক্যাডেট জীবনের প্রথম দিনটির বর্ণনা পড়লাম।
টাই নটের বিষয়ে নন-ক্যাডেটরা দুর্ভাগা, কারণ তাদেরকে আরও পরে এবং কিছুটা লজ্জা পেয়েও শিখতে হয়।
আপনার নিখুঁত বর্ণনা পড়ে মনে হয়, শুধু ডায়েরি নয়, আমার স্মৃতিশক্তিও অনেক প্রখর।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, মাঈনউদ্দিন মইনুল, আমার লেখায় আবার ফিরে আসার জন্য।
আমার ছোটবেলার স্মৃতিগুলো বেশ ভালোই মনে আছে। যদিও বড়বেলার ততটা নয়।
যখন আর্মিতে গেলাম, তখন আমার অনেক বন্ধুকে টাই এর নট বাঁধা শিখিয়ে বেশ কৃতিত্ব নিয়েছিলাম।
১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১১
আরজু পনি বলেছেন:
পোস্টে যেটা প্রথমেই চোখ পড়ে তা হলো আপনার ছবি...বেশ আকর্ষনীয় ছিলেন বোঝাই যায় ।
একজন দক্ষ টেইলর সত্যিই একজন মানুষকে দারুণ ভাবে উপস্থাপন করতে সহায়তা করে। যেমন একজন দক্ষ বিউটিশিয়ান পারে...সাজাতে সবাই পারে...কিন্তু সঠিকভাবে সবাই পারে না ।
রাত দশটায় লাইট অফ...ভোর ঘুম থেকে উঠার জন্যে এর বিকল্প নেই ।
হাহা জেলর আর টেইলরের ব্যাপারটাতে মজা পেলাম । একটা বর্ণ কীভাবে অনেক কিছুর মানে বদলে দিতে পারে ।
রাত বোধ'য় আবেগ প্রকাশিত হওয়ার বিশেষ সময়...
লেখায় ভালো লাগা রইল ।
লাইকটা সেদিনই দিয়েছিলাম ।
...........
বাহ দুইমাসের বেশি হয়ে গেল আপনার ব্লগ পড়ি...আর এটাই আমার প্রথম ছিল...
আমি সাধারণ বর্তমান পোস্টটাতে মন্তব্য করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করি, কারণ তাতে পোস্টদাতাকে বেশি মূল্যায়িত করা হয় বলেই আমার ধারণা । এটা সম্পূর্ণই আমার মত, কেননা বর্তমান পোস্ট রেখে পেছনের পোস্টে মন্তব্য করাটা একটু বেমানান লাগে আমার কাছে । কিন্তু আপনার এটা সিরিজ হওয়াতে সিরিয়ালি না পড়ে কোন উপায় নেই...কিন্তু আমার মন পড়ে থাকে আপনার বর্তমান পোস্টগুলোতে ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো, আপনি আমার এ পোস্টটাতে দ্বিতীয় বার এলেন বলে।
ধূলিমলিন আমার এ ছবিটাকে আপনার কাছে আকর্ষণীয় মনে হয়েছে জেনেও বেশ ভালো লাগলো।
যেমন একজন দক্ষ বিউটিশিয়ান পারে... -- বিউটিশিয়ানদের এ দক্ষতায় আমি মোটেই ইমপ্রেসড নই। বিয়ে বাড়ীতে গেলে অনেক চেনামুখকে অচেনা মনে করে কথা বলতেই দ্বিধায় পড়ে যাই। কোথাও বের হবার আগে নারীরা ঘরে বসেই মন দিয়ে সাজগোজ করছে, আর কিছুক্ষণ পর পর তার প্রিয় মানুষকে জিজ্ঞেস করছে তার সাজগোজটা কেমন হলো, এই দৃশ্যই তো অনেক মনোমুগ্ধকর। আমি নারীদের নিজ হাতে নিজেকে সাজানো এপ্রিশিয়েট করি। সাথে তাদের প্রিয় মানুষের কিছু টিপস থাকলে আরো ভালো হয়।
রাত দশটায় লাইট অফ...ভোর ঘুম থেকে উঠার জন্যে এর বিকল্প নেই । -- সেই দশটা এখন বারটা হয়ে গেছে।
রাত বোধ'য় আবেগ প্রকাশিত হওয়ার বিশেষ সময়... -- কেন?
কারণ তাতে পোস্টদাতাকে বেশি মূল্যায়িত করা হয় বলেই আমার ধারণা । এটা সম্পূর্ণই আমার মত -- আপনার মতটাই ঠিক। আমিও তাই করবো এখন থেকে। ধন্যবাদ।
কিন্তু আমার মন পড়ে থাকে আপনার বর্তমান পোস্টগুলোতে । --কিন্তু সেখানে তো খুব কমই মন্তব্য আসে। তবুও, কথাটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
২০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
আরজু পনি বলেছেন:
বিউটিশিয়ানদের সেই জবরজং সাজানো...সেটা ত্যাগ করেছি ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকেই...এক বন্ধুর খোঁচায় ।
আপনাকে ব্যাখ্যা করে বলি কেন অমন বলেছি ।
আমি একজনের ভ্রু প্লাক করা দেখেছি একাধিক পার্লারে...নির্দিষ্ট একটা পার্লারে নির্দিষ্ট একটা মেয়ের কাছে ভ্রু প্লাক করলেইকেবল তার চেহারার কোমলতা প্রকাশ পায়, অন্যথায় চেহারার ধরণ কিছুটা বদলে যায় । আমি ব্যাপারটা খুব ভালো করে খেয়াল করেছি বরেই চোখ ধরা পড়েছে...তারপর থেকে মনে হয়েছে এই ছোট কাজটিতেও নিপুনতা থাকা খুব জরুরী ।
রাতে আসলেই কিন্তু আবেগ, কষ্টরা বেড়ে যায়...দিনে যা তেমন সুযোগ পায়না...হয়তো নির্জনতারা একাকিত্বের সুযোগ নেয় ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যাখ্যাটুকুর জন্য ধন্যবাদ।
ধীরে ধীরে নাগরিক জীবন নিশাচর জীবনে পরিণত হয়ে যাচ্ছে, এটা খুব আশঙ্কার কথা।
২১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
কালীদাস বলেছেন: আমাদের এক ক্লাসমেটকে বদি (আলিফ লায়লায় ক্যারেক্টার ছিল একটা এই নামে) ডাকতাম, সেও আমাকে বদি ডাকত। ওর আসল নাম আমি আসলেই ভুলে গেছি, পরে একবার দেখা হবার পর জানতে পারি যে সেও ভুলে গেছে। হা হা।
সপ্তাহে কম্পলসারি একবেলা পোলাও তো সেরকম দশা দেখা যায়। ছোটবেলা খাবারটা খুব পছন্দ করতাম, এখন ভাল লাগেনা খুব একটা
ওপেনিং নাইট গতানুগতিক লাগল সামনে আগালাম!
২২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সিরিজটা পড়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ, মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।
২৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপনার ফেলে আসা দিনগুলো পড়ছি। খুব ভাল লাগছে। উপস্থাপনায় শুধুই মুগ্ধতা।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, আমার পুরনো লেখাগুলো এভাবে খুঁজে খুঁজে পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। খুবই ভাল লাগলো পুরনো লেখায় মন্তব্য পেয়ে, আর আমার সাদামাটা জীবনের কাহিনী কারো ভাল লাগছে, একথা জেনে।
লেখাটাতে প্লাস দিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে গেলেন, ভ্রমরের ডানা। ভাল থাকুন, অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
২৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৪৪
সোহানী বলেছেন: আরে আপনার তখনকার ছবিতো নায়ক রাজ রাজ্জাক ফেইল...........। ভাগ্যিস ক্যাডেট কলেজে কোন মেয়ে ছিল না.... হাহাহাহাহা।
আপনার এ স্মৃতিচারন এখনকার স্টুডেন্টরা কম্পেয়ার করতে পারবে।....... কিন্তু আপনার স্মৃতিশক্তি অসাধারন। একটু ও বাদ যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে নিজেই সব কিছু দেখছি।
কিন্তু আপনি যদি পরেরটার লিংক দেন তাহলে সুবিধা হয়। আবার প্রোফাইলে যেয়ে খুঁজতে হয় না................
১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: রাজ্জাক ফেইল? - বাপরে বাপ, ভয়ঙ্কর কথা!
ভাগ্যিস ক্যাডেট কলেজে কোন মেয়ে ছিল না.... - তা ছিলনা, কিন্তু আমাদের ৫ মাইল দূরেই ছিল ভারতেশ্বরী হোমস, একই ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তবে শুধুই মেয়েদের জন্য। দুই প্রতিষ্ঠানের দুই কর্ণধারের মাঝে সখ্যতা গড়ে ওঠার কারণে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝেও কিছু কিছু অনুষ্ঠান বিনিময় হতো, সেকথা পরের কোন এক অধ্যায়ে কিছুটা বলেছি।
কিন্তু আপনি যদি পরেরটার লিংক দেন তাহলে সুবিধা হয়। আবার প্রোফাইলে যেয়ে খুঁজতে হয় না - পূর্বেরটার দিয়েছি, একেবারে শুরুতেই। তবে হ্যাঁ, পরেরটার দেয়া হয়নি। কেউ এসে পুরনো পোস্ট পড়বে, তখন এমনটা ভাবিনি বলেই হয়তো বা।
পুরনো পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
২৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:১৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক ভাল লাগল পড়ে।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুরনো এ লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম।
২৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার বইটি সংগ্রহের উপায় যদি জানতেন
১৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার বইটির আর কোন কপি এখন আর প্রকাশকের কাছে নেই। তবে আপনার যদি বইটা কেনার খুব ইচ্ছে হয়ে থাকে, আপনার ই-মেইল ঠিকানাটা জানিয়ে দেবেন, কুরিয়ারে পাঠিয়ে দেবার ব্যবস্থা করে দেব।
বইটির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ডার্ক ম্যান।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫
শামছুল ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক মজার একটা দিনের শেষে বেদনার মুহুর্ত গুলো চির অম্লানঃ
//শোয়ার পর যেন এক সিনেমা দেখতে শুরু করলাম। সারাদিনের কর্মযজ্ঞের ছবি সেলুলয়েডের ফিতের মত চোখের সামনে দিয়ে ভেসে যেতে শুরু করলো। আম্মা ও ভাইবোনদের কথাও খুব করে মনে পড়তে লাগলো। ভাবতে থাকলাম, ওরাও নিশ্চয়ই তখন আমার কথা ভেবে মন খারাপ করছে। আকাশ ভেঙ্গে মুষলধারে আষাঢ়ের বৃষ্টি ঝরা শুরু হলো। সাথে আকাশ চেরা বিজলীর চমকানি আর তার পরপরেই বজ্রের হুঙ্কার। আমাদের হাউসটার আশে পাশে অনেকগুলো শেয়ালের বাসা ছিলো। তারা তারস্বরে চীৎকার শুরু করে দিলো। আমার বিছানাটা ছিলো জানালার ঠিক পাশেই। খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো একটুখানি জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়াই, কিন্তু সিনিয়রের ভয়ে সাহস হচ্ছিল না। এক সময় মনে হলো সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। একজনের ফিসফিসানিতে মনে হলো সে জেগে আছে, কিন্তু কথা বলার কোন উপায় নেই। সিমপ্যাথেটিক ডেটোনেশন হলো। আমার দুটো চোখ দিয়েও নীরবে অশ্রু ঝরে পড়তে লাগলো। মোচড়ানো ভেজা বালিশটাকে এপাশ ওপাশ করেও আর অনেক দোয়া দরুদ পড়েও সারারাত চোখে ঘুম আনতে পারলাম না। প্রথম রাতটা বলতে গেলে নির্ঘুম কাটালাম। ভোরের দিকে বৃষ্টি থেমে গেলে আমি চুপি চুপি পায়ে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।//
ভাল থাকুন। সবসময়।