নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা - ১৪

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

"আমার কথা - ১৩" পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা - ১৩

একাকীত্বঃ
যারা দুষ্টুমি করে নানা কৌশলে জ্বর এনেছিলো, তারা মহা আনন্দে বাড়ী চলে গেলো। আমার সত্যি সত্যি জ্বর এলো, তাই আমি রয়ে গেলাম শুনশান, ক্যাডেটবিহীন এমসিসি’র নিস্তব্ধ প্রান্তরে। বড্ডো একাকী বোধ করতে লাগলাম। দিন কাটেনা। আমি ছাড়া আর বাকী যে তিন চারজন ছিলেন, তারা সবাই সিনিয়র, কিন্তু খুবই ভদ্র। তারা আমার প্রতি অত্যন্ত সদয় ব্যবহার করতেন। আমার কাজ ছিলো তারা যদি কখনো কোন আলাপ শুরু করেন, তা মন দিয়ে শোনা। আমার নিজের কিছু বলার মত কথা খুব কমই ছিলো। জানালার পাশে গিয়ে গুই সাপের আনাগোনা দেখতাম। কাঁঠাল গাছের ডালে ডালে আর পাতায় পাতায় টুনটুনি পাখির নেচে বেড়ানো দেখতাম। সিনিয়ররা একটু এদিক সেদিক সরে গেলে বয়োবৃদ্ধ হাউজ বেয়ারা আহসানউদ্দিন ভাইকে ডেকে তার জীবন কাহিনী শুনতাম। তিনি কলেজের ভেতরে কোন সরকারী বাসা বরাদ্দ পান নাই। তার বাড়ী ছিলো কলেজ সীমানার বাইরের একটি গ্রামে। রাত দশটা পর্যন্ত তাদের ডিউটি থাকতো। গ্রামীণ পরিবেশে সেটা ছিল শহরের মধ্যরাতের সমান। রাত দশটার পরে যখন তিনি ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্য দিয়ে একলা হেঁটে কেবল একটা ছাতা আর টর্চলাইট হাতে কর্দমাক্ত পিচ্ছিল পথ ধরে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হতেন, তখন আমি অবাক বিস্ময়ে ভাবতে থাকতাম, এতটা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অন্ধকার পথে তিনি বাড়ী পৌঁছবেন কী করে! অপর হাউস বেয়ারা রউফ ভাইও থাকতেন কলেজ সীমানার বাইরে। তার বয়স তখন কুড়ির নীচে হলেও তিনি তখনই ছিলেন সদ্য বিবাহিত। নব বিবাহিত বধূকে ঘরে রেখে এসে তিনি আমাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতেন। মাঝে মাঝে তাকে গালে হাত দিয়ে কিছু একটা নিয়ে ভাবনা চিন্তায় মগ্ন থাকতে দেখতাম। আমাদেরকে সেবা প্রদানের জন্য আষাঢ় শ্রাবন মাসের ঝমঝমে বৃষ্টির মাঝ দিয়ে তারা যখন ঘড়ির কাঁটা ধরে একটা টর্চ ও ছাতা সম্বল করে নিকষ কালো আঁধার রাতে কলেজে আসা যাওয়া করতেন, তখন তাদের কর্তব্যনিষ্ঠা ও সাহস দেখে আমি বিস্ময় ও শ্রদ্ধায় অভিভূত হয়ে যেতাম। তাদের যাওয়ার পথের দিকে আমি তাকিয়ে থাকতাম।

দুপুরের দিকে আমার জ্বর বেড়ে যেতো, তখন গায়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে স্বপ্ন দেখার চেষ্টা করতাম। আমি আজীবন স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি, এমনকি এখনো সে অভ্যেস বলবৎ আছে। মাঝে মাঝে কোন না কোন শিক্ষক, কিংবা ডাক্তার কিংবা স্বয়ং প্রিন্সিপাল স্যার এসে কপালে হাত রেখে দেখতেন জ্বর আছে কিনা, তখন চোখ খুলে বিছানায় উঠে বসতাম। আমি সবার ছোট ছিলাম বলে প্রিন্সিপাল স্যার অন্যান্যদের চেয়ে আমার পাশেই বেশীটা সময় কাটাতেন। মুশকিল হতো তখন, যখন তিনি আমার কপালে মাথায় হাত বুলিয়ে বলতেন, আমি দু’দিনেই ঠিক হয়ে যাবো। এরকম আদর পেয়ে আমি বিগলিত হয়ে যেতাম, মাঝে মাঝে চোখের পাশ দিয়ে দু’ফোঁটা অশ্রু নীরবে গড়িয়ে যেতো। চোখে সানগ্লাস আঁটা, হাতে ব্যাটন ধরা, সব সময় সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট আর কালো বেল্ট পরা এই দীর্ঘদেহী ফর্সা মানুষটাকে ভীষণ ভয় পেতে শুরু করেছিলাম যেদিন তিনি পিটি গ্রাউন্ডে একজন ক্যাডেটকে বের করে দৌড়ের শাস্তি লাগিয়ে বলেছিলেন, “লেট দ্যাট শিট রান”! আবার তাকেই খুব ভালো লাগলো যখন তিনি আমার তপ্ত চোখের অশ্রু মুছে দিয়ে বললেন, “ডোন্ট ক্রাই মাই বয়, ইউ’ল বি অররাইট, সূন”!

প্রিন্সিপালের বাসায় একটা জাম্বুরা গাছ ছিলো। তার একজন বাবুর্চি ছিলো, নাম খুদু মিয়া (জাতীয় কবির মত দুখু মিয়া নয়)। খুদু মিয়া সবসময় বেশ খোশ মেজাজে থাকতো। প্রতিদিন বেলা এগারটার দিকে খুদু মিয়া লবণ তেল মাখানো জাম্বুরা নিয়ে আসতো আমাদের জন্য। জ্বরের মুখে খেতে বেশ ভালই লাগতো। মাত্র কয়েকজন রোগী ছিলাম বলে চা বিস্কুট পাওয়া যেতো হিসেব ছাড়া। তবে কলেজ থেকে দেয়া চা এর কোয়ালিটি খুব খারাপ ছিলো। খুব ইচ্ছে হতো, কেউ যদি একটু ভাল চা খাওয়াতো! খাওয়া দাওয়ার সময়টাতে সিনিয়র ভায়েরা বেশ গল্প গুজব করতেন। তাদের মুখে শুনেছি বৃষ্টিতে ফুটবল খেলতে গিয়ে কি করে মাহবুব হাসান ভাই হাত ভেঙ্গেছিলেন। তাকে কুমুদিনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। ভুল প্লাস্টারের কারণে তার ভাঙ্গা হাতটাতে পচন ধরেছিলো, আর শেষ পর্যন্ত তা কেটে ফেলতে হয়েছিলো। এসব গল্পের পর সিনিয়র ভায়েরা নিজ নিজ সংগ্রহে রাখা গল্পের বইপত্র কিংবা ম্যাগাজিন পড়ায় মনোনিবেশ করতেন। আমি ভালো লাগলে পেছনের জানালায় গিয়ে বসতাম অথবা সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিরান খেলার মাঠের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। দূরের গ্রামগুলোর দিকে তাকিয়ে গ্রামবাসীদের জীবন যাত্রা প্রণালীর কথা চিন্তা করতাম। মাঝে মাঝে আমাদের গ্রামের বাড়ীর কথাও মনে পড়ে যেতো। স্কুলের সাংবাৎসরিক ছুটিতে আমরা লালমনিরহাটে আমাদের নানাবাড়ী, দাদাবাড়ীতে বেড়াতে যেতাম। এভাবে একাকীত্বের মাঝে নানাকিছু ভেবে ভেবে সময় পার করতাম।

একাকীত্বের অবসান
কয়েকদিন পরে একদিন দুপুরে হঠাৎ দেখি আব্বা আর বড়ভাই আমাকে দেখতে এসেছেন। আমার জ্বর হবার খবর বাসায় জানানো হয়েছিলো। সে খবর পেয়েই তারা আমাকে দেখতে এসেছিলেন। ঐ দিনই আমার জ্বর রেমিশন হয়েছিলো, তাই ওনারা এসে আমাকে ভালোই দেখতে পেয়েছিলেন। আব্বা সাথে করে কিছু শুকনো খাবার এনেছিলেন। অন্যসময় হলে সেগুলো আনতে পারতেন না। কিন্তু সেদিন তাদেরকে কিছু বলা হয়নি। এ ব্যাপারে আমাদের হাউস টিউটর দোহা স্যার বেশ সহায়তা করেছিলেন। আব্বার সাথে সাথে প্রিন্সিপাল স্যারও এসেছিলেন। আব্বা আমাকে সাথে করে নিয়ে যেতে চাইলেন। প্রিন্সিপাল তাঁকে জানালেন, ঢাকার অনুমতি পেলে আমাদের সবাইকে একসাথে পরেরদিন কলেজের গাড়ীতে করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। আব্বা আর বড়ভাই আমাকে সান্ত্বনার বাণী শুনিয়ে বাড়ী ফিরে গেলেন। পরেরদিন সত্যি সত্যি আমাদের চার পাঁচজনকে একসাথে কলেজের গাড়ীতে করে একজন এনসিও’র তত্ত্বাবধানে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো।

বিভিন্ন আন্তঃহাউস প্রতিযোগিতা
কিছুদিন পর আবার যখন কলেজে ফিরে এসেছিলাম, তখন বিভিন্ন আন্তঃহাউস প্রতিযোগিতা গুলো শুরু হয়েছিলো। তার মধ্যে ইনডোর আউটডোর উভয় ধরনের প্রতিযোগিতা ছিলো। সবচেয়ে কনিষ্ঠতম ব্যাচ হিসেবে আমাদের কাজ ছিলো মূলতঃ হাততালি দেয়া। তবে ইনডোর গেমসে আমাদের মধ্যে ঐ বয়সেই কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়ার ছিলো, যারা ধাপে ধাপে বিজয়ী হয়ে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন না হলেও প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলো। তাদের মধ্যে নামোল্লেখ করতে হয় আমাদের বন্ধু মরহুম কে এম আলী মুনীর রানা’র। সে ক্যারম, দাবা আর টেবিল টেনিসে খুব ভালো ছিলো। আগেই জেনেছিলাম, যারা ভালো দাবারু হয়, তাদের সাধারণতঃ উচ্চ আইকিউ থাকে। তারা অঙ্কে খুব ভাল হয়। এর প্রমাণ আমি আমার রুমেই দেখতে পেয়েছিলাম। আমার বন্ধু ও রুমমেট সালেহ আহমেদ তানভীর ঐ বয়সেই খুব ভাল দাবা খেলতো। সে আজ সারা বিশ্বে একজন বিখ্যাত ম্যাথস অধ্যাপক। আমাদের রুম ক্যাপ্টেন আবেদ আহাদ চৌধুরী ভাইও একজন তুখোড় দাবারু ছিলেন। তিনিও অঙ্কে খুব ভালো ছিলেন। তিনি বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী আছেন।

আমার মনে হয়, আমাদের সময় প্রায় সবাইকে ইনভল্ভ করে যে প্রতিযোগিতাটা হতো সেটা ছিলো আন্তঃহাউস আর্টস এ্যন্ড ক্র্যাফ্টস প্রতিযোগিতা। সেখানে প্রায় সবারই কিছু না কিছু অবদান রাখার সুযোগ ছিলো। প্রতিযোগিতার অজুহাতে সপ্তাহ দুয়েক ধরে রাত দশটায় লাইটস আউট এর কোন বালাই থাকতোনা। তাই এর সুযোগে অলস ব্যক্তিরাও কাজ করার নামে কমনরুমে গিয়ে কর্মরতদের সাথে খোশগল্প জুড়ে দিতো। যারা সত্যিই কিছু করে দেখাতে পারতো, তারা সিনিয়রদের গুডবুকে চলে যেতো। অকর্মণ্যরা খুশীমনে অন্যদের ফুট ফরমাশ খেটে বেড়াতো। বলাবাহুল্য, আমি দ্বিতীয় দলেই ছিলাম। এই প্রতিযোগিতাটার কথা স্মরণ করলে আমার মনে শুধু একজনের নামই সবার আগে উজ্জ্বলভাবে মনে পড়ে। তিনি দ্বিতীয় ব্যাচের খন্দকার বদরুল হাসান, আমাদের তখনকার হাউস প্রিফেক্ট। অসাধারণ প্রাণশক্তির অধিকারী এই ব্যক্তির কর্মক্ষমতা ছিলো কিংবদন্তীতুল্য। তিনি একজন উচ্চমানের টাস্ক মাস্টার ছিলেন, তবে নেতা হিসেবে ততটা জনপ্রিয় ছিলেন না। কারণ তিনি কনিষ্ঠদের মন জয় করে কাজ আদায় করার প্রতি ততটা মনোযগী ছিলেন না। তবে হাউসের জন্য তিনি নিঃস্বার্থভাবে সদা সর্বদা জান প্রাণ দিয়ে কাজ করতেন। এর জন্য পড়াশোনাসহ অন্যান্য বিষয়ে তার ব্যক্তিগত ক্ষয়ক্ষতির প্রতি তিনি ভ্রূক্ষেপ করতেন না। পরবর্তীতে কর্মজীবনেও তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে তার কর্মক্ষমতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। আরেকজনের নাম মনে পড়ে, সেটা প্রথম ব্যাচের জাহাঙ্গীর ভুঁইয়া ভাই এর নাম। হট হেডেড হিসেবে তার পরিচিতি থাকলেও কনিষ্ঠদের প্রতি তিনি স্নেহবৎসল ছিলেন। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় তিনি কোন না কোন সায়েন্স প্রজেক্ট উপস্থাপন করতেন। তিনি ইংলিশ ডিবেট করতেও খুব পছন্দ করতেন। তবে আমার কাছে তখন মনে হতো, অন্যান্য তার্কিকদের তুলনায় তার পারদর্শিতা কম ছিলো। কেন জানি মনে হতো, তিনি যুক্তির বদলে অনেকটা গায়ের জোর দিয়ে তার পয়েন্টসমূহ উপস্থাপনা করতেন। আর লক্ষ্য করতাম, তাকে কেন জানি কেউ তেমন একটা ঘাটাতে চাইতো না।

এটাই ছিলো আমার 'হাউস' - তখনকার জিন্নাহ হাউস এবং পরবর্তীতে ফজলুল হক হাউস। দোতালার মাঝামাঝি একটা রুমে প্রথম উঠেছিলাম। সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ডানদিকে কোণাকুণি তাকালে বিরান খেলার মাঠ দেখা যেতো। জ্বরের সময় সেদিকে প্রায়ই তাকিয়ে থাকতাম। আর আরও দূরে তাকালে নীচু জলাভূমি আর কিছু বিক্ষিপ্ত গ্রাম দেখা যেতো, যেগুলোর মাঝে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা।

চলবে…

ঢাকা
২২ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল লাগা রইল ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা। শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ছবিটা দেখতে পাচ্ছি না কেন!! :(

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার ল্যাপটপে লেখাটায় তো ছবিটা দেখা যাচ্ছে। অন্যান্য পাঠকেরাও একটু জানালে বুঝতে সুবিধে হতো আসলেই কি ছবিটাতে কোন সমস্যা আছে কিনা।
লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, কাল্পনিক_ভালোবাসা। লেখাটা এডিট করে পুনরায় ছবিটাকে যুক্ত করলে সমস্যাটা মিটতে পারে বলে মনে করেন কি? তা'হলে তাই করবো।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সব কিছু মিলে আজকের পর্বটাও উপভোগ করলাম।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়লেন, এবং পড়ে একটা সুন্দর মন্তব্যও করলেন, এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, ফেরদৌসা রুহী।
লেখার শেষে 'ফজলুল হক হাউস' এর ছবিটা আপনি দেখতে পেয়েছেন কি?

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম আমি তো ছবি দেখতে পাচ্ছি

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, ফেরদৌসা রুহী। দুশ্চিন্তামুক্ত হ'লাম।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৬

জুন বলেছেন: এত সুন্দর বর্ননা যেন চোখের সামনে সব কিছু দেখা যাচ্ছে। আপনার অসুস্থতার সময়টুকু যেন পথের পাচালীর দুর্গার সেই জরতপ্ত দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিল। সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা আপনার ক্যাডেট জীবনীতে অনেক ভালোলাগা খায়রুল আহসান।
+

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যটা বলে দেয়, আপনি কতটা মনযোগ সহকারে আমার এ লেখাটা পড়েছেন। লেখার প্রশংসায় ভীষণ অনুপ্রাণিত বোধ করছি। এ উদার প্রশংসার জন্য অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, জুন!

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: একজন মানুষের প্রতি এক কিশোরের সহানুভূতিটা হৃদয়াঙ্গম করার চেষ্টা করছিঃ

//রাত দশটার পরে যখন তিনি ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্য দিয়ে একলা হেঁটে কেবল একটা ছাতা আর টর্চলাইট হাতে কর্দমাক্ত পিচ্ছিল পথ ধরে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হতেন, তখন আমি অবাক বিস্ময়ে ভাবতে থাকতাম, এতটা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অন্ধকার পথে তিনি বাড়ী পৌঁছবেন কী করে!//

নিজ নিজ কর্তব্যের প্রতি অপরিসীম নিষ্ঠা আজকাল তো দেখাই যায় নাঃ

//আমাদেরকে সেবা প্রদানের জন্য আষাঢ় শ্রাবন মাসের ঝমঝমে বৃষ্টির মাঝ দিয়ে তারা যখন ঘড়ির কাঁটা ধরে একটা টর্চ ও ছাতা সম্বল করে নিকষ কালো আঁধার রাতে কলেজে আসা যাওয়া করতেন, তখন তাদের কর্তব্যনিষ্ঠা ও সাহস দেখে আমি বিস্ময় ও শ্রদ্ধায় অভিভূত হয়ে যেতাম। তাদের যাওয়ার পথের দিকে আমি তাকিয়ে থাকতাম।//

স্বপ্ন----স্বপ্ন-----স্বপ্নঃ

//দুপুরের দিকে আমার জ্বর বেড়ে যেতো, তখন গায়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে স্বপ্ন দেখার চেষ্টা করতাম। আমি আজীবন স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি, এমনকি এখনো সে অভ্যেস বলবৎ আছে।//

কঠিন-কোমলে গড়াঃ

// চোখে সানগ্লাস আঁটা, হাতে ব্যাটন ধরা, সব সময় সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট আর কালো বেল্ট পরা এই দীর্ঘদেহী ফর্সা মানুষটাকে ভীষণ ভয় পেতে শুরু করেছিলাম যেদিন তিনি পিটি গ্রাউন্ডে একজন ক্যাডেটকে বের করে দৌড়ের শাস্তি লাগিয়ে বলেছিলেন, “লেট দ্যাট শিট রান”! আবার তাকেই খুব ভালো লাগলো যখন তিনি আমার তপ্ত চোখের অশ্রু মুছে দিয়ে বললেন, “ডোন্ট ক্রাই মাই বয়, ইউ’ল বি অররাইট, সূন”!//


স্মৃতির পাখীরা আজো ডানা ঝাপটায়,তাই আমরাও চমৎকার কিছু লেখা পাই।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ চুলচেরা বিশ্লেষণ গভীর মনোনিবেশ সহকারে পাঠের পরেই কেবল সম্ভব, শামছুল ইসলাম। আমার লেখার প্রতি আপনার এ অকৃত্রিম উদারতা বৃরাবরই আমাকে উৎসাহিত করেছে।
একজন মানুষের প্রতি এক কিশোরের সহানুভূতিটা হৃদয়াঙ্গম করার চেষ্টা করছি -- এতটা গভীরে খুব কম পাঠকই যেতে চান। আপনি গিয়েছেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
স্মৃতির পাখীরা আজো ডানা ঝাপটায়,তাই আমরাও চমৎকার কিছু লেখা পাই -- সেজন্যই তো স্মৃতিভ্রম ঘটার আগেই এসব লেখা শুরু করলাম!
শুভেচ্ছা জানবেন। ভাল থাকুন।

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অসুখ বিসুখ হলে মন এম্নিতেই দুর্বল থাকে।আর আপনি তো তখন ক্যাডেট দের মাঝে সবার ছোট। ভাল লেগেছে লেখা। পোস্টের ছবিও দেখা যাচ্ছে।অংকে আমার মাথা ছোট বেলায় খুব একটা ভাল ছিল না। তাই খুব প্র‍্যাক্টিসের উপর থাকতাম।
মোবাইল থেকে কমেন্ট করলাম। বানানের চেহারা দেখার মত হয়েছে :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মোবাইল থেকে কমেন্ট করার পরও বানানের চেহারাটা খুব একটা খারাপ হয়নি। এতগুলো শব্দের মাঝে শুধু মাত্র দুটো বানান একটু এদিক সেদিক হয়েছে। এত কষ্ট করেও মন্তব্যটা পোস্ট করেছেন, এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যে সহানুভূতিশীল মনের পরিচয় পাওয়া গেলো। এ্যাপ্রিশিয়েট করছি।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

সুলতানা রহমান বলেছেন: ভাল লাগলো। এসব স্মৃতিচারণ অনেক সময় অনেক ভাল লাগে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ্যাপ্রিশিয়েটিভ মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

আরজু পনি বলেছেন:

আপনার এই সিরিজটার অপেক্ষায় থাকি ইদানিং। অনুসারিততে খুঁজে না পেয়ে আপনার নিক ধরেই খুঁজতে এসেছিলাম ।

দাবা নিয়ে যা বললেন তার প্রমাণ আমিও দেখেছি ।
বাচ্চাদেরকে এই খেলায় মনোযোগী করার চেষ্টা করবো উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই।
অনেক ভালো লাগা রইল ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনুসারিততে খুঁজে না পেয়ে আপনার নিক ধরেই খুঁজতে এসেছিলাম -- কেন অনুসারিততে খুঁজে পাচ্ছেন না তা বুঝতে পারলাম না।
দাবা খেলা মস্তিষ্কের খেলা। ছোটবেলা থেকে এ খেলায় পারদর্শী হতে পারলে ভালো হয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




চোখে সানগ্লাস আঁটা, হাতে ব্যাটন ধরা, সব সময় সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট আর কালো বেল্ট পরা এই দীর্ঘদেহী ফর্সা মানুষটাকে ভীষণ ভয় পেতে শুরু করেছিলাম যেদিন তিনি পিটি গ্রাউন্ডে একজন ক্যাডেটকে বের করে দৌড়ের শাস্তি লাগিয়ে বলেছিলেন, “লেট দ্যাট শিট রান”! আবার তাকেই খুব ভালো লাগলো যখন তিনি আমার তপ্ত চোখের অশ্রু মুছে দিয়ে বললেন, “ডোন্ট ক্রাই মাই বয়, ইউ’ল বি অররাইট, সূন”!
মানুষের কখন যে কাকে ভালো লেগে যায় , মানুষ নিজেও জানেনা !!!!!!!!!!!!!!!!!

শুভেচ্ছান্তে ।


২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আহমেদ জী এস। তবে প্রতিটা ভালো লাগার পেছনেই ভালো কারণ থাকে।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

রাবার বলেছেন: চলুক ভাই। সাথে আছি।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ, রাবার।
চলবে, ইন শা আল্লাহ!

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, বাংলার ফেসবুক। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বর্ণনায় অসাধারণত্ব।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে মুগ্ধ হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

আরজু পনি বলেছেন:
-------------
আপনি মোটামুটি দু'দিনে গ্যাপে "আমার কথা" সিরিজটি দিয়ে থাকেন...এর মধ্যে কোন একটা সময় আরেকটা কবিতা থাকে ।
আমার অনুসারিত লিস্টে আপনার লেখা পাচ্ছিলাম না...কোনটাই. কবিতা বা "আমার কথা" । তাই ভাবছিলাম আপনি ব্লগে নেই কেন ?

আর অনুসারিততে না পেয়ে আপনার নিক ধরে ব্লগে খুঁজতে এসেছিলাম যে অনুসারিততে কোন কারণে মিস হলো কি না ।
আমি যাদের লেখা নিয়মিত পড়তে চাই, তাদেরকে অনুসারিত লিস্টে নিয়ে রাখি ।
এতে নিয়মিত তাদের পোস্টে চোখ রাখতে সুবিধে হয় ।
ব্লগে এলে একটা ট্যাবে অনুসারিত লিস্টটা রেখে দেই আর সেই অনুযায়ী পোস্ট পড়ি ।
যদিও আমার ব্লগে যারা মন্তব্য করেন তাদের পোস্টে যেতেও মিস করি না।
তবে এর সবই নির্ভর করে আমি ব্লগ কতোটুকু সময় দিতে পারছি তার উপর আর নিজের ব্যস্ত থাকা না থাকার উপর ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব চমৎকার করে বুঝিয়ে বললেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুভেচ্ছা রইলো।

১৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

আশাবাদী ছেলে বলেছেন: অনেক দিন পরে ব্লগে ভালো লেখা পড়লাম.

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রশংসায় উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে আশাবাদী ছেলে।
আশা রাখবো, আপনি একটু সময় করে আমার এ সিরিজের বাকী লেখাগুলোও ধীরে ধীরে পড়ে নেবেন। তাহলে হয়তো আমাদের শৈশব আর কৈশোরের দিনগুলোর সাথে পরিচিত হতে পারবেন।

১৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

মানবী বলেছেন: আপনার এই স্মৃতিচারন পড়লে প্রায় নিজের ঘটনা পড়ছি বলে ভুল হয়। ছোটবেলায় যে হোস্টেলে থেকে পড়েছি সেখানে আমার রুমের পি্ছনের বাগানে এক কংক্রিট স্ল্যাবের উপর অদ্ভুত সুন্দর আর ভয়ংকর গুঁইসাপ এসে প্রায়হি রোদ পোহাত! সেই প্রথম এই অদ্ভুত প্রাণীর সাথে পরিচয়!

আর গণহারে জ্বর আর সেই সাথে জ্বরাক্রান্তদের দলে দলে বাসায় যাবার ঘটনাও ঘটেছিলো।

ভালো লাগলো সুলিখিত স্মৃতিচারন পড়ে, ধন্যবাদ আপনাকে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব আশ্চর্য্যান্বিত বোধ করছি এই বিস্ময়কর মিল দুটোর কথা জানতে পেরে। কথা প্রসঙ্গেই জানতে চাচ্ছি, আপনি কি এমজিসিসি তে পড়তেন? আর পেশাগতভাবে আপনি কি একজন ডাক্তার? জানাতে না চাইলেও মোটেও অসুবিধে নেই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মানবী, আমার লেখাগুলোতে নিয়মিতভাবে আসার জন্য, সুবিবেচিত মন্তব্য প্রদানের জন্য।

১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এই পর্বও মন ছুয়ে গেল ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: নেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, মাহমুদ০০৭, লেখাটি পড়ার জন্য।

১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। আরো ভাল লাগল আপনার দাদা নানার বাড়ি লালমনির হাটে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রামানিক। আপনাদের বাড়ীও কি ঐ দিকে?

১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: মনে হচ্ছে আমি আপনার সেই সময়টা জীবন্ত দেখছি।

ক্যাম্পাসে থাকার সময় জ্বর নিয়ে আসাতে ওস্তাদ ছিলাম। জ্বর আসলেই মনে হত কেউ যদি মাথাটা টিপে দিতো বা হাত বুলিয়ে দিতো তাহলে ভালো লাগতো। জ্বরের সময় মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। কেউ যত্ন নেওয়ার মত থাকেনা। রুমমেট শুধু নাপা ওষুধ এনে দিতো।

খুব খারাপ লাগলে তাবলীগের কোন বন্ধুকে ডেকে মাথায় পানি ঢেলে নিতাম।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাতুল_শাহ। তখন কি ক্যাডেট কলেজেও 'তাবলীগ' শুরু হয়ে গিয়েছিলো? অবশ্য ওসব ছেলেপেলেরা খুব নীরিহ আর পরোপকারী হয়ে থাকে, সাধারণতঃ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমার কথা -১৩" তে কোন মন্তব্য করেন নি। মন্তব্য করার মত তেমন কিছু পান নি, বা ইচ্ছে হয়নি, নাকি এটা জাস্ট একটা স্লিপ হয়ে গেছে?

২০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: :)

একসাথে বাকি সব পর্বের ট্যাব ওপেন করা ছিলো। পড়ার সময় খেয়াল করি নাই কোন পর্ব পড়ছি।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ও আচ্ছা, ঠিক আছে।

২১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

স্মৃতিচারণে স্মৃতিচারকের মননকে অনেটাই ঠাহর করতে পারা যায়।

সহপাঠি, সিনিয়র, শিক্ষক, খেটেখাওয়া কর্মচারিদের বিষয়ে আপনি যেভাবে নিজের পর্যবেক্ষণ তোলে ধরেছেন, তাতে আপনার অন্তদৃষ্টির পরিচয় পাওয়া যায়। বলা বাহুল্য শিক্ষাজীবনে গঠিত জীবনদর্শন কর্মজীবনে প্রতিবিম্বিত হয়। কারও জীবনে ইতিবাচকভাবে কারও জীবনে নেতিবাচকভাবে।

আমার এক সহকর্মী তার ইংরেজি শিক্ষককে পছন্দ করতেন না। হয়তো উভয়েই এরজন্য দায়ি। কিন্তু পরিণতি হলো এই যে, তিনি ইংরেজিতে শুধু যে কাঁচা তা-ই নয়, শিক্ষকতা পেশাটির প্রতিও বীতশ্রদ্ধ। শিক্ষাজীবন খুব সুখের ছিল না তার। একটি কেবল একটি ক্ষুদ্র দৃষ্টান্ত, যা এ মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে। আরও অনেক ব্যাপক হতে পারে।


শুভেচ্ছা জানবেন :)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় করে এসে আমার এ লেখাটা পড়ে গেলেন, এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, মাঈনউদ্দিন মইনুল।
মন্তব্য পড়ে ঠাওর করা যায়, লেখাগুলো আপনি কতটা মনোযোগ সহকারে পড়েন। লেখকের জন্য পাঠকের এ সহৃদয়তা ভীষণ প্রেরণাদায়ক। শুধু ধন্যবাদ দিয়ে এই সহৃদয়তার মূল্যায়ন করা যায় না। তাই কৃতজ্ঞতার কথা জানিয়ে গেলাম।

২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১৯

কালীদাস বলেছেন: গত বছর একবার এরকম নিঃসঙ্গ একাকী সময় কাটাতে বাধ্য হয়েছিলাম ব্যুরোক্রেটিক কারণে :( পরে যখন সব সমাধান হয়ে গেছে, আর দেশে আসতে পারার মত সময় নেই হাতে! বুঝতে পারছি আপনার কষ্টটুকু, এরউপর তখন খুব ছোটও ছিলেন।

স্পোর্টস। হা হা, স্কুলে পড়ার সময় মেইনলি ক্লাস ফাঁকি দেয়ার জন্য আমরা যেতাম স্পোর্টসে =p~ কলেজে যাইনি কখনও, হেহ যেই মার্কা মারা কলেজে পড়েছি বলার মত না। আমার কলেজজীবনের উপর একটা সিরিজ লিখেছিলাম ব্লগিংএর পয়লা বছর, আপনার বায়োগ্রাফি পড়তে পড়তে মনে পড়ল সেটার কথা :| ভার্সিটি লাইফে ফার্স্ট ইয়ারে স্পোর্টস নিয়ে সেরকম তামাশা হয়েছিল ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে। সুযোগ পেলে লিখব কখনও।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কলেজজীবনের উপর একটা সিরিজ লিখেছিলাম ব্লগিংএর পয়লা বছর, আপনার বায়োগ্রাফি পড়তে পড়তে মনে পড়ল সেটার কথা - পড়েছি আপনার সেই মজার সিরিজটা। যতদূর মনে পড়ে, মন্তব্যও রেখে এসেছিলাম প্রত্যেকটাতে।
বিলম্বে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত। নোটিফিকেশন না পাওয়াই এর মুখ্য কারণ।
আর মনযোগসহ পাঠ এবং সরস মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
কোথায় আছেন, কেমন আছেন??? :)

২৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৫

সোহানী বলেছেন: ওরে বাপরে প্রিন্সিপা্ল স্যারের বাসার জাম্বুরাও খেয়েছেন!!! আপনারাতো অনেক ভাগ্যবান ছিলেন। অবশ্য তখনকার শিক্ষকদের কথা ভিন্ন। কত যত্ন পেয়েছেন জ্বরের সময়, আর এখন তা চিন্তাই করতে পারি না। তবে সবসময়ই আমি হোস্টেল লাইফ অপছন্দ করি কারন ফ্যামিলির বাইরে কাটাতে ভালোলাগে না। .............

এ ধরনের আন্তস্কুল বা আন্তহাউস প্রতিযোগিতা কিন্তু এখনো আছে।............

বরাবরের মতই ভালোলাগলো স্মৃতিচারণ প্রিয় লেখক।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনারাতো অনেক ভাগ্যবান ছিলেন - সত্যিই তাই। তখনকার দিনের শিক্ষকেরা ছিলেন পিতামাতার মত। আর পিতামাতারাও সন্তানের দায়িত্ব শিক্ষকদের উপর ছেড়ে দিয়ে নির্ভার থাকতেন, পদে পদে তাদের দোষ খুঁজে বেড়াতেন না।
হোস্টেল লাইফ এর ভাল মন্দ দুইই আছে। আমাদের ক্ষেত্রে ভালোর পাল্লাটাই ভারী ছিল।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

২৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১১

মাহবুব রোহমান বলেছেন: খাইরুল আহসান ভাই, আমি ছিলাম ৯ম ব্যাচ, ১৯৭১ ইনটেক। দুটো ঘটনা সহভাগ করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আমরা বলতাম "গ্রেড সি"। ৭৪ সালে সম্ভবত গ্রেড সির নাম করে আমি নিয়মিত পিটি প্যারেড বাদ দিতে দিতে একদিন ধরা খেলাম। তখন থেকে নিয়ম করা হল "গ্রেড সি" পেলেও ফল-ইন করতে হবে। আর সম্ভবত ৭৩-এ আমার খুব স্কেবিস হওয়াতে দীর্ঘ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। তখন আমি লাইব্রেরী তে যত রিডার ডাইজেস্ট আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ছিল সব পড়ে শেষ করি।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: তোমার ক্যাডেটীয় পরিচয় পেয়ে প্রীত হ'লাম, মাহবুব রোহমান (বানানটা এরকম কেন? এতদিন দেখে এসেছি, কেউ লিখে রহমান, কেউ রাহমান। তোমারটা এই প্রথম দেখলাম)।
তোমরা যেটাকে বলতে "গ্রেড সি" আমরা সেটাকে বলতাম "এ্যাটেন্ড সি"। নাম ভিন্ন হলেও অর্থের পরিধি একই ছিল।
পুরনো পোস্টে মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.