নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা - ১৫

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

আমার কথা - ১৪ পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুন।

আন্তঃহাউস গার্ডেনিং প্রতিযোগিতাঃ
আন্তঃহাউস আর্টস এ্যন্ড ক্র্যাফ্টস প্রতিযোগিতার মত আরেকটা প্রতিযোগিতা যেটাতে দক্ষতা নির্বিশেষে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হতো, সেটা ছিলো আন্তঃহাউস গার্ডেনিং প্রতিযোগিতা। বাগান করার জন্য আমাদের হাউসের সামনে যে জমিটুকু বরাদ্দ করা হয়েছিলো, সে্খানে ছিল ইমারত নির্মাণকালীন সময়ে ইট সুরকি ইত্যাদির ভাগাড় আর পানি ধরে রাখার পাকা হাউস বা জলাধার। প্রতিদিন আমাদেরকে গেমস পিরিয়ডের পরে ঘন্টাখানেক সেখানে শারীরিক শ্রম দিতে হতো। মাটি ভীষণ শক্ত ছিলো, কোদাল চালালে শুধু ইট পাথর আর সুরকির কণা বেরিয়ে আসতো। এরকম একটা জায়গায় ফুল ফোটানো খুবই দুঃসাধ্য একটা কাজ ছিলো। প্রথম প্রথম হাউস মাস্টার আর হাউস টিউটরগণ স্বয়ং এসব কাজ তদারকি করতেন। পরেরদিকে তারা আর আসতেন না। হাউস প্রিফেক্টদের উপরেই তারা এ দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। এ দায়িত্ব পালনে আমাদের হাউস প্রিফেক্ট বদরুল ভাই অত্যন্ত নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি অত্যন্ত কঠোরভাবে আমাদের কাজ তদারকি করতেন যেন কেউ ফাঁকি দিতে না পারে। কখনো কখনো তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সাথে বেশ নির্দয় আচরণও করতেন, তবে আমরা সবকিছু ভুলে গিয়েছিলাম যখন আমাদের হাউস প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলো। তিনিও আমাদেরকে বুঝিয়েছিলেন যে তিনি ওটুকু কঠোর না হলে আমরা প্রথম হতে পারতাম না। মাত্র কয়েক মাসের পরিশ্রমে ইট সুরকির বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ফোটাতে পারবো, এ কথা আমরা তখন স্বপ্নেও ভাবতে পারতাম না। এর পর থেকে আমি যতবার কলেজে গিয়ে ঐ বাগানটা দেখেছি, ততবারই স্মরণ করেছি ঐ মাটিতে আমাদের কতটা ঘাম ঝরানো আছে। প্রথম পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে বদরুল ভাই আমাদের সাথে সদয় আচরণ করতেন। আমরাও তার কর্তব্যনিষ্ঠার আলোকে তার রূঢ় আচরণটুকু সহজে মেনে নিয়েছিলাম।

আমার মনে বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের ছবিঃ
এমসিসিতে আমার দেখা প্রথম প্রিন্সিপাল ছিলেন কর্ণেল এম এ আনসারী (অবঃ)। তিনি লম্বা, ফর্সা, ঋজু গঠনের ছিলেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত ছিলেন বিধায় সামরিক পোষাক পরিধান করতেন না, তবে তিনি অন্যান্য শিক্ষকদের মতই সাদা শার্ট, সাদা ট্রাউজার্স, কালো জুতো আর বেল্ট এবং কলেজ টাই পড়তেন। শিরদেশে পরিধান করতেন তার নিজস্ব ট্রেডমার্ক হেডগীয়ার, ফেল্ট হ্যাট। সপ্তম শ্রেণীতেই আমরা ভূগোল পড়তে গিয়ে স্ট্রলারের জিওগ্রাফী বই রেফারেন্স বই হিসেবে লাইব্রেরীতে পেয়েছিলাম। সেখানে সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহ আর সৌরমন্ডলীয় অন্যান্য হেভেনলী বডিজের রঙিন ছবি দেখে মুগ্ধ হ’তাম। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগতো সৌরজগতের ষষ্ঠ গ্রহ (সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী) স্যাটার্ন এর ছবি দেখতে। গ্রহটির বিশেষ সৌন্দর্য ছিলো স্যাটার্ন রিংস বা শনির বলয়। দূর থেকে প্রিন্সিপালের হ্যাট পরিহিত মাথাটা দেখলে স্যাটার্ন রিংস এর মতই মনে হতো। আনুষ্ঠানিক মার্চপাস্টের সময় এডজুট্যান্ট যখন প্যারেডকে এ্যটেনশনে (আমাদের সময় ড্রিল এর ওয়ার্ডস অব কমান্ড ছিলো ইংরেজীতে, তাই আমি সেভাবেই লিখবো) রেখে তাঁর কাছে রিপোর্ট করতেন, তখন তিনি স্যালুটের জবাবে আঙুলের ডগা দিয়ে তাঁর হ্যাটটাকে সামান্য উঁচিয়ে ধরতেন। মার্চ পাস্টের সময় স্টেজের সামনে গিয়ে আমরা যখন “আইজ রাইট” করতাম, তখনো তিনি হ্যাটটাকে সেভাবে উঁচিয়েই স্যালুট গ্রহণ করতেন। তখনই জেনেছিলাম, বেসামরিক পোষাকে মাথায় হেডগীয়ার পরিহিত থাকলে সামরিক অফিসারগণ ওভাবেই স্যালুট গ্রহণ করে থাকেন।

কর্ণেল আনসারীর একটা প্রিয় ও প্রায়োচ্চারিত বাক্য ছিলোঃ “One bad fish spoils the whole pond”। তাঁর কথা ছিলো দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। আমাদের হাউসে আমার চেয়ে দুই ব্যাচ সিনিয়র ক্লাসে পারভেজ সাত্তার(?) নামে এক বড়ভাই ছিলেন। তিনি এক রাতে তারই এক ব্যাচমেটের সাথে মারামারি করেছিলেন। বক্সিং মেরে নাক মুখ ফাটিয়ে দিয়েছিলেন। প্রিন্সিপাল খবর পেয়ে সাথে সাথে ছুটে এসেছিলেন। ঘটনার বৃত্তান্ত শুনে তিনি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পারভেজ ভাইকে কলেজ থেকে বের করে দেয়ার। তখনকার দিনে তো মোবাইল ছিলনা। ঢাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো ওয়ার্লেস বার্তা, মগবাজার এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। প্রায়শঃ সেই ওয়ার্লেস এক্সচেঞ্জেটি বিকল থাকতো। মগবাজার মগবাজার বলে গলা ফাটিয়েও অপারেটর ঢাকার সাথে সংযোগ করাতে পারতোনা। তবুও ঐ রাতের মধ্যেই পারভেজ ভাইকে ঢাকায় তার বাড়ীতে পৌঁছে দেয়া হয়েছিলো। এখনকার দিনে একজন অধ্যক্ষ কতটুকু স্বাধীনভাবে এ ধরণের কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন, তা সকলের জন্যই সহজে অনুমেয়।

প্রতি সোমবারে (সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস) আমাদের মর্নিং এ্যসেম্বলী হতো। সেখানে একজন ক্যাডেট সুরা ফাতিহাসহ পবিত্র ক্বোরান থেকে কিয়দংশ মুখস্থ তেলাওয়াৎ করার পর আমাদের ইসলামিয়াত শিক্ষক সেটার ইংরেজী অনুবাদ আর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতেন। তারপরে প্রিন্সিপাল স্যারও কিছুটা আলোকপাত করে অন্যান্য জরুরী বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখতেন। ইংরেজীতে দেয়া তার বক্তৃতা শুনতে আমার খুব ভালো লাগতো। আমাদের ক্লাসের জয়নুল আবেদীন (এখন অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল) আর আমিনুল হক (বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী শিপিং ব্যবসায়ী, নতুন সেনাপ্রধানের বড়ভাই আর ঢাকা উত্তরের নতুন মেয়রের ছোটভাই) খুব ভাল ক্বিরাত পাঠ করতে পারতো। এরা দু’জনেই বেশীরভাগ সময়ে মর্নিং এ্যসেম্বলীতে ক্বিরাত পাঠ করতো। তখন কেবলই আমার জীবনে ইংরেজীতে কথা বলা আর শোনার চর্চা শুরু হয়েছে। তাই এ্যসেম্বলীতে যেকোন ইংরেজী বক্তৃতা এবং প্রশ্নোত্তর খুব মনযোগ দিয়ে শুনতাম, আর কারো কারো পারদর্শিতা দেখে খুব বিস্মিতও হতাম। এখানে বলে রাখি আমাদের ইসলামিয়াত শিক্ষক জনাব হায়দার আলী স্যার ছিলেন সমগ্র কলেজের মধ্যে ইংরেজীতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বক্তা (তখনকার দুইজন ব্রিটিশ শিক্ষককে সঙ্গত কারণে এ হিসেবের বাইরে রেখে)। তিনি যেমন ছিলেন স্মার্ট, তেমনি ছিলেন অগাধ জ্ঞানের অধিকারী এবং একজন আপাদমস্তক ক্রিকেট অনুরাগী। তিনি চেইন স্মোকার ছিলেন। প্রতিদিন টীচার্স রুম থেকেই একটা সিগারেট ধরিয়ে তিনি আসতেন এবং ক্লাসে ঢোকার আগে বারান্দায় রাখা পাত্রে আধখাওয়া সিগারেটটা ফেলে তিনি ক্লাসে ঢুকে একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে তার অনর্গল বক্তৃতা শুরু করতেন। একজন ইসলামিয়াত শিক্ষকের এমন পরিচয় হয়তো অনেককেই চমকে দিবে, তবে তার সম্বন্ধে আরেকদিন বলা যাবে।

চলবে…

ঢাকা
২৫ জুলাই ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২

আরজু পনি বলেছেন:

বাহ ভালো সময়ে অনুসারিত ট্যাবটা রিফ্রেশ দিয়েই আপনার কথা পেলাম ।
পড়ি... তারপর মূল মন্তব্য করবো ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, তবে লেখাটা না পড়েই 'লাইক' দিলেন?

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

আরজু পনি বলেছেন:

হাহা One bad fish spoils the whole pond কথাটা পড়ার পর ক্লাস নাইনের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে... ।

আমরা দুবোনই আনিসুল হকের খুব ভক্ত ছিলাম অনেক কম বয়েস থেকেই । কিন্তু অনেক বড় হওয়ার পর জেনেছি উনি লেখক আনিসুল হক না..কী লজ্জার !
আজ আপনার লেখা থেকে সেই টিভি ব্যক্তিত্ব আনিসুল হকের ভাই আমিনুল হকের কথা জানলাম ।
দেখা যাক ইসলামিয়াত শিক্ষকের কথা পরবর্তীতে কী বলেন, অপেক্ষায় রইলাম ।
এবং অবশ্যই শুভকামনা রইল।
শুভরাত ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগ্রহ নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, আরজুপনি। পরবর্তী পর্বের জন্যও আগ্রহ প্রকাশ করায় প্রীত হ'লাম।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: ইসলামিক পোষ্ট লেখায় অনেক কিছু জানলাম বুঝলাম লেখা চালিয়ে যাবেন জেনে খুশি হলাম।পরবত্তীতে যে লেখা লেখতে চাইছেন সেটা যেন পড়ার সুযোগ যেন পাই।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, বাংলার ফেসবুক। কিন্তু স্মৃতিচারণমূলক এ লেখাটাকে কেন আপনি ইসলামিক পোস্ট বললেন, তা বুঝতে পারলাম না। অবশ্য সত্যিকারের ইসলামিক পোস্ট এর উপর আমার কোন বীতশ্রদ্ধা নেই।
পরবত্তীতে যে লেখা লেখতে চাইছেন সেটা যেন পড়ার সুযোগ যেন পাই -- পড়তে পারাটা তো একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছের উপর নির্ভর করবে। পড়ার সুযোগ পাওয়ার কথা কেন বলছেন, এটাও ঠিক বুঝতে পারলাম না।

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩০

আরজু পনি বলেছেন:
বাংলার ফেসবুক কী মন্তব্য করলেন আমিতো বুঝতেই পারছি না ...খালি হাসি আসছে...

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

আরজু পনি বলেছেন:

ওহ বলতে ভুলে গেছি, আমাদের বাসার পেছনে কয়েক ফুট দীর্ঘ জায়গা ছিল বাসা আর বাউন্ডারির মাঝে ওখানে মনের মাধুরী মিশিয়ে বাগান করার চেষ্টা করতাম...পেয়াজ ফুল নামে একটা গাছছিল আর গোলাপের বিভিন্ন প্রজাতির চাষ করার সে কি প্রাণান্ত চেষ্টা !
আপনার লেখা পড়ে মনে পড়ে গেল ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পাঠকেরা যখন লেখকের কোন লেখা পড়ে ব্যক্তিগত কোন স্মৃতি বা ঘটনার সাথে রিলেট করতে পারেন, লেখক তখন প্রীত হন।
অনেক ধন্যবাদ আরজুপনি, লেখাটা পড়ে আপনার ব্যক্তিগত স্মৃতি এখানে শেয়ার করার জন্য।

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৬

জুন বলেছেন: আপনার বাগান করা ও প্রথম হওয়ার কথা শুনে খুব ভাললাগলো। ছোট বেলা থেকেই আমার বাগান করার খুবই শখ। এখনো স্বপন দেখি একটুকরো জমিসহ একটি বাসার। ব্যাংকক থেকে তিন প্রকার প্ল্যান্ট কিনে নিয়ে দু দেশের চার জায়গায় ঘুরছি। বাইরে থেকে রুমে ঢুকেই প্রথম কাজ হচ্ছে তাদের পরিচর্যা।

সহজ সরল বৈঠকি গল্পের ভাষায় লেখা আপনার জীবন কাহিনী খুবই উপভোগ করছি। লিখতে থাকুন সাথে আছি।
+

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট বেলা থেকেই আমার বাগান করার খুবই শখ -- আপনার লেখাগুলো পড়ে ইতোমধ্যেই আমার মনে এ ধারণাটা পোক্ত হয়ে বসেছে যে আপনি একজন সংবেদনশীল বাগানি মানুষ। ফুল পাখি প্রকৃতি আপনার নিত্য অনুষঙ্গ। এ ছাড়াও আপনার লেখা পড়ে আপনাকে একটা সুখী প্রজাপতির মত আমার মনে হয়। ইচ্ছে মত উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে বেড়াতে পারেন। স্থায়ী হোক এ সুখ আপনার জীবনে!
লেখার প্রশংসা পেয়ে বরাবরের মতই প্রীত ও অনুপ্রাণিত। নিত্য উপস্থিতির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: সাফল্যের পূর্বশর্ত বোধকরি কঠোর তত্ত্বাবধানঃ

//কখনো কখনো তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সাথে বেশ নির্দয় আচরণও করতেন, তবে আমরা সবকিছু ভুলে গিয়েছিলাম যখন আমাদের হাউস প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলো।//

প্রিয় গ্রহের সাথে প্রিয় মানুষের হ্যাটের মিলঃ

//গ্রহটির বিশেষ সৌন্দর্য ছিলো স্যাটার্ন রিংস বা শনির বলয়। দূর থেকে প্রিন্সিপালের হ্যাট পরিহিত মাথাটা দেখলে স্যাটার্ন রিংস এর মতই মনে হতো।//

লম্বা, ফর্সা, ঋজু একজন মানুষের রাজসিক স্যালুটকে কল্পনায় আঁকতে চেষ্টা করলামঃ

// তিনি স্যালুটের জবাবে আঙুলের ডগা দিয়ে তাঁর হ্যাটটাকে সামান্য উঁচিয়ে ধরতেন।//

বড়ই সত্য কথা,কিন্তু লেখকের সাথে আমিও একমত,এটা বাস্তবায়ন করার মত লোকের আজ বড়ই অভাবঃ

//কর্ণেল আনসারীর একটা প্রিয় ও প্রায়োচ্চারিত বাক্য ছিলোঃ “One bad fish spoils the whole pond”//


ইসলামিয়াত শিক্ষক জনাব হায়দার আলী স্যারের যে পরিচয় আপনার লেখার মাধ্যমে পেলাম,তা সত্যি অবিশ্বাস্য।

//স্যার ছিলেন সমগ্র কলেজের মধ্যে ইংরেজীতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বক্তা (তখনকার দুইজন ব্রিটিশ শিক্ষককে সঙ্গত কারণে এ হিসেবের বাইরে রেখে)। তিনি যেমন ছিলেন স্মার্ট, তেমনি ছিলেন অগাধ জ্ঞানের অধিকারী এবং একজন আপাদমস্তক ক্রিকেট অনুরাগী।//

আপনার অনুপম লেখনির ছোঁয়ায় আপনার একান্ত শ্রদ্ধাস্পদ শিক্ষক ও বদরুল ভাইয়ের কথা জানতে পেরে ভাল লেগেছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখার এতটা মনযোগী পঠন আর সুচারু বিশ্লেষণের জন্য বরাবরই আপনার নিকট কৃতজ্ঞ বোধ করি, শামছুল ইসলাম।
সাফল্যের পূর্বশর্ত বোধকরি কঠোর তত্ত্বাবধান -- দ্বিমত হবার কোনই অবকাশ নেই।
অন্যান্য উদ্ধৃতিগুলোর সাথেও অত্যন্ত সুবিবেচিত মন্তব্য সংযোগ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা খুব ভালো হচ্ছে। প্রতিটা পর্ব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। শুনতে খুব ভালো লাগছে। আশা করি সামনের পর্বগুলোতে আপনার সামরিক জীবন, প্রশিক্ষনের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ, আপনি সময় করে লিখছেন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: টুপি খুলে আপনার প্রশংসাটুকু সাদরে গ্রহণ করলাম, কাল্পনিক_ভালোবাসা। আমার লেখার প্রতি আপনাদের আগ্রহ আমাকে নিষ্ঠার সাথে লিখে চলতে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
আশা করি সামনের পর্বগুলোতে আপনার সামরিক জীবন, প্রশিক্ষনের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন
অবশ্যই আমারও সেরকম ইচ্ছে আছে। তবে আমি খুব স্লো যাচ্ছি বোধহয়। এখন আপাততঃ যাকিছু মনে আসছে, তাই লিখে যাচ্ছি। পরে সময় নিয়ে সম্পাদনা করা যাবে।
সামরিক জীবনে অনেক উল্থান পতন প্রত্যক্ষ করেছি, স্বাধীনতা সংগ্রামটাও চোখের সামনেই ঘটে গেছে। আজ সমাজে এতই অস্থিরতা যে সত্যকথনে কোন না কোন পক্ষ আহত হবেনই, এবং তখন তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় না থাকলে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করা যায় না।

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সত্য বড়ই নির্মম এবং তা যে কোন একপক্ষের জন্য নির্ধারিত। ঘুরিয়ে বললে বলা যায়, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের সত্যগুলো চিরকালই কারো না কারো বিপক্ষে যাবেই। আফসোস, এই সত্যগুলোই কেউ মানে না।
এটাও সত্য, গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় না থাকলে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করা যায় না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে চাইলেও আলাপ করা যায় না।

শুভেচ্ছা জানবেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা, আমার বক্তব্যটুকু অনুধাবন করার জন্য। পরের পর্ব পরশুদিন পাবেন ইন শা আল্লাহ।

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কয়েকটা পর্ব মিস হয়েছে , কিছু মোবাইল থেকে পড়েছি তাই কমেন্ট করা হয় নি ।

সামরিক জীবনে অনেক উল্থান পতন প্রত্যক্ষ করেছি, স্বাধীনতা সংগ্রামটাও চোখের সামনেই ঘটে গেছে। আজ সমাজে এতই অস্থিরতা যে সত্যকথনে কোন না কোন পক্ষ আহত হবেনই, এবং তখন তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় না থাকলে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করা যায় না।


আপনি মুক্তিযোদ্ধা বা রাজাকারের অর্থানুকূল্যে কোন ফরমায়েশি ইতিহাস লিখছে না ।
আপনি সত্যে অবিচল থাকবেন এই কামনা রইল ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক দিন পরে আমার কোন লেখায় মন্তব্য করলেন, গিয়াস উদ্দিন লিটন। এতদিন রেগে ছিলেন নাকি কোন কারণে?
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। যদিও মন্তব্যটা আমার মূল লেখার উপরে নয়, একটা মন্তব্যের উপরে করা।
আমার লেখার শিরোনামটাই বলে দেয়, এখানে যা কিছু বলে চলেছি তা সবই একান্ত আমার কথা। জীবনের যে সময়ে এসে নিজের ছায়াকে প্রলম্বিত দেখতে পাচ্ছি, কেবলমাত্র তখনই অবসর মিলেছে জীবনে যা কিছু দেখেছি, শুনেছি, বুঝেছি- সেসবের উপরে নিজস্ব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আলোকপাত করা। আমার কথা আমি বলে যাচ্ছি, পাঠকেরা তা বিশ্বাস অবিশ্বাস কতটা করবেন, সেটা আমার বিচার্য্য নয়। প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব বুঝ বা বিবেক রয়েছে। সেটা প্রয়োগ করার দায়িত্ব পাঠকের নিজস্ব।

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

কাবিল বলেছেন: বলতে গেলে অনেকটা পাথরে ফুল ফোটানর মত, এটা সম্ভব হয়েছিল বদরুল ভাইয়ের নিষ্ঠা আর কঠোরতার করনে।
ফল সরুপ হাউস প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলেন। অনেক ভাল লাগলো।
জনাব হায়দার আলী স্যারের সম্বন্ধে জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এতটা আগ্রহ নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, কাবিল।
জনাব হায়দার আলী স্যারের কথা আর কয়েকটা পর্বের পর আরেকটু বিশদভাবে জানা যাবে।
আপনার এ পর্যবেক্ষণটা একদম ঠিক যে বদরুল ভাইয়ের নিষ্ঠা আর কঠোরতার কারণেই বাগান প্রতিযোগিতায় আমাদের হাউস প্রথম হতে পেরেছিলো।
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ইসলামিয়াত শিক্ষকের কথা শোনার আগ্রহ রইলো।
ভালো লাগলো পড়তে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইসলামিয়াত শিক্ষকের কথা আর কয়েকটা পর্বের পর আরেকটু বিশদভাবে জানা যাবে।
লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, অপর্ণা মম্ময়।

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

মানবী বলেছেন: আমি একজন ইসলামিয়াত শিক্ষককে পেয়েছিলাম, তিনি প্রথম দিন ক্লাসে ঢুকেই বোর্ডে লিখে ক্যালকুলাস পড়ালেন। তারপর নিজের পরিচয় দিয়ে জানালেন ক্যালকুলাস আর বিজ্ঞান তাঁর প্রিয় সাবজেক্ট। তাঁর কারনেই এসএসসি পরীক্ষায় "শিরক" সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে রবীন্দ্রনাথের কবিতা কোট করার দুঃসাহস করেছিলাম :-) তিনি ক্লাসে পড়ানোর সময় সেভাবেই আলোচনা করেছিলেন।

আপনার হায়দার আলী স্যারের কথা পড়ে আমার সেই শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের কথা মনে পড়লো। আপনার প্রথম প্রিন্সিপাল সম্পর্কে পড়ার আগ্রহ হয়তো এই সিরিজের সকল পাঠকেরই ছিলো প্রথম দু তিনটি পোস্ট পড়ার পর, এই পর্বে সেই সুযোগ হলো।

সুলিখিত পোস্টটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ইসলামিয়াত শিক্ষকের কথা জেনেও মুগ্ধ হ'লাম। এঁরা আলোকিত মানুষ, তাই এঁদের দৃষ্টিভঙ্গী, মন মানসিকতাও বেশ উদার হয়ে থাকে।
লেখাটা পড়ে আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, মানবী। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

সুলতানা রহমান বলেছেন: অনেক নিয়ম কানুন আপনাদের পালন করতে হয়েছিল। এখনো কি এইরকম ই আছে?
ভাল লেগেছে পড়ে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: নিয়ম কানুন তো কিছু ছিলোই, তবে সেসব ছিলো ইতিবাচক। আমাদের সময় যে মান ছিলো, তা হয়তো এখন আর বজায় রাখা সম্ভব নয়। তবুও আমি বলবো, এখনো এগুলো উচ্চমানের প্রতিষ্ঠান।
লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম, sultana rahman।

১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এত আগের সব কিছু কিভাবে মনে রেখেছেন? মনে হচ্ছে সব কিছুই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।

বাগান করার শখ আমারও আছে। দেশেও বারান্দার টবই ভরসা।

কিন্তু এখন দেশের বাইরের থাকার কারনে আমার পুরা বাড়ির সবখানেই ফুল গাছ লাগিয়ে ভরে ফেলছি। প্রতিদিনই কোন না কোন গাছ কিনে এনে লাগাই।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ফেরদৌসা রুহী।
আমার চার বছর বয়সের অনেক কথাও মনে আছে, যেগুলো শুনে মা এবং বড় ভাই বোনেরাও অবাক হয়ে যান। আমি আমার জীবনকে বড় বেশী ভালোবেসে ফেলেছি বোধহয়। তাই হয়তো স্মৃতিগুলোকে আঁকড়ে ধরে থাকতে পেরেছি। জীবনের কোন কিছুই ফেলনা নয়। তবে নিকট অতীতের অনেক স্মৃতিও বিলুপ্তির পথে। মনে হয় শুধু শৈশব কৈশোরের স্মৃতিগুলো চিরভাস্বর!
আপনার সাজানো বাগানটা পুষ্পে পল্লবে ভরে উঠুক, এই কামনা রইলো।

১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

কর্কট জাতক বলেছেন: লেখাটা পড়ছিলাম আর চার বছর আগেকার জীবনে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। মনে পড়ে যাচ্ছিলো সেই কলেজ জীবনের কথা। সেই হাউস, সেই প্যারেড, সেই আন্ত হাউস বিভিন্ন প্রতিযগিতা। ঐ সুশৃঙ্খল জীবম টাই অনেক ভালো ছিলো। আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। ইশ! যদি আবার ফিরে যেতে পারতাম !

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, কর্কট জাতক।
মন চাইলেও ঘড়ি কোনদিন উল্টোচক্রে চলবেনা।

১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: প্রতিটি পর্ব খুব ভাল লাগছে , পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা। প্রতিটি পর্ব খুব ভাল লাগছে জেনে খুশী হ'লাম। প্রতিটি পর্ব পড়ছেন দেখে খুব অনুপ্রাণিত বোধ করছি। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল ভাই।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমারও ভালো লাগলো এ কথা জানতে পেরে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রামানিক। মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।

১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

রাতুল_শাহ বলেছেন: হায়দার আলী স্যারের কথা চমকে উঠার মত। উনার সম্পর্কে জানার আাগ্রহটা বেড়ে গেল।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরবর্তী কোন পর্বে আরেকটু বিশদভাবে জানতে পারবেন বলে আশা করছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রাতুল_শাহ।

২০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগতো সৌরজগতের ষষ্ঠ গ্রহ (সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী) স্যাটার্ন এর ছবি দেখতে। গ্রহটির বিশেষ সৌন্দর্য ছিলো স্যাটার্ন রিংস বা শনির বলয়। দূর থেকে প্রিন্সিপালের হ্যাট পরিহিত মাথাটা দেখলে স্যাটার্ন রিংস এর মতই মনে হতো।// :)

ভালো লাগলো এপর্বটিও।

স্যালুট/সম্মান দেওয়া ও গ্রহণ করার মধ্যে অভিনবত্ব থাকতে পারে, ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু ভেতরের মানুষটিতে শ্রদ্ধা না থাকলে সবকিছুই কেমন যেন 'মেকি' মনে হয়। সেটি ঠিক থাকলে শুধু দৃষ্টি বিনিময়ের মধ্যেও শ্রদ্ধা বিনিময় হয়ে যায়।


ইসলামিয়াত শিক্ষক সম্পর্কে আরও চমকপ্রদ বিষয় জানার অপেক্ষায় থাকলাম। :)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্যালুট/সম্মান দেওয়া ও গ্রহণ করার মধ্যে অভিনবত্ব থাকতে পারে, ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু ভেতরের মানুষটিতে শ্রদ্ধা না থাকলে সবকিছুই কেমন যেন 'মেকি' মনে হয়। সেটি ঠিক থাকলে শুধু দৃষ্টি বিনিময়ের মধ্যেও শ্রদ্ধা বিনিময় হয়ে যায়।
আপনার এ চমৎকার পর্যবেক্ষণের সাথে পুরোপুরি একমত। মুগ্ধ হ'লাম, মাঈনউদ্দিন মইনুল।
ইসলামিয়াত শিক্ষক সম্পর্কে আরও কিছু কথা বলেছি কয়েক পর্ব পরে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২২

কালীদাস বলেছেন: ব্যাপক পাওয়ারফুল প্রিন্সিপাল দেখা যায়। সরকারি কোন কলেজে এই জমানায় হলে ছাত্র সংগঠনগুলো প্রিন্সিপালের চৌদ্দগুষ্ঠির সৎকার করে ফেলত :( আরবীর টিচার ব্যাপক স্মার্ট দেখা যায় B-)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: তখন প্রিন্সিপালদের হাতে অনেক ক্ষমতা ছিল। আবার ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয়, সেটা দেখারও ব্যবস্থা ছিল। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শৃঙ্খ্লা বজায় রাখা সহজ ছিল।
আরবীর টিচার ব্যাপক স্মার্ট দেখা যায় -- জ্বী, তিনি সেই সময়ের টীচিং স্টাফদের মধ্যে আমার দেখা স্মার্টেস্ট টীচার ছিলেন। তবে তিনি পড়াতেন ইসলামিয়াত এবং ইসলামের ইতিহাস, আরবী নয়।
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। পুরনো লেখায় নতুন পাঠক পেয়ে অনেক খুশী হয়েছি।

২২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
পড়েই চলেছি। ইসলামিয়াত শিক্ষক জনাব হায়দার আলী স্যারের বৈচিত্র্যময় জীবন ভাবিয়ে তুলল। স্মোকার, ভাল ইংরেজি বক্তা, স্মার্ট, ক্রিকেটীয় অনুরাগ সবমিলিয়ে কৌতূহল জাগানিয়া চরিত্র।


সিরিজ ভালো লাগছে। নেক্সট দিনে আরো ৫ টা পড়ব। শুভকামনা!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: জনাব হায়দার আলী স্যার ছিলেন আমার জীবনে পাওয়া একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। তবে সার্বিক বিবেচনায় নিঃসন্দেহে বেস্ট টীচার ছিলেন মিস্টার জেমস রজার সিম্পসন, যার কথা আমি "আমার কথা- ২৫, ২৬" এ বলেছি।
পুরনো লেখায় মন্তব্য পেয়ে নতুন করে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

২৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফেব্রুয়ারীর গ্যাপে অনেক কিছু মিস করেছি! অন্যতম মনে হেল এই সিরিজ!
ব্যাক ব্যঞ্চার থেকেই শুরু হোক! ;)

বুবু (কবি রাবেয়া রাহিম)র সাথে আপনার ছবি দেখলাম গতকাল :)

দারুন সিরিজে মুগ্ধতা

+++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, তবে তাই হোক! :)
আপনার বুবুর বইটা কিনতে সেদিন গিয়েছিলাম তার স্টলে। সৌভাগ্যক্রমে দেখাও হয়ে গেল। তিনি জানালেন, ওটাই শেষ দিনের মত তার বইমেলায় আসা, কারণ দু'দিন পরেই তিনি চলে যাবেন আমেরিকায়। কিছুটা সময় একসাথে কাটালাম। উনি ছবি তুলে নিলেন, আমিও তুললাম।
এতদিনে হয়তো তিনি ফিরে গেছেন তার আপন নীড়ে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: দ্বাদশ প্লাসটা পেয়েও ভীষণ অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

সোহানী বলেছেন: এরকম কড়া তদারককারীর কারনেইতো পুরস্কার জিতেছেন....হাহাহাহাহা

হাঁ অরিত্রির ঘটনার সাথে আপনার প্রিন্সিপাল স্যারের তুলনা করছি মনে মনে। তখনতো আর ফেইসবুক ছিলনা তাই জাতির (জনগণ) সব বিষয়ে ইন্টাফেয়ার করার সুযোগ ছিল না। সিদ্ধান্ত ছিল সৎ এবং নিরেপক্ষ। যাক, তুলনা করে মনটা ভারী করতে চাই না।

এরকম অনেক গুণী শিক্ষক সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছেন। আমরা ক'জনেকেই জানি।

ভালো থাকুন প্রিয় লেখক।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সিদ্ধান্ত ছিল সৎ এবং নিরেপক্ষ - হ্যাঁ, এটা একেবারে ঠিক কথা।
এরকম অনেক গুণী শিক্ষক সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছেন। আমরা ক'জনেকেই জানি - দুঃখজনক হলেও, এটাও সত্যি!
আমার কথা - ১২, আর আমার কথা - ১৩ পড়েন নাই বোধহয়?
অথবা পড়লেও ভাল লাগেনি! :)
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা----

২৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

সোহানী বলেছেন: আস্তাগফিরুল্লাহ!!!!! আপনার লিখা আর ভালোলাগবে না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

লাস্ট আট থেকে চেকরে দেখি পড়েছি। তারপর পরের মাসে ক্লিক করেছি..... মাঝে যে কয়টা বাদ পড়েছি তা খেয়াল করিনি। আবার ফিরে আসছি। ওওও একটা প্রফেশনাল সুখবর আছে আমার। কোন এক সময় শেয়ার করবো। তাই একটু আনন্দে আছি এ মূহুর্তে :`>

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রফেশনাল সুখবর টা শোনার জন্য অপেক্ষায় আছি। পদোন্নতি হয়েছে নিশ্চয়ই?
আনন্দের খবর ছড়িয়ে দিতে হয়, বেশীক্ষণ নিজের কাছে ধরে রাখতে নেই!! :)
পুনরায় এসে মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.