নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা -২৩

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

আমার কথা -২২ পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা -২২

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন
জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন আমাদের বাংলার শিক্ষক ছিলেন, তবে ইংরেজীতেও তাঁর বেশ ভালো দখল ছিলো। একইসাথে তিনি নজরুল হাউসের হাউস মাস্টারও ছিলেন। প্রতিদিন সিরিয়াসলী পড়াতেন না, কিন্তু যেদিন তাঁর পড়ানোর মুড আসতো, সেদিন তিনি পিন পতন নিস্তব্ধতার মাঝে গড়গড় করে লেকচার দিয়ে যেতেন। আমরা হয়ে থাকতাম তাঁর বিমুগ্ধ শ্রোতা। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, দ্বিজেন্দ্রলাল, গোলাম মোস্তফা, জসিম উদ্দিন প্রমুখ কবিদের লেখা থেকে তিনি প্রচুর রেফারেন্স টানতেন। তবে তিনি এক্সট্রা ড্রিল (ইডি) দেবার ব্যাপারেও মুক্তহস্ত ছিলেন, এজন্য আমার কিছু সতীর্থ তাঁকে খুব একটা পছন্দ করতোনা। তবে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ না করলেও তাঁর ক্লাসগুলোর প্রতি তাদের সীমাহীন আগ্রহ ছিলো। বাংলা পরীক্ষায় রচনাগুলোকে তিনি এমনভাবে নির্বাচন করতেন যেন মুখস্থ বিদ্যায় বেশী কাজ না হয়। যেমন, আমরা যখন নবম শ্রেণীতে পড়ি, তিনি রচনার বিষয় দিয়েছিলেন “গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ”। এই রবীন্দ্র সঙ্গীতটা তখনো পর্যন্ত আমার অজানা ছিলো। তখন তো আর গান শোনার ব্যবস্থাদি এত সুলভ ছিলোনা। আমাদের সম্বল ছিলো দুই বা তিন ব্যান্ডের একটা রেডিও বা টেপ রেকর্ডার। কারো কারো বাসায় অবশ্য একটা বড় ফিতেওয়ালা ঢাউস সাইজের ক্যাসেট প্লেয়ারও ছিলো। গানটি অপরিচিত হলেও একটা মোটামুটি সাইজের রচনা নিজ ভাষায় দাঁড় করাতে পেরেছিলাম। সপ্তম/অষ্টম শ্রেণীতে থাকতে স্যার মোটামুটি কমন রচনাই দিতেন, কিন্তু নবম শ্রেণীতে ওঠার পর থেকে শুরু হয় তার চোরাগোপ্তা হামলা। কি রচনা, কি গদ্য পদ্য, তাঁর প্রশ্নগুলো এমন থাকতো যে উত্তরগুলো নিজ থেকে বানিয়ে লিখতেই হতো। মাঝে মাঝে তিনি অফটপিক অনেক কিছু নিয়ে রসালো আলোচনা করতেন, যা স্বভাবতঃই ঐ বয়সে আমাদের আনন্দের খোরাক ছিলো। আমার মনে আছে, দেশের চিত্রনায়িকাদের সম্বন্ধে একবার তিনি মন্তব্য করেছিলেন, “সকালের মাখন বিকেলে খাওয়া যায় না”। বলাবাহুল্য, তাঁর এই মন্তব্যটা আমাদেরকে সে সময় ব্যাপক আনন্দ দিয়েছিলো।

স্বাধীনতার পরে কলেজে গিয়ে দেখি, আল আমিন স্যার হুইল চেয়ার নির্ভর, তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। একবার আমাদের কলেজে মির্জাপুরের এমপি জনাব ফারুক এসেছিলেন কোন একটা ব্যাপারে। তিনি খুব সুন্দর, কাব্যিক ভাষায় বাংলাতে একটা বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেকথা মনে আছে। একাডেমিক ব্লকের সামনের গোলচক্করটাতে দাঁড়িয়ে তিনি বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ আল আমিন স্যার হুইল চেয়ারে বসে খুব উত্তেজিত হয়ে কিছু একটা নিয়ে দাবী দাওয়া তুলেছিলেন। যতদূর মনে পড়ে, খুব সম্ভবতঃ তাঁর আহত হবার ব্যাপারটিকে তিনি glorify করতে চাচ্ছিলেন। জনাব ফারুক তাঁকে একটা কিছু তাৎক্ষণিক আশ্বাস দিলে তিনি শান্ত হন। পরে শুনেছি তাঁর মুক্তিযুদ্ধে আহত হবার ব্যাপারটা নিয়ে কিছু কানাঘুসা ছিলো। তিনি ভাইস প্রিন্সিপাল পর্যন্ত হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর শেষ জীবনটা তেমন সুখকর যাচ্ছেনা বলে জেনেছি।

জনাব হায়দার আলী
হায়দার আলী স্যার আমাদের ইসলামিয়াত পড়াতেন। তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ছিলেন। পোশাক পরিচ্ছদে অত্যন্ত পরিপাটি থাকতেন। চেইন স্মোকার ছিলেন। তবে তাঁর আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ছিল অনর্গল চোস্ত ইংরেজীতে বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতা। তিনি একজন ক্রিকেট পাগল ব্যক্তি ছিলেন। তৎকালীন পাকিস্তানের উঠতি অলরাউন্ডার আসিফ ইকবালের ভক্ত ছিলেন। ক্রিকেট সম্বন্ধে তাঁর আলোচনা শুনে শুনে আমার বদ্ধমূল ধারণা হয়েছিলো যে নিশ্চয়ই তিনি একজন ভালো খেলোয়ারও হবেন। কিন্তু একদিন ক্যাডেটস বনাম টীচা্র্স এর এক খেলাতে তাঁর খেলা দেখে আমি নিদারুণ হতাশ হয়েছিলাম। সেদিন দেখেছিলাম, তিনি আমারই মত আনাড়ি বই কিছু নন। সোমবারের (সপ্তারম্ভ) এসেম্বলীতে ক্বোরান তিলাওয়াতের পর তাঁর ব্যাখ্যাগুলো শুনতে খুব ভালো লাগতো। খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে তিনি বক্তৃতা করতেন। তিনি খুব একটা ইডি দিতেন না, তবে ক্লাসে তাঁর একটা হুঙ্কারই সবার পিলে চমকে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। তাঁর কন্ঠের পীচ খুব উচ্চ থাকতো। আমরা তাঁর ধমককে যমের মত ভয় পেতাম। ইসলামিয়াতে তিনি যেসব বিষয় পড়াতেন, সাধারণতঃ সেসব পাঠ্যপুস্তকে সাজানো অবস্থায় লেখা পেতাম না। এজন্য তিনি আমাদেরকে নিজের লেখা নোট দিতেন। সেগুলো পড়তে আমাদের দাঁত ভেঙ্গে যেতো। অবশ্য সেই সুবাদে আমাদের অনেকের ইংরেজী শব্দভান্ডার অত্যন্ত সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছিলো। মনে পড়ে আয়াতুল কুরসির উপরে তিনি একটা নোট দিয়েছিলেন, যা মুখস্থ করা ছাড়া আমাদের কোন উপায় ছিলনা। ক্বোরানের অর্থ ও ব্যাখ্যা পড়াতে গিয়ে তিনি প্রধাণতঃ Mohammed Marmaduke Pickthall এর The Meaning Of The Glorious Quran এবং আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলীর অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পড়াতেন। স্বাধীনতার পর কলেজে ফিরে গিয়ে আমরা আর তাঁকে পাইনি।

জনাব নূরুল ইসলাম
নূরুল ইসলাম স্যার আমাদের রসায়ন শিক্ষক ছিলেন। রসহীন এ বিষয়টাকে আমাদের কাছে আকর্ষক করে তুলতে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ছিলো। তিনি খুবই আন্তরিক একজন শিক্ষক ছিলেন। কর্ণেল আনসারীর আমলে তিনি অনেকটা চুপচাপ থাকতেন। কিন্তু উইং কমান্ডার কীয়ানি এসে তাঁকে কলেজের নানা কর্মকান্ডের একেবারে পুরোভাগে নিয়ে আসেন। তাঁর গভীর পর্যবেক্ষণ শক্তি ছিলো। ক্যাডেটদেরকে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতেন। অনেকের ব্যক্তিগত সুবিধা অসুবিধা সম্বন্ধে তিনি ওয়াকিফহাল থাকতেন। বিপদে আপদে তিনি নিরীহ ক্যাডেটদের পাশে এসে দাঁড়াতেন। হাউস মাস্টারের পাশাপাশি তিনি মেস ইন-চার্জ এর দায়িত্বও পালন করতেন। তিনি ক্লাসে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে আসতেন এবং যতক্ষণ না শেষ ছাত্রটিও তাঁর পড়া বুঝতে পারতো, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি পড়ানোতে ক্ষান্ত দিতেন না। একদিনে পড়া বুঝাতে না পারলে পরের দিনে তিনি অসমাপ্ত পাঠ পরিক্রমা থেকে পড়ানো শুরু করতেন। তাঁর প্রতিটি আচরণ স্নেহসুলভ ছিলো। স্যারের বাড়ী ছিলো তৎকালীন ময়মনসিংহ (বর্তমানে নেত্রকোনা) জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল দূর্গাপুর উপজেলায়। মনে পড়ে, তাঁর বাড়ী যেতে কংস নদী পার হতে হতো। অনেকদিন পরে যখন আমি ময়মনসিংহ সেনানিবাসে চাকুরীরত ছিলাম, তিনি একদিন আমার বাসায় এসেছিলেন। তখন তিনি আমার সাথে বন্ধুর মত আচরণ করেছিলেন। স্যার এখনও মনে হয় ধানমন্ডি এলাকায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত একটি ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলের কর্ণধার হিসেবে কর্মরত আছেন।

চলবে...


ঢাকা
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৮

প্রামানিক বলেছেন: শিক্ষক সম্পর্কে বর্ননা ভাল লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল ভাই।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামাণিক, আগামী দুটো পর্বেও আমার শিক্ষকদের সম্বন্ধে কিছু কথা থাকবে। বোরিং না লাগলে আশাকরি সেগুলোও পড়বেন।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনি/আপনারা যারা ক্যাডেট কলেজে পড়েছেন, যথেষ্ট মনোযোগ পেয়েছেন যোগ্য শিক্ষকদের কল্যাণে।

বাংলার শিক্ষকরা একটু মুডি না হলে বোধ হয় জমে না।

//কিন্তু যেদিন তাঁর পড়ানোর মুড আসতো, সেদিন তিনি পিন পতন নিস্তব্ধতার মাঝে গড়গড় করে লেকচার দিয়ে যেতেন। আমরা হয়ে থাকতাম তাঁর বিমুগ্ধ শ্রোতা।//

গৎবাধা মুখস্ত বিদ্যার চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এবং সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ সৃষ্টি করতে হলে, জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন স্যারের প্রশ্ন পদ্ধতি অতুলনীয় এবং আমার মনে হয়, আপনার আজকের লেখনীর পিছনে তার অবদান আছে।

//বাংলা পরীক্ষায় রচনাগুলোকে তিনি এমনভাবে নির্বাচন করতেন যেন মুখস্থ বিদ্যায় বেশী কাজ না হয়। যেমন, আমরা যখন নবম শ্রেণীতে পড়ি, তিনি রচনার বিষয় দিয়েছিলেন “গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ”।//

............

//গানটি/ অপরিচিত হলেও একটা মোটামুটি সাইজের রচনা নিজ ভাষায় দাঁড় করাতে পেরেছিলাম। //

খুব মজা পাচ্ছিলাম, হঠাৎ করেই ছন্দ পতন--মুক্তিযুদ্ধ কত অগণিত মানুষের জীবন তছনচ করে দিয়ে আমাদের জীবনকে সাজিয়ে দিয়ে গেছে।

//স্বাধীনতার পরে কলেজে গিয়ে দেখি, আল আমিন স্যার হুইল চেয়ার নির্ভর, তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা।//


.............।

//পরে শুনেছি তাঁর মুক্তিযুদ্ধে আহত হবার ব্যাপারটা নিয়ে কিছু কানাঘুসা ছিলো। তিনি ভাইস প্রিন্সিপাল পর্যন্ত হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর শেষ জীবনটা তেমন সুখকর যাচ্ছেনা বলে জেনেছি। //

আপনার ইসলামিয়াতের শিক্ষক(জনাব হায়দার আলী) আর আমাদের ইসলামিয়াতের শিক্ষকের মাঝে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
তার অনেক গুণাবলীর সাথে পরিচিত হলাম।

রসকসহীন রসায়নের শিক্ষক (জনাব নূরুল ইসলাম) - এর একাগ্র নিষ্ঠা, ভাল লেগেছেঃ

// একদিনে পড়া বুঝাতে না পারলে পরের দিনে তিনি অসমাপ্ত পাঠ পরিক্রমা থেকে পড়ানো শুরু করতেন। তাঁর প্রতিটি আচরণ স্নেহসুলভ ছিলো। //


একটা সময় পরে, শিক্ষকরা ছাত্রদের বন্ধু হয়ে যায়।

// অনেকদিন পরে যখন আমি ময়মনসিংহ সেনানিবাসে চাকুরীরত ছিলাম, তিনি একদিন আমার বাসায় এসেছিলেন। তখন তিনি আমার সাথে বন্ধুর মত আচরণ করেছিলেন। //

ভাল থাকুন। সবসময়।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাইকেল উইলিয়াম পিট স্যার যে সকল শিক্ষকগণকে নিয়োগ দিয়ে গিয়েছিলেন, তাদের প্রত্যেকেই একেকজন অত্যন্ত উচ্চমানের শিক্ষক ছিলেন।
আমার মনে হয়, আপনার আজকের লেখনীর পিছনে তার অবদান আছে। -- যথার্থই বলেছেন। নিঃসন্দেহে তা সত্য।
লেখাটার এমন সুচারু বিশ্লেষণে মুগ্ধ হ'লাম। 'লাইক' এর জন্যে ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

রাতুল_শাহ বলেছেন: নূরুল ইসলাম স্যারের সাথে একবার দেখা করে আসেন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ মাসের ১৪-১৬ তারিখে আমাদের কলেজে পুনর্মিলনী হবে। তখন সব শিক্ষকদের সাথে দেখা হবে ইন শা আল্লাহ!

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

জুন বলেছেন: আপনার শিক্ষকদের নিয়ে স্মৃতিচারণ সত্যি অসাধারন খায়রুল আহসান । এত দিন পরেও এসব খুটিনাটি মনে রেখে ডিটেইলস লিখছেন ন যা সত্যি বিস্ময়কর । অনেক অনেক ভালোলাগা । আপনার এই সিরিজটার জন্য অপেক্ষায় থাকি বলতে পারেন ।
+

স্যারের বাড়ী ছিলো তৎকালীন ময়মনসিংহ (বর্তমানে নেত্রকোনা) জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল দূর্গাপুর উপজেলায়। মনে পড়ে, তাঁর বাড়ী যেতে কংস নদী পার হতে হতো।
আমি একবার ্তিনদিনের জন্য সুসং দুর্গাপুর গিয়েছিলাম বেড়াতে । তখন বিশাল যে নদিটি পার হয়েছিলাম তার নাম সোমেশ্বরী । কিন্ত শীতকাল থাকায় কিছুটা হেটে হেটে পার হই ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় করে এলেন, পড়ে ভালোলাগার কথা জানালেন, আমার স্মৃতিশক্তির প্রশংসা করলেন এবং সর্বোপরি 'লাইক' এর তালিকার শীর্ষে নিজের নামটা রেখে গেলেন, এসবকিছুর জন্যই অন্তর থেকে ধন্যবাদ আর কৃ্তজ্ঞতা, জুন। বেশ কিছুদিন পর আমার কোন লেখায় আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। অবশ্য আমিও অনেকদিন যেতে পারিনি আপনার পাতায়।
আশাকরি নতুন বছরের শুভসূচনা হয়েছে আপনার জীবনে এবং বাকী বছরটাও যেন কল্যাণময় হয়। "নতুন বছরের প্রত্যাশা" নিয়ে নতুন বছরের শুভসূচনা লগ্নে একটা কবিতা লিখেছিলাম। কেমন লাগলো জানালে খুশী হবো।
পরের দুটো পর্বে একজন কিংবদন্তী শিক্ষকের কথা বলবো। ছবিও দেবো। আশাকরি তাঁর কথা জেনে আপনার খুব ভালো লাগবে।
এ বিজ্ঞাপনটা কেমন হলো, সেটাও জানাবেন, তখন ওটা পড়ে।
সোমেশ্বরী নদীর জল খুব স্বচ্ছ, মাছ খুব সুস্বাদু। আর নামটা বুকে ধরে রাখার মত। সত্যি, বাংলার নদীগুলোর নাম বাংলার কবি আর বাউলদের মতই কাব্যময়।



৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

জুন বলেছেন: আমার সীমাবদ্ধতাটি আশা করি বুঝতে পারবেন । সংসারী মানুষ , অসংখ্য কাজের ফাকে ফাকে আপনাদের সান্নিধ্যে এই ব্লগিং । এর মাঝে নিজেও কিছু লিখি টুকটাক । তারও একটা প্রস্ততি থাকে । যেমন আজ এংকরভাট নিয়ে লিখেছি তার জন্য অনেকদিন ধরে একটু একটু করে লিখে চলেছি স্মৃতি থেকে , মাঝে মাঝে নেটের সাহায্যও নিতে হয় । তাই অনেক সময় অনেক লেখা চোখের আড়ালে পরে যায় । এ আমার ইচ্ছাকৃত ত্রুটি নয় বলতে পারেন সময় স্বল্পতা ।
নতুন বছরের শুভ কামনা রইলো আপনার জন্যও ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী জ্বী, আপনার সীমাবদ্ধতাটির কথা বেশ বুঝতে পারি। আর সেজন্যই এই ব্লগে আপনার লেখার বিশাল সম্ভার দেখে, আর সহব্লগারদের পাতায় আপনার নিষ্ঠার সাথে করা মন্তব্যগুলো দেখ বিমোহিত হই, শ্রদ্ধায় অভিভূত হই।
এংকরভাট নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য রওনা হ'লাম।

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৫

আরজু পনি বলেছেন: আমিন স্যারের চোরাগুপ্তা হামলা পছন্দ হয়েছে বেশি।
শিক্ষর্থীদের যাচাই করার দারুন পন্থা!

হায়দার স্যারের অংশ ঠিক আছে, তবে নূরুল ইসলাম স্যারের অংশটা ভাবের চেয়ে শাব্দিক মনে হয়েছে বেশি।

আমি আগের পর্বটা মিস করে ফেলেছি...ওটা পড়ে নিব সুযোগ মতো (ইনশাহআল্লাহ)।
আপনি ময়মনসিংহ সেনাবাহিনীতে ছিলেন জেনে চমৎকৃত হলাম ।
অনেক শুভকামনা রইল ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পাকা চোখে সবই ধরা পড়ে। আপনি ঠিকই ধরেছেন।
ময়মনসিংহে একনাগাড়ে তিন বছর ছিলাম। ওখানকার তাজা তরি তরকারী এখনো মিস করি। ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে হেঁটে বেড়ানোর কথা প্রায়ই মনে পড়ে। কৃষ্ণা কেবিন এর মিষ্টি পছন্দের ছিল।
আশাকরি, "আমার কথা"য় ভবিষ্যতে কোন এক সময় ময়মনসিংহের আরো অনেক ডিটেলস থাকবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। 'লাইক' পেয়ে খুশী হয়েছি।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহা। শামছুল ভাইয়ের বলার পর তিনি আর আর কিছু বাকি রাখেন না ।
শিক্ষক নিয়ে একদিন আপনার সাথে কিছু কথা শেয়ার করব ।
এই পর্বও বরাবরের মত ভাল লেগেছে ।
শুভকামনা রইল।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই পর্বও বরাবরের মত ভাল লেগেছে -- জেনে খুশী হ'লাম।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, মাহমুদ০০৭।

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা। পরেরটাও শীঘ্রই পাবেন বলে আশা করি।
অপেক্ষায় থাকার কথা জেনে প্রীত হ'লাম।

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার বাংলা শিক্ষকের শিক্ষাদান পদ্ধতি ভালো লেগেছে। এরকমই হওয়া উচিত। গতানুগতিক শিক্ষার বাইরেও কিছু থাকা উচিত।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, অপর্ণা মম্ময়।
এরকমই হওয়া উচিত। গতানুগতিক শিক্ষার বাইরেও কিছু থাকা উচিত। -- জ্বী, ঠিক বলেছেন। এরকমটি করেছিলেন বলেই তো আজ কিছুটা লিখতে পড়তে পারছি।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮

রাবার বলেছেন: অনেক ঝামেলার মধ্যেও আপনার এই সিরিজটা পড়ি খায়রুল ভাই। খুব সুন্দর লেখা, পড়ে আরাম পাই। ++++

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক খুশী হ'লাম, রাবার। অনেক অনেক ধন্যবাদ। ++++ অনেক প্রেরণা দিয়ে গেলো।
এর পরেরগুলোও পড়বেন আশাকরি। সেখানে আমি আমার একজন কিংবদন্তী তুল্য শিক্ষকের কথা বলেছি।

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: "চোরাগোপ্তা হামলা" শব্দ চয়ন টা অসাধারণ হয়েছে । আমাদের স্কুলেও নবম-দশম শ্রেণীতে ইংলিশ প্যারাগ্রাফ/রচনাতে এমন চোরাগোপ্তা হামলা হতো ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, অদ্ভুত_আমি। লেখা পড়ে আপনার অভিজ্ঞতাটুকু শেয়ার করায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমাদের স্কুলেও নবম-দশম শ্রেণীতে ইংলিশ প্যারাগ্রাফ/রচনাতে এমন চোরাগোপ্তা হামলা হতো" - আপনি কোন স্কুলে পড়েছেন। সেই স্কুলের ইংরেজী শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা র'লো।

১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা :)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মনিরা সুলতানা।

১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ৯'৪৩ থেকে১১'১৫
একটানে আপনার সিরিজ শেষ করলাম
মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে।
শুভ কামনা :)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখানে "হ্যাটস অফ" এর কোন ইমোটিকন নেই। থাকলে ওটা খুঁজে বের করে এখানে বসিয়ে আপনাকে নিবেদন করতাম, এই দেড় ঘন্টা সময় আমার লেখায় ব্যয় করার জন্য। এই অভাবনীয় ধৈর্য্য প্রদর্শনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃ্তজ্ঞতা জানাচ্ছি।
২৬টার মধ্যে কোন তিনটে পর্বকে শীর্ষে রাখবেন, জানতে পারি কি?
মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে? অনেক, অনেক ধন্যবাদ। আমিও মুগ্ধ ও অভিভূত হয়ে গেলাম। শুভেচ্ছা জানবেন।
আমার মনে হয় আপনিই প্রথম, যিনি এই সিরিজটার সবগুলো পর্ব ইতোমধ্যে পড়ে ফেলেছেন।

১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি বলতে কি বলা কঠিন শীর্ষে কোন তিন টি রাখব ....
শুরুর দিনগুলির প্রস্তুতি তে খুজে পেয়েছি যেমন নিজের পরিবার কে ,অনিশ্চয়তার সময়ের পোষ্ট বুকে বেজেছে তেমনি
শিক্ষকদের পরিচয়ে অভিভূত হয়েছি তাদের যোগ্যতা এবং একাগ্রতায় সাথে নিজের শিক্ষকদের সাথে তুলনা করে হতাশ হয়েছি ততটাই । ধোবী ছেলেটার বিড়ম্বিত ভাগ্য আর স্টোর কীপারের ভালোবাসার ব্যর্থতা সুত্রে গাথা মনে হয়েছে
সদ্য বিবাহিত হাউস মাস্টার কাহিনীতে মজা পেয়েছি
কিয়ানী কে দেখার অসম্ভব ইচ্ছা ও আপনার লেখা পড়েই হয়েছে হুমায়রা কে ভালোবেসে ফেললাম
বাঙ্গালী ক্যাপ্টেন আনোয়ার কে শ্রদ্ধা ।
অনেক অনেক কিছু গুলিয়ে ফেলেছি :)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, মনিরা সুলতানা, এতটা যত্ন করে আমার প্রশ্নের জবাব দেবার জন্য, আপনার ভাষায় "অনেক অনেক কিছু গুলিয়ে ফেললেও! :)

১৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি অত্যন্ত দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমার এই সিরিজের পাঠকদের জ্ঞাতার্থে্ জানাচ্ছি যে আমার স্কুল-কলেজ জীবনের বাংলা শিক্ষক জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন স্যার আজ সকালে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। কিছুদিন আগে তিনি একটি ম্যাসিভ হার্ট এটাক এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ আল আরিফ বাংলাদেশ সরকারের একজন উপসচিব হিসেবে কর্মরত আছেন, তিনি একসময় সিলেট ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন।
আজ বা'দ এশা রমনা থানার নিকটস্থ রমনা মসজিদে তার নামাযে জানাজা অনুষিত হবে এবং তার পরে দাফনের উদ্দেশ্যে তার মৃতদেহ পৈত্রিক নিবাস জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।
আমি স্যারের রূহের মাগফিরাতের জন্য আপনাদের সকলের নিকট দোয়াপ্রার্থী। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাঁকে শান্তিময় ক্ববর দান করুন এবং রোজ হাশরের দিনে তাঁকে জান্নাত নসীব করুন!

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০০

সোহানী বলেছেন: আহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কেন কানাঘুষা? একটু কেমন যেন প্রশ্নবোধক মনে হলো?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটা খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছেন, বোঝাই যাচ্ছে।
সত্য কথা বলতে কি, স্যারের সেদিনের কথায় "আমিত্ব" একটু বেশীই ছিল, যা একজন নিবেদিত মুক্তিযোদ্ধার মুখে বেমানান। আর তাছাড়া স্থানীয়দের মতে, উনি মুক্তিযুদ্ধে গেলেও, গিয়েছিলেন একেবারে শেষের দিকে। পক্ষান্তরে, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের তৎকালীন বাংলার শিক্ষক জনাব শফিক উল্লাহ স্যার যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন একেবারে প্রথম দিকে। যুদ্ধের সারাটা সময় তিনি নিজে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে নবীন মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তিনি সম্মুখ সমরেও অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং একজন বেসামরিক ব্যক্তি হয়েও “বীর প্রতীক” খেতাব অর্জন করেছিলেন। তাঁর তুলনায় আমাদের আল আমীন স্যারের অবদান তেমন উজ্জ্বল ছিলনা।

১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি অত্যন্ত দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমার এই সিরিজের পাঠকদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে আমার স্কুল-কলেজ জীবনের রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক শ্রদ্ধেয় জনাব নূরুল ইসলাম স্যার আজ সকালে ইন্তেকাল করেছেন। ধানমন্ডি-১২এ তে অবস্থিত 'তাকওয়া মাসজিদে' আজ বাদ-জোহর তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হবার পর তিনি মিরপুর বুদ্ধিজীবি গোরস্তানে সমাহিত হন।

আমি স্যারের রূহের মাগফিরাতের জন্য আপনাদের সকলের নিকট দোয়াপ্রার্থী। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাঁকে শান্তিময় ক্ববর দান করুন এবং রোজ হাশরের দিনে তাঁকে জান্নাত নসীব করুন! এই দুঃখের সময়ে তিনি তার পরিবার পরিজনদের সহায় হউন এবং তাদের সুরক্ষা করুন!

পোস্টে তাঁর সম্বন্ধে যেটুকু বলেছি, তার সাথে স্মৃতির সম্ভার থেকে তুলে এনে আরও কয়েকটি কথা যোগ করতে চাইঃ
তিনি নিজে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তাই তিনি মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আগত ছাত্রদের প্রতি বিশেষ সহানুভূতিশীল ছিলেন। তিনি সাধারণতঃ নির্ধারিত সময়ের পাঁচ-দশ মিনিট আগেই তার লেকচার শেষ করতেন এবং শেষের ঐ সময়টুকুতে উদ্দীপনা এবং প্রেষণামূলক নানা বক্তব্য রাখতেন। তিনি অনেক ছোট ছোট জীবনমুখি গল্প বা ঘটনার উল্লেখ করতেন, সেসবে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় থাকতো। একটা উপদেশ তিনি প্রায়ই দিতেনঃ ‘Be a complete man, not just a scholar’। এই complete man বলতে তিনি ঠিক কী বুঝিয়েছিলেন, তা বুঝতে পেরেছি অনেক দিন পরে, তার জীবনের দিকে তাকিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.