নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ভূমিকম্প

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪

গতরাতে একটা লেখা শেষ করে ঘুমাতে যেতে একটু বেশীই রাত হয়েছিলো। দাঁত ব্রাশ করে বিছানায় যেতে যেতে রাত প্রায় দেড়টা। শোয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়ি। অধুনা ফজরের নামাজের সময় প্রায়ই আমার স্ত্রী আমাকে ডেকে দেন। আমি আগে উঠলে আমিও ওকে ডেকে দেই। আমার ডাকের ধরণটা একটু মাইল্ড, ওনারটা প্রয়োজনে বেশ ভায়োলেন্ট হয়, অনেকটা ভূমিকম্পের মতই, না উঠে পারা যায় না।

আজ শেষ রাতে মনে হচ্ছিলো উনি আমাকে মুখে কোন শব্দ না করে ডেকে দিচ্ছেন। অর্থাৎ গা ধাক্কা দিয়ে নামাতে চেষ্টা করছেন। কিছুটা বিরক্ত বোধ করছিলাম, আবার ওঠার তাগিদও ছিল মনে মনে। উঠতেই যখন হবে, তখন তাড়াতাড়িই উঠি, এই ভেবে বালিশটা থেকে মাথা তুলে দেখলাম, না আমার স্ত্রী তো আমাকে ধাক্কা দিচ্ছেন না। কিন্তু তখনো ধাক্কা খেয়ে চলেছি। চট করে বুঝে নিলাম, ভূমিকম্প হচ্ছে। অন্য সময় হলে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে দেখতাম,ফ্যানটা নড়ছে কিনা। অন্ধকারে সেটা করার উপায় নেই। ততক্ষণে আমার ঘুমন্ত স্ত্রীও টের পেয়ে উঠে গেছেন এবং ভূমিকম্প নামটা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে ফেলেছেন। তিনি একটা হুলুস্থুল কিছু করার পাঁয়তারা করছেন, এটা বুঝতে পেরে তাকে আস্তে করে একটু শান্ত থাকার কথা বললাম। নিজেও শান্তভাবে বিছানা ছেড়ে জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরে তাকালাম। কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকার। ঘড়িতে তখন সকাল পাঁচটা দশ। একটু পরেই দুই একজন মানুষের ক্ষীণ কন্ঠস্বর শুনতে পেলাম। নিমেষেই সেটা কলরবে পরিণত হতে থাকলো।

এর আগের কয়েকটা ভূমিকম্পের সময় আমিই প্রথমে হৈ চৈ শুরু করে সবাইকে নীচে নামার আহ্বান জানিয়েছিলাম। নিজেও চট করে মানিব্যাগটা আর সামনে যা পাই কিছু ঔষধ পকেটে পুড়ে আর ডাইনিং টেবিল থেকে একটা পানির বোতল নিয়ে দ্রুত সিঁড়ির দিকে ধাবমান হয়েছিলাম। কিন্তু আজ বড়ই আলস্যভরে নিয়তির কাছে আত্ম সমর্পণ করেছিলাম। স্ত্রীকে বারণ করেছিলাম ছেলে আর বৌ্দেরকে ডেকে তুলতে। উনি বারবার বীম খুঁজছিলেন, যেটার নীচে সবাইকে নিয়ে দাঁড়াতে পারেন। প্রয়োজনের সময় চিরচেনা জিনিসও খুঁজে পাওয়া যায় না। উনি জানেন যে এর আগের বারের ভূমিকম্পের পর আমি ইন্টারনেট ঘেঁটে একটু হোমওয়ার্ক করেছিলাম। তাই উনি বারবার জিজ্ঞেস করছিলেন যে কোথায় লুকোতে হবে। আমি বললাম, আর কিছু করতে হবেনা। উনি মনে করিয়ে দিলেন যে আমি এর আগেরবার বলেছিলাম, প্রথমবারের ভূমকম্পের কত মিনিট পরে যেন দ্বিতীয়টা আসে। উনি দ্বিতীয়টার জন্য তৈরী হচ্ছিলেন। ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখে তিনি আবার চীৎকার শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, আমাকে কিছুটা তিরস্কারের সুরেই জানালেন, আমাদের একতলা নীচের শাহীন সাহেবরা নেমেছেন, সিকিউরিটি গার্ডটা টর্চ হাতে সবাইকে নীচে নামার জন্য ডাকছে, আমার বন্ধু শহীদরা সপরিবারে নেমেছেন, তবুও আমরা কেন নামবোনা?

ততক্ষণে আমার মেজ ছেলে চোখ কচলাতে কচলাতে দুয়ার খুলে বের হলো। সে জানালো যে ধাক্কার চোটে তার ঘুম ভেঙ্গে গেছে। আমরা সবার উপরে ষষ্ঠ তলায় থাকি। সেখান থেকে সবাই মিলে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামাটাও বেশ সময়ের ব্যাপার। আমাদের নীচে নামা উচিত কিনা, আমার স্ত্রী চট করে ওর সাথে সে পরামর্শটা সেরে নিলেন। ওর থেকে কোন সাড়া না পেয়ে এবং আমাকে চরম নির্বিকার দেখে এ যাত্রায় তার আর বেশী কিছু করার ছিলনা। তিনি নামাজ পড়ে নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়লেন। ছোট ছেলেটা কিছুই টের পেলনা। ও সবার আগে বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে যায় বলে আমিও ওকে আর ডাকিনি। আমিও ফজরের নামাজ পড়ে নিয়ে ল্যাপটপটা অন করলাম, দেখি বন্ধুরা কে কি করছে বা বলছে! ভূমিকম্পের ব্যাপারে বিশ্ব কী বলছে।

এখন প্রশ্ন হলো, এবারে আমি কেন এতটা নির্বিকার থাকলাম? সন্দেহ নেই যে আজকের ভূমিকম্পের মাত্রাটা আগেরগুলোর চেয়ে অনেক বেশী ছিলো। তবুও এতটা প্রতিক্রিয়াহীন থাকতে পারলাম কী করে? আমি তো পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি, সামনে একটা বড় ধরণের বিপর্যয় আসছে। আজকেরটার মাত্রা নাকি রিখটার স্কেলে ৬.৭ ছিল। আর সামান্য একটু বেশী হলেই তো প্রচুর প্রাণহানি ঘটতো। তবে কি আমি এখন অদৃষ্টবাদী হয়ে গেছি? সত্যি সত্যি যেদিন ব্যাঘ্রমামা এসে হাজির হবেন, সেদিন কি এত কিছু ভাবার সময় দিবেন? তবে প্রাণ বাঁচানোর জন্য কিছু ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সামগ্রীর একটা কিটব্যাগ হাতের কাছে তৈ্রী রাখলে মন্দ হয়না। আমার মনে হয় সংসারের কর্ত্রীগণ এ নিয়ে অচিরেই একটা গবেষণা শুরু করে দিতে পারেন। কর্তাগণ তৈ্রী থাকতে পারেন, সেই কিটব্যাগ নিজে বহন করার জন্য। বিপদে হায় হায়, কেহ কারো নয়। কোথায় পাবেন ভৃত্য সে সময়ে?

ঢাকা
০৪ জানুয়ারী ২০১৬
সকাল পাঁচটা পঞ্চান্ন।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭

আরজু পনি বলেছেন:
কিন্তু তখনো ধাক্কা খেয়ে চলেছি। চট করে বুঝে নিলাম, ভূমিকম্প হচ্ছে।

টিভিতে এতোক্ষণ ভূমিকম্পের খবরই দেখলাম । এখন ব্লগের প্রথম পাতায় চোখ রাখলাম ভুমিকম্পের কথা পড়তে ।

গতরাতে আপনার পোস্ট থেকেই অনেক রাতে বিদায় নিয়েছিলাম, তারপর আরো দেরী হয়েছে ঘুমাতে...কিন্তু এর মধ্যেই দেখি কেউ পুরো খাট ধরে ঝাকাচ্ছে ! মুহুর্তে ফ্যানের দিকে চেয়েই বুঝে গেছি কী হচ্ছে...বাচ্চাদেরকে আগে বগলদাবা করে মোটা পিলারের দিকে গেলাম, ততক্ষণে ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা নেমে গেছে...১১ তলা থেকে নামার কোন মানে দেখি না...করার কিছু নেই ।
তবে ইদানিং প্রতিবার ভূমিকম্পের সময় নিজেকে রানা প্লাজার সেই সময়ের ভূক্তভোগী কেউ মনে হয় !

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ১১ তলা থেকে নামার কোন মানে দেখি না...করার কিছু নেই । -- তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়েই অনেক সময় বিপদ ঘটে।
Que Sera, Sera!
তবে প্রাণ বাঁচানোর জন্য কিছু ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সেই কিটব্যাগটা হাতের কাছে তৈ্রী রাখতে ভুলবেন না যেন।
লেখাটা পড়া, মন্তব্য আর 'লাইক' করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আরজুপনি।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
এর পরেরবার ভূমিকম্প হলে নামবেন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, আপনার এই ছোট্ট কথাটা মনে থাকবে, এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা।
অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

প্রামানিক বলেছেন: আপনার লেখা পড়লাম। ঐ সময় বুদ্ধি থাকে না, কি করতে হবে বুঝে উঠা মুশকিল হয়।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঐ সময় বুদ্ধি থাকে না, কি করতে হবে বুঝে উঠা মুশকিল হয়। -- ঠিকই বলেছেন, প্রামানিক। আর এ কারণেই প্রাণহানির সংখ্যাটা অনকটা বেড়ে যায়।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বেশ বড় সর ঝাকুনি দিয়ে গেল!

মনে হচ্ছিল কলো কেউ দোল দিচ্ছে!!!!!

পোষা বেড়ালটাও অস্থির ভাবে ঘুরছিল মিউ মিউ করছিল< দীরে সুস্থে সবাইকে নিয়ে নীচে নেমে গেলাম। আফটার শক যদি ঘটে! বেশ কিছুক্ষন থেকে আবার উঠে এলাম!

আমাদের সতর্ক যা হবার তাকি হচ্ছি?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের সতর্ক যা হবার তাকি হচ্ছি? -- মোটেই না। এমনি করেই একদিন হয়তো সত্যিকারের বাঘ এসে আমাদের খেয়ে ফেলবে।
দীরে সুস্থে সবাইকে নিয়ে নীচে নেমে গেলাম। আফটার শক যদি ঘটে! -- খুবই ভালো কাজ করেছেন।
আমার এই লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, বিদ্রোহী ভৃগু।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

অন্য কথা বলেছেন: আমার ঘুম ভেংগেছে ৪:৪৯মি: । বিছানায় শুয়ে ফেসবুকে চোখ বুলাচ্ছিলাম । ৫:০৪মিনিটে হঠাৎ ঝাঁকুনি শুরু। ছাদে তাকিয়ে দেখলাম পিলারের নীচেই শুয়েছি। কিন্ত ঝাঁকুনিটা অস্বাভাবিক রকমের । উঠে গিয়ে বারান্দায় দিয়ে ঝিল পাড়ের ৮ তলা বিল্ডিং এ তাকালাম। বিল্ডিং যত বড় ঝাঁকুনি উপড়ে তত বেশি অনুভূত হবে। তার উপর ঝিল পাড়ের বিল্ডিং। মানুষের কি আর্তচিৎকার। ১৮-১৯ তলা বিল্ডিং এর মানুষগুলোর কি অবস্থা হয়েছিলো কে জানে। কলেমা শরীফ পড়তে থাকলাম। মানুষের পাপ যেভাবে বেড়ে চলেছে মনে হলো কেয়ামত আসার বেশী দেরি নাই।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: কলেমা শরীফ পড়তে থাকলাম -- খুবই ভালো কাজ করেছেন।
আমার যে বাড়ী, সেটাও মাটি ভরাট করে পাইলিং করে বানিয়েছে ডেভেলপার। তাই ভয়ে ভয়ে থাকি সব সময়।
আমার লেখায় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, অন্য কথা। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন।

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

ধমনী বলেছেন: আল্লাহ রক্ষা করুক সবাইকে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমীন!

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

টোকাই রাজা বলেছেন: আমার তো মনে হয়, এখনও ভুমিকম্প হচ্ছে, তবে ব্লগে। B-)
আল্লাহ সবাইরে হেফাজত করুক।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার তো মনে হয়, এখনও ভুমিকম্প হচ্ছে, তবে ব্লগে -- ব্লগে চলুক, অসুবিধে নেই, টোকাই রাজা।
আমীন!

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনি স্বাভাবিক ছিলেন এটা বড় কথা তবে তার পাশাপাশি একটু সচেতন থাকাটাও জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় মানুষ অস্বাভাবিক হয়ে তার চেয়ে বড় বিপদ ডেকে আনে। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আল্লাহ পাক সবাইকে রহম করুক। সবাই সুস্থ ভাল থাকুক এমন প্রার্থনা করি আল্লাহ পাকের কাছে

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি স্বাভাবিক ছিলেন এটা বড় কথা তবে তার পাশাপাশি একটু সচেতন থাকাটাও জরুরী। -- জ্বী, চমৎকার বলেছেন কথাটা। সচেতন তো অবশ্যই থাকতে হবে। সেজন্যই তো কিটব্যাগ রেডী রাখতে বলেছি।
আল্লাহ পাকের কাছে আপনার প্রার্থনার সাথে কন্ঠ মেলাচ্ছি, আমীন!

৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

রিকি বলেছেন: বিপদে হায় হায়, কেহ কারো নয়। কোথায় পাবেন ভৃত্য সে সময়ে?

পরম সত্য কথা। :(

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: উদ্ধৃতিটুকুর জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখাটা লাইক করেছেন দেখতে পেয়ে খুব খুশী হ'লাম, রিকি।

১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

জনম দাসী বলেছেন: সালাম ভাই সাহেব, স্ত্রী ধাক্কা না দিলেও ধাক্কা খাওয়া যায়, এ কোন স্ত্রী ভাই যে সবাইকে ধাক্কা দিয়ে গেল। ভাল থাকুন ভাই সাহেব সব সময়।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
যিনি এ ধাক্কাটা দিয়েছেন, তিনি আমাদেরকে ভালোবেসেই কোন ক্ষয়ক্ষতি না করে ধাক্কা দিয়ে গেছেন, যেন আমরা সচেতন হতে পারি। সমাজ জীবন থেকে সকল অনাচার দূর হোক!
অনেকদিন পর আমার কোন লেখা পড়ে মন্তব্য করলেন বলে খুব খুশী হ'লাম, জনম দাসী।

১১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: এই অল্প সল্প ভয় দিয়ে ভূমিকম্প কি আমাদেরকে রিহারসেল করাচ্ছে ? কেউ জানিনা আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে ।
আমরা সবাই যেন ভাল থাকতে পারি এটাই কামনা । ভাল থাকুন সব সময় ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, দৃষ্টিসীমানা। 'লাইক' পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
আমার কেন জানি মনে হয়, অচিরেই বাংলাদেশে একটা বড় ধরণের ভূমিকম্প হবে। যেমন ধরুন, আজকেরটা ছিল আমার জীবনে অনুভব করা সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। এর পরেরটা হয়তো হবে এর চেয়েও বড়। তাছাড়া আল্লাহতা'লা তার বান্দাদেরকে যথেষ্ট সাবধান না করে সাধারণতঃ শাস্তি দেন না। তাই এগুলোকে ওয়ার্নিং হিসেবে নিয়ে সেভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করাটাই শ্রেয়ঃ।

১২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

আবু শাকিল বলেছেন: আজকে ভূমিকম্প জানান দিয়ে গেল ।পরের বার ১১ তলা থেকে নামতে হবে ।
সাবধান !

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরের বার ১১ তলা থেকে নামতে হবে -- আপনি ঠিকই বলেছেন, আবু শাকিল। তবে এটাও স্মরণ রাখতে হবে যে এ যাবত আমাদের দেশে ভূমিকম্পে যত না লোক মারা গেছে, ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে গিয়ে হুড়োহুড়ি করে পদতলে পিষ্ট হয়ে মারা গেছে তার চেয়ে বেশী।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আমার অবস্থা কাহিল ১৪ তলা থেকে নামব কি করে। এত উপরের ঝাঁকুনি এখনো আমি অসুস্থ বোধ করছি। ধরে নিয়েছিলাম মনে হয় জীবন শেষ এখানেই। আজ থেকে আবার নতুন জীবন শুরু। সবাই ভাল থাকুক।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবাই ভাল থাকুক -- তাই যেন হয়, মাহবুবুল আজাদ!
আমার জীবদ্দশায় দেখা এটা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন।

১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার ডাকের ধরণটা একটু মাইল্ড, ওনারটা প্রয়োজনে বেশ ভায়োলেন্ট হয়, না উঠে পারা যায় না।

লাইনটাতে বেশ মজা পেলাম =p~

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম, হিউমারটা বোধহয় মাঠে মারা গেল। কিন্তু না, আপনি ঠিকই সেটা উদ্ধার করলেন।
আপনার চমৎকার রসবোধ দেখে মুগ্ধ হ'লাম, গিয়াস উদ্দিন লিটন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। নতুন বছরের শুভেচ্ছা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.