নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
"আমার কথা -২৫" পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ
আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ
আমরা যখন প্রথম কলেজে যোগদান করি, তার মাত্র কয়েক মাস আগে জনাব মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এমসিসিতে যোগদান করেছিলেন। মাহতাব স্যার তখন ছিলেন সদ্য ভার্সিটি থেকে বের হওয়া একজন তরুণ শিক্ষক। তাঁর বাড়ী ছিল রাজশাহী এলাকায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি অঙ্ক শাস্ত্রে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে আমাদের কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি একজন অমায়িক মানুষ ছিলেন, অত্যন্ত নিরীহ, নির্বিরোধ, শান্তশিষ্ট প্রকৃতির ছিলেন। ক্লীন শেভড মুখের তাঁর উজ্জ্বল ফর্সা চেহারাটা খুব সহজেই লাল হয়ে যেত, রাগে নয়, আমাদের মত নিরীহ প্রজাতির ক্যাডেটদের সামান্য দুষ্টুমিমাখা জোকস শুনেও। তিনি খুব পরিপাটি পোষাক পরিধান করতেন, পড়াতেন খুব আন্তরিকতা সহকারে। যতক্ষণ পর্যন্ত না অংকের ক্লাসে অঘা মার্কা ছাত্রটিও অঙ্কটা বুঝতে পারতো, ততক্ষণ পর্যন্ত বুঝাবার ব্যাপারে তিনি দমার পাত্র ছিলেন না। অমনযোগী কিংবা কিংবা অংকে অনুৎসাহী কারো কারো মুখে ব্ল্যাঙ্ক লুক প্রত্যক্ষ করে তিনি বলতেন, “কি! বোঝা গেলোনা?” বলে আবার তিনি প্রথম থেকে বোঝাতে শুরু করতেন। রাজশাহীর আর সবার মত তাঁর কথায়ও আঞ্চলিকতার টান ছিলো, তবে তাঁর সরলতার কারণে এ নিয়ে কখনো আমরা তাঁর লেগ পুল করতাম না। কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন এবং তাঁর সদ্য বিবাহিতা সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে এসে কলেজ ক্যাম্পাসে বসবাস শুরু করলেন। যেহেতু স্যারদের পরিবারের সাথে আমাদের যোগাযোগের কোন উপায় ছিলোনা, সেহেতু দূর থেকে শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর টার্ম এন্ড ডিনারগুলোতে দেখেই আমরা এই দম্পতি যুগলকে কপোত কপোতী হিসেবেই ভাবতাম। ম্যাডামকে দেখে সহজেই ধারণা করা যেত যে তিনি একজন সুশীলা, স্নেহশীলা রমণী ছিলেন। দেশ স্বাধীন হবার পর যখন অনেক কয়টা আসন খালি হলো, তখন একাদশ শ্রেণীতে আমাদের ক্লাসে ১৫/১৬ জন নতুন ক্যাডেটকে নেয়া হয়। সেই দলে স্যারের এক শ্যালকও ছিলো। পরবর্তীতে আমাদের সেই নতুন ব্যাচমেটের সুবাদে ম্যাডামের আরো বহু গুনের কথা জেনেছিলাম। এখানে বলে রাখি যে মাত্র দু’ বছরের জন্য ভর্তি হওয়া এই ১৫/১৬ জন ক্যাডেটকে আমরা কলেজে বহুভাবে হেনস্থা করেছি। তাদেরকে আমরা হাফ ক্যাডেট বলতাম এমনকি প্রথম ক’দিন হাল্কা র্যাগিং ও করেছিলাম। আমাদের মাঝে একজন মেডিকেল অফিসার সেজে তাদের মেডিকেল টেস্টও নিয়েছিলো। পরে এ নিয়ে হাস্য কৌতুকের কোন অন্ত ছিল না। কিন্তু দলগতভাবে তারা খুব রিসিলিয়েন্ট ছিলো। ফলে দ্রুতই তাদের আর আমাদের মূল ক্যাডেটদের মাঝে যেটুকু ব্যবধান ছিল তা ঘুচে যেতে থাকে আর তারা আমাদের দলে মিশে যেতে থাকে। আজ পেছনে তাকিয়ে আমার স্বীকার করতে এতটুকু দ্বিধা নেই যে দল হিসেবে তাদের cumulative মান আমাদের, অর্থাৎ অরিজিনাল ক্যাডেটদের চেয়ে মোটেই কম ছিলনা, বরং হয়তো একটু বেশীই ছিলো। সে কারণেই আমাদের মতই তাদেরও অনেকেই আজ স্ব স্ব পেশায় আপন মহিমায় দীপ্যমান।
পেশাগত জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মাহতাব স্যার এমসিসি’র প্রিন্সিপাল পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। ১৯৯৮/৯৯ সালের দিকে এক প্যারেন্টস’ ডে তে তিনি আমাকে দেখে তাঁর অফিসে ডেকে নিলেন এবং বল্লেন, পুত্র আর ছাত্ররা কোনদিন পিতা আর শিক্ষকের কাছে বড় হয়না। আসো, আজ তোমাদের ছোটবেলার সম্পর্কে কিছু কথা বলি। এই বলে তিনি আমাদের ক্লাসের কে কোথায় আছে তা জানতে চাইলেন। বিশেষ করে তিনি আমাদের ক্লাসের অঙ্কের দিকপাল সালেহ আহমেদ তানভীরের সম্বন্ধে জানতে চাইলেন। এখানে বলে রাখি, তানভীর ছিলো আমাদের ক্লাসের এক অনন্য সাধারণ প্রতিভা। যে বোর্ডের কোন পরীক্ষাতেই প্রথম না হলেও আমরা, তার ব্যাচমেটরা মানি এবং তার শিক্ষকেরাও একবাক্যে মেনে নেবেন যে তানভীর এমসিসি’র সর্বকালের এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ মেধাবী ক্যাডেট। নবম দশম শ্রেণীতেই দেখতাম অঙ্ক স্যারেরা কোন কঠিন প্রসঙ্গ এলে তানভীরের সাহায্য কামনা করতেন, আর একাদশ দ্বাদশ শ্রেণিতে তো এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটতো। তানভীর অনেক সময়েই স্যারদের ভুল ধরিয়ে দিত বিনয়ের সাথে, স্যারেরাও যুক্তি তর্কে হেরে গিয়ে তানভীরকে ক্রেডিট দিতে কসুর করতেন না। এর আগের পর্বে বলেছি, তানভীর বর্তমানে ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর হিসেবে কর্মরত। ও ২০০৫-০৬ সালে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের Institute For Mathematics Sciences এ ভিজিটিং ফেলো হিসেবে কাজ করেছিলো। ও আমাকে জানিয়েছে যে আমরা যখন কলেজ ছেড়ে চলে আসি, তখন মাহতাব স্যার তাকে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন, “তোমার ভবিষ্যৎ সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করি। তোমার যেকোন সাফল্যে আমি তোমার শিক্ষক হিসেবে সারাজীবন গর্ব বোধ করবো” (বা এ ধরণের কিছু কথা)। তানভীর এখনো সে কথা স্মরণ করে, এবং আমার কাছে মাহতাব স্যারের অবর্তমানে তাঁর পরিবারের বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে জানতে চায়।
জীবনের শেষ ক’টা দিন মাহতাব স্যার ঢাকা সিএমএইচের শয্যায় শুয়ে অনেক অশ্রুপাত করতেন বলে তখন ঢাকায় থাকা আমার বন্ধুদের কাছে শুনে আমি খুব ব্যথিত হয়েছিলাম। আমি তখন ঢাকার বাইরে কর্মরত ছিলাম। তাঁর এক ছেলে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলো। ঢাকা সেনানিবাসে সেনাসদরে উচ্চপদে কর্মরত আমার এক ব্যাচমেটকে প্রায়ই মাহতাব স্যার ডেকে নিতেন আর তাঁর দুঃখের কথা বলতেন। তিনি মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এ রোগটা একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে সনাক্ত হয়েছিল। আমার সেই বন্ধু আমাকে জানিয়েছিল যে সে যতবার সিএমএইচে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলো, ততবারই সে ম্যাডামকে তাঁর শয্যাপাশে ভেজা চোখে দেখতে পেয়েছে। কপোত কপোতীর কথা আগেই বলেছি। কথাটা শুনে আমার সেদিন ব্যাধের শরবিদ্ধ হয়ে গাছ থেকে পুরুষ পাখিটি পড়ে যাওয়া আর তার বিহনে তীব্র বেদনায় জোড়া পাখিটার আকুল ক্রন্দন এবং শোকাহত হয়ে ক্রন্দনরত অবস্থায় মৃত্যুবরণের কথা মনে হয়েছিল, যা দেখে রামায়ন রচয়িতা বাল্মিকি ব্যাধকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। আমার সে বন্ধুটি তার প্রভাব খাটিয়ে স্যারের ছেলেকে ঢাকায় বদলী করিয়ে এনেছিলেন, যেন এর ফলে স্যারের লজিস্টিক সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়। যাহোক, রোগ দেরীতে সনাক্ত হবার কারণে স্যারকে খুব বেশীদিন হাসপাতেলের শয্যায় কাটাতে হয়নি। আল্লাহ এই সহজ সরল ভালো মনের মানুষটিকে ক্ববরে ও আখেরাতে শান্তিতে রাখুন, অন্তর থেকে এই দোয়া করে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আজকের এই পর্বটা এই একজন মাত্র শিক্ষকের কথা দিয়ে এখানেই শেষ করছি।
চলবে…
ঢাকা
১৭ অক্টোবর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, মাহবুবুর রহমান শিমুল। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০১
ডি মুন বলেছেন: যতক্ষণ পর্যন্ত না অংকের ক্লাসে অঘা মার্কা ছাত্রটিও অঙ্কটা বুঝতে পারতো, ততক্ষণ পর্যন্ত বুঝাবার ব্যাপারে তিনি দমার পাত্র ছিলেন না। ---------------------- মাহতাব স্যারের মত যত্নশীল শিক্ষক যদি সবাই হতেন।
নতুন ক্যাডেটদের হেনস্থা করার কথা পড়ে মজা পেয়েছি। যদিও বিষয়টা তাদের জন্যে নিঃসন্দেহে বিড়ম্বনার ছিল।
মাহতাব স্যার ভালো থাকুন না ফেরার দেশে।
আপনার স্মৃতিচারণ ভালো লাগল।
ভালো কাটুক আপনার অখণ্ড অবসর।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মনোযোগী পাঠ আর সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, ডি মুন।
নতুন ক্যাডেটদের হেনস্থা করার কথা পড়ে মজা পেয়েছি। যদিও বিষয়টা তাদের জন্যে নিঃসন্দেহে বিড়ম্বনার ছিল।
হ্যাঁ, সেই মুহূর্তে ব্যাপারটা তাদের জন্য বেশ বিড়ম্বনারই ছিল, তবে পরে ওরাও সেটা বেশ উপভোগ করেছে এবং অনেকের অভিনয়ের প্রশংসা করেছে।
আপনার প্রোফাইল ছবিতে বাঁ চোখটাকে কি জোর করে খোলার চেষ্টা করে চলেছেন? নাকি কোন কিছুতে ফোকাস আনতে চাচ্ছেন?
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আমিন। ভারাক্রান্ত করেই দিলেন...। শিক্ষা ও শিক্ষক নিয়ে কত নোংরা সব লেখা অনলাইনে দেখি। আপনার লেখাটি আশার আলো গো ... বড় ভাল লাগে, শিক্ষকদের এভাবে মূল্যায়ন হতে দেখে। বড় ভাল লাগে।
আপনাকে ধন্যবাদ, জনাব।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বড় ভাল লাগে, শিক্ষকদের এভাবে মূল্যায়ন হতে দেখে। বড় ভাল লাগে। -- আমার এ সামান্য স্মৃতিকথা আর শ্রদ্ধাঞ্জলি আপনার 'বড় ভালো লেগেছে' জেনে অনুপ্রাণিত বোধ করছি, অন্ধবিন্দু।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২
টয়ম্যান বলেছেন: ভাই আপনার এই সিরিজটা খুব ভালোলাগে । নেটের প্রবলেমে নিয়মিত পড়ার সুযোগ পাই না । স্যারের কথা শুনিয়া খুব খারাপ লাগছে । আল্লাহ তাকে বেহেশতনসীব করুন ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: স্যারের জন্য দোয়া করার জন্য ধন্যবাদ। আমার এই সিরিজটা আপনার খুব ভালো লাগে জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম, টয়ম্যান।
৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩২
প্রামানিক বলেছেন: এপর্বও ভাল লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: পর্ব গুলো নিয়মিতভাবে পড়ে যাবার এবং সেই সাথে ভালো লাগার কথা জানিয়ে যাবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, প্রামানিক।
৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮
জুন বলেছেন: শেষে এসে অত্যন্ত ব্যথিত হোলাম খায়রুল আহসান।
এখনকার কিছু কিছু শিক্ষকদের বেনিয়া আচরন দেখে অবাক হই। ক্লাসে এসে প্রথমদিনই তাদের কোচিং সেন্টারের ঠিকানা সম্বলিত কার্ড বিলি করে ছাত্র ছাত্রীর কাছে। আর সরাসরি বলে বাকিটা কোচিং এ এসে বুঝে নিও। আপনার শিক্ষকদের নিয়ে সত্যি গর্ব করার মত।
লিখতে থাকুন। পড়ছি নিয়মিতই।
+
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: লিখতে থাকুন। পড়ছি নিয়মিতই -- পড়ার জন্য ধন্যবাদ, জুন, এবং মন্তব্যের জন্যও। তবে এর আগেরটা, অর্থাৎ "আমার কথা-২৫" এ আপনার কোন মন্তব্য নেই। এই সিরিজের সম্ভবতঃ ওটাই একমাত্র পর্ব যেটাতে আপনার কোন মন্তব্য নেই। তাই ওটা কেমন লেগেছে জানালে খুশী হবো।
আমার শিক্ষকভাগ্য অত্যন্ত ভালো ছিল। তাই হয়তো আমি আমার দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করে আজ জীবনের অখন্ড অবসরে আমার কথাগুলো এভাবে আনন্দের সাথে লিখে যেতে পারছি।
তাঁরা সবাই আমাদেরকে "ভালো মানুষ" হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন, উজ্জ্বল ব্যক্তিগত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার লেখা ও সবার মন্তব্যে মাহতাব স্যারের প্রতি সহানুভূতির প্রকাশ মনকে বেদনার্ত করেছে।
আল্লাহ উনাকে জান্নাত দান করুন এবং দেহ ও আত্মার শান্তি দান করুন।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: মাহতাব স্যারের জন্য আপনার এ দোয়া মহান আল্লাহতা'লা কবুল করুন! আমীন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, শামছুল ইসলাম।
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যতক্ষণ পর্যন্ত না অংকের ক্লাসে অঘা মার্কা ছাত্রটিও অঙ্কটা বুঝতে পারতো, ততক্ষণ পর্যন্ত বুঝাবার ব্যাপারে তিনি দমার পাত্র ছিলেন না ।
আহা আমরাই পাইনি এমন শিক্ষক আমাদের সন্তানদের বেলায় কিভাবে আশা করি ।
আমি ২৩ পর্যন্ত পড়েছিলাম ২২ এরপর আপনার দেয়া লিঙ্ক ধরে ২১ এভাবে শেষ থেকে শুরু
হাহাহা অন্য রকম মজা ছিল সেটা ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি ২৩ পর্যন্ত পড়েছিলাম ২২ এরপর আপনার দেয়া লিঙ্ক ধরে ২১ এভাবে শেষ থেকে শুরু
হাহাহা অন্য রকম মজা ছিল সেটা । -- বেজায় খুশী হলাম তাতে, মনিরা সুলতানা।
আমার শিক্ষক ভাগ্য অত্যন্ত সুপ্রসন্ন ছিলো, তাতে সন্দেহ নেই। আমিও আজীবন আমার শিক্ষকদের প্রতি অনুগত এবং তাদের অনুরাগী।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪
ডি মুন বলেছেন: প্রোফাইলের ছবিটা চোখ থেকে চশমা খুলতে যাওয়ার ভঙ্গিতে তোলা।
ভালো আছেন নিশ্চয়ই ?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ।
১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আসলেই আপনি ভালো ভালো শিক্ষকদের সান্নিধ্যে এসেছিলেন।
বর্তমানে কয়জন স্টুডেন্ট শিক্ষকদের সত্যিকারের মমত্ববোধ আর পড়াশুনার আসল মনোযোগটা পায় জানার ইচ্ছে। ছোট উদাহরণ দেই। আমার ছেলে যে স্কুলে পড়ে ( মোটামুটি অনেক স্কুলের চিত্র এটা ) সে স্কুলের শিক্ষকদের কাছে যারা পড়ে তারাই মূলত ১-২০ এর মাঝে থাকে কারণটা অনুমান করতে পারছেন নিশ্চয়ই। ক্লাস ফাইভে আমার ছেলে যখন ভর্তি হলো বর্তমান স্কুলে কতিপয় স্যার শুরুতেই বলে দিছেন -
ঐ তোর মা'কে স্কুলে আইসা আমার সাথে দেখা করতে বলবি, সে স্কুলে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখে না ক্যান? আমার কোচিং এ ভর্তি কইরা দিতে বলবি।
আমার দ্বারা এ কাজটা সম্ভব হয়নি স্কুলের স্যারের কাছে ব্যাচ করাবো আর পরীক্ষার আগে একটা প্রশ্ন ধরিয়ে দিবে যাতে সারা বই পড়ার দরকার না হয়। প্রতিবারই ছেলে মন খারাপ করে সঠিক উত্তর লিখেও ফুল মার্ক পায় না বলে এবং ২০ এর আগে ধারে কাছে ভিড়তেই পারে না!
ভালো থাকুন। সিরিজ চলুক ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: সবচেয়ে ভালো হয়, ছেলেকে যদি প্রতিদিন ঘন্টাখানেক সময় নিজে পড়ানো যায়। আর তা সম্ভব না হলে এমন একজন গৃহশিক্ষক রাখা যিনি তাকে জ্ঞান আরোহণের পন্থাগুলো দেখিয়ে দিতে পারবেন। আজকাল ইন্টারনেটের বদৌলতে অনেক কিছুই সহজ হয়ে গেছে। প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করাটাই বড় কথা, ক্লাসে প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়াটা নয়। ডাবল গোল্ডেন প্লাস নিয়ে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারাটা এর একটা উদাহরণ।
১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৪
সোহানী বলেছেন: মনটা ভারাক্রান্ত হলো এমন শিক্ষকের শেষ পরিনতির কথা পড়ে….
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিরাট সিংহ হৃদয়ের মানুষ ছিলেন মাহতাব উদ্দীন স্যার। অত্যন্ত হাসিখুশী, ভোলা ভালা মনের মানুষ। নিপাট ভদ্রলোক।
আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাঁকে শান্তিময় ক্ববর দান করুন, আখিরাতে জান্নাত নসীব করুন!
পুরনো পোস্টে মন্তব্য এবং প্লাস রেখে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ, সোহানী।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৬
মাহবুবুর রহমান শিমুল বলেছেন: ভালো লিখেছেন।