নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা -২৭

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৫

"আমার কথা -২৬" পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা - ২৬

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মোঃ আব্দুল গফুর
গফুর স্যার আমাদের ফিজিক্স পড়াতেন। তিনি অতি সহজ সরল জীবন যাপন করতেন, কথাবার্তায় স্পষ্টভাষী ছিলেন, নিয়মনীতি পালনে ও রক্ষায় কঠোর ছিলেন। হোমওয়ার্ক নিয়মিতভাবে দিতেন এবং নিয়মিত ভাবে তা পরীক্ষাও করতেন। ল্যাবেও বেশ সিরিয়াস ছিলেন, কোন ফাঁকিজুকি পহন্দ করতেন না। তিনি ক্লাসে কদাচিৎ হাসতেন, আর একটু নাকি সুরে কথা বলতেন। বাহ্যিকভাবে তিনি খুব কঠোর থাকলেও অন্তরে তিনি ক্যাডেটদের প্রতি স্নেহপ্রবণ ছিলেন। এইচএসসি পরীক্ষার ঠিক আগে আগে একদিন আমার এক বন্ধু দুষ্টুমি করতে করতে হঠাৎ আমার ফিজিক্স প্র্যাক্টিকাল খাতার একটা পাতা একেবারে মাঝখান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। নিতান্ত অনিচ্ছাকৃ্তভাবে এটা ঘটে যায়। আমার মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ে। অনেক কষ্ট করে কোনরকমে পাতাটা জোড়া লাগিয়ে অত্যন্ত ভয়ে ভয়ে স্যারের কাছে গেলাম। ভেবেছিলাম, স্যার হয়তো বলবেন পুরো খাতাটা পুনরায় লিখে আনতে। সেটা বললে নির্ঘাত আমার অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষা খারাপ হতো, কেননা খাতাটা পুনর্গঠন করতে যে সময় লাগতো, তাতে অন্যান্য বিষয় পড়াশোনার সময়ের ঘাটতি হতো। তিনি গম্ভীরভাবে খাতাটা রেখে দিয়ে বললেন, "ফাঁডা কপাল জোড়া লাগলেও, একটা দাগ থাইক্যা যায়"। কথাটা বাস্তবিকই সত্য ছিলো। ফিজিক্স প্র্যাক্টিকালে আমি অন্যান্যদের চেয়ে ৪/৫ নম্বর কম পেয়েছিলাম। তবে সেটা অন্য অপশনটার চেয়ে ভালো ছিলো। তাৎক্ষণিক বিপদ থেকে উদ্ধার পেলেও ঐ ৪/৫ টি নম্বর রেজাল্ট হাতে পাবার পর আমার যথেষ্ট আফসোসের কারণ হয়েছিলো।

জনাব আলী আহমদ
আলী আহমদ স্যার আমাদের এ্যালজেব্রা পড়াতেন, মাঝে মাঝে পাটিগণিত আর জ্যামিতি/ত্রিকোণমিতিও পড়াতেন। কক্সবাজার নিবাসী এই স্যারের ফর্সা মুখে সবসময় একটা মনোমুগ্ধকর হাসি লেগেই থাকতো। তিনি সবসময় আমাদের অনুপ্রেরণা দিতেন। পারতপক্ষে কখনো বকাঝকা দিতেন না, আর এক্সট্রা ড্রিল দেয়ার তো প্রশ্নই উঠেনা। হোমওয়ার্ক ভালো করে করলে তিনি খুব inspiring comments লিখতেন। ক্লাসওয়ার্কে ভালো করলে প্রায়ই এক্সিলেন্ট, সুপার এক্সিলেন্ট ইত্যাদি কমেন্ট দিয়ে আমাদেরকে উৎসাহিত করতেন। হাসিমুখ ছাড়া তাঁকে কেউ কখনো দেখেছে কিনা বলতে পারবোনা। তিনি আমাদেরকে পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও প্রচুর উৎসাহ দিতেন। তাঁর বর্তমান বয়স প্রায় ৮০ এর মত, এখনো স্যার কর্মঠ ও সক্রিয় জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। তিনি এখন আমেরিকা প্রবাসী।

জনাব মোঃ আব্দুল আজিজ
আজিজ স্যারও আমাদের অঙ্ক পড়াতেন। মাঝে মাঝে তিনি বেশ রসিকতা করতেন। শিক্ষকদের মধ্যে তিনি প্রবীণতম ছিলেন। দেশ স্বাধীন হবার পরে যখন কলেজ অনেকদিন বন্ধ থাকার পর নতুন করে খুললো, তিনি তখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান। এ সময়টা তাঁর জীবনের একটা কঠিন সময় ছিলো। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের সময়, চারিদিকে ছিলো বিশৃঙ্খ্লা। যুদ্ধের সময় আমাদের কলেজের কিছু আসবাবপত্র লুটপাট হয়েছিলো। সাপোর্ট স্টাফ যারা চলে গিয়েছিলো, তাদের মধ্যে অনেকে তখনো ফিরে আসে নাই। যারা এসেছিলো, তাদের মধ্যেও শৃঙ্খ্লার অভাব প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিলো। কেউ কারো কথা শুনে না। এমতাবস্থায় কলেজ খোলা হলে চারিদিকে অসন্তোষ বিরাজ করছিলো। ক্যাডেটদের মধ্যেও উচ্ছৃঙ্খলতা দেখা দিয়েছিলো। এসব সামাল দিতে গিয়ে স্যার হিমসিম খেয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে উঠতে লাগলো। আমরা আগেই দেখেছিলাম, স্যারের মাঝে মাঝে, বিশেষ করে শীতের সময়ে মানসিক চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন দেখা দিত। তার উপর এমন মানসিক চাপে স্যারের আবার মানসিক চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন দেখা দিলো। কলেজের এই বিশৃঙ্খল অবস্থার কথা উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কানে গেলো। তড়িঘড়ি করে আরেকজন সিভিলিয়ান অধ্যক্ষকে রাঙামাটি কলেজ থেকে বদলী করে আমাদের কলেজে আনা হলো। তিনিই ছিলেন কলেজের ইতিহাসে ক্যাডেট কলেজের বাইরের কোন অধ্যক্ষ।

জনাব এম এ আজিজ
রাঙামাটি কলেজ থেকে বদলী হয়ে আসা আমাদের এই নতুন অধ্যক্ষের নামও ছিল এম এ আজিজ। তিনি ইংরেজীর শিক্ষক ছিলেন। তখন শিক্ষকের অভাবে তিনি অধ্যক্ষ হয়েও আমাদের ইংরেজীর ক্লাস নিতেন। একদিন ক্লাসে এসে তিনি একটা সাধারণ এ্যসেসমেন্ট এর জন্য আমাদেরকে কিছু কাজ দিলেন। আমি সেটাতে ভালো করার জন্য তাঁর প্রশংসা পেলাম। একজন নবাগত অধ্যক্ষের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে সেদিন বেশ উৎফুল্ল হয়েছিলাম। তাঁকে বেশ পছন্দ করা শুরু করলাম, কিন্তু কলেজের টালমাটাল বিশৃঙ্খ্ল পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তাঁর অসহায়ত্ব দেখে দুঃখবোধ করতাম। তিনিও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছিলেন না। ঐ সময়ে বেসামরিক প্রশাসন থেকে বেশ একটা জোর চাপ আসছিলো ক্যাডেট কলেজগুলোকে উঠিয়ে দেবার জন্য। আবার সদ্য স্বাধীন একটা দেশের সামরিক একাডেমী গঠনের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছিলো। এ ব্যাপারে একদিন একটা তথ্যসন্ধানী দল কলেজে সরেজমিন এসে নানারকম তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিলো। আমরা শুনছিলাম যে আমাদের কলেজটাকে সামরিক একাডেমী বানানো হবে। সদ্য স্বাধীন দেশের প্রশাসনে তখন পুঁজিবাদ বনাম সমাজতন্ত্রের পক্ষ বিপক্ষে সহানুভূতিশীল/বিরূপ মনোভাবের লোকজনদের সমাবেশ ঘটেছিলো। একদিন আমাদের কলেজের এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত স্থানীয় এক মান্যবর প্রধান অতিথি আমাদেরকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বলেছিলেন (অর্থাৎ তার ফরমাল ভাষণের বাইরে), “আপনারা বিকেল বেলা খেলাধুলা করবেন, আর আপনাদের বাপচাচার বয়সী কর্মচারীরা আপনাদের খেলার জন্য বল এগিয়ে দেবে, এটা ঠিক নয়, এটা হবেনা”। এরকম এক সময়ে একদিন জেনারেল ওসমানী অসুস্থ হয়ে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি হলেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকায় চিকিৎসা নেয়ার পাশাপাশি তিনি সময় পেলেন সেনা কর্মকর্তাদের সাথে আলাপের। পরে হাসপাতাল শয্যা থেকেই তিনি ক্যাডেট কলেজগুলোকে রাখার স্বপক্ষে একটা নিবন্ধ লিখে পাঠান, যা পরদিন দেশের উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত হয়। নিবন্ধটি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তিনি ক্যাডেট কলেজগুলোকে রাখার স্বপক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন। এর কিছুকাল পরে আমরা আবার আমাদের নিজস্ব সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে অধ্যক্ষ হিসেবে পেতে শুরু করি।

চলবে…

ঢাকা
১৭ নভেবর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: মাঝে কয়েকটি পর্ব পড়ার সময় পাইনি , আজ এখন পড়ে নিলাম । এত নিখুঁত বর্ণনা আশাকরি এক দিন বই আকার পাওয়া যাবে যা নতুন কুঁড়িদের মনে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন জাগিয়ে তুলবে । আমি পারিবারিক একটি উৎসবের কাজে ভীষণ ব্যস্ত আছি ।
তাই ব্লগে অনিয়মিত । ভাল থাকুন সব সময় ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ দৃষ্টিসীমানা, পারিবারিক একটি উৎসবের কাজে ভীষণ ব্যস্ত থাকার পরেও আজ সময় করে এসে আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য এবং এখানে দুটো কথা রেখে যাবার জন্য।
লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছে আমারও আছে। দোয়া করবেন, যেন সে ইচ্ছের বাস্তবায়ন করতে পারি।
এবারের বইমেলাতেই আমার প্রথম কবিতার বই "গোধূলীর স্বপ্নছায়া" প্রকাশ পাবে বলে আশা রাখছি।
লেখার প্রশংসায় প্রীত হয়েছি, অনুপ্রাণিত হয়েছি। শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
লেখা পড়লুম। "গোধূলীর স্বপ্নছায়া" সুন্দর নাম। আমিতো ভেবেছিলুম দশ-বারোখানা কবিতার বই হয়তো কবির সৃষ্টিতে যোগ হয়ে আছে। শুভ কামনা রইলো। কবিতার বই নিয়ে একখানা পোস্ট দিয়েন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: বয়সে প্রবীণ হলেও লেখালেখির জগতে আমি কেবলই এক শিশু, অন্ধবিন্দু। আপনার উচ্চাশা দেখে আশান্বিত হ'লাম, শুভকামনায় অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
কবিতার বই নিয়ে একখানা পোস্ট দিয়েন। -- আচ্ছা, ভেবে দেখবো কী লেখা যায়।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
লেখকের বয়স, কিংবা নারী-পুরুষ এসব ভেবে দেখা অমূলক। আমার নিকট লেখাটাই মেটার করে। আর যা লেখা আজকাল পড়ছি তার তুলনায় আপনাকে শিশু বলবো নে আমি। লেখালেখির জগত এখন মুদি-মনোহারীর জগতে পরিণত হচ্ছে। হাহ হাহ হাহ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত হয়েছি, ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: একটা নতুন স্বাধীন দেশে নানা রকম বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে, এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু আমরা অনেকেই তা মানতে চাইনি।

আপনার লেখাতেও তার আভাস পেলাম।

জেনারেল ওসমানী এবং বঙ্গবন্ধু, দু'জনকেই অনেক অনেক সাধুবাদ জানাই।

ভাল থাকুন। সবসময়।



২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, শামছুল ইসলাম। জাতি হিসেবে আমরা পরমতসহিষ্ণু নেই। তাই অন্যের সামান্য ভুলত্রুটি সহ্য করতে পারিনা। অথচ একটা জাতি গঠনে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার প্রয়োজন।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল এবং আনন্দের খবরঃ "গোধূলীর স্বপ্নছায়া" নামে এবারের একুশের মেলায় আপনার কবিতার বই প্রকাশ পেতে যাচ্ছে !!

শুভ কামনা রইল।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার এই শুভকামনার জন্য, শামছুল ইসলাম। প্রথম কাব্যপ্রয়াস, তাই একটু অস্থির আছি। আর প্রকাশকদের পেছনে লেগে থাকাটাও বেশ ঝামেলার কাজ।

৬| ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার স্যারেদের স্মৃতিচারন পড়ে ভাল লাগল।

০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা আমার পুরনো পোস্ট। লিঙ্ক ধরে এসে লেখাটা পড়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যে প্রীত হয়েছি। পুরনো পোস্টে প্লাস পেয়ে অনুপ্রাণিত।

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৭

সোহানী বলেছেন: জেনারেল ওসমানীর এ উদ্যোগটির কথা জানা ছিল না।... এরকম অনেক ইতিহাসই হারিয়ে যাবে সময়ের স্রোতে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এরকম অনেক ইতিহাসই হারিয়ে যাবে সময়ের স্রোতে - আসলেই তাই। সব সত্য ঘটনা ইতিহাসে স্থান পায়না।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.