নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
সবই আছে, তবু মনে হয়-
কোথায় কি যেন নেই, কে যেন নেই!
শীতকে বলি, তুমি আর এসো না।
আমার ওম আমার উষ্ণতা শুধু নিজে্র জন্য।
শীতল শয্যায় এ উষ্ণতা নেয়ার কেউ নেই,
শুধু আমার চিরসঙ্গী পাশবালিশটা ছাড়া!
বর্ষাকে বলি, তুমি এসো না।
আমার বলার আছে অনেক কিছু, এমন দিনে
তারে বলা যায়, কিন্তু শোনার কে আছে কোথায়?
তাই সারাদিন ধরে ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
আমি পাখিদের আনাগোনা দেখি, স্বপ্নাতুর মেঘপুঞ্জের
কোন এক মায়াবী আকর্ষণে ভেসে যাওয়া দেখি।
বসন্তকে বলি, তুমি এসো না।
তোমার চোখ ধাঁধাঁনো রঙ মিছেমিছি স্বপ্ন দেখায়
এক লাল শাড়ী পড়া কাজলকালো মৃগনয়নার,
চোখে যার হীরকের দ্যূতি, কপালে অরুণাভ টিপ,
যে বুকের উপর মাথা রেখে বলবে 'ভালোবাসো',
নিজেও অস্ফূট জানিয়ে দেবে, 'ভালোবাসি তোমায়'!
ঢাকা
২১ জানুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, কথাকথিকেথিকথন। ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। শুভেচ্ছা রইলো।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
ডি মুন বলেছেন:
কবিতায় হারানোর বেদনা আর অভিমানী বিষাদ।
রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতার কিছু লাইন মনে পড়ে গেল আপনার কবিতা পড়ে --
অল্প লইয়া থাকি তাই মোর
যাহা যায়, তাহা যায় ।
কণাটুকু যদি হারাই - তা লয়ে
প্রাণ করে হায় হায় ।।
দীর্ঘ জীবন প্রাপ্তি অনেকসময় আকাঙ্ক্ষিত হলেও , জীবনের শেষে এসে দেখা যায় মানুষ সেই একাকী হয়েই গেছে। পরিচিত লোকেরা, বন্ধুরা, প্রিয় মানুষেরা হয়ত অনেকেই না ফেরার দেশে ; কিংবা সম্পর্কের অন্যপারে। মাঝে মাঝে মনে হয় - দীর্ঘায়ু জীবন বেদনার ও কষ্টের।
আপনার কবিতার বিষাদী হাওয়ায় অনেক কথা বলে ফেললাম
আপনার সময় আনন্দময় কাটুক নিজের জগতে।
ভালো থাকুন ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় - দীর্ঘায়ু জীবন বেদনার ও কষ্টের। -- এখন আমারও সেটা মাঝে মাঝে মনে হয়, অশীতিপর বৃদ্ধ বৃ্দ্ধাদেরকে দেখে, যারা ছেলে পুলে, নাতনাতনির জন্য হা হুতাশ করে থাকে, কিন্তু কালেভদ্রে কাছে পায়। আমার অবস্থা অবশ্য আল্লাহ'র রহমতে অনেকটা ভালো। আমি এখনো ছেলেপুলে আর বৌমাদেরকে নিয়ে একই ছাদের নীচে থাকি, একই উনুনে আমাদের রান্নাবান্না হয়। শুধু বড় ছেলে সরকারী বাসা পাওয়াতে সম্প্রতি আলাদা বাসায় থাকে, তবে ওরা প্রতি সপ্তাহান্তে দেড় বছরের নাতনিটাকে নিয়ে আমাদের এখানে আসে, যেমন এখনো আছে। আর নাতনিটা নতুন হাঁটা শিখেছে, সারা বাড়ী শুধু ঘুর ঘুর করে বেড়ায়, আর এটা ওটা ধরে।
আপনার সময় আনন্দময় কাটুক নিজের জগতে -- অনেক ধন্যবাদ, আপনার এই দোয়ার জন্য। এটাও আল্লাহতায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ, তিনি আমাকে জীবনের এ পর্যায়ে সুস্থ রেখেছেন এবং অখন্ড অবসর দিয়েছেন, যা ভালো লাগে তা করার সুযোগ করে দিয়েছেন, এই যেমন কিছুটা লেখালেখি করে আপনাদের সাথে উৎকৃষ্ট সময় কাটানোর।
রবীন্দ্রনাথের কবিতা থেকে উদ্ধৃতির জন্য ধন্যবাদ। পরের মন্তব্যকারী ঠিকই বলেছেন, আপনার মন্তব্য আমার কবিতার সৌন্দর্য বাড়িয়েছে।
আবারো অনেক, অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: জীবনবোধ থেকে উৎসারিত পংক্তিমালা - তাই এত আপন মনে হয়।
ডি মুনের সুন্দর মন্তব্য কবিতাটাকে আরো সুন্দর করেছে।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ শামছুল ইসলাম, আপনার উপলব্ধি প্রখর ও উচ্চমানের। তাই আপনি এত সুন্দর মন্তব্য করতে পারেন।
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৩
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভালবাসাবাসির কবিতা । ভাল লেগেছে ।