নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছত্রিশ বছর

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৫

ছত্রিশ বছর আগে ঠিক এই রাতে,
হাত দুটি সঁপেছিলে আমার হাতে।
কেঁদেছিলে খুব তুমি সম্প্রদান কালে,
ভড়কে ছিলাম খুব সেই ডামাডোলে।

বিয়ের রাতে মেয়েদের আকুল ক্রন্দন,
ভারাক্রান্ত করে তোলে সকলের মন।
তার কতটা প্রকৃত আর কতটা প্রচলন,
বুঝিনা এখনো, যেমন বুঝিনি তখন।

সালাম-পর্ব আর সম্প্রদান শেষে,
পা বাড়ালাম মোরা গাড়ীর উদ্দেশ্যে।
কেঁদে কেঁদে চলে এলে ধরে মোর হাত,
কান্নার মাঝেও ছিল আস্থা নির্ঘাত।

পুষ্পসজ্জিত গাড়ীতে বসে আমারই সাথে,
নির্ভয়ে রওনা হলে তুমি অজানার পথে।
এক পাশে মা আর এক পাশে আমি,
রাণী হয়ে বসেছিলে মাঝখানে তুমি।

তখনো ফুঁপিয়ে চলেছো ছোট্ট পরিসরে,
"আর কেঁদোনা", বলেছিলেম খুব নীচু স্বরে।
হাতখানি নিয়েছিলাম আমারই হাতে,
কান্নাও থেমেছিল, প্রায় সাথে সাথে।

কিছু একটা বলেছিলাম তোমার কানে কানে,
ফিক করে হেসেছিলে আনত নয়নে।
সেই থেকে হাসিমুখে বাকীটা জীবন,
আলোয় ভরেছো মোর আপন ভূবন।

(আজ ৩৬তম বিবাহ বার্ষীকিতে, সেই সেদিনের কথা স্মরণ করে!)

ঢাকা
২৭ জানুয়ারী ২০১৬।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মন ভালো হয়ে গেল।
সুন্দর।
+

৩৭ তম বিবাহ বার্ষিকীর কবিতাটা ধোঁয়া ওঠা গরম গরম পাবার দাবি রইল।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: দেখা যাক, ইন শা আল্লাহ হবে!
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, দিশেহারা রাজপুত্র।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১২

জনম দাসী বলেছেন: কান্নাও থেমেছিল প্রায় সাথে সাথে''


না হেসে পারলুম না। স্যালুট ভাই সাহেব তবু হাতটা ধরে নরম কণ্ঠে বলিতে পারিয়া ছিলেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, জনম দাসী। আজকাল আর বিয়ের আসরে তেমন কান্নাকাটি হয়না।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ৩৬তম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে অভিনন্দন।

প্রথম দিন থেকেই বেশ ভাল বোঝাপড়া ছিল দু'জনেরঃ

//তখনো ফুঁপিয়ে চলেছো ছোট্ট পরিসরে,
"আর কেঁদোনা", বলেছিলেম খুব নীচু স্বরে।
হাতখানি নিয়েছিলাম আমারই হাতে,
কান্নাও থেমেছিল, প্রায় সাথে সাথে।//


সেই হাসিটা অমলিন হয়ে তিন যুগ পরে আজও আলো ছড়ায় কবির ভূবনেঃ

//কিছু একটা বলেছিলাম তোমার কানে কানে,
ফিক করে হেসেছিলে আনত নয়নে।
সেই থেকে হাসিমুখে বাকীটা জীবন,
আলোয় ভরেছো মোর আপন ভূবন।//


ভাল থাকুন। সবসময়।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্য আমার সকালটাকে সুন্দর করে গেল, শামছুল ইসলাম।
তিন যুগ পার হবার পরেও মনে হয়, এই তো সেদিনের কথা!
হাসিতে ভরা হোক সবার জীবন!

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

মানবী বলেছেন: শুভ বিবা্‌হ বার্ষিকী খায়রুল আহসান দম্পতিকে।
এই ব্লগে আপনাদের ৫০তম ৭৫ তম বিবাহ বার্ষিকীর কবিতা আসবে এক সময়, শুভকামনা রইলো।

যাঁকে নিয়ে লেখা কবিতা, আশা করি তিনি পড়ে খুব খুশি হয়েছেন। ৩৬ বছর আগের সেই হাসি আবার দেখার সুযোগ হয়ে্ছে আপনার :-)
আন্তরিক অভিনন্দন রইলো।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এত বড় শুভকামনা স্পর্শ করে গেলো, মানবী। দোয়া করবেন, যেন ততদিন পর্যন্ত সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকি। যদি সুস্থ থাকি, তবে কবিতা আসবে ইন শা আল্লাহ।
নির্মল, প্রাণখোলা হাসির জন্য তিনি তাঁর চেনামহলে সুপরিচিত। প্রতিদিনই তা দেখার সৌভাগ্য হয়। :) :)

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

কল্লোল পথিক বলেছেন: তখনো ফুঁপিয়ে চলেছো ছোট্ট পরিসরে,
"আর কেঁদোনা", বলেছিলেম খুব নীচু স্বরে।
হাতখানি নিয়েছিলাম আমারই হাতে,
কান্নাও থেমেছিল, প্রায় সাথে সাথে।

শুভ বিবা্‌হ বার্ষিকী খায়রুল আহসান দম্পতিকে।
আন্তরিক অভিনন্দন রইল।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অভিনন্দন ও শুভকামনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, কল্লোল পথিক। উদ্ধৃতি ও মন্তব্যে প্রীত হয়েছি।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

অনভিজ্ঞ বলেছেন: আপনার Wife অনেক ভাগ্যবতী !
ভলো কাটুক আপনাদের সারা জীবন।
শুভ কামনা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: তিনি কতটা ভাগ্যবতী, তা নিশ্চিত করে বলতে পারবোনা, তবে আমি যে নিঃসন্দেহে একজন ভাগ্যবান ব্যক্তি, এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। কবিতা পড়ে এমন সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, অনভিজ্ঞ।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ছবিগুলো খুব সুন্দর। আপনাদের জন্য বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা রইলো।
আজকাল বিয়েতে কান্নাকাটি করে না মেয়েরা। কারণ এখনকার মেয়েরা অনেক আত্মবিশ্বাসী, স্বাবলম্বী আর বাবার বাড়ি কাছে বা দূরে হোক তারা জানে সেখানে সবসময়ই তারা যাতায়াত করতে পারবে। আর এত এক্সক্লুসিভ মেকাপের একটা ছোট ভূমিকা থাকতে পারে হয়তো। মজার ব্যাপার আমি মেকাপ সেকাপ না করলেও আমিও কিন্তু কাঁদি নাই। হাহহাহ

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ে নিজের ভাবনাটুকু শেয়ার করেছেন, এবং আমাদের শুভকামনা জানিয়েছেন, এজন্য অনেক ধন্যবাদ, অপর্ণা মম্ময়।
আর এত এক্সক্লুসিভ মেকাপের একটা ছোট ভূমিকা থাকতে পারে হয়তো -- হয়তো বা, কিন্তু কি রকমের "ছোট ভূমিকা"র কথা বুঝিয়েছেন, সেটা আরেকটু স্পষ্ট হলে ভালো হতো।
অনেক সময় মেয়ের চাইতে মেয়ের মা বেশী কান্নাকাটি করে থাকেন। তার আদরের পুতুলটা অচেনা জায়গায় গিয়ে কেমন থাকবে সে কথা ভেবে।
আমার বয়স যখন ১৫/১৬, তখন একবার বাৎসরিক ছুটিতে গ্রামের বাড়ী গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে শুনি আমার এক ফুফাতো ভাই এর বিয়ে লেগেছে। বাড়ীশুদ্ধ সবাইকে যেতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব করুণ ছিল। একমাত্র মাধ্যম কালো কয়লার ইঞ্জিন টানা ট্রেনে করে তুষভান্ডার স্টেশন, তারপরে সেখান থেকে পুরুষদের জন্য সাইকেল আর মহিলাদের জন্য গরুর গাড়ী করে কাশীরামপুর গ্রাম। যাহোক, বিয়েতে আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও যেতে হয়েছিলো। বিয়ের অনুষ্ঠান এবং প্রীতিভোজের পর নববধূকে নিয়ে বরযাত্রীর দলভুক্ত হয়ে ফিরছিলাম। ফিরতি যাত্রা শুরু করতে করতে প্রায় মধ্যরাত হয়ে গিয়েছিলো। আমার ফুফারা এলাকার অত্যন্ত গণ্যমান্য এবং ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিলেন, কন্যার পরিবারও তাদের এলাকায় সমপরিমাণ গণ্যমান্য এবং ধনাঢ্য ছিলেন, তাই প্রচুর অতিথি সমাগম হয়েছিলো। কন্যা সম্প্রদানের সময় সকলের কান্নাকাটি আর মাতম দেখে আমি বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম। গরুর গাড়ীতে করে ফিরতে ফিরতে যখন বরের বাড়ী পৌছুলাম, তখন প্রায় সুবহে সাদিক সমাগত। সারাটা পথ আমাদের নতুন ভাবী সাহেবা প্রথমে উচ্চঃস্বরে, পরে গুন গুন করে কান্না আর বিলাপ করতে করতে ফিরেছিলেন। আমি খুব সিরিয়াসলী চিন্তা শুরু করেছিলাম, মেয়েদের জন্য বিয়েটা কি আনন্দের, নাকি দুঃখ আর বিলাপের! পরেরদিন বেলা দশটার দিকে যখন ভাবী সাহেবা গাত্রোল্থান করে সবার সামনে হাসিমুখে বেরিয়ে এসে দেবর ননদদের সাথে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠেছিলেন, তা দেখেও যারপরনাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ভেবে অবাক হচ্ছিলাম, ভাই সাহেবের কাছে কী এমন যাদুর কাঠি থাকতে পারে, যদ্দারা এমন কঠিন বিলাপও রাত পার না হতেই এমন মধুর হাসিতে পরিণত হতে পারে!

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০২

জুন বলেছেন: শুভকামনা থাকলো আপনাদের দুজনার জন্য। জীবনে এমন দিনটি বহুবার ঘুরে আসুক। ভাবীজি তো অসম্ভব মিষ্টি দেখতে। ওনাকেও আমার শুভেচ্ছা পৌছে দেবেন :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ, জুন, আপনার এই শুভকামনা আর দোয়ার জন্য। আপনিও আমাদের শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।
আপনার বেশ কয়েকটি নতুন লেখা বেড়িয়েছে, যা পড়া হয়নি এখনো। আসছি শীঘ্রই।

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আজকাল মেক ওভার করার জন্য যেসব পার্লার,তাদের বউ সাজাবার যে খরচ সেটা প্রচুর। কান্নাকাটি করলে সেসব গলে টলে নষ্ট হয়। আর বিয়ের কনেকে প্রচুর ছবির শ্যুটের জন্য পোজ দিতে হয়। কাজল লেপ্টে, চুল আলুথালু করে কান্নার মানেই হয় না। B-)
হুট করে বিয়েও তেমন হতে দেখি না। বর কণের পরিচয়ের সু্যোগ থাকেই। কথাবার্তাও বেশ হয়। সে হিসেবেও কান্নাকাটির মাত্রা এখন কম।
আপনার যে কথা শুনে বধূর কান্না থেমেছিল আপনার ভাবী সাহেবার ও হয়ত সে অবস্থা ছিল। হাহাহা

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কান্না কি করতে হয়, নাকি কান্না এসেই পড়ে? অবশ্য আগের দিনের কান্নাগুলোকেও আমার অনেক সময় 'করা কান্না'র মত মনে হতো। কেজানে, আগে হয়তো মেয়েরা বাবার বাড়ীতে শেষ কান্নাকাটি করে স্বামীর ঘরে এসে হাসতো। এখন হেসে হেসে এসে কান্না করে অথবা অন্য কিছু।
শেষের বাক্যটি খুবই মজার। :)
পুনরায় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাথিয়া বলেছেন: বিবাহ বার্ষিকির শুভেচ্ছা জানবেন :)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'বিবাহ বার্ষীকির শুভেচ্ছা'র জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সাথিয়া।
আপনার একমাত্র লেখাটাতে মন্তব্য রেখে এলাম।

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: ওহ হো। ছত্রিশ বৎসর। বাহ!
আপনার অনুভূতি দীঘজীবি হোক।
++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, বিজন রয়।
আপনার প্রথম লেখাটাতে মন্তব্য রেখে এলাম।

১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: অনেক অনেক শুভ কামনা থাকল আপনাদের জন্য।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মাহবুবুল আজাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.