নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কথা -৩০

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

"আমার কথা -২৯" পড়তে হলে এখানে ক্লিক করুনঃ আমার কথা -২৯

প্যারেন্টস’ ডে
সপ্তম থেকে নবম শ্রেণীতে পড়া পর্যন্ত প্যারেন্টস’ ডে গুলো আমার খুব ভালো লাগতো। প্রতি মাসের শেষ রবিবারে প্যারেন্টস’ ডে হতো। যে মাসে দু’সপ্তাহের কম কলেজে থাকতাম, সে মাসে হতো না। দিবসগুলোর দিকে মুখিয়ে থাকতাম। প্যারেন্টসদেরকে আমাদের হাউসে আসতে দেয়া হতোনা। কলেজ অডিটরিয়াম, ক্লাসরুম, করিডোর, গ্যালারী, কলেজ হাসপাতালের সামনের খোলা জায়গা, ইত্যাদি স্থানে প্যারেন্টসরা এবং ভাইবোনসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনেরা ক্যাডেটদের সাথে নিভৃতে বসে কথাবার্তা বলতে পারতেন। তাদের জন্য নিয়ে আসা নানারকমের পছন্দের খাবার খাইয়ে দিতে পারতেন। সিরিয়াস মায়েরা অমনোযোগী পুত্রদের জন্য ঢাকার ভালো ভালো স্কুল কলেজের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর নোট সংগ্রহ করতেন এবং গোপনে সেগুলো পুত্রধনদের নিকট হস্তান্তর করতেন। অবশ্য এটার প্রচলন শুরু হয় স্বাধীনতার পর থেকে, যখন কলেজের আইন কানুন কিছুকালের জন্য একটু শ্লথ হয়ে গিয়েছিলো। সপ্তম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত যেসব কারণে প্যারেন্টস’ ডে’র দিকে মুখিয়ে থাকতাম, সেগুলো হলোঃ
১। মায়ের হাতের রান্না খাওয়া।
২। আদরের ভাইবোনদের দেখা পাওয়া।
৩। কিছু শুকনো খাবারের রিজার্ভ হাতে পাওয়া।
৪। ব্যক্তিগত কোন সমস্যা থেকে থাকলে তা প্যারেন্টসদেরকে সাক্ষাতে বলতে পারা।
৫। পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হবে আঁচ করতে পারলে সে সম্পর্কে আগেভাগে কিছু অজুহাত বলে দেয়া।
৬। কেবলমাত্র ঐ দিনের জন্য কলেজ ড্রেসের বাইরে ইচ্ছেমত ব্যক্তিগত পোষাক পরিধান করতে পারা।
৭। যাদের প্যারেন্টসরা একটু বেশী খাবার দাবার আনতেন, পরে সবাই মিলে তাদের কাবার্ড্ আক্রমণ করে ভাগ বসানো, ইত্যাদি, ইত্যাদি।

প্রথম প্যারেন্টস’ ডেতে আব্বা, আম্মা আর বড়বোন এসেছিলেন। তাদের, বিশেষ করে আপি’র যেমন খুব উচ্ছ্বাস ছিল আমার কলেজটা ঘুরে ঘুরে দেখার, আমিও তেমন খুব আনন্দ পেতাম তাদেরকে কলেজের বিশেষ জায়গাগুলো দেখিয়ে, কলেজের নিয়ম কানুন সম্পর্কে, শিক্ষকদের সম্পর্কে, পোষাক পরিচ্ছদ সম্পর্কে বলতে পেরে। তাদেরকে আমার প্রথম প্যারেড দেখাতে পেরে খুব গর্ব বোধ করেছিলাম। পরের দিকে প্যারেন্টস’ ডেতে আব্বাই বেশী আসতেন, একেকবার ভাইবোনদের একেকজনকে সাথে নিয়ে। দশম শ্রেণীতে ওঠার পর থেকে প্যারেন্টস’ ডে গুলো আর তেমন ভাল লাগতোনা। তখন বরং চাইতাম কেউ না আসুক, যেন ঐ সময়টা আমি মনের সুখে খেলার মাঠে কাটাতে পারি। আর তখন একটা বড় বড় ভাব এসে গিয়েছিলো। মনে হতো, প্যারেন্টস’ ডে’র ব্যবস্থা রাখা হয়েছিলো ছিচকাঁদুনে পুচকে ছেলেপেলেদের জন্য।


ফুটবল মাঠে সাদা বকঃ
আমাদের কলেজে ফুটবল খেলার জন্য বিস্তীর্ণ মাঠ ছিল। মাঠগুলো বেশ উঁচু ও প্রশস্ত ছিলো। সব মিলিয়ে একসাথে মোট ১২টি দল সেখানে খেলতে পারতো। যতই বৃষ্টি হোক, কখনো পানি জমতো না। কোন একবার শ্রাবণ মাসে একনাগাড়ে কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছিলো। আমি খুব সম্ভব তখন নবম শ্রেণীতে পড়ি। বর্ষাকে, রবীন্দ্র সঙ্গীতকে, বক, পাখি, প্রজাপতিকে ভালবাসতে শুরু করেছি। একদিন শ্রেণীকক্ষ থেকে হাউসে ফিরে আসার সময় গুনগুন করে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইছিলাম, মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে, সেদিন ভরা সাঁঝে…। সে সময় এখনকার মত একাডেমিক ব্লক থেকে হাউস পর্যন্ত কাভার্ড ওয়াকওয়ে ছিলনা। তাই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কিছুটা পথ দৌড়াতে হচ্ছিলো। হাউসের কাছাকাছি এসে হঠাৎ তাকিয়ে দেখি, আমাদের হাউসের (ফ হ) নিকটবর্তী ফুটবল মাঠের যে কোণাটা ছিল, সেখানে কয়েকটা সাদা বক এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, কেননা কলেজের গাছ গাছালিতে বহু আকৃতির আর বর্ণের পাখি দেখে থাকলেও কোনদিন কোন বক চোখে পড়েনি, কারণ একেবারে নিকটে কোন জলাশয় ছিলনা। আর অবাক হবার আরেকটা কারণ, আমার গাওয়া গানটার মধ্যেও দুটো চরণ ছিলোঃ আকাশে উড়িছে বক পাতি, বেদনা আমার তারই সাথী……। আকাশের বককে ফুটবল মাঠে দেখতে পেয়ে যুগপৎ বিস্মিত ও আনন্দিত হয়েছিলাম। বকগুলো কিসের আশায় এসেছিলো জানিনা, কারণ, যদিও ফুটবল মাঠটাকে তখন একটা নদীর মত দেখাচ্ছিলো, তথাপি সেখানে তো কোন মাছ ছিলনা। হয়তো কেঁচো টেচো বা পোকা মাকড় ওগুলোকে আকর্ষণ করেছিলো। যাই করুক না কেন, দৃশ্যটি তখন আমার চোখে বড়ই নয়নাভিরাম মনে হয়েছিল।

ভূঁইফোঁড় ঘুগরি পোকার বিস্ময়কর আবির্ভাবঃ
তখন খুব সম্ভব ভাদ্র মাস। শুনেছি ভাদ্র মাসের গরমে তাল পাকে। কয়েকদিন ধরে অসহ্য গরম পড়েছিলো, সাথে অস্বাভাবিক আর্দ্রতা। গায়ে কোন কাপড় রাখাই দায়। তার উপর ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিপর্যয়, কারণ কয়েকদিন আগেই প্রচন্ড ঝড় বাদল বয়ে গেছে। মানুষের জীবন ধারণই খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছিলো, পশুপাখি আর পোকা মাকড়ের কথা তো বাদই দিলাম। হঠাৎ একদিন দেখি আমাদের ফুটবল মাঠটাতে কোথা থেকে যেন লক্ষ লক্ষ ‘ঘুগরি পোকা’ ভূঁই ফুঁড়ে বের হচ্ছে। ‘ঘুগরি পোকা’ আমাদের এলাকার আঞ্চলিক নাম। এর পোষাকি নাম সম্ভবত 'উচ্চিংড়ে', এটাও এক ধরণের ঝিঁঝি পোকা। ঝোপ ঝাড়ের কাছাকাছি বা মাটিতে বাস করে। তেমন আক্রমণাত্মক নয়, তবে শুনেছি ছাগলকে কামড়ালে বা হুল ফুটালে নাকি মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। সেই ‘ঘুগরি পোকা’র দল ক্রমে ক্রমে হাউসের সামনে পেছনের মাটি থেকেও উদগীরণ হতে থাকলো। জানালা দিয়ে উড়ে উড়ে রাতে পড়ার টেবিলেও আসতে শুরু করলো। সবাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম। পরের দিন কাঠফাটা রোদ উঠলো এবং সারাদিন ধরে আগুনের তাপ ছড়িয়ে গেলো। বিকেলে ফুটবল মাঠের দিকে তাকিয়ে দেখি গোটা মাঠ জুড়ে মরা ঘুগরি পোকার স্তুপ জমে উঠেছে। সন্ধ্যার দিকে নাকে শুঁটকির মত গন্ধ লাগতে শুরু করলো। সারাদিন ধরে রোদের তাপে লক্ষ লক্ষ ঘুগরি পোকা ভাজা ভাজা হয়ে মরে পঁচে যেতে শুরু করেছিলো এবং শুঁটকির মত গন্ধ ছড়াচ্ছিলো। তার পরের দিন মাঠ পরিচর্যাকারীদের (গ্রাউন্ডস মেন) বস্তাভরে সেগুলোকে অন্যত্র ফেলে আসতে হয়েছিলো। কলেজ জীবনের এই আজব ঘটনাকে স্মরণ করে আজও খুব বিস্মিত হই এবং এর কোন কারণ বা ব্যাখ্যা খুঁজে পাই না।

একাকীত্বঃ
যত বড় হতে থাকলাম, ততই বুঝতে পারছিলাম যে আমি সবার সাথে থাকার সময় কোলাহলের মাঝেও একাকী বোধ করতাম, আবার একাকী থাকার সময় কখনোই একাকীত্ব বোধ করতাম না। তখন আমার ভাবনারাই আমার ঘনিষ্ঠ সহচর হয়ে যেত। তখনই জীবনে প্রথম কবিতা লিখতে শুরু করি। ইচ্ছেমত যে কোন কাউকে কল্পনা করে ভাবতাম, সে আমাকে ভালোবাসে। শুরু হতো তাকে নিয়ে এটা ওটা লেখা। হয়তো তা কবিতা হতো, হয়তো না। তবে লেখাগুলো কাউকে কখনো দেখাতে পারতাম না, কারো সাথে এসব শেয়ার করতে পারতাম না। এভাবেই আমার কৈশোরের অনেক কবিতার অপমৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন পরেই বুঝতে পারলাম, এ সবই অলীক কল্পনা। আমি যেমন ভালোবাসা চাই, আমাকে তেমনভাবে আসলে কেউ ভালোবাসে না। চিরকালের আশাবাদী এই আমির ভেতরে কেমন করে যেন একটা শূন্যতা, একটা হাহাকারের বীজ ধীরে ধীরে গোপনে রোপিত হচ্ছিল। একটা অচেনা অস্থিরতা আমাকে তাড়াতে শুরু করলো। আমি ধীরে ধীরে অনুভব করতে শুরু করলাম, আমি কেউ নই, আমি জীবন পথের এক অনাদৃত পথচারী। আই এ্যাম নোবডি।


ঢাকা
২২ ডিসেম্বর ২০১৫



ঘুগরি পোকা


ঝিঁ ঝিঁ পোকা





মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০১

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: I am nobody!!

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, অগ্নি কল্লোল।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: না হেসে পারলাম নাঃ

//দশম শ্রেণীতে ওঠার পর থেকে প্যারেন্টস’ ডে গুলো আর তেমন ভাল লাগতোনা। তখন বরং চাইতাম কেউ না আসুক, যেন ঐ সময়টা আমি মনের সুখে খেলার মাঠে কাটাতে পারি। আর তখন একটা বড় বড় ভাব এসে গিয়েছিলো। মনে হতো, প্যারেন্টস’ ডে’র ব্যবস্থা রাখা হয়েছিলো ছিচকাঁদুনে পুচকে ছেলেপেলেদের জন্য।//

ফুটবল মাঠে সাদা বক দেখে মুগ্ধ কিশোর - গানে গানে বেলা গড়ায়।

ভূঁইফোঁড় ঘুগড়ি পোকার বিস্ময়কর আবির্ভাব কিশোরের মনে চমক জাগায়।

তার পর একাকীত্ব কিশোরকে জড়িয়ে ধরে, অনেক বন্ধুর মাঝেও সে বন্ধুহীন হয়ে যায়। আবার একলা থাকার সময়, ভাবনারাই তার সঙ্গী হয়। আমি কেউ না, কোথাও আমার কেউ নেই - এমনি এক ভাব জগতে কিশোর ঘুরে বেড়ায়, আপন খেয়ালেঃ

//আমি ধীরে ধীরে অনুভব করতে শুরু করলাম, আমি কেউ নই। আই এ্যাম নোবডি।//

চমৎকার আবেগী স্মৃতি কথন।

ভাল থাকুন। সবসময়।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখার এতটা বিশদ বিশ্লেষণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, শামছুল ইসলাম।
এটা আমার লেখার একটা perfect gist. এর চেয়ে ভালো আর হতে পারেনা।
'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার একাকীত্বের অংশটা ভালো লাগলো, নিজস্ব অনুধাবনের শুরু তখন থেকেই হচ্ছিলো বোধ হয়।
স্কুলে আমি ছোটবেলায় তেমন খেলাধুলাই করিনি কিন্তু ক্লাস নাইনে ওঠার পর থেকে টিফিন টাইমে কয়েকজন মিলে খুব দৌড়াদৌড়ি খেলতাম আর নেশার মত হয়ে যাচ্ছিলো ব্যাপারটা।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: নিজস্ব অনুধাবনের শুরু তখন থেকেই হচ্ছিলো বোধ হয়। -- হ্যাঁ বোধ হয়।
স্কুলে আমি ছোটবেলায় তেমন খেলাধুলাই করিনি -- আমি আবার সব খেলাই খুব করে খেলতাম, তবে কোন খেলাতেই দক্ষ হয়ে উঠতে পারিনি।
আপনি 'দৌড়াদৌড়ি' ছাড়া আর কিছু খেলতেন?

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: না কলেজে উঠে তো কলেজে দৌড়াবার জায়গা পাইনি। তখন অটোম্যাটিক গল্পের বইয়ের দিকে ঝুঁকে গিয়েছিলাম

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কোন পাবলিশড ওয়ার্ক আছে কি? থাকলে কোথায় পাওয়া যাবে?

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: একক কোনো বই আমার নেই। তবে কয়েকজনের সাথে সংকলন ছিল দুইটা। আর যে গল্পগুলো সংকলনে দেয়া ছিল সে গল্প পরবর্তীতে ব্লগে দিয়েছিলাম।

মিথিলা এবং ছায়াচ্ছন্ন সৌরভ যা আমার প্রথম সংকলনের বইতে ছিল

দ্বিতীয় সংকলনে এই গল্পটা ছিল। আরেকটা গল্পও দ্বিতীয় সংকলনে ছিল কিনা মনে নেই এখন। বইয়ের কপিও নেই নিজের কাছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, অপর্ণা মম্ময়। আমি পড়ে দেখবো। তারপরে মতামত জানাবো।
"আমার কথা-২৯" পড়ে আপনি কিছু জানতে চেয়েছিলেন। উত্তর দিতে কয়েকটা দিন দেরী হয়ে গেছে। উত্তরটা পড়েছেন কি?

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পড়েছি।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঘুগ্রি পোকার ঝাঁকে আটকে কামড় খেয়েছিলাম অনেকগুলো। বিশ্রি প্রাণী।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার লেখাটা আপনাকে একটা অপ্রীতিকর স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে বলে দুঃখিত, প্রোফেসর শঙ্কু।
আমার লেখাটা পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৯

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
এর আগে ত্রিশোনকু'র দু'টো সিরিজ একটানা পড়েছিলাম। আপনারটা পড়ার অবশ্য এখনও কিছু বাকী। লেখাই বলে দিচ্ছে নো বডি আপনাকে বেশিদিন থাকতে হয়নি।

ঢাকা কলেজ জীবনে প্রথম কিছু ক্যাডেট বন্ধু হয়। তাদের কাছে অবশ্য তেমন বেশি কিছু জানা হয়নি। আমার জানতে ইচ্ছে করতো, কিন্তু অন্য ছেলেরা পচানো শুরু করতো। ফলে বক্তা শ্রোতা সবাই থেমে যেত।

গুগরি পোকার পোষাকী নাম সম্ভবত উচ্চিংড়ে। আমরা তুড়খুলা বা তুড়ুল্লা বলতাম।

আমিই বক বক জুড়ে দিলাম। আপনার সিরিজ চলুক...

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার জানতে ইচ্ছে করতো, কিন্তু অন্য ছেলেরা পচানো শুরু করতো। ফলে বক্তা শ্রোতা সবাই থেমে যেত। -- কি সমস্যার কথা! এভাবেই অনেক জিজ্ঞাসার আনাকাঙ্খিত সমাপ্তি ঘটে থাকে।
ইন শা আল্লাহ, আগামীকাল সোমবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে এবারের একুশের বইমেলায় আমার দুটো বই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। প্রথমটা কবিতার বই “গোধূলির স্বপ্নছায়া”, প্রকাশক- জাগৃতি প্রকাশনী, স্টল নম্বর ১৭৩-১৭৫। দ্বিতীয়টা আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা “জীবনের জার্নাল”, প্রকাশক- বইপত্র প্রকাশন, স্টল নম্বর ১২৭-১২৮। এই পরেরটাতেই "আমার কথা" গুলো স্থান পেয়েছে।
প্রকাশকদের কথায় খুব একটা ভরসাও রাখতে পারিনা। হয়তো কাল বলে বসবে, আরো দু'দিন সময় লাগবে।

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অনেকদিন আপনার এই সিরিজ পড়া হয় নাই । আজ পড়তে গিয়ে মন কেমন যেন করল ।
সপ্তম থেকে নবমে পরিবারের সাথে থাকার আকুতি প্রকাশিত । ভূঁইফোঁড় ঘুগড়ি পোকার বিস্ময়কর আবির্ভাব আমিও আপনার মত , বিস্মিত ।
হেডলাইন করে এভাবে লেখার প্যাটার্ন ভাল লাগ ল ।
আপনার লেখায় বয়সের সাথে সাথে অই বয়সের ভাবনাটাও পাওয়া যায় । যা বেশ ভাল লাগে ।
এবং তা নজরে রাখার মত ।
ভাল থাকবেন ।
শুভকামনা রইল

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, মাহমুদ০০৭। আর এত সুন্দর মন্তব্যে খুব প্রীত হয়েছি, এ কথাটাও জানিয়ে রাখছি।
শুভকামনা রইলো।

১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: হায়রে একাকিত্ত্ব! আজ আমার ভালো-মন্দ কোন খবর শোনার বা দেখার মানুষ নাই। পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজনদের বিধাতার ঋণের দায়ে ক্ষুইয়ে এখন আমি একা। বিনয়ের সহিত একটা কথা আপনাকে বলছি- ২৪ দিনে এই ব্লগের প্রথম পাতায় আমার লেখা প্রকাশিত হলো। আমার তো কেউ নেই, দোয়া করবেন যেন এগিয়ে যেতে পারি।ভুল হলে বিরক্ত হয়ে গালি দিয়েন,সুপরামর্শ দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পাওয়ার আশায় রইলাম।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, এম.এ.জি তালুকদার।
আজ আপনার প্রথম তিনটে লেখা পড়ে সেখানে মন্তব্য রেখে এলাম।

১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা চমৎকার অনুধাবন " প্যারেন্টস’ ডে’র ব্যবস্থা রাখা হয়েছিলো ছিচকাঁদুনে পুচকে ছেলেপেলেদের জন্য "
হ্যাঁ একটা বয়সে আমরা সবাই এমন একলা হতে চাই
আর আই এ্যাম নো বডি ভাবি ।

ছোট বেলায় ডাক শুনে গর্তে পানি ঢেলে এই পোকা বাইড়ে আনতাম , তবে আপনার মত এমন অভিজ্ঞাতা সত্যিই বিরল ।অনেক টা পঙ্গপালের আক্রমণ নিয়ে বইয়ের পড়ার মত ।

শুভ কামনা :)

১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আই এ্যাম নো বডি - ভাবনাটা আমাকে অনেকদিন আড়ষ্ট করে রেখেছিলো...
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মনিরা সুলতানা, পুরনো লেখা বের করে পড়ার জন্য।
মন্তব্য করলেন, শুভকামনা জানালেন, লেখায় 'লাইক' দিয়ে গেলেন- সেই সাথে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে গেলেন।
ভাল থাকুন, অনেক শুভকামনা...

১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট কেয়া পাতায় নৌকা ভাসানোর দিনগুলো- পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.