নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুলতেকিন এর প্রথম কবিতার বই - "আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম" এর পর্যালোচনা

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

পুরো বইমেলা জুড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে অনেক বইই তো কিনলাম, তবে পড়বো কখন? সিরিয়াস পঠন এখন আর ততটা ভালো লাগেনা। কবিতার অঙ্গণে একজন নবাগত কবির কবিতার বই পড়েই এবারের বইমেলা থেকে কেনা বই এর পাঠ শুরু করলাম। আর পড়েই যখন ফেললাম, তখন আর আমার ভাবনাগুলো পাঠকদের সাথে শেয়ার করি না কেন? তবে তাই করছিঃ

বই এর নামঃ আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম
বইয়ের ধরণ : কবিতা
লেখক: গুলতেকিন খান
প্রকাশক: তাম্রলিপি, ৩৮/২ক, বাংলা বাজার, ঢাকা-১১০০
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
মুদ্রণেঃ একুশে প্রিন্টার্স
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
দ্বিতীয় সংস্করণঃ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
মূল্য : ১৩৫.০০ টাকা, (বইমেলায় ২৫% ছাড়ে ১০০.০০ টাকা)
উৎসর্গঃ প্রথম পাঠক, পথ প্রদর্শক, দাদা প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খানকে

হুমায়ুন আহমেদ এর “নন্দিত নরকে” প্রথম প্রকাশ পাবার কিছুদিন পরে যখন আমার হাতে এলো, তখন বইটি একটানা, প্রায় এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করেছিলাম। বলাবাহুল্য, বইটি খুবই ভালো লেগেছিল, আমাকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। এর কিছুদিন পরে শুনি, কোন এক কিশোরী বালিকা বইটি পড়ে আবেগ বিহ্বলিত হয়ে সরাসরি লেখকের সাথে সাক্ষাৎ করে প্রেম নিবেদন করেন এবং কিছুকাল সফল প্রেমের পর বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিভিন্ন লেখালেখির মাধ্যমে তাঁর সম্পর্কে এ তথ্যটুকু জানার পর আমার খুব ভালো লেগেছিলো, কারণ বইটা পড়ে আমারও লেখকের প্রতি একটা সমীহ জন্মেছিলো। তাঁর গুণমুগ্ধ কোন অনুরাগী পাঠিকার সাথে তিনি সংসার পেতেছেন, এটা ছিল একটা খুশীর খবর। এর পর থেকে হুমায়ুন আর গুলতেকিন বত্রিশ বছর ধরে আদর্শ সুখী দম্পতি হিসেবে ভক্তকূলের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত ছিলেন। কিন্তু, দূর্ভাগ্যজনকভাবে পরিণত বয়সে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ আর হুমায়ুনের দ্বিতীয় বিয়ের পর নিঃসন্দেহে বহু অনুরাগী পাঠকের সমব্যথী সমর্থন গুলতেকিনের দিকেই ঝুঁকে পড়ে। আমিও সে দলের অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে, প্রবাসে হুমায়ুন আহমেদ এর মৃত্যুর পর স্বদেশে তাঁর লাশ দাফন নিয়ে যে অনাকাঙ্খিত ফ্যাসাদের সৃষ্টি হতে যাচ্ছিলো, সেই কঠিন সময়ে গুলতেকিন যে উদারতা আর প্রয়াত হুমায়ুনের প্রতি ভালোবাসার মন নিয়ে বিশাল ছাড় দিয়েছিলেন, তার দৃষ্টান্ত বিরল। এ ধরণের পারিবারিক ঝগড়া বিবাদ নিরসনে তাঁর এ অনুকরণীয় ভূমিকা ভবিষ্যতেও আলোকবর্তিকা হিসেবে পথ দেখাবে বলে আমার বিশ্বাস।

এহেন একজন সম্মানীয় ব্যক্তির প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে, এ কথাটা যেদিন প্রথম শুনলাম, সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে বইটি আমি সংগ্রহে রাখবো। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ রাতে বইমেলার সময় শেষ হবার ঠিক আগে আগে আমার বই "গোধূলির স্বপ্নছায়া" এর প্রকাশককে জিজ্ঞেস করলাম, গুলতেকিনের বইটি কোথায় পাওয়া যাবে। আমার বই এর স্টল ‘জাগৃতি প্রকাশনী’র খুব কাছেই ছিল গুলতেকিনের প্রকাশক ‘তাম্রলিপি’র স্টলটি। তিনি আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়ে বললেন যে তিনি ওখানে বসে তাঁর বই এ শুভেচ্ছা স্বাক্ষর দিচ্ছেন। মেলা শেষ হবার ঠিক পাঁচ মিনিট আগে আমি বইটা কিনলাম। বিক্রেতা জানালেন, কবি সেখানে উপস্থিত আছেন, আমি চাইলে বইটিতে শুভেচ্ছা স্বাক্ষর নিতে পারি। পেছনে তাকিয়ে দেখলাম, গুলতেকিন একটা কালো হাতল ওয়ালা চেয়ারে বসে ক্রেতাদের বই এ স্বাক্ষর দান করছেন। আমি তাঁর বইটিতে স্বাক্ষর দানের অনুরোধ জানালে তিনি সহাস্যে রাজী হলেন। স্বাক্ষরের পর তিনি উঠে দাঁড়িয়ে আমার সাথে দুটো ছবিও তুললেন। আমারও প্রথম কবিতার বই ‘জাগৃতি’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে, একথা শুনে তিনি সেটা ক্রয়ের জন্য তাঁর এক সহকারীকে নির্দেশ দিলেন।

বই সম্পর্কে মন্তব্যঃ
বই এর নামকরণ ভালো লেগেছে, তবে প্রচ্ছদটা খ্যাতিমান প্রচ্ছদ শিল্পীর অন্যান্য কাজের তুলনায় সাধারণ মানের মনে হয়েছে। আরেকটু আকর্ষণীয় হতে পারতো। বই এর অভ্যন্তরীণ অলংকরণও আমার কাছে ততটা দৃষ্টিনন্দন মনে হয়নি। প্রথম কবিতা “ভালো লাগা, এ আকাশ ভরে” ভালো লেগেছে এবং এটি প্রথম কবিতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়া যথাযথ হয়েছে। কবির দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানো শুভার্থীদের প্রতি কবির বিনম্র, বিনয়ী শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে যায়। একইভাবে, বইটির শেষ কবিতা “কেন যায়” পড়ে স্নেহাষ্পদেষু আদিয়ান এর চিরবিদায়ের বেদনায় পাঠকের হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। কবি তাঁর মোট পঁয়ত্রিশটি কবিতা এই বই এ সন্নিবেশ করেছেন। কবিতাগুলোকে তিনি মোট ছ’টি গুচ্ছে ভাগ করেছেন, প্রথম পাঁচটি গুচ্ছে ছ’টি করে আর শেষ গুচ্ছে পাঁচটি কবিতা রেখেছেন, যার মধ্যে একটি কবিতার ব্যাপ্তি দু’পৃষ্ঠা জুড়ে। প্রতিটি গুচ্ছের প্রথম কবিতার কোন একটা পংক্তি থেকে গুচ্ছনামটি নেয়া হয়েছে। এভাবে গুচ্ছবিভক্ত করাকে আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি, কারণ কেবলমাত্র পঞ্চম গুচ্ছটি ছাড়া একেকটি গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত কবিতাগুলোকে একই সূত্রে গাঁথা বলে মনে হয়নি, আবার গুচ্ছের নামের সাথেও কবিতাগুলোকে খুব একটা সাযুজ্যপূর্ণ বলে মনে হয়নি।

প্রথম গুচ্ছের বাকী কবিতাগুলোর মধ্যে ‘অভিধানঃ এক’ ভালো লেগেছে, যদিও শিরোনামের যথার্থতা প্রশ্নাতীত হয়নি। ‘শাপমোচন’ আর ‘সাতকাহন’ও ভালো লেগেছে, তবে ‘শুদ্ধ’ ও ‘তর্ক’ ভালো লাগেনি। “নদীর কিনার আছে, লোকালয়ে এ ভেলার ঠাঁই নেই কোনো”- শাপমোচন কবিতার এ চরণটি পাঠকের মনে এক বিমূর্ত চিত্র এঁকে যায়। সাতকাহন কবিতায় বাঙলার এক দুঃখিনী নারীর কথা বলা হয়েছে, যার চোখের জলে কলম ব্যর্থ হয়ে যায় বলে কবি জানিয়েছেন। দ্বিতীয় গুচ্ছের প্রথম কবিতা ‘নতুন নূপুর’ এর ছন্দ খুব সুন্দর হয়েছে, তবে মর্মার্থ সহজবোধ্য হয়নি। ‘রাত্রিবিষয়ক’ কবিতাটিতে নির্ঘুম রাত কাটানোর যন্ত্রণার অভিব্যক্তি সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে। প্রকৃ্তির ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে সচরাচর বাঙালীর মুডেরও পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই ‘ঘন বরষায়’ এর শেষ পংক্তি 'সবকিছু বদলে যায়, ঘন বরষায়…’ এর সাথে দ্বিমত প্রকাশের কোন অবকাশ নেই। ‘সাহস’ কবিতাটি পড়ে মনে হয়েছে, হয়তো এর শিরোনামটি 'সাহস' না হয়ে অন্য কিছু হলে ভালো হতো। ‘মৌন অন্ধকার’ এ বর্ণিত মুখরিত খেয়াঘাটে বসে থাকা নিঃসঙ্গ পথিকের ভাবনাগুলো বেশ ভালো লেগেছে। ‘ক্ষণস্থায়ী, যা কিছু দেখি’ এর শেষ তিনটে চরণ চমৎকার হয়েছে।

তৃ্তীয় গুচ্ছের ‘খেলা’ কবিতার একটি পংক্তি থেকে-“কেউ হাঁটে অবিরাম আজো”, বইটির শিরোনাম গ্রহণ করা হয়েছে। ‘জলের হৃদয়’ কবিতাটির ছন্দ খুব ভাল, বক্তব্যও সাবলীল। পুরো কবিতাটাই ভালো লেগেছে। এটা এ বই এর একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা। ‘সামান্য সঞ্চয়’ কবিতাটি অনেকটা প্রথম পংক্তি “জলরঙে আবছায়া কুয়াশার মতো”ই কুহেলিকাময়। শেষ চরণ-“গোধূলীর জলরঙ হয়েছিলো ভাষা” খুব আবেদনময় হয়ে ফুটে উঠেছে। ‘পরবাস’ একটি স্মৃতি ভারাক্রান্ত কবিতা, যা পাঠক হৃদয় স্পর্শ করে যায়। ‘স্থান’ কবিতার পুরোটা আর ‘অতিথি’ কবিতার শেষ তিন পংক্তি চমৎকার হয়েছে। কেবল একটি বাক্য দ্বারা কোন প্রেমিক হৃদয় কতকিছু করতে পারে, তার আবেগময় অভিব্যক্তি ঘটেছে চতুর্থ গুচ্ছের ‘একটি বাক্যে’ কবিতাটিতে। ‘শরতের দীর্ঘশ্বাস’ কবিতায় মোট চারটি স্তবক রয়েছে, প্রতিটিই খুব সুন্দর হয়েছে। ‘পরিচয়’ কবিতায় কবি তার ‘বন্ধু’কে যেভাবে আশ্বস্ত করেছেন, তার ব্যঞ্জনা খুবই মনোমুগ্ধকর। একইভাবে ‘অপেক্ষা’র শেষ পংক্তিটিও একটি স্বস্তিদায়ক অভিব্যক্তি। ‘কাকস্য’ শিরোনামে দুটো কবিতা দেয়া হয়েছে, দুটোই চমৎকার। এ দুটোকে হয়তো অনেকে কবির ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাপ্রসূত বলে ভাবতে পারেন, তবে সে ভাবনাটা সঠিক হতেও পারে, আবার নাও পারে। ‘কাকস্য’ এর ন্যায় ‘সত্য’ কবিতাটিকেও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা বলে মনে হতে পারে, যেখানে কবি বলেছেন, “কৌ্তূহলী মানুষেরা মহাকাব্য লিখতেই পারে”। ‘কাকস্য’ এর দুটো কবিতার মধ্যে প্রথমটার দুটো পংক্তি আর পরেরটা পুরোটাই আমার ভালো লেগেছে, যা এখানে তুলে দিলামঃ

১। সন্ধানী, শঠ, কোকিলের মিছিলে
ধ্রুপদী কাক উজান কেনো ওড়ে?”

২। শুনিয়ে গান
কেউ দিল হাতছানিঃ
ভাঙল বাড়ী, নিভলো বাতি,
পোড়ালে সংসার—

তুমি কেবল সারাটা দিন
ডিমেই তা দিলে—
কোকিলারা গান শুনিয়ে
নামাল আঁধার।

পঞ্চম গুচ্ছের প্রথম কবিতা ‘আয়নাশিল্প’ এর শেষ স্তবকটা অসাধারণ হয়েছে। একইভাবে, ‘ভাটার টানে’র শেষ দুটো পংক্তিকেও অসাধারণ বলা যেতে পারেঃ “জলের টানে জাগলো বালিয়াড়িঃ ফিরবে জোয়ার শামুক গেল ভুলে”। তবে একই রকমের ভাবনা নিয়ে লেখা পরপর তিনটে কবিতার মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে ‘শামুক’ কবিতার দুটো পংক্তির কথাঃ “শামুক ছাড়া জলের চিহ্ন খুঁজে বেড়ায়, কে আর বলো স্বপ্ন রাখে পায়ের তলায়”। কবিতা মনের কথা বলে। তাই ‘কী যায় আসে’ কবিতায় কবির যে উষ্মা প্রকাশ পেয়েছে তার কারণ পাঠকের অনেকেই হয়তো সহজেই বুঝে নেবেন। এই গুচ্ছের সবগুলো কবিতাই যেন কেমন একটা মায়াবী আবেদন রেখে শেষ হয়েছে। যেমন ‘উঠোন’ কবিতার শেষ দুটো পংক্তির কথাঃ ‘সাক্ষী উঠোন কান্না রাখে চেপে, রোদটি এখন শুধুই আনমনা’। আর ‘অমসৃণ’ কবিতার শেষ কথাগুলোঃ ‘জল অমসৃণতা ঢেকে দেয়, গভীরতাকেও। এমনি নিয়তি’ এক অপূর্ব দর্শন। সবকিছুর শেষে এসে যেন একটু তাড়াহুড়ো হয়ে থাকে। ষষ্ঠ গুচ্ছের প্রথম কবিতাটা পড়ে আমার সেরকমই মনে হলো। তবে না, তার পরের কবিতাটিতেই-‘সেই বনলতা, এলো চুলে’ একটা চমৎকার ছন্দময় গতি এসেছে। ‘পাঁজর’ কবিতার শেষ চরণে “জাম গাছে কি আঙুর ফলে” এর জায়গায় “আম গাছে কি আঙুর ফলে” দিলে হয়তো অনুপ্রাসের মিল হতো। আর ‘হয়তো কিছু নয়’ কবিতায় দেশের তৎকালীন পরিস্থিতির কিছু চিত্র পাওয়া যায়, তবে বক্তব্যটা আরেকটু বলিষ্ঠ হলে চমৎকার হতো।

কবিতার অঙ্গণে কবিকে জানাই সুস্বাগতম! প্রথম কবিতার বই প্রকাশ উপলক্ষে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। প্রথম প্রকাশেই বই এর দ্বিতীয় সংস্করণ বের করতে হয়েছে, একজন কবির কাছে এর চেয়ে সুখকর ব্যাপার আর কী হতে পারে? জীবনের যে পথে কবি গুলতেকিন খান হেঁটে চলেছেন অবিরাম, তার কথা বইটি পড়ে জানলাম। কবিতার পথেও তাঁর হাঁটাচলা অব্যাহত থাক অবিরাম, আর তা হোক নিখাদ আনন্দময়, ফলপ্রসূ। সে আনন্দ ডালপালা ছড়াক পাঠক মনেও।

খায়রুল আহসান
ঢাকা, ০৩ মার্চ ২০১৬



মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

কল্লোল পথিক বলেছেন:




চমৎকার রিভিউ।
বইটি কেনার ইচ্ছা আছে।
ধন্যবাদ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। রিভিউ লেখা হিসেবে হাতেখড়ি হলো। এ নতুন উদোগে প্রথম প্রশংসা করে উৎসাহিত করে গেলেন। ভবিষ্যতে হয়তো আরও রিভিউ আসবে।
বইটি কেনার ইচ্ছা আছে -- বইটি সম্বন্ধে আগেই শুনে থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবুও জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, আপনার ইচ্ছেটা এই রিভিউটা পড়ে কিছুটা বৃ্দ্ধি পেয়েছে কিনা।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

সাথিয়া বলেছেন: লেখা আর ছবি মিলিয়ে সুন্দর লাগলো ভাইয়া।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, সাথিয়া। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

প্রামানিক বলেছেন: খায়রুল ভাই, আপনি দেখি ভাল রিভিউ লিখতে পারেন। মুগ্ধ হয়ে পুরোটাই পড়লাম। ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে এবং কবি গুলতেকিন খানকে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক। আমি রিভিউ খুব বেশী লিখিনি। কোন বই পড়ে ভাল লাগলে নিজের জন্য কিছু লিখে রাখি। প্রকাশিত রিভিউ এটাই প্রথম, যতদূর মনে পড়ে। এটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে মুগ্ধ হলাম, অনুপ্রাণিত তো বটেই।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

সুঁই বলেছেন: রিভিউ ভাল লাগ্ল। আর গুলতেকিন খানকে আমার এম্নিতেও অনেক ভাল লাগে। ফেসবুকের কল্যানে উনার কিছু কবিতা পড়ার সুযোগ হয়েছিল। একাকীত্বের একটা ভাল দিকও আছে। কাব্যিক চর্চায় মনোনিবেশ। মনকে প্রফুল্লতা দেয়।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: একাকীত্বের একটা ভাল দিকও আছে। কাব্যিক চর্চায় মনোনিবেশ। মনকে প্রফুল্লতা দেয়। -- চমৎকার বলেছেন। তবুও কামনা করি, সবার জীবন থেকে একাকীত্ব ঘুচে যাক, প্রিয়জনের সান্নিধ্যে হোক সবার যাপিত জীবন।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, সুঁই। মন্তব্যের জন্যেও।
(আপনার ছবিটা দেখলে একটূ ভয়ই লাগে)

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার রিভিউ । বইটি সংগ্রহ করবো । আমিও তার পক্ষে ছিলাম , এখন আছি । :)

অনেক শুভকামনা রইল গুলতেকিন খান এর জন্য । তিনি যেন অনেক দিন লেখা চালিয়ে যান । আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কবিতা গুলোর সাথে আগেই একটু পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমারও খুব ভালো লাগলো আপনার এ মন্তব্যটা পড়ে। আমার রিভিউটা যদি আপনাকে বইটি সংগ্রহ করতে বিন্দুমাত্রও উৎসাহিত করে থাকে, তবে শ্রম সার্থক হয়েছে জ্ঞান করবো। বইটি পড়ার পর আবার রিভিউটা একটু মিলিয়ে নেবেন আশা করি। অনেস্টলী লেখার চেষ্টা করেছি। অনেক কিছু ভালো লাগার সাথে সাথে যা যা ভালো লাগেনি, তাও বলে দিয়েছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখাটা লাইক করাতে খুশী হ'লাম।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

আরাফআহনাফ বলেছেন: শ্রদ্ধা জানবেন।
রিভিউ দারুন লাগলো।

"ভোর হয়, তবু ভোর হয়" --- অসাধারন। শ্রদ্ধা কবি গুলতেকিন খানকেও।

ভালো থাকুন সবসময় - শুভ কামনা রইলো।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আরাফআহনাফ আপনাকে, লেখাটি পড়ে সশ্রদ্ধ মন্তব্য করার জন্য। এজন্য আপনিও আমার শ্রদ্ধার দাবীদার।
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

সুঁই বলেছেন: আরেকটা জিনিস খেয়াল করলাম - আপনি লিখেছেন " পুস্তক পর্যালোচনা"। অধিকাংশ সময়েই " বুক রিভিউ" শব্দটার সাথেই পরিচিত। পরিপূর্ণভাবে বাংলায় পুরোপুরি একটা লেখা আমার জন্য সম্ভব কিনা আমি চেষ্টা করে দেখব।
নামের সাথে মিল রেখে সুঁইয়ের ছবি বের করলাম। ভীত হবার কিছু নাই।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ট্যাগে অবলিক দিয়ে বুক রিভিউ ও লিখেছি। বুক রিভিউ এর সহজ বাংলা আর কিছু খুঁজে পাইনি।
নামের সাথে মিল রেখে সুঁইয়ের ছবি বের করলাম। ভীত হবার কিছু নাই। -- তা নামটাই বা এমন কেন?

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৩

তার আর পর নেই… বলেছেন: গুলতেকিন খান কে আমি অনেক আগ থেকে ফেসবুকে ফলো করি, বেশ কয়েকটা কবিতা আগেই পড়েছি, বইটাও আনিয়েছিলাম।
আমি নিজে ও এই বইটা নিয়ে লিখবো ভেবেছিলাম।
কোনদিকে যাওয়া যায় একথা ভেবেছ বহুকাল
উৎস থেকে মোহনায় …

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি নিজে ও এই বইটা নিয়ে লিখবো ভেবেছিলাম -- বেশ তো, লিখে ফেলুন না আরেকটা রিভিউ। আমারটা তাড়াতাড়ি করে লেখা, অনেকটা রানিং কমেন্টারির মত হয়ে গেছে। গভীরতা নেই। আপনি একটু ভেবে চিন্তে লিখলে নিশ্চয় আরও অনেক কিছু বেড়িয়ে আসবে কবির লেখা থেকে।
লক্ষ্য করে দেখলাম, কেউ একজন আমার এ লেখাটাকে প্রিয়তে নিয়েছেন। এতক্ষণ তা ছিলনা। আপনিই কি?
কোনদিকে যাওয়া যায় একথা ভেবেছ বহুকাল
উৎস থেকে মোহনায় …
.........।

এত সহজে কি ভোলা যাবে পিয়ানোয় আমার আঙুল?

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৫

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লেখা ও রিভিউ !

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ফেরদৌস প্রামানিক। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

ঐন্দ্রিলা নিশাত বলেছেন: বইটি সংগ্রহ করেছি। কয়েকটি পড়েছিলাম। আজ পুরোটা পড়ব।
পর্যালোচনা খুব ভাল হয়েছে।
শুভেচ্ছা। :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ঐন্দ্রিলা নিশাত। কবিতাগুলো পড়া শেষ হবার পর আমার কোন মন্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করে থাকলে তা জানাবেন আশাকরি।
প্রীত হ'লাম।

১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫০

আমিই মিসির আলী বলেছেন: রিভিউ পড়ে কেনার আগ্রহ জন্মাইলো।

একটি : হাতের লেখা খারাপ দেখলাম।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাহলে তো রিভিউ লেখাটা সার্থকই হয়েছে বলা যায়। অনেক ধন্যবাদ, আমিই মিসির আলী।
হাতের লেখা খারাপ দেখলাম -- আমার কাছে আবার ওরকম লেখাই ভালো লাগে... :)

১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫২

ইয়েলো বলেছেন: ভাল রিভিউ। ধন্যবাদ

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, ইয়েলো। প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: চমৎকার রিভিউ। বইমেলা থেকে কেনা হয়নি। এবার রকমারিই ভরসা।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউ এর প্রশংসা অনেক আনন্দ দিয়ে গেল, উল্টা দূরবীন। প্রকাশকের দোকান থেকেও সরাসরি কিনতে পারেন, নইলে রকমারি তো আছেই।
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রিভিউ ভালো লাগলো। বইটি কেনার ইচ্ছে আছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কাছে রিভিউ ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম, অনুপ্রাণিত হ'লাম। আশাকরি বইটি কেনার পর যখন কবিতাগুলো পড়বেন, তার আগে পড়ে রিভিউটার উপর আরেকবার চোখ বুলোবেন।
অনেক শুভেচ্ছা, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই।

১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৫

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: সুন্দর করে পড়ার স্মৃতিচিহ্ন স্বরুপ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ, এম.এ.জি তালুকদার।

১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

শায়মা বলেছেন: প্রিয় মানুষ গুলতেকিন খানের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। আর ভাইয়া তোমাকেও অনেক অনেক থ্যাংকস তার বই নিয়ে এত সুন্দর পর্যালোচনা লিখবার জন্য।


“কেউ হাঁটে অবিরাম আজো” এই কবিতাটি নিয়ে আরও বিস্তারিত বলো ভাইয়া প্লিজ!!!!!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা, আমার লেখায় আসার জন্য। পর্যালোচনা সুন্দর হয়েছে জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
গুলতেকিনের এই বইটাতে “কেউ হাঁটে অবিরাম আজো” নামে কোন কবিতা নেই। তবে এই অংশটুকু তার 'খেলা' নামের কবিতা থেকে নেয়া। বোধকরি, এখান থেকেই কবিতার নামকরণ- আজো, কেউ হাঁটে অবিরাম করা হয়েছে।
'খেলা' কবিতাটি নিয়ে আর কে কী ভাবে জানিনা, আমি এ কবিতাটা পড়ে একটা হাহাকার শুনি। এক নিঃসঙ্গ, 'ঠিকানা হারানো' ক্লান্ত পথিকের পথ চলা দেখি।
"কত জল বয়ে গেছে, বাঁক নিয়ে চলে গেছে নদী
সামনে যা কিছু ছিল চলে গেছে স্থির ফটোফ্রেমে"
-- হাহাকার নয় তো কী?

১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

খোলা মনের কথা বলেছেন: রিভিউটি ভাল লাগলো। শুভ কামনা রইল। ভাল থাকবেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউটি ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা... খোলা মনের কথা।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রঠম পোস্টটা পড়ে এলাম। সময় করে মন্তব্যটা দেখে নেবেন আশা করি।

১৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: আপনি তো অনেক গুণের অধিকারী!!
মানে পরিপূর্ণ লেখক।

অনেক ভাল রিভিউ।
+++++++++++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার উদারতাকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, কবি বিজন রয়। এতটা প্রশংসা পেলে কার না বুক ফুলে ওঠে?
একজন সম্মানীয় ব্যক্তির কাজের পর্যালোচনা করেছি, আন্তরিকতার সাথেই করার চেষ্টা করেছি। আবার মূল্যায়নে যতদূর পেরেছি, সততার সাথে করেছি।

১৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

শায়মা বলেছেন: "কত জল বয়ে গেছে, বাঁক নিয়ে চলে গেছে নদী
সামনে যা কিছু ছিল চলে গেছে স্থির ফটোফ্রেমে" -- হাহাকার নয় তো কী?


হাহাকারই বটে ভাইয়া। :(

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
দেখা যাচ্ছে, এই লেখাটাকে দু'জন পাঠক 'প্রিয় তালিকায়' নিয়েছেন। কারা, তা জানার কোন উপায় জানা আছে কি আপনার?

২০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গুলতেকিন খান তার ব্যবহারে বার বার প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁর মত মানুষের নাতনি ।/
আলোচনায় উল্লেখিত কবিতার চরণ ও মন কাড়ার মত।
আপনার রিভিউ ভাল লেগেছে। আপনার মনোযোগী মনের সাক্ষর পেলাম। আশা করি সবমিলিয়ে বইমেলা চমৎকার কেটেছে আপনার ।
শুভকামনা রইল ,

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার পর্যবেক্ষণ আর মন্তব্যের জন্য, মাহমুদ০০৭।
রিভিউটা আন্তরিকতার সাথেই লিখতে চেষ্টা করেছি। আপনাদের ভালো লাগাতে সেটা সার্থক বলে মনে হচ্ছে।
বইমেলায় বেশী সময় করে থাকতে পারিনি। যে ক'দিন গিয়েছি, দেড় দুই ঘন্টা করে প্রতিদিন থেকেছি। রাত ঠিক আটটায় মেলা বন্ধ হওয়াতে একটু অসুবিধেই হয়েছিলো। তবে যেটুকু সময় সেখানে থেকেছি, আনন্দে কেটেছে।

২১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
দেখা যাচ্ছে, এই লেখাটাকে দু'জন পাঠক 'প্রিয় তালিকায়' নিয়েছেন। কারা, তা জানার কোন উপায় জানা আছে কি আপনার?

না কারা প্রিয়তে নেয় দেখা যায় না তো ভাইয়া।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে। অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পুরনো কিছু লেখায় আমি মন্তব্য করেছিলাম, যেগুলো হয়তো আপনি এখনো দেখেন নি। যেমনঃ 'ছোট ছোট ছোটবেলা, ভালো ভালো ভালো লাগা', 'বুলবুল পাখি, ময়না টিয়ে ও পক্ষীবিশারদ আমি', 'নববর্ষের শুভেচ্ছা সঙ্গীত রচয়িতা আমি', ইত্যাদি।
একনলেজ করলে খুশী হব।

২২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

জিমার পেঙ্গুইন বলেছেন: দারুন রিভিউ!! পড়ে ফেলবো :)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এজন্য অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনাকে, জিমার পেঙ্গুইন।

২৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪০

পাওলী ব্যানার্জী বলেছেন: পুস্তক না বলে কাব্য গ্রন্থ্য বললে ভালো হত মনে হয়।
পর্যালোচনা ভালোলেগেছে :)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ, পাওলী ব্যানার্জী। শিরোনামটা একটু অন্যভাবে এডিট করে নিলাম।
পর্যালোচনা ভালো লেগেছে জেনে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনি কি 'মুক্তমঞ্চ' এর পাওলী?

২৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে। অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পুরনো কিছু লেখায় আমি মন্তব্য করেছিলাম, যেগুলো হয়তো আপনি এখনো দেখেন নি। যেমনঃ 'ছোট ছোট ছোটবেলা, ভালো ভালো ভালো লাগা', 'বুলবুল পাখি, ময়না টিয়ে ও পক্ষীবিশারদ আমি', 'নববর্ষের শুভেচ্ছা সঙ্গীত রচয়িতা আমি', ইত্যাদি।
একনলেজ করলে খুশী হব।

ভাইয়া এখুনি চেক করবো। :(

কেনো যেন মাঝে মাঝেই আমার নোটিফিকেশন আসেনা!:(

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: কেনো যেন মাঝে মাঝেই আমার নোটিফিকেশন আসেনা! -- যতদূর জানি, দুই এক বছরের পুরনো কোন লেখার উপর মন্তব্য করলে সে মন্তব্যের নোটিফিকেশন লেখকের কাছে যায় না।

২৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:

বইটি কেনা হয়নি।
আমি আসলে এবার সহব্লগারদের বই কেনাতেই মনোযোগী ছিলাম।

আপনার আলোচনা বেশ ভালো লাগলো।

ছবি সংযুক্তি পোস্টটাকে প্রাণবন্ত করেছে।
শুভেচ্ছা রইল।

----------

আপনার আগের কোন পোস্টে মন্তব্যের জবাব পাইনি...।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগে আগের পোস্টের মন্তব্যটারই জবাব দিয়ে এলাম। বিলম্বের জন্য দুঃখিত। বইমেলার কারণে অনেকেরই মন্তব্যের জবাব দিতে পারিনি।
আমাদের মতই জীবনের সাদামাটা আনন্দ বেদনার কথা কবিতায় তুলে আনেন, এমন একজন কবির কবিতার প্রথম বই দিয়েই আমার রিভিউ প্রচেষ্টা শুরু করলাম। এবারের বই মেলায় কেনা আরো অনেকের বই এর রিভিউ লেখার ইচ্ছে আছে, যদিও কাজটা খুবই কষ্টসাধ্য।
আপনার আলোচনা বেশ ভালো লাগলো -- অনেক ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
ছবি সংযুক্তি পোস্টটাকে প্রাণবন্ত করেছে -- এজন্য ধন্যবাদটা কবির প্রাপ্য।

২৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৪

পুলহ বলেছেন: বইটা যে খুটিয়ে পড়েছেন- আপনার এই পর্যালোচনা তার প্রমাণ।
"গোধূলীর জলরঙ হয়েছিলো ভাষা”
"জল অমসৃণতা ঢেকে দেয়, গভীরতাকেও.."
"নদীর কিনার আছে, লোকালয়ে এ ভেলার ঠাঁই নেই কোনো...”
উপলদ্ধিগুলো আমার সত্যি খুব গভীর মনে হয়েছে!
আপনাকে ধন্যবাদ এমন আন্তরিক একটা রিভিউ লেখবার জন্য।
ভালো থাকবেন :)

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনিও যে আমার এই পর্যালোচনাটা খুঁটিয়ে পড়েছেন, তা বেশ বুঝতেই পারছি। অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে এ দীর্ঘ (ব্লগের গড় লেখার পরিসরের তুলনায়) আলোচনাটা পড়ার জন্য।
উদ্ধৃতিগুলো আমার কাছেও 'খুব গভীর মনে হয়েছে' বলে উদ্ধৃতিতে এসেছে।
আপনার প্রশংসা পেয়ে অনুপ্রাণিত হ'লাম। আরো কিছু রিভিউ লেখার ইচ্ছে আছে, তবে দেখা যাক...

২৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার রিভিউ লিখেছেন। :)

বইটা কেনার ইচ্ছা আছে।

গুলতেকিনকে শ্রদ্ধা জানাই।

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার তিনটে বাক্যই আমাকে আনন্দ দিয়ে গেলো, বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

২৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি কবিতা বরাবরই এড়ি চলি অবোধ্য বলে।। বই মেলায় কিছু বই কিনেছি তবে তারমাঝে কবিতার একটিও না।। অপারগতায় ক্ষমাপ্রার্থী।। রিভিউটুকু শুধু পড়লাম।। ধন্যবাদ।।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা বরাবরই এড়য়ে চলার পরেও এক নতুন কবির কবিতার বই এর উপরে লেখা আমার এ রিভিউটা পড়েছেন, সেজন্য মনে করছি লেখাটা ধন্য হলো। এজন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনাকে, সচেতনহ্যাপী।

২৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৩

সোহানী বলেছেন: দেখলেন আপনার ভাবনার সাথে কিভাবে আমারটা মিলে গেল!!! আমি কিন্তু আপনার লিখা পড়িনি।....... আসলে সেটা আমার আপনার একার ভাবনা নয় আমরা যারা হুমায়ুন পড়ে বড় হয়েছি তাদের হ্রদয়েই গুলতেকিন এমন করে স্থান তরে নিয়েছেন।

বাকি বুক রিভিউ নিয়ে কথা বলছি না কারন পড়িনি। কিন্তু কবি গুলতেকিনের জন্য সবসময়ই ভালোবাসা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা যারা হুমায়ুন পড়ে বড় হয়েছি তাদের হ্রদয়েই গুলতেকিন এমন করে স্থান তরে নিয়েছেন - গুলতেকিন নিজেও একজন কবি। আশাকরি, দিনে দিনে তার লেখা আরও শাণিত হবে।
উনি একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্না গুণী মহিলা। পারিবারিক পরম্পরায় ওনার এমনটিই হবার কথা।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। সময় করে একবার রিভিউটাও পড়ে নিলে খুশী হবো।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

৩০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সোহানীর একটি পোষ্টে আপনার মন্তব্যে থাকা লিংক ফলো করে
দেখে গেলাম । খুব ভাল লেখেছেন । পোষ্টটি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ভাল লেখেছেন । পোষ্টটি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম - পোস্টটি "প্রিয়"তে নিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে গেলেন।
একজন প্রিয় ব্যক্তির কবি হয়ে ওঠা প্রত্যক্ষ করে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওনার প্রথম কবিতার বইটির রিভিউ লিখেছিলাম। সেটি আজ আপনার মন্তব্যে এবং পাঠে সার্থক হলো।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা---

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.