নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ বনাম ভারতের এ খেলাটা দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হবে

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৭

বাংলাদেশ পারেও বটে!
গতকাল বাংলাদেশ যেভাবে, যে পরিস্থিতিতে ক্রিকেট টি-২০ ম্যাচটা ভারতের সাথে হেরে গেলো, সেভাবে হারতে বিশ্বের খুব কম টিমই পারবে। প্রথম থেকে খেলার ১৭ ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশই আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিলো। এমনকি বলা যায়, খেলার শেষ তিনটি বলের আগে পর্যন্ত। শেষ ওভারে মুশফিক দুটো বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কাজের কাজটিই করেছিলেন বটে, কিন্তু ঐ পরিস্থিতিতে শেষ সহজ কাজটুকু তিনি করে যেতে পারলেন না। তিনি মাঠের বড় পর্দায় নিজেকে ফিনিশিং হীরো হিসেবে দেখতে পাচ্ছিলেন। সবাই দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরছে, চুমু খাচ্ছে, মাটিতে ফেলে তার উপরে দলের বাদ বাকী খেলোয়াররা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এই খায়েশ থেকেই তিনি আরেকটা বাউন্ডারি হাঁকালেন। ততক্ষণে শক্তি অনেকটা ক্ষয় হয়ে গেছে, তাই মারে তার জোর ছিলো না। ফলে যা হবার তাই হলো, সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে তিনি বিদায় নিলেন। তিনি চোখটা খুলে দেখলেন না যে ভারতীয় খেলোয়াড়েরা তখন দূর দুড়ান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে, বাউন্ডারি ঠেকানোর আশায়। শুধু ব্যাটে একটু টুক করে লাগিয়ে দৌড় দিলেই কাজ হয়ে যায়। অথচ সেটুকুই না করে তিনি হীরোইক শট খেলতে গেলেন। তার চমৎকার অর্জনটুকু ধূলোয় মিশিয়ে দিলেন।

মুশফিককে হয়তো বা তবু ক্ষমা করা যায় এজন্য যে ওরকম সময়ে একজন পারফর্মিং খেলোয়াড়ের ওরকম ইচ্ছে মনে জাগতেই পারে। আর তাছাড়া উনি আউট হবার পরও খেলাটা বাংলাদেশের আয়ত্তের মধ্যেই ছিল। কিন্তু মাহমুদ উল্লাহ এমন পরিস্থিতিতে একই কাজ কী করে করতে পারলেন? তার মনেও কি একই ইচ্ছে জেগেছিলো? কি নির্বোধ অর্বাচীনের মতই না ঐ রিস্কী পুওর শটটা খেলে তিনিও নিজের অর্জনটুকু ধূলোয় মিশিয়ে দিলেন! ঐ সময়ে যদি টেইল এন্ডের বোলাররাও ব্যাটিং করতো, তারাও ঐ পরিস্থিতিতে এমন সিলি শট খেলতেন না। তারা হয়তো বল ব্যাটে না লাগলেও বাই এর জন্য আচমকা ইঁদুর দৌড় দিয়ে বসতেন। তাতেও হয়তো কাজের কাজটুকু হয়ে যেতো। অথচ দলের স্বনামধন্য এক্স ক্যাপ্টেন এবং এক্স ভাইস ক্যাপ্টেন ক্রীজে থাকতে এমন অপকম্মটা ঘটে গেলো, ষোল কোটি ক্রিকেট লাভিং বাংলাদশীকে চরম হতাশার সাগরে ডুবিয়ে! মাহমুদ উল্লাহ'র কাছ থেকে আরেকটু সুবেবিচিত খেলা জাতি আশা করেছিলো।

আমার মতে খেলার শেষ বলটি ওয়াইড হয়তো ছিলো। ব্যাটস্ম্যানদ্বয়ের যেকোন একজন আম্পায়ারের কাছে আপত্তি প্রকাশ করতে পারতেন। কিন্তু কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে হয়তো তাদের কেউ তা করেন নি। আমি হলেও হয়তো করতাম না।

ভারতীয় সমর্থকদেরকে এবং বিশ্বের অন্যান্য বাংলাদেশ বিরোধী ক্রিকেট খেলোয়াড়, সমালোচক, অফিসিয়াল এবং কমেন্টেটরদেরকে আরও এক দশক ধরে বাংলাদেশ দলকে এবং সমর্থকদেরকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য আর হাস্যকৌতুক করার পূর্ণ রসদ তুলে দেয়া হলো! এ খেলা দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হবে, আমাদেরকে লজ্জিত না করলেও হতাশাগ্রস্ত করে রাখবে নিঃসন্দেহে, অন্ততঃ যতদিন পর্যন্ত না আমরা ভারত কিংবা তাদের চেয়েও শক্তিশালী কোন দলকে কনভিনসিংলী পরাজিত করতে পারবো।

খায়রুল আহসান
২৪ মার্চ ২০১৬

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন খায়রুল ভাই। এই খেলার মাধ্যমে বাঙালীরা হাসির খোরাকে পরিণত হলো।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে মন্তব্য করে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, প্রামানিক। লেখার সাথে একমত পোষণ করার জন্য প্রীত হ'লাম।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: কিছু বলব না :( :(

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: কেন, কেন, মায়াবী রূপকথা? দলের উপর রাগে না অভিমানে?

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই লেখাটাতেও 'লাইক' দেয়ার জন্য কাল্পনিক_ভালোবাসাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনেক সাবলীল ও সুন্দর লেখা। তবে " প্রথম থেকে খেলার ১৭ ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশই আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিলো। এমনকি বলা যায়, খেলার শেষ তিনটি বলের আগে পর্যন্ত।"

আমি তো জানি ভারতের ব্যাটিং থেকে বাংলাদেশের শেষ ৩ বল অবধি খেলাটা আমাদের হাতেই ছিল।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি তো জানি ভারতের ব্যাটিং থেকে বাংলাদেশের শেষ ৩ বল অবধি খেলাটা আমাদের হাতেই ছিল। - হ্যাঁ, হ্যাঁ, অনেকটা তাই। শুধু ১৮ বা ১৯তম ওভারে ওরা ১৪ রান নিয়ে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের চেয়ে একটু এগিয়ে ছিলো।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ৩ বল = ২ রান, এই সমীকরণের সময় আমার বার বার মনে হচ্ছিল ১ রান নাও। তা হলেই চাপটা ভারতের উপর চলে যেত।
আমরা জাতিগত ভাবে হিরোইজমটাকে পছন্দ করি।

তবে খেলা খেলাই, সেই ভাবে নিয়ে মিনিট দশেকের মধ্যে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলাম।


সাউথ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ার সেই খেলাটা কি কেউ ভুলতে পারবে?

তেমনি ভুলতে পারবে না এই ম্যাচটাও।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, ক্রীড়ামোদী শামছুল ইসলাম, আপনার এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনি একেবারে আমার মনের কথাটাই বলেছেনঃ
এই সমীকরণের সময় আমার বার বার মনে হচ্ছিল ১ রান নাও। তা হলেই চাপটা ভারতের উপর চলে যেত। - আমারও তাই মনে হচ্ছিলো। আর বারে বারে মনের পড়ছিলো '৯৯ বিশ্বকাপের সেই খেলাটার কথাঃ
সাউথ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ার সেই খেলাটা কি কেউ ভুলতে পারবে? তেমনি ভুলতে পারবে না এই ম্যাচটাও।
- জ্বী, আপনি আমার কথারই প্রতিধ্বনি করলেন।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম। আবারো ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

আলাপচারী বলেছেন: কিছু লিখতে স্পৃহা পাচ্ছি না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঠিক আছে, বুঝতে পারছি, আলাপচারী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.