নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৬

বেলাভূমি ধরে হেঁটে হেঁটে চলে গেলে
অনির্দিষ্ট কোথাও, একেলা একেলাই।
হাঁটতে হাঁটতেই হঠাৎ কি ভেবে তুমি
খোঁপাটি খুলে দিলে নিপুণ দু’আঙুলে।
হাল্কা বাতাসে ঘন চুলগুলো উড়ে এসে
বারবার ঢেকে দিচ্ছিল ঐ চোখ মুখ।

এভাবেই তুমি হেঁটে চলে গেলে আনমনে।
রেখে গেলে ভেজা বালুর মাঝে অবিন্যস্ত
কিছু পদচিহ্ন। জলপিঁপড়ে আর সদ্যজাত
কাঁকড়ারা এসে সেখানে খেলা করে গেল।
সেসব পদচিহ্নকে এক প্রেমপীড়িত কবি
বিমূর্ত চিত্রকলা ভেবে কবিতা লিখে নিল।

তার পরেই আচমকা জোয়ারের জল এলো,
জলে জলে ভেসে গেলো তোমার পদচিহ্ন।
তুমিও সেই যে গেলে, আর পথ ফিরলে না।
কি জানি কোথায় যেন নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে!
বেলাভূমিতে অগোচরেই রেখে গেলে তোমার
কিছু অমোচনীয়, অনিন্দ্যসুন্দর স্মৃতিচিহ্ন।




ঢাকা
০৫ এপ্রিল ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।








ফটো ক্রেডিটঃ মুস্তাফা কামাল খান

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৬

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: সুন্দর কবিতার জন্য ধন্যবাদ। কবিতার মধ্যে বাস্তবতার ছোঁয়া আছে। সবাই মনে হয় এভাবেই চলে যায়।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, রায়হানুল এফ রাজ। কিছু বাস্তব আর কিছু কল্পনা নিয়েই কবিতা।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

প্রামানিক বলেছেন: তুমিও সেই যে গেলে, আর পথ ফিরলে না।
কি জানি কোথায় যেন নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে!
বেলাভূমিতে অগোচরেই রেখে গেলে তোমার
কিছু অমোচনীয়, অনিন্দ্যসুন্দর স্মৃতিচিহ্ন।


ভাল লাগল কাব্য কথামালা। ধন্যবাদ

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রামানিক, কবিতাটি পড়ে ভালো লাগার কথা জানাবার জন্য। প্রীত হ'লাম।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অনিন্দ্য সুন্দর কবিতামালা!

খুব ভাল লেগেছে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্লাস এবং কবিতার এ্যপ্রিসিয়েশনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, ভ্রমরের ডানা। আমার এ কবিতাটা খুবই কম পঠিত। আপনি সে সংখ্যাটাকে কিছুটা বৃ্দ্ধি করে গেলেন। গতরাতে এটা পোস্ট করার পর কেন জানি আমার অন্যান্য লেখাগুলোর মত এটা প্রথম পাতায় স্থান পায় নি। তাই হয়তো এতটা কম পঠিত।
কবিতাটা আপনার ভালো লাগায় অনুপ্রাণিত বোধ করছি। শুভেচ্ছা জানবেন।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



সামুর সব কবি কেন একযোগে হারানোর ব্যথা, অফুরন্ত বিরহ, হৃদয় ভাংগার পংক্তি লিখে যাচ্ছেন; পড়লে ভয় লাগে; কারো কি কোন শকুন্তলা নেই যে, জীবনে একবার হলেও মিলন হবে!

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ে সুন্দর মন্তব্য রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ, চাঁদগাজী।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৮

উল্টা দূরবীন বলেছেন: কবিতা এবং ছবি দুটোই অসাধারণ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা এবং ছবির প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম, উল্টা দূরবীন।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: দুখী দুখী কবিতা ভাইয়া। আপনি সুখী মানুষ তাই আনন্দের কথা বেশি লিখবেন ভাইয়া :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এই কবিতার উপর আপনার মন্তব্যটা খুব ভালো লেগেছে, মায়াবী রূপকথা।
আসলে, এ কবিতার পেছনে কবির অনুভূতিটুকু দুখী দুখী নয়, বরং একটা ভালো লাগার স্মৃতির, সাথে কিছু কল্পনার মিশেল।
মাস ছয়েক আগে মালয়েশিয়ার লাংকাউই সাগর সৈ্কতে এক গোধূলী বেলায় ভালো করে না দেখা এক ভিনদেশীর মুখ, তার নান্দনিক হেঁটে যাওয়া, বালুকাবেলায় তার রেখে যাওয়া কিছু পদচিহ্ন, কিছু সাগরের ঢেউ আর তাতে ভেসে আসা কিছু কীট পতঙ্গের খেলা, ঢেউ এর জলে পদচিহ্নের বিলুপ্তি, এই এটুকু নিয়েই তো কবিতা। কবিতার কাঠামোটা তখনই মনে মনে দাঁড় করিয়েছিলাম, এতদিন পরে এসে ইউ টিউবে একটা গান শুনতে শুনতে সেই ছবিটার কথা মনে পড়ে যাওয়াতে সেটা আত্মপ্রকাশ করলো।
কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আন্তরিক মন্তব্যের জন্যেও।
আচ্ছা, আপনার "তোমাকে ভাবলেই রাত্রি নেমে আসে" কবিতাটা পড়ে আমি অনেকদিন আগে একটা মন্তব্য করেছিলাম। দেখেছিলেন কি?

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: দেখেছিলাম ভাইয়া। রুপো কেন ইউজ করেছি তা বলতে পারবনা। তখন সেটা ভাল মনে হয়েছিল বলে হয়তো। একেকজন মানুষের একেক শব্দে বেশি ভাললাগা থাকে। আমার মায়া শব্দ ভাললাগে। আমার বাবা আমাকে এ নামে ডাকে। আপনি বেশ কিছুদিন আগে মায়া নিয়ে লিখছিলেন আমি সেটা চুপিচুপি পড়ে গিয়েছিলাম। এ কথাটা বলতে ইচ্ছে করছিল সেখানে। কি ভেবে যেন সে সময় বলিনি। শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া :)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মায়া শব্দটা আমারও খুব প্রিয়। মায়াবতী আরও প্রিয়। মেয়েরা ব্যতিক্রম বাদে মায়াবতী হয়ে থাকে। যারা হয়ে থাকে, আমার কাছে এটা তাদের সবচেয়ে বড় গুণ। আমার অনেক কবিতায় মায়াবতী শব্দটা ঘুরে ফিরে আসে। আর আমি যে কোন act of kindness অথবা word of kindness এর কাছে দুর্বল হয়ে পড়ি। Any act of kindness moves me, immensely.
পুনঃ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, মায়াবী রূপকথা।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: প্রিয় কবি এই লাইন গুলো ,

"এভাবেই তুমি হেঁটে চলে গেলে আনমনে।
রেখে গেলে ভেজা বালুর মাঝে অবিন্যস্ত
কিছু পদচিহ্ন। জলপিঁপড়ে আর সদ্যজাত
কাঁকড়ারা এসে সেখানে খেলা করে গেল।
সেসব পদচিহ্নকে এক প্রেমপীড়িত কবি
বিমূর্ত চিত্রকলা ভেবে কবিতা লিখে নিল"।

কেন জানি অন্য রকম সুন্দর অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে। সত্যি অসাধারণ কবিতা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: পেছনের কবিতা পড়ে মন্তব্য করে গেলেন, সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এম এস আরেফীন ভুঁইয়া।
উদ্ধৃতাংশের প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.