নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানের স্মৃতি – ১

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

ঠিক কত বছর বয়সে রমজানের প্রথম রোযাটা রেখেছিলাম, তা আজ সঠিক মনে নেই। অনুমান করি, ৬/৭ বছর হবে। আরো আগে থেকেই এ ব্যাপারে উৎসাহী ছিলাম, কিন্তু আম্মা রাখতে দেন নি। মনে আছে এখনকার মত বড় দিনেই প্রথম রোযাটা রেখেছিলাম। দুপুর পর্যন্ত ভালই ছিলাম, তার পর থেকে দিন আর কাটছিল না। ঘড়ি দেখতে দেখতে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, ঘুম থেকে উঠে দেখি ইফতারের সময় আসন্ন। সাথে সাথেই প্রসন্ন বোধ করতে শুরু করলাম, ক্লান্তি দূর হতে শুরু করলো। ছোলা, পিঁয়াজু, বেগুনী, সেমাই আর নানারকমের অন্যান্য সামগ্রী ভাজার সুগন্ধ নাকে আসছিল। এসব ছাড়াও আমাদের ইফতারে সব সময় একটা কমন মেন্যু ছিল কাঁচা ছোলা, সাথে কাটা আদা, মুড়ি আর লেবুর শরবত তো থাকতোই। মাঝে মাঝে কিছু কেনা জিনিসও আনা হতো। ইফতার সামগ্রী খাওয়ার চেয়ে পানি পান করে বেশী তৃপ্ত হয়েছিলাম বলে মনে পড়ে। ইফতার টেবিল থেকে যখন উঠি, তখন ছোট পেটটা ফুলে ঢোলের মত হয়ে গিয়েছিল এবং ভরা পানিতে ঢক ঢক করছিলো।

ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বাসায় পুরো মাস ধরে রোযা রাখা হয়নি। প্রথম প্রথম একটা দুটো, আস্তে আস্তে সংখ্যাটা বাড়ছিলো। এখন যেমন প্রায় সব পরিবারেই বাসার ছোট বড় সবাই রোযা রাখে, আমাদের সময় আমাদের পরিবারে নিয়মটা অন্ততঃ দশ বার বছর পর্যন্ত এতটা কড়াকড়ি ছিলনা। ক্যাডেট কলেজে গিয়েই প্রথম নিয়মিতভাবে প্রতিদিন রোযা রাখা শুরু করি। প্রায় পনের রোযা পর্যন্ত কলেজে থাকতাম, তাই বাসায় এসে স্বাভাবিকভাবেই বাকীগুলো সব পুরো করতাম। ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার কয়েক বছর পর রমজান মাস আসতো শীতের সময়। এমনি সেখানে প্রাকৃতিকভাবে গ্রামীন পরিবেশ ছিল, তাই খোলামেলা জায়গায় শীতটাও বেশ জাঁকিয়ে আসতো। সেহরীর সময় আমরা ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য গায়ে পুল ওভারের উপর দিয়ে কম্বল পেঁচিয়ে এক দৌড়ে ডাইনিং হলে যেতাম। কিছু খাওয়ার রুচি হতো না, তবে দুপুরে লাঞ্চের ব্যবস্থা থাকবে না, প্রথম প্রথম একথা ভেবেই জোর করে কিছুটা খেতাম। আরেকটু বড় হয়ে অবশ্য ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধার কারণেই চেষ্টা করতাম যতটুকু পারা যায়, রোযার হুকুম আহকামগুলো পরিপূর্ণভাবে পালন করতে।

ঢাকার তেজকুনি পাড়ায় আমাদের এক চাচা থাকতেন, হারিছ চাচা। রক্তের সম্পর্কীয় কেউ নন, আব্বার বন্ধু এবং অফিস কলীগ। আমার জন্মের সময় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদেও আমরা পাশাপাশি বাসায় থাকতাম। ওদের আর আমাদের পরিবারের মাঝে প্রায় সমবয়সী ভাইবোন থাকাতে অভিভাবক লেভেলে এবং সিবলিং লেভেলে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব ছিল। পরে অবশ্য বৈবাহিকসূত্রে আমরা আত্মীয়তেও পরিণত হই। আব্বা এবং হারিছ চাচা উভয়ে প্রায় একই সময়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বদলী হয়ে আসেন, কিন্তু এবারে দুই পরিবারের দুই বাসার মাঝে বেশ দূরত্ব থেকে যায়। কিন্তু তা থাকলে কি হবে, সুযোগ পেলেই আমরা একে অপরের বাসায় বেড়াতে যেতাম। হারিছ চাচা খুবই ধর্মপরায়ন ব্যক্তি ছিলেন। রোযার মাসে উনি তার নিজের বাসায় একটা বড় রুম খালি করে তারাবীর নামায পড়ার ব্যবস্থা করতেন। একজন হাফেজ রেখে উনি এবং হাফেজ সাহেব মিলে তারাবীর নামায পড়াতেন। তখন পাড়ায় পাড়ায় এখনকার মত এতটা নৈকট্যে মাসজিদ ছিল না। রোযার মাস এলেই আমার কানে ভাসে হারিছ চাচার সুললিত কন্ঠে ক্বোরআন তিলাওয়াতের সুর- “কুলিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলকি তু’তিল মুলকা.....” এটা ওনার খুব প্রিয় আয়াত ছিল। আমি রোযার মাসে কখনো ওনাদের বাসায় বেড়াতে গেলে অন্ততঃ দু’চারদিন না থেকে আসতে পারতাম না। চাচা পড়াশুনায় ভাল ছাত্রদের খুব স্নেহ করতেন। শৈশব এবং কৈশোরে আমার পড়াশুনার রেজাল্ট সমবয়সী ওনার সন্তানদের তুলনায় ভাল থাকাতে ওদের তুলনায় আমি চাচার কাছ থেকে স্নেহ আদর একটু বেশীই পেতাম। তা’ছাড়া আমার প্রায় সমবয়সী, অর্থাৎ আমার চেয়ে দু’বছরের বড় থেকে দু’বছরের ছোট ওনার চার ছেলে ছিল, যাদের সঙ্গ সান্নিধ্য আমি উপভোগ করতাম, আমাদের মাঝে খেলাধূলোও বেশ জমে উঠতো। মনে পড়ে, সেহেরী খাবার পর চাচা মুখে মুখে কয়েকবার আওড়িয়ে আমাকে রোযার নিয়্যাৎ শিখিয়েছিলেন, যা সেই থেকে আজও আমার মুখস্থ আছে। এখনও আমি সেহেরীর পর রোযার নিয়্যাৎ পড়ার সময় হারিছ চাচাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।

সে সময়ের কেনা ইফতার আমার খুব ভাল লাগতো। বিশেষ করে পেঁয়াজু আর বেগুনী। পেঁয়াজু সত্যিকার অর্থেই পেঁয়াজ দিয়ে বানানো হতো, এখনকার মত শুধু খেসারীর ডাল দিয়ে নয়। ছোলাভাজারও একটা আলাদা স্বাদ ছিল। একটা বিশেষ দিনের কেনা ইফতারের স্বাদ এখনও জিহ্বায় লেগে আছে। তখন রোযাটা পড়েছিল শীতকালে। আমরা স্কুল ছুটির পর দাদাবাড়ী-নানাবাড়ী ঈদ করতে যাচ্ছিলাম, রোযার মাসেই। যমুনা নদী রেলের স্টীমারে পার হয়ে ঠিক ইফতারের সময় কানেক্টিং ট্রেনযোগে বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশনে পৌঁছলাম। সেখানে ট্রেনের ইঞ্জিন ঘুরে এক মাথা থেকে আরেক মাথায় লাগে। তাই কুড়ি মিনিটের মত সময় পাওয়া যায়। আব্বা প্লাটফর্মে নেমে রেলের রিফ্রেশমেন্ট রুম থেকে আমাদের সবার জন্য ইফতার সামগ্রী কিনে আনলেন। খুবই মজার এবং সুস্বাদু ছিল সেই ইফতার। তবে আরেকটা কারণে সেই সন্ধ্যাটা স্মরণীয় হয়ে আছে। ইফতারের পর আম্মা চা খেতে চাইলেন। ট্রেনের জানালার পাশে হাঁক দেয়া এক চা ওয়ালার কাছ থেকে এক কাপ চা কিনে আম্মাকে দেয়া হলো। আম্মার কোলে তখন আমাদের চতুর্থ ছোট ভাইটা, ওর বয়স তখন দেড় দু’ বছর হবে। আম্মা গরম চা খাবেন, চা ছলকে ওর গায়ে পড়তে পারে ভেবে আম্মা ওকে কিছুক্ষণের জন্য আমার বড় বোনের কাছে দিলেন। এদিকে আম্মার চা খাওয়া শেষ হবার আগেই, রেলের ইঞ্জিনটা সজোরে আঘাত করে বগির সাথে জোড়া লাগলো। প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে আপির কোল থেকে ছোটভাইটা ট্রেনের ফ্লোরে পড়ে গেল, তবে কোল থেকে পা গড়িয়ে নীচে পড়েছে বিধায় আঘাতটা ততটা গুরুতর হয়নি। সামান্য কিছুক্ষণ কান্না করার পর সবার সম্মিলিত আদরে ভাইটা কান্না থামিয়ে মুখে এক টুকরো হাসির ঝলক এনেছিল। সেই সাথে সবার উদ্বিগ্ন মুখেও হাসির প্রশান্ত রেখা ফুটে উঠেছিলো।

(নেহায়েৎ ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ। পাঠকের কাছে এর কোন গুরুত্ব থাকার কথা নয়। তবুও একটা সময় আসে যখন মানুষ তার স্মৃতিকথা সবার সাথে শেয়ার করতে চায়। আমিও তাই চাচ্ছি, গুরুত্ব নেই জেনেও। যেসব সহৃদয় পাঠক তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার এ লেখাটা পড়বেন, তাদেরকে অগ্রিম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম।)


ঢাকা
২৪ মে ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

রমজানের স্মৃতি – ২ পড়তে পারবেন এখানেঃ রমজানের স্মৃতি – ২

মন্তব্য ১০১ টি রেটিং +৩০/-০

মন্তব্য (১০১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটা পড়ে প্রথম মন্তব্য করার জন্য এবং প্রথম 'লাইক' দেয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার গোছানো লেখা ভাইয়া;
প্রথম রোজা থেকে শুরু করে রোজায় আপনাদের সময়কার চিত্র দারুন ভাবে ফুটিয়েছেন ।
আশা করছি ভাল আছেন,সুস্থ্য আছেন এ রমজানে!

অনেক অনেক শুভ কামনা।

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরবর্তী পর্বে আমার পরিণত বয়সের এবং প্রবাস জীবনের রোযা নিয়ে কিছু স্মৃতির উপর আলোকপাত করার ইচ্ছে আছে। আশাকরি সাথে থাকবেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। রমজানের শুভেচ্ছা---

৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


রোজার মাস বেশ উৎসব উৎসব ছিল; স্কুল বন্ধ থাকতো, বেড়ানো যেতো; শৈশবের উজ্বল স্মৃতি

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: শৈশবের উজ্বল স্মৃতি সত্যিই খুব মধুর। ফিরে যাবার কোন উপায় নেই।
আগে দুই পরিবারের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকলে এক পরিবারের বাচ্চা কাচ্চারা অনেক সময় আনন্দে সময় কাটানোর জন্য অপর পরিবারের বাসায় গিয়ে থাকতো। কে কার বাসায় খাচ্ছে এ নিয়ে কোন হিসেব নিকেশ ছিল না। এখন সেটা অবাস্তব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার এখানে এখনো ইফতারের বাকী আছে। আপনার পেঁয়াজু আর ছোলার বর্ণনা শুনে জিভে পানি চলে এল! আমারও খুব ছোটবেলায় বাবার সাথে বাস যাত্রায় বিরতিতে ইফতার করার কথা হালকা মনে আছে...

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে আপনার শৈশবের কিছুটা স্মৃতিকথা এখানে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কী কী দিয়ে আজ ইফতার করলেন? :)

৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:

বেশ সাদামাটা ঝকঝকে লেখা।
প্রায় সব মুসলিম বাঙালিই একইভাবে রমজান মাস পালন করে আসছে বছরের পর বছর।

শেষ প্যারাটার শেষদিকে এসে একটু অস্থিরতাই কাজ করছিল, পরে অবশ্য ভালো লেগেছে এটা জেনে যে আপনার আপির কোল থেকে ছোটভাইটা ট্রেনের ফ্লোরে পড়ে গেলেও কোনপ্রকার আহত হয়নি।

প্রথম পর্ব ভালো লাগলো, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শুভ সন্ধ্যা।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় নিয়ে পড়া এবং নাতিদীর্ঘ মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, জাহিদ অনিক। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপির কোল থেকে ছোটভাইটা ট্রেনের ফ্লোরে পড়ে গেলেও কোনপ্রকার আহত হয়নি - সত্যি, সেদিন আমরা একটা বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম। আমার সে ভাই এখন একজন ডাক্তার, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শীতের রোজায় চেয়ে গরমের রোজার শৈশব স্মৃতি বেশী মনে আছে।

দৌড়ে পুকুরে চলে যেতাম। ২বার ৩ বার গোসল! একবার মনে আছে
চৈত্র মােস রোজা। এত তেষ্টা! গোসলেও মিটছে না।
ডুব দিয়ে পানির নীচে গিয়ে মন হল এখানেতো কেউ দেখছে না।
চুপ করে খেয়ে ফেললে কি হবে? কিছু দ্বিধা দ্বন্দের পর একবার ডুব দিয়ে এক ঢোক গিলে ফেল্লাম।
:P
তারপর ভৈসে উঠৈ চারিদিকে দেখলাম। নাহ কেউ দেখেনি! ভাবতেই মনে স্বস্তি! ;)

আর দিনে ২ রোজা ৩ রোজার মজাতো ছিলই :)

২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আর দিনে ২ রোজা ৩ রোজার মজাতো ছিলই - হ্যাঁ, ছোট থাকতে অনেকেই এরকম বিশ্বাস করতো যে ছোটদের জন্য দিনে ২/৩টা রোযা রাখার অনুমতি আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

৭| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: এখনকার ইফতার খেয়ে মজা পাই না। পদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। মানুষজন পাগলের মতো কিনছে। এইসব তো আমি খেতেই পারি না।
আপনার শৈশবের সৃতি ভালো লাগলো।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সংযমের মাসে আমরা মনে হয় নির্দিষ্ট কিছু ঘন্টা উপবাসই করে চলি, সংযমের কথাটা খেয়ালেই রাখি না। তা না হলে ইফতার খাওয়ার ব্যাপারে কী করে এতটা অসংযমী হতে পারি? স্বাস্থ্যের জন্যেও এরকম হুরমুড়িয়ে খাওয়াটা ক্ষতিকর।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।

৮| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০২

পবন সরকার বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পরে আমিও শৈশবে হারিয়ে গেলাম। বোনার পাড়া আমারও অনেক স্মৃতি আছে। ধন্যবাদ আহসান ভাই।

২৫ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ স্মৃতিচারণ আপনাকে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও শৈশবে নিয়ে গেছে জানতে পেরে খুশী হ'লাম। বোনারপাড়া নিয়ে আপনার স্মৃতিগুলোও শেয়ার করুন!

৯| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১২

সুমন কর বলেছেন: আপনার স্মৃতির কথা পড়ে খুব ভালো লাগল। +। ইফতারটা ইনজয় করি, সম সময়।

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, সুমন কর। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১০| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২২

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: আপনার স্মৃতিকথা পড়ে ভালো লাগলো।

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিকথা পড়ে ভালো লাগার কথাটা এখানে জানিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, - সুস্বাগতম! মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ’লাম।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট "কিছু শ্বাসরুদ্ধকর ভাস্কর্য" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম। একবার সময় করে দেখে নেবেন।

১১| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শৈশবের রোজার স্মৃতি গুলো সত্যি অনেক মধুর।
আপনার স্মৃতিচার পড়ে অনেক ভাল লাগল ভাইয়া।++

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিকথা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম। ্মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!

১২| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: রোজা মানেই ভাজাপোড়া ছোলা শরবত দিয়ে মজার মজার ইফতার। টুপি পাঞ্জাবি পড়ে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়তে যাওয়া। সেহেরিতে মায়ের বারবার ডেকে যাওয়া আর একদম শেষ মুহুর্তে তড়িঘড়ি করে সেহেরি খাওয়া । ভাল লাগলো রোজার স্মৃতিচারণ।

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণটা পড়ে আপনার স্মৃতি হাতড়ে কিছু কথা এখানে বলে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০১

করুণাধারা বলেছেন: ঝরঝরে বর্ণনা, তাই একটানে পড়ে গেলাম। আশা করি পরের পর্ব শিগগিরই লিখে ফেলবেন। অপেক্ষায় থাকলাম।

২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আশা করি পরের পর্ব শিগগিরই লিখে ফেলবেন। অপেক্ষায় থাকলাম" - আমিও আশাকরি পরের পর্বটা শিগগিরই লিখে ফেলতে পারবো। বাকীটা দেখা যাক!
ততদিনে সময় করে আমার লেখা "ওদের কথা" কবিতাটি একবার পড়ে দেখবেন বলে আশা করছি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভেচ্ছা---

১৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: শৈশব কখনো পুরনো হয় না।
লেখাটি খুব সুন্দর লাগলো স্যার। +++

আগের মন্তব্যে টাইপ করতে গিয়ে ভুল হয়েছে। দয়া করে মুছে দিবেন। ধন্যবাদ।

২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: শৈশব কখনো পুরনো হয় না - কথাটা ঠিক। তার সাথে আমি আরেকটু যোগ করে বলি, শৈশব যতই পুরনো হয়, ততই মধুর লাগে!
আগের মন্তব্যে টাইপ করতে গিয়ে ভুল হয়েছে। দয়া করে মুছে দিবেন - আচ্ছা, আপনার কথামত মুছেই দিলাম! :)
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভেচ্ছা---

১৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫২

মাহের ইসলাম বলেছেন:
চমৎকার লিখেছেন।

২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, - সুস্বাগতম! মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হ’লাম।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট - "আত্ন উন্নয়নের প্রচেষ্টায়" পড়ে খুব ভাল লাগলো। সেখানে একটা মন্তব্য রেখে এসেছি।

১৬| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৪

স্ব বর্ন বলেছেন: আপনার সৃত্মিচারন শুনে খুব ভালা লাগল খুব আগ্রহের সহিত পড়লাম।

২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব আগ্রহের সহিত পড়লাম - এজন্যে খুবই আন্তরিকতার সহিত আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি!
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রথম পোস্ট "সুহাসিনী" পড়ে এক সপ্তাহ আগে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। আজ আবার "চাই চাই করে শেষে নিজেই হারিয়ে যাই!" - লেখাটি পড়ে আরেকটা মন্তব্য রেখে আসলাম। আশাকরি, একবার সময় করে দেখে নেবেন।

১৭| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যে ছোলা, পেঁয়াজু খাওয়া হয় না। মসজিদে আরব শেখদের সৌজন্যে বিরিয়ানী, চিকেন, মাটন, খেজুর, জুস দিয়ে ইফতার সারি। আলহামদুলিল্লাহ...

২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ!
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর, সেই সাথে তুরস্ক এর মত আরো কিছু দেশের এই রীতিটা বেশ ভাল লাগে। রোযার মাসে বিনামূল্যে মাসজিদে মাসজিদে নামাজীদেরকে এবং মোসাফিরদেরকে ইফতারি দিয়ে আপ্যায়ন করার এ প্রথাটাকে বেশ জনহিতকর বলে মনে হয়। আমাদের দেশেও তো কোটিপতিদের সংখ্যা এখন শুনি কোটির কোঠায়। তারাও তো এরকম একটা কিছু বছরে অন্ততঃ একটা মাস ধরে করে দেখাতে পারে!

১৮| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১:১১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বাহ বেশ সুন্দর শৈশবের সৃতি ভালো লাগলো।

২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ, এই ভাল লাগার কথাটুকু এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভেচ্ছা---

১৯| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ২:১৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জনাব আপনার সুন্দর সেই শৈশবের কথা আমরা কি করে জানতে পারতামা যদি না আপনি স্মুতিচারণ করতেন। চমৎকার সেই সময়গুলো প্রত্যেকের জীবনের হারানো সেই স্মৃতি কারোর উপস্থাপনার মাধ্যমে মনে করিয়ে দেয়। আপনার জন্য রমজানের মোবারকবাদ রইল। ভাল থাকুন। আল্লাহ আপনাকে রমাজানের সিয়াম ব্রতের উত্তম যাযা দান করুন।

২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখা আপনার এ কথাগুলো পড়ে অনুপ্রাণিত ও আপ্লুত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

২০| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৪১

শিখা রহমান বলেছেন: স্মৃতিকথা ব্যক্তিগত হলেও লেখার গুণে তা একটা সময়, একটা কালকে ধারণ করতে পারে। আপনার সুন্দর গোছানো স্মৃতিচারণ একটা সময়কে ধারণ করেছে আর তাই পাঠকের কাছে লেখাটার মূল্য আছে।

লেখাটা পড়তে পড়তে ছোটবেলার রোজার সময়ের কথা মনে পড়লো আর সবার সাথে বসে ইফতার করার কথাও। প্রবাসে রোজার আনন্দ দেশের মতো হয় না, কোথায় যেন সুর কেটে যায়। লেখাটা পড়ে দেশকে, মাকে মিস করছি।

ভালো থাকবেন। রমজানের শুভেচ্ছা আর সুন্দর কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সুন্দর গোছানো স্মৃতিচারণ একটা সময়কে ধারণ করেছে আর তাই পাঠকের কাছে লেখাটার মূল্য আছে। - ধন্যবাদ, আপনার এমন ইতিবাচক মূল্যায়নের জন্য। অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আমিও বছর পাঁচেক প্রবাসে ছিলাম, তবে মুসলিম দেশে থাকাতে রোযার আনন্দে সুর কাটেনি, বরং তাদের তারাবী ও সেহেরীর মধ্যবর্তী সময়ের আনন্দ দেখে আমরা নিজেরাও আনন্দিত হ'তাম। ওরা তারাবীর নামাযের পর সপরিবারে সমুদ্র সৈকতে গিয়ে তাদের নিজস্ব এক ধরণের বাদ্যযন্ত্র বাজাতো এবং গান গাইতো। আত্মীয় পরিজনের বাসায় কল অন করতো। সারারাত শপিং মলগুলো আলো ঝলমল করতো।

২১| ২৫ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০২

সোহানী বলেছেন: আহা সে স্বপ্নে বোনা দিনগুলো। আবার মনে করিয়ে দিলেন........ কারন এখানে এ প্রবাসে রোজা মানে মহা বিরক্তিকর। একেতো রান্না নিয়ে বিপদে থাকি তার উপর রোজা বলে বাড়তি ঝামেলা করতে হয়। অবশ্য অামি ইচ্ছে করেই ইফতার সেহেরির ব্যবস্থা করি বাসায় যত কষ্টই হোক। নতুবা এখানে বাচ্চারা শিখবে না রোজা বা ধর্ম। যাহোক কোন একদিন হয়তো শেয়ার করবো প্রবাসী + ছোটবেলার রোজা।

অনেক ভালোলাগলো স্মৃতিচারণ..........

২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: যাহোক কোন একদিন হয়তো শেয়ার করবো প্রবাসী + ছোটবেলার রোজা - অবশ্যই করবেন এবং তা দ্রুতই করে ফেলুন, এ রোযার মাসটা থাকতে থাকতেই। :)
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভকামনা....

২২| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানবতার দাবী নিয়ে প্রিয় সিনিয়রের দুয়ারে এলাম।

কালকে ইফতারির আগে পোষ্টটা করেছিলাম! দ্রত্‌ই প্রথম পেইজ পেরিয়ে যাওয়ায় মনে হয় কম নজর পেয়েছে!
অথৈর জন্য মানবিকতার দাবীতে যাদের কাছে অধিকার আছে মনে করছি-
তাদের নজরে আনতে তাদের বাড়ী বাড়ী ঘুরছি! আশা করি মনে কষ্ট বা বিরক্তি নেবেন না!

অথৈ আজ থৈ হারিয়ে মৃত্যুর পাঞ্জায়- ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু অথৈ বাঁচতে চায়!

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অথৈ জলে পড়ে হাবুডুবু খাওয়া অথৈ আর তার দুর্ভাগা মাতাপিতার কষ্টের কথা ভেবে অস্থির বোধ করছি। আজ কালের মধ্যেই কিছুটা সাহায্য পাঠানোর ইচ্ছে আছে, দেখা যাক কত দ্রুত সেটা সম্ভব হয়।
আপনার সমব্যথী মনের এ প্রয়াসকে অভিবাদন! আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন সকলের মনের খবর রাখেন, কারণ তিনি অন্তর্যামী। দোয়া কবুলের মাস, এই পবিত্র রমযান মাসে সকল শোকাতুর হৃদয়ের প্রার্থনা কবুল করে তিনি অথৈকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিন, অন্তর থেকে এই দোয়া করছি।
আশা করি মনে কষ্ট বা বিরক্তি নেবেন না! - এমন একটা মহতী উদ্যোগে মনে কষ্ট বা বিরক্তি নিলে গুনাহ হবে বলে মনে করি। আল্লাহ আপনাকে এই মহতী উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টার জন্য জাযাহ খায়ের দান করুন!

২৩| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

মিথী_মারজান বলেছেন: প্রথম রোজার স্মৃতি আসলে সবার কাছেই খুব রোমাঞ্চকর!
তখন দিনগুলো বড় হওয়াতে পানিরর তৃষ্ণাটাই খুব কাবু করতো বাচ্চাদের।
আর নিজে রোজা রাখার পর যে ইফতারটা সামনে আসতো!!!
উফ্ সেগুলা তখন যেন অমৃত!!
(আমিতো ছোটবেলার রোজা রাখলে সারাদিন এটা ওটা খাবারের ফরমায়েশ করে রাখতাম ইফতারে খাওয়ার জন্য)
ভালো লাগলো আপনার প্রথম রোজার স্মৃতি।
আপনার হারিছ চাচার জন্য দোয়া রইল।
আর কি যে ভয় পেয়েছিলাম ট্রেনের দূর্ঘটনাটির যখন বলছিলেন!
যাক্, আলহামদুলিল্লাহ্! খারাপ কিছু হয়নি।
আপনার ভাইয়ার চেয়েও আমার কাছে আপনার আপির কথা ভেবে বেশি খারাপ লেগেছে।
উনার ভেতর না জানি কতদিন এই খারাপ লাগাটা ছিলো!

পরবর্তী স্মৃতিঝাঁপির অপেক্ষায় রইলাম।:)

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইফতার সামনে রেখে ধৈর্যের সাথে আযানের বা সাইরেনের অপেক্ষা করা, রিযিকের জন্য রিযিকদাতাকে স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, ইত্যাদি অনেক বিষয়ের উপর আমরা ইফতার টেবিলে বসে আমাদের ছোটদেরকে, পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষাদান করতে পারি। আরো ভাল হয় যদি নিজেদের জন্য প্রস্তুতকৃত ইফতার দুই একজন মেহমান বা অন্য কারো সাথে ভাগাভাগি করে খাওয়া যায়।
লেখাটা আপনি খুব মন দিয়ে পড়েছেন, এজন্য ধন্যবাদ। আপির কথা ভেবে আপনার খারাপ লাগাটা বোধগম্য, কিন্তু এতে ওনার কোনই দোষ ছিল না। যেরকম প্রচন্ড ঝাঁকুনি লেগেছিলো, তাতে যে কারো কোল থেকে বাচ্চাটা পড়ে যেতে পারতো। আর আমার আপি যেমন ছিলেন ছিঁচকাদুনে, তেমনি তিনি কথায় কথায় হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতেন। আলোচ্য ক্ষেত্রেও ভাইটি পড়ে যাবার পর ভাইয়ের আগেই তিনি কান্না শুরু করে দিয়েছিলেন এবং কান্না থামার পর তার মুখেই প্রথম হাসি শোভা পায়। হাসি এবং কান্না, এ উভয়বিধ আবেগ প্রকাশের কারণে তিনি বহুবার আমাদের সামনে আব্বার কাছে হেনস্তা হয়েছিলেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে খুবই প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২৪| ২৫ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

নীহার দত্ত বলেছেন: রমজান মাস মুসলিম উম্মার কাছে একটি গভীরতম তাতপর্যপূর্ণ মাস।
আমাদের ছোটবেলায় বন্ধুদের দেখেছি যেন একটা উতসব পড়ে যেত।


আপনার আত্মকথা ভাল লাগলো। ২৪ নং মন্তব্যকারীর সাথে সহমত না হয়ে পারছি না।

আপনার ভাইয়ার চেয়েও আমার কাছে আপনার আপির কথা ভেবে বেশি খারাপ লেগেছে।
উনার ভেতর না জানি কতদিন এই খারাপ লাগাটা ছিলো!

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: উদ্ধৃত মন্তব্যটি সম্পর্কে এর আগের প্রতিমন্তব্যে কিছুটা ব্যাখ্যা দিয়েছি। আপনার মনযোগী পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্লাসে অনুপ্রাণিত।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট - অনাহূত পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। একবার সময় করে দেখে নেবেন।

২৫| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি অষ্টম শ্রেণীতে পাঠ কালীন সময়ে ২৭টি রোজা রেখেছিলাম। এর পর আর একটিও ভাঙিনি। রোজা রাখায় আমি এক্সপার্ট। আমার নাম সায়েম। যার অর্থ দাড়ায় রোযাদার। সেই দৃষ্টি কোন থেকে নামটি যথার্থ । :)

সুন্দর পোস্ট।

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: রোজা রাখায় আমি এক্সপার্ট - সাবাশ! নামের যথার্থতা প্রমাণ করে আপনি যে দৃপ্ত ঘোষণা দিলেন, তাতে আমি মুগ্ধ!
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

২৬| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: একটা অমূল্য স্মৃতিচারণ, আমাদের সাথে শেয়ার করলেন, খুব ভালো লাগলো। আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ, আপনি শেয়ার করুন। আমার খুব ভালো লাগে আত্মজীবনী মূলক লেখা।

অনেক শুভ কামনা রইলো। ভালো থাকুন সদা...

২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি শেয়ার করুন। আমার খুব ভালো লাগে আত্মজীবনী মূলক লেখা - অনেক ধন্যবাদ, এমনভাবে উৎসাহিত করার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

২৭| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,



লেফট রাইট করা একজন মানুষের কঠিন বুকেও যে শৈশবের স্মৃতিরা মার্চ করে যায় কখনও কখনও , তেমন একখানা লেখা ।
এমন শৈশব মার্চ করে যায় মনে হয় সব মানুষেরই বুকের মাঠে !
আমারও গেলো আপনার মতো ।
সেই পিচ্চি বয়সে সেহরীতে দধি আর বাটালী বা ভির( ঝোলা )গুড়ের লোভে রোজা রাখার জন্যে মায়ের নিষেধ সত্বেও রাত ৩টায় জাগতুম । থুথু গিললে নাকি রোজা হয়না তাই সকাল থেকে আমাদের ভাই বোনদের মাঝে চলতো থুথু ফেলার অলিখিত কম্পিটিশান । দিন বাড়তে থাকলে মুখ শুকিয়ে যেতো আর পেটে ইঁদুর দৌড়াতো । মা বুঝতে পেরে বলতেন , এখন দুপুরের খাবার খেয়ে নাও । আমরা বলতুম , না রোজা ভেঙে যাবে । মা বলতেন, আরে বোকা, ছোটবাচ্চারা অর্ধেক অর্ধেক করে রোজা রাখে । এখন খাও দুপুরের ইফতারী , সন্ধ্যেয় খাবে বাকী ইফতারী তাতে অর্ধেক অর্ধেক করে একটি রোজা হয়ে যাবে ।

হায়রে কোথায় গেলো সেসব দিন !!!!!!!!!!!!!!

২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: শৈশবের স্মৃতিরা তো সবসময়ই মার্চ করে যায়, শুধু কখনো কখনো নয়। :)
আপনার এ মন্তব্যটা পড়েও যে অনেকেরই মনে অনেক স্মৃতিরা মার্চ করে গেছে, তা সহজেই অনুমেয়। মন্তব্যে ৫ টি প্লাসই তা প্রমাণ করে। ঝোলা গুড় মাখা দুধভাত, আহা, কতই না তার স্বাদ! বাকী কথাগুলোও অনেকেরই কমন পড়েছে।
দারুণ মন্তব্যে এবং সেই সাথে প্লাসে দারুণ অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

২৮| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:২৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার সাবলীল, গোছালো স্মৃতিকথন কত বেশি গুরুত্ব রাখে সেটা বোঝানোর ভাষা আমার জানা নেই। সবার গল্প এক না হলেও কিছু তো মিল থাকেই। সবার মনের শৈশবের সোনালি স্মৃতির দরজায় আপনি টোকা দিয়েছেন।

আমার এক্স্যাক্ট প্রথম রোজাটা মনে নেই। তবে শৈশবের প্রথম রোজাগুলো ছিল নিম্নরূপ:

খুব চেষ্টা করতাম দুপুর ১২ টার আগে ঘুম ভাঙ্গব না। মজার বিষয় হচ্ছে অন্যদিন ৯ টার আগে চোখ খুলতে চাইত না, কিন্তু রোজার দিনে ৭ টার মধ্যে ঘুম ভেঙ্গে যেত।
অন্যদিন মা বলে বলে ১০ টার আগে নাস্তা করাতে পারত না, রোজার দিনে ৮ টার মধ্যে মনে হতো ক্ষিদায় পেট জ্বলে যাচ্ছে।
এভাবে ঘড়ি দেখতে দেখতে দুপুর পার, হয়ত রোজার সাথে একটু এডজাস্ট করে ফেলেছি, মাথায় নেই যে রোজা আছি। ওমনি বাড়ির বড় কেউ বলবে, "আহারে বাচ্চাটা রোজা রেখেছে! মুখচোখ শুকিয়ে গেছে!" ব্যাস আবারো ক্ষিদে মাথাচাড়া দিয়ে উঠত! হাহা।
আর ইফতারির ৫ মিনিট আগে সুস্বাদু সব খাবার সামনে নিয়ে সবার সাথে অপেক্ষা করা কি কঠিন! তারপরে সময় হলে, ঠান্ডা পানি বা রুআফজা পান করার পরে মনে হতো বেহেস্তে আছি! আসলে খাবার ও পানি যে আল্লাহর কত বড় দান, তখনই রিয়ালাইজ করতাম।

আপনার স্মৃতিকথন পড়ে লোভ সামলাতে পারলাম না। নিজেরটাও গরগর করে বলে গেলাম। :)
শুভকামনা।

২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবার মনের শৈশবের সোনালি স্মৃতির দরজায় আপনি টোকা দিয়েছেন - সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর আপনার রোযার রোজনামচা পড়ে বেশ মজা পেলাম। :)
আসলে খাবার ও পানি যে আল্লাহর কত বড় দান, তখনই রিয়ালাইজ করতাম - জ্বী, আমি সেটা তখনও করতাম, এখনো করি; আজও করলাম ইফতারের সময়। :)
আপনার স্মৃতিকথন পড়ে লোভ সামলাতে পারলাম না। নিজেরটাও গরগর করে বলে গেলাম - সেটাই তো চাচ্ছিলাম আমি, সবাই গরগর করে এখানে তাদের কথাগুলো বলে যাক! সেটা বলার জন্য আবারো ধন্যবাদ। :)

২৯| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রমজানের স্মৃতি পড়ে অনেক কথা মনে পড়ছে।
ছোটবেলায় ভোর রাতে না উঠালে শুরু করতাম কান্না কাটি। যেদিন ঊঠাতো সে দিন রোজা। বড়দের সামনে গিয়ে ঘন ঘন ছেপ ফেলতাম। দুপুর হলেই আম্মা আব্বা বলতেন ছোটদের রোজা দুপুর পর্যন্ত ,তোমার রোজা হয়ে গেছে, এবার ভাত খেয়ে ফেল।
রাতে তারাবি পড়তে মসজিদে জেতাম। জামাতের সময় আমাদের কাতার থেকে দুদ্দাড় কিলের আওয়াজ আর হাস্যরোল শোনা যেত বেশি।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে আপনার স্মৃতিগুলোও এখানে শেয়ার করে যাবার জন্য ধন্যবাদ। অনেকের সাথেই ওগুলো কমন পড়বে বলে মনে করি।

৩০| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর স্মৃতির ছবি । আপনার শৈশব যেন দূর থেকে দেখে নিলাম । +++++

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার শৈশব যেন দূর থেকে দেখে নিলাম - এটা দেখতে এসেছিলেন বলে দূর থেকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর বরাবরের মত প্লাসে তো অনুপ্রাণিত হলামই।
শুভকামনা---

৩১| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৮

অলিভিয়া আভা বলেছেন:

খুব খুব খুব ভালো লাগার মত পোষ্ট। শৈশব স্মৃতি সব সময়েই আমাদের টানে।
মিথী মারজান, আহমেদ জী এস চমৎকার মন্তব্য করেছেন।
আবারও আসবো আপনার ব্লগে, আপনার লেখাগুলো পড়তে ভালো লাগছে

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: শৈশব স্মৃতি সব সময়েই আমাদের টানে - জ্বী, আমাকে তো ভীষণ টানে। এই ব্লগেই প্রথম দিকে আমার অনেক স্মৃতিকথামূলক পোস্ট আছে।
মিথী মারজান, আহমেদ জী এস চমৎকার মন্তব্য করেছেন - নিঃসন্দেহে ওনারা দু'জনেই খুব মনযোগী পাঠক, এবং লেখককে ভাল মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার ব্যাপারে আন্তরিক।
আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, - সুস্বাগতম! মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ’লাম।

৩২| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৩

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ভাল লাগল বেশ, তবে শীতের কথায় মনে পড়ল, আমার ছোটবেলার রোজা শুরু হয় শীতকালেই । সেহেরী খেতে কি যে কষ্ট লাগত, এখন তো কিছুই টের পাইনা। তখন যশোর ক্যান্টনমেন্ট এ থাকতাম আমরা। তবে সাধারন পাড়ার চেয়ে আর্মি কোয়ার্টারে একটা অন্য রকম আমেজ থাকত তখন।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ে আপনার নিজস্ব স্মৃতিকথাগুলো এখানে শেয়ার করে যাবার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত।

৩৩| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

শিমুল_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় খাইরুল আহসান স্যার।
স্মৃতিচারণমূলক লেখা সবসময় ভাললাগে, আপনাদের মত গুনি মানুষের স্মৃতি আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। চমৎকার পোষ্ট অনেক ভালবাসা রইলো।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এতটা শ্রদ্ধার সাথে মন্তব্য করার জন্য। অনেক, অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা...

৩৪| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

জুন বলেছেন: খাইরুল আহসান ,
আমার মনে হয় শৈশবে সবার রোজার স্মৃতি প্রায় একই রকম । সেই সেহেরীতে ডাকার জন্য মায়ের কাছে কান্নাকাটি, বন্ধুদের কাছে গর্ব আমি রোজা রেখেছি, আহমেদ জী এস এর মত থুতু গেলা যাবে না । দুপুর থেকেই নেতিয়ে পরা তারপর সবার বাবা মায়ের মতই আমার মায়েরও একই কথা ছোটদের জন্য অর্ধেক রোজা রাখার নিয়ম আছে ইত্যাদি। সে সময়ে আমাদের প্রায় বাসার সাথেই বড় বড় দীঘি থাকায় পানিতে ডুবে ডুবে যাকে বলে জল খাওয়া সবই চলতো ;)
আপনার সুলিখিত লেখায় সব আবার মনের ভেতর লুকিয়ে থাকা দিঘীর অতল জল থেকে টুপ করে ভেসে উঠলো যেন ।
অনেক ভালোলাগা রইলো, ভালো থাকুন আর সুস্থ থাকুন। পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা।
পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
+

২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন একজন নিখাদ ভালমানুষও তাহলে ডুবে ডুবে জল খেতো? :)
আর কিছু বললাম না, তবে প্লাসের জন্য ধন্যবাদ না দিলেই যে নয়!!

৩৫| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১১

নায়না নাসরিন বলেছেন: ভাইয়া খুব ভাললাগলো আপনার ছোটকালের রোজার সৃতি। আশাকরি আগামি পর্ব দিবেন শিঘ্রই। নেট থাকেনা বিধায় আপনাদের সুন্দর লিখাগুলো নিয়ম মত পড়া হয়না। রমজান মোবারক। ভাললাগা দিয়ে গেলাম :)

২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: খায়রুল আহসান বলেছেন: আগামী পর্বটা কেন জানি আর লিখতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। তবে কথা যখন দিয়েছি, লিখতে তো হবেই। দেখা যাক...
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা! অনুপ্রাণিত।

৩৬| ২৮ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার স্মৃতি কথার সাথে আমাদের অনেক কিছু মিলে যাচ্ছে বা কাছাকাছি টাইপের। হয়ত বিশ বছর পর আপনার সাথে তখনকার সময়ের সাথে মিলবে না, তবে আমাদের কাছাকাছি হবে। এভাবে সময় গড়িয়ে যায় কিন্তু রেখে যায় কিছু স্মৃতি। সেই স্মৃতির সাথে আমাদের মেলাবন্ধন ঘটে।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।।

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এভাবে সময় গড়িয়ে যায় কিন্তু রেখে যায় কিছু স্মৃতি। সেই স্মৃতির সাথে আমাদের মেলাবন্ধন ঘটে - খুবই চমৎকার বলেছেন কথাটা। মায়ায় ভরা এ মেলবন্ধন, এটা অব্যাহত থাকুক!
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

৩৭| ২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: রমজানের স্মৃতি হিসাবে বলতে গেলে পড়া ফাঁকি দেওয়ার জন্য বাসায় নামজ পড়ার কথা সবলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাম ।। ;)


আপনার স্মৃতি কথার পড়লাম ।।

২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই নাকি? ভীষণ ফাঁকিবাজ তো ছিলেন আপনি তাহলে, পড়াশোনার ব্যাপারে অন্ততঃ।
যাহোক, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

৩৮| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: স্মৃতিচারন সবসময়ই মনকে নস্টালজিক করে তোলে। অতীতের সুন্দর দিনগুলোর কথা করিয়ে দেয়। আপনার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারন হলেও ভালো লাগলো পড়তে।

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারন হলেও ভালো লাগলো পড়তে - ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ার জন্য এবং পড়ে ভাল লাগার কথাটুকু এখানে জানিয়ে যাবার জন্য। অনুপ্রাণিত হ'লাম।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, আপনাকে সুস্বাগতম!
এই ব্লগে প্রকাশিত আপনার প্রথম পোস্ট - রিকশা - পর্ব ১" পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এলাম। আশাকরি, একবার সময়ও করে পড়ে দেখবেন।

৩৯| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৫২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে আমারও সেই শৈশবের কথা শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে--
খুব ছোট বেলায় তখন শীত কালে রোজার মাস, শীতের সময় গাছে বড়ই ধরতো। রোজা রাখার কারণে বড়ই খেতে পারতাম না। বাড়ির সামনেই বড়ই গাছ, খুব রসালো মিষ্টি বড়ই। আমরা সব বন্ধুরা ইফতারির পর এক সাথে হয়ে সেই বড়ই ভাগ করে খেতাম, এমনকি তারাবি নামাজের সময় পকেটে বড়ই নিয়ে যেতাম। আমাদের এক বন্ধু সে নামাজের মধ্যে সেই বড়ই খাওয়া শুরু করতো। ইমাম সাহেব এটা টের পেয়ে সবার বাসায় নালিশ জানায়।
আহ্ কি সুন্দর সোনালী দিন ছিলো সেগুলো সব হারিয়ে গেলো কোন অতলে!!

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার শৈশবের স্মৃতিগুলোর কথা এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।
আহ্ কি সুন্দর সোনালী দিন ছিলো সেগুলো সব হারিয়ে গেলো কোন অতলে!! - এ আফসোস চিরদিনের!!

৪০| ২৯ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৯

ওমেরা বলেছেন: জীবনের একটা সময় আসে ছোটবেলার কথা গুলো মনে হয় খুব বেশী মনে পড়ে এবং সেগুলো সবার কাছে বলতেও মনে হয় খুব ভাল লাগে , কারন আমার আব্বুর সাথে যখন কথা বলি আব্বু ও তার ছোট বেলার অনেক কথা বলে ,ও তখন উনার চেহার খুব আনন্দিত লাগে ।

ভাইয়া আপনার রমজান স্মৃতিকথা খুব ভাল লাগল । শেয়ারের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন...

৪১| ৩০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:৫৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: শৈশবের রোজার স্মৃতি সত্যিই অনেক আনন্দময়! খুব সুন্দর আর সাবলীলভাবে আপনার শৈশবের রোজার স্মৃতিচারণ করেছেন।
সবার মন্তব্য পড়তেও খুব ভালো লেগেছে :)
সবারই প্রথম রোজার স্মৃতি প্রায় একই হয়। যদিও আমার প্রথম রোজার কথা মনে পড়ছেনা। তবে ছোটবেলায় রোজা পড়ত শীতকালে। অনেক কষ্ট করে ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে সেহরী করতে উঠতাম। আর সারাদিন রোজা শেষে ইফতারে মনে হত যা আছে সব আমি একাই খেয়ে ফেলতে পারব। এত্তগুলো করে খাবার প্লেটে তুলে নিতাম। পরে দেখা যেত একটু খাওয়ার পরেই আর খেতে পারছিনা। :p
আর প্রবাসে ছোটবেলার রোজায় সবচেয়ে মজার ব্যাপার ছিল মসজিদে তারাবীহর নামাজ পড়তে যাওয়া। নামাজের চেয়ে বেশি গল্প আড্ডা হত। কয়েকজন বান্ধবী মিলে প্ল্যান করে একই মসজিদে যেতাম আর একই কাতারে দাঁড়াতাম। আর একটু সুযোগ পেলেই গল্প। এত কথা যে কোথায় পেতাম আল্লাহ জানে! একটা মহিলা থাকত চেক দেয়ার জন্য কোন বাচ্চা দুষ্টুমি করছে কিনা। তো ওই মহিলা এলেই তাড়াতাড়ি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতাম। হাহাহা। এখনো ওইদিনগুলো খুব মিস করি!
ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। একটু দেরীতে হলেও রমজানের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনা.....

৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ লেখাটা পড়ে আপনার শৈশবের মজার স্মৃতিগুলো এখানে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আপনার জন্যেও রইলো পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা...

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট "পরের জন্ম" এবং "তবে কেন এলে!" পড়ে দুটো মন্তব্য রেখে এলাম। একবার সময় করে দেখে নেবেন।

৪২| ৩০ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:৩৫

খনাই বলেছেন: আপনার রমজানের স্মৃতিচারণ পরে খুব ভালো লাগলো | আপনার ইফতারের বর্ণনায় আমার নাম বললেন না কেন ? আমিওতো ইফতার করতাম আপনাদের সাথে | নইলে কাঁচা আদা কুচি,কাঁচা ছোলা,লেবুর শরবত (নিয়মিত আমাদের বাসার ইফতার আইটেম ছিল) ইফতার আইটেমে এতো মিলতো থাকার কথা না | আমার রোজার দোয়াটা আম্মার কাছ থেকে শেখা | আপনার স্মৃতিচারণে আম্মাকেও মনে পড়লো | সুন্দর হয়েছে লেখা | অফটপিকঃ এমসিসি থেকে ঢাকা বোর্ডে স্ট্যান্ড করা ছাত্র মেজর মীর মনজুর (এখন আমেরিকা থাকেন) উনি কি আপনার কনটেম্পোরারি বাংলাদেশ আর্মিতে ?

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
মীর মঞ্জুর নামে যে এক্স ক্যাডেট-এমসিসি এর কথা আপনি বললেন, তাকে আমি সঠিক চিনি না, তবে অনুমান করি যে তিনি আমাদের সমসাময়িক নন, বেশ কিছুটা কনিষ্ঠ হবেন। তা না হলে তাকে চিনতাম।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই ব্লগে আপনার মাত্র দুটো পোস্ট রয়েছে। দুটোতেই মন্তব্য করেছি, কিন্তু "সাম্প্রতিক মন্তব্যে" তা দেখায় না। একবার সময় করে পড়ে নেবেন।

৪৩| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৫

জুন বলেছেন: হা হা হা খায়রুল আহসান আপনার প্রতি মন্তব্যটি এইমাত্র দেখে অনেক্ষন হাসলাম । আমার মনে হয় আমাদের অনেকের জীবনেই রোজার দিনে ডুবে ডুবে জল খাবার স্মৃতি আছে । তবে কথা হলো যাদের বাড়ির আশে পাশে পুকুর বা দিঘী ছিল । শুভেচ্ছা রাত্রির :)

০১ লা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনরায় ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আমি অবশ্য আক্ষরিক অর্থের বাইরেও কিছুটা চিন্তা করেছিলাম, জাস্ট ফর ফান'স সেইক! :)

৪৪| ০১ লা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

প্রামানিক বলেছেন: শৈশবের রোজার স্মৃতিচারণগুলি সবারই প্রায় কাছাকাছি। আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে আমিও অতীতে হারিয়ে গেলাম। লেখা ভালো লাগল। ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।

০১ লা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার স্মৃতিচারণ পড়ে আপনি অতীতে হারিয়ে গেছেন জেনে ভালো লাগল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রামানিক

৪৫| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৫

প্রামানিক বলেছেন: বুঝতে পেরেছি, আমি আশি সালে ফেনীতে ছয়মাস ছিলাম অনেক কিছু দেখে এসেছি। আহসান ভাই মন্তব্যটি মুছে দেন।

০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: দিয়েছি।

৪৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর করে লিখেছেন বাল্যকালের রমজানের স্মৃতিচারণ । খুব ভাল লেগেছে । বোনারপাড়া রেল ষ্টেশনে রেল গাড়ীর ইঞ্জিনের দিক পরিবর্তনের বিষয়ে ভাল একটি বিষয় তুলে ধরেছেন । আমি নীজে দেখেছি ইঞ্জিন ঘুরে এসে বেশ জোরে বগীর সাথে লাগায় বেশ জাকুনী লাগে, ফলে অসতর্ক থাকলে অনেকেই সিট থেকে হেলে এক জন আরেক জনের গায়ের উপরে পরে যায় । জেন্ডার ভিন্ন হলে কথা কাটাকাটিও খানিকটা হয় । যাহোক, আপনার কনিষ্ট ভ্রাতার তেমন লাগেনি শুনে ভাল লাগল । এমন সুন্দর স্মৃতি কথা প্রিয়তে জায়গা করে নিল ।

শুভেচ্ছা রইল ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কনিষ্ট ভ্রাতার তেমন লাগেনি শুনে ভাল লাগল - আমার ভাইটি তখন দেড়-দু'বছরের বাচ্চা ছিল। ধুপুস করে মেঝেতে পড়ে গেলে মাথায় বড় আঘাত পেতে পারতো। কিন্তু আমার আপির কোল থেকে পা গড়িয়ে মেঝেতে পড়েছে বলে সে যাত্রায় তেমন কোন বিপদ ঘটেনি।
লেখাটা প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। রমজানের শুভেচ্ছা---

৪৭| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৯:১১

শেহজাদী১৯ বলেছেন: আমি ভুলে গিয়েছিলাম সেই কাঁচা ছোলার সাথে আদা কুচিও থাকতো কিছু।

অনেক অনেক মিল পেলাম আর দেখতেই পেলাম ইফতার সন্ধ্যাগুলি।

অনেক ভালো লাগলো।

০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৯:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ, মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.