নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপিঃ আজকের পূর্বাহ্নে

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমি সাধারণতঃ সেলফোনটা অফ করে দিয়ে বেডসাইড টেবিলে রেখে ঘুমাই। সকালে ফজরের নামাযের সময় যখন উঠি, তখন আবার অন করে নেই। আজ সকালে ফজরের নামাজ পড়ে যখন ফোনটা অন করলাম, তখন দেখি আমার বন্ধু লুৎফুল কবির ভূঞা ফেইসবুকে প্রকাশিত আমার একটি অনুবাদ কবিতা “পাহাড়টাকেই নিলাম বেছে” পড়ে গতরাতে সেখানে অনুবাদের প্রশংসা করে একটা মন্তব্য করেছে। বন্ধুর প্রশংসা পেয়ে মনটা খুশী হয়ে গেলো। তার মন্তব্যে শুধু একটা ‘লাইক’ দিয়ে রাখলাম। আমার সেলফোনে বাংলা টাইপ করা যায়না বিধায় ভাবলাম, পরে যখন ল্যাপটপ নিয়ে বসবো, তখন ওকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্তব্যের জবাব দিব। অভ্যেস বশতঃ নামাযের পর আবার কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলাম।

সকালে নাশতার পর সেলফোনে চোখ বুলিয়ে দেখি, আমাদের আরেক বন্ধু সতীর্থদের গ্রুপ মেইলে একটা মেসেজ দিয়ে রেখেছে যে গতরাতে প্রায় একটার দিকে কবিরের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়াতে এবং কিছুক্ষণ পর পর ওঠানামা করাতে সে অসুস্থ বোধ করছিলো, তাই তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। এখন সে জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল। ততক্ষণে ওর অসুস্থ হবার খবরটা অনেক বন্ধুই জেনে গেছে। এ ওকে ফোন করে সর্বশেষ খবরটা জেনে নিচ্ছে। ওর কথা ভাবতে ভাবতেই বন্ধু শহীদ উদ্দিন এর ফোন পেলাম। ও জিজ্ঞেস করলো, কবিরের অসুস্থ হবার খবর জানি কিনা। ওর সাথে আলাপ করে সাব্যস্ত করলাম, আধ ঘন্টা পরে আমরা উভয়ে একত্রে ওকে দেখতে যাব। সেই অনুযায়ী তৈরী হয়ে নিলাম। শহীদ ওর নিজের গাড়ী নিজেই চালাচ্ছিল, কারণ ওর ড্রাইভার এখনো ঈদের ছুটিতে। রওনা হবার আগে আমরা উভয়ে আমাদের একই পাড়ায় বসবাসকারী আরো ২/৩ জন বন্ধুকে ফোন করলাম এটা জানাতে যে আমরা কবিরকে হাসপাতালে দেখতে যাচ্ছি। গাড়ীতে যেহেতু জায়গা আছে, সেহেতু চাইলে ওরাও আমাদের সাথে যেতে পারে। কিন্তু কাউকেই তখন ফোনে পেলাম না। অগত্যা আমরা দু’জনেই রওনা হ’লাম।

বের হবার পথে বাসার কাছের ‘Y’ জাংশনটা পার হতেই দেখি, একটা আরোহী বিহীন মটর সাইকেল রাস্তার উপরে একটু সাইড করে রাখা, সে কারণে গাড়ী চলাচলে ঐ জায়গাটাতে একটু জটলা হচ্ছে। তবে গাড়ীগুলো তবুও একে একে পার হয়ে যাচ্ছে উভয়দিকে, কেউ থামছেনা। তার আগেই বেশ এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে, কিন্তু আমরা রওনা হবার পর বৃষ্টি কমে আসলেও তখনো ঝির ঝির করে ঝরছিলো। মটর সাইকেলটার পাশে ছাতা হাতে একজন ইউনিফর্মধারী সিকিউরিটি গার্ড, তার সাথে বর্ষাতি পরিহিত আরো দুইজন মটরসাইকেল আরোহী তাদের বাইক থামিয়ে কি যেন কথা বলছে। আমরা তাদের আরো কাছে এসে গাড়ীটা একটু স্লো করে জিজ্ঞাসা করলাম, কী হয়েছে? কিন্তু ঊত্তর পাবার আগেই পেছনের গাড়ীর তীব্র হর্ণের কারণে সেখান থেকে সরে আসতে হলো। ভাগ্য ভাল ছিল, একটু এগিয়েই গাড়ীটাকে একটু বাম সাইডে কোনমতে চাপিয়ে রাখার মত জায়গা পাওয়া গেল। শহীদ তাই করলো।

কিন্তু ঘটনাস্থলের আপ এন্ড ডাউন উভয়দিকে আপন গতিতে একের পর এক গাড়ী, জীপ, মটর সাইকেল, সিএনজি, বাইসাইকেল সবই ছুটে চলছিলো, কারো হাতে সময় নেই একটু থেমে জিজ্ঞেস করার- ঘটনা কী? ঘটনাটি (আসলে সেটা ছিল একটা দুর্ঘটনা) জানার ব্যাপারে আমাদের আগ্রহ দেখতে পেয়ে সেই সিকিউরিটি গার্ড হেঁটে হেঁটে আমাদের গাড়ীর কাছে এলো। বললো, স্যার একজন মটর সাইকেল আরোহী এ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সামনের একটা গাড়ী হঠাৎ ব্রেক করাতে এবং বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল থাকার কারণে তিনি ব্যালেন্স সামলাতে পারেন নি। বাম দিকে ছিটকে পড়ে ফুটপাথের সাথে বারি খেয়ে তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ওর পিছু পিছু বর্ষাতি পড়া সেই দু’জনের একজন গাড়ীর কাছে এসে আমাদেরকে অনুরোধ করলেন, আহত ব্যক্তিকে যেকোন একটি হাসপাতালে পৌঁছে দেয়ার জন্য। আমরা দু’জনে উপস্থিত সিদ্ধান্ত নিলাম, আমরা তাকে পেছনের সীটে বসিয়ে নিকটস্থ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পারবো, কিন্তু তার সাথে একজনকে যেতে হবে যে ডাক্তারকে সবকিছু বুঝিয়ে বলতে পারবে। সেই ভদ্রলোক জানালেন, আহত ব্যক্তির কপালের পাশে কেটে রক্ত ঝরছে, সেটা ত্বরিত বন্ধ করতে হবে। আর তার একটা হাত খুব সম্ভবতঃ ভেঙ্গে গেছে, কিন্তু রোগী সজ্ঞানে আছেন, তিনি নিজেই ডাক্তারকে সবকিছু বলতে পারবেন। আমরা রাজী হ’লাম। ঊনি ফিরে গিয়ে রোগীকে ধরে ধরে এনে আমাদের গাড়ীতে বসিয়ে দিলেন। আমাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বিদায় নিলেন, যাবার আগে নিজের পরিচয় জানিয়ে গেলেন যে উনি মেজর কামরান। উনি আমাদের পরিচয় জানতে চাইলেন না।

লোকটার ভাগ্যটা নেহায়েৎ ভাল ছিল। উনি যদি বাম দিকে কাত না হয়ে ডানদিকে কাত হয়ে পড়তেন, তবে নির্ঘাত ওনার উপর দিয়ে পেছনের গাড়ী চলে যেত, নতুবা আঘাত করতো, যেটা মারাত্মক হতে পারতো। গাড়ীতে বসে রোগী একটু একটু কোঁকাচ্ছিলেন। জিজ্ঞেস করলাম, মাথায় ব্যথা পেয়েছেন কিনা। উনি জানালেন, কপালের বাম পাশে ব্যথা পেয়েছেন। তবে তার চেয়ে তীব্র ব্যথা করছে তার বাম হাতটা, উনি হাতটা নাড়াতে পারছেন না। এর মধ্যে শুনতে পেলাম উনি সেলফোনে কাকে যেন বলছেন, “আমি এ্যাক্সিডেন্ট করেছি, আমাকে দুইজন লোক হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।“ অপর প্রান্ত থেকে জানতে চাওয়া হলো, কোন হাসপাতালে? উনি আমাকে ফোনটা দিয়ে বললেন, ওনার স্ত্রীকে জানাতে ওনাকে কোন হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। আমি কথা বলে বুঝতে পারলাম যে ওনার স্ত্রী স্বাভাবিক ভাবেই খুবই উৎকন্ঠিত। ওনাকে আশ্বস্ত করে বললাম, মনে হচ্ছে আঘাত তেমন গুরুতর নয়। তবুও আমরা মনে করি ওনাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া প্রয়োজন, তাই আমরা ওনাকে কাছাকাছি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। উনি যেন কাউকে সাথে করে সেখানে আসেন। উনি জানালেন, উনি মগবাজারে থাকেন, ওনার দেবরকে নিয়ে উনি তক্ষুনি রওনা দেবেন। মগবাজার থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে কিভাবে আসতে হবে, পথের বিবরণসহ সেটাও তাকে বুঝিয়ে দিলাম। আহত ব্যক্তির সাথে কথোপকথনে জানলাম, উনি পেশায় একজন ড্রাইভার। একজন মালিকের প্রাইভেট গাড়ী চালান। মালিক একজন ইনকাম ট্যাক্স অফিসার, এখন ঈদ উপলক্ষে ঢাকার বাইরে আছেন। তাই এই সুযোগে কিছুটা বাড়তি উপার্জনের আশায় তিনি তার ব্যক্তিগত মটর সাইকেলে ‘অন লাইন সার্ভিস’ দিয়ে থাকেন (’পাঠাও’ বা এই ধরণের কোন কিছু)। সেরকম একটি কল পেয়েই তিনি এদিকে আসছিলেন।

হোটেল রেডিসন পর্যন্ত আসার অনেক আগে থেকেই আমি শহীদকে রাস্তার বামে চেপে আসার জন্য বলছিলাম। মুশকিল হলো বৃষ্টির কারণেই হোক বা অন্য কোন কারণেই, রাস্তার এই সাইডে তখন বেশ বড় একটা জ্যাম ছিল, যদিও অপর সাইডটা মোটামুটি যানজটমুক্ত ছিল। মিরপুরের দিক থেকে প্রচুর সংখ্যক গাড়ী ফ্লাই ওভার দিয়ে এসে মূল সড়কে নামছিল, আবার মহাখালির দিক থেকেও অনেক গাড়ী আসছিল। রেডিসন হোটেলের কাছাকাছি আসতেই শহীদকে বললাম গাড়ী আস্তে আস্তে বামে চাপাতে। কিন্তু যেভাবে প্রায় বাম্পার টু বাম্পার লেগে লেগে বামের বাস ও গাড়ীগুলো আসছিল, বিশেষ করে বাসগুলো, তাতে অনেক আগে থেকে বামের ইন্ডিকেটর দেয়া সত্তেও গাড়ী বামে টার্ন নেয়া তো দূরে থাক, চাপানোও সম্ভব হচ্ছিল না। আমি ইশারায় বাম দিকের দু’জন ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট বাস ওয়ালাকে একটু পাস দেয়ার অনুরোধ জানালাম, কিন্তু তারা পরোয়া করলো না। এর পরে গাড়ীর কাঁচ নামিয়ে আমি দেখি একটা লক্কর ঝক্কর মার্কা বাস, চালকের আসনে ১৯/২০ বছরের কালো কুচকুচে এক চালক। আমার কাঁচ নামানো দেখে সে বাসটা একটু স্লো করলো, কিন্তু চলতেই থাকলো। ওকে বললাম, আমার গাড়ীতে একজন রোগী বসা আছে, তাকে বাম দিকের ঐ হাসপাতালটাতে নিয়ে যাচ্ছি। সে সাথে সাথে বাসটাকে ডেড স্টপ করে বললো, ‘যান স্যার’! একেবারে ঠিক জায়গামত এই স্পেসটুকু পাওয়াতে আমাদের পক্ষে বামে ঢোকা সম্ভব হলো। দুই তিনটা বিলাস বহুল বাস আমাদেরকে অতিক্রম করে গেল, স্পেস দিল না। আর তাদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত এই কম বয়সের এবং (সম্ভবতঃ) কম শিক্ষিত ছেলেটা আমাদেরকে যে সৌজন্য দেখালো এবং অদেখা রোগীর প্রতি একটা ছাড় দিল, তার জন্যে মনে মনে কৃতজ্ঞ বোধ করলাম। তা না হলে আমাদেরকে অনেক পথ ঘুরে আসতে হতো। আল্লাহ যেন সেই লক্কর ঝক্কর বাসওয়ালার সুবিবেচনার জন্য তাকে উত্তম প্রতিদান দেন!

রোগীকে গাড়ী থেকে নামিয়ে ধরে ধরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রবেশ করলাম। সেখানে উপবিষ্ট দু’জন নার্সকে জিজ্ঞেস করলাম, ওনাকে কোথায় নিতে হবে। লোকটির কপাল থেকে রক্ত ঝরা দেখে ওরা বুঝতে পেরেছিল এ্যাক্সিডেন্টের রোগী। বসে বসেই ওরা নির্বিকারভাবে ইশারায় দেখিয়ে বললো, সামনে যেয়ে বামে যান। রোগী গাড়ীতে বসে আমাদের কথোপকথন শুনে বুঝেছেন, আমরা আরেক রোগীকে দেখার জন্য রওনা হয়েছিলাম। তিনি নিজেই কৃতার্থ হয়ে বললেন, স্যার বাকীটা আমি এখন একাই পারবো। আপনারা যান আপনাদের রোগীকে দেখতে। আমি তাকে উপস্থিত আরেকজন উৎসাহী ব্যক্তির কাছে হ্যান্ড ওভার করে, তাকে শুভকামনা জানিয়ে গাড়ীতে অপেক্ষমান শহীদের কাছে ফিরে এলাম। কিছুদূর এসে শহীদ জিজ্ঞেস করলো লোকটির মোবাইল নম্বর এবং নাম টুকে রেখেছি কিনা। না বলাতে তার মৃদু ভর্ৎসনা উপহার পেলাম। পরে অবশ্য বিকল্প ব্যবস্থায় আমি তার নাম ঠিকানা ও সেলফোন নম্বর জেনেছি। ওনার নাম মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, বাড়ী জামালপুর জেলার ইসলামপুরে।

এর পরে আসলাম সিএমএইচে। ইত্যবসরে জেনে গেছি কবিরকে জরুরী বিভাগ থেকে চেস্ট পেইন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। সরাসরি সেখানে গেলাম। গিয়ে দেখি সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। অন ডিউটি ডাক্তারের কাছে ওর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে মোটামুটি আশ্বস্ত হ’লাম যে সে এখন আশঙ্কামুক্ত। তবে রক্ত পরীক্ষার একটা রিপোর্ট আসা তখনো বাকী। সেটা আসলে আরো নিশ্চিত করে বলা যাবে, কতটা আশঙ্কামুক্ত। যেহেতু রোগী ঘুমিয়ে, আমরা আর দেরী না করে গল্প করতে করতে বাড়ী ফিরে এলাম।

দোয়া, প্রার্থনা ও শুভকামনা-----

কবিরের আশু রোগমুক্তির জন্য, সে যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে আসতে পারে, পরিবারের কাছে।

সেই নাম না জানা আহত ব্যক্তিটির জন্য (পরে অবশ্য তার নাম ঠিকানা জেনেছি), সেও যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে যেতে পারে, পরিবারের কাছে। তার আঘাতজনিত যন্ত্রণার আশু উপশম কামনা করছি।

সেই লক্কর ঝক্কর বাসওয়ালার জন্য, তার সুবিবেচনাপ্রসূত ছাড়টুকুর জন্য (হাইওয়ে ড্রাইভিং এর স্বাভাবিক নিয়ম হলেও, আমাদের দেশে এটা একটা “ছাড়”ই বটে)। আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন তাকে সড়কে ও যানবাহনে নিরাপদ রাখুন।

মেজর কামরান এর জন্য- তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি আহত ব্যক্তিটিকে দেখার জন্য থেমেছিলেন এবং তাকে হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।

বন্ধু শহীদের প্রতি, তার এই সদিচ্ছাটুকুর জন্য এবং একটা শুভকাজে আমাকে সামিল করে নেয়ার জন্য। জাযাকাল্লাহু খাইরান!


ঢাকা
২৯ আগস্ট ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।


কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের প্রবেশ পথে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি জনাব মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু

মন্তব্য ৮১ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৮১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: প্লাস দিলাম। আপনাকে, আপনার বন্ধুকে, সেই কমবয়সী চালককে আর মেজর কামরানকে। শুকরিয়া আল্লাহর জন্য।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা---

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পোস্ট অতিপ্রাকৃত পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মনটা ভাল হয়ে গেল।

এভাবেই সৃষ্টিকর্তা বুঝি পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখেন।
অভিবাদন প্রিয় সিনিয়র।

অসাধারন মানবিক কাজগুলো আঞ্জাম দেয়ায়। এবং দারুন শুভকামনাগুলোর জন্য।

আল্লাহ সবাইকে নিরাপদে ও হেফাজতে রাখুন।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যটা আমার জন্য অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক হয়েছে। প্লাসটা তো বটেই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
ভাল থাকুন, সব সময়....

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৫

ঢাকার লোক বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খাইরান , আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দান করুন, অন্যের জন্য ভাবে এমন লোক এখনো দেশে আছে জেনে ভালো লাগলো .

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ার জন্য এবং দুয়ার জন্য।
জানাজার নামায নিয়ে লেখা আপনার একটা উপকারী পোস্ট পড়লাম। ভাল লেগেছে।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজকের দিনলিপিটা স্যার আপনার নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী। দিনের পূর্বাহ্ণে ফেবুতে প্রশংসা সূচক কমেন্ট ছাড়া বাকিগুলি সবই অনাকাঙ্খিত। কিন্তু তবুও আমাদের সেটা মেনে নিয়েই প্রতিরোধ সংগ্রামে নেমে পড়তে হয়, যেমন লড়াই এর মধ্যে আজকের গোটা দিনটি আপনার কাটলো।

তবে আশার যে, দিনের অপরাহ্নে দুর্ঘটনা থেকে দুর্ভাবনা তা থেকে মুক্তির একটি উপায় বার হয়েছে। বাকিটা উপরওয়ালার উপর নির্ভরশীল। ওনারা দ্রুত আরোগ্যলাভ করুণ, কামনা করি।

বিনম্র শ্রদ্ধা স্যার আপনাকে ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওনারা দ্রুত আরোগ্যলাভ করুণ, কামনা করি - ওনাদের উভয়ের খবর ভাল, অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা আপনাকে সাহায্য করছে অন্যদের বুঝতে।

আমার মনে হচ্ছে, আমাকে দোয়া করতে হবে, দেশে যেন বিলাসবহুল বাসের থেকে লক্কর ঝক্কর বাসের সংখ্যা বাড়ে; বাংলাদেশে যেইজন যতবেশী সাধারণ, সেইজন ততবেশী বিনয়ী।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অভিজ্ঞতা জীবনের বড় ধন, জীবনের নির্যাস।
বাংলাদেশে যেইজন যতবেশী সাধারণ, সেইজন ততবেশী বিনয়ী - একটি সার কথা বলেছেন। পজিশন মানুষকে উদ্ধত করে।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার লেখায় এদেশের রোড এবং গাড়ি চলাচলের হযবরল অবস্থা উঠে এসেছে।
জনাব কবির সাহেবের জন্য দোয়া রইল।

আমি যদি আমার আজকের দিনলিপির কথা বলি, তাহলে বলতে হয় সন্ধ্যায় রাস্তায় বাদাম খেতে গেছিলাম। ফুটপাতে বাদামওয়ালার থেকে বাদাম কিনতে যাব ঠিক সেই মহুর্রতে পুলিশ আসলে বাদামওয়ালা বাদাম বিক্রি না করে দৌড়ে পালাল। আমার কিছুই বুঝে আসলোনা, বাদাম ওয়ালা অনতি দূরে রাস্তার ধারে যে পার্রটি অফিসটি আছে সেটিও বাদাম ওয়ালার মতো অবৈধভাবে উঠানো হয়েছে। সেখানে অনেকে টিভি, ক্যারাম বোর্রড খেলছে। তাদের পুলিশ কিছুই বলছেনা। অথচ বাদামওয়ালা গরীব ও পেটের দানা পানি জুটায় বলে তাকে দৌড়ানি খেতে হলো।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: জনাব কবির সাহেবের জন্য দোয়া রইল - অনেক ধন্যবাদ।
আপনার অভিজ্ঞতার কাহিনীটা মজার মনে হলেও সেটা বর্তমান সময়ের এক নিদারুণ প্রহসন। সমাজের বিবেক জাগ্রত হলেই কেবল এসব দূর হবে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। আবারো ধন্যবাদ।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি সবসময়ই গুটিকয়েক লোক বাদে ডিফেন্সের লোকদের পছন্দ করি। তাঁরা আমাদের দেশের গর্ব। আল্লাহ আপনাকে ও আপনার সাথীদের উত্তম প্রতিদান করুক। আমিন...

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দোয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যটা আমার জন্য সুখপ্রদ হলেও অন্য অনেকের গাত্রদাহের কারণ হতে পারে।

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



স্যার, শুধু আপনার এই পোস্টে মন্তব্য করার জন্যই লগইন করলাম৷ ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++ এর চেয়ে বেশি কিছুই বলার নেই৷

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: শুধু আমার এই পোস্টে মন্তব্য করার জন্যই লগইন করলেন জেনে খুবই কৃতার্থ বোধ করছি।
এর চেয়ে বেশি কিছুই বলার নেই - এ কথাটা দিয়েই তো অনেক কিছু বলে গেলেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

রাকু হাসান বলেছেন: ভাল কাজ স্যার ,চাইলে এড়িয়ে যেতে পারতেন কিন্তু যান নি বিবেকের তাড়নায় । ছেলেটির সৌজন্যবোধ দেখে খুব ভাল লাগছে । ++

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: চাইলে এড়িয়ে যেতে পারতেন কিন্তু যান নি বিবেকের তাড়নায় - এই বিবেকটাই মানুষকে অন্ধকারেও পথ দেখায়।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট - একটি সুযোগ হাত ছাড়া , তার মাসুল ৩০ লাখ শহীদ,দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জত এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ - পড়ে একটি মন্তব্য রেখে এসেছি। একবার সময় করে দেখে নেবেন।

১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলেই কিছু লোককে নিয়ে গর্ব করার মত। আমাদের দেশের গাড়িগুলো সব যত লক্কর-ঝক্কর এগুলো দেখলে ভীষণ কষ্ট লাগে। এখন গাড়িতে চড়তে ভয় লাগে কখন যেন কি হয়।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৩

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: তার সুস্থতা কামনা করছি

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: আপনার পোষ্ট দেখেই লগইন করলাম। আপনি একটি মহৎ কাজ করেছেন। আমিও একজন এক্সিডেন্টের রুগী। ২০০৬সালে রোড এক্সিডেন্টে মরতে মরতে বেঁচে এসেছি। আমাকেও সহযোগীতা করেছিল রাস্তার লোক। আমার হাত পাসহ মুখের চোয়াল ভাঙা। সময় মত হাসপাতালে না পৌছালে আমিও হয়ত রাস্তাতেই মরে পড়ে থাকতাম। আপনার দিনলিপি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগল, এই রুগীর উপকারের উছিলায় আপনার যেন আল্লাহ হায়াত বৃদ্ধি করে দেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার পোস্ট দেখে আপনি এত রাতে লগ ইন করে এখানে মন্তব্যটি করে গেলেন, এটা দেখে একদিকে যেমন খুশী হয়েছি, অপরদিকে তেমনি চিন্তিতও হচ্ছি কারণ আপনি কিছুদিন আগেই হৃদরোগে অসুস্থ ছিলেন। তাই অনুরোধ, এত রাত জাগবেন না।
আপনার ২০০৬সালে রোড এক্সিডেন্টে মরতে মরতে বেঁচে যাওয়ার কথা শুনে আঁৎকে উঠলাম। আপনার আঘাতগুলো রীতিমত ভয়াবহ ছিল। শোকর আলহামদুলিল্লাহ, আপনি বেঁচে এসেছেন বলে।
দোয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমীন!

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এই দেশে সড়ক পথে রোগী দেকে সব ভদ্রলোক পালিয়ে বাাঁচেন, সাধারণত রিক্সা চালক, সিএনজি চারক সহ নিম্ন শ্রেণীর পেশাধারী লোক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন - এই সাহায্যের হাত প্রসারনের জন্য বেঁচে যায় হাজার হাজার প্রাণ ।

আপনি যেই কাজটি করেছেন তা অবস্যই প্রশংসনিয় - আপনার প্রতি রইলো অনেক শুভ কামনা - চলার পথে বিপদে যারা হাত বাড়িয়ে দেন তারা মানুষরূপে ফেরেশতা ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: চলার পথে বিপদে যারা হাত বাড়িয়ে দেন তারা মানুষরূপে ফেরেশতা - আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এত চমৎকার একটা কথা বলার জন্য।
কিন্তু দেখুন, আমরা এমন এক দেশে বাস করি, যেখানে অনেক সময় ইচ্ছে থাকলেও সাহায্যের হাত বাড়ানো যায়না। যেমন ধরুন, এই লোকটির কথাই। উনি নিজে কথা বলতে পারছিলেন বলে আমরা কোন সমস্যার কথা ভাবি নাই। কিন্তু উনি যদি অজ্ঞান থাকতেন, তবে হয়তো আমাদেরকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে সব সময় পুলিশ, সাংবাদিক, গোয়েন্দা- এদের কেউ না কেউ তথ্য সংগ্রহের জন্য উপস্থিত থাকে। সেরকম নিরীহ লোক পেলে ওরা উটকো প্রশ্ন বা জেরা করে তাদের থেকে টু পাইস কামিয়েও নিতে পারে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা রইলো---

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার কাজ।
ধন্যবাদ আপনারা সবাই প্রাপ্য।
মানবতার জয় হোক।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানবতার জয় হোক - এ শ্লোগানের সাথে কন্ঠ মেলাচ্ছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা...

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মহান আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিবেন।
লেখা অনেক ভাল লেগেছে ভাইয়া।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখা অনেক ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সাহায্যকারী আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। দোয়া করি, যেন দু'জনেই সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং সকলের মানবিক মূল্যবোধ এভাবেই সমুন্নত থাকে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দোয়ার জন্য ধন্যবাদ। দু'জনেই প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আহত ব্যক্তি বাড়ী ফিরে গেছেন ব্যান্ডেজ নিয়ে, তবে তাকে হাতের চিকিৎসার জন্য আবার আসতে হবে। আর আমার বন্ধুও বাড়ী ফিরবেন আর দু'চারদিনের মধ্যেই বলে আশা করি।
মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: মানবিক আচরণগুলো আস্তে আস্তে লোপ পাচ্ছে । তবু আপনি এবং পোস্টে উল্লেখিত ব্যক্তিদের মানবিকতা এখনো আশা জাগায় । আপনার দোয়ায় শামিল হয়ে বলতে চাই - আমীন ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য এবং দোয়ায় সামিল হবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
মানবতার জয় হোক, সর্বকালে, সর্বত্র!

১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,





মানবিক ।

আর দিনলিপির ঘটনা থেকে যে সত্যটুকু মুখ তুললো তা চাঁদগাজীর-ই মন্তব্য - বাংলাদেশে যেইজন যতবেশী সাধারণ, সেইজন ততবেশী বিনয়ী।


৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলাদেশে যেইজন যতবেশী সাধারণ, সেইজন ততবেশী বিনয়ী - ব্লগার চাঁদগাজীর এ কথাটা সত্য, উদ্ধৃতিযোগ্য।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের দেশে হর হামেশাই এক্সিডেন্ট করে মানুষদের কাতরাতে দেখা যায়। ব্যস্ততায় কেউ ফিরে তাকায় না, কেউ সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এদের কারো কারো জন্য আল্লাহ কাউকে উদ্ধারের উসিলা করে দেন। এরা উভয়ে আল্লাহর অনুগ্রহ প্রাপ্ত।
আপনি এবং শহীদ সাহেবের সৎ কর্মটিকে আল্লাহ নাজাতের উসিলা করে দিন।
আপনি খুব ডিটেইস বিবরণ দিয়েছেন। আপনার সৃতি শক্তির প্রসংসা করছি। শুভ কামনা জানবেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার কথাগুলো খুবই প্রেরণাদায়ক। প্রেরণা দিয়ে কোন ভাল কাজকে উৎসাহিত করাটাও একটা সাদাকায়ে যারিয়া। প্রার্থনা করি, এর সুফল আপনার জীবনে অব্যাহতভাবে আসতে থাকুক।
আপনার সৃতি শক্তির প্রসংসা করছি - ঘটনাটা তো টাটকা ছিল। যেদিন পূর্বাহ্নে ঘটেছে, সেদিনই রাতে পোস্ট করেছি। এর মধ্যে স্মৃতিশক্তির প্রমাণ কোথায় পেলেন?

২০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর শিক্ষনীয় স্মৃতিচারণ, ভালো লাগলো

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যটাও আমার খুব ভালো লাগলো। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা....

২১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

নীলপরি বলেছেন: ২নং মন্তব্যের সাথে একমত । মানবিকতার এক অপূর্ব নিদর্শন ।
++++ - এর উর্ধে এই পোষ্ট ।

শুভকামনা

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন মন্তব্য মানুষকে ভাল কাজ করার জন্য প্রেরনা যুগিয়ে যায়।
প্লাস এবং শুভকামনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন ভালো করা লেখা!!
আপনাদের জন্য শুভ কামনা।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। অল্প কথা, কিন্তু অনেক প্রেরণা।
শুভকামনা---

২৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আরেকবার এসে আপনার পোষ্ট টি পড়ে গেলাম।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ পোস্টটিতে আরেকবার এসে পোস্টটি পড়ে যাবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন---

২৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: অসাধারণ মানবিকতার বহিঃপ্রকাশ। যান্ত্রিক এই যুগে আপনকেই যেখানে আমরা পর করে দূরে সরে রাখি বিপদে, সেখানে আপনাদের এই উদারতা উদাহরণ আমাদের জন্য।

ভালো কাজের প্রতিদান পাক সকল সাদা মানুষেরা।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো কাজের প্রতিদান পাক সকল সাদা মানুষেরা - চমৎকার এ শুভকামনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা....

২৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

ক্লে ডল বলেছেন: এই ভাল কাজের জন্য আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে এলেন, ক্লে ডল। আশাকরি ভাল ছিলেন এবং আছেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা....

২৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বর্ণা বলেছেন: লেখাটা পড়ে মন ভাল হয়ে গেলো।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সেটা জেনে আমারও খুব ভাল লাগলো।
আমার কোন লেখায় আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন - সুস্বাগতম! মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ’লাম।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দুরন্ত প্রেম কবিতায় একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম।

২৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১২

নতুন নকিব বলেছেন:




অাহত অসহায় একজন অচেনা মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় কৃতজ্ঞতাসহ মোবারকবাদ। অাপনার অসাধারন মানবিকতায় মুগ্ধতা অশেষ।

এ সুন্দর শেয়ার অনেককে নিঃস্বার্থ মানবসেবায় উদ্বুদ্ধ করবে, প্রত্যাশা।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মোবারকবাদ জানানোর জন্য। আপনার এমন প্রেরণাদায়ক মন্তব্যটাও মানুষকে ভাল কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
ভাল থাকুন, শুভকামনা---

২৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

শিখা রহমান বলেছেন: দিনলিপি পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো। অসাধারণ একটা দিন!!

সবার জন্য শুভকামনা। ভালো থাকবেন আপনি। ভালো থাকুক আপনার চারপাশের মানুষগুলোও।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটাও মন ভাল করার মত। অনেক ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ার জন্য এবং পড়ে এখানে প্রেরণাদায়ক মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...

২৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: "আমরা সাধারন"রা আছি বলেই বাংলাদেশটা এখনো টিকে আছে।। রাষ্ট্র টিকে থাকার সব উপাদানই আমাদের "সাধারনের" মাঝে আছে।।
অফঃটঃ অনেকদিন পর, কেমন আছেন।।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমরা সাধারন"রা আছি বলেই বাংলাদেশটা এখনো টিকে আছে। রাষ্ট্র টিকে থাকার সব উপাদানই আমাদের "সাধারনের" মাঝে আছে - চমৎকার কথা বলেছেন। দেশের যে কোন ক্রান্তিলগ্নে এইসব "সাধারণ" মানুষেরাই সবচেয়ে আগে সাড়া দিয়ে থাকে।
আমি ভাল আছি। অন্যত্র আপনার এক মন্তব্য থেকে জেনেছি আপনি দেশ থেকে বেড়িয়ে যাবার পর টাইফয়েডে ভুগেছিলেন। আশাকরি এখন সম্পূর্ণ্ সুস্থ হয়েছেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

করুণাধারা বলেছেন: আহত মানুষকে হাসপাতালে নেবার জন্য কেউ না থাকায় আহতের মৃত্যু সংবাদ পত্রিকায় মাঝে মাঝেই প্রকাশিত হয়। কিছুদিন আগে একটা খবরে দেখেছিলাম, রোকেয়া সরণীতে বাস ধাক্কায় আহত এক মহিলা সাহায্য চাইছেন, কিন্তু কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। অনেক পরে দুজন মানুষ সিএনজিতে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঝামেলায় পড়ে যাব, এই ভয়ে আমরা আহত দেখলেও অচেনা মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে যাই না। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমরা অনেকেই উদ্বুদ্ধ হব অন্যকে সাহায্য করতে।

অসংখ্য ধন্যবাদ, এই মানবিক, সুন্দর পোস্টটির জন্য।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সড়ক দুর্ঘটনায় সাধারণ পথচারীরাই সাধারণতঃ এগিয়ে আসে। অসাধারণ লোকেরা প্রায়ই এড়িয়ে যায়।
ঝামেলার ভয় আমাদেরও ছিল। পুলিশ আমাদেরকেও জিজ্ঞেস করতে পারতো, ওনাকে আপনারা কোথায় পেলেন? আপনাদের গাড়ীর দ্বারাই দুর্ঘটনা ঘটেনি তো?
যহোক, এসব ভয়ের এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার পরেও মানুষ মানবতার ডাকে সাড়া দেয়, সেজন্যেই তো আমরা এখনো বেঁচে আছি।
লেখাটা পড়ার জন্য এবং প্রেরণাদায়ক মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা---

৩১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন:





মানুষ মানুষের জন্য। যারা অন্যের বিপদ দেখে নিজের সামর্থ থাকার পরও যখন উপকার করে না তাকে মানুষ বলা যায় কি?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: যারা অন্যের বিপদ দেখে নিজের সামর্থ থাকার পরও যখন উপকার করে না তাকে মানুষ বলা যায় কি? - কিন্তু এরকম অমানুষের সংখ্যাটাই তো বেশী আমাদের সমাজে।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

৩২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৯

শামচুল হক বলেছেন: উপকারের উছিলায় আল্লাহ যেন আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দেন।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য এবং দোয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।ন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
মানবতার জয় হোক, সর্বকালে, সর্বত্র!

৩৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৫৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মন ভালো করা লেখায় একটু মন খারাপও হলো খায়রুল ভাই I মানুষকে সাহায্য করার এই সাধারণ ছোট নাগরিক দায়িত্বের কাজগুলো যে আমরা কবে একটু করতে শিখবো ! সেটা ভেবেই মন খারাপ হলো Iআপনারা মনে হয় শেষ (বা একেবারেই শেষ দিকের) একটা জেনারেশন যারা এই কাজগুলো দায়িত্ব মনে করে দেশে এখনো করছেন I এই কাজগুলো যে একজন মানুষ হিসেবেই আমাদের করে দরকার সেগুলো আমাদের কোনো জ্ঞানীগুণী সুশীল ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে বলতে শুনেছি কিনা সেটাইতো মনে হয় না !মাঝে মাঝে এতো খারাপ লাগে I এখানে আমেরিকায় প্রতি বছর বিলিয়ন আওয়ারস ভলান্টারি জব করে মানুষ ! টাকার অংকে এটা কয়েকশো বা হাজার বিলিয়ন ডলার I এই ব্যাপারগুলোও (ভলান্টারি ওয়ার্ক)আমরা দেশে করতে পারিনা এখনো ঠিকমত I কবে যে শিখবো মানুষকে সুযোগ থাকলে একটু সহায় করতে এগিয়ে আসাটা একটা সাধারণ মানবিক কর্তব্যের মধ্যেই পরে আল্লাহই জানেন I লেখা ভালো লেগেছে I একটা জোরে সালাম বলতে ইচ্ছে করছে আপনাকে অনেক অনেক আন্তরিকতা নিয়ে I না শুনতে পেলেও জানবেন আমি সেটা বলেছি আপনাকে I

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়া আলাইকুম আস সালাম!
এদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় যারা দুর্ভাগ্যক্রমে নিপতিত হন, তাদের সাহায্যার্থে কেবল সাধারণ জনগণই এগিয়ে আসেন বেশীরভাগ ক্ষেত্রে। রিক্সায় করে, ভ্যানে করে, সিএনজি চালিত বেবী ট্যাক্সিতে করে কোনরকমে স্বেচ্ছাসেবী কেউ একজন হাসপাতাল পর্যন্ত আহত ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন। কোন কোন সময় তাদেরকে অবাঞ্ছিত প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হয়। খুব কম ভিক্টিমের ভাগ্যে এম্বুল্যান্স জোটে। অথচ দুর্ঘটনায় দ্রুত উদ্ধারে পুলিশী/হাসপাতালের সাহায্য পাওয়া নাগরিক অধিকার।
লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
ব্লগে লেখালেখিতে ফিরে আসুন। শুভকামনা---

৩৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪১

সোহানী বলেছেন: আপনার কোন লিখা এ মূহুর্তে পড়ছি না। কারন আপনার লিখা পড়ার জন্য তাড়াহুড়া আমার পছন্দ নয়। আয়েশ করে কফির কাপ হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে লিখা পড়তে ভালো লাগে। তাই শুধু জানান দিলাম, আবার ফিরে আসবো। তবে আমার তাড়াহুড়ায় লিখা শেষ লিখাটা পড়ার অনুরোধ থাকলো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা।
আপনার লেখাটা পড়ে এলাম। প্রবাস জীবনের এসব ছোটখাট অভিজ্ঞতা নিয়ে আরও লিখুন। আমি যতদূর জানি, পাঠকেরা এসব লেখা গোগ্রাসে গিলে।
প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, সপরিবারে।
শুভকামনা রইলো....

৩৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর।আল্লাহ আপনাকেও এর উত্তম প্রতিদান দিক।দোয়া রইলো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য এবং দোয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
শুভকামনা রইলো....

৩৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০১

জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনি ঘুমানোর সময় সেলফোন বন্ধ করে রাখেন-- আর আমি/আমরা ঘুমকে বন্ধ রেখে সেলফোন ব্যবহার করি। সেলফোন আমাদের সময়ের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে আমরা যারা তরুণ, নিজেরা জানি যে এটা একটা এডিকশন- তবুও।

যাহোক, আপনার এই লেখাটা অফ লাইনে পড়েছিলাম। আপনার মধ্যে যে মানবতা নামে একটা বিষয় খুব প্রবলভাবে উপস্থিত সেটা আগেও আপনার বেশ কয়েকটা লেখায় বুঝতে পেরেছিলাম। ভালো মানুষ আছে বলেই খারাপ মানুষ থাকার পরেও আমরা এখনো স্থা রাখতে পারি মানুষের উপর।

ভালো থাকুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। শুভ কামনা।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: শরীরের প্রাপ্য যেটুকু ঘুম, সেটুকু অকাতরে দিন। তারপরের সময়টুকু আপনার- এডিকশন একটু আধটু যদি থাকেও, সেটাকে আপনার সময়ে স্থান করে দিন, ঘুমের সময়ে নয়। তা না হলে ঘুম বড় নির্দয়ভাবে একদিন তার প্রাপ্যটুকু আদায় করে নেবে। সুতরাং, সময় থাকতে সচেতন হোন!
মন্তব্যের পরের অংশটুকু নিঃসন্দেহে লেখককে এবং পাঠকদেরকেও আরো ভাল কাজ করার প্রেরণা যোগাবে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভকামনায় স্পর্শিত।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা---

৩৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: সৌজন্যতার ও ভদ্রতা নিয়ে আমার পরবর্তী লেখাটা লিখব বলে কদিন থেকে ভাবছিলাম, এমন সময় আপনার এই লেখা পড়ে এখন ভাবছি যে লেখাটা ঠিক হবে কি না। কারণ আমার লেখাটা নেতিবাচক।

ঢাকা শহরে দিনকে দিন তা দুর্লভ হয়ে যাওয়া এই মানবিকতা রক্ষায় আমার একজন সহব্লগার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেটা দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে। মলাসইলমুইনা যেমনটা বলেছেন আপনারা মনে হয় শেষ (বা একেবারেই শেষ দিকের) একটা জেনারেশন যারা এই কাজগুলো দায়িত্ব মনে করে দেশে এখনো করছেন I আমারও তাই মনে হয়। আজকালকার ছেলে মেয়েরা খুবই ব্যক্তিকেন্দ্রিক।

থ্যাংক ইউ ভেরিমাচ স্যার।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: সৌজন্য ও ভদ্রতা দিন দিন আমাদের জীবনাচার থেকে তিরোহিত হয়ে যাচ্ছে, এ ভাবনাটা আমার মাথায়ও মাঝে মাঝে আসে, বিশেষ করে যখন আশেপাশের শিক্ষিত মানুষদের মাঝেও ব্যাড ম্যনার্স প্রত্যক্ষ করি। সদাচারণ তথা ম্যনার্স এর শিক্ষাটা শুরু হয় মানুষের পরিবার থেকে, তার শৈশবে। আমরা নিজেরাই কি আমাদের বাচ্চাদেরকে যথাযথ শিক্ষা দিচ্ছি? মনে হয়, না। বরং আমরা ছোটকাল থেকেই শিশুদেরকে সবকিছু ম্যানেজ করে, সবকিছুর সাথে এ্যাডজাস্ট করে চলার শিক্ষা দিচ্ছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

৩৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: এই পাল্টানো সময়ে মানুষের প্রতি মানুষের বিরলপ্রজ সহমর্মিতা টানেলের শেষ প্রান্তে আলোর ঝিলিক দেখায়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের মত এমন উৎসাহ উদ্দীপনা পেলে মানুষ নিঃসন্দেহে আরো ভাল কাজ করতে এগিয়ে আসবে। আপনার মন্তব্যটাও নৈরাশ্যবাদী সমাজে আশার আলো ছড়িয়ে যাবে।

৩৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

জুন বলেছেন: আপনি অর্থাৎ আপনারা যে কাজটি করলেন তার জন্য মনে যে তৃপ্তি লাভ করলেন তার মূল্য অপরিসীম । সাথে আহত ব্যক্তি ও তাদের পরিজনদের দোয়াতো আছেই । আপনার এই ধরনের লেখাগুলো পড়লে মন ভালো হয়ে যায় । মনে হয় আমরা ও আমাদের সমাজের সবাই এখোনো মরে পচে হেঁজে যাই নি , এখনো ভালোমানুষ আছে।
অনেক ভালোলাগা রইলো খায়রুল আহসান ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুরনো হয়ে যাওয়া এ লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার এ মন্তব্যের একটি উত্তর দিয়েছিলাম বলে মনে পড়ে। এখন দেখছি সেটা এখানে নেই। কোন যান্ত্রিক বিভ্রাট বা স্মৃতিবিভ্রাটের কারণে এটা হয়ে থাকতে পারে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভাল থাকুন, শুভকামনা------

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.