নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
“অন রোড ম্যাজিস্ট্রেট” এর কাছ থেকে সেই মহার্ঘ্য সনদপত্রটি অর্জনের পরে আমাদের গাড়ীকে সেদিন প্যাহেলগামে যেতে দেয়া হয়েছিল বটে, তবে হাইওয়ে ধরে এগুতে দেয়া হয়নি। অনেকটা পথ ঘুরে, গ্রামীণ সড়ক আর অলিগলি ঘুরে সেদিন প্যাহেলগামে যেতে হয়েছিল। পথে আপেলের ফ্রেশ জ্যুসের একটা দোকানের/বাগানের সামনে এসে শাফি গাড়ী থামালো। আমরা বেছে বেছে কয়েকটা আপেল নিলাম। সেগুলো চেপে দোকানী আমাদেরকে ফ্রেশ জ্যুসের তিনটি গ্লাস এগিয়ে দিল। সেখানে পরিচয় হলো দোকানের কর্মচারী আমের খান এর সাথে। সে আমাদের মুখে বাংলা কথা শুনে জিজ্ঞেস করলো, ‘ফ্রম বাংলাদেশ’? আমি হ্যাঁ বলাতে সে এক নিঃশ্বাসে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তামিম ইকবাল থেকে শুরু করে শেষ খেলোয়াড়ের নামগুলো গড় গড় করে বলে গেল, যা আমি নিজেও হয়তো বলতে পারতাম না। নামগুলো বলতে পেরে সে নিজেকে খুব গর্বিত বোধ করলো বলে মনে হলো, এবং নিঃসন্দেহে আমিও। সে জানালো সে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভক্ত এবং কোন ম্যাচে বাংলাদেশ খেললে সে আর অন্য কোন দলকে কখনোই সমর্থন করে না। স্মরণ করলাম, এ কথাটি অবশ্য প্রথম দিনেই শাফিও আমাকে জানিয়েছিল। এখন ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলছে। যেদিন বাংলাদেশের খেলা থাকে, সেদিন আমি যেন আমার বেডরুম থেকেই শাফি এবং আমের খানের করতালির আওয়াজ শুনতে পাই।
ঘুরা পথে যাওয়ার কারণে সেদিন প্যাহেলগামে পৌঁছতে বেশ দেরী হয়ে গিয়েছিল। দেরী হবার আররেকটা কারণ ছিল জায়গায় জায়গায় থেমে কিছু ছবি তোলা। এক জায়গায় শাফি গাড়ী স্লো করে বললো, স্যার এটা ঝিলাম নদীর শাখা। পেছনে আরো গাড়ী আসতে থাকায় সেতুর ওপরে গাড়ী থামানোর কোন উপায় ছিল না। আমি স্লো করা গাড়ী থেকেই ঝিলাম নদীর কিছু ছবি তুলে নিলাম। আমাদের জাতীয় কবি নজরুলের গানে সিন্ধু এবং ঝিলাম নদীর কথা আছে। দুটো নদীকেই দেখতে পেলাম কাশ্মীর সফরে এসে। কবি কি কখনো দু’দন্ড সময় এই দুই নদীর তীরে বসেছিলেন? আমি জানিনা।
নদী পার হবার পর রাস্তার দু’পাশে বড় বড় কিছু নদীবাহিত বোল্ডার দেখতে পেলাম। একটা বোল্ডারে দেখলাম বড় বড় করে রেড অক্সাইড পেইন্ট দিয়ে লেখা, “আই লাভ ইউ, হেনা”। চলন্ত গাড়ী থেকে দেখা, ছবি তোলার ইচ্ছে থাকা সত্তেও গাড়ী থামাতে পারলাম না। তবে মনে মনে ভেবে রাখলাম, পরের দিন ফেরার পথে সেখানে থেমে একটা ছবি তুলে রাখবো। প্রেমের এসব বিশুদ্ধ উচ্চারণ আমার কাছে সঙ্গীতের মত মনে হয়। যে প্রেমকাতর যুবক এমন একটা কোমল আবেদন এক কঠিন শিলার উপর উৎকীর্ণ করে রেখে গেছে, সেও হয়তো জানতো, তার এ ব্যর্থ আবেদন হয়তো বোবা পাথরের উপরে বোবা হয়েই থাকবে বহুদিন, একসময় রোদ বৃষ্টিতে বিলীন হয়ে যাবে, তবুও সে কথাগুলো তার প্রেমিকার চোখে পড়বে না, কর্ণকুহরেও প্রবেশ করবে না, কারণ তা কখনো বলা হবে না। এ কথা জানা থাকা সত্তেও হয়তো সে বিশ্বস্ততার সাথে তার অনুভূতির কথা এভাবে পাথরে লিখে রেখে শুধু হেনাকেই নয়, বিশ্বকেও জানিয়ে দিয়েছে তার ভালবাসার কথা।। মানুষ অনাদিকাল হতে অপরের মনে একটু স্থান পাবার জন্য পাথরে নাম লিখে এসেছে। সম্রাট অশোকও তা করেছিলেন। কিন্তু মান্না দে গেয়েছেন, "যদি কাগজে লিখো নাম, কাগজ ছিঁড়ে যাবে, পাথরে লিখো নাম, পাথর ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লিখো নাম, সে নাম রয়ে যাবে"। কিন্তু আমরা ক'জনাই বা কারো হৃদয়ে নাম লিখতে পারি?
কিশোর বয়সে যারা (অপরিপক্ক প্রেমিকেরা) এমন নির্ভেজাল অনুভূতির কথা সরাসরি প্রেমিকাকে বলতে পারেনা, তারাই বুঝি এমন উদ্দেশ্যহীনভাবে তাদের অনুভূতির কথা প্রকৃতির মাঝে বিলিয়ে দেয়। আগে ভাবতাম, এমন কাজ বুঝি শুধু বাঙালিরাই করে। কিন্তু পরে জেনেছি, প্রেমের এই অদ্ভূত প্রকাশের ইতিহাস বিশ্বজনীন। সামু ব্লগে আমি “আমার কথা” নামে একটা সিরিজ লিখেছিলাম। সেখান থেকে কিছুটা অংশ এখানে তুলে ধরছি। সিরিজটি ২০১৬ সালের বই মেলায় “জীবনের জার্নাল” নামে বই আকারে আত্মপ্রকাশ করেছিলঃ
“আমাদের স্কুলের পাশেই ছিলো সেন্ট্রাল গভঃ গার্লস হাই স্কুল। পাশাপাশি দুটো স্কুল একই বেষ্টনী প্রাচীর দ্বারা বিভক্ত ছিলো। তবে উভয় স্কুলের জন্য ছিলো একটাই কমন অডিটোরিয়াম। নজরুল-রবীন্দ্র জয়ন্তী ও ইত্যাকার অনুষ্ঠানাদি এলে বড়ভাইদের দেখতাম খুব আগ্রহভরে অপেক্ষা করতেন কখন ক্লাস শেষে অডিটোরিয়ামের দরজা খুলবে। সেখানে তারা আপুদের সাথে একসাথে রিহার্সাল করতেন। বলাই বাহুল্য, এসব করতে গিয়ে তাদের কারো কারো মধ্যে প্রেমের প্রথম পাঠও নেয়া হয়ে যেতো। এ তথ্য প্রকাশ পেতো এখানে সেখানে এর ওর মুখে আলোচনার মাধ্যমে। যারা লাইলী মজনু বা শিরি ফরহাদের মত হয়ে উঠতো, তাদের নামগুলি জ্বলজ্বল করে কে বা কারা বাথরুমের দেয়ালে কিংবা হেথা হোথা লিখে রাখতো প্লাস চিহ্নের মাধ্যমে। যেমনঃ জামিল+দিনা, সোনা+রূপা, খোকা+ নিরু ইত্যাদি। আমার এ লেখাটা পড়ে আমার এক পরিব্রাজক পাঠক আমায় জানিয়েছেন যে এই প্লাস(+) চিহ্নের ব্যাপারটা নাকি বিশ্বজনীন। তিনি বিশ্বের আরো অনেক দেশে এমনকি ইউরোপেও এর অনুরূপ ব্যবহার প্রত্যক্ষ করেছেন। ‘মিউনিখের অলিম্পিয়া টাওয়ারেও দেখেছি এই প্লাস চিহ্ন। প্রেমের ভাষা সার্বজনীন’ – তিনি আমায় জানিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম, প্লাস চিহ্নের ব্যাপারটা শুধু বাংলাদেশেরই কালচার। তার দেয়া তথ্য জেনে আমার সে ভুল ভাঙলো। অবশ্য আমিও আমেরিকায় বেড়াতে গিয়ে নিউ ইয়র্ক এরHowes Cave এর সুগভীর গুহার ভেতরেও প্লাস চিহ্নে আবদ্ধ কিছু নাম উৎকীর্ণ থাকতে দেখেছি”।
উপরের এই অধ্যায়টি পড়ে এই ব্লগেরই একজন পাঠক তার স্মৃতিচারণ করেছিলেন এভাবেঃ “প্লাস দিয়ে নিজের নামের সাথে ‘প্রস্তাবিত’ প্রেমিকার নামও লেখা হতো। নব্বইয়ের দশকে মোহাম্মদপুরের আসাদগেট সংলগ্ন রাস্তার একটি দেয়ালের লিখন আমাকে স্পর্শ করেছিল। ‘পুষ্পা তুমি আমার!’ কী আবেদন! জানি না, পুষ্পা তার হয়েছিল কি না, অথবা সে কোথায় এখন আছে! কিন্তু কথাগুলো আজও আমার মনে আছে”।
যাহোক, আমি সেদিন বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলাম। কারণ, অর্ধেক দিন চলে গেছে, অথচ আমরা তখনো হোটেলেই পৌঁছতে পারলাম না। এ কথা ভাবতে ভাবতেই দেখি শাফি রাস্তা ছেড়ে বামে ঘুরে একটা দোতলা বাড়ীর সামনে এসে গাড়ী থামালো। বুঝলাম, এটাই আমাদের আজকের নিবাস- “গোল্ডেন রেসিডেন্স”। শাফি মালপত্র নামিয়ে দিল। আমরা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে গেলাম।
চলবে......
ঢাকা
০৮ জুন ২০১৯
ছবিতে আমের খান মাঝখানে।
ফ্রেশ এ্যাপেল জ্যুস
ঝিলাম নদী
গাড়ী থেকে তোলা ঝিলাম নদীর ছবি
১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের ভালোবাসার অনুভবতা যেন সারাজীবন থাকে, জীবনের চাপে যেন উহা হারিয়ে না যায় - তাই হোক, আমিও তাই চাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
দেশের বা্হিরে বাংলাদেশ দলে ক্রিকেট ফ্যান আছে জেনে গর্ব বোধ করলাম। আর ভালবাসা বিষয়টি সর্বজনীন কে না জানে?
১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আর ভালবাসা বিষয়টি সর্বজনীন কে না জানে? - ঠিক কথা।
পোস্টে প্রথম প্লাসটা রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন, শুভকামনা...
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
ইসিয়াক বলেছেন: সুন্দর ++
১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: মনে মনে এই পোষ্টের অপেক্ষায় ছিলাম।
১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে মনে এই পোষ্টের অপেক্ষায় ছিলেন জেনে খুশী হ'লাম। এবারে অপেক্ষার অবসান হলো তাহলে!
৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৪৯
আনমোনা বলেছেন: ভালো লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায়..............
২০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায়.............. - আশাকরি, সময় পেলে আগের পর্বগুলোতেও একবার চোখ বুলিয়ে আসবেন।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
জোবাইর বলেছেন: আপনার কাশ্মীর ভ্রমণের সবগুলো সিরিজ পড়া হয় নাই, ব্লগে অনিয়মিত তাই মিস করেছি। যখন যেটা চোখে পড়েছে সেটাই পড়েছি। সময় করে একসাথে পর্ব ১ থেকে পড়ে আসবো। কাশ্মীর মানে আমাদের কাছে রাজনৈতিক গোলযোগপূর্ণ একটি অশান্ত এলাকা! আপনার অভিজ্ঞতার বর্ণনা থেকে কাশ্মীরকে কাছে থেকে জানতে পারছি। অনেক ধন্যবাদ।
দুটি পর্বের নাম একরকম হয়ে গেলো যে!
আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ৯: অবশেষে প্যাহেলগামের পথ
আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ১০: অবশেষে প্যাহেলগামের পথে
এই পর্বের নাম 'আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ১০: অবশেষে প্যাহেলগামে' হলে মনে হয় ভালো হতো। তাছাড়া আপনার ভ্রমণের অবস্থান বুঝানোর জন্য গুগল ম্যাপের ছবি দিলে আমরা স্যাটেলাইট ভিউ দেখতে পারতাম।
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা রইলো।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমতঃ, আমার কোন পোস্টে আপনি এই বুঝি প্রথম এলেন, সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে আপনাকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি!
কাশ্মীর মানে আমাদের কাছে রাজনৈতিক গোলযোগপূর্ণ একটি অশান্ত এলাকা! - আমার ধারণাটাও আগে এরকমই ছিল, কিন্তু কাশ্মীর ঘুরে এসে দেখলাম, যতই গোলযোগপূর্ণ হোক, পর্য্টকদের জন্য ওরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধান করে থাকে, কেননা প্রচুর সংখ্যক পর্যটকের আনাগোনা এলাকাবাসীদের জীবনধারণের একটা বড় উপায় এবং এ থেকে ভারত সরকারও প্রভূত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে।
দুটি পর্বের নাম একরকম হয়ে গেলো যে! - বিষয়টি আজ সকালেই খেয়াল করেছিলাম, কিন্তু একটি জরুরী কাজে বের হতে হয়েছিল বিধায় তখনই এটা সংশোধন করে যেতে পারিনি। ফিরে এসে দেখলাম, আপনি ভুলটি ঠিকই লক্ষ্য করেছেন। ভুলটি উল্লেখ করার জন্য ধন্যবাদ, শিরোনামটি সংশোধন করে নিয়েছি।
তাছাড়া আপনার ভ্রমণের অবস্থান বুঝানোর জন্য গুগল ম্যাপের ছবি দিলে আমরা স্যাটেলাইট ভিউ দেখতে পারতাম - দেখুন, আমি পুরনো দিনের লোক। কম্পিউটার লিটারেট যতটুকু হতে পেরেছি, তা শুধু নিজের আগ্রহ আর ইচ্ছের কারণে। আমার বন্ধু বান্ধবের অনেকেই তাদের সন্তানদের ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করে, কারণ ওরা নিজেরা কমিউটার লিটারেট নয়। আমি যে আজ ল্যাপটপে লিখে ব্লগিং করতে পারছি, ছবি সংযোজন করতে পারছি, বিশ্বের বহু প্রান্তের কবি-সাহিত্যিকদের সাথে আমার নিত্য যোগাযোগ হচ্ছে- এসব কিছুই নিজে নিজেই শিখেছি। তবুও, আপনি যেটা বলেছেন, সেটা একটি ভাল সাজেশন। একটু শিখিয়ে দিন, কিভাবে করবো- আগামীতে প্রয়োগ করতে চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ!
৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১৩
আনমোনা বলেছেন: লেখক বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায়.............. - আশাকরি, সময় পেলে আগের পর্বগুলোতেও একবার চোখ বুলিয়ে আসবেন।[/sb
কাশ্মীর ভ্রমণে প্রথম থেকেই সাথে আছি। শুধু কাশ্মীর না, আমি অনেক আগে থেকেই আপনার লেখার নীরব অনুসারী। এবার সরব হলাম।
২১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: শুধু কাশ্মীর না, আমি অনেক আগে থেকেই আপনার লেখার নীরব অনুসারী। এবার সরব হলাম - অনেক ধন্যবাদ, সরব হয়ে আপনার উপস্থিতির কথাটুকু জানিয়ে যাবার জন্য। মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১৪
রাকু হাসান বলেছেন:
ঝিলাম নদীর কথা বিভিন্ন লেখায় পড়েছি । এবার ব্লগে পড়লাম ।
ঝিলাম নদীর কথা বিভিন্ন লেখায় পড়েছি । নদীটি কাশ্মিরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে । পর্যটকের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র এ নদীটি । একটু নদী ধারে সময় কাটালে হয়তো আমরা আরও বেশ কিছু মজার তথ্য পেয়ে যেতাম।
২১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঝিলাম, রভি, চেনাব, শতদ্রু, সিন্ধু - এই পাঁচ নদীর সমাহার নিয়ে পাঞ্জাব, এ কথা আমরা সবাই ছোটবেলায় পড়েছি। তার মধ্যে সিন্ধু ও ঝিলামকে এবারে নিজ চক্ষে দেখে এসেছি। হ্যাঁ, নদীর ধারে একটু বসে সময় কাটালে হয়তো আরও বেশ কিছু মজার তথ্য পেয়ে যেতাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা....
৯| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:১৫
জোবাইর বলেছেন: আপনি স্যাটেলাইট ভিউ সংযোজনের ব্যাপারে শিখতে চেয়েছেন জেনে খুবই আনন্দিত হয়েছি। ভাই, এটি আসলে তেমন কঠিন কিছু নয়। আমি সামান্য ধারণা দিয়ে বুঝিয়ে দিলে বাকীটুকু আপনি নিজেই করতে পারবেন। আপনার শেখার আগ্রহ আমাকে খুবই মুগ্ধ করেছে। আমি এই ব্যাপারে বিস্তারিত লিখে আপনার পুরানো পোস্টের কমেন্টে দিয়েছি : (আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ৫: অবশেষে শ্রীনগরে!
ধন্যবাদ।
২১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আমার এ অনুরোধে সাড়া দেয়ার জন্য। আমি সময় নিয়ে তা পড়বো এবং প্রয়োগ করতে চেষ্টা করবো।
প্রযুক্তির এ যুগে প্রযুক্তিকে সাথে নিয়ে চলতে না পারলে প্রতিবন্ধী হয়ে থাকতে হবে, যা আমি চাই না।
১০| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৫
ল বলেছেন: জীবনের জার্নাল পড়ার প্রবল ইচছা জাগলো।।।।
সিরিজটা পড়ে নিবো।।।
ধন্যবাদ রইলো।।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনের জার্নাল পড়ার প্রবল ইচছা জাগলো। সিরিজটা পড়ে নিবো - অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
হুমমমমম... ক'জনেই বা কারো হৃদয়ে লিখে যেতে পারে তার নাম! তবে আপনার এই পর্বে "হেনা" প্রসঙ্গে আপনার লেখা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আমার এ পুরনো পোস্টটা পড়ে যাবার জন্য। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
সময় করে ধারাবাহিক পড়তে চেষ্টা করছি।
শুভেচ্ছান্তে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটা লেখার সময় আশা করেছিলাম, "হেনা" প্রসঙ্গটি আরো অনেক পাঠকের কাছে ভাল লাগবে। তবে অনেকের কাছে না হোক, আপনার মত একজন বিদগ্ধ পাঠকের কাছে ভাল লেগেছে, এবং আপনি তা জানিয়ে গেলেন, এটা আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে এবং আমি এতেই খুব খুশী হয়েছি।
পুনঃ মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৯
করুণাধারা বলেছেন: মাঝের কিছু পর্ব পড়া বাদ রয়ে গিয়েছিল, এখন সেগুলো নতুন করে শুরু করলাম।
যাত্রাপথে বাধা বিঘ্নের কারণেই হয়তো এই পর্ব কিছুটা ধীরগতির বলে মনে হল। তবে ঝিলাম নদীর ছবি যতবারই দেখি মুগ্ধ হই। ভালোবাসা নিয়ে যে অল্প কথাগুলো বলেছেন, সেগুলোও ভালো। সব মিলিয়ে পোস্টে +++
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঝিলাম নদীর দিকে তাকালে আমার শুধু কবি নজরুল এর কথা মনে হতো।
ভালবাসার কথা লিখতে, বলতে এবং শুনতে ভালবাসি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষের ভালোবাসার অনুভবতা যেন সারাজীবন থাকে, জীবনের চাপে যেন উহা হারিয়ে না যায়।