নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতাঃ পাগলী’র মা

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯

তাঁরও একটা নাম ছিল,
সে নামেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল,
যদিও তখন কোন জন্ম সনদপত্র রাখা হতো না।
তিনি কখনো বিদ্যালয়ে যান নি, তাই তাঁর কাছে
কোন বিদ্যালয়ের একটাও সনদপত্র ছিল না।
তবুও, তাঁরও একটা নাম ছিল!

তাঁর কন্যা সন্তানের জন্মের কয়েক বছর পর
সবাই জেনে গেল, সে সন্তান মানসিক প্রতিবন্ধী।
সেই থেকে জনে জনে মুখে মুখে
তাঁর নাম হয়ে গেল ‘পাগলীর মা’। তাঁর আসল নামটি
হারিয়ে গেল বিস্মৃতির অতলান্ত সায়রে। সুস্থ মানুষজনের
অসুস্থ মানসিকতা একটি নামকে চিরতরে ঢেকে দিয়ে গেল!

প্রথম প্রথম তিনি আপত্তি করতেন।
ঐ নামটি শোনা মাত্র তিনি শিশুটিকে বুকে চেপে ধরতেন।
প্রতিবাদ করতেন, তাঁকে ঐ নামে ডাকতে নিষেধ করতেন।
কালক্রমে তিনি সর্বংসহা হয়ে গেলেন।
নিরুপায় তিনি সেই আপত্তিকর নামটি মেনে নিলেন,
আসল নামটি আসলেও তিনি চিরতরে ভুলে গেলেন!

পাগলী মরে গেছে বহু যুগ আগে,
কিন্তু তার নামটি সে রেখে গেছে অবিচ্ছেদ্যভাবে
তার মায়ের নামের সাথে।
সেদিন বহু বছর পর আমাকে দেখে
এ ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা সামনে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন,
“মোক চিনছেন বাহে? মুই পাগলী’র মাও”!


চিত্রধারণঃ ১৭ আগস্ট ২০১৯, অপরাহ্ন ৫-৩৩, @বিন্যাগাড়ী, আদিতমারী।
কবিতা রচনাঃ চলন্ত পথে (বগুড়া পার হয়ে), “আগমনী স্ক্যানিয়া” বাসে বসে।
১৯ আগস্ট ২০১৯, অপরাহ্ন ১-২৩


মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হায়রে অভাগা দেশ - হায়রে অভাগা মা

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সত্যিই, এ অভাগা দেশে কত না অভাগা নীরবে জীবন যাপন করে কালের গর্ভে হারিয়ে যায়!
প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই, ডেঙ্গু নিয়ে আজকে আমার একটি লেখা আছে, পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, সেটা পড়ে এসেছি। ভাল লিখেছেন। +

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার একটাই দুঃখ-
আমাদের দেশটা খুব বেশি গরীব।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের দেশটা খুব বেশি গরীব - সরকার বাহাদুরের কথায় আর মন্ত্রী মহোদয়গণের বল্গাহীন ভাষণ শুনে তো মনে হয়, দেশটা এখন আর মোটেই গরীব নেই। কথায় কথায় ভেনিস আর লন্ডনের সাথে তুলনার কথা শুনতে পাই।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আহা বড্ড কষ্ট ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, কবিতা পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য। অনুপ্রাণিত হ'লাম।

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পুরনো পোস্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে কেন হিংস্র পশুর সাথে তুলনা? পড়ে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম, যা হয়তো আপনি দেখেন নি।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

ইসিয়াক বলেছেন: কবিতায় আবেগ ও বাস্তবতার অপূৃর্ব মিশ্রণ । দারুন লেগেছে।
চমৎকার ।অতি চমৎকার।

প্রিয়তে রাখলাম ।
ধন্যবাদ ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটির এমন উচ্চ প্রশংসার জন্য এবং কবিতাটিকে প্রিয়তে রাখার জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।
ভাল থাকুন, শুভকামনা----

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯

নজসু বলেছেন:




মনটা ভারাক্রান্ত হলো।
আমাদের দেশে এরকম অনেক পাগলীর মা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
মানবেতর জীবন যাপন করছে।

তারপরেও তিনি মা। পাগলী হোক আর রাজরানী হোক সন্তান তার সাত রাজার ধন।
প্রিয়, আপনার কবিতার যেখানে লিখেছেন- তিনি প্রথম প্রথম তার সন্তানের নাম পাগলীতে আপত্তি করতেন। প্রতিবাদ করতেন।
যখন ঐ নামটা শুনতেন তখন তার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরতেন। এই পর্যন্ত পাঠ করে গা শিহরে উঠেছে।

সমাজের একপেশে মানুষগুলোর নির্মমতার কাছে পরাজিত হয়ে পাগলী নামটা মেনে নিলেন যখন, তখনকার কথা ভেবে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো।
আহারে মা।
মমতাময়ী মা।
যে কিনা তার সন্তানকে যাদু মানিক, সোনা বলে ডাকার কথা আজকে তার আপত্তিকর নামটা মেনে নিতে হচ্ছে।

প্রিয়, পাগলীর মরে যাওয়াটা আমি মেনে নিতে ইচ্ছুক।
কয়েকদিন আগে পত্রিকায় পড়লাম ৩য় বারের মতো গর্ভবতী হয়েছেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। তার সন্তানের পিতা কে সেটা বলার মতো ক্ষমতা তার নাই। এ দুঃখী মেয়েটা বেঁচে থাকলে হয়তো তার সাথেও এমন অনাচার হতো। আমরা কি আর মানুষ আছি? পশু হয়ে গেছি আমরা্।


মোক চিনছেন বাহে? জবাবটা আমিও দেই।
হ্যাঁ চিনেছি তো। আপনি একজন চিরমমতাময়ী মা।





২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটি পড়ে আপনার কোমল হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়েছে জেনে কবিতা লেখার সার্থকতা অনুভব ও উপলব্ধি করছি। আমিও ভারাক্রান্ত হৃদয়েই কবিতাটি লিখেছি। যিনি একদিন রাগতস্বরে লোকজনকে নিষেধ করতেন তাকে "পাগলী'র মা" ডাকতে, আজ তিনিই আগ বাড়িয়ে এসে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন "মুই পাগলী'র মাও" বলে। নিয়তির কি বিচিত্র পরিহাস!

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



আহ! হৃদয় ছুঁয়ে গেল! এরকম কত পাগলির মায়েরা যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন আমাদের চারপাশে! ঠিকই বলেছেন- সুস্থ মানুষজনের অসুস্থ মানসিকতাই এর জন্য দায়ী।

কারও নাম বিকৃত করে ডাকা ঠিক নয়:

মানুষের আসল নাম বাদ দিয়ে মন্দ নাম বা উপাধিতে ডাকা আমাদের সমাজের একটি কমন চিত্র। এটা নিঃসন্দেহে গর্হিত কাজ।
কোনো মানুষকে মন্দ নামে ডাকা উচিত নয়। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা বলেনঃ

'মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর
নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।' (সুরা হুজুরাত, আয়াত নং-১১)

বক্ষমান আয়াত থেকে আমরা যেসব বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি:

১) একজন আরেক জনকে নিয়ে উপহাস করা যাবে না,
২) একে অপরের প্রতি অনর্থক দোষারোপ না করা,
৩) একে অপরকে মন্দ নামে না ডাকা,
৪) একে অপরের প্রতি কতক বা খারাপ ধারণা থেকে বেঁচে থাকা,
৫) মানুষের গোপনীয় বিষয় সন্ধান না করা,
৬) কেউ কারো পশ্চাতে নিন্দা না করা, অর্থাৎ ব্যঙ্গ ও তুচ্ছজ্ঞান করে এমন নাম রেখো না বা এমন খেতাব বের করো না যা সে পছন্দ করে না। অথবা তার ভাল ও সুন্দর নামকে বিকৃত করে ডেকো না। এইভাবে নাম বিকৃত করে অথবা মন্দ নাম বা খেতাব রেখে সেই নামে ডাকা অথবা ইসলাম গ্রহন কিংবা তওবা করার পরে তাকে অতীত ধর্ম অথবা পাপের সাথে সম্পৃক্ত করে সম্বোধন করা ইত্যাদি সবই অতীব মন্দ ও গর্হিত কাজ। (ফাতহুল কাদির)

আল্লাহ পাক আমাদের এগুলো থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর এ মন্তব্যটির উত্তর সবার শেষে দেব বলে আশা রাখছি।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না - কত সুন্দর এই ঐশী বাণী! এটা অনুসরণ করলে সমাজটা কতই না সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ হতো!
যে ৬টি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন, তার প্রত্যেকটিই নিত্য অনুসরণীয়। অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন সুন্দর ব্যাখ্যাসহ আমার এ নগণ্য কবিতাটিকে আলোকিত করার জন্য।
প্লাসে অনুপ্রাণিত। শুভকামনা---

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অভাগা মা :(
সুন্দর হয়েছে লেখা

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখার প্রশংসায় এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২০

মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ,
আপনার কবিতা ও নজসু ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে ,
আমি ভাষাহীন হয়ে পড়েছি । আপনি শুধু জীবনমুখী লেখা নয়
জীবনমুখী কবিতা খুব ভালো লিখেছেন +++

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার প্রশংসায় এবং প্লাসে অত্যন্ত অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
কবিতা পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা....

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৭

আনমোনা বলেছেন: পাগলীর মা
চিরমমতাময়ী মা

মন ছোয়া রচনা।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত।
শুভকামনা নিরন্তর!

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫০

করুণাধারা বলেছেন: আমাদের ছোট একটি উক্তি কোন মানুষের জন্য বড় বেদনাদায়ক হতে পারে আমরা সেটা ভাবি না...

কবিতার ভাবনা ভালো লেগেছে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের ছোট একটি উক্তি কোন মানুষের জন্য বড় বেদনাদায়ক হতে পারে আমরা সেটা ভাবি না... - আপনি ঠিক বলেছেন। নেইম কলিং আমাদের অনেকের একটা বড় বদ অভ্যাস।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এদের মানুষকে মানুষ হতে দেয়নি কিছু অমানুষরা

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এদের প্রতি আপনার মমতা, সহানুভূতির কথা আমি জানি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

সোহানী বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আমার একটাই দুঃখ- আমাদের দেশটা খুব বেশি গরীব।

না রাজীব নুর ভাই, আমরা গরীব নয়। আসলে গরীব আমাদের মানসিকতা। মানুষকে হেয় করে, অপমান করে, মেয়েদেরকে নিজস্ব অস্তিত্বকে অস্বীকার করা............. এগুলোই আমােদের বৈশিষ্ট্য। আসলে আমরা যে কি পরিমান সম্পদের অধিকারী তা আমরা জানি না বলেই আজ আমাদের এ দীর্নদশা।

মনটাই খারাপ হয়ে গেল ভিন্নধর্মী লিখায়।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: মনটাই খারাপ হয়ে গেল ভিন্নধর্মী লিখায় - এই খারাপ মন নিয়েও যে কথাটি বলে গেলেন, তা অনেক দামী কথাঃ
"আসলে আমরা যে কি পরিমান সম্পদের অধিকারী তা আমরা জানি না বলেই আজ আমাদের এ দীর্নদশা (কথাটা দৈন্যদশা হবে)"
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!!

১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৩২

মীর সজিব বলেছেন: পাগলিরাও যে নিরাপদ নয় । মানুষ রুপী জানোয়ারদের কাছে তাদের যেন বিন্দু পরিমাণ ঠায় নেই। কবে হবে এদেশে ভালো মানুষের জয়।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন: খুবই কষ্টদায়ক !!!!

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আসলেই ব্যাপারটা ভুক্তভোগীরর জন্য খুবই কষ্টদায়ক কিন্তু আমরা আম জনতা সেটার দিকে খুব কমই খেয়াল রাখি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি ভাল আছেন?
শুভকামনা....

১৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

নাসির ইয়ামান বলেছেন: সুন্দর লেখেছেন!

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা নেবেন।

১৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পৃথিবীর বড় বড় সব কষ্টের মাঝে অন্যতম একটি হল
প্রতিবন্ধীদের বাপ মা হওয়া, প্রতিবন্ধীরা নীজেরাও
জানেনা তারা কেন প্রতিবন্ধি তবে তারাই বুঝে
যারা রং তামাসা করতে ভালবাসে বেশী ।
প্রতিবন্ধীরা হয়না বেজার মেনে নেয় তাদের নিয়তি
তাদের কুকে কষ্ট থাকলেও মুখে থাকে প্রফুল্য হাসি।
তাইতো কবি বলেন
এ আনন্দের ভার
বিধাতা তারি দেন যার
বক্ষে বেদনা অপার ।

করুন সুর মুর্ছনায় গাথা সুন্দর
কবিতাটির জন্য রইল অভিনন্দন ।

শুভেচ্ছা রইল

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবীর বড় বড় সব কষ্টের মাঝে অন্যতম একটি হল প্রতিবন্ধীদের বাপ মা হওয়া - কথাটা হৃদয়বিদারক হলেও, সর্বাংশে সত্য।
এ আনন্দের ভার
বিধাতা তারি দেন যার
বক্ষে বেদনা অপার
- কোন কবি বলেছেন এত্ত সুন্দর কথাগুলো?? খুবই ভাল লেগেছে।
করুন সুর মুর্ছনায় গাথা সুন্দর
কবিতাটির জন্য রইল অভিনন্দন
- আপনাকেও জানাচ্ছি এমন চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।
ভাল থাকুন সব সময়, সর্বাবস্থায়!

১৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিউত্তরের জন্য ।
এ আনন্দের ভার
বিধাতা তারি দেন যার
বক্ষে বেদনা অপার
কথাগুলি আমাদের বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথের রচিত ভাষা ও ছন্দ কবিতা হতে নেয়া । প্রায় অর্ধযুগ আগে কলেজে ইন্টারমেডিয়েট স্তরে অধ্যয়নকালে কবিতাটি আবশ্যিক বাংলা পঠ্যসুচীভুক্ত থাকায় পাঠ করেছিলাম । তাই এর সবকটি কথা মন্তব্যটি লেখা কালে সঠিকভাবে স্মরণ করতে পারছিলামনা বলে এর রচয়িতার সাথে রবিন্ত্রনাথের নামটি লাগিয়ে দেয়ার দৃষ্টতা পরিহার করে শুধু কবির কথা বলেছি । এখন আপনি রচয়িতার নামটি জানতে চাওয়ায় রবিন্দ্রনাথের লেখা ভাষা ও ছন্দ কবিতাটিতে ফিরে গিয়ে সঠিক কথাগুলু স্মরণে নিয়ে আসলাম । কবিতার সেই কথাগুলিসহ পুরা কবিতাটিই নীচে তুলে দিলাম ।
ভাষা ও ছন্দ
-রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর

যেদিন হিমাদ্রিশৃঙ্গে নামি আসে আসন্ন আষাঢ়,
মহানদ ব্রহ্মপুত্র আকস্মাৎ দুর্দাম দুর্বার
দুঃসহ অন্তরবেগে তীরতরু করিয়া উন্মূল
মাতিয়া খুঁজিয়া ফিরে আপনার কূল-উপকূল
তট-অরণ্যের তলে তরঙ্গের ডম্বরু বাজায়ে
ক্ষিপ্ত ধূর্জটির প্রায়; সেইমত বনানীর ছায়ে
স্বচ্ছ শীর্ণ ক্ষিপ্রগতি স্রোতস্বতী তমসার তীরে
অপূর্ব উদ্‌বেগভরে সঙ্গীহীন ভ্রমিছেন ফিরে
মহর্ষি বাল্মীকি কবি, রক্তবেগতরঙ্গিত বুকে
গম্ভীর জলদমন্দ্রে বারম্বার আবর্তিয়া মুখে
নব ছন্দ; বেদনায় অন্তর করিয়া বিদারিত
মুহূর্তে নিল যে জন্ম পরিপূর্ণ বাণীর সংগীত,
তারে লয়ে কী করিবে, ভাবে মুনি কী তার উদ্দেশ—
( এখানে একটু ব্যখা দেয়া প্রয়োজন মনে করি, কবিতাটি ১৯৭০ সনে কলেজে ইন্টারমেডিয়েটে অধ্যয়নকালে কবিতাটি বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর আজিজুর রহমমান স্যার আমাদেরকে
পড়াতন, কবিতাটির বিষয়ে তিনি বেশ নাতিদীর্ঘ ঐতিহাসিক বিবরন ও ব্যখ্যা দিতেন , এই কবিতাটি শেষ করতে প্রায় সপ্তহখানেক সময় লেগে যায় , দুটি লাইন নিয়ে তিনি এত এত তথ্যসমৃদ্ধ কথা আমাদের শুনাতেন যা কল্পনাও করতে পারা যায় না, সে সময় অধ্যাপকগন যে কি পরিমান বিদ্যার জাহাজ ছিলেন তা ভাবতেও আজ অবাক লাগে। আর কি মমতা দিয়ে যে তাঁরা পাঠদান করতেন তা ভাবতে গেলে শুধু তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাই বাড়ে । যাহোক তার মুখে শুনেছি কোন একদিন মুনিবর বাল্মীকি শিষ্য ভরদ্বাজকে সাথে নিয়ে তমসা-তীর্থে স্নান করতে যাত্রা পথে প্রকৃতির অপরূপ নৈসর্গিক শোভা সন্দর্শনে বিমুগ্ধ হয়ে ইতস্তত বিচরণ করছেন। এক ব্যাধ বাল্মীকির সম্মুখেই এক ক্রৌঞ্চযুগলের মধ্যে পুরুষ ক্রৌঞ্চকে তীরবিদ্ধ করে । স্ত্রী ক্রৌঞ্চটি করুণ সুরে বিলাপ করতে থাকে । এই দৃশ্য দেখে ক্রুদ্ধ বাল্মীকির মুখ থেকে অভিশাপ বাণীর আকারে উচ্চারিত হয় সৃষ্টির প্রথম শ্লোক :
মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগমঃ শাশ্বতীঃ সমাঃ।
যৎ ক্রৌঞ্চমিথুনাদেকমবধীঃ কামমোহিতম্।।[৯]
- নিষাদ , তুই চিরকাল প্রতিষ্ঠা লাভ করবি না , কারণ তুই কামমোহিত ক্রৌঞ্চমিথুনের একটিকে বধ করেছিস । এ পংক্তিটিকে সংস্কৃত সাহিত্য সৃষ্টিধারার আদি কবিতা ভেবে বাল্মীকিকে ‘আদি-কবি’ও বলা হয়ে থাকে )

তরুণগরুড়সম কী মহৎক্ষুধার আবেশ
পীড়ন করিছে তারে, কী তাহার দুরন্ত প্রার্থনা,
অমর বিহঙ্গশিশু কোন্‌ বিশ্বে করিবে রচনা
আপন বিরাট নীড়।-- অলৌকিক আনন্দের ভার
বিধাতা যাহারে দেয়, তার বক্ষে বেদনা অপার,
তার নিত্য জাগরণ; অগ্নিসম দেবতার দান
ঊর্ধ্বশিখা জ্বালি চিত্তে আহোরাত্র দগ্ধ করে প্রাণ।


অস্তে গেল দিনমণি। দেবর্ষি নারদ সন্ধ্যাকালে
শাখাসুপ্ত পাখিদের সচকিয়া জটারশ্মিজালে,
স্বর্গের নন্দনগন্ধে অসময়ে শ্রান্ত মধুকরে
বিস্মিত ব্যাকুল করি, উত্তরিলা তপোভূমি-'পরে।
নমস্কার করি কবি শুধাইলা সঁপিয়া আসন--
"কী মহৎ দৈবকার্যে, দেব, তব মর্তে আগমন?"
নারদ কহিলা হাসি, "করুণার উৎসমূখে, মুনি,
যে ছন্দ উঠিল ঊর্ধ্বে, ব্রহ্মলোকে ব্রহ্মা তাহা শুনি
আমারে কহিলা ডাকি, যাও তুমি তমসার তীরে,
বাণীর-বিদ্যুৎ-দীপ্ত ছন্দোবাণ-বিদ্ধ বাল্মীকিরে
বারেক শুধায়ে এসো--বোলো তারে, "ওগো ভাগ্যবান্‌,
এ মহা সংগীতধন কাহারে করিবে তুমি দান।
এই ছন্দে গাঁথি লয়ে কোন্‌ দেবতার যশঃকথা
স্বর্গের অমরে কবি মর্তলোকে দিবে অমরতা?"
কহিলেন শির নাড়ি ভাবোন্মত্ত মহামুনিবর,
"দেবতার সামগীতি গাহিতেছে বিশ্বচরাচর,
ভাষাশূন্য, অর্থাহারা। বহ্নি ঊর্ধ্বে মেলিয়া আঙ্গুলি
ইঙ্গিতে করিছে স্তব; সমুদ্র তরঙ্গবাহু তুলি
কী কহিছে স্বর্গ জানে; অরণ্য উঠায়ে লক্ষ শাখা
মর্মরিছে মহামন্ত্র; ঝটিকা উড়ায়ে রুদ্র পাখা

গাহিছে গর্জনগান; নক্ষত্রের অক্ষৌহিণী হতে
অরণ্যের পতঙ্গ অবধি, মিলাইছে এক স্রোতে
সংগীতের তরঙ্গিণী বৈকুণ্ঠের শান্তিসিন্ধুপারে।
মানুষের ভাষাটুকু অর্থ দিয়ে বদ্ধ চারি ধারে,
ঘুরে মানুষের চতুর্দিকে। অবিরত রাত্রিদিন
মানবের প্রয়োজনে প্রাণ তার হয়ে আসে ক্ষীণ।
পরিস্ফুট তত্ত্ব তার সীমা দেয় ভাবের চরণে;
ধূলি ছাড়ি একেবারে ঊর্ধ্বমুখে অনন্ত গগনে
উড়িতে সে নাহি পারে সংগীতের মতন স্বাধীন
মেলি দিয়া সপ্তসুর সপ্তপক্ষ অর্থভারহীন।

প্রভাতের শুভ্র ভাষা বাক্যহীন প্রত্যক্ষ কিরণ
জগতের মর্মদ্বার মুহূর্তেকে করি উদ্‌ঘাটন।
নির্বারিত করি দেয় ত্রিলোকের গীতের ভাণ্ডার;
যামিনীর শান্তিবাণী ক্ষণমাত্রে অনন্ত সংসার
আচ্ছন্ন করিয়া ফেলে, বাক্যহীন পরম নিষেধ
বিশ্বকর্মা-কোলাহল মন্ত্রবলে করি দিয়া ভেদ
নিমেষে নিবায়ে দেয় সর্ব খেদ সকল প্রয়াস,
জীবলোক-মাঝে আনে মরণের বিপুল আভাস;
নক্ষত্রের ধ্রুব ভাষা অনির্বাণ অনলের কণা
জ্যোতিষ্কের সূচীপত্রে আপনার করিছে সূচনা
নিত্যকাল মহাকাশে; দক্ষিণের সমীরের ভাষা
কেবল নিশ্বাসমাত্রে নিকুঞ্জে জাগায় নব আশা,
দুর্গম পল্লবদুর্গে অরণ্যের ঘন অন্তঃপুরে
নিমেষে প্রবেশ করে, নিয়ে যায় দূর হতে দূরে
যৌবনের জয়গান-- সেইমত প্রত্যক্ষ প্রকাশ
কোথা মানবের বাক্যে, কোথা সেই অনন্ত আভাস,
কোথা সেই অর্থভেদী অভ্রভেদী সংগীত-উচ্ছ্বাস,
আত্মবিদারণকারী মর্মান্তিক মহান নিশ্বাস?
মানবের জীর্ণ বাক্যে মোর ছন্দ দিবে নব সুর,
অর্থের বন্ধন হতে নিয়ে তারে যাবে কিছু দূর
ভাবের স্বাধীন লোকে, পক্ষবান্‌ অশ্বরাজ-সম
উদ্দাম-সুন্দর-গতি-- সে আশ্বাসে ভাসে চিত্ত মম।

সূর্যেরে বহিয়া যথা ধায় বেগে দিব্য অগ্নিতরী
মহাব্যোমনীলসিন্ধু প্রতিদিন পারাপার করি,
ছন্দ সেই অগ্নিসম বাক্যেরে করিব সমর্পণ--
যাবে চলি মর্তসীমা অবাধে করিয়া সন্তরণ,
গুরুভার পৃথিবীরে টানিয়া লইবে ঊর্ধ্বপানে,
কথারে ভাবের স্বর্গে, মানবেরে দেবপীঠস্থানে।
মহাম্বুধি যেইমত ধ্বনিহীন স্তব্ধ ধরণীরে
বাঁধিয়াছে চতুর্দিকে অন্তহীন নৃত্যগীতে ঘিরে
তেমনি আমার ছন্দ ভাষারে ঘেরিয়া আলিঙ্গনে
গাবে যুগে যুগান্তরে সরল গম্ভীর কলস্বনে
দিক হতে দিগন্তরে মহামানবের স্তবগান,
ক্ষণস্থায়ী নরজন্মে মহৎ মর্যাদা করি দান।
হে দেবর্ষি, দেবদূত, নিবেদিয়ো পিতামহ-পায়ে
স্বর্গ হতে যাহা এল স্বর্গে তাহা নিয়ো না ফিরায়ে।
দেবতার স্তবগীতে দেবেরে মানব করি আনে,
তুলিব দেবতা করি মানুষেরে মোর ছন্দে গানে।
ভগবন্‌, ত্রিভুবন তোমাদের প্রত্যক্ষে বিরাজে--
কহ মোরে কার নাম অমর বীণার ছন্দে বাজে।
কহ মোরে বীর্য কার ক্ষমারে করে না অতিক্রম,
কাহার চরিত্র ঘেরি সুকঠিন ধর্মের নিয়ম
ধরেছে সুন্দর কান্তি মাণিক্যের অঙ্গদের মতো,

মহৈশ্বর্যে আছে নম্র, মহাদৈন্যে কে হয় নি নত,
সম্পদে কে থাকে ভয়ে, বিপদে কে একান্ত নির্ভীক,
কে পেয়েছে সব চেয়ে, কে দিয়েছে তাহার অধিক,
কে লয়েছে নিজশিরে রাজভালে মুকুটের সম
সবিনয়ে সগৌরবে ধরামাঝে দুঃখ মহত্তম--
কহ মোরে, সর্বদর্শী হে দেবর্ষি, তাঁর পুণ্য নাম।"
নারদ কহিলা ধীরে, "অযোধ্যায় রঘুপতি রাম।"
"জানি আমি জানি তাঁরে, শুনেছি তাঁহার কীর্তিকথা"--
কহিলা বাল্মীকি, "তবু, নাহি জানি সমগ্র বারতা,
সকল ঘটনা তাঁর-- ইতিবৃত্ত রচিব কেমনে।
পাছে সত্যভ্রষ্ট হই, এই ভয় জাগে মোর মনে।"
নারদ কহিলা হাসি, "সেই সত্য যা রচিবে তুমি,
ঘটে যা তা সব সত্য নহে। কবি, তব মনোভূমি
রামের জনমস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো।"

এত বলি দেবদূত মিলাইল দিব্য স্বপ্নহেন
সুদূর সপ্তর্ষিলোকে। বাল্মীকি বসিলা ধ্যানাসনে,
তমসা রহিল মৌন, স্তব্ধতা জাগিল তপোবনে।
.................।

ইদনিং একটিভ ব্লগারগন নীজ নীজ
লেখার জগতে ব্যস্ত আছেন দেখে
বেশ ভাল লাগছে । :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অলৌকিক আনন্দের ভার
বিধাতা যাহারে দেয়, তার বক্ষে বেদনা অপার"
- আপনার মন্তব্যে কবিগুরু'র ভাষা ও ছন্দ কবিতার মাঝখান থেকে এ দুটো চরণ উদ্ধৃত করে আমার হৃদয়ে কাঁপন তুলে দিয়েছিলেন। যদিও মনে মনে ভেবেছিলাম এটা হয়তো তাঁরই কোন কবিতা থেকে নেয়া হতে পারে, তবুও নিশ্চিত হবার জন্য প্রশ্নটি রেখেছিলাম। যাক, ভালই করেছিলাম প্রশ্নটি করে, সেই সুবাদে আস্ত কবিতাটি আমার এ পোস্টের মন্তব্যের ঘরে এসে পোস্টটাকে সমৃদ্ধ করে গেল।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং সুভকামনা....

১৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রায় অর্ধযুগ কথাটা হবে প্রায় অর্ধশতাব্দি

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেটা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম। ধন্যবাদ, সংশোধনীর জন্য।

২০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গ্রামেগঞ্জে এখনও অমুকের মা তমুকের বাবা ডাকগুলোই প্রচলিত। একটা সময় পরে আসল নামগুলো সবাই ভুলেই যায়।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনাকে ব্লগে পেলাম। কেমন আছেন?
একটা সময় পরে আসল নামগুলো সবাই ভুলেই যায়। - আপনি ঠিকই বলেছেন, এটাই হয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা...

২১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সরল কবিতাটি নিগুঢ় অর্থবাহী। আমরা প্রায়শই ভুলে যায় দৈনন্দিন জীবনে অন্যের প্রতি আমাদের থ্রয়িংগুলো কখনো অন্যের হৃদয়ের যন্ত্রণার কারণ হয়। আমাদের মনের সুস্থ মানবিক সত্ত্বা জেগে উঠুক। পাগলীর মায়েরা আর কোন পাগলি নয়; পরিচয় পাক আপন নামেই; বেঁচে থাকুক সসম্মানেই।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সরল কবিতাটি নিগুঢ় অর্থবাহী - অনেক ধন্যবাদ, এমন মূল্যায়নের জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....

২২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: পাগলীর মা , গল্পটি পড়লাম । সবার মন্তব্য গুলোও পড়লাম ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'গল্প'টা পড়ে কেমন মনে হলো, ভাল লেগেছে?

২৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: কেমন যেন কষ্টে ভরা , আমাবর্ষার মত ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি দুঃখজনক বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কষ্ট তো একটু আছেই।
গল্প পাঠ, প্লাস এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




জীবনের পথে পথে কতো যে অমন "পাগলীর মা" বুকে একরাশ হাহাকার-কষ্ট-ব্যথা-যন্ত্রনা নিয়ে বেঁচে থাকার অভিনয় করে যায় দিনের পর দিন, তার খোঁজ রাখে কে!
খোঁজ না রাখলেও তাদের নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করার লোকের কমতি নেই। এই সমাজ যেখানে প্রতিবন্ধন্ধীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ সেখানে এমন লেখা অজস্রবার উঠে এসে আমাদের প্রতিবন্ধ মানসিকতাকে ধিক্কার দিয়ে যাক বারেবার।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই সমাজ যেখানে প্রতিবন্ধন্ধীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ সেখানে এমন লেখা অজস্রবার উঠে এসে আমাদের প্রতিবন্ধ মানসিকতাকে ধিক্কার দিয়ে যাক বারেবার - আপনার এ বাক্যটি কয়েকবার পড়লাম। মনে হলো, আমার এ লেখাটা সার্থক হলো।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস। ভাল থাকুন প্রবাসে, সকল নিকটজনদের নিয়ে।

২৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গদ্য কবিতা হলে আরও সুন্দর হতো।

সমাজে এরকম পাগলী ও তার মা আছে। এরা অনাদরে, অবেহেলায় হারিয়ে যায়।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এরা অনাদরে, অবেহেলায় হারিয়ে যায় - হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। তার আগে হারিয়ে যায় তাদের পিতৃপ্রদত্ত নামগুলোও।

২৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

বলেছেন: কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়। তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, ব্যথা বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না। তাদের কিছু অবাক্ত কথা মনের গভীরেই রয়ে যায়, আর কিছু কিছু স্মৃতি - এক সময় পরিনত হয় দীর্ঘশ্বাসে।
---------------------------------------- হুমায়ূন আহমেদ--------------------------------------------------------

২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ - এর উদ্ধৃতিটুকুর জন্য ধন্যবাদ। কবিতার বিষয়-বক্তব্যের সাথে কথাগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক।
প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম

২৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

রাকু হাসান বলেছেন:


কত সুন্দর কবিতা উপহার দিলেন । আর আমি এত দেরিতে আসলাম। :(
এটি একটি কবিতাই নয়,একটি গল্প । যে গল্পে হয়তো হাত দেয়নি কোনো গল্পকার । আসেনি পর্দায় ,দেখিনি আমরা ।
ডঃ এম এ আলী,আহমেদ জি এস স্যার , পদাতিক ভাইয়া ও নতুন নকিব,সোহানী আপুর মন্তব্যে লাইক । ভালো লেগেছে । ধন্যবাদ তাদের সুন্দর মন্তব্য করায় ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাদের মন্তব্যের মতই আপনারটাও অতি চমৎকার এবং প্রেরণাদায়ক! তদুপরি প্লাস + টাও নিদারুণ উৎসাহিত করে গেল।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা---

২৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৫

অন্তরন্তর বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেছে আপনার লিখা পড়ে। +++++

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন খারাপ হবার মতই কথা। কবিতা পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.