নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ১২: প্যাহেলগামের বেতাব উপত্যকায়

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৩

(আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ শিরোনামে আমার লেখা এই সিরিজের ১১টি পর্ব ইতোপূর্বে এই ব্লগে প্রকাশিত হয়েছিল। এর পরে যখন ভূস্বর্গ কাশ্মীর রক্তাক্ত হতে শুরু করলো, তখন আমার বাকী চারটি পর্ব প্রকাশের আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। আজ আমার তোমাদেরই মাঝখানে লভি যেন ঠাঁই পোস্টে ব্লগার রাজীব নুর এর মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মনে হলো, বাকী চারটি পর্বও প্রকাশ করা উচিত।)

আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ১১: প্যাহেলগামের চন্দনওয়ারীতে ঝটিকা সফর

আমাদের হাতে সময় খুবই কম ছিল। এক চন্দনওয়ারী দেখতে দেখতেই বিকেল পাঁচটা বেজে গেল। ততক্ষণে ঝিরঝিরে বৃষ্টিটা থেমে গেল। এতদিনে শাফি’র সাথে ঘুরতে ঘুরতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ওকে কিছু না জিজ্ঞেস করলেও ও আমাদেরকে গল্পচ্ছলে অনেক কিছু জানাতো। আর কিছুক্ষণ পর পর ও আমাদেরকে জিজ্ঞেস করতো, কাশ্মীর আমাদের কেমন লাগছে? আমি কখনো কখনো নিজেও উচ্ছ্বাসভরে ওকে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করতাম, আবার কখনো হুঁ হাঁ করে ওর কথার সাথে সায় দিতাম। কিন্তু প্যাহেলগামের এ চালকের সাথে তেমন ভাব জমেনি, এমনকি এতক্ষণ ওর মুখের দিকেও ভালভাবে তাকিয়ে দেখিনি। আমরা আমাদের রেইনকোট ইত্যাদি ফেরত দিয়ে যখন গাড়ী/ড্রাইভারকে খুঁজছি, তখন আমার খেয়াল হলো যে আমি চালকের চেহারাটাও ঠিকমত দেখিনি, তাই এখন ওকে আমার পক্ষে খুঁজে বের করা মুশকিল। আমার ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, সে তাকে দেখলে চিনতে পারবে কিনা। ওর উত্তরে বুঝলাম, সেও ওকে ভাল করে মনে রাখেনি, তবে সে জানালো গাড়ীর নাম্বারটি তার মনে আছে। আমার উদ্বেগ লক্ষ্য করে সে সামনে একটু হেঁটে গিয়ে চালকসহ গাড়ী সনাক্ত করলো। আমরাও তখন হেঁটে গিয়ে গাড়ীতে উঠলাম।

এবারে গাড়ীতে উঠে আমি চালকের চেহারাটা ভাল করে দেখে নিলাম। বয়স হয়তো হবে বড় জোর বছর চব্বিশ পঁচিশেক, চেহারায় একটা ইনোসেন্সের ছাপ আছে। বেশভূষায়ও সে শাফির মত পরিপাটি ছিল না, দারিদ্র্যের না বলে বলবো একটা মলিনতার ছাপ ছিল। ওকে বললাম, পরবর্তী গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হতে। এতক্ষণ ওর নামটাও জিজ্ঞেস করা হয়নি, তাই ওর নাম জিজ্ঞেস করলাম। সে বললো, রীহান। এতদিনে যত কাশ্মীরিদের নামের কথা শুনেছি, দোকানের সাইনবোর্ডে দেখেছি (ওখানে প্রায় সব ধরণের দোকানের সাইনবোর্ডেই প্রোপ্রাইটর বা মালিকের নাম উর্দু’র পাশাপাশি ইংরেজীতেও লেখা থাকে), তার সবই আমাদের চেনাশোনা মুসলিম নাম। এ নামটাকে একটু অন্যরকম মনে হওয়ায় আমি ওকে ওর নামটা ইংরেজীতে বানান করতে বললাম। সে বানান করে বললো REIHAN। আমি বুঝে নিলাম, এটা আমাদের রায়হান। রায়হান আর রীহান এর মাঝামাঝি আমি তাকে রেহান বলে সম্বোধন করতে থাকলাম। লক্ষ্য করলাম, সে আমার প্রতিটি কথার উত্তর দেয়ার সময় আমার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলছিল। আমি ওকে বললাম, রেহান, এই পাহাড়ী রাস্তায় গাড়ী চালাতে চালাতে তুমি যখন সামনে না তাকিয়ে আমার মুখের দিকে তাকাও, আমার তখন বড্ডো ভয় করে। আমি ওকে সামনে তাকিয়েই আমার কথার উত্তর দিতে বললাম। সে বললো, স্যার এটাই আমাদের আদব, জ্যেষ্ঠ কারো সাথে কথা বলতে হলে তার দিকে তাকিয়ে কথা বলতে হবে। যাহোক, আমি পুনরায় নিষেধ করার ফলে সে এর পর থেকে সরাসরি না তাকিয়ে কোণাকুণি তাকিয়ে কথা বলতে থাকলো।

রেহান আমাকে এক সময় জিজ্ঞেস করলো, স্যার আপনার দেশে প্রাইভেট ড্রাইভাররা কত টাকা বেতন পায়? আমি আমার চালককে যত বেতন দেই, সেটাই ওদের মুদ্রায় কনভার্ট করে ওকে বললাম। ও একটু আফসোসের সাথে বললো, আমি মাঝে মাঝে বাইরে কোথাও যেতে চাই, কিন্তু আমার উপর সংসারের যা বোঝা, তাতে সেটা কখনো সম্ভব নয়। তারপরে সে তার বোঝার যে বিবরণ দিল, তা শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। তার বাবা মা উভয়ে এখন এতটা বৃদ্ধ, যে ওনারা এখন তেমন কোন কাজ করতে পারেননা। ওরা দশ ভাই বোন, তার মধ্যে ও সবার ছোট এবং একমাত্র ভাই। বড় নয় বোনের মধ্যে অনেকগুলোর এখনো বিয়ে দিতে পারেনি। আমি ওকে বললাম, তুমি তো খুব ভাল গাড়ী চালাও। তুমি অন্যান্য ভারতীয়দের মত কাউকে ধরে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যাও না কেন? এর উত্তরে সে বোনদের কথা বলতে বলতে অশ্রুসজল হয়ে বললো, স্যার আমার বোনেরা আমাকে খুব ভালবাসে। আমার বড় বোন আমাকে মায়ের মত ভালবাসে। এই বোনদেরকে ছেড়ে আমি কোনদিন কোথাও যেতে পারবো না। ওর কথা শুনতে শুনতে আমার নিজেরও প্রয়াত বড় বোনের কথা মনে পড়ে আমারও মনটা আর্দ্র হয়ে উঠলো। আমার বড় বোনও আমাকে বড় ভালবাসতেন।

চলতে চলতে নীচে বহমান একটি নদীর দিকে তাকিয়ে আমি রেহানকে নদীটির নাম জিজ্ঞেস করলাম। সে বললো, “শীষনাগ”। নামটা শুনে আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে অনেক সাপ টাপ আছে নাকি? সে বললো সে তার জীবনে একটাও সাপ দেখেনি। শুনে আমি অবাক হ’লাম। দেখতে দেখতে বেতাব উপত্যকায় চলে এলাম। রেহান জানালো, ভারতীয় ছবি বেতাব এর শুটিং এখানেই হয়েছিল। মনে পড়ে গেল, ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বেতাব ছবিটা ১৯৮৭ সালে আমরা যখন মধ্যপ্রাচ্যে ছিলাম, তখন ভিসিআর এ আমরা স্বামী স্ত্রী মিলে দেখেছিলাম। ছবিটি সে সময়ে হিট ছিল, সানী ডিওল আর অমৃতা সিং এর ডেব্যু ফিল্ম ছিল সেটা। অবশ্য নায়ক-নায়িকা হিসেবে ওদের দু’জনের কেউই আমার খুব একটা পছন্দের ছিল না। যাহোক, সেদিনের সেই পড়ন্ত বিকেলে বেতাব উপত্যকায় নেমে পড়লাম, দ্রুত এলাকাটিকে দেখে নেয়ার জন্যে। এবারে গাড়ী থেকে নেমে আমরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেলাম। স্ত্রী ও ছেলে তাড়াতাড়ি তাড়াহুড়ো করে দেখে নেয়ার জন্য প্রস্থান করলো, আমি ধীরে সুস্থে চারিদিকে দেখছি আর বিমোহিত হচ্ছি। চন্দনওয়ারীতে যখন ছিলাম, তখন ঠান্ডায় কাঁপছিলাম। মাত্র আধা ঘন্টা পরে বেতাবে যখন নামলাম, তখন আকাশ পরিষ্কার, সূর্য বেশ খানিকটা হেলে পড়ে পাহাড়, উপত্যকা ও বহমান নদী ও জলধারাকে এক সোনালী আভায় উদ্দীপ্ত করে রেখেছে। তাপমাত্রা উপভোগ্য। আমার ওযু ছিল, তাই এক নিরিবিলি জায়গায় বসে আসর এর নামায আগে পড়ে নিলাম। তারপর বহমান স্রোতস্বিনীর (বেতাব নদীর) পাশে এক বিশাল প্রস্তরখন্ডের উপর কিছুক্ষণ বসে আনমনা কল্লোলিনীর বয়ে চলা দেখলাম। অগভীর নদীবক্ষে ইতস্ততঃ ছড়ানো ছিটানো বিশাল বিশাল শিলাখন্ডের সাথে আঘাতে আঘাতে নদীর স্রোতধারা মাঝে মাঝে রুদ্রমূর্তি ধারণ করছিল বটে, তবে পরক্ষণেই আবার মিলিয়ে গিয়ে তিরতির করে সরু সরু নালায় বিভক্ত হয়ে আপন পথ খুঁজে নিচ্ছিল।

আমি এগিয়ে চললাম, আর ছবি তুলতে থাকলাম। একেক স্থানে একেক রকমের সৌন্দর্য। আফসোস হচ্ছিল, কেন আরেকটু আগে এলাম না। যাহোক, পরে আসাতে আরেক রকমের সুবিধে পেলাম, সেটা হলো নিরিবিলি পরিবেশ। ততক্ষণে পর্যটকদের ঢল প্রস্থানরত, এক পশলা বৃষ্টি হয়ে যাবার পর (ভেজা মাটি দেখে বুঝলাম) আকাশ পরিষ্কার। উপার্জন প্রত্যাশী ‘গাইড’দের সংখ্যা কমে গেছে, নেই বললেই চলে। আমরা একা একাই স্বচ্ছন্দে ঘুরে বেরাতে থাকলাম। ততক্ষণে আমার স্ত্রী ও ছেলে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে গেছে।

নদীটাই আমাকে বেশী করে আকর্ষণ করছিল। তাই ঘুরে ফিরে ঐ নদীটার পাশে পাথরে বসে, নদীর উপরে বেইলী ব্রীজে দাঁড়িয়ে সময় কাটাতে ভাল লাগছিল। এক সময় আমিও হাঁটা শুরু করলাম। পশ্চিমের সূর্যটা পূবের পাহাড়ের পাদদেশে এক অদ্ভূত মায়াবী সোনালী চাদর বিছিয়ে রেখেছিল। ছবি তুলতে গিয়ে দেখি, স্বয়ং আমার ছায়াটাকেও বড় সুন্দর লাগছে। ঘন সবুজ কার্পেটের মত ঘাসের উপর দিয়ে এক জোড়া কাক খুঁটে খুঁটে পোকা মাকড় খাচ্ছিল। বৃত্তাকার পথে এসব দেখতে দেখতে একসময় আবার প্রধান ফটকের সামনে এসে দেখতে পেলাম, আমার স্ত্রী ও ছেলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। ইতোমধ্যে ওরা রেহানকে একবার পাঠিয়েছেও, আমার খোঁজে। বেতাব ত্যাগের আগে আমার স্ত্রী কল্লোলিনী নদীটির পাশে পাথরে বসা আমার একটা স্বল্পক্ষণিক ভিডিও ক্লিপ ধারণ করেছিল, কিন্তু সেটা আমার ক্যামেরায় নয় বলে এখানে দিতে পারলাম না।

ঢাকা
১৬ জুন ২০১৯


Pahalgam Development Authority কর্তৃক স্থাপিত স্বাগত বাণী
Welcome post by Pahalgam Development Authority

একা
In solitude

এক টুকরো নিরিবিলি শান্তির আশ্রয়, যেখানে সময় থেমে থাক বলে মন চায়।
A serene place, where time seemed to stop!

উপরে পাহাড়ের চূড়ায় তখনো আলোর খেলা, নীচে প্রলম্বিত তরুছায়া।
Sunlight is there, still on top. Shades spreading out beneath.

আবার আসিব ফিরে, এই নদীটির তীরে, কোন একদিন.....
I want to be there, again!

জলের বুকে কার ছায়া পড়েছে?
Whose shade is that?

ঐ বেঞ্চিটাতে বসেই আমি একা একা আসর এর নামায পড়ে নিলাম, বেঞ্চিটা ছিল প্রায় ক্বিবলামুখী।
Offered my Asr prayers, sitting on that bench, as it was almost facing Qibla.

প্রশান্তি
Serenity

কোন এক নির্জন এলাকায়, যেখানে শুধু পানির কুলুকুলু বয়ে যাওয়া ধ্বনি শোনা যায়.....
At a quiet place, only the sound of the flowing water was audible.

জলের গান কান পেতে শুনি....
Lost in the music of silence....

বিদায়ী আলোর শেষ ছটা
The last sunshine

অপসৃয়মান সূর্যালোক, দীর্ঘায়িত ছায়া
Twilight approaching, shadows lengthening!

রৌদ্রছায়ার খেলা......
A beautiful contrast of sun and shade!

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১০

ইসিয়াক বলেছেন: এখন কিছুটা পড়লাম বাকীটুকু কাল পড়ে মন্তব্য করবো । ঘুম পাচ্ছে.....................।
অনেক ধন্যবাদ । শুভরাত্রি ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন কিছুটা পড়লাম বাকীটুকু কাল পড়ে মন্তব্য করবো । ঘুম পাচ্ছে... - আচ্ছা, ঠিক আছে। আমিও গতরাতে এ লেখাটা পোস্ট করেই শয্যাগ্রহণ করেছিলাম।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪২

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: সালাম জানবেন স্যার। লেখকের কলম থামিয়ে দেবার ক্ষমতা কোনো যুদ্ধের নেই। তাই থামবেন না হতাশায় পড়ে। সনির্বন্ধ অনুরোধ রইল।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখকের কলম থামিয়ে দেবার ক্ষমতা কোনো যুদ্ধের নেই। তাই থামবেন না হতাশায় পড়ে - আপনার এ কথার সাথে আমি একমত। অনেক ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে এমন একটি বলিষ্ঠ মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্যে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত। শুভকামনা---

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২৫

আনমোনা বলেছেন: কাশ্মীর নিয়ে ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখায় শুধু কাশ্মীরের অপরূপ প্রকৃতিই নয়, সাধারণ মানুষের মনোভাবও জানতে পারছি। প্লীজ চালিয়ে যান।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, নিয়মিত এ সিরিজটি পড়ে যাবার জন্য। কাশ্মীরের সাধারণ জনগণকে আমার ভাল লেগেছে। তাদের ভদ্রতা, ভব্যতা, সৌজন্যবোধ, শিষ্টাচার আমাদের বাঙালীদের চেয়ে অনেক বেশী বলে আমার মনে হয়েছে। তাদের এখন প্রয়োজন একজন যোগ্য, দূরদর্শী এবং সাহসী জননেতার, যিনি এ নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে তাদের মনের আশাকে পূরণ করতে পারবেন।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

বলেছেন: যুদ্ধ নেয় শান্তি চাই শান্তি।।।। তবুও যুদ্ধ থামার নেয়।।

শীষ নাগে কোন নাগীন নেই তবুও নাগিনীর দৌরাত্ম্য তার প্রতিটিকে জনপদে।।।



ছবির অপেক্ষায়।।।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবির অপেক্ষায় - কিছু ছবি দিলাম। সেই সাথে শিরোনামও জুড়ে দিচ্ছি, এখনো সে কাজ চলছে। কেমন হলো জানাবেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত বোধ করছি। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

বর্ণনার মুন্সিয়ানায় মনে হলো আপনার সঙ্গে যেন শীষনাগ থেকে ঘুরে এলাম। শীষনাগের অপরুপ মহিমায় মুগ্ধ হলাম। তবে মনে হচ্ছে যেন পোস্টটি ফেসবুকে পড়েছি। পোস্টে লাইক।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা স্যার আপনাকে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে মনে হচ্ছে যেন পোস্টটি ফেসবুকে পড়েছি - হ্যাঁ, এটা ফেইসবুকে আমার ওয়ালে এবং সামু'র গ্রুপ পেইজেও পোস্ট করেছিলাম।
পুনরায় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
শুভকামনা রইলো ...

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১০

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে। ছবিগুলো মনোমুগ্ধকর।
শুভসকাল ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, উৎসাহব্যঞ্জক এবং প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য। আপনি এ মন্তব্য করে চলে যাবার পর আরো কিছু ছবি ও ক্যাপশন সংযোজন করেছি। কেমন হলো জানাবেন।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভারতের চেয়ে আমাদের দেশের ড্রাইভাররা বেতন অনেক বেশি পায়।
আমাদের দেশে একজন অভিজ্ঞ ড্রাইভারের বেতন বিশ হাজার টাকা। দুপুরের খাবার বা বিকেলের নাস্তাও দিতে হয়।
আমি একটা ব্যাপার লক্ষ্য করে দেখেছি, পৃথিবীর সব দেশেই নদী গুলোর নাম খুব সুন্দর। শীষনাগ। সুন্দর নাম।

বেতাব মুভিটা আমিও দেখেছি।
ছবি গুলো খুব সুন্দর।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সব ক'টা কথার জন্য। আপনার আগ্রহই আমাকে এ পোস্ট লিখতে উৎসাহী করেছে।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০২

করুণাধারা বলেছেন: কাশ্মীরের ভয়ানক এই দুর্যোগের সময় আপনার সেখানকার ড্রাইভার, শিকারার মাঝি- তাদের কথা মাঝে মাঝে মনে পড়ে; তারা এখন কি অবস্থায় আছে কে জানে। আপনি ভ্রমণকাহিনীর পরবর্তী পর্ব দিচ্ছিলেন না বলে ভাবনাটা মনের মধ্যেই থেকে যাচ্ছিল। সম্ভবত আমি দু-একটা পর্ব মিস করেছি, পড়ার খুব ইচ্ছা কিন্তু এখন ভিপিএন নিয়ে খুব ঝামেলায় আছি বলে ব্লগে থাকতে পারি না বেশি সময়। তাই কানেকশন কেটে যাবার ভয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করলাম না, শুধু পোস্টে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: তারা এখন কি অবস্থায় আছে কে জানে - আমার মনেও প্রায়ই এ প্রশ্নটা আসে। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাদেরকে দ্রুত বিপদমুক্ত করে দিন!
পোস্টে আসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যে আমার মন্তব্যটা স্মরন রেখেছেন এই জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যটা শুধু স্মরণই রাখিনি, আপনার মন্তব্যের কারণেই এ লেখাটা পোস্ট করেছি।
পুনঃমন্তব্যের জন্য আরেকবার ধন্যবাদ।

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, উৎসাহব্যঞ্জক এবং প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য। আপনি এ মন্তব্য করে চলে যাবার পর আরো কিছু ছবি ও ক্যাপশন সংযোজন করেছি। কেমন হলো জানাবেন।
অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ
শুভসকাল

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আরেকবার!

১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শীষ নাগ সুন্দর নাম। নদীর গতিপথ অনেক সময়ই সর্পিলাকার। বেতাব মুভি মানে তো যব হাম যাওয়া হঙ্গে জানে কাহা হোঙ্গে
লেকিন যাহা হোঙ্গে তোঝে ইয়াদ করেঙ্গে । !:#P ছবিতে বর্ণনায় দারুন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ কবি, মন্তব্যে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা---

১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৮

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অনেক ভাল লাগল , আপনার বর্ণনা চমৎকার । ভাল থাকুন সারাখন সারাবেলা ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। বর্ণনার প্রশংসায় প্রীত ও অনুপাণিত হ'লাম।
শুভকামনা ...

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনার ভ্রমণ বর্ণনাগুলো পড়তে ভালোলাগে। মোটামুটি কী কী করলেন, কীভাবে সময় কাটালেন, আপনার কেমন লাগলো সবকিছু লেখা থাকে।
আপনার কাশ্মীর ভ্রমণের কয়েকটা পোষ্ট পড়ে আমিও দলছুট হয়ে গিয়েছিলাম, তাই নিয়মিত পড়া হয় নাই। আজকে আবার পড়লাম। বরাবরের মতই ভালো লাগছে।

কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম না শুনেছিলাম মনে নাই, বেতাব ছবির শুটিং ঐ এলাকায় হয়েছিল বলেই নাকি পরে ঐ এলাকার নাম 'বেতাব' হয়ে যায়।

সতত শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম না শুনেছিলাম মনে নাই, বেতাব ছবির শুটিং ঐ এলাকায় হয়েছিল বলেই নাকি পরে ঐ এলাকার নাম 'বেতাব' হয়ে যায় - আমার মনে হয়, সে কারণেই ঐ এলাকার নাম 'বেতাব' হয়ে যায় নাই, বরং সে কারণেই ছবিটির নাম 'বেতাব' হয়ে যায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: বলতে ভুলে গিয়েছি,
পোষ্ট এর সাথে ছবিগুলোও নান্দনিক সুন্দর। ঠিক যেমন আপনি লিখেছেন, একেক জায়গার সৌন্দর্য্য একেক রকম।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোষ্ট এর সাথে ছবিগুলোও নান্দনিক সুন্দর - অনেক ধন্যবাদ, এমন চমৎকার প্রশংসার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভকামনা---

১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

করুণাধারা বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার তুলেছেন! এগুলো কি মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে তোলা? ছবির ক্যাপশনগুলোও ভালো হয়েছে। এখানে যে নদীর ছবি, সবগুলোই কি শীষনাগ নদীর নাকি, ঝিলাম নদীর ছবিও আছে?
রেহান নামক তরুণ কি অবস্থায় আছে জানিনা :( তার রোজগারের উৎস এখন বন্ধ হয়ে গেল কি!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: দুঃখিত, আপনার এ মন্তব্যটি আমার অগোচরে রয়ে গিয়েছিল।
হ্যাঁ, সবগুলো ছবিই আমার আই-ফোন দিয়ে তোলা। ছবির ক্যাপশনগুলো খেয়াল করে পড়েছেন জেনে প্রীত হ'লাম।
এখানে যে নদীর ছবি, সবগুলোই কি শীষনাগ নদীর নাকি, ঝিলাম নদীর ছবিও আছে? - যতদূর জানি, এগুলো শীষনাগ এবং বেতাব নদীর ছবি, যা ঝিলামের শাখা নদী হতে পারে।
রেহান নামক তরুণ কি অবস্থায় আছে জানিনা :( তার রোজগারের উৎস এখন বন্ধ হয়ে গেল কি! - তার এবং তার মত হাজার হাজার তরুণ ও যুবাদের ভাল থাকার কথা নয়। পর্যটক আসা বন্ধ হলে তাদের আয় রোজগারও বন্ধ হয়ে যাবার কথা। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন যেন তাদেরকে সুরক্ষা করেন এবং তাদের রুটি রুজির বিকল্প ব্যবস্থা করে দেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




ছবিতে কান পেতে নির্জনতার শব্দ নয়, চোখে নির্জনতার কুলুকুলু বয়ে যাওয়া দেখলুম।

রেহানের মতো হাযারো রেহানদের কাহিনী শুনলে পাথরে আছড়ে পড়া স্রোতস্বিনীর মতোই তুমুল শব্দ তোলে হৃদয়ে । নেই সঘন গর্জন সময় গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আবারও তিরতির করে শুধু গড়িয়েই যায়। মানুষের জীবনে যে কতো সহস্র জটিলতা!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের জীবনে যে কতো সহস্র জটিলতা! - ঠিক বলেছেন। তবে সকল জটিলতা নিয়েই জীবন এগিয়ে চলে।
ছবিতে কান পেতে নির্জনতার শব্দ নয়, চোখে নির্জনতার কুলুকুলু বয়ে যাওয়া দেখলুম - অনেক ধন্যবাদ, এমন সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.