নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ১৫: যবনিকা পর্ব

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১

এর আগের পর্বটিঃ আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ১৪: বেলা শেষের গান

শ্রীনগর বিমান বন্দর টার্মিনালের মেঝেতে বিচরণরত একটি শালিক পাখি

টার্মিনাল ভবনের প্রবেশ ফটকে এসে দেখলাম, তখনো সময় হয়নি বলে নিরাপত্তা প্রহরীরা যাত্রীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা। অগত্যা আমরা বাহিরে একটা অপেক্ষা ছাউনিতে বসে কিছু স্ন্যাকস খেয়ে নিলাম। লক্ষ্য করলাম, টার্মিনাল এর সামনে একটা ফুলের বাগান রয়েছে। ছেলেকে লাগেজ পাহাড়া দেয়ার দায়িত্বে রেখে আমি ও আমার স্ত্রী সেখানে গিয়ে কিছু ছবি তুলে আনলাম। মধ্যপ্রহরেও ফুলের ছবি তুলতে ভালই লাগছিল। ফিরে এসে আবার ছেলের পাশে বসলাম। সে আপন মনে সেলফোনে ব্রাউজিং করে চলেছিল। কোথা থেকে এক নিরাপত্তা রক্ষী এসে পাশে রাখা একটা অরক্ষিত মালামাল সমেত ট্রলী দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলো, সেটা আমাদের কি না। আমি না বললাম। আশেপাশের সবাইকে সে এ প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করলো, কিন্তু কেউ তার মালিকানা দাবী করলো না। যখন সেই নিরাপত্তা রক্ষী মালসমেত ট্রলীটিকে জব্দ করার পাঁয়তারা করছিল, ঠিক সেই সময়ে এক ব্যক্তি ভেজা মুখ মুছতে মুছতে এসে ট্রলীর মালিকানা দাবী করলো। নিরাপত্তা রক্ষীটি তাকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বললো, আর কখনো যেন তিনি এভাবে মালামাল অরক্ষিত রেখে কোথাও না যান। ওয়াশরুমে গেলে ট্রলী সেখানেও নিয়ে যেতে হবে!

টার্মিনাল ভবনের বাহিরে অপেক্ষা করার সময় এক মধ্যবয়সী লোক আমার কাছে এসে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, আমরা সেদিনই ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম ফিরে যাচ্ছি কিনা। প্রশ্নটা শুনে আমি কিছুটা অবাক হ’লাম (এই ভেবে যে উনি কিভাবে বুঝলেন, আমরা ঢাকা বা চট্টগ্রামেই যাব!), তবে পরক্ষণেই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছিল। উনি আমার অভিব্যক্তি বুঝতে পেরে জানালেন, আমরা শ্রীনগরে একই হোটেলের বাসিন্দা ছিলাম। আমি চিনতে পারলাম। ব্রেকফাস্ট এবং ডিনারের সময় যখন হোটেলের রেস্টুরেন্টে নেমে আসতাম, তখন ঐ ভদ্রলোককে দেখতাম তিনি সপরিবারে আহার গ্রহণ করছেন। উনি জানালেন, উনি হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা, ধর্মে মুসলমান। তার কিছু বাংলাদেশী কর্মচারী রয়েছে, যারা চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তাই তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম নামটির সাথে সুপরিচিত। তার কথা শুনে আমি প্রীত হ’লাম। ইতোমধ্যে টার্মিনাল ভবনের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি ঘোষিত হওয়ায় তার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে আমরা একসাথে ভেতরে প্রবেশ করলাম। তিনি এগিয়ে গেলেন তার কাউন্টারে, আমরা আমাদেরটায়। প্রথমেই আমাদেরকে কিছু নিরাপত্তা ফর্ম পূরণ করতে হলো। অবশ্য এসব ফর্ম পূরণে কর্তব্যরত অফিসার যথেষ্ট সহায়তা করেছিলেন। আমি শুধু আমার ফর্মটাই পূরণ করেছিলাম। আমার পূরণকৃত ফর্মটা দেখে অফিসার নিজেই আমার স্ত্রীর এবং ছেলের ফর্ম দুটো পূরণ করে সেখানে তাদের স্বাক্ষর নিয়েছিলেন। চেক-ইন কাউন্টারের অফিসারও বেশ কিছু বন্ধুসুলভ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে বোর্ডিং পাস হাতে ধরিয়ে দিলেন এবং পুনরায় কাশ্মীর ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়ে শুভেচ্ছাসূচক অভিবাদন জানালেন।

চেক-ইন সম্পন্ন করার পরেও আমাদের হাতে প্রচুর সময় ছিল। টার্মিনালের অভ্যন্তরে একটি নামায কক্ষ ছিল, আমি সেখানে গিয়ে যোহরের নামায পড়ে নিলাম। তারপর এদিক সেদিক লক্ষ্যহীন পায়চারী শুরু করলাম। ওদের টার্মিনালের অভ্যন্তরে শালিক পাখি এবং কবুতরের অবাধ বিচরণ দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। একটা রেস্টুরেন্টের সামনে দেখলাম একজন অতিথি চেয়ারে বসে কিছু খাচ্ছেন, আর তার সামনের উল্টোদিকের চেয়ারের মাথায় বসে অপেক্ষারত এক শালিক পাখি তাকিয়ে দেখছে কখন তিনি উঠে যাবেন, যেন সে টেবিলে পড়া আহার্য থেকে কিছুটা খুটে খেতে পারে। এভাবেই অলস সময় পার করতে করতে এক সময় বোর্ডিং এর অনুরোধ মাইক্রোফনে ঘোষিত হলো। আমরা লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম। প্লেনে আসন গ্রহণ করে আমি সেলফোনের ফটোগুলো এডিট করা শুরু করে দিলাম। শ্রীনগর থেকে প্লেন দিল্লী পৌঁছার পর অধিকাংশ যাত্রী নেমে গেলেন। শুধু আমরা আর আরো ২/৩টা পরিবার কোলকাতা যাব বলে আমাদেরকে প্লেনেই বসে থাকার নির্দেশ দেয়া হলো। মাত্র ৩০ মিনিটের মাথায় বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের কর্মতৎপর স্টাফরা এসে প্লেনটিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে গেল, নিরাপত্তা স্টাফরা এসে আমাদের হ্যান্ড লাগেজ আমরা নিজেদের দখলে রেখেছি কিনা তা পরীক্ষা করে গেল, এবং নতুন এক সেট কেবিন ক্রু প্লেনে তাদের পোস্ট বুঝে নিল। দিল্লীতে চল্লিশ মিনিট বিরতির পর প্লেনটা আবার ট্যাক্সিইং শুরু করে অচিরেই আকাশে পাখা মেলে দিলো।

প্লেন যখন কোলকাতার নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোস বিমান বন্দরে অবতরণ শুরু করলো, আমি আমার ছেলেকে বললাম, গুগল সার্চ করে বিমান বন্দরের নিকটস্থ কোন হোটেলে এক রাতের জন্য বুকিং দেয়ার জন্য। সে চট করে তাই করলো। প্লেন থেমে গেলে সে প্লেনে বসেই হোটেলকে পনের মিনিট পরে গাড়ী পাঠাতে বললো। টার্মিনাল থেকে বের হবার কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ীর ড্রাইভার ফোন দিয়ে আমাদের অবস্থান জেনে নিল। কিছুক্ষণ পর সে গাড়ী নিয়ে এলে আমরা লাগেজ গাড়ীতে উঠিয়ে নিজেরাও উঠে বসলাম। বিমল ভক্ত নামের সে চালক ছেলেটা কথায় বার্তায়, আচার আচরণে খুবই ভদ্র ছিল। কথায় কথায় সে জানালো, তাদের পূর্ব পুরুষের ভিটে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে ছিল।

আমরা হোটেলে মালপত্র রেখে একটা ঔষধ কেনার জন্য বের হ’লাম। তারপর ‘ঢাকা হোটেল’ নামের একটা রেস্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানী খেয়ে হোটেলে ফিরে আসলাম। হোটেলের ম্যানেজার সাহেব এক সময় ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকতেন বলে জানালেন। হাঁটতে হাঁটতেই ফিরে এসেছিলাম বলে চারিদিকে তাকিয়ে রাতের কোলকাতাকে দেখে নিচ্ছিলাম। হোটেলে এসে কিছুক্ষণ নেট ব্রাউজিং করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে একে একে সবাই তৈরী হয়ে নিলাম। গাড়ীর জন্য আগেই সময় জানিয়ে রেখেছিলাম, সুতরাং নীচে নেমে দেখি গাড়ী আমাদেরকে নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। হোটেলের বিল মিটিয়ে দিয়ে আমরা গাড়ীতে উঠে বসলাম। বিমল ভক্ত আবার তার গল্প শুরু করলো। বললো, স্যার, এ রাস্তাটাই যশোর রোড, আপনাদের যশোরে গিয়ে উঠেছে। আপনাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বহু লোক এ রাস্তা দিয়ে ভারতে এসেছিল। এমনকি এ রাস্তা নিয়ে লেখা একটা গানও খুব বিখ্যাত হয়েছিল। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আমি অনুমান করলাম, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ওর নিশ্চয়ই জন্মও হয়নি। তাই হয়তো ও লোকমুখে কথাগুলো শুনে নয়তো বই পড়ে জানতে পেরে কথাগুলো মনে রেখেছে। ভাল লাগলো, একজন ভিনদেশী বাঙালি হিসেবে শুধুমাত্র শেকড়ের কারণে সে আমাদের স্বাধীনতার সময়টাকে নিয়ে ভেবেছে বলে।

পনের মিনিটের মধ্যেই আমরা বিমান বন্দরে পৌঁছালাম। বিমল ভক্ত আমাদের লাগেজ নামিয়ে দিয়ে একটি হাসি দিল। গাড়ীভাড়া হোটেল বিলের সাথেই অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা আগেই মিটিয়ে দিয়েছিলাম। তার আচরণ ভাল ছিল বলে তাকে একটু ভাল টিপস দিব বলে মনে মনে আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। তার হাসির অর্থটা বুঝতে পেরে সেটাই করলাম। সে খুশী হয়ে সেলাম জানিয়ে চলে গেল। আমরা ধীরে ধীরে ট্রলী ঠেলে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করলাম।

বিমান বন্দরের সব প্রক্রিয়া নিয়মমাফিক এগোতে থাকলো। চেক-ইন, ইমিগ্রেশন, সিকিউরিটি চেক, সব শেষে বোর্ডিং। এসব সম্পন্ন করে প্লেনে বসে আল্লাহ’র শোকর গুজার করলাম, এ যাবত সফরটাকে নিরাপদে শেষ করতে পারলাম বলে। এবারে তো যাচ্ছি নিজ দেশে। মনে পড়লো সচরাচর যেসব অভিজ্ঞতা হয়, সে সবের কথা। লাগেজ বেল্টে লাগেজ আসতে বিলম্ব, হুড়োহুড়ির মধ্যে লাগেজ খুঁজে পেতে বিলম্ব, ইমিগ্রেশনে লম্বা লাইন, বিমান বন্দর থেকে প্রধান সড়কে উঠতে আধা ঘন্টার চেয়েও বেশী সময় নেয়া, ইত্যাদি। তার পরেও, নিজ দেশ বলে কথা! সব কিছু মেনে নিয়ে এবং মানিয়ে নিয়েই খুশী মনে চলতে হবে।

বিকেল চারটায় নিজ গৃহে এসে পৌঁছলাম। সেদিন ছিল প্রথম রোযার দিন। ঘরে কোন ইফতারির আয়োজন ছিল না। আমি একটু বিশ্রাম নিয়ে ফ্রেশ হয়ে উঠে ইফতারি কিনে আনার জন্য বের হ’লাম। ইফতারির পরে দেড় ঘন্টার অধিক সময় ধরে জামাতে তারাবীহ পড়তে হবে। মনে মনে সে প্রস্তুতিও নিতে থাকলাম। ইফতারি করার সময় মনে ভীষণ একটা প্রশান্তি অনুভব করতে থাকলাম। আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন সহায় থাকলে এবং তাঁর উপর নির্ভর করতে জানলে কত বড় বড় বিপদ পার হয়ে যায়, বান্দা কিছুই টের পায় না! এসব ভাবতে ভাবতে সফরের সুখস্মৃতি দূরে সরিয়ে রেখে নিবিষ্ট মনে রমযানের ইবাদতের জন্য ব্রতী হ’লাম। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’লার!

আমার গল্পকথা ফুরোলো!!!


ঢাকা
০৯ জুলাই ২০১৯
(এ সফর বৃত্তান্তে যাদের যাদের কথা উঠে এসেছে- সেই সাঈদ হাসান, মানযুর, শাফি, ফররোখ, রেহান, শিব্বির এবং বিমল ভক্ত, তাদের প্রত্যেকের জন্য রইলো শুভকামনা)


শ্রীনগর বিমান বন্দর টার্মিনালের বাহিরের বাগানের ফুল


শ্রীনগর বিমান বন্দর টার্মিনালের সম্মুখস্থ বাগানের ফুল


শ্রীনগর বিমান বন্দর টার্মিনালের সম্মুখস্থ বাগান থেকে তোলা


শ্রীনগর বিমান বন্দর টার্মিনালের সম্মুখস্থ বাগান থেকে তোলা


রেস্টুরেন্টটার নামটা বড়ই অদ্ভূত ছিল - VAANGO!
সেখানে একজন কাস্টমার কিছু খাচ্ছেন, তার সামনের চেয়ারের মাথায় উল্টোমুখি বসা একটি শালিক পাখি।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

বিজন রয় বলেছেন: আশাকরি ভাল আছেন।
আপনার এই কাশ্মীর ভ্রমণ আমার সবগুলো পড়া হয়নি।

অনেক দরদ দিয়ে আপনি লিখে থাকেন।
এজন্য খুব পড়তে ইচ্ছা করে। কিন্ত সময়ের নাগাল পাই না।

ভাল থাকুন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
অনেক দরদ দিয়ে আপনি লিখে থাকেন
- এ কথা সত্য; আমি প্রীত হয়েছি এজন্য যে আপনি সেটা লক্ষ্য করেছেন। বগারদের সাথে আমার সম্পর্ক আত্মিক।
ব্লগের প্রতি, বিশেষ করে কবিতার প্রতি আপনার অনুরাগ দেখে প্রাণিত বোধ করি।
ভাল থাকুন, শুভকামনা---

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: এক কথায় চমৎকার।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সম্প্রতি কাশ্মীর নিয়ে বিশাল আলোচনা চলছে, আমরা কাশ্মীর দেখিনি, আপনি কিছুটা দেখেছন; আপনার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনুমানে আরো কিছুটা ধারণা পেলাম।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: চেষ্টা করেছি, সাদামাটা ভাবে দু'চোখে যা দেখেছি, তাই লিখে আপনাদেরকে জানাতে। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা...

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: আহা এলাম তো এলাম একেবারে যবনিকা পর্বে! যাই হোক সময় করে প্রথম থেকে পড়ব খায়রুল আহসান ভাই। এতগুলো পর্ব দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব এনজয় করেছেন। আর কাশ্মীর তো এমনিতেই একটা ড্রিমি প্লেস। এনজয় না করে উপায় নেই।
ভালো আছেন আশা করি.....

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে এসে একটি সুন্দর এবং আন্তরিক মন্তব্য রেখে গেলেন, সেজন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসেও অনেক প্রাণিত হ'লাম।
আর কাশ্মীর একটা ড্রিমি প্লেস তো বটেই, কিন্তু এখনকার কাশ্মীরের যে সংবাদ দেখতে ও শুনতে পাচ্ছি, তাতে কাশ্মীরের নিপীড়িত জনগণের জন্য হৃদয়টা দুঃখবোধে ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে।
শুভকামনা----

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভ্রমনে গিয়েও যে আপনি সঠিক সময়ে নামাজ পড়েন। ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লেগেছে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে নামাযের কোন ক্বাযা হয় না। একবার ছুটে গেল তো গেলই! এজন্য চেষ্টা করি সব সময় ওযু অবস্থায় থাকতে এবং নামাযের ওয়াক্ত হলেই নামায পড়ে ফেলতে। আর সফরের সময় তো আল্লাহতা'লা মুসাফিরদের জন্য নামায অনেক সহজ করে দিয়েছেন, ক্বসর এর নামাযের মাধ্যমে।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সেদিন ছিল প্রথম রোযার দিন। ঘরে কোন ইফতারির আয়োজন ছিল না। আমি একটু বিশ্রাম নিয়ে ফ্রেশ হয়ে উঠে ইফতারি কিনে আনার জন্য বের হ’লাম। ইফতারির পরে দেড় ঘন্টার অধিক সময় ধরে জামাতে তারাবীহ পড়তে হবে। মনে মনে সে প্রস্তুতিও নিতে থাকলাম। ইফতারি করার সময় মনে ভীষণ একটা প্রশান্তি অনুভব করতে থাকলাম। আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন সহায় থাকলে এবং তাঁর উপর নির্ভর করতে জানলে কত বড় বড় বিপদ পার হয়ে যায়, বান্দা কিছুই টের পায় না! এটাই জীবনের প্রশান্তি।

খায়রুল আহসান ভাই, আপনার পোষ্টের সকল ছবি নতুন করে আপলোড দিতে হবে। আপলোড লিংক ক্র্যাক করায় কোনো ছবি দেখতে পারছি না।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সময় সুযোগ মত ছবিগুলো পুনরায় আপলোড করে দিব বলে আশা রাখছি।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৭

আনমোনা বলেছেন: দীর্ঘ ভ্রমন শেষে ঘরে ফেরার বর্ণনাও খুব ভালো লাগলো।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, দীর্ঘ ভ্রমণ বৃত্তান্ত পাঠ করে সঙ্গ দেয়ার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা---

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার এই ভ্রমন পোষ্টের অনেকগুলি পর্বই পাঠ করেছি । সময় অভাবে সবগুলি পাঠ করা হয়ে উঠেনি ।
তবে এই শেষ পর্বটি পাঠ করতে পেরে নীজকে সৌভাগ্যবান ভাবছি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: তবে এই শেষ পর্বটি পাঠ করতে পেরে নীজকে সৌভাগ্যবান ভাবছি - কেন এমনটি ভাবছেন, তা জিজ্ঞেস করবো না। কারণ, এই একটি বাক্যই আমাকে আনন্দে আপ্লুত করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট- আপনার মত এমন জ্ঞানী গুণী বিজ্ঞজনের কাছ থেকে এমন মন্তব্য পাবার পর। সাথে প্লাসটি দিয়ে গেল বাড়তি অনুপ্রেরণা।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা----
কোমরের ব্যথা থেকে কি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন, নাকি এখনো মাঝে মাঝে ভোগায়?

৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৩

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেকগুলো পর্ব এখনও পড়া হয়নি। অসাধারণ ভ্রমন বৃত্তান্ত। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো উঠে আসায় ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে যতগুলো পর্ব পড়েছি- তার প্রতিটিতে। সবগুলো পর্ব একত্র করে ছোট ভলিউমের একটি ভ্রমন বই আকারে বের করার চিন্তা করা যায় কি না, ভেবে দেখার অনুরোধ থাকলো।

শুভকামনা প্রিয় শ্রদ্ধেয়। +++

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবগুলো পর্ব একত্র করে ছোট ভলিউমের একটি ভ্রমন বই আকারে বের করার চিন্তা করা যায় কি না, ভেবে দেখার অনুরোধ থাকলো - আপনার এ প্রেরণাদায়ক অনুরোধটুকু অবশ্যই আমার মাথায় থাকবে।
আন্তরিক মন্তব্য এবং উদার প্লাসে প্রীত এবং অনুপ্রাণিত হ'লাম। অশেষ ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা----

১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: ভ্রমণ কাহিনী সমাপ্ত হয়েছে চমৎকারভাবে। শেষভাগে আপনি আল্লাহর মহিমা স্মরণ করেছেন, মনে পড়ল কোরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ভ্রমণ করতে। আল্লাহর সৃষ্টির নানারূপ দেখলে, সৃষ্টিকে উপলব্ধি করলেই হয়তো আল্লাহর মহিমা পুরোপুরি উপলব্ধি করা যায়!!

চমৎকার ভ্রমণ কাহিনীর বর্ণনায় লাইক।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনিও চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে আপনার এই কথাটির মর্ম উপলব্ধি করে অভিভূত হ'লামঃ "আল্লাহর সৃষ্টির নানারূপ দেখলে, সৃষ্টিকে উপলব্ধি করলেই হয়তো আল্লাহর মহিমা পুরোপুরি উপলব্ধি করা যায়!!"
আল্লাহর মহিমা হয়তো কখনোই পুরোপুরি উপলব্ধি করা মানুষের দ্বারা সম্ভব হবে না, তবে আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'লা তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে আমাদেরকে "তাফাক্কুর" (অবলোকন, পর্যবেক্ষণ এবং মনোবীক্ষণ) করতে উৎসাহিত করেছেন, নির্দেশ দিয়েছেন। সফরকে ইসলাম উৎসাহিত করে, এমনকি মাইগ্রেশনকেও নিষেধ করে না, যদি না তা কোন অসৎ উদ্দেশ্যে হয়।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
শুভকামনা---

১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খারাপ লাগছে যে সিরিজটি শেষ হচ্ছে জেনে। তবে শেষ তো একদিন হওয়ারই কথা।
আজকের পর্বে আপনি সাময়িকভাবে বেওয়ারিশ ট্রলিকে নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর হম্বিতম্বি,পরে টার্মিনাল ভবনের ভিতরে হায়দ্রাবাদি ভদ্রলোকের মুখে ঢাকা-চট্টগ্রাম নামটি শুনে বিমোহিত হওয়া- ক্ষনিকের বন্ধুত্ব কিন্তু হৃদয়ে দাগ কেটে যাওয়া, এক রাতের জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে পার্শস্থ কোন হোটেলে অবস্থান- প্রভৃতি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কলকাতা বিমানবন্দর পাশে হোটেল আপনি এখানে আরেক শফির সন্ধান পেলেন, নাম বিমল ভক্ত। তার হার্দিক ব্যবহার আপনার হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। বিমল ভক্তের কথানুযায়ী যশোর রোডকে নিয়ে স্বাধীনতার প্রাক্কালে গানটি কি? জানতে কৌতুহলী হয়ে পড়লাম। অবশেষে নিজের দেশে ফেরার আনন্দ দীর্ঘ জার্নির সমস্ত ক্লান্তি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল। দীর্ঘ সফর পরে দেশে নিজ ঘরে ( বিকাল চারটে) ফেরার মজাই আলাদা।
সার্বিকভাবে ব্লগে আমার পড়া সেরা ভ্রমণ কাহিনী।+++++++

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা স্যার আপনাকে।




২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: কলকাতা বিমানবন্দর পাশে হোটেল আপনি এখানে আরেক শফির সন্ধান পেলেন, নাম বিমল ভক্ত - এই একটি বাক্যই বলে দেয়, আপনি কতটা মনযোগের সাথে আমার এ সিরিজটা পড়েছেন। অনেক ধন্যবাদ।
বিমল ভক্তের কথানুযায়ী যশোর রোডকে নিয়ে স্বাধীনতার প্রাক্কালে গানটি কি? জানতে কৌতুহলী হয়ে পড়লাম - আশাকরি আনমোনা এর ঠিক এর পরের মন্তব্যটি আপনার কৌতুহল অনেকটাই মিটিয়েছে।
সার্বিকভাবে ব্লগে আমার পড়া সেরা ভ্রমণ কাহিনী।+++++++ - যারপরনাই অনুপ্রাণিত হ'লাম আপনার মন্তব্যের এ অংশটুকু পড়ে।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা....

১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৯

আনমোনা বলেছেন: @পদাতিক ভাই

Mousumi Voumik - Jessore Road

মুল কবিতাটি Allen Ginsberg এর লেখা।
view this link

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আমার হয়ে এ মন্তব্যের মাধ্যমে পদাতিক চৌধুরি এর কৌতুহলী প্রশ্নের জবাবটি দিয়ে দেয়ার জন্য।
ভাল থাকুন, শুভকামনা---

১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৫

বলেছেন: প্রথমে ভাবলাম লোকটার ছবি কেন!! যখন একটি শালিক বসে আছে তা আপনার চোখ এড়ায়নি তখন বুঝলাম কত গভীর আপনার চিন্তার রেখা আর কতটা প্রখর আপনার দৃষ্টিভঙ্গি।।।


অসাধারণ --++

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, এমন সুন্দর একটি প্রেরণাদায়ক মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্য।
প্লাসেও অনুপ্রাণিত।
শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.