নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুক্কুটীয় স্বপ্ন (অনুবাদ কবিতা)

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৬

গতরাতে আমি মুরগির স্বপ্ন দেখছিলাম।
মুরগিরা সবখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল,
ওরা আমার ভুঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে ছিল,
আমার চুলের উপর বাসা বাঁধছিল।
ওরা আমার বালিশটাকে ঠোকরাচ্ছিল,
আমার মাথার উপর লাফাচ্ছিল।
আমার বিছানায় দৌড়াদৌড়ি করে
ওরা ওদের পালকগুলো ঝাপটাচ্ছিল।

ওরা চেয়ার টেবিল সবকিছুতেই ঘুরছিল।
ঝাড়বাতির ওপরটাতেও পৌঁছেছিল,
কোণায় কোণায় দাঁড়িয়ে বসে ঝিমোচ্ছিল,
আমার কানের কাছে এসে ওরা ডাকছিল।
সবখানেতেই মুরগিগুলো ছড়িয়ে ছিল,
যেখানটাতেই দৃষ্টি আমার পড়ছিল।
আজ সকালে জেগেই আমি লক্ষ্য করি,
আমার উপর অনেক ডিমের ছড়াছড়ি!

মূলঃ Jack Prelutsky
অনুবাদঃ খায়রুল আহসান


কবি পরিচিতিঃ

জ্যাক প্রেলুৎস্কী একজন আমেরিকান কবি, লেখক। তিনি সাধারণতঃ শিশুসাহিত্য (কবিতা গল্প ইত্যাদি) লিখে থাকেন। বর্তমানে তিনি ওয়াশিংটনের Seattle এ স্ত্রী ক্যারোলীন সহ বসবাস করেন। নিউ ইয়র্ক শহরের ব্রুকলিনে তিনি ০৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চার্লস পেশায় ছিলেন একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান এবং মা ডরোথী ছিলেন একজন গৃহবধূ। দরিদ্র কর্মজীবিদের পাড়ায় বড় হওয়া এ কবি নিজের সম্বন্ধে বলেন, “শৈশবে আমি খুবই অভিমানী ছিলাম। দেহের গড়নে ছিলাম হ্যাংলা পাতলা, কিন্তু মুখে থাকতো অকথ্য ভাষা। এটা ছিল একটা মন্দ-মিশ্রণ (bad combination), ফলে প্রচুর মার খেতাম”।

শৈশবে তিনি ব্রন্ক্সের এলাকাভিত্তিক পাবলিক স্কুলে পড়েছেন। কিন্তু তার সেসব স্কুলের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। তিনি দাবী করেন যে ছোটবেলায় তিনি কবিতাকে ঘৃণা করতেন, তার এলিমেন্টারি স্কুলের এক শিক্ষিকার কারণে। স্কুলের নিয়মানুযায়ী সে শিক্ষিকাকে প্রতি সপ্তাহে অন্ততঃ একটি কবিতা নিজে আবৃত্তি করে শিশুদেরকে শেখাতে ও বুঝাতে হতো। কিন্তু তিনি নিজেই মনে প্রাণে এক কবিতা বিদ্বেষী ছিলেন। তার এ বিদ্বেষ তিনি ছাত্রদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতেন। “তিনি সবচেয়ে নিষ্প্রাণ (‘বোরিং’) একটি কবিতা বাছাই করে সেটা নিষ্প্রাণ কন্ঠে ক্লান্তিকরভাবে আবৃত্তি করে যেতেন, এবং এ কাজটি করার সময় তার চোখেমুখে বিরক্তি ফুটে উঠতো”। তবে কয়েকজন শিক্ষক জ্যাক এর মধ্যে সঙ্গীত প্রতিভা লক্ষ্য করে তাকে হাই স্কুলে Music & Art বিষয় নিয়ে পড়ার পরামর্শ দেন। এতে তিনি বেশ উৎসাহ পান এবং সফলভাবে কোর্স সমাপ্ত করে ১৯৫৮ সালে দর্শন, মনোবিদ্যা এবং ইংরেজী বিষয় নিয়ে পড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। প্রথোমক্ত দুটি বিষয়ে তিনি ভাল ফল অর্জন করলেও পরপর তিনবার ইংরেজীতে ফেল করলে তার পড়াশুনার সেখানেই ইতি ঘটে।

একজন সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশের আগে তাকে জীবনে অনেক “অড-জব” করতে হয়েছিল। সেসব কাজ সত্যিই বড় বৈচিত্রপূর্ণ ছিল, যেমনঃ কুমোর, ছুতোর, বাস চালকের সহকারী, আসবাবপত্র পরিবহণকারী, ক্যাব চালক এবং ঘরে ঘরে ঘুরে রকমারি জিনিস বিক্রয়কারী ফেরিওয়ালা। ষাটের দশকের শেষের দিকে তিনি ‘গ্রীনিচ’ গ্রামের একটি পুস্তক বিক্রয় কেন্দ্রে কাজ করা শুরু করেন এবং সন্ধ্যের পর স্থানীয় কফিহাউজগুলোতে সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। সে সময়ে তিনি তার প্রায় সমবয়সী আমেরিকান সঙ্গীতজ্ঞ এবং ২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী বব ডাইলান এর সংস্পর্শে আসেন। ডাইলানও তারই মত ১৯৬১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “ড্রপ-আউট” ছিলেন। একজন গায়ক, গীতিকার এবং সঙ্গীতজ্ঞ ডাইলানের “সাহিত্যে” নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির ঘোষণা শুনে বিশ্বের সাহিত্যমোদীগণ চমকে উঠেছিলেন। তবে “ডাইলান আমেরিকার সঙ্গীত ঐতিহ্যে কাব্যিক অভিব্যক্তির এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন” - নোবেল কমিটির এই ব্যাখ্যায় তারা আশ্বস্ত হন।

জ্যাক প্রেলুৎস্কী মধ্য-বিশ বয়স থেকে তার কল্পনা শক্তি দিয়ে কল্পিত পশু প্রাণীর ছবি আঁকতে ভালবাসতেন। Susan Hirshman নামের একজন প্রকাশকের (মহিলা) কাছে তিনি এই ছবিগুলো শিশুদের বই আকারে প্রকাশের জন্য পাঠাতেন, নীচে ছবিগুলো ব্যাখ্যা করে নিজের লেখা কবিতা সংযোজন করে দিতেন। তিনি অবাক হয়ে যান যখন প্রকাশিকা তার ছয়মাসের শ্রম দিয়ে আঁকা ছবিগুলোর চেয়ে মাত্র দু’ঘন্টায় লেখা কবিতার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতে থাকলেন। সুসান তাকে বলেছিলেন যে তিনি একজন “স্বভাব কবি”, এবং তাকে কবিতা লিখতে নিরলসভাবে উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। তার ৫০টির বেশি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে বেশিরভাগই সুসান প্রকাশ করেছিলেন এবং ৩৭ বছর ধরে তার কবিতা সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি তার বহু কবিতায় নিজেই সুরারোপ করেছিলেন এবং গীটারে সুর তুলে সেসব সঙ্গীত পরিবেশন করতেন।

১৯৭৯ সালে তিনি তার স্ত্রী ক্যারোলীন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি দাবী করেন যে এটা ছিল তার জীবনে “প্রথম দর্শনে প্রেম” এর সফল বাস্তবায়ন। তিনি তখন নিউ মেক্সিকোর আলবুকার্কে পুস্তক প্রকাশনা সম্পর্কিত একটি ট্যুরে অংশ নিচ্ছিলেন। ক্যারোলীন তখন একটি শিশু পাঠাগারে কাজ করতেন এবং জ্যাককে শহরটি ঘুরিয়ে দেখানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। জ্যাক প্রথম দর্শনেই ক্যারোলীন এর প্রতি অনুরক্ত হন এবং প্রথম দিনেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন। বিয়ের পর থেকে তারা একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত ও অনুরক্ত দম্পতি হিসেবে জীবন যাপন করে চলেছেন এবং একত্রে এ্যারিযোনা, বোস্টন, নিউ ইয়র্ক এবং অলিম্পিয়া, ওয়াশিংটন শহরে বসবাস করেন।

২০০৬ সাল থেকে আমেরিকায় Children’s Poet Laureate Award চালু হবার পর জ্যাক প্রেলুৎস্কীই প্রথম সে উদ্বোধনী পুরস্কারটি অর্জন করেন।

মূল কবিতাটি নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ

Last Night I Dreamed of Chickens

By Jack Prelutsky

Last night I dreamed of chickens,
there were chickens everywhere,
they were standing on my stomach,
they were nesting in my hair,
they were pecking at my pillow,
they were hopping on my head,
they were ruffling up their feathers
as they raced about my bed.

They were on the chairs and tables,
they were on the chandeliers,
they were roosting in the corners,
they were clucking in my ears,
there were chickens, chickens, chickens
for as far as I could see...
when I woke today, I noticed
there were eggs on top of me.

ঢাকা
১৭ অগাস্ট ২০২০

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২০

শায়মা বলেছেন: এমন স্বপ্ন দেখলে ঘুমের মধ্যেই ঘুম ভেঙ্গে চিল্লায় উঠতাম ভাইয়া!!!!!
গায়ের উপরে মুরগি!!!!!!!! বাপরে!!!!!!

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবি মনে হয় মুরগিকে খুব ভালবাসতেন, এ জন্যেই ওদেরকে তিনি স্বপ্নেও দেখতেন। কবিতার প্রতিটি লাইনে ওদের প্রতি তার দরদ ও ভালবাসার অভিব্যক্তি ছড়িয়ে আছে।

কবিতা ছাড়াও কবির জীবনী পড়ে আমি মুগ্ধ হই। ওদের সমাজে এক স্ত্রী/স্বামীর সাথে জীবন কাটানো কদাচিৎ ঘটে। কবি তার স্ত্রী ক্যারোলীনকে দেখে প্রথম দিন থেকেই অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং ১৯৭৯ সালে বিয়ের পর থেকে তারা গত ৪১ বছর ধরে একত্রে সংসার করে যাচ্ছেন, এটাও একটি সুখপ্রদ ব্যাপার। তাই ভাবলাম, কবিতা ও কবির জীবনী আমার পাঠকদের সাথে শেয়ার করি!

প্রথম মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই,
বাংলায় অনুবাদ ভালো লেগেছে ।
অনেক আগে ছোট থাকতে যখন গ্রামের বাড়ি বেড়াতে
যেতাম তখন সদ্য ফোটা মুরগির ছানা পোনা আমার খুব
ভালো লাগতো ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অনেক আগে ছোট থাকতে যখন গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যেতাম তখন সদ্য ফোটা মুরগির ছানা পোনা আমার খুব ভালো লাগতো" - ছোট্ট ছোট্ট মুরগির বাচ্চাগুলোকে আদর করতে ছোটবেলায় আমারও খুব ভাল লাগতো। বেশি ভাল লাগতো দেখতে, যখন ওরা একটা একটা করে ওদের মায়ের পাখার নীচে ঢুকে যেত এবং মাঝে মাঝে আবার মাথা বের করে তাকাতো। আর খুব খারাপ লাগতো যখন কোন কাক বা চিল এসে একটা বাচ্চাকে ছোঁ মেরে নিয়ে যেত, আর অসহায় মা তাদের পেছনে ছুটে নিষ্ফলভাবে তাড়া করতো।

কবিতা পড়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মুরগি গুলি ভালোই তাহলে অনেক ডিম দিয়েছে :D

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, ঠিকই বুঝেছেন। কবি এমনটিই বলেছেন! :)

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৩

আকন বিডি বলেছেন: এ এক জটিল স্বপ্ন। ডিমে তা দেওয়া খালি বাকি ছিল।
আপনার অনুবাদ উত্তম হয়েছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার অনুবাদ উত্তম হয়েছে - অনেক ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভেচ্ছা---

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা....

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
ভাষা সুন্দর।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কবি আমেরিকান সমাজের মানুষের কষ্টকর জীবনকে তুলে ধরতে চেয়েছেন?

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবির নিজের জীবন কষ্টের হলেও, সেরকম তার কোন কবিতা আমি পড়িনি। তবে তার অন্যান্য কবিতার তালিকা আমি খুঁজে দেখবো।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৫

ঘরহীন বলেছেন: ইংরেজি কবিতার ভাব প্রকাশ বাংলা কবিতার চাইতে অনেকটাই ভিন্ন। অনুবাদ ভালো হয়েছে ভাই।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইংরেজি কবিতার ভাব প্রকাশ বাংলা কবিতার চাইতে অনেকটাই ভিন্ন - তা হতে পারে। অনুবাদ কখনো ভাবগত দিক থেকে মূল কে শতকরা হিসেবে একশত ভাগ প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। তবে আপনার দৃষ্টিতে ভিন্নতাটা কোথায় কতটুকু হয়েছে, তার একটু উল্লেখ করলে ভাল হতো।
অনুবাদ ভালো হয়েছে ভাই। - এ কথাটায় অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



কবিতা পড়েছি। অনুবাদ সুন্দর হয়েছে। কবির পরিচিতি বিস্তারিত দেয়ায় ভালো হয়েছে। তার সম্মন্ধে জানা ছিল না। +

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবির পরিচিতি বিস্তারিত দেয়ায় ভালো হয়েছে। তার সম্মন্ধে জানা ছিল না - কবি জ্যাক প্রেলুৎস্কী এর জীবনী আমার কাছেও আকর্ষণীয় মনে হয়েছে বিধায় সবিস্তারে লিখেছি। প্রতিভার সাথে উদ্যম মিলিত হলে সাফল্য দুয়ারে এসে করাঘাত করে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা....

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: কদিন আগে অন্য কারও একটা পোস্টে আপনার মন্তব্য দেখলাম- 'ব্লগে আগ্রহ পাচ্ছেন না' এ রকম। নতুন পোস্ট দেখে ভালো লাগলো,আশা করি সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: নতুন পোস্ট দেখে ভালো লাগলো,আশা করি সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন - আসলে নতুন পোস্ট আমি কিন্তু সপ্তাহে অন্ততঃ একটা করে দিয়েই চলেছি। তবে এটা ঠিক যে পোস্ট লিখে কিংবা মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য পড়ে/লিখে আগের মত আর উৎসাহ পাচ্ছি না। অন্যত্র কোথাও বলা আমার এ কথাটি আপনি লক্ষ্য করেছেন এবং স্মরণে রেখেছেন জেনে প্রীত হ'লাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: জাইগা উইঠা ডিম পাওয়াতে ভালোই হইলো, খাওয়া যাক দুয়েকটা পোচ এবার!!!

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: হা হা হা, যা কইলেন! :)
আপনার দুইটা পোস্টে (বই এর ফ্ল্যাপে লেখা সংক্রান্ত) আমার মন্তব্যের জবাব পাই নাই। জবাব দ্যান না ক্যান??

১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১২

ঘরহীন বলেছেন: ইংলিশ কবিতার সমালোচনামূলক বই শেষ কবে পড়েছি, মনেও নেই। তাও, একটু লেখি।

কবিতাটায় ছন্দ/অন্তমিল নেই, কাঠখোট্টা কবিতা। এটার একটা নাম আছে ইরেজিতে মনে পড়ছে না। কোনো নিয়ম না মেনে শুধু অন্তর্নিহিত ভাব প্রকাশ করা হয়েছে। আট স্তবকের দুই ভাগে কবিতাটাকে ভাগ করা হয়েছে, তবে তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। সুনির্দিষ্টভাবে প্রথম লাইন ও শেষ দুই লাইন ছাড়া পুরো কবিতা একই বিষয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে, স্বপ্ন। স্বপ্নের মধ্যে প্রধান ভূমিকা রাখছে কল্পনা না, তার বাস্তব অনুভূতি; যা সে দেখছে। দেখাটাকে অর্থাৎ রিয়েলিজম কে এখানে প্রধান চলক হিসেবে রাখা হয়েছে। একই লাইনে এক শব্দের বার বার প্রয়োগ, কবিতা জুড়ে একই শব্দ দিয়ে বার বার লাইন শুরু করা - বেশ দক্ষতার সাথে করা হয়েছে। পরেরটাকে মনে হয় এলিটারেশন বলে।

আর অন্তর্নিহিত অর্থ আমার কাছে - এখানে কবি রাতে নিজের প্রেমিকার কথা চিন্তা করেছেন। সেই চিন্তায় তিনি কাতর, সেটা বিরহও হতে পারে বা ভালোবাসা বা এমনি চিন্তা। চিন্তাটা তাকে রাতে ঘুমাতে দেয় নি, নিজের চারপাশে প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়েছেন তিনি। সবশেষে এসে চিন্তার কারণ, খুব সম্ভবত তার ও প্রেমিকার গর্ভজাত, অনাগত সন্তানের কথা বলে শেষ করেছেন কবিতা।

এই তো।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কাছে মনে হয়েছে, কবি এ কবিতাটিকে শিশুদেরকে মুরগি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য কিংবা মুরগির প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য অতি সহজ করে লিখেছেন। এর হয়তো কোন অন্তর্নিহিত অর্থ নেই। থাকলেও, তিনি সেটা পাঠকদের ভেবে নেয়ার উপর ছেড়ে দিয়েছেন।
না, ওটাকে এলিটারেশন বলে না। এলিটারেশন অন্য জিনিস।
মন্তব্যের ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শেষ দুটো পংক্তি কবিতাটির নানারকম ইন্টারপ্রিটেশনের দরোজা খুলে রাখে। সুখপাঠ্য , এবং মুলানুগ অনুবাদ করার জন্যে আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। রবার্ট ফ্রস্টের মত সহজ ভাষায় গভীর কথা কইতে চাওয়া মানুষ মনে হল জ্যাক প্রিলুতস্কিকে। শুভকামনা জানবেন! : )

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষ দুটো পংক্তি কবিতাটির নানারকম ইন্টারপ্রিটেশনের দরোজা খুলে রাখে - চমৎকার আপনার পর্যবেক্ষণ এবং উপলব্ধি।
আমিও সেভাবে ভাবছি।
মুলানুগ অনুবাদ করার জন্যে আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ - অনুবাদের এ প্রশংসায় অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হ'লাম।
কবিতা পাঠ এবং প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য অনেক, অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: @সাজিদ উল হক আবির খুব ভাল কথা বলেছেন। দারুন পর্যবেক্ষণ যে, "শেষ দুটো পংক্তিমালা কবিতার নানারকম ইন্টারপ্রিটেশনের দরজা খুলে রাখে।" ঠিক তাই। ছোট্ট একটি মুরগি, প্রকৃতিতে সেও কতটা ভালবাসার যোগ্য। কবিতায় তার যথার্থ প্রতিফলন ঘটেছে। সুন্দর অনুবাদকর্মে ভালোলাগা।‌

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, @সাজিদ উল হক আবির কথাটি চমৎকার বলেছেন। আপনিও সেটা যথার্থভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
অনুবাদের প্রশংসায় এবং কবিতায় দেয়া প্রথম প্লাসে অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হ'লাম।
প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য অনেক, অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.