নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আগের পর্বের লিঙ্কঃ মায়ের সাথে ঈদ শেষে বিষণ্ণ মনে ঘরে ফেরার কড়চা... (১)
বাস ছাড়ার পর থেকেই মনে মনে ভয়ে ছিলাম কখন না যেন কোন বড় যটে আটকা পড়ে যাই। আমি দূরপাল্লার বাসে যাতায়াতের সময় সাধারণতঃ সামনের দু’সারির মধ্যেই বসি এবং প্রথমেই একবার বাস চালকের আকৃতি প্রকৃতি নিরীক্ষণ করে নেই। তার বেশভূষা, মেজাজ মর্জি এবং সহকারীদের সাথে কথোপকথন মনযোগের সাথে খেয়াল করি। সবকিছু ইতিবাচক মনে হলে আমি বেশ রিল্যাক্স করে জার্নি করতে পারি, অন্যথায় টেনশনে ভুগি। এবারে যেহেতু আমি বাঁ দিকের প্রথম সারিতে বসেছিলাম, চালক মহোদয়কে আমি ভালই খেয়াল করতে পারছিলাম। এসি বাসগুলোতে সাধারণতঃ একটু বয়স্ক বা মধ্যবয়স্ক এবং অপেক্ষাকৃত অভিজ্ঞতর ও ভাল ট্র্যাক রেকর্ড সম্পন্ন চালকদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়। কারণ দামী বাস, পারতপক্ষে যেন চালকের অসাবধানতা বা অবহেলাজনিত কোন কারণে দুর্ঘটনায় না পড়ে। এজন্য এসি বাসের চালকদের বেতনও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি দেয়া হয়। আমাদের চালককে দেখে প্রথমেই যা মনে হলো, তার বয়স আমার দেখা অন্য এসি বাস চালকদের চেয়ে তুলনায় বেশ কম, ত্রিশ কিংবা তার সামান্য কিছু বেশি হতে পারে, আবার কমও হতে পারে। এটা দেখে একটু চিন্তিত হচ্ছিলাম, কিন্তু যখন দেখলাম বয়স কম হলেও তিনি বেশ অভিজ্ঞ চালকের মতই বাসটি চালাচ্ছিলেন, তখন আশ্বস্ত বোধ করছিলাম। তাকে খুবই ধীর স্থির মনে হলো। মাঝে মাঝে অন্যান্য যানবাহন বা সাইকেল, ভ্যান ইত্যাদির অপ্রত্যাশিত আচরণের কারণে তাকে ব্রেক কষতে হচ্ছিল, কিন্তু এ নিয়ে তিনি অযথা কোন হাউকাউ করছিলেন না, জানালা দিয়ে মুখ বের করে তাদের প্রতি কোন খিস্তি খেউর ছুঁড়ছিলেন না। চালকের এমন শোভন আচরণে আমি মনে মনে বেশ স্বস্তি পাচ্ছিলাম।
পলাশবাড়ীতে ত্রিশ মিনিট আর গোবিন্দগঞ্জে দশ মিনিট- সমগ্র যাত্রাপথে সাকুল্যে এই চল্লিশ মিনিটই বাসটি রাস্তায় থির দাঁড়িয়ে ছিল, তবে এটুকু স্থৈর্য সহনীয় পর্যায়ে ছিল। বাকি পথটাতে যান চলাচলের সংখ্যা যথেষ্ট ছিল, তাই গাড়ীও ধীর গতিতে চলছিল, কিন্তু একেবারে থেমে থাকেনি। পড়ন্ত বিকেলে চলমান বাসের প্রথম আসনটি থেকে দেখা সামনের রাস্তা এবং দক্ষিণের আকাশটাকেও বিষণ্ণ মনে হচ্ছিল। সন্ধ্যার প্রাক্কালে ব্যস্তসমস্ত পথচারিদের মধ্যে একটু তাড়াহুড়ো ছিল। সাইকেল চালক, রিক্সা ও ভ্যান চালক এমনকি পায়ে হাঁটা মানুষদের মধ্যেও একটা দ্রুততা, একটু ব্যস্ততা লক্ষ্য করছিলাম। কিছু কিছু জায়গায় তখনো স্তুপিকৃত পশুর চামড়ার ঢিবি ফেলে রাখায় কয়েক জায়গায় রাস্তাটা একটু সরু হয়ে গিয়েছিল। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে আমি নামায পড়ে নিয়ে শ্রান্তি ও স্বস্তির সাথে তন্দ্রাগমন করলাম। রাত ন’টার দিকে ‘ফুড গার্ডেন’ নামক একটি পান্থশালায় যাত্রাবিরতি করা হলে সেখানে নেমে কিছু খেয়ে নিলাম। রাত সোয়া দশটায় যমুনা সেতু অতিক্রম করার সময় এ সেতুটি ঘিরে নানা স্মৃতির কথা মনে পড়লো।
টাঙ্গাইল পার হবার পর থেকে বাসচালক এবং সুপারভাইজার এর মধ্যকার কথোপকথনে একটু চাঞ্চল্য ও অস্থিরতার আভাস পেলাম। আমাদের বাসটা যাবে মহাখালি টার্মিনালে। সেখানে পৌঁছাতে রাত দেড়টা দুটো বাজবে। বাসের সুপারভাইজারের বাড়ি মিরপুরে। এত রাতে মহাখালি থেকে মিরপুরে কিভাবে যাবে, এ নিয়ে সে চিন্তিত ছিল, কারণ পরের দিন ভোর ছ’টা থেকে শুরু হবে ‘কঠোর লকডাউন’। সুপারভাইজার যখন বাস চালকের কাছে এ সমস্যাটার কথা জানালো, তখন চালক একজন মিলিটারি কমান্ডারের মত তাকে নির্দেশ দিতে থাকলো একে ওকে ফোন করে আমাদের বাসের আগে পিছে গাবতলিগামী কোন বাস আছে কি না তা বের করার জন্য। অনেকের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেল যে আমাদের বাসের ঠিক সামনেই একটি বাস আছে যেটা গাবতলি যাবে। আমরা সে বাসটি থেকে আনুমানিক পনের-বিশ মিনিট দূরত্বের পথ পেছনে ছিলাম। সুপারভাইজার সে বাসের চালককে তার সমস্যার কথা জানিয়ে অনুরোধ করলো, সামনে চন্দ্রায় থেমে একটু অপেক্ষা করতে, সেখান থেকে তিনি ঐ বাসে উঠবেন। কিন্তু এত রাতে (রাত প্রায় সাড়ে বারটা) যাত্রী নিয়ে এতক্ষণ অপেক্ষা করতে সে চালক রাজি হচ্ছিল না। আমাদের চালক সাহেব তখন তার হাত থেকে ফোনটি চেয়ে নিয়ে সেই বাসচালককে খুবই জোরালো ভাষায় একটু অপেক্ষা করার অনুরোধ করলেন। তার ওকালতির ভাষায় আমি যেমন মুগ্ধ হ’লাম, সেই চালকও তার অনুরোধ ফেলতে পারলো না বলে মনে হলো। পনের মিনিট পরে চন্দ্রায় পৌঁছে সুপারভাইজার চালককে সালাম জানিয়ে বিদায় নিয়ে সেই বাসটিতে গিয়ে উঠলো। শুধু তাই নয়, মহাখালিতে নেমে যে কর্তার কাছে সুপারভাইজারের টাকা পয়সা ও চালান ইত্যাদি বুঝিয়ে দেয়ার কথা, চালক তাকেও ফোন করে জানিয়ে দিলেন যে সুপারভাইজারকে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তিনি অন্য বাসে উঠিয়ে দিয়েছেন এবং তার টাকা পয়সা ও কাগজপত্রাদি বাসের দ্বিতীয় সহকারি ‘ঈমন’ তাকে বুঝিয়ে দেবে। এ নিয়ে তিনি যেন কোন হাঙ্গামা না করেন। বুঝলাম, তার কথার ধারে সেই কর্তাও রাজী হয়ে গেলেন।
পথিমধ্যে সুপারভাইজার ও চালকের মধ্যকার গল্প শুনে আমি তার বেশ কয়েকটি গুণের পরিচয় পেলাম। তিনি সুপারভাইজারকে বললেন তিনি যেন গাবতলিগামী বাসচালকের হাতে পাঁচশত টাকা দিয়ে দেন। উনি বললেন, সেই চালক কিছু চায় নাই, তবে সে যে তার অনুরোধকে সম্মান করে থেমেছে এবং একজন বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করেছে, সেজন্য এটা তার প্রাপ্য। আমাদের দু’জনের মত (আমি ও আমার সহকারী) এবং আরও কয়েকজন অতিরিক্ত যাত্রির কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে তারা যে লাভের ভাগ বাটোয়ারা করেছিল, সেখান থেকে চালক সাহেব নিজে দুইশত টাকা বের করে দিলেন এবং বাকি দু’জনের লাভের টাকা থেকে তিনশত দিয়ে মোট পাঁচশত টাকা সেই চালকের হাতে দেয়ার নির্দেশ দিলেন। আমরা অনেকেই “নেতৃত্বের গুণাবলী” সম্পর্কে জানি এবং এ নিয়ে পড়াশোনাও করি। চালক সাহেবের এই কাজটিও নিঃসন্দেহে নেতৃত্বের পরিচায়ক। তিনি সুপারভাইজারকে বলতে পারতেন সেই বাস চালককে তিনি নিজেই যেন পাঁচশত টাকা দিয়ে দেন, কারণ ‘ঠ্যাকা’টা তারই ছিল। কিন্তু তিনি সেটা না করে পাঁচশত টাকার মধ্যে বৃহদাংশটা তিনি নিজেই দিলেন এবং কম অংশটা বাকি দু’জনকে সমভাবে ভাগ করে নিতে বললেন। একেই বলে কমরেডশিপ, এবং এটা যারা আত্মস্থ করতে পারেন, তারাই হতে পারেন নেতা। তাদের আলাপ থেকে আরও জানতে পারি যে যাত্রাবিরতির সময় কোন একটি হোটেলে চালকের জন্য এক ধরণের মেন্যু এবং সুপারভাইজার ও অন্যান্য স্টাফের জন্য ভিন্ন মেন্যু (একটু নিম্ন মানের) রাখার কারণে তিনি মালিকপক্ষকে বাধ্য করেছিলেন যাত্রাবিরতির সেই হোটেলটিকে পরিবর্তন করে অন্য একটি হোটেলের সাথে চুক্তি করার জন্য। “আমি খামু গরু, আর আমার স্টাফ খাইবো মাছ আর ডাইল, আমি এইডা ক্যামনে মানি”? – ঠিক এটাই ছিল তার সংলাপ, যা শুনে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছিলাম।
অন্যান্য সময় বাসে চলাচল করার সময় দেখেছি, পথিমধ্যে সহকারীগণ খিলি পান, সিগ্রেট ইত্যাদি কিনে এনে চালকের সামনে রাখে। তার আদেশ পেলে সহকারী কাগজে মোড়ানো পানের প্যাকেট থেকে একটা খুলে তার হাতে ধরিয়ে দেয়। কখনো ধুমপায়ী চালকের আদেশ পেলে সে নিজে একটা সিগ্রেট ধরিয়ে দুটো টান দিয়ে তার হাতে ধরিয়ে দেয়। কিন্তু এবারে আমি এ চালককে এ দুটো বদ অভ্যাস থেকেই মুক্ত দেখতে পেলাম। সারাটা পথে শুধুমাত্র বিরতির জায়গা ছাড়া তিনি এ দুটো কাজে ব্রতী হন নাই। আমার বিশ্বাস, তিনি যেখানে যে কাজই করুন না কেন, তার কর্মক্ষেত্রে তিনি নেতৃত্বের নিদর্শন রাখবেনই, এবং আমি অবাক হবো না, যদি কোনদিন তাকে বড় কোন নেতৃত্বের পদে দেখতে পাই। তাই নামার সময় আমি চালক সাহেবকে কোন কারণ উল্লেখ না করে একটা ধন্যবাদ জানালাম, যা শুনে তিনি একটু অবাকই হয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। বাসে বসে থেকে বিভিন্ন পর্বে ওনার কথোপকথন শুনে আমি তার নামটাও জেনে গিয়েছিলাম – ‘পলাশ’। আমার আসন থেকে তোলা তার একটা ছবিও দিলাম, যেটা ইচ্ছাকৃতভাবে তুলিনি, সামনের দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে ফ্রেমে চলে এসেছে। অবশেষে রাত সোয়া একটায় বাস থেকে নেমে আবার তাকে এবং তার সহকারীকে (চালকের আদেশে সে সহকারী আমার হাতের ব্যাগটা ধরে আমাকে বাস থেকে নামতে সহায়তা করেছিল) হাতের ইশারায় ‘বাই বাই’ বলে খোদা হাফেজ জানালাম। এবারে চালক সাহেব একটু মুচকি হেসে আমার শুভেচ্ছাটুকু একনলেজ করে কপালে হাত তুলে সেলাম জানালেন।
(দুই পর্বের এ কড়চা এখানেই সমাপ্ত হলো)
ঢাকা
২৪ জুলাই ২০২১
শব্দ সংখ্যাঃ ১১২০
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আগামী কতো বছর যে আমাদের এমন নিরান্দ ও আতঙ্ক নিয়ে সময় কাটাতে হবে কে জানে?" - এটা একেবারেই অনিশ্চিত বলে মনে হয় আমার কাছে।
প্রথম মন্তব্যটি করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার লিখা মনোমুগ্ধের মতো গোগ্রাসে গিলেছি। পলাশ সাহেবের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা রইল। আপনার সুস্বাস্থ্য আর সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি। ধন্যবাদ।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: এতটা মুগ্ধ হয়ে লেখাটা পড়েছেন জেনে অনুপ্রাণিত হলাম। প্লাস এবং শুভকামনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: করোনা আমাদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "করোনা আমাদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে" - আনন্দ কেড়ে নিয়ে বেদনা উপহার দিয়েছে!
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি দূরপাল্লার বাসে যাতায়াতের সময় সাধারণতঃ সামনের দু’সারির মধ্যেই বসি এবং প্রথমেই একবার বাস চালকের আকৃতি প্রকৃতি নিরীক্ষণ করে নেই। তার বেশভূষা, মেজাজ মর্জি এবং সহকারীদের সাথে কথোপকথন মনযোগের সাথে খেয়াল করি। সবকিছু ইতিবাচক মনে হলে আমি বেশ রিল্যাক্স করে জার্নি করতে পারি, অন্যথায় টেনশনে ভুগি।
এইটুকু পড়ে আমার পুরনো একটা কথা মনে পড়ে গেলো।
সময়টা ২০১০ সাল। আমার বন্ধুর পরিবার আমার চাচাতো ভাইয়ের শ্বশুরের পরিবার আর আমার, সব মিলিয়ে ১৪ জনের দল যাচ্ছি সেন্টমার্টিন। শীতের রাত, ঘুমতে ঘুমতে বাসে পৌছে যাবো টেকনাফ। চাচাতো ভাইয়ের শ্বশুর একটু নরম-সরম মানুষ। তিনি বসেছেন সামনের সিটে। আমি বললাম এখানে সারা রাত চোখে বিপরিত দিক থেকে আসা গাড়ির হেডলাইটের আলো পরবে, ঘুমতে পারবেন না। তিনি জানালেন তিনি ঘুমবেন না।
কেনো বেলেন তো?
তিনি আসলেই সারা রাত ঘমননি।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "কেনো বলেন তো?" - হয়তো টেনশনের জন্য।
আমি কিছু লোককে জানি, যারা কোন জার্নিতে, বিশেষ করে বাস জার্নিতে টেনশনের চোটে একেবারেই ঘুমোতে পারেন না। আবার এমন কিছু লোককেও জানি, যারা বাসের আসনে আপন শয্যায় শুয়ে ঘুমানোর চেয়েও আরামে, তৃপ্তিতে এবং নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে!
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন পর্যবেক্ষন ও মূল্যায়ন।
আমাদের রাজনীতিবিদদের মধ্যে যদি এই মিনিমাম গুনটুকু থাকতো, দেশটা আরো অনেক এগিয়ে যেতো।
কমরেড সবাই হতে পারে না। কমরেড হবার আগে যে মানুষ হতে হয়।
একই কথা মুসলমান হবার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
বিষন্নতার দিন কেটে যাক
দয়াময়ের কৃপায়
আবার হেসে উঠুক ধরিত্রী
নির্ভয়ে, তার সন্তানদের নিয়ে . . .
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "কমরেড সবাই হতে পারে না। কমরেড হবার আগে যে মানুষ হতে হয়" - পশুড়া সবাই নিজ নিজ জাতের পশু হয়েই জন্মায়। কিন্তু মানুষকে মানুষ হতে হয়!
"বিষন্নতার দিন কেটে যাক
দয়াময়ের কৃপায়
আবার হেসে উঠুক ধরিত্রী
নির্ভয়ে, তার সন্তানদের নিয়ে . . ." - কন্ঠ মেলাচ্ছি, তাই হোক, তবে তাই হোক!
সুন্দর মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: বাসের নাম এনা দেখেই মনে পড়ল গত একটা বছর কত যে জার্নি করেছি এনা বাসে। প্রথম দিকে সপ্তাহের বৃহস্পতি আর শনিবা হতো। আমার রুটে এনার এসি বাস ছিল না! এত রাফ এন্ড টাফ চালাতো এরা যে বলার মত না! এটা ঠিক বাস যতো ভালোমানের হয় ড্রাইভার তত মার্জিত হতে দেখেছি।
মুগ্ধ হলাম আপনার চড়া বাসের ড্রাইভারের মানসিকতা এবং নেতৃত্ব দেখে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এত রাফ এন্ড টাফ চালাতো এরা যে বলার মত না!" - আপনি ঠিকই বলেছেন। এই কোম্পানীর বাস চালকেরা তাদের মালিকের মতই বেপরোয়া এবং 'রাফ এন্ড টাফ'!
"মুগ্ধ হলাম আপনার চড়া বাসের ড্রাইভারের মানসিকতা এবং নেতৃত্ব দেখে" - অনেক ধন্যবাদ, কেউ ভালো কিছু এ্যাপ্রিশিয়েট করলে আমার ভালো লাগে।
সুন্দর মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০৬
সোহানী বলেছেন: আগেরটা পড়ে আমি তারপর একসাথে কমেন্ট করবো। তবে এখানে আগেরটা লিংক একটু কষ্ট করে যোগ করে দিবেন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওহ, আচ্ছা! থ্যাঙ্ক ইউ।
সিরিজ আকারে পোস্ট দিতে গিয়ে আমি প্রত্যেকবার এই ভুলটি করেছি। আপনি ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন, তারপর আমি পোস্ট সম্পাদনা করে আগে-পরের লিঙ্ক জুড়ে দিয়েছি। এবারেও তাই করলাম।
"আগেরটা পড়ে আমি তারপর একসাথে কমেন্ট করবো" - আচ্ছা, ঠিক আছে। অনেক ধন্যবাদ।
৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: সব বাসচালক পলাশের মতো বিবেচক যদি হতো...
একটা কথা, পলাশ কি অন্য বাস চালকের সাথে কথা বলছিল বাস চালাতে চালাতে?
জার্নি বাই বাস চমৎকার হয়েছে। +++
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: নেতৃত্বের গুণাবলী সবার মাঝে থাকে না, কিছু কিছু মানুষের মধ্যে তা সহজাত প্রবৃত্তি হিসেবে বিরাজ করে। পলাশ সেই কিছু কিছুদের মধ্যে একজন।
"পলাশ কি অন্য বাস চালকের সাথে কথা বলছিল বাস চালাতে চালাতে?" - জ্বী, তিনি বাস চালাতে চালাতেই কথা বলছিলেন, তবে নম্বর মিলিয়ে দিচ্ছিল তার সহকারী। আমিও তা দেখে শঙ্কিত হচ্ছিলাম, তবে হাল্কা জটের কারণে বাসটা থেমে থেমে চলছিল এবং বাসের গতি তার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল।
জার্নি বাই বাস চমৎকার হয়েছে -
৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:১৮
খোলা জানালা। বলেছেন: বেশ ভালো হচ্ছে। চালিয়ে যান। শুভকামনা রইলো।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রোফাইলে দেখলাম আপনি ব্লগিং শুরু করেছেন মাত্র ১ দিন অ ২১ ঘন্টা আগে। এর মধ্যে ৮টি পোস্ট লিখে ফেলেছেন, ৩৫টি মন্তব্য করে ফেলেছেন। আরও লক্ষ্য করলাম যে আপনি একই মন্তব্য কপি-পেস্ট করে অনেকের পোস্টে করেছেন, আমারটাতেও। দুঃখিত যে, এমন কপি-পেস্ট মন্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারলাম না, যদিও কথাগুলো একজন লেখকের জন্য প্রেরণাদায়ক। একই কথা সবাইকে বলাতে কথাগুলোর আর কোন মূল্য রইলো না, মনে হলো স্রেফ বলার জন্যই বলা, যার কোন প্রয়োজন ছিল না।
১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:১৪
জুন বলেছেন: আমি বাস জার্নি করলে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ি কারন সাসপেনশনের জন্য দোল খেতে খেতে বাস যখন চলে তখন মাথা ব্যাথা শুরু হয়। আর ঘুমানো তো প্রশ্নাতীত। আপনার এই সিরিজটিও উপভোগ্য। তবে মাকে ছেড়ে আসা সব সময়ই কষ্টকর। আপনার মা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সেই দোয়া রইলো সব সময়ের জন্য।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: সিরিজটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম, প্লাসে অনুপ্রাণিত।
মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া করেছেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো থাকুন, সুস্বাস্থ্যে, সপরিবারে। শুভকামনা ....
১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৩
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ইদে মাকে দেখতে যাওয়ার দুই পর্বই পড়লাম।
আপনি অতি ভাগ্যবান মা আছেন এবং এই দুর্দিনেও দেখতে গিয়েছিলেন।
আল্লাহ্ আপনার মাকে আরো বেশী হায়াত দিন, দোয়া করছি। আমীন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আমি অতি ভাগ্যবানই বটে, আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার আন্তরিক দোয়া এবং শুভকামনায় অত্যন্ত প্রীত হ'লাম। অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
হাবিব বলেছেন: বাস চালকের কাহিনীটি মন কাড়লো। আপনি সুস্থ মতো ঢাকায় ফিরেছেন শুকরিয়া তাতেই। বাস জার্নি আমার খুবই পছন্দের।
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "বাস চালকের কাহিনীটি মন কাড়লো" - জেনে প্রীত হ'লাম।
আমার 'সুস্থ মতো' ঢাকায় ফেরার কথা জেনে আপনি স্বস্তি পেয়েছেন এবং (আল্লাহ পাকের দরবারে) শুকরিয়া জানিয়েছেন, এ কথাটা আমাকে স্পর্শ করে গেল! অনেক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৯
মেহবুবা বলেছেন: বিষন্ন হবার জন্য অনেকগুলো অনুঘটক কাজ করেছে, কোন এক অছিলায় মায়ের কাছে থাকা হয়ে গেল, মা কত খুশী।
বাস ভ্রমণ যেমনটি লিখেছেন ভাল লাগল আপনার পর্যবক্ষেণ দেখে।
আমার একটা অভিজ্ঞতা এখুনি লিখে দেই, মনে পড়ছে এটা দেখে।
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমার একটা অভিজ্ঞতা এখুনি লিখে দেই, মনে পড়ছে এটা দেখে" - জ্বী জ্বী, তাড়াতাড়ি লিখে দিন। হয়তো লেখাই আছে কোথাও, এমন হলে পোস্ট দিয়ে দিন।
"বাস ভ্রমণ যেমনটি লিখেছেন ভাল লাগল আপনার পর্যবক্ষেণ দেখে" - আমারও ভালো লাগল আপনার কাছ থেকে 'পর্যবক্ষেণ' এর স্বীকৃতি পেয়ে।
"কোন এক অছিলায় মায়ের কাছে থাকা হয়ে গেল, মা কত খুশী" - সত্য বলেছেন। হয়তো খুশিটা সেভাবে প্রকাশ করতে পারেন নি, তবে মাঝে মাঝে আস্তে করে হাতটা তুলে মাথায় বুলিয়ে দিয়েছেন।
১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫
মেহবুবা বলেছেন: এখানে বলবার পর লিখতে শুরু করে মনে বেশি রাত হবে, কিছুটা লিখে তাই বাদ। আজ অনেকটা সময় ধরে মোবাইলে লিখে এক দুই লাইন বাকী থাকতে মোবাইলে কথা বলেছি তারপর দেখি আমি লগ আউট এবং গতকালের লেখার পর কেবল আজকের দেয়া ছবি আছে আর কিছু নেই। অটোড্রাফটেও পেলাম না।
গত পোষ্টের আগেরটা তিনবার হাওয়া, জিদ চেপে গেল ৪র্থ বার পেরেছি।
আজকাল সাইনব্লগ আমাকে কেবল ঝামেলায় ফেলছে !
না বুঝেই গতকাল পোষ্ট দেবার কথা লিখেছিলাম তাই এসব লিখলাম।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সর্বশেষ পোস্টটাতো ১৭ জুলাই ২০২১ তারিখে লেখাঃ "অতি বড় সুন্দরী না পায় বর..... উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত জনসাধারণের রাজকুমারী"! সেটাতে একটু আগে মন্তব্য রেখে আসলাম। গতকালকের বা আজকের লেখা কোন পোস্ট তো দেখতে পেলাম না।
১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৫
মেহবুবা বলেছেন: যেটা ৪র্থ বারে পোষ্ট দিতে পেরেছি সেটা এটি নয়, বিশ্বের বিস্ময় । মূল কথা হলো আপনার journy by bus এর লেখা পড়ে যেটা লিখতে চেয়েছি সেটা গতকাল দ্বিতীয় দিনের জন্য লিখে প্রায় শেষ করে এনেছিলাম মোবাইলে, বিশেষ প্রয়োজনে মোবাইলে একজনের সাথে কথা বলে দেখি লগ আউট, লেখাও আউট। অটো ড্রাফটেও নেই। সে কথা বলছিলাম ।
যদি পারি তো দেব না হলে হবে না।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "যদি পারি তো দেব না হলে হবে না" - জ্বী আচ্ছা, ঠিক আছে।
১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যার লেখাটা আগেই পড়েছিলাম।সময়াভাবে কমেন্ট করতে পারিনি।
পথ চলতি মানুষকে কথা সহজভাবে আপনি দেখতে পারেন ;দেখাতেও পারেন।আজ তারই একটা নিদর্শন পেলাম এই পোস্টে।চালক পলাশ ভাই শুধু বাস চালক নন তিনি শ্রমজীবী মানুষের একজন সফল চালকও বটে।তাই নিজে উদ্যোগে সুপারভাইজারকে নিরাপদে অর্থ দিয়ে বাসায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে মনের অজান্তেই নিজের চরিত্রের উৎকৃষ্ট মননের পরিচয় তুলে ধরেছেন।
দ্বিতীয়ত দূর পাল্লার বাসে উদ্বেগ থাকলেও পলাশ ভাইয়াদের কথোপকথনে মন রাখতে রাখতে নিরাপদে বাসায় ফিরেছেন জেনে খুশি হলাম। প্রথম পর্বে অনেকটা যাতনাময় পরিস্থিতি গেলেও এই পর্বটা নির্বিঘ্নেই কেটেছে।
সুন্দর সাবলীল বর্ননায় পর্বগুলো বরাবরের মতই সুখপাঠ্য হয়েছে।
জুনাপুর কমেন্টের সুরেই বলি, রাস্তায় নিরাপদে বাসায় ফেরার তাগিদ থাকলেও অবশেষে বাসায় ফিরে মায়ের জন্য হৃদয়ে অনুরণিত হাহাকার নিশ্চয়ই আপনাকে ব্যথিত করে রেখেছিল কিছুদিন। আশাকরি এখন উনি কুশলে আছেন। ওনার উদ্দেশ্যে রইলো আমার সশ্রদ্ধ সালাম।সালাম আপনাকেও স্যার।
ভালো থাকবেন সবসময় এই দোয়া করি।
১৮ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "চালক পলাশ ভাই শুধু বাস চালক নন তিনি শ্রমজীবী মানুষের একজন সফল চালকও বটে।তাই নিজে উদ্যোগে সুপারভাইজারকে নিরাপদে অর্থ দিয়ে বাসায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে মনের অজান্তেই নিজের চরিত্রের উৎকৃষ্ট মননের পরিচয় তুলে ধরেছেন" - জ্বী, তার এই উৎকৃষ্ট মন-মানসিকতার পরিচয়টুকু পেয়ে ভাবলাম, চারিদিকে অমানবিকতা, অসামাজিকতা, স্বার্থান্বেষণ ইত্যাদির মাঝে তার এই উৎকৃষ্টতার কথাটুকু আমার পাঠকের সাথেও শেয়ার করি। সেজন্যেই এ দীর্ঘ নিবন্ধের অবতারণা।
প্রথম পর্বে অনেকটা যাতনাময় পরিস্থিতি গেলেও এই পর্বটা নির্বিঘ্নেই কেটেছে - সঠিক। যাত্রাটা শুরু হয়েছিল অনেক দুশ্চিন্তা এবং অনিশ্চয়তা নিয়ে। শেষ হয়েছে ভালোয় ভালোয়।
মনযোগের সাথে পোস্ট পাঠ, সুচিন্তিত ও সুবিবেচিত মন্তব্য এবং প্রেরণাদায়ক 'প্লাস' এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৫
রানার ব্লগ বলেছেন: আগামী কতো বছর যে আমাদের এমন নিরান্দ ও আতঙ্ক নিয়ে সময় কাটাতে হবে কে জানে ?