নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আই লাভ দাদা বাট দাদা লাভস ল্যাপটপ

০৮ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩



https://ibb.co/348JC7C

আমার প্রায় সাত বছরের নাতনি গত ঈদের দিন সন্ধ্যায় ওর নানুবাড়ি থেকে আমাদের বাসায় এসেছে। এসে সেদিন সে আমাকে বাসায় পায়নি, কারণ আমি সেদিন রংপুরে ছিলাম। আমি ফিরেছি ঈদের পরদিন গভীর রাতে, সুতরাং পরদিনও সে আমাকে দেখে নাই। তার পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সে আমাকে দেখে অবাক হয়। আমাকে জড়িয়ে ধরতে চায়, কিন্তু আমি ওকে বলি, আমাকে ধরা যাবে না, কারণ আমার শরীরে করোনা ভাইরাস থাকতে পারে। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস সম্বন্ধে সে মোটামুটি ভালই ধারণা পেয়েছে। সে আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমি মাস্ক পড়েছিলাম কিনা। আমি হ্যাঁ বলায় সে জিজ্ঞেস করলো বাসায় এসে আমি সাবান দিয়ে হাত ধুয়েছি কিনা। আমি বললাম, শুধু সাবান দিয়ে হাত ধুয়েছি তাই নয়, বাসায় এসে আমি রাতেই সাবান দিয়ে গোসল করেছি। সে বললো, তা’হলে তো তোমাকে টাচ করতে অসুবিধে নেই। আমি বললাম, ‘না, আমি অনেক দূর থেকে জার্নি করে এসেছি, অনেকক্ষণ অনেক লোকের সাথে ছিলাম, তাই আমার কাছে তোমার এখন আসা যাবে না’। সে বললো, ‘কতদিন’? আমি একটু কম করে বললাম, ‘মিনিমাম দশ দিন। এই দশ দিন তোমাকে আমার কাছ থেকে ছয় ফুট দূরে থাকতে হবে’। সে বললো, ‘ছয়ফুট কতদূর’? আমি বললাম, ‘মিনিমাম দুই চেয়ার ডিসট্যান্স’। সে বললো ‘আচ্ছা’।

ওরা এবার অনেকদিন পরে আমাদের বাসায় থাকার জন্য এলো। এর আগে কয়েকদিন ছিল রোযার ঈদের সময়। আগে নিয়ম করে প্রতিদিন ও ঘুমোতে যাবার আগে আমার কাছে এসে আদর নিয়ে যেত। আমি ওকে জড়িয়ে ধরে কিছু দোয়া পড়ে চুমু দিতাম আর বলতাম, ‘এবারে তুমি ঘুমাতে যাও’। সে বলতো, ‘তুমি ঘুমাবে কখন’? আমি বলতাম, ‘বারটায়’। অধুনা সে ঘড়ির সময় চিনতে শিখেছে। বারটার মধ্যে আমি কোনদিন ল্যাপটপ বন্ধ না করলে সে তার দরজা ফাঁক করে বলতো, ‘বারটা বেজে গেছে, দাদা তুমি এখনো কী করছো’? আমি বলতাম, ‘ল্যাপটপ শাটডাউন দিয়েছি, একটু পরেই বন্ধ হবে, হলেই ঊঠে যাবো’। এ কয়দিন সে ঘুমোতে যাবার আগে তার আন্দাজ মত ছয়ফুট দূর থেকে বাই বাই দিয়ে ঘুমোতে যেত। কিন্তু সে হিসেব রেখেছে দশদিনের। গতরাতে ঘুমোতে যাবার আগে সে আমার কাছে এসে গলা জড়িয়ে ধরে বলে, ‘দাদা, হাগ মি’। আমি ওকে আগের মত জড়িয়ে ধরে, জোরে জোরে দোয়া করে (মনে মনে দোয়া করলে সে সন্তুষ্ট হয় না, কী দোয়া করছি তা শুনতে চায়) ওকে গুডনাইট কিস দিলাম। ও তখন আমাকে দুই ভাঁজ করা একটা কাগজ আমার হাতে দিয়ে বললো, ‘এটা দেখ’। ভাঁজ করা কাগজটার উপর সে নিজের নাম লিখেছে, ‘আনায়া’। আমি বললাম, ‘এটা কী’? সে বললো, ‘এটা তুমি’। আমি তাড়াতাড়ি কাগজটা খুলে দেখি সে আমাকে এঁকেছে, যেভাবে পেরেছে। কাগজটার উপরের বাম পাশে একটি ‘লাভ চিহ্ন’। তার পাশে বড় করে লেখা ‘আই লাভ দাদা’। তার নীচে সে এঁকেছে একটা খোলা ল্যাপটপ, কী বোর্ড আর মাউস, যা সে সবসময় আমার টেবিলে দেখে, আর মাঝে মাঝেই এসে জিজ্ঞেস করে, ‘দাদা, তুমি কী লেখো’?। মনিটর আর কী বোর্ড এর নীচে সে তার দাদার কিম্ভূতকিমাকার একটা দাঁড়ানো ছবি এঁকেছে। কাগজের নীচের ডান পাশে লেখা ‘বাট দাদা লাভস ল্যাপটপ’, একটা তিরচিহ্ন দিয়ে দিয়ে লেখাটা দাদাকে দেখাচ্ছে।

হাউ সুঈট! এতটুকু একটা বাচ্চা মেয়ে, সে বুঝতে পেরেছে দাদা তাকে সময় দিচ্ছে না। তাই যেভাবে পেরেছে, সেটা এঁকে তাকে বুঝিয়েছে। আমি তাকে আবার আদর করে বললাম, ‘তোমার ড্রয়িং দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমি তো তোমাকে ডাকি আমার সাথে বসে ইউটিউবে গল্প শোনার জন্য, গান শোনার জন্য, তুমি তো এখন আসো না, আগে আসতে’। সে বললো, ‘তোমার ল্যাপটপ ছোট, আমি চাচুর বড় টিভিতে কার্টুন দেখি’। আজও সারাদিন আমার ওর ছবিটার কথা মনে হয়েছে। আমি মনে মনে তার বুদ্ধির অনেক তারিফ করেছি। আজ একটু কাজে ঘরের বাইরে যেতে হয়েছিল। ফিরে এসে গোসল সেরে দেখি ও টিভি ছেড়ে দিয়ে খাচ্ছে। ওকে বললাম, ‘তোমার কালকের আঁকা আমার ছবিটা দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি। থ্যাঙ্ক ইউ ফর ড্রয়িং মি। আজ খাওয়া শেষে তুমি আমার কাছে আসবে। আমরা সেলফোন থেকে ইউটিউবে স্টোরি শুনবো। সে শুধু একটু হাসলো, তারপর আবার টিভি দেখায় মনোনিবেশ করলো।

ঢাকা
০১ অগাস্ট ২০২১
শব্দ সংখ্যাঃ ৬০৫


মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

গফুর ভাই বলেছেন: কোয়ালিটি টাইম সবাই চায়।

০৮ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: কোয়ালিটি টাইম সবাই চায় - ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে করোনা কিভাবে কমবে?

০৮ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলাদেশে করোনা এক 'হার্ড ইমিউনিটি'র মাধ্যমে যদি কমে! এ ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না, কারণ কোন কিছুই সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণের মাঝে নেই। এ নিয়ে সরকারের চিন্তা-ভাবনার কথাও কেউ জাতিকে জানাচ্ছে না। গণটীকা নিয়েও মানুষের মনে অনেক সন্দেহ আর অবিশ্বাস রয়ে গেছে।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার নাতনী অনেক বুদ্ধিমতি। ছবির মাধ্যমে আপনাকে ইমশনালি হারিয়ে দিয়েছে। ছবি অনেক শক্তিশালী অস্ত্র। সে সেটাকে কাজে লাগিয়ে আপনার মন দখল করে নিয়েছে। আপনি আর কোন অজুহাত দেখাতে পারবেন না। দাদা এবং নাতনী দুইজনকেই শুভেচ্ছা।

০৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার নাতনী অনেক বুদ্ধিমতি। ছবির মাধ্যমে আপনাকে ইমশনালি হারিয়ে দিয়েছে" - কথাটা ঠিক বলেছেন। তার এই ড্রয়িংটা পেয়ে আমি সত্যিই খুব অবাক হয়েছি। ও আবার যখন আসবে, আমি নিশ্চয়ই ওকে অনেক সময় দেবো, ইন শা আল্লাহ!

যে চারজন এ পোস্টে প্লাস দিয়ে গেছেন, তার মধ্যে একমাত্র আপনিই এখানে মন্তব্যু রেখে গেলেন। প্লাস এবং মন্তব্য, উভয়টির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: দাদা নাতির মজার গল্প প্রানভরে উপভোগ করলাম!

জীবনটা একেকসময় একেকরকম সুন্দর! ফুরিয়ে গিয়েও যায়না

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনটা একেকসময় একেকরকম সুন্দর! - আসলেই তাই। জীবনের প্রতিটি স্তরের সৌন্দর্য অবলোকন, পর্যবেক্ষণ এবং উপভোগ করতে পারাটাই জীবনের সফলতা।

লেখাটা পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দাদা নাতনির কিছছা ভাল লাগল ।
সুন্দর সে এঁকেছে , প্রকাশটাও তার
অনেক প্রসংসার দাবী রাখে । মনে
হচ্ছে দিনগুলি ভালই কাটবে দাদা
নাতনীর জ্ঞানবান কথা চালাচালিতে।
এখনো তো বড়ো হই নি সে ,
ছেলেমানুষি তার মাঝে পুরাটাই অছে।
দাদার চেয়ে সে অনেক মস্ত বড় হবে
বড়ো হয়ে দাদাকেও ছাড়িয়ে সে যাবে,
সেসবই দেখা যায় তার মনন মেধাতে ।
সারে বারটা যখন বাজবে তখন শুবার
তরে দাদাকে সে এমনি করে তাড়া করবে ।
দিনের বেলায় ছাতা একটা ঘাড়ে ক'রে নিয়ে
চটি পায়ে দাদাকে নিয়ে পাড়াময় বেড়িয়েও আসুক।
টিভিতে কার্টুন দেখার সময় বললে কিছু তাকে
গুরু গম্ভির বারিক্কি চালে বলবে জটিল বিষয়
দেখছি এখন গন্ডগুল কোরো না মেলা। কথার
ফাকে কখন যে সে কোলে চড়ে বসবে, তখন
লেপটপে গল্প লেখার খায়েস যাবে যে মিটে ।
তার পাকনা কথার ফুলজুরিতে দাদা তখন বলবে
খোকি আমার সে খোকি আর নাই তো।

দোয়া করি খোকি অনেক বড় আঁকিয়ো হোক,
রং তুলিতে শুধু দাদাকেই নয়, পুরা দেশ
ও জগতবাসীকে একদিন আনন্দে ভাসাক।
জগত জোড়া নাম হোক, আর দাদার সাথে
সকলেই অনেক গৌরবের ভাগিদার হই ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল




০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "দাদার চেয়ে সে অনেক মস্ত বড় হবে
বড়ো হয়ে দাদাকেও ছাড়িয়ে সে যাবে"
- আমিও তো সেটাই চাই! সে 'মস্ত বড়' হোক! দোয়া করবেন।

"জগত জোড়া নাম হোক, আর দাদার সাথে
সকলেই অনেক গৌরবের ভাগিদার হই"
- আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আমাদের প্রতি দেয়া তার নেয়ামতসমূহে বারাকাহ দান করুন!

লেখাটা পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অতিশয় অনুপ্রাণিত।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৫১

মৌরি হক দোলা বলেছেন: কি মিষ্টি! খুব ভালো লাগলো! ওর জন্য ভালোবাসা রইল। শ্রদ্ধা জানবেন। :)

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ওর জন্য ভালোবাসা রইল" - অনেক ধন্যবাদ, ওর জন্য এ স্নেহ-ভালবাসাটুকু প্রকাশের জন্য। আনায়া আসলেই খুবই মিষ্টি একটা মেয়ে। ওকে নিয়ে আমি অনেক স্বপ্ন দেখি। মা শা আল্লাহ, ওর বাবা এসএসসি পরীক্ষায় সকল বোর্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ঢাকা বোর্ডের মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিল, আর ওর মা এইচএসসি পরীক্ষায় সকল বোর্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে যশোর বোর্ডের মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিল (উভয়ে মানবিক বিভাগে)। বাবা ও মা উভয়ে একই ব্যাচের ছাত্র ছাত্রী ছিল। আল্লাহ'র অশেষ রহমত ও একটা বড় নেয়ামত যে ঐ ব্যাচের সেরা দু'জন ছাত্র ছাত্রী আমার ঘর আলোকিত করেছে। উল্লেখ্য যে তখনো জিপিএ পদ্ধতি দেশে চালু হয় নাই।

আপনার ছোট্ট মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত হয়েছি।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩১

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা....... এতো আমার মেয়ের কাহিনী। প্রতিদিন তার একই কমপ্লেইন কারন আমি বাসায় ঢুকেই ল্যাপটপ নিয়ে বসি। আমাকে কত যে ছবি একেঁ. চিঠি দেয় তা নিয়ে।

আসলে ওরা যাদেরকে ভালোবাসে তাদের এ্যাটেনশান চায়। আপনি অনেক ভাগ্যবান এমন চমৎকার একজন সঙ্গী পেয়েছেন। এরকম একজন সঙ্গী যে জীবনকে কতটা আনন্দময় করতে পারে তা আমার মেয়েকে দেখে বুঝি।

ভালো থাকুক আনায়া।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমাকে কত যে ছবি একেঁ. চিঠি দেয় তা নিয়ে" - বাহ, বেশ তো! এ যে দেখছি আরেক আনায়া!

১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আসলে ওরা যাদেরকে ভালোবাসে তাদের এ্যাটেনশান চায়। আপনি অনেক ভাগ্যবান এমন চমৎকার একজন সঙ্গী পেয়েছেন - একদম ঠিক কথা! ওর প্রশ্নগুলো বেশ মজার হয়, এবং একের পর এক প্রশ্নের দিয়ে ওকে কনভিন্স করতে পারলে নিজেকে সার্থক মনে হয়।

মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার নাতনীর জন্য অনেক শুভ কামনা। সে ভালো থাকুক। সুস্থ থাকুক। বড় হয়ে দেশের সেবা করুক। বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করুক।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার নাতনি'র জন্য আপনার এ শুভকামনা ও দোয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন:
দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত আনায়া,ওর ছবি আঁকার হাত বেশ ভালো ।বাচ্চাদের ভালোবাসা সবসময় নিখাদ হয়। তাদের জন্যই পৃথিবীটা সুন্দর হয়ে ধরা দেয় হাজার দুঃখ সুখের মাঝে।
আনায়া ও আপনার জন্য দোয়া রইলো।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বাচ্চাদের ভালোবাসা সবসময় নিখাদ হয়। তাদের জন্যই পৃথিবীটা সুন্দর হয়ে ধরা দেয় হাজার দুঃখ সুখের মাঝে" - খুব সুন্দর বলেছেন এ কথাগুলো।

আপনার দোয়া এবং প্রশংসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং পোস্টে দেয়া প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২২

করুণাধারা বলেছেন: পড়তে খুব ভালো লাগলো! মনের ভাব প্রকাশ করা খুব সহজ কাজ না, আপনার নাতনি কিন্তু খুবই অল্প কয়েকটি শব্দ দিয়ে চমৎকার ভাবে তার কথা জানিয়েছে। দোয়া করি সে যেন তার বাবা-মায়ের মত মেধাবী হয়।

ভালো লাগলো দেখে যে প্রায় সাত বছর বয়সেও তার ল্যাপটপ বা মোবাইলে আসক্তি হয়নি। আমাদের দেশে অধিকাংশ বাবা মা সন্তান কত কম বয়সে ল্যাপটপে কী চালাতে পারে সেসব নিয়ে গর্ব করেন!!

১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত অনিচ্ছাকৃতভাবে আপনার এ সুন্দর মন্তব্যটার উত্তর দিতে অনেক দেরি হয়ে গেল, সেজন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।

দোয়া করি সে যেন তার বাবা-মায়ের মত মেধাবী হয় - আমার আগের কোন পোস্ট থেকে কথাটা জেনে তা আজও মনে রেখেছেন, আপনার স্মরণ শক্তির প্রশংসা করতেই হয়। এমন আন্তরিক দোয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা!

"আমাদের দেশে অধিকাংশ বাবা মা সন্তান কত কম বয়সে ল্যাপটপে কী চালাতে পারে সেসব নিয়ে গর্ব করেন!!" - কী আর বলবো এদের কথা! বোধকরি মায়েরাই বেশি এসব ফলস ভ্যানিটিতে ভোগেন। তবে তারা একসময় এর কুফলও টের পেয়ে যান, কিন্তু তখন হয়তো বড্ড দেরি হয়ে যায় পরিস্থিতি সামাল দিতে।

চমৎকার মন্তব্য এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!

১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: কী সুন্দর করে আনায়া তার অভিমান এঁকছে! অনেক অনেক আদর বাবুটার জন্যে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "কী সুন্দর করে আনায়া তার অভিমান এঁকছে!" - আসলেই সে খুব সুন্দর করে তার অভিমানের কথাটা দাদার কাছে কমিউনিকেট করেছে। তার বুদ্ধির তারিফ করতেই হয়!

লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

ভালো থাকুন, শুভকামনা....

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর মায়া ভরা লেখা।পড়ে অনেক ভাল লাগল।

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য এবং পড়ে সুন্দর একটি প্রেরণাদায়ক মন্তব্য এবং প্লাস রেখে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সপরিবারে, সুস্বাস্থ্যে। শুভকামনা----

১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১

মিরোরডডল বলেছেন:

অনেক কিউট !!!

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মেনী থ্যাঙ্কস!

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:১১

ঢুকিচেপা বলেছেন: বিগত কয়েক দিনে আপনার অন্য লেখা না পড়লেও এই লেখাটা পড়েছিলাম।
নিষ্পাপ শিশুর ছোট হৃদয়ে দাদার জন্য কতটা আবেগ আর ভালবাসা আছে এটা তার বহিঃপ্রকাশ। এই আবেগ আর ভালবাসায় ছিল না একবিন্দু ভেজাল। আমি যখন ঘটনাটা পড়ি তখন চোখটা ভিজে গিয়েছিল।

দোয়া রইল বাবুটা জন্য, সে যেন সুস্থ এবং হৃদয়বান মানুষ হয়ে বেঁচে থাকে।

২৮ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি যখন ঘটনাটা পড়ি তখন চোখটা ভিজে গিয়েছিল - অনেক ধন্যবাদ, এতটা মনযোগের সাথে পোস্টটা পড়ে দাদার ব্যথার সাথে সমব্যথী হবার জন্য। আমি এখনো ওর এই কাগজটা দেখি আর ভাবি, কি সুন্দর করে ও আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে গেছে!

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:২২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অতি সত্য কথন।
ছোটরাও এখন এমন সব কথা বলে। অবাক লাগে!
আমরা কি এত বুদ্ধি করে কথা বলতে পারতাম?

২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ছোটরাও এখন এমন সব কথা বলে। অবাক লাগে!" - আনায়া ওর বুদ্ধিতে যেভাবে বুঝেছে, সেভাবেই এঁকেছে/লিখেছে। তার প্রকাশটা নিষ্কলুষ।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, শুভকামনা....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.