নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
মৃত্যু কি কখনো প্রশান্তির হয়, কিংবা হতে পারে? মৃত ব্যক্তি যেহেতু সেটা জানিয়ে যেতে পারে না, জীবিতরা কেবলই অনুমান করতে পারে। আজ আমি আমার একজন শিক্ষকের মৃত্যু সম্বন্ধে সামান্য কিছু কথা বলবো, যার সম্বন্ধে একটি বিশদ ধারণা দিয়ে আমি গত ১২ এপ্রিল তারিখে একটি পোস্ট লিখেছিলাম (এখানে ১৮ এপ্রিলে প্রকাশিত)। সে পোস্টটি দেখা যাবে এখানেঃ একজন শিক্ষকের কথাঃ আমাদের দোহা স্যার
আমার সেই শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা, বা সংক্ষেপে এম এস দোহা, আরও সংক্ষেপে “দোহা স্যার”। গত ১২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে আকস্মিকভাবে তাঁর কাছ থেকে একটি টেলিফোন কল পেয়ে আমি যুগপৎ আনন্দে এবং বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। তিনি একনাগাড়ে ৪৫+ মিনিট আমার সাথে কথা বলেছিলেন, আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনেছিলাম। এর পর থেকে প্রতিমাসে দুই তিনবার করে তাঁর সাথে আমার টেলিফোনে আলাপ হতো। তিনিও ফোন করতেন, আমিও করতাম, তবে মনে হয় তাঁর কল সংখ্যাই কিছুটা বেশি হবে। গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমার মায়ের অসুস্থতার কারণে আমি রংপুরে তাঁর শয্যাপাশে ছিলাম প্রায় মাসাধিক কাল। দোহা স্যার সেই সময়ে খুব ঘন ঘন আমাকে ফোন করে আমার এবং আমার মায়ের খোঁজ খবর নিতেন এবং নানারকমের পরামর্শ দিতেন। রংপুর থেকে ফিরে এসেও ওনার সাথে নিয়মিত কথা হয়েছে, প্রতিবারই তিনি আমার মায়ের কথা জিজ্ঞেস করেছেন। শেষবারের কথা বলার পর অনেকদিন পার হয়ে গেল, এ কথাটা মাত্র দু’দিন আগেই স্মরণ করেছিলাম এবং তাকে কল করবো বলে মনস্থ করেছিলাম। কিন্তু পরক্ষণেই তা ভুলে গিয়েছিলাম। গতকাল বিকেলে বুকে তিরের মত এসে বিঁধলো তার মৃত্যু সংবাদ!
এ সংবাদটি পেয়ে কিছুক্ষণ হতবাক হয়ে বসে থাকলাম। ফোনের কন্ট্যাক্ট লিস্টে তাঁর নামটাতে এসে চোখ দুটো স্থির হয়ে রইলো। জানি, তাঁর কণ্ঠস্বর এ জীবনে আর কখনো শুনতে পাবো না, তবুও কল করলাম। কেউ একজন কলটা কেটে দিল, এটাই প্রত্যাশিত ছিল। তবে কিছুক্ষণ পরেই সেই ফোনটি থেকে একটা রিটার্ন কল আসলো। আমি সালাম জানিয়ে আমার পরিচয় দিতেই ওপার থেকে এক নারীকণ্ঠ আমাকে জানালেন, “আংকেল, আমি আপনার স্যারের মেয়ে, আপনার নামটি এ ফোনে সেভ করা আছে। শুনেছেন তো বোধহয়, আব্বা আজ সকালে মারা গেছেন”। আমি কী বলবো তা বুঝতে পারছিলাম না। আস্তে করে তাকে বললাম, “আরেকটু কিছু বলতে পারো”? সে যা জানালো, তার সংক্ষিপ্তসার এ রকমঃ
দোহা স্যার আগের রাতে, অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর ২০২১ রাতে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ডিনার করে শয্যা নিয়েছিলেন। তিনি সে রাতে খুব হাসিখুশি ছিলেন এবং সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলেছেন। ফজরের নামাযের সময় তার মা তাঁকে নামায পড়তে দেখেছেন। নামায পড়ে তিনি প্রতিদিনের মত আবার শুয়ে পড়েন। অভ্যেসমত তিনি সকালে একটু দেরিতেই উঠতেন। কিন্তু সেদিন স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি ঘুমাচ্ছিলেন। তার মা কয়েকবার তাঁকে ডাকতে গিয়েও ফিরে এসেছেন। শেষেরবার গিয়ে দেখেন, তার কোন সাড়া শব্দ নেই, তিনি ঘুমিয়েই আছেন। পায়ের পাতায় হাত দিয়ে দেখেন, পা ঠাণ্ডা। তাঁর ডাকাডাকিতে বাসার আর সবাই একে একে এসে অস্থির হয়ে ডাকতে ডাকতে কান্নায় ভেংগে পড়ে। ডাক্তার এসে জানালেন, তিনি আর এ জগতে নেই!
আমি স্যারের মেয়েকে বললাম, “স্যার আমাকে জানিয়েছিলেন, তিনি একটি আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা লিখেছেন, যা পুস্তক আকারে প্রকাশ করার ইচ্ছে তাঁর আছে। পাণ্ডুলিপিটি সম্পাদনার চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। এখন তোমাদের দায়িত্ব হবে স্যারের এ ইচ্ছেটা বাস্তবায়ন করা এবং এ ব্যাপারে প্রুফরীডিং থেকে শুরু করে যে কোন সাহায্যের জন্য আমাকে তোমরা পাশে পাবে”। সে রাজী হলো, এবং আমার সাথে পরে যোগাযোগ করবে বলে জানালো। ফোনে গাড়ীর হর্নের শব্দ পাচ্ছিলাম বলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি এখন কোথায়”? সে জানালো ওরা সপরিবারে মরদেহ নিয়ে স্যারের পৈতৃক বাড়ি রাজশাহীর পথে। একটু পরে ওর মা অর্থাৎ মিসেস দোহা আমাকে কল করে জানালেন, আগের দিনেও স্যার পান্ডুলিপির কাজ করেছেন এবং সম্পাদনার কাজ আর সামান্যই বাকি আছে বলে তাকে জানিয়েছেন। আমার সাথে স্যারের যতবারই কথা হয়েছে, আমি তাকে সম্পাদনার কাজ দ্রুত সমাপ্ত করার তাগিদ দিয়েছি। কেন, সেটা আমার আগের পোস্টের শেষ অনুচ্ছেদটি পড়লেই বোঝা যাবে।
আগের রাতে সবার সাথে হাসিখুশিতে গল্প করে শয্যা নেয়ার পর ঘুমিয়েছেন, ভোরে ফজরের ওয়াক্তে নামায পড়ে আবার ঘুমিয়েছেন, এবং সে ঘুমটিই ছিল তার চিরনিদ্রা। কোন কাতরতা নেই, কোন আর্ত-চিৎকার নেই, কাউকে ডাকাডাকি নেই, নীরবে নিঃশব্দে শেষ ফরযটুকু আদায় করে তিনি ইহজগতের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে গেলেন লোকান্তরে। এর চেয়ে প্রশান্তির মৃত্যু আর কী হতে পারে?
ঢাকা
২৬ অক্টোবর ২০২১
শব্দ সংখ্যাঃ ৬৩২
২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: উনি কম্পিউটার ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলেন না। আর্থ্রাইটিসে বেঁকে যাওয়া যাওয়া আঙুল দিয়েই তিনি কোনমতে কলম ধরে নিজের জীবন কাহিনী লিখে গেছেন। স্যারের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য আমি যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি, ইন শা আল্লাহ!
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি আমাদের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল স্যার ছিলেন বরিশালে। অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। ওনার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আপনার লেখাটা পুরোটা পড়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছা আছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার লেখাটা পুরোটা পড়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছা আছে" - দুটো মন্তব্যের জন্যই ধন্যবাদ। প্লাসে প্রাণিত।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আল্লাহ ওনাকে জান্নাত বাসি করুন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমীন!
দোয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রশান্তির মৃত্যুই বলা চলে।শেষ বয়সে রোগে ভুগে মরলে সেই মৃত্যু হয় বড় কষ্টের।হার্ট এটাক বা ব্রেন স্ট্রোক কয় জনের হয়।বেশির ভাগই বৃদ্ধ হয়ে রোগে ভুগে মারা যায়।পরিবার এবং পরিচিত জন যেনো এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে এই কামনা করি।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২৪
ইসলামিক_নলেজ বলেছেন: আল্লাহ ওনাকে জান্নাত বাসি করুন
২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমীন!
দোয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
প্রশান্তির মৃত্যুই বটে! পূণ্য কাজের ফল ............
২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "পূণ্য কাজের ফল" - আমারও তাই মনে হয়।
পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৪
ঢাকার লোক বলেছেন: এ লেখাটাও পড়লাম, আপনার প্রিয় জোহা স্যার সম্বন্ধে আগের লেখাটাও পড়লাম। একজন প্রকৃত শিক্ষকের প্রতি তাঁর একজন ছাত্রের অপার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার স্বতস্ফূর্ত বহিপ্রকাশ প্রতিটি বাক্যে শিক্ষককে করেছে সম্মানিত। এমন একজন শিক্ষকের ছাত্র হওয়া সৌভাগ্য! তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যু স্বভাবতই বেদনাদায়ক। আল্লাহ তাঁকে দুনিয়াতে যেমন সম্মানিত করেছেন তেমনি আখেরাতে তারও অধিক সম্মানিত করুন, তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন। আমিন !
২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: দুটো পোস্টই পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সাথে প্লাসটা পেয়েও অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম।
আমার শিক্ষককে এমন চমৎকার মূল্যায়ন করার জন্য এবং তার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল করে সুন্দর লিখেছেন। লেখায় আবেগ আছে। ভালোবাসা আছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "লেখায় আবেগ আছে। ভালোবাসা আছে" - জ্বী, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা থাকলে আবেগ তো থাকবেই।
৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:০১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ যেনো উনাকে স্বর্গবাসী করেন। ভালো লোক কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভালো লোক কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকে" - জ্বী, উনিও ওনার ভালো স্বভাব, ভালো চরিত্র এবং ভালো কাজের মাধ্যমে আমাদের মনের মাঝে অনেকদিন বেঁচে থাকবেন।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। দোয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:২৫
সোহানী বলেছেন: মন খারাপ হলো। আমি ভেবেছিলাম উনার এ বই নিয়ে উনার জীবদ্দোশায় আপনি একটি লিখা লিখবেন।
এরকম মৃত্যু যেন আল্লাহ আমাকে দান করেন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি ভেবেছিলাম উনার এ বই নিয়ে উনার জীবদ্দোশায় আপনি একটি লিখা লিখবেন" - আমিও তাই চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা আর হলো না।
আল্লাহতা'লা আপনার মনোবাসনা পূরণ করুন!
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাদের সময় উনি ক্লাস নিতেন তাই তার সাথে আপনাদের ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিলো। কিন্তু আমাদের সময় উনি ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন ফলে ক্লাস নিতেন না। তখন ওনার বয়সও বেশী। ফলে ওনার সাথে ফ্রি সম্পর্ক ছিল না আমাদের। বরং একটা ভয়ের সম্পর্ক ছিল। তবে ওনাকে আমরা সবাই খুব শ্রদ্ধা করতাম। আগের দুইজন ভাইস প্রিন্সিপালের চেয়ে উনি ভালো ছিলেন। উনি খুব ধীর স্থির স্বভাবের ছিলেন। এটা নিয়ে আমরা কিছু মজা করতাম ( আমাদের বয়স তখন কম ছিল)।
আশা করি ওনার পরিবার ওনার আত্মজীবনী প্রকাশ করার চেষ্টা করবে। সুযোগ হলে পড়ার ইচ্ছা আছে। ভালো মানুষের মৃত্যর সময় মৃত্যু যন্ত্রণা কম হয় বলে আমাদের ধর্মে আছে। উনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: "উনি খুব ধীর স্থির স্বভাবের ছিলেন" - সঠিক পর্যবেক্ষণ। কথাও বলতেন ধীরে, খুবই নম্রভাবে। ওনার স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর। ৮২ বছর বয়সেও আমাদের সময়ের কলেজের অনেক স্মৃতি রোমন্থন করেছেন, যা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সঠিক ছিল। ওনার জামাইও বিসিসি'র, হয়তো আপনাদের চেয়ে কনিষ্ঠ হতে পারে।
"উনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।" - আমীন!
১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই দোহা স্যারের কথা পড়েছিলাম আপনার লেখায়
আত্মজীবনী লেখার ব্যাপারে তাগিদ দিচ্ছেন -সেকথাও লিখেছিলেন। কালকেই অনেক বয়স্ক একজনের সাথে কথা হচ্ছিল-কেমন মৃত্যু চাই, এই নিয়ে।
মেনে নেয়ে যায় না তবে অমোঘ নিয়তি;আসলেই এমন সহজ সরল শান্তির চিরনিদ্রা সকলের কাম্য।
আপনি ভাল ও সুস্থ থাকুন!
২৮ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আসলেই এমন সহজ সরল শান্তির চিরনিদ্রা সকলের কাম্য" - জ্বী অবশ্যই। কিন্তু খুব কম মানুষের ভাগ্যে এটা জোটে।
দুটো লেখাই পড়ার জন্য এবং মন্তব্য রেখে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:০১
শোভন শামস বলেছেন: একজন সফল শিক্ষক আপনার মত সংবেদনশীল ছাত্র রেখে গেছেন এটাই তাঁর কৃতিত্ব। মহান আল্লাহ তাঁকে বেহেস্ত বাসী করুন, আমিন।
তাঁর জীবনের স্বপ্ন যেন পুরন হয়।
তা হয়ত আরও অনেককে প্রেরনা দেবে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "একজন সফল শিক্ষক আপনার মত সংবেদনশীল ছাত্র রেখে গেছেন এটাই তাঁর কৃতিত্ব" - আপনার এ কথাটায় আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি, অনুপ্রাণিত বোধ করছি। অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানাচ্ছি, এমন একটা মনোগ্রাহী মন্তব্যের জন্য। আমার প্রয়াত শিক্ষকের জন্য দোয়া করেছেন এবং শুভকামনা জানিয়েছেন, এজন্যও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১২
ইসিয়াক বলেছেন:
আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে প্রথম প্লাসের জন্য এবং দোয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে বিশেষ প্রীত হ'লাম।
১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এর চেয়ে সুন্দর প্রশান্তময় মৃত্যু আর হতে পারেনা। আপনার আগের পোস্ট পড়েছিলাম। স্যারের মৃত্যুতে মর্মাহত হলাম।
আল্লাহ উনাকে জান্নাত দান করুন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এর চেয়ে সুন্দর প্রশান্তময় মৃত্যু আর হতে পারেনা" - ঠিক বলেছেন। দোয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। দুটো পোস্টই পড়েছেন জেনে প্রীত হ'লাম।
১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: দোহা স্যারকে আমিও ব্যক্তিগত ভাবে চিনতাম। স্যারের মৃত্যুতে শোকাহত।
আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন স্যারকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।
আমীন।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: দোয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
স্যারের সাথে "ব্যক্তিগত ভাবে পরিচয়" থেকে কিছু স্মৃতি এখানে উল্লেখ করতে পারেন।
১৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১
ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক অনেক শ্রদ্ধা রইলো স্যারের জন্য।
আল্লাহ উনাকে জান্নাত দান করুন।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনার আন্তরিক দোয়ার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা....
১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
জাহিদ অনিক বলেছেন: ভীষণ আবেগী লেখা। সত্যিই পড়ে মনে হলো আপনার শিক্ষকের মৃত্যু হয়ত প্রশান্তিময়ই হয়েছে।
বরাবরের মতই আপনার লেখা ভালো লেগেছে শ্রদ্ধেয় প্রিয় কবি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: বরাবরের মতই আপনার মন্তব্যও ভালো লেগেছে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা....
১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একজন প্রকৃত শিক্ষকের জন্য একজন সংবেদনশীল ছাত্রের নৈবদ্য! আল্লাহ স্পানার স্যারের বেহেশত নসীব করুন।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "একজন প্রকৃত শিক্ষকের জন্য একজন সংবেদনশীল ছাত্রের নৈবদ্য!" - অনেক ধন্যবাদ, স্যারের জন্য দোয়া এবং চমৎকার এ মূল্যায়নের জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।
২০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পূণ্যবানদের জন্য মৃত্যুর পর
রয়েছে অনেক অনেক প্রশান্তিময়
পুরস্কার ও সন্মান ।
পোষ্টটি প্রিয়তে রাখলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোষ্টটি 'প্রিয়'তে রাখার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যারের মাগফিরাত কামনা করছি। ওনাকে নিয়ে আপনার আগের পোস্টটিও পড়েছিলাম। আপনাদের ভবিষ্যত প্লানের কথা আগে থেকেই ঘোষণা করেছিলেন। ওনার মিসেসের কথানুযায়ী একদিন আগেও উনি পান্ডুলিপির কাজ করেগেছেন। আশাকরি সেই কাজ স্যার অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন।বাকি কাজ অবশ্য আপনাদেরি করতে হবে। অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো স্যারের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।