নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
দারিদ্র ওর শৈশব কেড়ে নিয়েছে, আর প্রকৃতি কেড়ে নিয়েছে ওর ভাষাঃ
২০১৭ সালের শুরুর দিকের কথা। একদিন সকালে আমার এক বন্ধুপত্নী আমার গিন্নীর কাছে প্রস্তাব রাখলেন, “চলো, আজ দুপুরে ‘৩০০ফিট’ এ গিয়ে খেয়ে আসি। শুনেছি ওখানকার ভাজি-ভর্তা-মাছ-ডাল-ভাত এর খাবার নাকি ভারি মজার”। গিন্নী কিছুটা নিমরাজী ছিলেন, তথাপি তিনি কথাটা আমার কাছে পাড়লেন। আমি প্রথমে “৩০০ফিট এ গিয়ে খেয়ে আসি” কথাটা শুনে একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। পরে গিন্নী বুঝিয়ে দিলেন, ‘৩০০ফিট’ অবাক হবার মত কিছু নয়। নির্মীয়মান মহাসড়কের প্রস্থ অনুযায়ী এলাকাটার ওরকমই নামকরণ করা হয়েছে। যাহোক, আমি পেটুক মানুষ। ‘ভাজি-ভর্তা-মাছ-ডাল-ভাত’ এর এমন লোভনীয় প্রস্তাবটা আমি ফেলতে পারলাম না, তাই তৎক্ষণাৎ রাজী হয়ে গেলাম। সময় ঠিক করে নিয়ে আমরা দুটো পরিবার একসাথে সেখানে গেলাম, এবং অন্ততঃ আমি খুব তৃপ্তির সাথে খেলাম। কিন্তু খাবার বর্ণনা দেয়ার জন্য এ উপক্রমণিকা নয়। খাবার পর দুই গিন্নী সাব্যস্ত করলেন, স্থানীয় বাজার থেকে কিছু টাটকা শাক-সব্জী কিনে নিয়ে যাবেন। এতেও আমার কোন আপত্তি ছিল না, কিন্তু সেখানে গিয়েই একটি মায়াবী মুখের ক্ষণিকের দেখা পেয়ে গেলাম, যে কারণে এ লেখা।
সব্জী বাজারে দুই গিন্নী সব্জী কিনছেন, আমরা দুই বন্ধু পাশে দাঁড়িয়ে আলাপ করছি। হঠাৎ দেখি, নয়-দশ বছরের একটা মিষ্টি মেয়ে আমাদের পাশে ইতস্ততঃ ঘোরাঘুরি করছে। চেহারায় তার একটা দারিদ্রের ছাপ থাকলেও, সে পরিচ্ছন্ন পোষাক পরিহিত ছিল। পরনে তার একটা সবুজ-সাদা বলপ্রিন্টের ফ্রক। পায়ে তার আকাশী-গোলাপী ফিতেওয়ালা সস্তা স্যান্ডেল। চুলগুলো তার পরিপাটি করে আঁচড়ানো ছিল, মুখে একটা হাল্কা মিষ্টি হাসি তার মুখটাকে উজ্জ্বল করে রেখেছিল। হাতে ধরা ছিল ছোট দুটো পলিথিনের ব্যাগ, তার ভেতরে সবুজ পাতা জাতীয় কিছু দেখা যাচ্ছিল। আমার সাথে চোখাচোখি হতেই সে হাতে ধরা ব্যাগদুটো সামান্য তুলে ধরে একটু হাসলো। আমি তাকে কাছে ডেকে পলিথিনের ভেতর কী আছে তা জানতে চাইলাম। সে ব্যাগের মুখটা খুলে দেখালো, সেখানে ব্যাগভর্তি কিছু শাক, যেটাকে আমাদের স্থানীয় ভাষায় ‘থানকুনি পাতা’ বলে। ছোটবেলায় দেখতাম, পেটের পীড়া কিংবা আমাশয় হলে এ পাতার রস খাওয়ানো হয়, এবং তা অব্যর্থ ঔষধের কাজ করে। এ ছাড়াও, শাক হিসেবেও পাতাগুলো খাওয়া যায়। শাকগুলোর দাম কত, তা জিজ্ঞেস করে আমি তার কাছ থেকে উত্তর হিসেবে শুধুই একটা নির্বাক হাসি পেলাম। একজন দোকানদার বললো, “স্যার, মেয়েটি বোবা”। মেয়েটিও একটু মাথা নেড়ে, মুচকি হেসে সে কথায় সায় দিল। “বোবা” কথাটি আমার প্রাণে যেন আঘাত করে গেল! বোবা, কালা, কানা, ট্যারা ইত্যাদি শব্দ এখনও লোকজন নির্বিচারে ব্যবহার করে থাকে, যার উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলা, তার মনের সংবেদনশীলতার প্রতি মোটেই তোয়াক্কা না করে।
প্রয়োজন না থাকলেও, আমি তার কাছ থেকে শাকগুলো কিনে নিলাম। দাম দেয়ার সময় আবার সেই হাসি, একেবারে নিঃশব্দ হাসি। প্রকৃতির বুকে আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা এসব শাক-পাতা কুড়িয়ে মেয়েটির দৈনিক উপার্জন বড় জোর দুই একশত টাকার মত হতে পারে। এটা দিয়েই হয়তো সে ক্ষুধা নিবারণ করে, এবং তার পর হাতে যা থাকে, তা দিয়ে হয়তো সে তার শখের কোন কিছু কিনে থাকে। এত মিষ্টি একটা হাসিমাখা মায়াবী মুখ, অথচ সেই মুখের হাসির পেছনে কত বড় বঞ্চনা ওর ক্ষুদ্র বুকে চিরস্থায়ী বাসা বেঁধে আছে! ভেবে আফসোস হয়, যে দারিদ্র ওর শৈশব কেড়ে নিয়েছে, আর প্রকৃতি কেড়ে নিয়েছে ওর মুখের ভাষা! বাক প্রতিবন্ধী এ শিশুটির নির্মল কিন্তু নিঃশব্দ হাসিটিই যেন এই নির্মম বঞ্চনার নীরব প্রতিবাদ!
দেশের একজন সুনাগরিক তার আচরণ দ্বারা দেশকে প্রমোট করতে পারেঃ
২০১৭ সালের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে পাঁচ দিনের জন্য সস্ত্রীক ভুটান সফর করেছিলাম। ঐ পাঁচ দিনের জন্য আমাদের ট্যুর গাইড-কাম ড্রাইভার ছিল মিগমা শেরিং (MIGMA TSHERING) নামের এক যুবক। অবিবাহিত মিগমা ভারতের দার্জিলিং এ গ্রাজুয়েশন করেছে। তার একজন সহকারীও ছিল, যে বয়সে তার থেকে বড় হলেও তার নির্দেশের প্রতি অনুগত ছিল। তার নাম ছিল ওয়াংচেন টবগিয়েল (WANGCHEN TOBGYEL)। পারো বিমানবন্দর থেকে বাইরে বের হয়ে দেখি একটা সুন্দর দশ সীটের মাইক্রোবাস, তার সামনে অনেকটা সৈনিকদের মত এক সারিতে দাঁড়ানো দু’জন ভুটানী, তাদের জাতীয় পোষাকে, অর্থাৎ হাফ প্যান্ট, হাঁটু মোড়া কালো মোজা আর ওপরে মেয়েদের কাফতান জাতীয় একটা কটিবন্ধনযুক্ত পরিচ্ছদে আবৃত। পরে ওদের সাথে আলাপচারিতায় জেনেছি, অফিসে আদালতে, দাপ্তরিক কাজে কিংবা কোন কর্তব্য পালনের সময় ওদেরকে ঐ পোষাকই পরিধান করতে হয়। অন্যান্য সময় ওরা যখন আড্ডা দেয় কিংবা কোথাও ঘোরাফিরা করে, তখন ওরা জীন্স/ডেনিম এবং পোলো/টী শার্ট পরিধান করতে পারে। ওদেরকে দেখে প্রথম যে চিন্তাটা আমার মাথায় এলো, আমাদের যদি কোন জাতীয় পোষাক থাকতো, তাহলে আমাদেরকে কেউ দৈনন্দিন দাপ্তরিক কাজে কর্মে কি ঐ পোষাকটি পরিধানে বাধ্য করাতে পারতো?
আমি এখানে শুধু আমাদের ট্যুর গাইড MIGMA TSHERING সম্বন্ধেই কিছু কথা বলবো। বয়স ২৭/২৮ বছর হবে, অত্যন্ত মায়াবী চেহারা। সে এগিয়ে এসে শুদ্ধ ইংরেজীতে প্রথমে নিজেকে, পরে WANGCHEN TOBGYEL কে পরিচয় করিয়ে দিল। ওরা উভয়েই ছিল বয়সে প্রায় আমাদের সন্তানসম। প্রথম কয়েক ঘন্টা অত্যন্ত মিতবাক ছিল। তারপরে আস্তে আস্তে চলার পথে আলাপচারিতায় সুযোগ পেলেই ওরা হাল্কা হিউমার যোগ করে আমাদের সাথে বেশ হাসি ঠাট্টা করে চলছিলো। কিন্তু সেটা ছিল খুবই শোভন এবং শিষ্টাচারসম্মত। দুই দিন পর ওরা কিছুটা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্যও শেয়ার করেছিল। নিরীহ প্রকৃতির মিগমা জানাল, জন্মের পর পরই সে তার মাকে হারায়, পরে তার বাবা আবার বিয়ে করে। ফলে সে কিছুকাল সৎ মায়ের আশ্রয়ে এবং পরে নেপালী বংশোদ্ভূত তার বড় ভাবীর সংসারে বড় হয়। অত্যন্ত ভাল লেগেছে যে সে আমাদের সাথে আলাপচারিতায় তার বাবা, সৎ মা, বড় ভাই এবং বড় ভাবী, সবার সম্বন্ধে খুব প্রশংসা করেছে এবং কারো সম্বন্ধে একটাও বদনাম করে নাই। সে আরও জানাল, কাজের ফাঁকে ফাঁকে সে এখনও গ্রামে গিয়ে তার বাবাকে কৃষিকাজে সাহায্য করে। দারুচিনি তাদের প্রধান অর্থকরী ফসল বলে সে জানায়।
মিগমা যখন কথা বলতো, তখন তার কথায় ও চোখেমুখে সমীহ প্রকাশ পেত। তার ড্রাইভিং ত্রুটিহীন ছিল, সড়ক শৃঙ্খলা মেনে চলার ব্যাপারে সে একশ’তে একশ’ পাবে। বিদায় ক্ষণে সে স্মিত হেসে আমাদেরকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছিল, দীর্ঘক্ষণ করমর্দন করেছিল এবং মস্তক অবনত করে আমাদেরকে শুভকামনা জানিয়েছিল। প্লেনে বসে আমি তার সেই স্মিতমুখ স্মরণ করছিলাম এবং ভাবছিলাম, দেশের একজন সুনাগরিক তার আচরণ দ্বারা দেশকে কতটা প্রমোট করতে পারে!
সেই অশীতিপর বৃদ্ধাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করিঃ
বছর চারেক আগের কথা। থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই এর Doi Inthanan National Park ঘুরে ফিরে দেখছিলাম। কিছুক্ষণ হাল্কা ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছিল। হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম, ক্ষুধাও পেয়েছিল। ট্যুর গাইডের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আবার সবাই একত্রিত হ’লাম, আমরা সাকুল্যে ছিলাম দশ জন। মাথা গোণার পর গাড়ীতে বসেই সাব্যস্ত হলো, লাঞ্চের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়ার আগেই পথে তাজা ফলমূল ও সব্জীর জন্য বিখ্যাত বাজার মং মার্কেট (Hmong Market) পড়বে, আমরা সেখানে দশ মিনিটের একটা যাত্রাবিরতি করে কিছু তাজা ফলমূল খাবো/কিনে নিব।
সেই অনুযায়ী আমরা সেখানে নেমে আমি ও আমার স্ত্রী কিছু গার্ডেন ফ্রেশ স্ট্র’বেরী খেলাম। খাওয়া শেষ করে আমি পথের পাশে গাড়ীর কাছে দাঁড়িয়ে আছি, হঠাৎ খেয়াল করলাম, কয়েকজন বয়স্কা রমণী পিঠে ঝুড়ি বেঁধে তাজা ফলমূল ও শাকসব্জী বয়ে নিয়ে মাথা নীচু করে আনমনে হেঁটে আসছেন। আমার একেবারে কাছে আসার পর আমি একজন অশীতিপর, অতীব সুন্দরী রমণীকে দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম। আমাদের দেশে ঐ বয়সী নারীদেরকে সাধারণতঃ কারো না কারো সাহায্য নিয়ে পথ চলতে হয়। অথচ উনি পায়ে বুট পরে, পিঠে আমাদের অনেকটা সিলেটী চা শ্রমিকদের মত করে ঝুড়ি বেঁধে পাহাড়ী উপত্যকা থেকে বয়ে আনা শাক সব্জী, ফলমূল ইত্যাদি নিয়ে আপন মনে হেঁটে চলেছেন তার নির্দিষ্ট গন্তব্যপানে। মং মার্কেটে এসে তিনি তার পিঠ থেকে ঝাঁপি নামিয়ে রুমাল দিয়ে চোখমুখ মুছলেন। আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল তার সাথে কিছুটা আলাপ করার। আমাদের ট্যুর গাইডকে জিজ্ঞেস করলাম, তার সাথে কিছুটা আলাপ করা যাবে কিনা। ট্যুর গাইড আমাকে নিয়ে তার কাছে গেলেন এবং তার সাথে স্থানীয় ভাষায় কিছু কথা বললেন। উনি হাসিমুখে আমার দিকে তাকালেন। ট্যুর গাইড এর মধ্যস্থতায় সামান্য কিছু আলাপ হলো। তিনি জানালেন, তিনি নীরোগ এবং প্রতিদিন তিনি এ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার ছেলেমেয়ে, নাতি পুতি সবই আছে, কিন্তু তিনি তাদের কারও উপর নির্ভরশীল নন। আমি তার সাথে একটা ছবি তুলতে পারি কিনা জিজ্ঞেস করলে উনি এক গাল হেসে তৎক্ষণাৎ রাজী হয়ে গেলেন। তার চেহারা দ্যূতিময় ছিল, বিশেষ করে তার চোখ দুটো দেখে তাকে একজন অত্যন্ত আত্মপ্রত্যয়ী এবং গর্বিতা রমণী বলে মনে হলো। উনি উজ্জ্বল বর্ণের নানারকম সাজসজ্জা বিশিষ্ট পোষাক পরিহিতা ছিলেন, মাথায় এক ধরণের মস্তকাবরণীও পরেছিলেন। উজ্জ্বল ফর্সা তার রেখাঙ্কিত মুখ দেখে মনে হয়েছিল যেন তার মুখে কালের রোজনামচা লেখা আছে। বেশ হাসিখুশী মুখে তিনি ছবি তুলে বিনয়ের সাথে আবার তার পথযাত্রার অনুমতি চাইলেন। আমি তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিদায় জানালাম, এরই মধ্যে বাকী যাত্রীরা এসে পড়ায় আমাদেরও যাত্রা শুরু হলো।
একটি ছোট্ট স্মৃতি, কিন্তু মনে অনেক মায়ার সাথে আমি সেই অশীতিপর বৃদ্ধাকে স্মরণ করি। যারা তাদের নিজেদের জীবন ও জীবিকাকে ভালবাসে এবং তা যতই নগন্য হোক না কেন, তা নিয়ে গর্ববোধ করে, তাদের চেহারাতেও সে গৌরবপ্রভা দীপ্যমান হয়।
ঢাকা
১০ নভেম্বর ২০২১
শব্দসংখ্যাঃ ১৩২০
১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে প্রথম মন্তব্য হিসেবে কবিতা পড়ার প্রহর এর কাছ থেকে একটি চমৎকার, কাব্যিক মন্তব্য পেয়ে প্রীত হ'লাম। প্রথম প্লাসটির জন্যেও অশেষ ধন্যবাদ।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: দুটি ঘটনার বর্ননাই খুব সুন্দর।বন্ধু বান্ধব সহ ঘুরার মজাই আলাদা।যদি সমমনা হয়
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "দুটি ঘটনার বর্ননাই খুব সুন্দর" - আমি মোট তিনটে ঘটনার কথা লিখেছি। কোনটা আপনার বিবেচনা থেকে বাদ পড়লো, সেটা ঠিক বুঝতে পারলাম না।
সমমনা নয়, এমন বন্ধুর সাথে বিদেশযাত্রা কঠিন যাতনাময়।
পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছোট মেয়েটি আপনার এলাকার কাছাকাছি জায়গায় ছিলো?
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী না, কাছাকাছি জায়গায় ছিল না।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: একদিন আমার সাথেও আপনার ক্ষনিকের দেখা হবে।
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: হবে হয়তো, আশাকরি হবে। হয়তো তার পরে আপনাকে নিয়েও কিছু একটা লিখে ফেলতে পারি!
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ক্ষনিকের দেখায় বিশেষ করে প্রথম পর্বে থাকা ক্ষনিকার করুন জীবনগাথার ছবি ও বিররণ দেখে
মনটা ব্যথাতুর হয়ে গেল । হাতে থানকুনি পাতা ভর্তি পলি দুটি ব্যাগ, ব্যগে পশরা সাজাবার রসদ
যোগাবার জন্য বাক প্রতিবন্ধি মেয়েটির নিরলস পরিশ্রম , ইশারা ঈঙ্গিতে সেগুলি বিক্রয়ের
কায়িক পরিশ্রম ও সেগুলির বিক্রয় লব্দ অর্থ দিয়ে জীবন যাপনের প্রানান্তর প্রচেষ্টা হৃদয় ছুয়ে যায় ।
শুধু ক্ষনিকাই নয় সারা দেশে বর্তমানে আরো আনেক বাক প্রতিবন্দি শিশু, কিশোর, প্রাপ্ত বয়স্ক ও বয়োবৃদ্ধ রয়েছেন।
পূর্ণ পরিসংখ্যান না থাকলেও, বেসরকারি হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি বলে ধারণা করা হয়।
সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে তাদের জন্য বেশকিছু প্রকল্প ও কর্মসুচী নেয়া হলেও তা খুবই অপ্রতুল ও প্রয়োজনীয়
অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত ।
জানা মতে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদফতর
দেশে ৭টি শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা করছে। এ সকল বিদ্যালয়ে ছাত্রদের ইশারা ভাষা শিক্ষা প্রদানের
পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষা প্রদান করছে। কিন্তু এ সমস্ত কার্যক্রমের খবর বা বিষয়াবলী দেশের প্রতিবন্ধী সমাজের অনেকের
কাছেই হয়ত এখনো রয়ে গেছে আজানা । যদি তাই না হতো, তাহলে আপনি হয়ত ক্ষনিকামত মেয়েদির এমন করুন
পরিনতি ও কষ্টসাধ্য জীবন যাপনের দৃশ্য দেখতে পেতেন না । আপনার লেখাটিতে সমাজে প্রতিবন্ধি বিশেষ করে
বাক প্রতিবন্ধিদের শিশুদের করুন জীবনের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে । গনমুখী এ লেখাটি তাই প্রিয়তে তুলে রাখলাম।
আমার মনে হয় এই পোষ্টটি যারা পাঠ করবেন ও মন্তব্যের ঘর নাগাদ আসবেন তাদের মাধ্যমে হলেও বাকপ্রতিবন্ধিদের
জন্য দেশে প্রাপ্য কিছু শিক্ষা ও জীবনধর্মী প্রশিক্ষন ব্যবস্থার তথ্যমালার বহুল প্রচার সম্ভব হতে পারে ।
তাই এ বিষয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য এখানে তুলে ধরার প্রয়াস নিলাম ।
জনা মতে ঢাকার মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে একটি শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় রয়েছে ।
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের স্কুলটিতে ২০১৫ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্কুলটির ঠিকানা হল
বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, পিএইচটি সেন্টার, সেকশন-১৪, মিরপুর, ঢাকা
নিবাসীর ধরন বালক/মিশ্র আসন সখ্যা ৮০
ছবি : ঢাকার মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে বাক প্রতিবন্ধিদের একটি শ্রেণীকক্ষ
সেবা গ্রহীতা
o শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু যাদের বয়স ৬ থেকে ১৬ বছর।
সেবাসমুহ
o বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রীদের সাইন ল্যাংগুয়েজ শিক্ষা;
o বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রীদের সাধারণ শিক্ষা;
o বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রীদের আবাসিক/অনাবাসিক থাকার ব্যবস্থা ও ভরণ-পোষন;
o বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ; চিকিৎসা সেবা, খেলাধুলা, চিত্তবিনোদন ব্যবস্থা করা;
o বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রীদের পুনর্বাসন।
সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে)
আগ্রহী অভিভাবকদের নির্ধারিত ফরমে বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন দাখিল
করতে হয়। সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক প্রাপ্ত আবেদনপত্রের তালিকা প্রস্ত্তত করে ভর্তি কমিটির সভার মাধ্যমে বাক
শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়। এ সকল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভরণ-পোষণসহ দক্ষ মানব সম্পদ
হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় ।
কার্যাবলি
o অভিভাবক কর্তৃক নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হয়
o ভর্তি কমিটি কর্তৃক আবেদন বাছাই ও চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়
নাগরিকদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র
o প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে শিশু ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফরমে অভিবাবক কর্তৃক শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন;
o কার্যক্রম পরিচালনায় কোন ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রয়েছে
o প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা;
o প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে যে কোন সহযোগিতা;
o প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পুনর্বাসনে আর্থিক ভাবে, চাকুরী প্রদান মাধ্যমে বা তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে
সহযোগিতা করা;
o প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মি আচরণ করা।
সেবা প্রদানের সময়সীমা
o শিশু ভর্তি- আসন শূণ্য সাপেক্ষে আবেদন প্রাপ্তির পর সর্বোচ্চ ১ মাস
o আবাসন ও ভরনপোষন-ভর্তির পর এস এস সি পরীক্ষা পর্যন্ত
যার সাথে যোগাযোগ করতে হবে
প্রধান শিক্ষক, বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়
যোগাযোগ ফোন : ৯০০৩৫৪০
পোষ্টের পরের পর্বের লেখাতেও রয়েছে গভীরভাবে আনুধাবনের অনেক বিষয়াবলি ।
সকলের অনুভুতি জাগ্রত হোক এ কামনাই করি ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ চমৎকার মন্তব্যটি একটি উপকারী রেফারেন্স হিসেবে রয়ে যাবে এ পোস্টে। ভবিষ্যতে হয়তো এ পোস্ট পড়ে কোন সহৃদয় পাঠক কোন বাক প্রতিবন্ধী শিশু বা ব্যক্তিকে সহায়তা করতে চাইবেন, এ আশা রইলো। পরিশ্রম করে এসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে এখানে সন্নিবেশ করার জন্য আপনাকে সাধুবাদ!
মন্তব্য এবং প্লাস দেয়া ছাড়াও, আপনি চুপি চুপি এ পোস্টটাকে আপনার "প্রিয়" তালিকায় তুলে রেখেছেন, সেটা আমার নজর এড়ায় নি। অশেষ কৃতজ্ঞতা!
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩৪
সোহানী বলেছেন: প্রথম বিষয়টি নিয়ে: আপনি এর আগেও ডিজএ্যাবলদের নিয়ে লিখেছিলেন। আমি তার উত্তরে আমার শিক্ষকের কথা লিখেছিলাম। এবং আবারো আক্ষেপ, দেশ এদেরকে অবশ্যই প্রমোট করা উচিত। কিন্তু কেউ শুনবে কি?
দ্বিতীয় অংশে মিগমা শেরিং নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা ও আবেগ ভালো লাগলো। কিন্তু ভুটান নাম শুনলেই আমি রীতিমত আতংকিত হই। কারন আমার একসময়ে একজন ভুটানী বস ছিল। আমার জীবনে দেখা দ্বিতীয় ধুরন্ধর, বাটপার লোক। প্রথমজন ভারতীয় আর দ্বিতীয় জন ভুটানী। তাই ভুটান মনে পড়লেই সে লোকের কথা মনে পড়ে। না ভুল হলো মনে হয়, প্রথম হবে বাঙ্গালি...... হাহাহাহা
তৃতীয় বৃদ্ধ মহিলাটির মতো অসংখ্য বৃদ্ধদের দেখি এখানকার রাস্তায়। কানাডা বা আমেরিকা বলেন এরা সাধারনত সন্তানদের সাথে থাকে না। তাই নিজিদের কাজ নিজেরাই করে। দেখে খুব মায়া হয়। নিজের কথা মনে হয়। একসময় এ দেশে থাকলে আমি ও একাই এদের মতো চলবো.........।
ছবিগুলোতে ভালোলাগা।
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার স্মরণশক্তি খুবই প্রখর। আপনি ঠিকই স্মরণে রেখেছেন প্রতিবন্ধীদের নিয়ে লেখা আমার আগের পোস্টের কথা।
আপনার ভুটানী বস এর খারাপ চরিত্রের কথা জেনে রীতিমত বিস্মিত হ'লাম। কারণ, আমি আজ পর্যন্ত ভুটানিদের সম্পর্কে কাউকেও কোন মন্দ কথা বলতে শুনিনি। তবে সব ঝুড়িতেই তো দুই একটা পঁচা আপেল পাওয়া যায়।
ভুটানে আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। উচ্চশিক্ষার জন্য ভুটানিরা ভারত, বাংলাদেশ এবং উপমহাদেশের অন্যান্য দেশেও যেত। সেখান থেকেও আপনার প্রাক্তন বস সংক্রমিত হতে পারেন।
তৃতীয় 'ক্ষণিকের দেখা'য় বৃদ্ধ মহিলার ব্যাপারে বলতে পারি, এত বয়স্কা একজন মহিলাকে আমি এতটা স্বাবলম্বী এবং পরিশ্রমী হতে দেখিনি।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:২০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি দেশ বিদেশ বিদেশে ভ্রমণ করেছেন এবং করেন বলে আপনার মন-মানসিকতা ফ্রেশ রয়েছে
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই নাকি? আমি কিন্তু খুব বেশি দেশ ভ্রমণ করিনি। তবে যেখানেই গিয়েছি, সে দেশের প্রকৃতির সাথে সাথে সংস্কৃতি এবং মানুষজনকেও পর্যবেক্ষণ করেছি।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৪২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক মানবিক একটি পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বাকপ্রতিবন্ধীসহ, বঞ্চিত, অবহেলিত, ও দুস্থদের জন্য অনেক কিছুই করার আছে সমাজ ও রাষ্ট্রের। একজন নাগরিক হিসাবে রাষ্ট্রকে সেই পথে পরিচালনা করার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্য নেতৃত্বকে সেই দায়িত্ব প্রদান করা। জানিনা আমার জীবদ্দশায় আমার জন্মভূমিতে সেই সোনালী দিনটি দেখে যেতে পারবো কিনা যেখানে রাষ্ট্র তার উপর সেই অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে শতভাগ।
১১ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত, সুবিবেচিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। যে জাতি লড়াই করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল, সে জাতিই যে আবার এমনভাবে দিশা হারিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করবে, সেটা ভাবতেও খুব দুঃখ হয়।
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: ৩০০ ফিট জায়গাটা নাম ইদানীং বিভিন্ন জায়গায় শুনছি। আমি নিজেও ভোজন প্রিয়, আড্ডা এবং ভোজন এই দুটো জিনিষ আমার প্রিয়, দেশে গেলে প্রায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ঢু মারার চেষ্টা করি।
ছোট মেয়েটির কথা শুনে কষ্ট পেলাম, আমাদের দেশের অনেক ছেলে মেয়েদের শৈশব এভাবেই কাটে। আপনার অভিজ্ঞতা শূনে ভাল লাগল।
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আড্ডা এবং ভোজন এই দুটো জিনিষ আমার প্রিয়" - এ দুটো বিষয়ে আপনার সাথে আমার মিল রয়েছে। বিশেষ করে খাদ্যের তালিকায় যদি দেশি খাবার এবং ভর্তা-ভাজি থাকে।
"ছোট মেয়েটির কথা শুনে কষ্ট পেলাম, আমাদের দেশের অনেক ছেলে মেয়েদের শৈশব এভাবেই কাটে" - আজকাল অবশ্য কিছু কিছু এনজিও এগিয়ে এসেছে এদেরকে কর্মোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তাদের কার্যক্রম অনেক সীমিত।
লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৯
নীল-দর্পণ বলেছেন: মেয়েটি খুব ভালো থাকুক যেখানেই থাকুক।
ভুটানীদের বিনয়, ভদ্রতার কথা শুনি। আমার কন্যাদের বাবা বলেন ভুটান থেকে ঘুরে আসার দুই মাস পরে তোমার সাথে দেখা, আগে হলে তোমাকেনিয়েই যেতে পারতাম।
বৃদ্ধার সাথে ছবি তোলার কাহিনীটি পড়তে পড়তে মনে হল আমাদের দেশের চা বাগানে এমন ছবি তুলতে চাইলে টাকা দিতে হতো…
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাক প্রতিবন্ধী সেই মেয়েটির প্রতি আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।
"ভুটানীদের বিনয়, ভদ্রতার কথা শুনি" - আপনি ঠিকই শুনেন। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, ওরা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বিনয়ী, ভদ্র এবং সুখী জাতি।
সেই বৃদ্ধা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ছবি তুলতে এগিয়ে এসেছিলেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। শুভকামনা....
১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সেই মেয়েটি ভাল থাকুক। সুন্দর স্মৃতি শেয়ার । ++++++++
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাক প্রতিবন্ধী সেই মেয়েটির প্রতি আপনার শুভকামনা ও দোয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম। শুভকামনা....
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর উপস্থাপন!
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রশংসায় প্রাণিত হ'লাম।
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: সেটা ভালো কথা। পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১২
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে। মেয়েটি যেখানেই থাকুক, মহান আল্লাহ তাকে ভাল রাখুক।
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। বাক প্রতিবন্ধী সেই মেয়েটির প্রতি আপনার শুভকামনা ও দোয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্যে ও প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভালো থাকুন। শুভকামনা....
১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী মধুর স্মৃতিগুলো।
৩০০ফিটে গিয়েছিলাম একবার, মিষ্টি খেয়েছিলাম আর ছবি তুলেছিলাম মিষ্টি কিনেও এনেছি। মিষ্টির ছবিগুলো এখানে পোস্টও করেছিলাম।
যারা খেটে খায় তাদের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা আর সম্মান জাগে। ভালো লাগে।
মতিঝিলে ছোট দুইটা ছেলে একজন পান বেচে আরেকজন মোবাইলের এয়ারফোন বিক্রি করে। আমি ওদেরকে খুব আদর করি। কারণ তারা অন্যান্য বদ পোলাপানের মত ভিক্ষা অথবা চুরিচামারি করে ন।
ধন্যবাদ আপনাকে
১২ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "মিষ্টির ছবিগুলো এখানে পোস্টও করেছিলাম" - কবে করেছিলেন? লিঙ্ক দেন দেখি!
খেটে খাওয়া মানুষদেরকে আমিও ভালবাসি, শ্রদ্ধা করি।
অন্যান্যবারের চেয়ে এবারে একটু বড় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। প্লাসের জন্যও।
১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৪
অগ্নিবেশ বলেছেন: চুপাচাপ এসে পড়ে চলে যাই কাউকে বিরক্ত করতে চাই না, কিন্তু এই সব বোকা বোকা কমেন্ট দেখলেই কিছু বলতেই হয়। ঢাবিয়ানদাকে বলছি, মহান আল্লাহ যদি মেয়েটিকে ভালোই রাখতেন তাহলে মেয়েটি তার বাকশক্তি হারাত না।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: উনি বোধকরি মেয়েটির প্রতি সমবেদনার অনুভূতি নিয়েই এমন করে বলেছেন।
১৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর দুইটি দুই মেরুর জীবনের বাস্তবতা আপনার নিপুন লিখনির ছাপে গল্প দুটি আমার পড়ার সুযোগ হলো। আপনি মহান মনের অধিকারী বলেই মহান চিন্তাগুলো আপনার দ্বারা হয়। মানবিক মানুষগুলোর জন্য শুভকামনা।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে আমার কোন পোস্টে এলেন, আপনার উপস্থিতিতে প্রীত হ'লাম।
আপনার মন্তব্যটাও আপনার মানবিক মানস এবং আচরণের পরিচায়ক। অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পাঠ করে একটি চমৎকার মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
১৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হবে হয়তো, আশাকরি হবে। হয়তো তার পরে আপনাকে নিয়েও কিছু একটা লিখে ফেলতে পারি!
এ বছর দেখা হবে না। আমি নিশ্চিত আগামী বছর দেখা হবে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: দেখা যাক! ইন শা আল্লাহ, হবে!
১৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪২
ইসিয়াক বলেছেন:
কারো কারো জীবন চলার পথ সত্যি কঠিন।একজন মানুষ হোক সে দরিদ্র, হোক সে বয়সে নিতান্ত ছোট তবু তার আত্মসম্মান নিয়ে জীবন সংগ্রামে লড়াইয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইলো ও ভালোবাসা রইলো।
আমিও এ বিষয়ে একমত একজন সুনাগরিক তার ভালো আচরণের মাধ্যমে বিদেশিদের কাছে নিজের দেশকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারে।
তিনটি অভিজ্ঞতার বর্ণনা ভালো লাগলো।
শুভ কামনা রইলো প্রিয় ব্লগার।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "তিনটি অভিজ্ঞতার বর্ণনা ভালো লাগলো" - অনেক ধন্যবাদ, পোস্টতা পড়ার জন্য এবং আলোচিত বিষয়ে ঐকমত্য পোষণের জন্য।
মন্তব্যে ও প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
ভালো থাকুন। শুভকামনা....
২০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৮
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার মানবিক ও নরম হৃদয়ের ছোঁয়া ছড়িয়ে আছে এ লেখার পরতে পরতে। অনেক শুভেচ্ছা, ও শুভকামনা।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, পোস্টটা পড়ে এমন সুন্দর একটা মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্য।
২১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সামুর একটা মহা ব্যাধী মাঝেমাঝে কমেন্ট করার সবুজ বাটন না আসা আর কমেন্ট করে প্রকাশ করতে গিয়ে উড়ে যাওয়া। দুদিন আগে আপনার পোস্ট পড়ে একটা দীর্ঘ কমেন্ট করে প্রকাশ করতে গিয়ে দেখি কমেন্ট হাপিস।এতো বাজে লাগলো যে বলে বোঝাতে পারবো না। নুতন করে কমেন্ট করার ইচ্ছা হারিয়ে যায়।
যাইহোক স্যার আপনার পোস্টে এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সবুজ বাটন না আসলে রিফ্রেশ দিবেন কিংবা এ্যাড্রেস বার এ রাইট ক্লিক করে 'রিলোড' এর উপর লেফট ক্লিক করবেন। রি-লোড হয়ে সবুজ বাটন চলে আসবে।
নুতন করে কমেন্ট করার ইচ্ছা হারিয়ে যায় - অবশ্যই। আমিও এরকম হলে খুব হতাশ ও বিরক্ত হই, মন্তব্য কিংবা প্রতিমন্তব্যের আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।
কী আর করা, আমারই দুর্ভাগ্য! তার পরেও পোস্টে এসে কিছু বলে গেলেন, এজন্য অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:১২
প্রামানিক বলেছেন: বিদেশের লোকেরা মরার আগ পর্যন্ত কারো উপর নির্ভশীল হতে চায় না, আপনার এই লেখা পড়ে খুব ভালো লাগল। আপনি কেমন আছেন?
১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি। আশাকরি, আপনিও কুশলেই আছেন।
বিদেশিরা জন্ম থেকেই আত্মনির্ভরশীল হতে শেখে। সে শিক্ষাটাই তারা ক্ববর পর্যন্ত নিয়ে যায়।
মন্তব্য এবং কুশল জিজ্ঞাসার জন্য ধন্যবাদ।
২৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:১৮
ধোয়াটে বলেছেন: ভারী সুন্দর লেখা, আপনার মনটাও খুব মমতা মাখা বোঝা যাচ্ছে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পড়ে একটি মনোমুগ্ধকর মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্য। +
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: চলার পথে কত মানুষ কত কথা কতই না গল্প।
স্মৃতিগুলি ধরা থাকুক ভরা থাকুক স্মৃতিসূধায় জীবনের পাত্রগুলি।