নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেমন্তের কথা

১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৯


হাঁটুরেবিহীন ফাঁকা পথ ....
১৬ নভেম্বর ২০২১, ১২ঃ৪৫ অপরাহ্ন

আজ পহেলা অগ্রহায়ণ। আজ থেকে শুরু হলো হেমন্ত ঋতুর দ্বিতীয় মাস। আমার জন্ম-মাস। শৈশবে-কৈশোরে পর পর কয়েকটি শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় বাংলা রচনা লিখার জন্য “তোমার প্রিয় ঋতু” একটি অবধারিত বিষয় ছিল। আমি সাধারণতঃ বাংলা বা ইংরেজী রচনা, কোনটাই মুখস্থ লিখতাম না। কারণ মুখস্থ লিখেছি বুঝতে পারলে শিক্ষক মহোদয় সে রচনায় কম নম্বর দিতেন। নিজে চেষ্টা করে লিখলে, যে রকমই লিখি না কেন, মুখস্থ লেখার চেয়ে ভালো নম্বর পেতাম। সে বয়সটাতে প্রথম প্রথম একমাত্র বসন্ত ঋতু নিয়েই লিখতাম। কারণ এ ঋতুর সৌন্দর্য বাসার সামনের সড়কের সারিবদ্ধ কৃষ্ণচূড়ার শাখা থেকে আমাদের ক্ষুদ্র বাগানের ডালিয়া-সূর্যমুখী-হলিহক-জিনিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এ ছাড়াও চোখ খুললেই সর্বব্যাপী এ ঋতুর সৌন্দর্য দেখতে পেতাম, কান পাতলেই কোকিলের কুহু ডাক শুনতে পেতাম। রচনা বানিয়ে লেখার জন্য এসব চাক্ষুষ স্মৃতি অত্যন্ত সহায়ক ছিল। আরেকটু বড় হয়ে শীতকালে যখন ব্যাডমিন্টন খেলতাম, মায়ের, বোনের হাতে বোনা সোয়েটার পরে ঘোরাঘুরি করতাম, তখন নিজের মধ্যে নিজেই একটা স্মার্ট ভাব লক্ষ্য করতাম। এসব কারণে তখন শীতকালটাই প্রিয় হয়ে উঠলো। এ ছাড়া পিঠা-পুলি খাওয়ার আনন্দ তো ছিলই। আরও একটু বড় হলে কেমন করে যেন বর্ষাকালটাও প্রিয় হয়ে উঠলো, যেটাকে আগে খুব অপছন্দ করতাম। তখন একটু একটু করে গান শোনার প্রতিও আগ্রহ জন্মালো। বর্ষা নিয়ে লেখা রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলো খুব ভালো লাগতো। কিছু আধুনিক গানও। এক বর্ষণমুখর দিনে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে “এই মেঘলা দিনে একেলা” গানটি শুনে এতই অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম যে সারাটা দিন ধরে শুধু ঐ একটি গানই শুনেছিলাম, সাথে গেয়েওছিলাম। আর বর্ষার রবীন্দ্রসঙ্গীত অনেকগুলোই খুব প্রিয় ছিল, তবে “এমন দিনে তারে বলা যায়, এমন ঘনঘোর বরিষায়” শুনে বুকে যে শূন্যতা অনুভব করতাম, সেটা প্রকাশ করার ক্ষমতা ঐ বয়সে তো ছিলই না, এমনকি আজও নেই!

যাহোক, শীত-বসন্তের সৌন্দর্য দু’চোখ দিয়ে দেখে যতটুকু অনুভব করা যায়, শৈশবে ততটুকুই পরীক্ষার খাতায় লিখতাম। কৈশোরে বাহ্যিক দু’চোখ দিয়ে দেখার সাথে সাথে মনের ‘তৃতীয় নয়ন’ দিয়ে দেখা এবং অনুভব করা কিছু কথাও রচনায় যোগ করে দিতাম। এতে ভালো ফল পেতাম। ফলে, অচিরেই রচনা লেখা আমার একটা প্রিয় বিষয়ে পরিণত হয়ে গেল। কৈশোরের চোখে বর্ষার সাথে সাথে শরতও তার অপার সৌন্দর্য নিয়ে আবির্ভূত হতে লাগলো। শরতের সাদা কাশফুল, ভাসমান নীল-সাদা মেঘের ভেলা, রৌদ্রকরোজ্জ্বল নীলাকাশ ইত্যাদি সবকিছুই দু’চোখ জুড়িয়ে দিত। আর তার সাথে মাঝে মাঝে হয়তো যোগ হতো তৃতীয় নয়নে দেখা মেঘের রঙে নীলাম্বরি সজ্জিতা কোন অদেখা মেঘবালিকার ছবি। এভাবেই এ চারটি ঋতু শৈশবে-কৈশোরে আমার মনে প্রভাব রেখে যেত। তবে বয়স যত বেড়েছে, বর্ষা আর শরতকালের সাথে আমার তৃতীয় নয়নের সখ্যও তত বেড়েছে, একের উপর অপরের অধিকারের ব্যাপ্তিও তত বেড়েছে।

লেখাটার শিরোনাম দিয়েছি ‘হেমন্তের কথা’, কিন্তু এ পর্যন্ত হেমন্তের কথা তো কিছুই বললাম না। কারণ, শুধু শৈশবে-কৈশোরে কেন, যৌবনেও হেমন্তকে আমার সেভাবে দেখা হয়নি। গ্রামীন জীবনে হেমন্তের প্রথমার্ধ দুঃখ কষ্টের মাস, এর কারণ খাদ্যাভাব এবং গেরস্তের ক্রয়ক্ষমতাহীনতা, যাকে আমাদের স্থানীয় ভাষায় ‘মঙ্গা’ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু পরের অর্ধেকে গেরস্তের মুখে হাসি ফোটে, কারণ সেটা ধান কাটার মাস, নবান্নের মাস। গেরস্তের ঘরে তখন নতুন ধান চলে আসে, খাদ্যাভাব দূর হয়, গেরস্তের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে। আকাশে বাতাসে নবান্নের সুবাসিত ঘ্রাণ থাকে, মানুষের সাথে সাথে গবাদি পশুরও নতুন ধানের নতুন বিচালি দিয়ে নবান্ন শুরু হয়। প্রকৃতির মাঝে একটা সুখ সুখ অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ে। আমি শহরে মানুষ হয়েছি, তাই গ্রামীন জীবনের এই হৈমন্তিক সুখগুলোর পরশ আমি গভীরভাবে অনুভব করিনি। কিন্তু এখন এই প্রৌঢ়ত্বে এসে আমি হেমন্তের মায়াবী সৌন্দর্য ঠিকই খুঁজে পাই। সকালে ও সন্ধ্যায় কুয়াশার কুহেলিকা মনকে এক মায়ার ইন্দ্রজালে আচ্ছন্ন করে রাখে। হেমন্তের বৈকালিক রোদের যে একটা আলাদা রং আছে, সেটা আমি এখন ঠিকই দেখতে পাই, যদিও দিনের হ্রস্বতার কারণে বিকেলকে খুঁজে পাওয়াটাই অনেক সময় মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। হেমন্তের আহ্নিক দিনগুলো খুব দ্রুতগামী হয়। জীবনের হেমন্তকালে এসে এখন আমি দেখতে পাই, আমাদের জীবনটাও কত দ্রুতগামী, বিশেষ করে জীবনের হেমন্তকালটা! আমাদের জীবনটাই ‘এই আছি, এই নেই’- পদ্ম পাতায় জল, তার মধ্যে জীবনের হেমন্তকালটা বোধকরি সবচেয়ে দ্রুত এবং আকস্মিক বিদায় নেয়। প্রকৃতিতে যেমন হেমন্তের পরে শীত এসে সবকিছু আড়ষ্ট করে দেয়, জীবন পরিক্রমায়ও তেমনি বয়সের হেমন্তকালের পর শীতকাল এসে জীবনটাকে জ্বরাগ্রস্ত করে দেয়।

আমাদের দেশে হেমন্তকাল থেকেই গাছের পাতা ঝরা শুরু হয়। শীতকালে সব গাছপালা নাঙ্গা হয়ে যায়। হেমন্তের ঝরা পাতায় আমরা শুধু কান্নার ধ্বনি শুনতে পাই, বিদায়ের বারতা পাই। তাই তো মৃত্যুর মাত্র দশ বছর পূর্বে বয়স্ক কবিগুরু লিখেছিলেন এবং গেয়েছিলেনঃ “ঝরা পাতা গো, আমি তোমারই দলে, অনেক হাসি, অনেক অশ্রুজলে..... অস্তরবি লাগাক পরশমনি, প্রাণের মম শেষের সম্বলে”! পদতলে ঝরা পাতার মর্মর ধ্বনি মনকে বিষণ্ণ করে তোলে, মনটা কেমন করে ওঠে! যান্ত্রিক এ যুগে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে সামাজিক মিডিয়ায় আমরা আমাদের দেশের পাশাপাশি বিদেশের হেমন্ত বা “ফল” এর সময় ধারণকৃত প্রকৃতির রঙিন চিত্র দেখতে পাই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কানাডা, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার “ফল” এর সুদৃশ্য চিত্র ফেসবুকের মাধ্যমে ক্রমাগত দেখতে পাচ্ছি। কি অপরূপ, মনোহর দৃশ্য! কত বিচিত্র রঙের সমারোহ! লাল-নীল-হলুদ-সবুজ-বেগুনি-সোনালি রঙের ফুলে ও পাতায় পাতায় শোভিত থাকে চারিপাশ! পথের পাশে পড়ে থাকা ঝরা পাতাদের মুখেও থাকে কত উজ্জ্বল হাসি, যেন ওরা প্রকৃতির শোভা বর্ধন করার কর্তব্য পালন শেষে হাসিমুখে বিদায় নিচ্ছে। বিদায়ের সময়ও ওরা কত রঙিন, মোটেই ধূসর নয়!

গত তিনটে দিন, অর্থাৎ কার্ত্তিকের শেষ তিনটে দিন ঢাকাবাসীরা চমৎকার আবহাওয়া উপভোগ করেছেন। প্রভাতে এবং অপরাহ্নে হাল্কা কুয়াশাবৃত চারিপাশ, দিনের বাকিটা সময় মেঘে ঢাকা ধূসর আকাশ। হাল্কা হাল্কা শীতের আমেজ গৃহিনীদেরকে লেপ-কাঁথা-কম্বল বের করার বারতা দিয়ে গেছে। সাথে মাঝে মাঝে ঝিরঝিরে বৃষ্টি ভাবুক মানুষের মনে দোলা দিয়ে গেছে। আজ একটু তাও রোদের হাসি দেখা গেছে। ভরদুপুরে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। হাঁটার পথটা অন্যান্য সময়ের চেয়ে ফাঁকা ছিল। গল্প করে হাঁটার মত কাউকে পাইনি। ফাঁকা পথে শীতের আমেজ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কিছু ছবিও তুললাম। তখন মেঘ কেটে গেছে, গোমরামুখি আকাশে রোদের ঝিলিক ফুটেছে।

যাক, হেমন্তের কথা বলতে গিয়ে সব ঋতুর কথাই তো বলা হলো, শুধু গ্রীষ্মকাল ছাড়া। গ্রীষ্মের নিদাঘ দুপুরে উদাসী ঘুঘুর ডাক শোনা আর মধুমাসে ফলফলাদি খাওয়া ছাড়া এ ঋতুর আর কোন আকর্ষণ আমি এখনো পর্যন্ত অনুভব করিনি। কে জানে, হয়তো আগামীতে গ্রীষ্মও ভাললাগার কোন বদ্ধ দুয়ার খুলে দিতে পারে!



ঢাকা
পহেলা অগ্রহায়ণ
১৬ নভেম্বর ২০২১
শব্দ সংখ্যাঃ ৯১৫

(নীচের ছবিগুলো আমার আই-ফোনে তোলা। সময় ও তারিখ ছবির নীচে উল্লেখিত হয়েছে)


পাতার ফাঁকে ফাঁকে রোদের ঝিলিক.....
১৬ নভেম্বর ২০২১, ১২ঃ৩৮ অপরাহ্ন


রোদের হাসি.....
১৬ নভেম্বর ২০২১, ১২ঃ৩৮ অপরাহ্ন


রৌদ্রছায়া....
১৬ নভেম্বর ২০২১, ১২ঃ৩৪ অপরাহ্ন

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১১

প্রামানিক বলেছেন: আপনার হেমন্তের বর্ননা পড়তে গিয়ে মূহুর্তের জন্য আমি আমার ছোটকালের স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছিলাম, যেন আমার চোখের সামনে হেমন্তের সব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। খুব ভালো লাগল।ধন্যবাদ আপনাকে

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে প্রথম মন্তব্যটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যটি ভালো লেগেছে। +
পোস্ট পড়ে আপনি "ছোটকালের স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছিলেন" জেনে প্রীত হ'লাম।
আশাকরি আপনি ভালো আছেন। শুভকামনা....

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ঝরঝরে লেখা।
জানতে পারলাম এ অগ্রহায়ন মাসেই আপনার জন্য।
রচনা আমি মূখস্ত করতাম না। মন ভরে বানিয়ে লিখতাম পাতার পর পাতা। আমি বাংলাতে ভালো ছিলাম। তবে ব্যাকারন বুঝতে বেশ বেগ পেতে হতো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সুন্দর ঝরঝরে লেখা" - ধন্যবাদ, এ প্রশংসাটুকুর জন্য।
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। শুদ্ধভাবে বাংলা লিখতে পারার জন্য সকল বাঙালির বাংলা ভাষা চর্চায় ব্রতী হওয়া উচিত। অন্ততঃ যেটুকু শিখলে নিজেকে শুদ্ধভাবে প্রকাশ করা যায়, ততটুকু তো বটেই।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার রচনার কথাতে মনে পড়লো-
তখন সম্ভবতো ৭ম বা ৮ম শ্রেণীতে পড়ি। পরীক্ষার আগের রাতে রচনার বইতে পাতা উলটাতে উলটাতে হঠাত চোখে পরে "একটি বট গাছের আত্ম কাহিনী"। নতুন কিছু পেয়ে যাস্ট পড়ে দেখলাম। পরদিন পরীক্ষায় হলে গিয়ে দেখি প্রশ্ন এসেছে "একটি চেয়ারের আত্ম কাহিনী"। এবার আমি জানি কি করে আত্ম কাহিনী লিখতে হয়। অন্য কমপড়া রচনা না লিখে এই চেয়ারের আত্ম কাহিনীই লিখলাম।
সেই পরীক্ষায় রচনায় আমি সবচেয়ে বেশী নাম্বার পেয়েছিলাম। কারণ সব কয়টি শাখা মিলিয়ে সকল ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে আর কেউ ঐ রচনাটা লিখেনি।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: রচনা লিখার ব্যাপারে 'আনকমন' বিষয়ের উপর এ্যাটেম্পট নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে নম্বর বেশি পাওয়া যায়, যেমনটি আপনি পেয়েছিলেন। অবশ্য ভালো না লিখতে পারলে শুধু এ্যাটেম্পট নিলেই কাজ হবার কথা নয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রচনা লিখতাম সব প্রশ্নের উত্তর লিখার পর।রচনা লেখা শেষ করার আগেই শিক্ষক আমার খাতা নিয়ে নিতো।
ঋতু বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ।ছোট বেলায় খুব উপভোগ করতাম।বড় হয়ে কোথায় হারিয়ে গেল সেই দিনগুলি।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "বড় হয়ে কোথায় হারিয়ে গেল সেই দিনগুলি" - সেটাই বড় আফসোসের কথা!

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখনকার দিনে টিক মার্ক দিয়ে রচনা লিখতে হয় মনে হয়:
(১) গরুর পা কয়টি?
(ক) ২টি (খ) ৪টি (গ) ৬টি (ঘ) পা নেই

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: দারুণ একটা এমসিকিউ প্রশ্ন বানিয়েছেন! :)
আমার মনে হয়, আজকাল এমন প্রশ্নেও কেউ কেউ কনফিউজড হয়ে ভুল উত্তর দিয়ে বসতে পারে।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার সার্বিক সফলতা কামনা করছি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্বাস্থ্যে, সপরিবারে।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছোটকালে শীতের দিনে নৌকা ভ্রমনে বেশী আনন্দ পেতাম। নৌকা করে তিন নদীর মুখে (ফেনী নদী , মুহুরী নদী, কালিদাস পাহালিয়া নদী) বঙ্গোপসাগরে ( ফেনী/ চিটাং ) যে সুইচ গেইট হয়েছে দেখতে যেতাম। সেখানো এখন সবচেয়ে বড় ইপিজেট হচ্ছ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, আপনার ছোটবেলার অভিজ্ঞতার কথাগুলোও তো খুব সুন্দর করে শেয়ার করলেন! ভালো লাগল আপনাদের তিন নদীর মোহনায় গিয়ে স্লুইস গেইট দেখার অভিজ্ঞতার কথা জেনে। আমিও আনন্দ অনুভব করলাম।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:০০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কেমন যেন যান্ত্রিক হয়ে পড়েছে সবকিছু, শহরায়নের ফলে দালানকোঠা, রাস্তা ঘাটের বিস্তৃতির সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে সেই সময়ের পরিবেশ। পরিবেশ দূষণ, নদীনালার অবলুপ্তির সাথে হারিয়ে যাচ্ছে "সেই সময়" | আমরা কি সেই আগের মতো ঋতুগুলো উপভোগ করতে পারি বা ভবিষ্যতে করতে পারবো ?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা কি সেই আগের মতো ঋতুগুলো উপভোগ করতে পারি বা ভবিষ্যতে করতে পারবো? - আমার মনে হয় না, সেদিনগুলো আবার ফিরে আসবে, প্রকৃতি নির্মলতর হবে। সুতরাং, "সেই সময়" নিয়ে আমাদের হা-পিত্যেশ বোধহয় চলতেই থাকবে।

চমৎকার মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকার শুভকামনা রইলো।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪৭

সোহানী বলেছেন: দেশে হেমন্ত তেমন ফিল করেছি বলে মনে পড়ে না কিন্তু কানাডায় হেমন্ত মানে ফল সিজন আমার অসম্ভব প্রিয়। লাল হলুদ সবুজের রঙ এর রঙ্গীন থাকে চারপাশ। অদ্ভুত সুন্দর।

গতকাল ছেলে সকালে ফুড ব্যাংকে ভলান্টিয়ার করতে গেছে। আমি আর আমার মেয়ে তাকে নামিয়ে দিয়ে ফিরতেই ভুল করে একটা রাস্তায় ঢুকেই আমরা থমকে গেলাম। আবার গাড়ি ঘুড়িয়ে সেখানে বেশ কিছুক্ষন ঘুরে বাসায় ফিরলাম। চারপাশ এতো এতো সুন্দর এখন। ছবিটা এড করছি.........

১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কানাডা, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার 'ফল' এর নান্দনিক ছবি দেখে আমি মুগ্ধ!

"চারপাশ এতো এতো সুন্দর এখন। ছবিটা এড করছি........." - ছবিটা যুক্ত করতে হয়তো ভুলে গেছেন!

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা!
গ্রীষ্মকাল আমারও খুব অপছন্দের!

১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "গ্রীষ্মকাল আমারও খুব অপছন্দের" - আমার ঠিক অপছন্দের নয়, তবে ছয় ঋতুর মধ্যে পছন্দের তালিকায় সর্বনবিম্নে এর অবস্থান। এ ঋতুটিকেও আমি পছন্দ করি।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার মনের কথাগুলোই যেন। তবে আগে শীত পছন্দ করতাম না একেবারেই। দুই তিন দিন পর গোসল করতাম হাহাহ কিন্তু ইদানিং এমন হালকা শীতের আমেজ বেশী ভালো লাগে।

ধন্যবাদ

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমার মনের কথাগুলোই যেন" - ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হেমন্তকথন স্মৃতিকথা আর ঋতু বৈচিত্র্যে পূর্ণতা পেলো !
আমাকে হলুদহেমন্ত খুব টানে, বুক ভরে নেয়া নিঃশ্বাসে আবেশ লাগে।
এ সময়ের ফুল গুলোর নরম মিষ্টি সুবাস ঘোর লাগায়, ঠিক যেমন আপনার লেখায় ঘোর লাগা আবেশ ছড়িয়েছেন।

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "হেমন্তকথন স্মৃতিকথা আর ঋতু বৈচিত্র্যে পূর্ণতা পেলো" - চমৎকার, প্রেরণাদায়ক এই মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

"আমাকে হলুদহেমন্ত খুব টানে, বুক ভরে নেয়া নিঃশ্বাসে আবেশ লাগে" - জ্বী, ইতোপূর্বে আপনার কোন কোন লেখায় বোধকরি এর পরিচয় পেয়েছি। খুব সুন্দর করে নিজের অনুভূতিকে ব্যক্ত করেছেন, সহজ ভাষায়।

আপনার শেষের কথাটিতেও অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা----

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এখন হেমন্ত,শরতকে আলাদাভাবে সনাক্ত করা দুস্কর। ঋতু জিনিসটাও যেন জীবনাচার থেকে উঠে যাচ্ছে।
আপনার হেমন্ত বন্দনা ভালো লেগেছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এখন হেমন্ত,শরতকে আলাদাভাবে সনাক্ত করা দুস্কর। ঋতু জিনিসটাও যেন জীবনাচার থেকে উঠে যাচ্ছে" - আপনার এ পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে।

হেমন্ত বন্দনা ভালো লেগেছে জেনে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গ্রীষ্মকালকে নিয়ে কম লিখেছেন তাই গ্রীষ্ম নিয়ে কবিদের ভাবনা তুলে দিলাম;

ঐ এল বৈশাখ

-সুকুমার রায়

ঐ এল বৈশাখ, ঐ নামে গ্রীষ্ম,
খাইখাই রবে যেন ভয়ে কাঁপে বিশ্ব !
চোখে যেন দেখি তার ধুলিময় অঙ্গ,
বিকট কুটিলজটে ভ্রুকুটির ভঙ্গ,
রোদে রাঙা দুই আঁখি শুকায়েছে কোটরে,
ক্ষুধার আগুন যেন জ্বলে তার জঠরে !
মনে হয় বুঝি তার নিঃশ্বাস মাত্রে
তেড়ে আসে পালাজ্বর পৃথিবীর গাত্রে !
ভয় লাগে হয় বুঝি ত্রিভুবন ভস্ম-
ওরে ভাই ভয় নাই পাকে ফল শস্য !
তপ্ত ভীষণ চুলা জ্বালি নিজ বক্ষে
পৃথিবী বসেছে পাকে, চেয়ে দেখ চক্ষে,-
আম পাকে, জাম পাকে, ফল পাকে কত যে,
বুদ্ধি যে পাকে কত ছেলেদের মগজে !

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যটা, অর্থাৎ সুকুমার রায় এর এ চমৎকার কবিতাটা গ্রীষ্মকালকে নিয়ে আমার কম লেখার পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইউ আর ওয়েলকাম। সব সময় চেষ্টা করি, পাঠকের মন্তব্যের উত্তর সুন্দর করে দেয়ার জন্য।

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১০

ইসিয়াক বলেছেন: হেমন্ত আমার সবচেয়ে প্রিয় ঋতু। আমি হেমন্তকাল নিয়ে অনেকগুলো কবিতা লিখেছি।
ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।
শুভ কামনা রইলো।
শুভ রাত্রি।

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে প্রথম প্লাসটি রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
হেমন্ত আপনারও সবচেয়ে প্রিয় ঋতু এবং হেমন্তকাল নিয়ে আপনি অনেকগুলো কবিতা লিখেছেন জেনে প্রীত হ'লাম। আরও বেশি করে গল্প, কবিতা, স্মৃতিচারণ ইত্যাদি লিখুন হেমন্তকাল নিয়ে।
ভালো থাকুন, শুভকামনা....

১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:




আমার সবচেয়ে প্রিয় ঋতু বসন্ত আর হেমন্ত ।
প্রতিটা ঋতুর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আর সৌন্দর্য আছে ।
জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো ।



২১ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমার সবচেয়ে প্রিয় ঋতু বসন্ত আর হেমন্ত" - বসন্ত অনেকেরই প্রিয় ঋতু; কিন্তু হেমন্ত যাদের, তারা সংখ্যায় কম। আপনিও তাদের একজন জেনে খুশি হ'লাম।

"প্রতিটা ঋতুর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আর সৌন্দর্য আছে" - তা তো আছেই। কিন্তু সবারটা সব বয়সে খেয়াল করতে পারিনি।

অগ্রিম শুভেচ্ছার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ!

১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২১

মিরোরডডল বলেছেন:



৫ নং কমেন্ট পড়ে আই ক্যান্ট স্টপ লাফিং ।
(ঘ) পা নেই
হা হা হা ......... অসম্ভব মজার =p~


২১ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওনার হিউমারগুলো মাঝে মাঝে খুবই মজার হয়ে থাকে। আমিও সেগুলো উপভোগ করি, আপনার মত এটাও করেছি।
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, শুভকামনা....

১৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৬

সেলিম তাহের বলেছেন: একটা প্রশান্তির প্রলেপ মাখানো সাবলীল লেখনী।

সময় করে আপনার বাকী লেখাগুলো পড়বার ইচ্ছে রইলো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'হেমন্তের কথা' পড়ার জন্য এবং পড়ার পর সুন্দর একটি এ্যাপ্রিশিয়েটিভ মন্তব্য এখানে রেখে যাবা র জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

আমার বাকি লেখাগুলোও পড়বার ইচ্ছে প্রকাশ করায় অনুপ্রাণিত বোধ করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.