নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কেন লিখি

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৫

ছাত্রজীবনে কিছু টুকটাক লেখার অভ্যেস ছিল। তেমন কিছু নয়। কোনদিন কোন পত্রিকার সাহিত্য পাতায় আমার কোন লেখা পাঠাই নি, তাই প্রকাশিত হবার তো প্রশ্নই উঠে না। আমার লেখালেখি সীমিত ছিল বিভিন্ন বিশেষ দিবস উপলক্ষে কলেজের দেয়াল পত্রিকায় লেখা ছাপানো, আর কলেজ ম্যাগাজিনে ছাপানো পর্যন্ত। কর্মজীবনে প্রবেশ করে লেখালেখি একেবারে বন্ধ রেখেছিলাম, তাই কোন জার্নালে আমার কোন লেখা প্রকাশিত হয়নি। কর্মজীবন থেকে অবসর নেয়ার পর থেকে আপন খেয়ালে কিছু লেখালেখি শুরু করি, কোথাও প্রকাশের জন্য নয়। ফেসবুক নোটসে সেগুলো টুকে রাখতে শুরু করি। ২০১৩/১৪ সাল থেকে দু’টি বাংলা এবং একটি ইংরেজী কবিতার ওয়েবসাইটে আমার কবিতা প্রকাশ করতে শুরু করলাম। শুরু হলো অন্যান্য লিখিয়েদের সাথে মিথষ্ক্রিয়া। বুঝতে শুরু করলাম, আজ কবিতাকে যতই সাধারণ্যে একটি অনাদৃত বিষয় বলে মনে করা হোক না কেন, ভাল কবিতা লিখলে আজও পাঠক পাওয়া যায়। ‘আমি কবিতা বুঝি না’, ‘কবিতা মাথার উপরে দিয়া যায়’ ‘দেশে কাকের চেয়ে কবি’র সংখ্যা বেশি’, ইত্যাদি বলে কবি ও কবিতাকে হেয় প্রতিপণ্ণ করা আজ হাল হামলের একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। অবশ্য এর পেছনে ‘কবি-খ্যাতি’ লাভের প্রত্যাশী কোন কোন অর্বাচীন ‘কবিতা লেখক’ (কবি নয়) এর দুর্দমনীয় মোহও অনেকাংশে দায়ী। তারা কবিতা লেখার জন্য নিজেকে যথেষ্ট প্রস্তুত না করেই নিজের নামে নিজ খরচে কবিতার বই ছাপিয়ে কবি-খ্যাতি অন্বেষণ করেন এবং আত্মপ্রচারে নেমে নিজেদেরকে হাস্যাস্পদ করে তোলেন।

২০১৫ থেকে “সামহোয়্যারইনব্লগ” এ কবিতা ছাড়াও কথিকা, স্মৃতিকথা, ভ্রমণ কাহিনী ইত্যাদি নিয়মিতভাবে লিখে আসছি। এ ছাড়াও ফেসবুক এর কয়েকটি সাহিত্য গ্রুপের পাতায়ও মাঝে মাঝে লিখে থাকি। সম্প্রতি “সামহোয়্যারইনব্লগ” এ ব্লগার ‘রূপক বিধৌত সাধু’ “কে কী কারণে লেখালেখি করেন?” শিরোনামে একটি পোস্ট লিখে ব্লগারদের কাছে এ প্রশ্নটি উল্থাপন করেছেন। তার পোস্টটি পড়ে এ প্রশ্নের উত্তরে আমার বক্তব্য কী হতে পারে, এ নিয়ে ভাবা শুরু করলাম গত ক’দিন ধরে। দেখলাম, আমার উত্তরটাও অন্যান্য লেখক-পাঠকদের চেয়ে ব্যতিক্রম কিছু নয়। আমিও পরিচিতির জন্য লিখি না, মনের খুশিতে লিখি। সেটাই ভালো লাগে। কে পড়লো বা না পড়লো, সেটা মূল বিবেচ্য নয়। তবে শৌখিন লেখক হলেও, জীবনের পথচলা থেকে লব্ধ অভিজ্ঞতা এবং কিছু হাল্কা জীবন দর্শনের কথাও বলতে চাই। দু’চোখে যা কিছু দেখি, তার কিছুটা গভীরে প্রবেশ করে নিজের উপলব্ধি ও ভাবনার একটা মিশেল আমার লেখায় তুলে আনতে চাই। রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মবিশ্বাস, ইত্যাদি নিয়েও ভাবি, কিন্তু এসব বিষয়ে লিখতে ইচ্ছে করে না কারণ আমরা জাতি হিসেবে পরমতসহিষ্ণু নই। তা ছাড়া আমি কোন রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক কিংবা ধর্মপ্রচারক নই যে আমাকে এসব বিষয়ে লিখতেই হবে। আমি না লিখলেও, যারা এসব বিষয়ে লিখেন, তাদের লেখা আমি পড়ি এবং নিজের মতের সাথে মিলিয়ে দেখি। আমার জানায় কোন ফাঁক থাকলে তা যাচাই সাপেক্ষে পূরণ করে নেই।

প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক বিষয়সমূহ আমাকে আকর্ষণ করে। সে কারণে পরিবেশও আমার একটা প্রিয় বিষয়। নদী, সাগর, পাহাড়, আকাশ ইত্যাদি সব প্রাকৃতিক সৃষ্টিরই একটা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট ও সৌন্দর্য রয়েছে। লেখকদের মনে এসব সৌন্দর্যের প্রভাব পড়ে। পরিবর্তনশীল প্রকৃতির অনুপম সৌন্দর্য দু’চোখ ভরে দেখতে ভালো লাগে। প্রকৃতির ঋতু বৈচিত্রের মধ্যে আগে শুধুই বর্ষা-শরৎ-বসন্তকে ভালো লাগতো। পরিণত বয়সে এসে ক্ষণস্থায়ী হেমন্তেরও যে একটা আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে, সেটা চোখে পড়ে। মনের উপর বর্ষার দখলদারিত্ব আগেও যেমন ছিল, এখনও তেমন আছে। শীতের স্থায়ীত্ব দিনে দিনে কমে আসছে। তবুও যে ক’টা দিন থাকে, শিরশিরে বাতাস আর পাতা ঝরার শব্দ মনকে দোলা দিয়ে যায়। গ্রীষ্মের নিদাঘ দুপুরে উদাসী ঘুঘুর ডাক শুনলে এখনও মনটা উদাস হয়ে যায়। এ ছাড়া মানবিক গুণাবলী এবং মনুষ্যোচিত সহমর্মিতা, সহানুভূতি, সংবেদনশীলতা, স্পর্শকাতরতা ইত্যাদির অভিব্যক্তি আমাকে স্পর্শ করে, অনুপ্রাণিত করে, উজ্জীবিত করে, অভিভূত করে। এসব বিষয়ে আমি লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। প্রতিটি মানুষের অন্তরে স্নেহ-মায়া-ভালবাসার ফল্গুধারা সতত বহমান, কিন্তু এর প্রকাশ ভিন্ন ভিন্ন আকারে হয়ে থাকে। কারও কারও ক্ষেত্রে এসব অনুভূতি চির-অপ্রকাশিত থেকে যায়। তাদেরকে আমরা কঠিন হৃদয়ের মানুষ বলে জেনে থাকি, কিন্তু ঠিকমত স্পর্শ পেলে তাদের অন্তরও অঝোরে ঝরে। এসব বিচিত্র জীবনবোধ নিয়ে আমি পড়তে, ভাবতে এবং লিখতে ভালবাসি।

একটি ঝর্নাধারা যেমন তার উৎসস্থল, কোন পর্বত শিখরে জন্ম নিয়ে আপন গতিতে, আপন প্রবাহে তার গন্তব্যপথ খুঁজে নেয়, আমার লেখালেখিও তেমনি। এদের উৎসস্থল আমার মন, মন থেকে কী-বোর্ডের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে এরা তাদের পথ খুঁজে নেয়। কখনো আশ্রয় পায় কোন সাহিত্য পাতায়, কোন অন্তরঙ্গ পাঠক বলয়ে, কিংবা বই এর অবয়বে কোন সহৃদয় পাঠকের বুক শেলফে, ক্বচিৎ কারো কারো মনেও। কোন কোন ঝর্নাধারা যেমন পথ চলতে চলতে কোন মরু প্রান্তরে হারিয়ে যায়, আমারও অনেক লেখা ঠিক তেমনিভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। রাতে অনেক সময় কোন লেখার একটা পটভূমি তৈরী করে মনোমধ্যে গচ্ছিত রাখি। সকালে উঠে দেখি দৃশ্যপট পরিস্কার! সেখানে একটি শব্দও নেই। চেষ্টা করেও আর মনে করতে পারিনা। এভাবেই হারিয়ে গেছে আমার অনেক লেখা, অন্য কোন লোকে!



ঢাকা
১৯ জানুয়ারী ২০২২
শব্দ সংখ্যাঃ ৭১০

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪০

শায়মা বলেছেন: রুপকভাইয়া আমাকেও এই প্রশ্ন করেছিলো। আমারও মনে হয় আমি নিজের আনন্দে লিখি। কিন্তু এই লেখা শুধু নিজের আনন্দেই নয় আমি খেয়াল করে দেখেছি লেখালিখির মাঝে অপরের আনন্দও আছে আবার আমার নিজের স্মৃতিগুলিকে বন্দী করে রাখা যায়।

আজ থেকে ১০ বছর আগের আমি কেমন ছিলাম সেটাও আমার লেখার মাঝেই থেকে যায়। উঁকি দিয়ে যখন দেখি অবাক হই । এই ধীর পরিবর্তনগুলো আমরা এমনিতে বুঝিনা কিন্তু লেখাতে ঠিকই থেকে যায়।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমারও মনে হয় আমি নিজের আনন্দে লিখি" - সেটা আমরা, এ ব্লগের পাঠকেরা জানি। আপনার পোস্টগুলো পড়লে এ কথাটার প্রমাণ সহজেই পাওয়া যায়। তবে আপনি নিজের আনন্দটুকু বেশ সফলভাবে পাঠক মনেও সঞ্চার করতে সক্ষম হন, যা আমরা অনেকে পারি না। এ জন্যে আপনার পোস্টগুলো এত বহুল পঠিত হয়ে থাকে।

"এই ধীর পরিবর্তনগুলো আমরা এমনিতে বুঝিনা কিন্তু লেখাতে ঠিকই থেকে যায়" - এ ব্লগটা আমাদের লেখার একটা সংরক্ষণাগার। এখান থেকে বেশ কয়েকজন লেখক আজ চিরতরে অন্তর্হিত, কিন্তু আমরা তাদের ব্লগপাতায় আজও উঁকি দিয়ে যাই, তাদের লেখা পড়ে আন্দোলিত হই। এখানে লেখালেখির এটাও একটা অমূল্য প্রাপ্তি।

লেখার পেছনে আপনার ভাবনার কথাগুলো জেনে ভালো লাগল। পোস্টে প্রথম মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কি রাওয়া ক্লাবের মাসিক সাহিত্য সাময়িকীতে লেখেন? আমি কয়েকটা পড়েছিলাম। কিছু লেখা ভালো মানের মনে হয়েছে।
আপনি কেন লেখেন এটা জানা হোল। আপনি অবসরে যাওয়ার পর থেকেই লেখা শুরু করলে আরও ভালো হত।

ঠিকই বলেছেন, অনেক মানুষকে বাইরে কঠিন মনে হলেও আসলে তারা ততটা কঠিন না।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনি কি রাওয়া ক্লাবের মাসিক সাহিত্য সাময়িকীতে লেখেন?" - নিয়মিত লিখি না। মাঝে মধ্যে কয়েকটাতে লিখেছি ওদের "মিরর" ম্যাগাজিনে।

"আপনি অবসরে যাওয়ার পর থেকেই লেখা শুরু করলে আরও ভালো হত।" - ছোট্ট একটি বাক্য, কিন্তু আপনার এ কথাটি আমাকে প্রভূত প্রেরণা যুগিয়ে গেল!

"ঠিকই বলেছেন, অনেক মানুষকে বাইরে কঠিন মনে হলেও আসলে তারা ততটা কঠিন না।" - শুধু 'ততটা' নয়, মোটেই না! এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ ছিলেন আমার প্রয়াত বাবা।

মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৪

কুশন বলেছেন:


লেখককে বুঝতে হয়, লেখায় যেন সময়, সভ্যতা, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনের সঠিক ছা্যা থাকে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সব বুঝ লেখককে এবং পাঠককে একইভাবে বুঝতে হবে, এমন কোন কথা নেই। দু'জনের উপলব্ধিতে (পার্সেপশন এ) ফারাক থাকতে পারে।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:০৭

জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর উপস্থাপনা প্রিয় ভাই।
তবে আমরা সবাই যেমন মনের আনন্দে লিখি, ঠিক তেমনি কেউ সেই আনন্দে ছন্দপতন ঘটালে তার বিরুদ্ধেও লিখি :)

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটির উপস্থাপনা আপনি পছন্দ করেছেন জেনে প্রীত হ'লাম।
ভাষার ব্যবহারে সতর্ক না থাকার ফলে অনেক সময় মহা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখা এবং পড়া মনের খোরাক। মনকে সতেজ রাখতে লেখা ও পড়াকে অক্সিজেন হিসাবে ব্যবহার করি।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার বলেছেন! উদ্ধৃতিযোগ্য।

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:০৯

সাসুম বলেছেন: মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই তার লব্দ জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট ছিল। সেই হাজার বছর আগের গুহাচিত্র থেকে শুরু কর আধুনিক কালের ডিজিটাল কন্টেন্ট । আসলে লিখা টা অনেকটা নিজের ভেতর থেকে আসে। নিজের আহরন করা জ্ঞান ছড়িয়ে দিয়ে, নিজেকে অমর করে রাখার মৃত্যুর পরেও একটা বেশ ভাল উপায় হল লিখা। এই বোধ থেকেই মানুষ লিখে।
আমাকে জিজ্ঞেস করলে কেন লিখি? নিজের খুশির জন্য লিখি। যেটা জানতে পেরেছি বা যেটা বুঝতে পেরেছি সেটা লিখে যদি কারো সাথে শেয়ার করতে পারি, তাহলে একটা ভালোলাগা কাজ করে।

এ থেকেই লিখি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এ থেকেই লিখি" - আপনার কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত। অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পাঠ করে আপনার ভাবনাগুলো এখানে কিছুটা রেখে যাবার জন্য।

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে আঁদ্রে জিদ বলেছিলেন, ‘লিখি কারন না লিখলে হাত ব্যাথা করে।‘ গার্সিয়া মার্কেজ বলেছিলেন, ‘লিখি যাতে আমার বন্ধুরা আমাকে আরো একটু বেশী ভালোবাসে।‘ ঠিক নিশ্চিত মনে পড়ছে না সম্ভবত হেমিংওয়ে বলেছিলেন, ’যে কারনে বাঘ হরিন শিকার করে সেকারনে আমি লিখি‘। বোঝা যায় প্রশ্নটাকে তারা হালকা চালেই নিয়েছিলেন। এও বোঝা যায় এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে এক ধরনের অসহায়ত্বও তৈরী হয়েছিলো তাদের। কারন এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া দুরুহ। তারচেয়ে বরং উত্তর দেয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। অনেক লেখক অবশ্য বেশ মনোযোগের সঙ্গেই এ প্রশ্ন মোকাবেলার চেষ্টা করেছেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন লিখেছিলেন যে, ‘লেখা ছাড়া অন্য কোন উপায়ে যে সব কথা জানানো যায় না সেই কথাগুলি জানাবার জন্য লিখি।‘

জীবনানন্দ দাস ছোট খাটো একটা নিবন্ধ লিখেই এ প্রশ্নের উত্তর দিতে চেয়েছিলেন, লিখেছিলেন, ‘আমার এবং যাদের আমি জীবনের পরিজন মনে করি তাদের অস্বস্থি বিলোপ করে দিতে না পেরে জ্ঞানময় করার প্রয়াস পাই এই কথাটি প্রচার করে যে জীবন নিয়েই কবিতা।‘ এসব তো সাহিত্যের দিকপালদের কথা। কিন্তু আমি কেন এই লেখালেখির পাকচক্রে পড়লাম? একটা ব্যাপার বুঝি যে না লিখলে সর্বনাশ কিছু হতো না বরং লিখতে গিয়েই যা কিছু সর্বনাশ হয়েছে। কোথাও কোন দস্থখত দেইনি যে লিখতে হবে, না লিখলে আমার মৃত্যুদন্ড হবারও কোন সম্ভাবনা নাই, লিখে বৈষয়িক কোন সুবিধাও বিশেষ হয়নি তারপরও লিখে চলেছি।

এবার আমি বলি- আমি কেনো লিখিঃ- লেখালেখির মাধ্যমে দৃশ্যমান জাগতিক প্রাপ্তি আমার নেই। টাকা, সম্পদ, সার্টিফিকেট, পদক, পুরস্কার, প্রতিবেদন কিছুই জোটেনি কপালে। তবুও আমি বছরের পর বছর, মাসের পর মাস, দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লিখে চলেছি। কারণ, এর পেছনে রয়েছে অদৃশ্য অথচ সুখ অনুভব করার মতো কিছু প্রাপ্তি!

২১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়ে বড় বড় এসব মনীষীদের বাণী আমার এই পোস্টে উদ্ধৃত করে যাবার জন্য ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার লেখার কারণ হিসেবে যেসব কথা বলে গেলেন, সেগুলো হৃদয়স্পর্শী।

লেখা চালিয়ে যান। এর অদৃশ্য সুখ আপনার হৃদয় মনকে তৃপ্ত করুক!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: লেখালেখির পিছনে আপনার মনের ইতিবৃত্ত পড়লাম।প্রত্যেকের মনে নিশ্চই এমনি কোন ইতিহাস আছে। আমিও একটা সময় লিখতাম।স্কুল জীবনে সামান্য কিছু কথা গোপনে কোথাও না কোথাও লিখে রাখতাম।পরে কেউ দেখে ফেললে খুব অস্বস্তি লাগতো। একবার এরকম এক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল। আমার বাবার কাজ ছিল পুরানো বাদ দেওয়া খাতা থেকে সাদা পৃষ্ঠাগুলো আলাদা করে নুতন করে সেলাই দিয়ে আবার আমাদের লিখতে দেওয়া।এমন একবার একটা বাদ দেওয়া খাতার বিশেষ কয়েকটি পৃষ্ঠা আলাদাভাবে সেলাই দিয়ে আমাকে দুঃখপ্রকাশ করেন,খাতাটি ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে।আসলে ঐ খাতাটি আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম কিন্তু পরে বেমালুম ভুলে যাই।পরে সেটা আব্বা খুঁজে বের করেন। যাইহোক অন্য ভাইবোনের মুখ থেকে আমার লেখার কয়েকটি কথা শুনে কি যে লজ্জা পেয়েছিলাম তা আর বলে বোঝাতে পারবো না।এই ঘটনার পর আর কখনো লিখতাম না।

২০১৫ মা মারা যাওয়ার পর চোখের সামনে দেখি মায়ের ভাইদের ( আমার কাছে শকুনি মামা) মায়ের মৃতদেহকে দাফন করার জন্যে অসম্ভব তৎপরতা। একই গ্রামে শকুনি মামাদের বাড়ি হলেও মামাদের গোষ্ঠী ছিল অনেক বড়। ছোট থেকেই ওদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিল না। ওদের উৎপাতে বিরক্ত হয়ে গ্রামের বাড়ী ঘরদোর ফেলে শতাব্দীর শুরুতেই আমরা শহরে ভাড়া বাড়িতে চলে আসি।এহেন শুকুনিদের মায়ের মৃতদেহকে নিয়ে চোখের সামনে নোংরামিকে মেনে নিতে বাধ্য হই। প্রতিবাদ হিসেবে সেদিনই আবার কলমকে বেছে নিয়েছিলাম। তখন অবশ্য ব্লগে লিখব বলে কখনো ভাবি নি। পরে পারিবারিক সম্মানহানির আশঙ্কায় লেখাটিকে ছিঁড়ে দিই ও মন থেকে শকুনিদের ক্ষমা করতে পারবোনা। ব্লগের ঘটনা আগে জানলে ও লেখালেখি করার সুবাদে কয়েকজনের পরামর্শে আরো পরে ব্লগের সার্চ দিয়ে সামহোয়্যারইন ব্লগে আইডি খুলি। তারপর থেকে‌ই ব্লগের সঙ্গে এগিয়ে চলেছি।

শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়ে আপনার জীবনের কিছু স্মৃতিকথা এখানে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার 'শকুনি মামা'দের কথা এর আগেও আপনার কোন পোস্টে অথবা মন্তব্যে/প্রতিমন্তব্যে পড়েছিলাম বলে মনে পড়ছে।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত।

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সহজ সরল একটি পোষ্ট।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রীত হ'লাম।

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কেন লিখেন তার স্বরূপ কিছুটা জানা হলো ।
তবে একজন লেখক কেন লিখেন তা তাঁর লেখটি পাঠ হতেই জানা যায়
কোন কোন লেখায় থাকে আত্ম প্রকাশের বাহুল্যতা আর কোনটায় থাকে
সার্বজনিনতা , লেখটিই বলে দেয় লেখক কেন লিখেন ।

মনে পরে বহু কাল আগে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ শিরোনামে নতুন
লেখকদের প্রতি কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
জীবন নিয়ে কমলাকান্তের আর্তনাদ/আত্মজিজ্ঞাসায় বঙ্কিমচন্দ্র কমলাকান্তকে বলছেন ,
ভালো হলে এ নিয়ে ভাবতে থাকুন—যেমন, কাকে শোনাবেন লেখাটা? কোথায় ছাপাবেন?
কেন ছাপাবেন? ইত্যাদি। এগুলোর নিষ্পত্তি করেই এগিয়ে যাবেন কমলাকান্ত, বঙ্কিমচন্দ্র তাই
ধরে নিচ্ছেন।

তারও আগে অবশ্য কমলাকান্তকে লেখার কলাকৌশল আর কলকবজা নিয়ে ভাবতে হবে। লেখার
অলংকার বিষয়ে তাঁকে পাকা জহুরি হতে হবে। তাঁর চিন্তায় জটিলতা থাকলেও প্রকাশে সারল্য
থাকবে। কাউকে তিনি অনুকরণ করবেন না। কবিতা লিখতে বসলে জীবনানন্দ তাঁকে আচ্ছন্ন
করলে চলবে না, উপন্যাস লিখতে বসলে গারসিয়া মার্কেজের এক শ হাত দূরে থাকতে হবে।

এ যাবতকাল আমার দেখা আপনার সকল লেখালেখির মধ্যে এগুণ গুলিই দেখা যায়,
এ আমাদের জন্য এক পরম পাওয়া। আমাদের পাঠককুলের অর্ঘ্য রইল আপনার প্রতি।

তবে একথা ঠিক যে আমাদের নব্য- অনব্য লেখকেরা যে সময়ে আছেন, তা সে সময়কালের
আফিমসুখী কমলাকান্তের কল্পনাতেও হয়তো আসত না। তবে বঙ্কিমচন্দ্রের উপদেশগুলো
তো আর অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েনি। অর্থাৎ, এর অনেকগুলো এখনো সচল মুদ্রা। কোন লেখক
কেন লিখবেন ,কি লিখবেন, কিভাবে লিখবেন, কিভাবে প্রকাশ করবেন তা নিয়ে কারও
পরামর্শ/উপদেশ দেওয়াটা অনেক লেখকের পছন্দ নয়। লেখক যত বড়ই হন, অন্যের
উপদেশ/পরামর্শ মেনে কেউযে ভালো লেখক হয়ে যেতে পারেন,তা বঙ্কিমচন্দ্রের মত আমিও
মনে করি না। তবে দু-একটি উপদেশ মনে রাখা ভালো, তাতে লেখার আগে কিছু চিন্তা পরিষ্কার
হয়, লেখার সময় কিছুটা উপকার পাওয়া যায় এবং লেখা শেষ হলে তার প্রকাশ ও অন্যান্য
বিষয়ে একটা পথনির্দেশনাও দেয়, পরিনামে লেখক উপকৃত হন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর উপদেশ বাণীগুলো আজও সচল মুদ্রা, এ কথাটি ঠিক। আপনার বিশ্লেষণটি চমৎকার হয়েছে।

"আমাদের পাঠককুলের অর্ঘ্য রইল আপনার প্রতি" - অনেক ধন্যবাদ আপনার এ উদার মূল্যায়নের জন্য। প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।

১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার উপস্থাপন তো সবসময়ই সুন্দর, ভালো লাগলো আপনার লেখালিখির গল্প।
আমি আসলে পড়তে পড়তে লিখি, লিখে আনন্দ পাই ভালোলাগার ও প্রকাশ করতে পারি আবার কোন একটা বিষয় কে আমি কিভাবে ভাবছি সেটুকু অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করতে পারি।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "লিখে আনন্দ পাই" - এটাই বোধহয় আমার জন্যেও লেখার সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে গণ্য করা যায়।
আপনার এ্যাপ্রিসিয়েশনে এবং সুন্দর মন্তব্যে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:২৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
আপনি যে কারণে লেখেন তার বিশ্লেষণে লেখা এই ব্লগটি পড়ে প্রায় জায়গায় মনে হল যেন আমি নিজের মনের কথাই আপনার কীবোর্ডর বর্ণমেলায় পড়ছি, তবে হয়ত আপনার মত এতো শৈল্পিক ভাবে ফুটিয়ে তুলা আমার দ্বারা সম্ভব না। আপনার লেখার সৌন্দর্য আমায় সবসময় আকৃষ্ট করে। সে কারণে ব্যস্ততার ফাঁকে কখনো অনলাইনে আসলে আপনার সহ আরো কয়েকজন লেখকের লেখা খোঁজে খোঁজে পড়ে নেই। হয়ত সময়ের অভাবে মন্তব্য করতে পারি না তবে চেষ্টা করি। যাই হোক, আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করি।



জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত যৌবনের দাপট রক্ষা করে চলবেন ;)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আপনার প্রশংসায় প্রীত হ'লাম। আমার লেখার সাথে আপনার একাত্মবোধ আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে গেল।

১৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: রাতের ভাবনাগুলো সকালে মনে থাকেনা.।.।.।.।.।।।
একদম সত্যি।
অনেকদিন পর ব্লগে বসলাম। আশাকরি ভালো আছেন। শুভেচ্ছা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে প্রত্যাবর্তনে সুস্বাগতম!

২০২০ এর অক্টোবরে আপনার পরিবারের উপর যে ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে এসেছিল, আশাকরি তা এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন। পরিবারের সবার জন্য রইলো শুভকামনা!

ব্লগে ফিরে সময় করে আমার এ লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি।

১৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি সত্যিকার অর্থেই লিখি নিজের জন্য, একান্ত নিজের জন্য। কলেজে পড়াকালীন সময়ে "যায় যায় দিন" সাপ্তাহিকে ছদ্মনামে লেখা পাঠাতাম, অনেকগুলো লেখা ছাপাও হয়েছিলো। যা শুধু আমি আর আমার খুব কাছের এক বন্ধু ছাড়া আর কেউ জানতো না। অথচ বাসার সবাই সে লেখা পড়তো। এখনো অনেকগুলো কপি সংগ্রহে আছে। এরপর প্রায় বছর দশেকের মত লেখালেখি থেকে বহুদূর এ ছিলাম। ২০১০ এর দিকে এসে গুগল ব্লগস্পট সাইটে লেখালেখি আবার শুরু করলে এক বন্ধুর মাধ্যমে ২০১৩ সালের শুরুতে সামু ব্লগে পথচলা শুরু। উভয় ব্লগ সাইটেই ছদ্মনাম। আমি কেন জানি ছদ্মনামে লিখতে পছন্দ করি। তবে নিজের লেখাগুলো যখন অনেক অনেক দিন পর নিজে পড়ি; অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করে। অনেক লেখা পড়ে মনে হয় এগুলো আমার নিজের লেখা! আবার ভ্রমণ কাহিনীগুলো পড়ে ফিরে যাই ভ্রমণকালীন সময়ে। আমি কিন্তু প্রায়ই অফলাইনে সামু ব্লগে ঢুঁকে নিজের অনেক পুরাতন লেখা পড়ি। অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। সবচেয়ে বড় কথা, যখন এই আঙ্গুলগুলো আর চলবে না কিবোর্ডের বুকে, নিউরনের গলিপথে দৌড়ানোর খুব একটা সামর্থ্য থাকবে না, অফুরন্ত অবসরের সাগরে যখন ভেসে বেড়াবো (যদি ততদিন আল্লাহ্‌ হায়াত দেন); তখন এই নিজের লেখাগুলোই আমাকে সঙ্গ দিবে। আমি লিখে যাবো যতদিন শক্তি আর সময় আছে; তারপরের দিনগুলোর জন্য। অনেকের অনেক কারণ থাকে লেখার, আমার কারণ এটা। একটা সময় যখন মাত্র এইচএসসি পাশ করলাম; তার আগে পরে খুব ইচ্ছে হত একটা গল্প বা কবিতার বই বের করি বই মেলায়। তখন টাকা ছিলো না্‌ ইচ্ছে ছিল, প্রচন্ডরকম। আর এখন টাকা আর লেখা (মোটামুটি) আছে একটা বই প্রকাশ করার মত; কিন্তু সেই ইচ্ছে আর আগ্রহটা নেই। তবে নিজে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখেছি বলে ধীরে ধীরে সকল লেখা ব্যক্তিগত ব্লগ সাইটেও তুলে রাখছি।

উফফ, অনেক কথা বলে ফেললাম ভাইয়া। পোস্টটা প্রিয়তে তুলে নিলাম প্রথম হিসেবে। অনেকের অনেক লেখালেখির কথাগুলো পরে পড়তে পারবো; সাথে আপনার চমৎকার ভাবনার কথামালাও।

ভালো থাকুন সবসময়। ভালো কাটুক প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ। অনেক অনেক শুভকামনা থাকবে। সুস্থতা এবং সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি। :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমারও খুব ইচ্ছে আছে নিজের একটা 'গুগল ব্লগস্পট সাইট' খোলার। এ বিষয়ে ব্লগার আরজু পনি অনেক আগে একটা দিক নির্দেশনামূলক পোস্ট লিখেছিলেন বলে মনে পড়ে। আমার বয়সীদেরকে এখন 'পুরনো যুগের মানুষ' বেশ সহজেই বলা যায়, কারণ আমি এখন একজন 'সিনিয়র সিটিজেন' (বয়সের মাপকাঠিতে মাত্র, অন্য কোন বৈশিষ্ট্যে নয়)। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে যেটুকু প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন, তার খুব সামান্যই আমি আয়ত্তে আনতে পেরেছি। এছাড়া 'সময় বড় বালাই'।

এই 'গুগল ব্লগস্পট সাইট' খোলার ব্যাপারে প্রথমে কিভাবে আগাবো, একটু ধারণা দিলে উপকৃত হ'তাম। এছাড়া নিজের সেলফোনের গ্যালারীতে কিংবা ল্যাপটপের/ফোনের ফেসবুক এ্যালবামে থাকা কোন ভিডিও ক্লিপের লিঙ্ক কিভাবে এ ব্লগের পোস্টে সংযোজন করা যায়, সেটাও জানতে চাই। আমার অনেক পোস্টে সংযোজনের জন্য, বিশেষ করে ছবি ব্লগে, অনেক সুন্দর সুন্দর ভিডিওচিত্র সংগ্রহে ছিল, কিন্তু প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অভাবে তা সংযোজন করতে পারিনি। এজন্য কি নিজের একটা ইউটিউব একাউন্ট খুলতে হবে? এ জিনিসগুলো জানার জন্য এত লোক থাকতে আমি 'বোকা মানুষ'কেই জিজ্ঞাসা করলাম, কেননা তার জ্ঞানের উপর আমার ভরসা আছে! :)

"উফফ, অনেক কথা বলে ফেললাম ভাইয়া" - দেখুন, আপনার কথাগুলো আমাকে কতকিছু নিয়ে ভাবালো! আপনার অনেক কথাই আমার ভাবনার সাথে মিলে গেছে। যেমনঃ
"সবচেয়ে বড় কথা, যখন এই আঙ্গুলগুলো আর চলবে না কিবোর্ডের বুকে, নিউরনের গলিপথে দৌড়ানোর খুব একটা সামর্থ্য থাকবে না, অফুরন্ত অবসরের সাগরে যখন ভেসে বেড়াবো (যদি ততদিন আল্লাহ্‌ হায়াত দেন); তখন এই নিজের লেখাগুলোই আমাকে সঙ্গ দিবে। আমি লিখে যাবো যতদিন শক্তি আর সময় আছে; তারপরের দিনগুলোর জন্য। অনেকের অনেক কারণ থাকে লেখার, আমার কারণ এটা"- জ্বী, এ ভাবনাটা আমিও ভাবি। খুব সুন্দর করে বলেছেন কথাগুলো।

পোস্ট পড়ে আমার এ সামান্য ও অকিঞ্চিৎকর ভাবনার কথামালাকে অনন্য মর্যাদা দিয়ে পোস্টটাকে "প্রিয়"তে তুলে নিয়েছেন, এজন্য জানাচ্ছি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনার উষ্ণ শুভেচ্ছাবাণী আমাকে স্পর্শ করেছে। অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা---



১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩৩

রোবোট বলেছেন: কবিতা আসলেই বুঝিনা। ক্যালকুলাসও বুঝিনা। তার মানে এই না, আমি ক্যালকুলাসের গুরুত্ব কমাচ্ছি।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতার সাথে ক্যালকুলাস! - তুলনাটা ভালোই করেছেন! :)
আসলে গুরুত্ব কোনটারই কম বা বেশি নয়। যার যখন যেটা প্রয়োজন, সে তখন সেটা বেছে নেয়। আজ যেটা বুঝিনা, কাল সেটা বুঝতেও পারি তো!
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কী কারণে লেখালেখি করেন, সে সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেল। জেনে ভালো লাগল।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ পোস্টের সূত্রপাত হয়েছে কিন্তু আপনারই একটা পোস্ট পড়ে। এখন আপনি এসে আমার এ পোস্ট পড়ে মন্তব্য ও প্লাস রেখে গেলেন, এতে অনেক খুশি হ'লাম।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!

১৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভাইয়া, প্রথমেই ধন্যবাদ বোকা মানুষকে জ্ঞানের কথা জিজ্ঞেস করে। "বোকারাও জ্ঞানী হতে চায়, কেউ হয়, কেউ হয় না..." এমন একটা গান থাকলে ভালো হতো। যাই হোক, বর্তমানে সবার হাতেই এন্ড্রয়ড ফোন, কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া। আর এই এন্ড্রয়ড এর জন্য অতি অবশ্যই প্রয়োজন জিমেইল একাউন্ট, যা সবার আছে। আর জিমেইল হলো গুগুল এর মেইল সার্ভিস। একটা জিমেইল একাউন্ট থাকা মানে আপনি তা দিয়ে গুগল এর নানান সেবা সহজেই নিতে পারবেন, যার মধ্যে রয়েছে ব্লগস্পট সাইট blogger, রয়েছে Youtubeও। গুগল এর সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে:



ইউটিউব চ্যানেল ওপেন এর জন্য ইউটিউব এ প্রচুর টিউটোরিয়াল ভিডিও রয়েছে, আপনার জন্য র‍্যান্ডমলি সিলেক্টেড একটা শেয়ার করলাম, তার সাথে ব্লগস্পট blogget এর আরেকটা ভিডিও:





আর ইচ্ছে আছে খুব শীঘ্রই গুগল এর সেবা সমূহ নিয়ে এবং ব্লগস্পট blogger সাইট খোলা নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার। বিশেষ করে আপনার জন্য। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন সবসময়।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার একটা অনুরোধ রক্ষার্থে আপনি এতটা সময় ব্যয় করে বিষয়টা বুঝিয়ে দিলেন, সত্যিই এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাবার কোন ভাষা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। ইতোমধ্যে গতকাল প্রকাশিত বিষয়টি সম্পর্কিত আপনার পোস্টটিও একবার পড়ে ফেলেছি। আপনার এই শ্রমসাধ্য কাজটির প্রতি যথার্থ সম্মান জানানো হবে সেদিনই, যেদিন আমি আপনার এ টিউটোরিয়াল অনুসরণ করে ব্লগস্পটের নিজস্ব পাতায় আমার লেখালেখি চালু করতে সক্ষম হবো। আপাততঃ কিছু ব্যস্ততার কারণে পর্যাপ্ত মনযোগ দিতে পারছি না, শীঘ্রই পূর্ণ মনযোগ সহকারে পোস্টটি আবার পড়ে এবং তা অনুসরণ করে আমার প্রচেষ্টা শুরু করবো।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন।

১৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দুঃখিত ভাইয়া। উপরের একটি মন্তব্য মুছে দিয়েন। আর আপনার জন্য লেখা আজকের নতুন পোস্টঃ নিজের Gmail দিয়ে blogspot.com এ blogger সাইট তৈরীর প্রাথমিক টিউটোরিয়াল।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: একই মন্তব্য দু'বার এসে গেছে বলে আপনার অনুরোধ মোতাবেক দ্বিতীয় মন্তব্যটি মুছে দিলাম। আর আজকের পোস্টের জন্য আবারও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

১৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:২৬

সোহানী বলেছেন: আপনি কেন লিখেন তা কিন্তু আমি যখন থেকে আপনার লিখা নিয়মিত পড়ি তা বুঝতে পেরেছি। আপনি যখন লিখা শুরু করেছিলেন তখন আমি অসম্ভব ব্যাস্ত ছিলাম তাই ব্লগে কম আসতাম। মাঝে মনে হয় দু'বছর ব্লগে আসতেই পারিনি। তারপরও, কিছু ব্লগারকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে বুঝি বলেই মনে করি এদের মাঝে আপনিও একজন। আসলে বিষয়টি খুব সহজ। যারা নিজেকে উন্মুক্ত করে লিখায় তাদেরকে বোঝা তেমন কোন কঠিন কাজ না।

আমি কেন লিখি তার উত্তর আমার ১০ বছর পূর্তির পোস্টে দিয়েছিলাম। তারপরও এ প্রশ্নের উত্তরটা আবারো দেই।

আমি ব্যাক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিবাদী মনে করি। কিন্তু কখনো কখনো সে প্রতিবাদ করা সম্ভব হয় না অবস্থা বা পরিবেশ এর কারনে। তাই লিখে রেখে নিজের মাথা ঠান্ডা করি............হাহাহাহা। নতুবা ঘুম হতো না ;)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কেন লিখেন, সেটা আপনার লেখাতেই উজ্জ্বল হয়ে ফুটে ওঠে। প্রতিবাদী মানুষ আপনি, সেটার প্রতিফলন আপনার পোস্টে দেখা যায়। একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আপনি ঠিক কাজটিই করে চলেছেন।

পোস্ট পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৫

শোভন শামস বলেছেন: মাঝে মাঝে কেন যেন কিছু লিখতে ইচ্ছে করে, না লিখলে ভাল লাগে না, তাই লিখে যাই। কিছু লিখা ভাল লাগতে পারে পাঠকের কিছু না ও লাগতে পারে। মনের আনন্দেই এই লিখে যাওয়া। আপনার সুন্দর লিখার জন্য ধন্যবাদ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: না লিখলে ভাল লাগে না - যাদের মাথার ভেতরে লেখার বিষয়বস্তু সবসময় ঘোরাফিরা করে, তাদের অবশ্যই এরকমই মনে হয়।
"মনের আনন্দেই এই লিখে যাওয়া" - অবশ্যই তাই।
পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:

লেখালেখিতে উদারতা থাকলে শান্তি মেলে। হৃদয় বিশাল হয়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "লেখালেখিতে উদারতা থাকলে শান্তি মেলে। হৃদয় বিশাল হয়" - অত্যন্ত চমৎকার একটি ভাবনা!
কবিতা পাঠের পর এত সুন্দর একটি পর্যবেক্ষণ এখানে শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: একাডেমিক শিক্ষায় ফাকিঁবাজ ছিলাম। স্কুল কামাই , লেখাপড়ায় অনীহা এবং বুঝতামও কম।
লেখাপড়ায় সিরিয়াস এবং মেধাটা একটু ভালো হলে হয় হয়তো লেখা লেখি হতো না।

আসলে মেধাটা খুব জরুরি। কারণ আমার লেখার কোনো উন্নতি হয়নি। যদিও ব্লগটা লেখা লেখি , চিন্তাধারা উন্নত করার প্রতিক্রিয়াশীল একটি মাধ্যম ছিল। ব্যৰ্থতা।
তবে মন খারাপ কিংবা আক্ষেপ নেই। কারণ মেধায় আমার হাত নেয়। মেধাবী হয়ে জন্মাতে হয়।

অনুভূতি , চিন্তা চেতনার প্রকাশ মাধ্যম হচ্ছে লেখা। এই বদ্ধ অনুভূতি গুলো প্রকাশ করতে পারা নিশ্চয় মুক্তির আনন্দের চেয়েও বেশি কিছু।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অনুভূতি , চিন্তা চেতনার প্রকাশ মাধ্যম হচ্ছে লেখা। এই বদ্ধ অনুভূতি গুলো প্রকাশ করতে পারা নিশ্চয় মুক্তির আনন্দের চেয়েও বেশি কিছু" - জ্বী, তা তো অবশ্যই! চমৎকার বলেছেন এ কথাগুলো! অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পাঠান্তে আপনার ভাবনাগুলো এখানে শেয়ার করে যাবার জন্য।

২৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একান্ত নিজের আনন্দের জন্যই লিখতাম।
আমি ডায়েরি লিখতাম, দেখলাম এটা কেউ পড়ছে দেখলে আমার লজ্জা লাগছে।
আমি হাসি আনন্দে থাকা মানুষ, লেখায়ও এর ছায়া পড়ে। কিছু লেখার জন্য বিড়ম্বনায় ও পড়তে হয়।
মানুষ গল্পের "আমি" ও লেখককে এক ব্যাক্তি ধরে বসে থাকেন।
গিন্নী ও বিব্রত, কোথাও কেউ প্রশ্ন করে ভাবি আপনি আর ভাইয়া নাকি এই এই করেছেন।

আপনার লেখালেখি বিষয়ক লিখাটি পড়ে শিবের গিত গেয়ে ফেললাম।শুভকামনা জানবেন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি হাসি আনন্দে থাকা মানুষ, লেখায়ও এর ছায়া পড়ে" - ঠিক, তা পড়ে বটে! কিন্তু এ নিয়ে আপনাকে এবং ভাবীকে মাঝে মাঝে বিব্রত হতে হয় জেনে লেখক হিসেবে আমি নিজেও অস্বস্তি বোধ করছি একজন লেখকের বিড়ম্বনার জন্য।
"মানুষ গল্পের "আমি" ও লেখককে এক ব্যাক্তি ধরে বসে থাকেন" - এটাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠিক হয়। কারণ, বাঙালিরা স্বভাবগতভাবে ছিদ্রান্বেষী এবং পরের ব্যাপারে অতি মাত্রায় অনুসন্ধিৎসু হয়ে থাকে।
"আপনার লেখালেখি বিষয়ক লিখাটি পড়ে শিবের গিত গেয়ে ফেললাম" - সেটা করলেন বলেই না আপনি কেন এবং কী লিখেন, তা জানতে পারলাম। আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা রইলো।

২৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৫

মুক্তা নীল বলেছেন:

ভাই ,
আপনার যে কোন ধরণের জীবনমুখী লেখা পড়তে আমার
ভীষণ ভালো লাগে । অফলাইনে থাকলেও আমি আপনার
লেখা ঠিকই পড়ে নেই ।
আর আমি তো তেমন লিখি না তাই পড়তেই ভালোবাসি।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অফলাইনে থাকলেও আমি আপনার লেখা ঠিকই পড়ে নেই" - অনেক ধন্যবাদ, জেনে প্রীত হ'লাম।

"আমি তো তেমন লিখি না তাই পড়তেই ভালোবাসি" - আপনি তেমন না লিখলেও, যেটুকু লিকেন, ভালোই লিখেন।

মন্তব্য এবন প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: উপভোগ্য পোস্ট হয়েছে, সবাই তার মতামত মন খুলে প্রকাশ করছে, বেশ।
আসলে অনেক বিষয়ের সাথে 'কেন' প্রশ্নের সংযোগ ঘটানো বেশ কঠিন, কেন'র উত্তরে অনেক কথা আসে, কিন্তু কারণ হারিয়ে যায়, হয়তো ছিলই না কখনও! ধরেন কেন বৃষ্টি হলে আনন্দ হয় তা কীভাবে বলবো, তাই কেন লিখি বোঝাতে পারছি না...

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, অনেক শুভকামনা।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যটি চমৎকার হয়েছে। কবিদের কথা বার্তা এমনই সুশোভন, ভব্য এবং বিনম্র হবে, এটাই স্বাভাবিক।
অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.