নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগে আসাঃ কারণ, উদ্দেশ্য এবং প্রাপ্তি

১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

‘সামহোয়্যারইনব্লগ’ বাংলা ভাষায় লিখা বৃহত্তম ব্লগ। এই ব্লগের পাঠক ও লেখকের সংখ্যা আজ ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। কোন পরিসংখ্যান জানা নেই, তবে সে সংখ্যাটা বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ কিংবা তার কাছাকাছি হলেও হতে পারে, এতে আমি মোটেও আশ্চর্যান্বিত হব না। আমরা যারা এ ব্লগে প্রতিনিয়ত কিংবা কেউ কেউ কালে ভদ্রেও আসি, তারা সাধারণতঃ নিম্নোল্লিখিত যে কোন একটি বা একাধিক কারণে ও উদ্দেশ্যে এসে থাকিঃ

১। আমাদের নিজস্ব কিছু ভাবনা, বিশ্বাস, অভিজ্ঞতা, অভিলাষ, অনুভূতি, উপলব্ধি, পর্যবেক্ষণ, জীবন-দর্শন ইত্যাদি একটি বৃহত্তর পাঠক সমাজের নিকট লিখিতভাবে উপস্থাপন করে তাদের সাথে আলোচনায় অংশ নিতে এবং তাদের মতামত জানতে আগ্রহী হয়ে এখানে আসি। পক্ষান্তরে, একই বিষয়গুলো নিয়ে লেখার তেমন কোন আগ্রহ না থাকলেও, অন্যরা এসব নিয়ে কী ভাবছেন, তা তাদের লেখা পড়ে জানতে চাই বলে এখানে আসি। প্রথম ক্ষেত্রে আমরা লেখকের এবং পরের ক্ষেত্রে পাঠকের ভূমিকা পালন করি, আর মন্তব্য প্রতিমন্তব্যের মাধ্যমে উভয় ভূমিকাই পালন করে থাকি।

২। উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আমাদের লেখা পোস্টগুলো বিভিন্ন কলেবরে প্রকাশ করে থাকি; যেমন কবিতা, গল্প, কথিকা, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী, ছবিব্লগ, রম্যকথন ইত্যাদি। যারা নিজে লেখার চেয়ে অন্যের লেখা পোস্ট পড়তে বেশি আগ্রহী, তারা নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোস্ট বেছে বেছে পড়েন। কেউ তা পড়ে নীরবে প্রস্থান করেন, আবার কেউ দু’চারটি কথা লিখে একটি আলোচনার সূত্রপাত করেন কিংবা একটি চলমান আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যান।

৩। কেউ কেউ আছেন, যারা জনহিতকর তথ্যাবলী সন্নিবেশ করে ক্রমাগতভাবে পরামর্শমূলক পোস্ট লিখে যান। তাদের এসব পোস্ট পড়ে অনেকেই উপকৃত হন, কিংবা অন্যকে উপকৃত হতে সাহায্য করেন। এসব পোস্টের পঠিত সংখ্যা, লাইক বা মন্তব্যের সংখ্যার তুলনায় “প্রিয় তালিকা”য় রাখার সংখ্যাটা আনুপাতিক হারে অনেক বেশি হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ ব্লগার এমটি উল্লাহ’র নাম উল্লেখ করা যায়। তিনি আইনী সহায়তামূলক প্রচুর পোস্ট লিখে চলেছেন, যা ভুক্তভোগী অনেক পাঠকের উপকারে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

৪। আমরা অনেকেই কোন কারণ বা উদ্দেশ্য ছাড়াই অনেক সময় ‘কিছু একটা পড়ে’ সময় কাটিয়ে যাবার জন্য এখানে আসি। এরকম ক্যাজুয়াল পাঠকের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয় বলে মনে করি। কবিতাপ্রেমীরা সরাসরি কবিতায় চলে যান, তথ্য পেতে আগ্রহীরা তথ্য অনুসন্ধানের জন্য বিষয়ভিত্তিক পোস্ট নির্বাচন করে সেখানে যান, স্রেফ একটা ভালো লেখা পড়তে আগ্রহী, এমন পাঠকেরা ‘নির্বাচিত পাতা’য় গিয়ে পছন্দ মাফিক পোস্ট পড়ে সময় কাটিয়ে যান। গল্পের পাঠকেরা গল্প খুঁজে নেন। এ ব্লগে উঁচুমানের কিছু গল্পলেখক প্রায় নিয়মিতভাবেই গল্প লিখে থাকেন।

৫। অনেকে দেশ বিদেশের রাজনীতি ও চলমান সমস্যা নিয়ে লিখতে ভালবাসেন। এদের লেখায় পাঠক সমাগম বেশি হয়। ফলে তর্ক-বিতর্কও বেশ জমে ওঠে, তবে ভাষার নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অনুপযুক্ত ভাষা প্রয়োগের ফলে এসব তর্ক-বিতর্ক অনেক সময় দুঃখজনকভাবে বিদ্বেষমূলক, যুদ্ধংদেহি ‘ক্যাচাল’ এ পরিণত হয়ে যায়।

৬। রন্ধনশৈলী, রসুইঘরের সাজসজ্জা এবং খাবার টেবিলে প্রস্তুতকৃত খাবার দাবার এর শৈল্পিক উপস্থাপনা নিয়ে নিয়মিতভাবে, বিশেষ করে প্রতিবছর ঈদ, রমজান ইত্যাদি উপলক্ষে তো বটেই, জাঁকজমকপূর্ণ পোস্ট দিয়ে একজন ব্লগার নিঃসন্দেহে তারকা পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন। তার নাম শায়মা হক। এ বিষয়টিতে তিনি এই ব্লগে নিঃসন্দেহে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এ বিষয়ক প্রতিটি পোস্টে তার উন্নত শৈলী ও রুচিবোধের পরিচয় পাওয়া যায়, তাই তার এসব পোস্টগুলোতে নিদারুণ ভোজনরসিক ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক সাধারণ পাঠকেরও সমাগম হয়। আর পাঠক সমাগমের আরেকটি কারণ, তার বুদ্ধিদীপ্ত, আন্তরিক প্রতিমন্তব্যসমূহ। অবশ্য আরেকজন ব্লগার, ‘দৃষ্টিসীমানা’ও এখানে প্রচুর ব্লগ লিখেছেন রান্না নিয়ে। তার লেখা মুখরোচক স্ন্যাক্স ও ভারি রান্নাবান্নার রেসিপিগুলো ইউটিউববিহীন যুগের সিদ্দিকা কবীর লিখিত সেই কালজয়ী বই এর মত প্রবাসী অনেক নবিশ পাচকের সহায় হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।

৭। ব্লগে অনেক ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে লেখা পোস্ট আছে, এবং তা এখন কিছুটা কমে গেলেও অব্যাহত আছে। এ বিষয়েও একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্লগার রয়েছেন, তার নাম জুন। তবে, তিনি তার ব্লগ নামের চেয়ে ‘ব্লগের ইবনে বতুতা’ নামে অধিক পরিচিত। তার ভ্রমণকাহিনীগুলোর বৈশিষ্ট হচ্ছে চাক্ষুষ দৃশ্যাবলী ছাড়াও তিনি স্থান কাল পাত্রের কিছু ঐতিহাসিক টীকাও যোগ করে থাকেন। তিনি নিজে ইতিহাসের ছাত্রী ছিলেন বলেই এ কাজটা করা তার পক্ষে অতি সহজ হয়, এবং আমার মত ইতিহাস অজ্ঞাত পাঠকদেরকে তিনি বিনোদনের পাশাপাশি ইতিহাসের আলো ছড়িয়ে সমৃদ্ধ করেন। এমন অনেক পাঠক আছে, যারা শুধু ভ্রমণ কাহিনী পড়ার জন্যই ব্লগে আসেন। আমি এমন অন্ততঃ একজনের নামোল্লেখ করতে পারি, তার নাম তারেক সিফাত। জুন ছাড়াও বোকা মানুষ বলতে চায়, সাদা মনের মানুষ, পুলক ঢালী, জোবাইর প্রমুখের ভ্রমণ কাহিনী তথ্য ও ছবিসমৃদ্ধ হয়ে থাকে। বিশেষ করে জোবাইর এর ছবিগুলো খুব সুন্দর, ঝকঝকে তকতকে এবং তথ্যসমৃদ্ধ হয়ে থাকে। তার লেখা “উত্তর মেরুতে নিশি রাতে সূর্য দর্শন" শীর্ষক আট পর্বের সিরিজটি অত্যন্ত সুখপাঠ্য এবং ছবিগুলো মনোহর, দৃষ্টিনন্দন। এ ধরণের ভ্রমণ কাহিনী পড়ার মজাই আলাদা। আমি এ ব্লগে আসার আগেও অনেক উল্লেখযোগ্য ভ্রমণকাহিনী এখানে লেখা হয়েছে, তবে নিবিষ্ট মনে সেগুলো পড়া হয়নি বিধায় কারও নামোল্লেখ করতে চাই না।

৮। ব্লগে রম্যকথনের চাহিদাও বেশ রয়েছে। বাঙালিরা এমনিতেই কৌতুকপ্রিয় জাতি। তাই রম্যরচনায়ও অনেক পাঠক সমাগম হয় এবং এ বিষয়টি অনেকেরই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। আখেনাটেন এ ব্লগের একজন চমৎকার রম্য লেখক। তার রম্যকথনের আমি একজন বিশেষ ভক্ত। এ ছাড়া গিয়াস উদ্দিন লিটনও প্রায়ই রম্য পোস্ট লিখে থাকেন। রম্য পোস্ট ছাড়াও তার অন্যান্য পোস্টে এবং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যেও রসবোধের ব্যাপক পরিচয় পাওয়া যায়।

৯। গবেষণাধর্মী লেখারও প্রচুর পাঠক রয়েছে এ ব্লগে। হাল আমনে এ বিষয়ে ড. এম এ আলী অগ্রগামী রয়েছেন। তিনি তার পোস্টে এবং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে প্রচুর গবেষণালব্ধ তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে থাকেন।

১০। এ ব্লগের আরেকটা অন্যতম আকর্ষণ ছবি ব্লগ। পেশাগতভাবে না হলেও, অনেক ভালো ভালো চিত্রগ্রাহক রয়েছেন এ ব্লগে। তারা মাঝে মাঝে চোখ ঝলসানো ছবি এবং সেই সাথে কিছু আকর্ষণীয় বর্ণনা দিয়ে ব্লগারদেরকে প্রভূত আনন্দ দিয়ে থাকেন। আগে এরকম অনেক ব্লগার ছবি ব্লগ দিতেন, যাদের পোস্টগুলো খুবই পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। আমার ব্লগিং সময়ে আমি অন্ততঃ দু’জন ব্লগারের নামোল্লেখ করতেই পারি, যাদের ছবিব্লগের জন্য পাঠকেরা অপেক্ষা করে থাকেন। এখন নিয়মিতভাবে ছবিব্লগ দিচ্ছেন, এদের মধ্যে প্রথমেই নাম করতে হয় মরুভূমির জলদস্যু'র কথা। এ বিষয়ে ওনার ব্লগপোস্টগুলো ব্লগ আর্কাইভের ঐশ্বর্য হিসেবে গণ্য। এ ছাড়া আরেকজন ব্লগার অনিয়মিতভাবে ছবিব্লগ পোস্ট করে থাকেন, তিনি হচ্ছেন কাজী ফাতেমা ছবি। তিনিও খুব সুন্দর ছবি তোলেন এবং কখনো সেগুলো কবিতার সাথে, কখনো গদ্য-বর্ণনার সাথে ব্লগে পোস্ট করে থাকেন।

আমি কেন আসিঃ

ব্লগে আমার পদার্পণ হয়েছিল কবিতা নিয়ে। কবিতাই আমার লেখালেখির প্রথম ভালবাসা। এখানে বেশ কিছু ভালো কবির কবিতার সাথে পরিচিত হয়েছি, তবে স্বীকার করতে মোটেও অনিচ্ছুক নই যে এ বিষয়টিতে ব্লগের মান অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে পিছিয়ে আছে। আর সে কারণেই হয়তো ব্লগের কবি ও কবিতা নিয়ে মাঝে মাঝে কিছু বিরূপ মন্তব্য এসে থাকে। আমার পছন্দের তালিকায় উচ্চস্থানে রয়েছে মানুষের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতালব্ধ বর্ণনাসমৃদ্ধ পোস্ট, সেটা কবিতাই হোক, কিংবা গল্প কিংবা অন্য কিছু। ভালো হোক, মন্দ হোক, জীবনের অভিজ্ঞতা একটি অমূল্য অর্জন। মানুষ, বিশেষ করে অন্তর্মুখী মানুষেরা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনায় আন্তরিক এবং অকপট হয়ে থাকেন। তারা মুখে যে কথা সবার সাথে, কিংবা কারও সাথেই শেয়ার করতে পারেন না, সে কথাগুলোই গভীর আন্তরিকতার সাথে এবং অকপটে ব্লগে শেয়ার করে থাকেন। সেখানে তাদের হৃদয়ের ছোঁয়া পাওয়া যায়। এসব “হৃদয়ের কথা” কেউ কবিতায় ব্যক্ত করে থাকেন (খুব কম সংখ্যক কবিই সফলভাবে), কেউ ফিকশনের মাধ্যমে, আবার কেউ কেউ খুব নিখুঁতভাবে যে কোন লেখাতেই তা প্রকাশ করতে পারেন। এই ধরণের লেখা আমার পড়তে ভালো লাগে। ব্লগে প্রচুর সংখ্যক রাজনীতি এবং ধর্ম বিষয়ক পোস্ট এসে থাকে। আমি সেসব আগ্রহ নিয়ে পড়ে থাকলেও, মন্তব্য করা থেকে সাধারণতঃ বিরত থাকি। বিশেষ করে যেসব লেখা প্রচারসর্বস্ব এবং একচোখা দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে লেখা হয়ে থাকে, সেগুলো পড়া শুরু করলেও অনেক সময় শেষ করা সম্ভব হয় না।

আর সবার মতই, ব্লগে কোন লেখা পোস্ট করে আমি গভীর আগ্রহে পাঠকের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি। মন্তব্য পেলে যথাসম্ভব আন্তরিকতার সাথে তার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করে থাকি। মন্তব্য পড়েই বেশ বোঝা যায়, কারা পোস্টটি গভীর মনযোগসহকারে পড়েছেন, কারা দায়সাড়াভাবে পড়েছেন আর কারা মোটেই না পড়ে কেবলমাত্র উপস্থিতিটুকু জানাবার জন্য মন্তব্য (অনেক সময় অপ্রাসঙ্গিক) করে গেছেন। যারা আমার পোস্টে মন্তব্য করেন, আমি চেষ্টা করে থাকি সৌজন্যবশতঃ তাদের কিছু লেখাও মনযোগ দিয়ে পড়ে সেখানে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য রেখে আসতে। অনেক ক্ষেত্রে আমাকে একটি লেখায় একাধিক মন্তব্য করতে হয়, লেখকের লেখার প্রতি সুবিচার করার জন্য। আমি যেসব লেখায় মন্তব্য করি, সেখানে সব মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলোও পড়ে, যেগুলো মনে রেখাপাত করে সেগুলো নিয়েও কিছু কথা বলে আসি। হয়তো আমি এখন পূর্ণ অবসরে আছি বলেই আমার পক্ষে সেটা করা সম্ভব হয়। অনেক ক্ষেত্রে পোস্টের চেয়ে কিছু মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য পড়ে আমি বেশি সমৃদ্ধ হই এবং উপভোগ করি। আমি নিজেও বোধকরি পোস্ট লেখার চেয়ে মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি এবং উৎসাহী হয়ে থাকি। অতি সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত আমার পোস্টে কোন মন্তব্য জবাববিহীন নেই এবং আমার পোস্টে মন্তব্য পাওয়ার চেয়ে অন্যের পোস্টে আমার মন্তব্য করার সংখ্যাটা আনুপাতিক হারে প্রায় ১৫% বেশি, এ পরিসংখ্যানটি আমার এ বক্তব্যের সাক্ষ্য বহন করে।

প্রাপ্তিঃ

এ ব্লগে আমার লেখালেখির বয়স প্রায় সাড়ে ছয় বছর চলছে। এই পিরিয়ডে আমি এখানে যে সময়টুকু ব্যয় করেছি, তা সার্থক হয়েছে অনেক মেধাবী লেখক, পর্যবেক্ষক এবং পরিব্রাজক এর সাথে পরিচিত হয়ে, মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যের মাধ্যমে তাদের সাথে ঐকান্তিক মিথষ্ক্রিয়ায়। কোন পোস্ট লেখার সময় এবং অন্যের পোস্ট পড়ার সময় আমি বেশ অনুভব করতে পারি, এ ব্লগে অনেক মনযোগী পাঠক রয়েছেন যারা আমার শুভাকাঙ্খী। আমিও এমন অনেক ব্লগারের লেখা ও মতের সাথে একাত্ম বোধ করি। এই পারস্পরিক সৌজন্য, আনুকূল্য এবং শ্রদ্ধাবোধ এখানে আমার ব্লগিং এর একটি উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি।

সকল ব্লগারের প্রতি রইলো আমার আন্তরিক শুভকামনা এবং শ্রদ্ধা। সকলে ভালো থাকুন, সুস্বাস্থ্যে, সপরিবারে।


মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
১৭ এপ্রিল ২০২২
শব্দসংখ্যাঃ ১৪০১

মন্তব্য ৭৫ টি রেটিং +২৮/-০

মন্তব্য (৭৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হুম, কমবেশি কারন এগুলোই। ব্লগের সবচেয়ে বড় সুবিধে হলো যা তা লিখে কেউ বাহবা পায়না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ব্লগের সবচেয়ে বড় সুবিধে হলো যা তা লিখে কেউ বাহবা পায়না" - জ্বী, ঠিক বলেছেন। ফেসবুকের সাথে ব্লগের এটা একটা বড় পার্থক্য।

পোস্টে প্রথম মন্তব্যটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




যে বিষয়গুলো উল্লেখ করে আপনি ব্লগে আসার কারণ, উদ্দেশ্য এবং প্রাপ্তি নিয়ে লিখেছেন, আমার মনে হয় আপনি প্রায় সকল সামু ব্লগারদের না বলা কথাটিই বলে দিয়েছেন।

দুর থেকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "প্রায় সকল সামু ব্লগারদের না বলা কথাটি" লিখতে পেরেছি, এমন একটি প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর আপনাকেও জানাচ্ছি দুর থেকে নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা! ভালো থাকুন সুস্বাস্থ্যে, সপরিবারে।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সামু বন্ধ হয়ে গেলে কি করবেন?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: তখন দেখা যাবে কী করা যায়! করার তো কত কিছুই আছে, মাঝে মাঝে মনে হয় ২৪ ঘণ্টা আমার জন্য যথেষ্ট নয়। 'লেখালেখি' যতদিন ভেতর থেকে আসবে, কোথাও না কোথাও চালিয়ে যাব।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমার সামুতে আসা মূলত অন্যদের লেখা পড়ে নিজেকে সমসাময়িক ভাবনা গুলুর সাথে আপডেট রাখা। লিখতে বেশি আগ্রহ নেই কারণ আমি জানি এখানে অনেকেই আমার চেয়ে ভালো জানেন এবং লিখেন, তাই পাঠক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেই বেশি পছন্দ করি। ভালো থাকবেন কবি, শুভকামনা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখানে অনেকে আপনার চেয়ে ভালো লিখলেও, আপনি আপনার লেখা লিখতে থাকুন। আপনার কোন ভাবনা বা অভিজ্ঞতার কথা হয়তো অন্যকেও ভাবনার খোরাক এবং আনন্দ দিতে পারে।

মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২০

নিমো বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলি প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র, দীন, একাকী। কিন্তু উৎসবের দিনে মানুষ বৃহৎ, সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ, সেদিন সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া বৃহৎ ...। ব্লগটাকে আমার ঠিক তাই মনে হয়। ভালো থাকুন, আর এভাবেই ব্লগ মাতিয়ে রাখুন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর মন্তব্যটি এবং 'লাইক' এর জন্য। আপনার সর্বশেষ পোস্টটি পড়লাম। চমৎকার হয়েছে।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার লেখার একজন ভক্ত! তবে সময় করে সব লেখা পড়া হয় না- যেটা পড়ি পুরোটা পড়ার চেষ্টা করি!
আপনি ভাল থাকুন- সুস্থ্য থাকুন।
চমৎকার পর্যালোচনা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও আপনার লেখার একজন ভক্ত। আপনার লেখায় অনেক বৈচিত্র আছে,ৈ বিভিন্ন বিষয়ে সাবলীলভাবে আপনি লিখে যেতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা, আপনার লেখাগুলো মৌলিক, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি থেকে লেখা হয়ে থাকে। সেখানে কোন ফাঁক ফোকর দিয়েও কৃত্রিম বা কল্পিত কোন কিছু ঢুকানো হয় না।

শুভেচ্ছা ও সালাম জানবেন। আপনি একজন মা-ভক্ত পুত্র, সন্তানদের প্রতি স্নেহ-বৎসল। আপনার জীবন সুখময় ও শান্তিপূর্ণ হবে, এটাই স্বাভাবিক।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি এখন মেলবোর্নে আছেন?
আপনার অবজারভেশন যথার্থই। সাম্প্রতিককালে ব্লগে ব্লগার শূন্যতার কারণে লগ ইন করতে কেন জানি উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছি।ব্যস্ততা মাঝেমধ্যে থাকে ঠিকই কিন্তু লগ ইন করতে অনীহার কারণে অনেক পোস্টে শুধু চোখ বুলিয়ে চলে যাই। এখন আপনার এই পোস্টটিতে কমেন্ট না করে পারলাম না। রমজানের এই সময়টাতে তাড়া থাকে। যাইহোক ব্লগটা আবার সরগরম হয়ে উঠুক। নববর্ষের শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, এ মাসের শুরুতে আমি মেলবোর্নে এসেছি।
সাম্প্রতিককালে আপনার মত অনেক ব্লগারই ব্লগিং করতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। আশাকরি, অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হবে এবং এর জন্য যা যা করণীয়, কর্তৃপক্ষ তা করবেন।
তাড়ার মাঝে থেকেও আমার এ পোস্টটা পড়ে মন্তব্য ও 'লাইক' রেখে যাবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রমজান এবং বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা!

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০১

ইসিয়াক বলেছেন: পোস্টটি পড়ে মনে হলো এ যেন আমারই মনের কথা চমৎকার কথামালায় সাজিয়ে লেখা।
সত্যি বলতে কি,ব্লগ পড়তে ই আমার ব্লগে আসা তারপর কিছু লিখতে ইচ্ছে হলো হঠাৎ। আসলে আমি আগে থেকে ই লিখি তবে তা কোথাও প্রকাশিত হয় নি।একবার এক পত্রিকায় লেখা পাঠিয়ে সেই লেখা ফেরত আসে এবং অন্য মানুষের হাতে পড়ে তারপর নানা জনের টিকা টিপ্পনীতে অতিষ্ঠ হয়ে আর কিছু ই লিখতাম না।
যাহোক ব্লগে লেখা শুরু করলাম কবিতার মত কিছু একটা দিয়ে অনেকে উৎসাহ দিলো,পরামর্শ দিলো, আমি অভিভূত হলাম।নয় নয় করে অনেক কবিতা লেখা হয়ে গেলে তারপর একটু পিছনে ফিরে আগের কবিতার মত যা কিছু লিখেছিলাম সেগুলো পড়ে একটু বিব্রত হলাম। হায় হায় এগুলো কি কবিতা হয়েছে? তারপর গল্প লিখতে চেষ্টা করলাম। অনেকেই সাহায্য করলো নানাভাবে । এখন আমি গল্প লিখে বেশি মজা পাই। যদিও এখন শিখছি।গল্পকার হিসাবে নিতান্ত শিশু তবে আমার খুব ইচ্ছে আমি একদিন ভালো গল্পকার হিসাবে পরিচিত হবো।

আপনার পোস্টটি খুব ভালো লাগলো প্রিয় ব্লগার।
শুভকামনা রইলো।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটির উদার প্রশংসা করেছেন, এটা আপনার উদার মনেরই পরিচায়ক।
আমি আপনার কবিতার সাথেই বেশি পরিচিত, কারণ প্রায় প্রতিদিন সকালেই ব্লগে আপনার একটা করে কবিতা পেতাম। এজন্য ব্লগার ঠাকুর মাহমুদ আপনাকে 'প্রভাত পাখি' বা প্রভাত কবি' এরকম একটি সম্বোধনে আখ্যায়িত করেছিলেন বলে মনে পড়ে। তবে আপনার গল্পও কয়েকটা পড়েছি, আরও পড়বো। গল্প এবং কবিতা, উভয় মাঠেই আপনি একজন সফল খেলোয়াড়। তবে দুটোর তুলনা করার মত অধিক সংখ্যায় আমি কোনটাই পড়িনি, তাই এ মুহূর্তে তুলনায় যাচ্ছি না। আরও কিছু পড়ার পর হয়তো তুলনা করতে পারবো।
"আমার খুব ইচ্ছে আমি একদিন ভালো গল্পকার হিসাবে পরিচিত হবো" - অবশ্যই হবেন। মনযোগ দিয়ে গল্প লেখা চালিয়ে যান, পাঠকের সমালোচনাকে আমলে নিন (যেগুলো নেয়ার মত, কেবল সেগুলোই) আর নিজেই নিজের ভুল ধরতে শিখুন। তাহলেই একদিন আপনি সাফল্য অর্জন করবেন। আর খেয়াল রাখবেন, গল্পে যেন শুধু যাপিত জীবনের ধারাবর্ণনাই না থাকে, কিছু সূক্ষ্ম জীবন দর্শনও থাকে, যা একজন কবি হিসেবে আপনার চোখে দৃশ্যমান হবার কথা।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হয়েছি, আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি নীরবে আমার এ পোস্টটিকে আপনার "প্রিয় তালিকা"য় তুলে নিয়েছেন, এজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২৪

শায়মা বলেছেন: আমি কেনো ব্লগে আসি?
এ প্রশ্নের উত্তর আমার মন জানে। যা হয়ত ভাষায় ঠিকঠাক প্রকাশ করা সম্ভব না।
আমাকে কয়েকদিন আগে মাহমুদ ভাইয়া জিগাসা করছিলো আমি কেনো আজও আজও ব্লগেই আছি? কত মানুষ ফেসবুক সেলিব্রেটি হয়েছে কত মানুষ কত দিকে চলে গেলো। বলতে গেলে ব্লগ আজ প্রায় শূন্য। কিন্তু আমি কেনো এখনও একমাত্র ব্লগেই পড়ে থাকি। যদিও আমার ব্লগে উঁকিঝুকি বা পড়ে থাকা আগের তুলনায় অনেক কমেছে।

বিশেষ করে ২০১৯ থেকে লাইফ স্টাইল বদলাবার পর পর আমি ব্লগে সেই হারানো দিনের মতন এত সক্রিয় থাকতে পারিনি। তবুও ব্লগই আমার একান্ত ভালোবাসা। ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলো নয়।

তার কারণ কি?

১। ব্লগে টেবিল সজ্জা গৃহসজ্জা হতে শুরু করে যে কোনো পন্ডিতি লেখার ট্রাই করা এবং সে বিষয়ক মতামত গুরুগম্ভীর বা ফান এসব পাওয়া এক আনন্দময় পরিভ্রমন।
২। ব্লগে ছবিগুলি যেভাবে পর পর দেখা যায় তা যেনো পত্রিকার পাতা। লেখার চেহারার মাঝে একটা সত্যিকারের রাইটিং এর ছাপ আছে।
৩। ব্লগের ইন্টারএকশন আমি খুব এনজয় করি। সামুর জন্মলগ্ন হতে আজ পর্যন্ত কম মানুষের আনাগোনা হয়নি। মোটামুটি সবার সাথেই তিক্ত মধুর মানে টক ঝাল মিষ্টি ইন্টারএকশন হয়েছে আমার। সবকিছুর পরেও আনন্দময় ভালোলাগার ও ভালোবাসার যে ছায়া আমি পেয়েছি তা হয়ত একটা পরিবারের ফিলিংসই হতে পারে।
৪। যে কোনো ছবি, যেকোনো ভ্রমন বা যে কোনো ট্রেইনিং এও আমি যা শিখি তা আমি লিখে ফেলতে পছন্দ করি আর সেটা আমি সামুকেই সবার আগে দেই। এ এক রকম বন্ধন।
৫। গৃহসজ্জা টেবিল সজ্জা ঘরবাড়ি বাগানের সাজুগুজু এসব নিয়ে চর্চামূলক কিছু স্থানে আমার আনাগোনা আছে। আমি যত না রাঁধতে জানি তার চাইতেও সেসব সাজাতে ভালোবাসি এবং অবশ্যই তা নিজের ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে। সেসব শেয়ার করার আমার আলাদা জায়গা আছে তবুও আমি সেসব সামুতেও শেয়ার করতে ভালোবাসি। আসলে সামুর মানুষেরা আমার প্রথম পরিবারের মানুষ যাদেরকে শেয়ার না করলে আমার ভালো লাগেনা। তারপরও নানা কারণে অনেক কিছুই আড়ালে রাখতে হয়েছে আমাকে যা আসলে আমার পছন্দের না। কিন্তু পছন্দের না হলেও অনেক অপ্রিয় ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমি সংযত থেকেছি।

৬। সামুতে আমি হেসেছি কেঁদেছি ঝগড়া করেছি খড়গ হস্ত হয়েছি অনেকবারই। এসবের কারণ একটাই সবাইকেই সব কিছুর পরেই আমার নিজেদের মানুষই মনে হয়। জানি অনেকেই হয়ত হাসছে এই কথা শুনে।ভাবছে হ্যাঁ তুমি কত সাধু জানা আছে আমাদের। তুমি এই সব সাধুপনা ছাড়ো। হা হা হা
তবে সত্যি কথাটাই এই হ্যাঁ আমি রাগলে রণচন্ডি হই বটে তবে সবকিছুর পরেও আমি এই মনিটরের মাঝের মানুষগুলোকে এক অন্যরকম অজানা ভালোবাসায় ভালোবাসি। সে কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক।

৭। সামু থেকে আমার শেখার অবদান আমি কোনোদিনই অস্বীকার করতে পারবোনা।এই সামুতে যারা লিখেন তাদের লেখা দেখে তাদের কথা পড়ে শিখেছি যেমন তেমনই কিছু মানুষের সান্নিধ্য আমাকে অনেক অনেক বেশি পরিবর্তিত করেছে, উন্নত করেছে। তেমনই কিছু মানুষের ভুল দেখেও শিখেছি আমি। নিজে সেসব ভুল থেকে সাবধান হয়েছি। সোজা কথা সামুর সকল পজিটিভ নেগেটিভ দিকগুলো থেকেই আমি যা পেয়েছি তার মূল্য ছাকনী দিয়ে ছেকে নিলে হবে আমার বাকী জীবনের চলার পথের পাথেয়।
যদিও সামু এখন নম নম করে চলছে। ব্লগার প্রায় শূন্যের কোঠায়। দু একজন বিতর্কিত মানুষ ও বিতর্কিত লেখায় ভরে থাকে সামুর পাতা। তবুও
সামু কখনও বন্ধ হয়ে গেলে চিরতরে আমি সামুকে খুব মিস করবো। অনেকদিন মন খারাপ থাকবে আমার।

এই পরাবাস্তব জগতের মানুষগুলো যারা হারিয়ে গেছেন এবং এখনও আছেন সবাই অনেক অনেক প্রিয় আমার কাছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুদীর্ঘ, সুচিন্তিত এবং পোস্টের সাথে সমন্বয় রেখে সুবিশ্লেষিত এ মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আপনি দীর্ঘদিন ধরে এ ব্লগে আছেন। বহু লোকের লেখা পড়েছেন, আপনার লেখাও বহু বহু পাঠক পড়েছেন এবং তারা আন্তরিক মন্তব্য করেছেন। আপনার ব্লগীয় পরিসংখ্যানই বলে দেয় আপনি এ ব্লগের একজন অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগার।

এ ব্লগই কেন আপনার একান্ত ভালোবাসা, তার কারণগুলো একে একে সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছেন। এর মধ্যে অনেকগুলোই হয়তো পাঠকের অনুমেয় ছিল, তবুও আপনার কাছ থেকে জেনে ভালো লাগল।

ভালো থাকুন, শুভকামনা---

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার পোস্টে আমি কেন জানি একধরণের প্রশান্তির উপস্থিতি অনুভব করি যেটা আমার মতো অনেকেই স্বীকার করবেন বলে আমার বিশ্বাস। যে সকল ব্লগারের পোস্ট আপনি ভালো লাগার বলে এখানে উল্লেখ করেছেন এদের অধিকাংশেরই লেখাই আমার নিজেরও পছন্দের তালিকায়। আপনার এই তালিকার বাইরেও আমার বেশ কিছু পছন্দের ব্লগার রয়েছেন - বিশেষত ভ্রমণ ও গবেষণাধর্মী লেখার ক্ষেত্রে।

ইদানিং অনেক পোস্টদাতার ব্লগই অন্য কোনো ব্লগারকে অপছন্দ করার কারণে অবসেসড হয়ে লিখার ফোরাম হয়ে পড়ছে। একই লুপে বারংবার ঘুরেফিরে আসছে পোস্টের বিষয়বস্তু। কিছু পোস্টে অযথা ক্যাচাল অথবা ধর্ম-অধর্ম-বিজ্ঞান নিয়ে রেষারেষির ও কাঁদা ছুড়াছুড়ির রণক্ষেত্র হয়ে উঠার কারণে আমি নিজে সামুতে মন্তব্য করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার পোস্টে আমি কেন জানি একধরণের প্রশান্তির উপস্থিতি অনুভব করি" - অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম আপনার এমন একটি আন্তরিক মন্তব্যে; ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন!
"আপনার এই তালিকার বাইরেও আমার বেশ কিছু পছন্দের ব্লগার রয়েছেন - বিশেষত ভ্রমণ ও গবেষণাধর্মী লেখার ক্ষেত্রে - জ্বী, সেটাই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত। আমি নিজেও পুনরায় এ নিয়ে লিখতে গেলে কিংবা ভাবতে গেলে হয়তো আরও অনেক নাম মনে আসবে। পোস্ট লিখার সময় উপস্থিত যাদের নাম মনে উদয় হয়েছে, তাদের নামই উল্লেখ করেছি। নিশ্চয় এর বাইরে আরও অনেক নাম আমারও পছন্দের তালিকায় থাকবে।
যেসব কারণে আপনি সামুতে মন্তব্য করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন বলে উল্লেখ করেছেন, দুঃখজনকভাবে সেগুলো আমাকে এবং আমি নিশ্চিত, আরও অনেককেই খোলামেলা মন্তব্য করতে অনাগ্রহী করে তুলছে। সমালোচনায় সমস্যা নেই, কিন্তু সরাসরি ব্যক্তি আক্রমণ করা অপরাধ সমতুল্য।
প্রেরণাদায়ক মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এক কথায় চমৎকার লিখেছেন আপনি। খুবই গুছানো এবং পরিপূর্ণ হয়েছে লেখাটা।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন, আপনার এই প্রাণখোলা প্রশংসার জন্য। মন্তব্যে প্রীত হ'লাম।

১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: ব্লগে আসার মূল কারণই হচ্ছে পড়া । যখন প্রথম ব্লগে নিক খুলেছিলাম তখন কেবল গল্প পড়তাম । এখনও আমার প্রথম পছন্দ গল্পই । তারপর ফিচার ! ভ্রমন কাহিনী আর রম্য !

আমার লেখালেখির হাতে খড়িই এই ব্লগে যদিও সেটা কে লেখালেখি বলে না । ব্লগে যা লিখি সবই কেবল সময় কাটানোর জন্য । অনেক মানুষ অনেক কারণে লেখে । আমি এই দেশে এখনও ঠিক বিশ্বাস করি না যে লিখে সব কিছু উল্টে ফেলা যাবে । বরং সব সময় মনে হত যে লিখে আসলে কিছুই হবে না । এখনও তাই বিশ্বাস করি । আমার ব্লগে লেখার প্রধান উদ্দেশ্যই কেবল সময় কাটানো ! লিখে সময় কাটানো । এই কারণে লেখা নিয়ে চিন্তা করি নি কখনই । লিখতে ভাল লাগে তাই লিখি । কারো এই লেখা পছন্দ হতে পারে নাও হতে পারে তাতে আসলে কিছু যায় আসে না । আমার দরকার কেবল সময় কাটানো !

ব্লগের মিথোষ্ক্রিয়াতে আমি বরাবর অপটু ! আগে তো মানুষের পোস্টে মন্তব্য পর্যন্ত করতাম না । গুটি কয়েক মন্তব্য । তবে ইদানীং কিছু পছন্দের মানুসের ব্লগ পড়ে মন্তব্য করি সব সময় !

১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন আপনার ব্লগিং এর পটভূমি, কারণ এবং উদ্দেশ্য। বক্তব্য পরিষ্কার, কারণ উদ্দেশ্য পরিষ্কার। তবে নিজের লেখা সম্বন্ধে আপনি যতই বিনীত মনোভাব ব্যক্ত করেন না কেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনার গল্প লেখার মান উচ্চ, এবং আপনি প্রায় নিয়মিতভাবেই এ ব্লগে গল্প, কথিকা ইত্যাদি লিখে থাকেন।

মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মতোন এরকম একটা পোষ্ট লেখার ইচ্ছা জাগছে। যদিও আমি আপনার মতোন এরকম সুন্দর করে লিখতে পারবো না।

২০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এরকম একটা পোষ্ট লেখার ইচ্ছা যখন মনে জাগছেই, তখন ইচ্ছেটা থাকতে থাকতেই লিখে ফেলুন। ব্লগে আপনার অভিজ্ঞতা আমার চেয়ে অনেক দীর্ঘদিনের, সুতরাং আপনার লেখাটাও অনেক তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করি।

১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৩০

সোহানী বলেছেন: কেন আছি, কেন এসেছি, কেন টিকে আছি.......... এর উত্তর দিয়েছিলাম আমার দশ বছর পূর্তিতে। এখানে আবারো শেয়ার করলাম। এরপরও গড়িয়ে গেছে আরো চারটি বছর। তারপরও আছি কোনরকমে। সেই আগের মতো হয়তো এ্যাক্টিভ নই, সময় বের করা কঠিন.... তারপরও আছি।

আপনার কথাগুলো পুরোপুরিই আমাদের সবার কথা। এখানে কোন স্বার্থের টান নেই, শুধু ভালোবাসা কিংবা ভালোলাগার টানেই আসা। যারা ক্যাচাল করে বা করছে তাদেরকেও আমি পজিটিভলি দেখি। এটা অনেকটা ভালোবাসার অধিকার থেকেই ওরা ক্যাচাল করে। করুক না, অসুবিধা তো নেই। শুধু ছেলেমানুষি না করলেই হলো। কিংবা নোংড়ামি........। সহনশীল মাত্রায় ক্যাচাল করে থাকুক না সবাই মিলেমিশে সুখে কিংবা দুখে।

আমার সেই পোস্ট...............
সামুতে ১০ বছর....কিছু চাওয়া পাওয়ার ১০ বছরের হালখাতা!!!!!


অফ দা টপিক্স! মেলবোর্নে কবে গেলেন? কানাডা কবে আসবেন???

২০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সেই পোস্টা আমি পড়েছিলাম। 'কী পেলাম' এবং 'কী পেলাম না' এর কথাগুলো খুব সুন্দর করে লিখেছিলেন। ছবিগুলোও খুব সুন্দর ছিল।
"সেই আগের মতো হয়তো এ্যাক্টিভ নই, সময় বের করা কঠিন.... তারপরও আছি" - এই থাকার জন্য ধন্যবাদ। তবে, অতি সম্প্রতি আপনার উপস্থিতি হঠাৎ করে অনেকটা কমে গেছে বলে মনে হয়।
"সহনশীল মাত্রায় ক্যাচাল করে থাকুক না সবাই মিলেমিশে সুখে কিংবা দুখে" - কিন্তু মাত্রাটা যে প্রায়শঃই আর সহনশীল পর্যায়ে থাকছে না!!!
মেলবোর্নে এ মাসের শুরুতেই এসেছি। কানাডা হয়তো আগামী বছর, ইন শা আল্লাহ!

১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:৪৮

সাসুম বলেছেন: ব্লগে এসেছিলাম নাফিস ইফতিখার এর মুভি রিভিউ পড়ার জন্য, চেয়ারম্যাণ ০০৭ নাজমুল ভাইর হাসির গল্প পড়ার জন্য, এরপর ফিফার বাদ্রামির জন্য, এরপর আরো হাজার হাজার জ্ঞান মুলক পড়ার জন্য। সেই দিন ও নাই, এই ব্লগার রাও নাই।

হাতে গোনা ২/১ জন টীকে আছে এখনো, উনারা টুকটাক লিখেন , তাদের লেখা পড়ি মাঝে মাঝে। ভাল লাগে।

আর পুরাটা ব্লগ জুড়ে থাকে রাজিব আর গাজির ১৪ গুষ্ঠি তুলে গালাগালি আর তারা কতটা খারাপ, ইসলামে নারীদের পর্দা করা কতটা জরুরি এবং সেই সাথে তাদের একটা স্পেসিফিক ধর্ম কতটা ভাল এই ক্যাচাল নিয়ে। এর বাইরে বর্তমানে ব্লগে কিছুই নাই।

ব্লগ এখন একটা গোরস্থান ব্যাতিত আর কিছুনা।

২০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সেই দিন ও নাই, এই ব্লগার রাও নাই" - আমি সেইদিনে ছিলাম না, তবে মাঝে মাঝে কিছু কিছু লিঙ্ক ধরে 'সেই দিনের' কিছু পোস্ট পড়ে এসেছি। সত্যিই, সেই দিনগুলোতে খুব মজা হতো। সিরিয়াস এবং হাল্কা, সব ধরনের পোস্টেই ব্লগ ভরপুর থাকতো। 'ক্যাচাল' তখনও ছিল, কিন্তু ব্যক্তি আক্রমণ বোধকরি তখন এতটা প্রকট ছিলনা।

১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সামু কেমন? যার মনে যেমন!

২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই নাকি? বেশ ছন্দ মিলিয়েছেন তো!

১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ব্লগকেই যথার্ত সময় কে উপভোগ করার মাধ্যম মনে করি । ফেইসবুক জঘন্য ওখানে মানব বসতির মতো যথেষ্ট অক্সিজেন নাই । ব্লগে আমি দক্ষিনের হাওয়া পাই । মাঝে মাঝে কিছু বাজে দুর্গন্ধ এসে যায় তা ক্ষনস্থায়ী ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়ে আপনার ভাবনাগুলো এখানে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা! আপনার ধারণা ঠিকই আছে।

১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি ব্লগে আসি- কাজ কাম নাই তাই!

২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি অনেক পুরনো ব্লগার। আপনার ক্রেডিটে অনেক ভালো ভালো এবং বহুল পঠিত পোস্ট রয়েছে।

১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার ও সুচিন্তিত লেখা। অন্যের লেখা পড়তে ভালোলাগে বিশেষ করে মন্তব্য প্রতিমন্তব্য গুলো পড়তে বড়ই ভালোলাগে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় করে ব্লগে এসে অন্যের লেখা পড়ে যান, মন্তব্য করে লেখককে উৎসাহ যুগিয়ে যান, এজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনার প্রথম পোস্টটিতে একটি মন্তব্য রেখে এসেছি।

২০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগে আসার মূল কারণই হচ্ছে পড়া । প্রথম ব্লগে নিক খুলার আগেই প্রায় তিন বছর ধরে নিয়মিত এখানে এসে গল্প পড়তাম।

২১ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বই (বা ব্লগ) পড়া একটি সুঅভ্যাস। এর সুফল সাধারণতঃ প্রত্যক্ষভাবে সবসময় চোখে না পড়লেও, পাঠকের মননশীলতা পরিমার্জনে, বাচিক এবং লিখিত ভাব প্রকাশের পারদর্শিতা পরিবর্ধনে এবং অভ্যন্তরীণ দৃষ্টি উন্মীলনে এই অভ্যাসের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই।

মন্তব্য এবং 'লাইক' এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৩

মেহবুবা বলেছেন: বেশ গুছিয়ে লিখেছেন এবং আহমেদ জী এস ঠিক কথা বলেছেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, লেখাটা পড়ে এখানে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।
প্রশংসায় প্রাণিত ও ধন্য।

২২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২৯

জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। আমি প্রথমবার এসেছিলাম জ্ঞাণ পিপাসু হয়ে। আর এখন না পেরেও আসি নেশার কারণে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনিও সুন্দর মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।

২৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শারাফাত রাজ ভাইয়ের ভ্রমন বিষয়ে লেখা গুলো খুবই ভাল লাগত।
এখন উনি আর লেখেন না।

২১ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি ওনার লেখা পোস্ট খুব সম্ভবতঃ একটাও পড়িনি। তবে এখন যেহেতু আপনি বললেন, খুঁজে দেখবো।

২৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

জুন বলেছেন: খায়রুল আহসান,
ব্লগের এত এত গুনীজনের মাঝে আমার কথাটি স্মরণ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি আপনার লেখা প্রথম থেকেই পড়তাম, তেমনি আপনিও আমার লেখা লেখির এক একনিষ্ঠ পাঠক আছেন বৈকি। আমার ভালোলাগতো আপনার সহজ সরল ঝরঝরে লেখা যা ছিল আপনার জীবনের জার্নাল। আপনাদের মত গুনীজনের সান্নিধ্য লাভ আমার ব্লগ জীবনের একটি বিশাল পাওয়া এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।
আমি কেন একদম অচেনা অজানা একটি জগত এই ব্লগে কি করে আসি তা লেখা আছে আমার প্রথম বর্ষপূর্তি পোস্টে। ছোট বেলা থেকেই বিখ্যাত সব লেখকদের প্রচুর বই পড়ার অভিজ্ঞতা ছিল। আমার মনে পরে স্কুলে প্রথম শ্রেনীতে পড়ার সময় আমার জন্মদিনে কাজী নজরুল ভক্ত আব্বা আমাকে উপহার দিয়েছিল সঞ্চিতা বইটি। বই উপহার দেয়ার ভীষণ চল ছিল আমার বাবা মা উভয়ের পরিবারেই, এটা আমাদের পারিবারিক বাতাবরণ বলতে পারেন। এহেন কোন আত্মীয় স্বজন নেই যার বাসায় একটি ছোট খাটো লাইব্রেরি নেই। তো এই পড়তে পড়তেই আমার লেখার প্রতি ভালোবাসা জন্মেছিল বলতে পারেন। আব্বার বছর শেষ হয়ে যাওয়া ফেলে দেয়া ডায়েরী আর স্কুলের রাফ খাতায় চলতো আমার সাহিত্য চর্চা। বড় হয়ে সেই আগ্রহটা কিছুটা চলে যায় লেখাপড়ার চাপে। তবে চীন ভ্রমণের সময় আমি আমাদের সাথে একই হোটেলে ওঠা বৃটিশ দম্পতির কাছে ব্লগ সম্পর্কে ধারণা পাই। আর তারপর পাই সামুর সন্ধান যা আমার কাছে ছিল লেখালেখির এক হীরের খনি। তবে ইদানীং বিভিন্ন ক্যাচাল ও পারস্পরিক অসহিষ্ণুতা ব্লগের জৌলুশকে অনেক অনেক কমিয়ে দিয়েছে যা ব্যথিত করে আমাকে।
অনেক কিছু লিখে ফেললাম, ভালো থাকবেন সব সময়। পোস্টটিতে ভালো লাগা রইলো তো বটেই সাথে প্রিয়তেও রাখলাম।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: একদম শুরু থেকে এ ব্লগে আমার লেখা যারা পড়তেন, এবং পড়ে মন্তব্য করতেন, তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকই এখন ব্লগে সক্রিয় রয়েছেন। আপনি অবশ্যই তাদের মাঝে অন্যতম। আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি যে আমার লেখা 'জীবনের জার্নাল' সিরিজটির প্রতিটি পর্বেই মনে হয় আপনার মন্তব্য রয়েছে। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমিও আপনার প্রচুর লেখা পড়েছি এবং সেখানে মন্তব্য রেখে এসেছি। কিন্তু আমার চেয়ে আপনার লেখা পোস্টের সংখ্যা তো অনেক বেশি, তাই আপনার লেখা পোস্ট যতগুলো পড়েছি, তার চেয়ে বেশি অপঠিত রয়ে গেছে। ব্লগে আপনাকে সবাই একজন ভ্রমণ বিশারদ হিসেবে চেনেন। কিন্তু ভ্রমণ কাহিনী ছাড়াও আপনি যে গল্প ও কবিতাও খুব সুন্দর লিখেন, তা আপনার পুরনো পোস্টগুলোতে না গেলে বোঝার উপায় নেই। তাই আমি মাঝে মাঝে আপনার পুরনো কিছু পোস্ট পড়ে আসি এবং বলাবাহুল্য, সেখানে মন্তব্যও রেখে আসি। কিন্তু নোটিফিকেশন বিভ্রাটের জন্য সেগুলো আপনার অনেক সময় জানা হয় না। তবে এই একটু আগেও আপনার লেখা প্রথম এই কবিতাটি-তবে তাই হোক: পড়ে একটা মন্তব্য রেখে আসলাম। ব্লগে আসার পেছনের কাহিনী জানতে আপনার প্রথম 'বর্ষপূর্তি পোস্ট' টাও পড়তে হবে, যদি ইতোপূর্বে না পড়ে থাকি।

আমার এ পোস্টটিকে আপনার "প্রিয় তালিকা"য় তুলে রাখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

২৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৯

অধীতি বলেছেন: দারুন একটি লেখা। অনেককে নিয়ে লিখেছেন। আপনার লেখা পড়ে ভাল লাগে। অবসর মনে হচ্ছে ভালই যাপন করতেছেন। আপনার অবসর অভিজ্ঞতা নিয়ে আরো লিখবেন আশা করি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। প্রশংসায় প্রীত ও প্রাণিত।
আমার ছাত্রজীবন এবং কর্মজীবনও ভালো ছিল, অবসর জীবনও ভালো যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ!

২৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার অনুভব অনুভূতি এত সূক্ষ্ম! প্রতিটি বিষয়ে আপনি সযত্নে লক্ষ্য রাখেন। মা-শাআল্লাহ! আল্লাহ তাআ'লা আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: দু'আর জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।
ভালো থাকুন, শুভকামনা....

২৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ব্লগে পড়ি লিখি আবার নিরব থেকে ঝগড়াও দেখি। গুটা কয়েকজন ব্লগার ছাড়া সব ব্লগারই আমার প্রিয় ব্লগার। তবে কিছু ব্লগার খালি পোসট করেন অন্যের পোস্টে মন্তব্য করেন না এটা ভালো লাগে না।

ছোট ছোট পোস্ট গুলো পড়ি, বেশী বড় হলে পড়ি না কারণ এত সময় নেই পড়ার। কাজের বিরতিতে ব্লগে আসি বিনোদন নিতে ভালো লাগে ব্লগ। সামু ব্লগই সেরা ব্লগ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "তবে কিছু ব্লগার খালি পোসট করেন অন্যের পোস্টে মন্তব্য করেন না এটা ভালো লাগে না" - এটা আমারও ভালো লাগে না। তাদের পোস্টে আমি প্রথম প্রথম মন্তব্য করতাম। কিন্তু ক্রমাগতভাবে আমার এবং অন্যান্যদের মন্তব্যে লেখককে নিরুত্তর থাকতে দেখে এখন আমি তাদের পোস্ট কদাচিৎ পড়লেও, মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকি।

"সামু ব্লগই সেরা ব্লগ" - এখনও আপনার এ কথাটির সাথে দ্বিমত পোষণ করার সময় আসে নি, তবে ভবিষ্যতে কি হবে কে জানে। কারিগরি কৌশলে ত্রুটিমুক্ত হতে না পারলে ভবিষ্যতে এ ব্লগটি পিছিয়ে পড়তে পারে।

২৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩

জ্যাকেল বলেছেন:
দুঃখজনক হইলেও সত্য আমি কবিতা পাঠ করি কম। কবিতার মর্মোদ্বার করতে প্রায় সময়েই নিজেকে অসহায় আবিস্কার করি বিধায় কি আর করা, বরং লম্বা প্রবন্ধ/লেখা পড়তে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। তবে ব্লগের ভ্রমণ কাহিনিতে যারা খরচের ব্যাপারে উৎসাহ দেন তাহা বাস্তবতার সাথে মনে হয় না মিল আছে।
আসলে আপনি যেভাবে বাক্য গঠন করেন তা খুব ভাল লাগে পড়তে। আমাদের বয়স হয়ে গেলেও অনেকের অস্থিরতার কারনে কনসিস্টেন্সি ধরে রাখতে পারি না আপনি যেটা খুব ভাল করে করেছেন। এই ব্যাপারটা খুব কম ব্লগারের ক্ষেত্রেই পাইতেছি। আর আপনার মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে যে যত্ন দেখি সেটাও প্রশংসনীয়। যাক, আমি প্রশংসা করতে একটু কিপটেমি করি বলা চলে তবে আপনার বেলায় যথাসম্ভব খোলাখুলি বলেই ফেললাম।
ভাল থাকুন, হ্যাপি ব্লগিং।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিপটেমি তো মোটেই নয়, বরং বলবো আপনি আশাতিরিক্ত উদারতার পরিচয় দিয়েছেন আমার লেখায় 'বাক্য গঠন' এবং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে 'যত্ন' অবলম্বনের ব্যাপারে। চেষ্টা করে থাকি যতদূর সম্ভব, অশুদ্ধ বানান এবং ব্যাকরণ পরিহার করে লিখতে। তবুও মাঝে মাঝে নিজের লেখায় ঐ প্রকরণের ভুল চোখে পড়ে, তখন সম্পাদনা করে শুদ্ধ করে নেই।

বোধকরি, আপনি আমার কোন পোস্টে এই প্রথম মন্তব্য করলেন। আমার ব্লগপাতায় আপনাকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি।

২৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৩

মুক্তা নীল বলেছেন:

জ্বী ভাই আমিও আপনার একজন মনোযোগী পাঠক এবং শুভাকাঙ্ক্ষী । অনেক সময় হয়তো মন্তব্য করা হয়ে ওঠে না
কিন্তু আমি আপনার লেখাগুলো প্রায়ই অফলাইনে পড়ি ।
ব্লগে আসার আপনার এই পর্যবেক্ষণের উপস্থাপনা খুবই
আন্তরিক এবং অমায়িক ।
ভালো থাকুন এবং ধন্যবাদ ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি আমার একজন 'মনোযোগী পাঠক এবং শুভাকাঙ্ক্ষী', সে কথা আমি ভালো করেই জানি। শুধু আমার নয়, আপনি যাদেরই পোস্ট পড়েন না কেন, তা মনযোগ দিয়েই পড়েন এবং তা পড়ে আন্তরিক মন্তব্য সেখানে রেখে আসেন, এটা আমি লক্ষ্য করেছি।
আপনার প্রশংসা এবং 'লাইক' পেয়ে অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা---

৩০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৪১

গরল বলেছেন: অতিব চমৎকার ও সময়োপযোগি পোষ্ট, আমিও আপনার মত একই কারনে ব্লগে আসি তবে প্রাপ্তির ক্ষেত্রে হয়ত কিছুটা ব্যাতিক্রম আছে। আমি আমার চিন্তা ভাবনাগুলো অন্যদের সাথে ঝালিয়ে নিতে পছন্দ করি কারণ আমার চিন্তা ভাবনা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চাইতে আমার চিন্তাটা সঠিক কিনা সেটা ভেরিফাই করাটা আমার কাছে জরুরী। আর সেজন্যই ব্লগ একটা উপযুক্ত মঞ্চ বলেই আমার কাছে মনে হয়। সেজন্যই ব্লগে আসি।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমার চিন্তা ভাবনা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চাইতে আমার চিন্তাটা সঠিক কিনা সেটা ভেরিফাই করাটা আমার কাছে জরুরী। আর সেজন্যই ব্লগ একটা উপযুক্ত মঞ্চ বলেই আমার কাছে মনে হয়" - চমৎকার আপনার এ ভাবনাটি। ব্লগে এখানে নানা বয়সের, নানা মত ও পথের পাঠক সমাবেশ হয়। তাদের সবার ভাবনার সাথে নিজের ভাবনাগুলোকে মিলিয়ে দেখার একটা সুযোগ পাওয়া যায়।

মন্তব্যে প্রীত ও প্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৩১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

কালো যাদুকর বলেছেন: এরকম ভাবে যদি সবাই ভাবত তাহলে ব্লগে কেচাল কম হত ৷
আমি ব্লগ আসি মূলত কবিতা লিখতে ৷

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি ব্লগ আসি মূলত কবিতা লিখতে" - শুধু লিখতে, পড়তে নয়?
যাহোক, কবিতা লিখতে থাকুন, লিখতে লিখতেই একদিন কবিতায় লিখায় অনন্য উৎকর্ষতা অর্জন করবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৩৪

মাস্টারদা বলেছেন: ব্লগে আপনার আগমনের হেতুর সাথে আমার হেতুর কিছু মিল আছে। কবিতা। সেটা পড়তে লিখতে ভালো লাগে। কিন্তু অধিকাংশ কবিতাই অখাদ্য মনে হয়।
অন‍্য সব বিভাগের ভালো কিছু ব্লগারকে মেনশন করলেও কবিতার ঘরটা ফাঁকা। ইচ্ছে করেই রেখেছেন বুঝতে পারা কঠিন নয়। কিন্তু আমার মতো নবীনদের ভালো কবিতার পথ খুঁজে পেতে আপনার পছন্দের কবিদের নাম ইঙ্গিতেও বুঝালে সুবিধা হয়।
ধন্যবাদ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অন‍্য সব বিভাগের ভালো কিছু ব্লগারকে মেনশন করলেও কবিতার ঘরটা ফাঁকা। ইচ্ছে করেই রেখেছেন বুঝতে পারা কঠিন নয় - এর কারণটা আপনি অনেকাংশে এর আগের বাক্যটিতেই বলে দিয়েছেন, যদিও আমার কাছে অধিকাংশ কবিতাকেই ঠিক 'অখাদ্য' মনে হয় না, তবে মনে হয় কবিতাগুলো সযত্নে লেখা হয়নি। আবার কিছু কিছু ভাল কবিতায় এত বেশি অশুদ্ধ বানান থাকে যে সে কারণে তা আর পড়তে ইচ্ছে হয় না।

অধুনা পুরনো ব্লগার কবি সেজুতি_শিপু এর বেশ কিছু নতুন কবিতা ব্লগে আসছে। সেগুলোর কয়েকটা পড়েছি, বেশ ভালো লেগেছে।

৩৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১৭

কালো যাদুকর বলেছেন: দুটোই বোঝাতে চেয়েছিলাম। তাছাড়া মাঝে মাঝে সাধারাণ আলোচনাতে অংশ নেই। তবে রাজনৈতিক, ধার্মিক "বিতর্ক" এড়িয়ে চলি। এমন না যে ওগুলো পছন্দ নয়, এর পেছনে লম্বা খারাপ ( জীবন/মরন) অভিগ্যতা আছে, এইজন্য। যাহোক, ছোট গল্পও পড়ি মাঝে মধ্যে সময় পেলে।

সব কিছু ছাপিয়ে মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি, নিজের অন্যান্য কাজকে পেছনে ঠেলে ব্লগিং করাটা সঠিক বিচার হচ্ছে কিনা।

তবু আসি এবং চেস্টা করি লিখার। ব্লগে আজকাল পেছনে লাগটা বেশী হচ্ছে। এগুলো আমাকে ব্লগে আসতে নিঃরূসাহিত করছে আজকাল।

আরেকটা কথা... নাম্বার আমি ভীষন পছন্দ করি। আপনাকে কোন এক পোস্টে নাম্বার দিয়ে একটি ব্যাখা দিয়েছিলাম। আপনি হয়ত ভেবেছিলেন, আমি হেয়ালী করেছিলাম। উত্তর দেননি। আসলে আমি সিরিয়াসলি নাম্বারের ব্যাখাটি দিয়েছিলাম।
ধন্যবাদ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
"আপনাকে কোন এক পোস্টে নাম্বার দিয়ে একটি ব্যাখা দিয়েছিলাম। আপনি হয়ত ভেবেছিলেন, আমি হেয়ালী করেছিলাম। উত্তর দেননি" - কথাটা তো সত্য নয়, আমি তো আপনার সেই মন্তব্যের উত্তর ঠিকই দিয়েছিলাম।
"আপনি হয়ত ভেবেছিলেন, আমি হেয়ালী করেছিলাম" - না, আমি মোটেও তা ভাবিনি।
সংখ্যার গুরুত্বের প্রতি আগ্রহ আমারও আছে, যদিও বিশ্বাস নেই। তবে আপনার মন্তব্যের শেষ বাক্যটি নিয়ে কিছুটা তো ভাবতেই হয়েছিল।

৩৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৮

রাকু হাসান বলেছেন:

আসসলামু আলাইকুম স্যার । কেমন আছেন আপনি ?
বিনয় ও সৌজন্যবোধে ভরপুর আপনার লেখা। প্রাপ্তির হিসাব নিকাশ ভালো লেগেছে। হয়ত বা এটাই ব্লগীয় সৌন্দর্য। এসব কারণেই সম্মানিত ব্লগাররা বারবার ফিরে আসেন আপন নীড়ে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়া আলাইকুম আস সলাম! আমি ভালো আছি। অনেকদিন পর ব্লগে আপনার দেখা মিললো। আশাকরি, আপনিও কুশলেই আছেন।
পর্যবেক্ষণে এবং প্রশংসায় আপনি অত্যন্ত উদার। অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম আপনার মন্তব্যে এবং প্লাসে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা---

৩৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

নজসু বলেছেন:



অবিরাম ভালোবাসা আপনার জন্য।
কিছু প্রিয়জনের জন্য ব্লগে আসা। তাদের কাছে কিছু শেখার আশা।
ব্লগটা যদি আগের মতো সরগরম হয়ে উঠতো, তাহলে কতোই না ভালো লাগতো।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনার এই আন্তরিক ভালবাসার জন্য।

আমরা সবাই যদি চেষ্টা করি মানসম্মত পোস্ট ও মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য লিখে এবং ব্যক্তি আক্রমণ, রূঢ় ও অসৌজন্যমূলক আচরণ পরিহার করে সুস্থ আলোচনা এগিয়ে নিতে, তাহলে দেখবেন ব্লগ এমনিতেই পাঠক আকর্ষণ করবে।

ব্লগটা তো এখনো মাঝে মাঝেই সরগরম হচ্ছে। কিন্তু এ গরম হওয়াটা কি সাময়িক কোন ভাইরাল ফ্লু এর কারণে, নাকি দীর্ঘস্থায়ী কোন রোগের কারণে সেটা ভেবে দেখতে হবে। প্রয়োজনে 'চিকিৎসক' এর পরামর্শ নিতে হবে।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। আপনি আর লিখছেন না কেন?

৩৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অসুস্থতার কারণে ব্লগে নিয়মিত ছিলামনা বলে
মুল্যবান এই পোষ্টটি দেখা হয়ে উউঠেনি ।

আমার ব্লগে আসাটা ছিল অনেকটা আকস্মিক ।
ইংরেজিতে আগে থেকেই ব্লগিং করা হত,
সামুর কথা তখনো জানা ছিলনা । ২০১৬ এর
প্রথম দিকে মেয়ে জানালো সামু নামে একটি
ভাল বাংলা ব্লগ আছে , সেখানেও আমি
ইচ্ছে করলে লেখালেখি করতে পারি ।
বেশ, তার পর হতেই শুরু হলো এখানে
আমার বিচরণ ।
জানলাম আর বুঝলাম কেন সামহোয়্যার ইন ব্লগকে
বাংলাদেশে বাংলা ব্লগের পথিকৃৎ বলা হয় ।
বাংলাদেশে ব্লগ সংস্কৃতি বিস্তারে সামুর অবদান
সম্পর্কে জানা হল বেশ ভাল করেই ।

আমরা এখন আনন্দিত যে বাংলা ভাষার চর্চা, মত বিনিময় এবং জনমত তৈরির
উদ্দেশ্যে সামু ব্লগ যে যাত্রা শুরু করেছিল তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে এবং
দিনে দিনে তার আরো বিস্তৃতি ঘটছে, যদিও এই পথ চলায় সামুকে অনেক
চড়াই উৎরাই পারি দিতে হয়েছে । দিন দেশে দেখা যাচ্ছে এখানে লেখক তৈরি
হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগের জায়গাটি এখন আরো সুহংহত হচ্ছে । অনেকখানি
সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, সামু নামক বাংলা ব্লগটি ।

এই সামু জগতে আপনার আসার কারণ , উদ্দেশ্য আর ব্লগের
লেখালেখির ট্রেন্ড , প্রকৃতি, ধারা উপধারা নিয়ে একটি
সুন্দর মুল্যায়ন দেখা গেল লেখাটিতে ।

পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

অস্ট্রেলিয়া ভ্রমনের হাল হকিকত নিয়ে পোষ্ট পাব বলে আশা রাখি ।

শুভেচ্ছা রইল

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে বেশ ক'দিন ধরে ব্লগে না দেখে চিন্তিত ছিলাম। এখন জানতে পারলাম কারণ টা। আপনার আশু আরোগ্য কামনা করছি। দোয়া করছি, যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন এবং স্বাভাবিক রুটিনে ফিরে আসতে পারেন।

আপনার এ ব্লগে আসার পটভূমি জানতে পেরে প্রীত হ'লাম। কি সুন্দর করে আপনার মেয়ে ব্যস্ত থাকার একটা পথের সন্ধান দিয়েছে।

পোষ্টটি আপনার প্রিয় তালিকায় তুলে রাখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা!

ভালো থাকুন, সুস্বাস্থ্যে এবং সপরিবারে। শুভকামনা---

৩৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?

আমি কি আবার ব্লগে আসবো?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনিও ভালোই আছেন।
"আমি কি আবার ব্লগে আসবো?" - আসবো মানে? ব্লগ তো আপনার বাড়ী। দীর্ঘ সময় জুড়ে এখানে আছেন, অনেক কিছুর সাক্ষী হয়ে। একসময় প্রচুর সময় দিতেন, এখন হয়তো কোন কারণে অনিয়মিত। আজ অনেকদিন পরে এলেন। এখন থেকে আসতে থাকুন, নিয়মিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.