নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আমার শয্যাপাশে দখিনের জানালা। রাতে যখন সব আলো নিভিয়ে শয্যা গ্রহণ করি, তার আগে আমি জানালার পর্দা সরিয়ে দেই। বাহিরে মিশমিশে কালো আঁধার থাকলেও, জানালা গলিয়ে আমি দৃষ্টি মেলে দেই সেই কালো আকাশের দিকেই; কালোর মধ্যেই অনেক কিছু দেখতে পাই। আর রাতটা যদি জ্যোৎস্নাস্নাত হয়, তাহলে তো কোন কথাই নেই। আমি এখন যেখানে আছি, সেখানে শীত আসবো আসবো করছে। রাতে তাপমাত্রা ১৩-১৪ সেলসিয়াসের মত থাকে। বাহিরে মৃদুমন্দ বাতাসও বয়। আমি কম্বলের নীচে উষ্ণ হতে থাকি, বাহিরে গাছপালা একসাথে জ্যোৎস্না ও শিশিরস্নাত হতে থাকে। জ্যোৎস্না রাতে আমি আন্দোলিত গাছপালা আর জ্যোৎস্নার মাঝে সখ্য গড়ে ওঠা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে যাই। শেষরাতে সেহরীর পর ফযরের নামায পড়ে একটু ফেসবুকিং করতে করতে যখন পুনরায় ঘুমুতে যাই, তখন শুয়ে শুয়ে আবার জানালা গলিয়ে তাকিয়ে দেখি আকাশটা ক্রমে ক্রমে ফর্সা হয়ে উঠছে। প্রথমে ছোট্ট একটা পাখির একটা বা দুটো ডাক শুনতে পাই। কল্পনা করি, পাখিটা একটা শিশু পাখি। সে যেন উসখুস করতে করতে তার মাকে বলছে, “আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে?” এর একটু পরে তার কল্পিত মায়ের কণ্ঠও শুনতে পারি। এবং তার পরে.... সমস্বরে কিচির মিচির। প্রথম আলোর ছটা তরুশাখায় চুম দিয়ে যাবার সাথে সাথেই ওরা আকাশে ডানা মেলে দেয়। কোথায় যাবে, কী খাবে, তার কোন রুটিন বাঁধা নেই। প্রকৃতি মাতাই ওদেরকে দিক নির্দেশনা দিয়ে এদিকে সেদিকে নিয়ে যায়, আবার দিনশেষে আপন নীড়ে ফিরিয়ে আনে।
প্রকৃতি প্রতিদিন কি অপার্থিব সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি সকাল আমাদেরকে উপহার দেয়, অথচ আমরা অধিকাংশ সময়েই প্রত্যুষের সেই শুভক্ষণটি ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেই!
ছবিটি আমার আইফোন-৭ এ আজকেরই তোলা।
মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
০১ মে ২০২২
শব্দসংখ্যাঃ ২৪৩
০১ লা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই, 'প্রত্যুষের নান্দনিক সৌন্দর্য' এর মতই সুন্দর একটা মন্তব্য এবং পোস্টে 'লাইক' পেয়ে অনেক অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা। ঈদের শুভেচ্ছাও গ্রহণ করুন- ঈদ মুবারক!
আপনার লেখার হাত ভালো। 'আমার ঈদ' শীর্ষক গল্প প্রতিযোগিতায় আপনার 'প্রথম আলো পুরস্কার' পাওয়া গল্পটা অসাধারণ ছিল, সত্যই পুরস্কার পাওয়ার মত। তাই আমি চাইবো, কম করে হলেও, আপনি আরও লিখুন।
২| ০১ লা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪
শায়মা বলেছেন: ভোরের বেলার সৌন্দর্য্যের সাথে দিনের অন্যান্য সময়ের কোনো তুলনা নেই।
০১ লা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: একদম ঠিক কথা। এই অপার্থিব সৌন্দর্যের কোন তুলনা নেই।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন- ঈদ মুবারক!
ঈদের পরে তো নিশ্চয়ই ঈদ নিয়ে যথারীতি আপনার একটা পোস্ট আসবে।
৩| ০১ লা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সোনাগাজী বলেছেন:
অষ্ট্রেলিয়ার মিডিয়ায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কি ধরণের মনোভাব?
০২ রা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ বিষয়টি নিয়ে আমি সঠিক অবহিত নই।
৪| ০১ লা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
এম ডি মুসা বলেছেন: নান্দনিক সৌন্দর্য অন্যান্য
০২ রা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষের শব্দটি বোধকরি 'অনন্য' বলতে চেয়েছিলেন।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৫| ০১ লা মে, ২০২২ রাত ৮:০৪
শায়মা বলেছেন: ইফতার নিয়ে পোস্ট দেবোনা??
ইফতার নিয়েই তো আগে দেবো ভেবেছিলাম।
দেরী হয়ে গেলো।
একটু পরেই দিয়ে দেবো ভাবছি।
০৩ রা মে, ২০২২ ভোর ৬:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: দেখে এলাম আপনার সেই পোস্টটা। অসাধারণ উপস্থাপনা, অবশ্য এটাই আপনার ট্রেডমার্ক!
৬| ০১ লা মে, ২০২২ রাত ৮:১৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ফজরের নামাজের জামাত শেষ হওয়ার পর থেকে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত অসম্ভব সুন্দর।
০৩ রা মে, ২০২২ সকাল ১০:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: সত্যিই তাই। একটা পারস্য প্রবাদ আছে, যারা প্রতিদিন সূর্যোদয় দেখতে পায়, তারা দীর্ঘায়ু হয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ০১ লা মে, ২০২২ রাত ৯:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তাপমাত্রা 13/14 মানে আমাদের শীতকালীন তাপমাত্রায় মতই। স্যার ওখানে কি ভোরের আজান শোনা যায়? আমার ব্যক্তিগত অভিমত মোরগের ডাকের সঙ্গে ভোরের আজান যেন ভোরবেলার সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
০৩ রা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: না, এখানে শুধু ভোরের আযান কেন, কোন আযানই শোনা যায় না। গুগল দেখে নামাযের সময়সূচী জেনে নিয়ে ঘড়ি দেখে নামায পড়তে হয়। মাসজিদগুলোতে অবশ্য জামাতের সময়সূচী টাঙ্গানো থাকে। তদনুযায়ী মুসল্লীগণ সমবেত হন। মোরগের ডাকও শোনা যায় না।
"তাপমাত্রা 13/14 মানে আমাদের শীতকালীন তাপমাত্রায় মতই" - হ্যাঁ তাই। তবে এখানে শিরশিরে বাতাস থাকে প্রায়শঃই। তখন ১৩/১৪ কে ৮/১০ এর মত মনে হয়। বহমান বাতাস হাড় হাড্ডিতে কাঁপন তুলে যায়।
আপনাকেও ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা -- ঈদ মুবারক!
৮| ০১ লা মে, ২০২২ রাত ৯:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাইজান কবে গেলেন অষ্ট্রেলিয়া। সেখানেই থাকবেন? না ফিরে আসবেন দেশে
আপনার অনুভুতিগুলো আমার সাথে মিলে,যায়।
জাজাকাল্লাহ খাইরান
০৩ রা মে, ২০২২ রাত ৮:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: গত মাসের শুরুতে এসেছি। আল্লাহ চাহে তো, মাস চারেক থাকার ইচ্ছে রয়েছে। তারপর ফিরে যাবো, মিশে যাবো ঢাকার জনস্রোতে, ইন শা আল্লাহ।
"আপনার অনুভুতিগুলো আমার সাথে মিলে যায়" - প্রীত হ'লাম। প্লাসে প্রাণিত।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা.....
৯| ০১ লা মে, ২০২২ রাত ১০:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভোরের সৌন্দর্য সবখানেই অন্য রকম।
০৪ ঠা মে, ২০২২ সকাল ৭:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: একদম ঠিক কথা! আকাশে বাতাসে একটা ঐশ্বরিক আভা ছড়িয়ে থাকে।
১০| ০১ লা মে, ২০২২ রাত ১০:১৮
বিজন রয় বলেছেন: সবাই প্রকৃতির ভাষা বোঝে না কিংবা বুঝতে চায় না।
আপনি বুঝতে পারেন তাই এমন গভীর উপলব্ধি দিয়ে প্রকৃতিকে স্পর্শ করতে পারেন।
শুভকামনা।
০৪ ঠা মে, ২০২২ সকাল ৯:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রকৃতি তার আপন সৌন্দর্যে দীপ্ত, মানুষ সে স্নিগ্ধ সৌন্দর্য দেখে প্রফুল্ল হয়, উজ্জীবিত হয়।
চমৎকার মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১১| ০১ লা মে, ২০২২ রাত ১১:৫৫
জটিল ভাই বলেছেন:
ভোরের সময়টাই ঐশ্বরিক। এর ছোঁয়া যে না পেয়েছে সে কখনও তার মহত্ব বুঝবে না। বিশেষ করে এখন শহুরে ফার্মের মতো করে যে বাচ্চাগুলো মানুষ হচ্ছে তারাতো নয়ই। তাদের জালনা এখন মোবাইল। কিন্তু এখনও গ্রামে বেড়ে উঠা শিশুটি জানে দুনিয়াটা মোবাইলের স্ক্রিনের চাইতে অনেক বিশাল.......
০৪ ঠা মে, ২০২২ দুপুর ১:২১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভোরের সময়টাই ঐশ্বরিক" - একদম ঠিক কথা। এ সময়ে নিশ্চুপ বসে বসে প্রথম আলোর ছটা দেখা, প্রথম পাখির ডাক শোনা, মোরগের নিনাদ শোনা, এসব কিছুই মনকে প্রফুল্ল করে তোলে।
"দুনিয়াটা মোবাইলের স্ক্রিনের চাইতে অনেক বিশাল" - চমৎকার বলেছেন কথাটা! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ০২ রা মে, ২০২২ সকাল ৮:১৩
ইসিয়াক বলেছেন: আমিও যেখানেই থাকি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠি।কখনও কখনও ফযরের আজানের আগেই উঠে পড়ি। তখন জানালা দিয়ে বাইরে তাকাই।রাতের নিস্তব্ধতা আর আঁধার উপভোগ করি। যদিও পরিপূর্ণ আঁধার উপভোগ করা সম্ভব হয় স্ট্রীট লাইট আর বড় বড় বিল্ডিং এর নানা রকম আলোর জন্য তবুও ভোরের নিস্তব্ধতার একটা মোহময়ী সৌন্দর্য আছে। এত ভালো লাগে! আমি খেয়াল করে দেখেছি সেই সিগ্ধ পুত পবিত্র ক্ষনে সবচেয়ে আগে জাগে দোয়েল।তার শিষ মিশ্রিত মধুর আওয়াজে অন্যরাও একে একে জাগে এর মধ্যে আযানের ধ্বনি অন্য পাখিদের কোলাহল একটু একটু করে বাড়তে থাকে। বাতাস বয় তার গাম্ভীর্য নিয়ে।এ সময় প্রকৃতিতে দ্রুত পালাবদল হয়। ভোরের আলো ফোটে নতুন আরও একটা দিন নতুন স্বপ্ন নতুন আশা নিয়ে ।এজন্যই বলে বুঝি
"আঁধারের ওপারে আলোর আভাস
নতুন স্বপ্ন করিছে প্রকাশ।"
যারা প্রত্যুষে ওঠে না ইচ্ছাকৃত অলসতা করে তারা আসলে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
চমৎকার পোস্টে ভালো লাগা জানবেন প্রিয় ব্লগার।
ঈদ মোবারক।
০৪ ঠা মে, ২০২২ বিকাল ৪:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এত ভালো লাগে! আমি খেয়াল করে দেখেছি সেই সিগ্ধ পুত পবিত্র ক্ষনে সবচেয়ে আগে জাগে দোয়েল।তার শিষ মিশ্রিত মধুর আওয়াজে অন্যরাও একে একে জাগে" - আপনার এই পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে। আমিও সেটা খেয়াল করেছি।
পোস্ট পড়ে নিজস্ব ভাবনা ও অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন, এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত। ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন, ঈদ মুবারক!
১৩| ০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে মনে পরে গেলো সেই ভোরের গান
ডাকে পাখি খোল আঁখি
দেখ সোনালী আকাশ
বহে ভোরের বাতাস ।।
ফুলে ফুলে ওই দোলে প্রজাপতি দোলে
নেচে নেচে ওই চলে বেলা বেড়ে চলে
আলসেতে তবু কেন ঘুমের বিলাস
বহে ভোরের বাতাস।।
রোমে রোমে আজ লাগে প্রভাতীয়া লাগে
রাগে রঙ্গে তার জাগে পৃথিবীটা জাগে
চারিদিকে ফোটে যেন প্রানের প্রকাশ
বহে ভোরের বাতাস ।।
প্রিয় সিনিয়রের জন্যে অনেক অনেক শুভ কামনা
ঈদ মোবারক
০৪ ঠা মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত শ্রুতিমধুর এই ভোরের গানটি শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আন্তরিক মন্তব্য এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত।
আপনাকেও জানাচ্ছি পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা-- ঈদ মুবারক!
১৪| ০২ রা মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: এখনো তাহলে দেশে ফিরে আসেননি?
ঈদ মোবারক আপনার এবং আপনার পরিবার পরিজনের জন্য।
০৪ ঠা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: না, আরও কয়েকটা মাস এখানে থেকে যাবার ইচ্ছে রয়েছে।
আপনার এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যের প্রতিও রইলো আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা-- ঈদ মুবারক!
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
১৫| ০৩ রা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
ঈদ মোবারক।
শুভকামনা।
০৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৭:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি ভালো আছি।
আপনিও ভালো থাকুন।
ঈদ মুবারক এবং শুভকামনা---
১৬| ০৩ রা মে, ২০২২ রাত ৮:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
শুধু প্রত্যুষই নয় দিবস-রজনীর প্রতিটি লগ্নই আসে এক একটি অপার্থিব সৌন্দর্য্য নিয়ে। কেবল দেখার ও অনুভব করার মতো চোখ ও মন চাই যে!
ঈদ রাতের শুভেচ্ছা।
০৫ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "শুধু প্রত্যুষই নয় দিবস-রজনীর প্রতিটি লগ্নই আসে এক একটি অপার্থিব সৌন্দর্য্য নিয়ে। কেবল দেখার ও অনুভব করার মতো চোখ ও মন চাই যে!" - ঠিক বলেছেন। প্রাত্যহিক নিত্য প্রয়োজন মেটাতে আমরা যে ঘোড়দৌড়ের সওয়ার, তাতে দু'দণ্ড বসে যে এসব অপার্থিব সৌন্দর্য্য দু'চোখ ভরে দেখবো, তার সময়টা কোথায়?
আপনাকেও জানাচ্ছি ঈদের শুভেচ্ছা- ঈদ মুবারক!
১৭| ০৩ রা মে, ২০২২ রাত ৮:৫২
জুন বলেছেন: প্রত্যুষের এক নান্দনিক সৌন্দর্য্যে আমিও মুগ্ধ হোলাম খায়রুল আহসান । এমন ছবি দিয়েই মেলবোর্নকে তুলে ধরুন আমাদের চোখে সেই অপেক্ষায়
ঈদের শুভেচ্ছা
০৫ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এমন ছবি দিয়েই মেলবোর্নকে তুলে ধরুন আমাদের চোখে সেই অপেক্ষায়" - আচ্ছা ঠিক আছে। আমি দিনলিপি লেখা শুরু করে দিয়েছি, কিন্তু তাতে ব্যক্তিগত এবং পরিবারের কথা ও ঘটনাবলি এত বেশি থাকে যে সম্পাদনা করে পোস্ট করতে অনেক সময় লেগে যাতে পারে। আপনার আগ্রহ আমাকে অনুপ্রাণিত করলো অনেক। আপনি এর আগেও একবার এ আগ্রহটুকু প্রকাশ করেছিলেন, সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্লাসে প্রাণিত।
আপনাকেও জানাচ্ছি ঈদের শুভেচ্ছা-- ঈদ মুবারক!
১৮| ০৩ রা মে, ২০২২ রাত ১১:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ভোরে উঠতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে ।
বিশেষ করে সানরাইজের কিছু সময় আগে, সেই সময়ের আকাশ দেখলে মাথা নষ্ট, এত ভালো লাগে !
সেইম ফর সানসেট ।
০৫ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "সেই সময়ের আকাশ দেখলে মাথা নষ্ট, এত ভালো লাগে!" - খুব সুন্দর করে বলেছেন কথাটা। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত, উভয় সময় প্রকৃতি এবং আকাশ অপরূপ শোভা ধারণ করে, তবে দুটোর imagery দুই ভিন্ন রকমের আবহ সৃষ্টি করে। প্রভাত রবির কিরণে চারিদিক উজ্জ্বল হয়ে উঠতে থাকে, কোলাহল বাড়তে থাকে। আবির রাঙা অস্তগামী সূর্যের মায়াবী আলোয় আকাশে বাজে বিদায়ের বীণা, চারিদিকের কোলাহল থেমে আসতে থাকে, ধীরে ধীরে আঁধার ও নিস্তব্ধতা নেমে আসে।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৯| ০৪ ঠা মে, ২০২২ রাত ১২:০৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
প্রত্যুষের নান্দনিক সৌন্দর্য্য আমারও ভীষণ প্রিয় এবং আমিও মাঝে মাঝে ,
ফজরের নামাজের পর ভোরের সূর্যোদয় উপভোগ করি । আমার কাছে মনে হয় কি জানেন , এই সূর্যোদয় আমাদের অনেকটা শক্তি এবং সাহস যোগায় অনেকটা আধার কেটে আলো আসবেই এরকম টাইপের ।
ঈদ মোবারক ।
০৫ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এই সূর্যোদয় আমাদের অনেকটা শক্তি এবং সাহস যোগায় অনেকটা আধার কেটে আলো আসবেই এরকম টাইপের" - জ্বী, আপনার ধারণা ঠিক আছে। সূর্যোদয়ে আলো ছড়াতে থাকে আর সূর্যাস্তে আলো স্তিমিত হয়ে আসতে থাকে। যেখানে আলো থাকে, সেখানে আঁধার টিকতে পারেনা।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত। আপনাকেও জানাচ্ছি ঈদের শুভেচ্ছা- ঈদ মুবারক!
২০| ০৪ ঠা মে, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: রাতে তাপমাত্রা ১৩-১৪ সেলসিয়াস মানে আমাদের কাছে হিম শীত।
খুবই ছোট একটি ঘটনা যা প্রতিদিন ঘটে এবং আমরা শুনেও থাকি অথচ কি দারুণভাবে সিক্রোনাইজ করলেন কাজী নজরুল ইসলাম এর কবিতার সাথে।
লেখা অল্প হলেও চমৎকার একটি গল্প হয়েছে।
০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৩:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ মুহূর্তে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রীতে নেমে এসেছে। কানাডাবাসীদের জন্য এটা তেমন কিছুই নয়, তবে আমি এতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি।
"খুবই ছোট একটি ঘটনা যা প্রতিদিন ঘটে এবং আমরা শুনেও থাকি অথচ কি দারুণভাবে সিক্রোনাইজ করলেন কাজী নজরুল ইসলাম এর কবিতার সাথে" - অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এমন উদার প্রশংসার জন্য।
"লেখা অল্প হলেও চমৎকার একটি গল্প হয়েছে" - এই একটি ছোট্ট বাক্য দিয়ে অনেক অনুপ্রাণিত করে গেলেন। সাথে প্লাস দিয়েও।
২১| ০৫ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৮
মেহবুবা বলেছেন: চমৎকার!
০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তব্যে প্রাণিত।
আপনার 'হাতির ঝিল হাতির ঝিলই থাক্' সহ আরও বেশ ক'টি পুরনো পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম।
২২| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৩:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এই ডিজিটাল বিনোদনের সুযোগের দিনে নিশী রাত জেগে কাটানো যেন নিত্য দিনের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে
আমাদের অনেকের কাছেই।তাই প্রত্যুষের নান্দনিক সন্দৌর্য উপভোগের মাত্রা দিন দিন সংকোচিত হয়ে আসছে।
এই যুগ সন্ধিক্ষনে ভোরের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ নিয়ে খুবই সুন্দর এই লেখাটি পাঠে মুগ্ধ ।
প্রত্যুষে পাখীদের ডাক , কিচির মিচির ও গান নিয়ে মনে বাজে এদেরকে নিয়ে কতই না কথামলা। মনে পড়ে যায়
পৃথিবীতে পাখিদের আগমন ঘটেছে মানুষ সৃষ্টির অনেক আগেই। মানুষ এসে দেখল এই সুন্দর পৃথিবীর বনে জঙ্গলে
ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা প্রজাতির প্রাণী,পানিতে খেলা করছে নানা জাতের মাছ আর আকাশে উড়ছে কত কত রঙের পাখি।
পাখিদের মিষ্টি আওয়াজ মানুষকে আনন্দ দিতে শুরু করেছে সেই প্রথম দিন থেকেই।
পাখিরা ডাকে, পখিরা গান গায়, পাখিরা সমবেত সুরে কলতান করে, দল বেঁধে কিচির-মিচির করে।
পাখিদের সুর আর তাল অনুকরণ করেই মানুষ তার নিজের কণ্ঠে গান খুঁজে পায়, সুর যন্ত্রে তোলে সুর।
মানুষের সঙ্গীতের বিকাশে পাখিদের প্রকৃতিজাত সুরের একটা বিরাট প্রভাব রয়েছে। মানুষের গানের যে সুর
বা তাল ও লয় সেসব পাখিদের মধ্যেও আছে। তাই বলাই যায় মানুষ পাখিদের কাছ থেকেই গান শিখেছে।
সকলের পর্যবেক্ষনেই দেখা যায় পাখিরা সবেচেয়ে বেশি গান গায় প্রত্যুষে। সে সময়টাতে পাখিদের কলকালিতে
ভরে ওঠে প্রকৃতি। সবাই যার যার সুর আর তাল নিয়ে যেন ভোরের আগমনে আনন্দ উল্লাস করে একসাথে।এমন
ব্যাপারটিকে সৃষ্টি কর্তার প্রতি পাখিদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হিসেবেই দেখতে পাওয়া যায় । মনে হয় যেন স্রষ্টা
তাঁর স্বর্গে এবং মাটির পৃথিবীতে পাখিদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রশস্তি উচ্চ স্বরে প্রকাশ করার জন্য। আর যখন
রাতের গহ্বর থেকে একটি নতুন দিনের জন্ম হয় সেই প্রত্যুষে নীরব সময়টিতে পাখিরা স্রষ্টার সেই প্রশংসায়
সমবেত হয়। এই সময়টাতেই মুসলিমগন ফজরের নামাজ ও অন্য অনেক ধর্মালম্বিগন পালন করেন ভোরের
স্তব স্তুতি ও আরতি ।
ভোরের আলো দেখা দিতেই পাখিরা একা বা সঙ্গীদের নিয় নতুন করে খাবারের সন্ধানে বের হবে।
নতুন দিনের গানে নতুন সঙ্গী খুঁজবে। নতুন করে বাসা বাঁধবে। আবার বাচ্চাদের গান শেখাবে।
আমাদের বিত্তহীন কর্মজীবি মানবকুলও অতি প্রত্যুষেই কর্ম ও জীবিকার সন্ধানে বের হয় ,
গ্রামে যেমন তেমন, শহড়েও দেখা যায় ভোর হতেই পোষাক কর্মী নারী পুরুষেরা হাতে টিফিনের
বাটি আর দিন মজুরেরা কাস্তে কোদাল ও টুকরী মাথায় নিয়ে অনিষ্চিত কর্মের সন্ধানে দলে দলে
নীজ নীর হতে বের হয়ে চলেছেন জীবন জীবিকার সন্ধানে। তবে পার্থক্য হলো তাদের কন্ঠে নেই
পাখিদের মত অনাবিল গান আর নান্দনিকতা ,তবে বিত্তহীন কর্মজীবি মানুষদেরকেও তাদের
কর্ম প্রাপ্তি ও জীবন চলার পথের নিশ্চয়তা প্রদানের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে প্রকৃৃতিতে বেচে থাকা
পাখিদের মতই নান্দনিকতা । পোষ্টের লেখাটি পাঠান্তে এমন একটি সুন্দর দিনের কামনাই
রেখে গেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
০৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য। এটিকে এ পোস্টের সেরা মন্তব্য বলা যায়।
শেষের লাইনটিকে বাদ দিয়ে আপনি আপনার এ মন্তব্যটিকে একটি আলাদা পোস্ট হিসেবে ব্লগে দিতে পারেন। পারলে দুই একটা ছবিও সাথে যোগ করে দিতে পারেন।
আপনার এ মন্তব্য আমার সংক্ষিপ্ত পোস্টটিকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। + +
২৩| ০৬ ই মে, ২০২২ ভোর ৬:৫৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আসলেই আমরা প্রত্যুষের শুভক্ষণটি ঘুমেই কাটিয়ে দেই।
০৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই বদ অভ্যাসটা যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা বুঝতে বুঝতে অনেক দেরি হয়ে যায়।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
২৪| ০৬ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৫৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: ফজেরে আযানের পর ভোরের আলো ফোটার আগ মুহুর্তে হঠাৎ করেই প্রকৃতি ভরে যায় ঝাঁক বেঁধে পাখির কিচিরমিচির এ-খুব ভালো লাগে সেই সময়টা।
মেলবোর্নে ঘুরে বেড়াবেনোর সময় টুকটাক ছবি তুলে রাখলে সেসব নিয়ে পোস্ট দেবেন একটা সময় করে। দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর ছব ব্লগ দেখতে খুব ভালো লাগে।
ভালো থাকুন, আল্লাহ নিরাপদে রাখুন আপনাদের।
০৮ ই মে, ২০২২ ভোর ৫:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভোরের আলো ফোটার আগ মুহুর্তে হঠাৎ করেই প্রকৃতি ভরে যায় ঝাঁক বেঁধে পাখির কিচিরমিচির এ-খুব ভালো লাগে সেই সময়টা" - সঠিক আপনার পর্যবেক্ষণ। আবার ঠিক সন্ধ্যা নামার আগেও পাখিরা দল বেঁধে গাছের শাখায় তাদের নীড়ে ফিরে এসে কিচিরমিচির রবে কিছুটা সময় মাতিয়ে রাখে। হয়তো এভাবে তারা ঘুমিয়ে পড়ার আগে স্রষ্টার উদ্দেশ্যে স্তুতি পাঠ করে নেয়। এ দৃশ্যটা এখন আর ঢাকা শহরে দেখা না গেলেও গ্রামে, মফস্বল শহরে এবং যেখানে বড় বড় গাছ আছে, সেখানে দেখা যায়। আমি এখন মেলবোর্ন শহরাঞ্চলে আছি। প্রতিদিন এ দৃশ্যটা দেখতে পাই।
"মেলবোর্নে ঘুরে বেড়ানোর সময় টুকটাক ছবি তুলে রাখলে সেসব নিয়ে পোস্ট দেবেন একটা সময় করে" - টুকটাক ছবি তুলে তো রাখছিই। কিন্তু সমস্যা হলো, আমি যেহেতু একটা পারিবারিক সফরে আছি, সেহেতু আমার টুকে রাখা দিনলিপিতে পারিবারিক প্রসঙ্গগুলো খুব বেশি চলে আসে। পোস্টে পারিবারিক প্রসঙ্গের উল্লেখ অনেক পাঠক পছন্দ করেন না। এজন্য সময় নিয়ে সম্পাদনা করতে হয়। আপনিসহ আরও বেশ কয়েকজন পাঠক ভ্রমণ কাহিনী তথা ছবি-ব্লগ লেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। আশাকরি, অদূর ভবিষ্যতে কয়েকটি পর্ব এখানে পোস্ট করতে পারবো।
দোয়া, শুভকামনা এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮
নজসু বলেছেন:
বাংলাদেশের আকাশ আর অস্ট্রেলিয়ার আকাশ দুটোই আকাশ।
পার্থক্য শুধু দৃষ্টিভঙ্গির। ইচ্ছার। আপনার, আমার মনের এই আবেগ সবখানেই একই রকম হবে।
শুধু আমাদের ইচ্ছেটার অভাব। যে একবার এই সৌন্দর্যের স্বাদ পাবে সে ঘুমতো ঘুম সব বাদ দিয়ে বারবার এটা পেতে চাইবে।
আমার ঘরের জানালা গলিয়ে মাঝে মাঝে আমার গায়ে চাঁদের আলো যেমন পরে, তেমনি পূর্বমুখী জানালা হওয়ায় উষার আলোরও পরশ পাই আমি। মাঝরাতে কখনও ঘুম ভেঙ্গে গেলে জানালা দিয়ে আমিও আপনার মতো আকাশ দেখি। তখন ভাবি, আহা! এমন সৌন্দর্য যদি আমাকে সবসময় দেখতে দেয়া হয় তাহলেও আমি মরতেও রাজি।
আপনার আবেগময় লেখাটা আমার সেই ইচ্ছেটাকে আরও বাড়িয়ে দিলো যেন।
অঃটঃ আপনার গত পোষ্টে আমাকে করা একটা প্রশ্নের উত্তর এখানেই দিচ্ছি প্রিয় ভাই। আমি আসলে তেমন অনুকূল সময়ই পাইনা এখন। আর আমার কেন যেন এখন পড়তেই বেশি ভালো লাগে।