নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ছোট্ট দিনের ছোট ছোট কিছু আলাপচারিতা (৬০০তম পোস্ট)

০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৮:১০

আজ আমাদের অস্ট্রেলিয়ায় আসার দুই মাস পূর্ণ হলো। এখানে দিনরাত্রির দৈর্ঘের তারতম্য আমাদের দেশের ঠিক উল্টো পন্থায় ঘটে থাকে। অর্থাৎ ২২শে ডিসেম্বর এখানে দীর্ঘতম দিন, হ্রস্বতম রাত। আবার ২২শে জুন এখানে দীর্ঘতম রাত, হ্রস্বতম দিন। আড়াই বছর আগে সেবার ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছিলাম ঢাকার হ্রস্বতম দিনটির দিনান্তে, অর্থাৎ এখানকার সেই দীর্ঘতম দিনটিতেই। তখন এখানে ছিল রোদ ঝলমলে গ্রীষ্ম। প্রায় সাড়ে চৌদ্দ ঘণ্টা দিন, সাড়ে নয় ঘণ্টা রাত। লাঞ্চের পর দু’ঘণ্টা ঘুমিয়েও বিকেল পাওয়া যেত না। আবার এশা এবং ফজরের নামাজের ব্যবধান খুবই কম ছিল। মনে আছে, প্রথম দিনের মাগরিব নামাযের সময় হয়েছিল রাত (আসলে সন্ধ্যা) পৌণে নয়টায়। এখানে যেহেতু নামাযের আযান শোনা যায় না, সেহেতু গুগল তথ্যই সহায় ও সম্বল।

আজ পহেলা জুন থেকে এখানে অফিসিয়ালি শীতকাল শুরু হলো। ঢাকায় যেমন গ্রীষ্মের চেয়ে শীতকালটা অনেক আরামদায়ক ছিল, এখানে তেমনটি নয়। এখানে গ্রীষ্মকালটাই আরামদায়ক ও স্বস্তিকর (অন্ততঃ আমার কাছে)। ‘অস্বস্তিকর গরম’ বলতে যা বোঝায়, তেমন দিন গতবারে পুরো গ্রীষ্মকালে ৪/৫ দিনের বেশি পাইনি। আর তা ছাড়া এখানে গরমে গা ঘামে না, সেটাও একটা স্বস্তির বিষয়। গ্রীষ্মের বাকিটা সময়ে সকালে কিছুটা গরম থাকলেও, বিকেলের দিকে ‘ফিলিপস বে’ থেকে হিমেল হাওয়া এসে গা জুড়িয়ে দিত, তখন গলায় একটা মাফলার না জড়ালে এবং গায়ে একটা হাল্কা জ্যাকেট না চড়ালে আমার ঠান্ডা লেগে যেত। আবার কোন কোন দিন আবহাওয়া সকালেই হয়তো একটু হিমেল থাকতো, বিকেল থেকে সন্ধ্যায় এবং রাতের কিছুটা সময়েও কিছুটা গরম পড়তো। তবে কদাচিৎ এসি ছাড়তে হতো। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগতো দিনের বেলায় আলো ঝলমল রোদে মেলবোর্নের নীল-সাদা আকাশ দেখতে। আমি যে টেবিলে বসে লিখতাম, লেখা বন্ধ করে সামনে চোখ মেলে দিলেই দেখতে পারতাম নীলাকাশে সুন্দর সুন্দর তুলোর পেঁজার মত সাদা মেঘের ভেলা। সামনে কোন বহুতল ভবন ছিল না বলে ঘরের টেবিলে বসেই বিশাল আকাশ দেখা যেত। ইতোমধ্যে আমার ছেলেরা দক্ষিণ-পূর্ব সাবার্বে তাদের নিজস্ব বাসা ক্রয় করেছে। এ জায়গাটা আগেরটার চেয়ে অনেক খোলামেলা হলেও, আমি যে কক্ষটিতে বসে লিখি, সেখান থেকে আকাশ দেখা যায় না, তবে দু’জনে পাশাপাশি বসে ল্যাপটপে কাজ করার মত চমৎকার ব্যবস্থা রয়েছে।

এখন এখানে রাত প্রায় দশটা বাজে। সারাদিন ঝিরঝিরে বৃষ্টি থাকাতে তাপমাপক যন্ত্র মাত্র ১০ ডিগ্রী দেখালেও, আমার খুব শীত লাগছে। “ফীলস লাইক” তাপমাত্রা হয়তো হবে ৫/৬ ডিগ্রীর মত। আমি বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ তথা লালমনিরহাট জেলার লোক। ১০ ডিগ্রী তাপমাত্রা সেখানেও কোন কোন দিন পেতাম, কিন্তু এত কিছু গায়ে জড়ানোর পরেও, এত শীত অনুভূত হতো না (আসলে এখন যেগুলো আমি পরে আছি, এতগুলো গরম কাপড় কখনোই সেখানে পরতে হতো না)। গত এপ্রিল মাস জুড়ে রোযা ছিল। তখন দিনের দৈর্ঘ্য সোয়া দশ ঘণ্টার মত ছিল। হ্রস্বতম দিন, অর্থাৎ ২২ শে জুনে এ দৈর্ঘ্য নেমে আসবে সাড়ে নয় ঘণ্টায়। আজ দিনের দৈর্ঘ্য ছিল নয় ঘণ্টা বিয়াল্লিশ মিনিটের মত। অর্থাৎ হ্রস্বতম দিনটিতে দিনের দৈর্ঘ্য আজকের চেয়ে আরও বার মিনিট কমে যাবে। সারা দিনমান মেঘলা আকাশের এত ছোট দিন আমার ভালো লাগে না। আজ শীত আর বৃষ্টির ভয়ে হাঁটতেও বের হই নি। তবে এত ছোট দিনের (আর দীর্ঘ রাতের) একটা সুবিধে হলো, যতই ঘুমাই না কেন, ফজরের নামায ক্বাযা হয় না। যেমন আজ সূর্যোদয়ের সময় ছিল সাতটা পঁচিশ। এটা আগামী দিনগুলোতে সাতটা ছত্রিশ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হবে।

আজ সারাদিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য সূর্যের মুখ দেখা গিয়েছিল, দুপুর একটা থেকে চারটে পর্যন্ত। ঘণ্টাখানেক সেই সময়টাতে সদ্যজাত (৩৮ দিন) নাতনিকে নিয়ে পশ্চিম জানালা দিয়ে আসা রোদে বসে ছিলাম। সেও মনে হলো আরামদায়ক উষ্ণতায় ও স্বস্তিতে অনেকক্ষণ ঘুমালো। সকালে মেঘলা আকাশ আর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি দেখে দুপুরে খিচুড়ির আয়োজন করা হয়েছিল। শীতের দুপুরে গরম খিচুড়ি চরম উপাদেয় ছিল। বাসায় সুন্দর ঘ্রাণের লেবুগাছ আছে। সেই লেবু আর এখানকার ‘বাংলা মার্কেট’ থেকে কেনা আচারের কারণে আজ দুপুরে রসনায় ও তৃপ্তিতে আহারের পরিমাণ স্বাভাবিক সীমারেখা অতিক্রম করেছিল।

বৃষ্টির কারণে বোধহয়, আজ গাছে কোন পাখি দেখিনি। আকাশেও না। আকাশের বিষণ্ণতা মনেও এসে ভিড়েছিল। তাই অনেকদিন পর আজ পুরনো দিনের কিছু প্রিয় বাংলা, ইংরেজী এবং হিন্দী গান শুনলাম। মনটা ভালো হয়ে গেল। রাতে শুয়ে দখিনের জানালা দিয়ে কাঁচের গায়ে বৃষ্টির ঝাপ্টা দেখবো, বৃষ্টি না হলে মেঘলা আকাশটাকেই দেখবো আর বাতাস উঠলে গাছের ডালপালার আন্দোলিত হওয়া দেখতে দেখতে আমরা ঘুমিয়ে যাবো। সুদীর্ঘ রাত, তাই আবার জাগলে আবার দেখবো, আবার ঘুমাবো।

মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
০১ জুন ২০২২
শব্দসংখ্যাঃ ৬৪৫

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভীনদেশী সুন্দর একটা দিনের চমৎকার সাহিত্যিক বর্ননা। শীতের কথা পড়ে আমার নিজেরই শীত অনুভুত হচ্ছে। শীত আমি মোটেও সহ্য করতে পারি না।
দেশ বিদেশ যেখানে থাকুন সুস্থ থেকে পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করুন।

০২ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে অত্যন্ত প্রীত বোধ করছি। আশাকরি ভালো আছেন।

একেতো ভিন্ন দেশ, তার উপর আবহাওয়া বদল এবং দিনের হ্রাস-বৃদ্ধির ধরণটাও উল্টো রকমের। আমরা থাকি উত্তর গোলার্ধে, আর এরা দক্ষিণে, এবং বিষুবরেখা থেকে আমরা যতটা উত্তরে (২৩ ডিগ্রী উত্তরে), এরা তার প্রায় দেড়গুণ দক্ষিণে (৩৭ ডিগ্রী দক্ষিণে)। এ জন্যেই বোধহয় এরকমের উল্টা পাল্টা ঠেকছে আমার কাছে।

প্রথম মন্তব্যটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভকামনায় অভিভূত।

২| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একটা পারফেক্ট অনুভূতি তুলে ধরেছেন স্যার‌‌।দিন ছোট হবার জন্য কারনে মানসিক অস্বস্তি আপনার মধ্যে এসেছে। তবে আমার মনে হয় যেহেতু ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে গত দু'মাসে আপনি যে ঋতু পেয়েছেন সামনের দিনগুলোতে তা পরিবর্তন হওয়ার জন্য শুরুতে আপনার এই অস্বস্তি। আশাকরি কয়েকদিন পরে সমস্যা কাটিয়ে উঠবেন বলে আমার মনে হয়। আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারছি ওখানকার শীত ও আমাদের এখানকার শীতের পার্থক্য আছে।আপনি যতোটা সম্ভব সজাগ থাকবেন।
মনিরাপুর 'বাসি বকুলের ঘ্রাণ' নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে আপনার পোস্ট দেখেও কমেন্ট করতে পারেনি। এখন এক এক করে সব পোস্ট গুলোতে যাব।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

০২ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আগামী মাসের শুরু থেকে দিন মোটামুটি দ্রুত বড় হতে শুরু করবে বলে পরিসংখ্যান বলে। তবে ততদিনে আমাদের ঢাকা ফিরে যাবারও প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ। শীত কমতে শুরু করবে অগাস্ট মাস থেকে। অক্টোবর মেলবোর্নের সবচেয়ে বৃষ্টিভেজা মাস।

আপনার ''বাসি বকুলের ঘ্রাণ'' রিভিউ পড়ার ইচ্ছে আছে একটু ধীর স্থিরভাবে ব্লগে সময় দিতে পারলে। আর আপনি জানেনই তো, পোস্ট একটু পুরনো হলেই তা পাঠে আমি আনন্দ একটু বেশি পাই।

মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



ঢাকা মিস করছেন?

০২ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঢাকার সাথে তো নিত্য নিবিড় সম্পর্ক বজায় আছেই। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন ঢাকাবাসীর সাথে কথা হচ্ছেই। সুতরাং, আপাততঃ মিস করছি না।

৪| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ১০:২৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: ছোট দিনের ছোট আলাপচারিতা খুব ভালো লাগল। ঢাকার গরমে অসহ্য লাগে, মাঝে মাঝে মনে হয়তো এমন একটা দেশে চলে যাব যেখানে বরফ পরবে, ৭-৮ মাস ঠান্ডা থাকবে!

আপনাদের বাসার ছোট্টমনিটার জন্যে অনেক আদর রইল। :)

০২ রা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনাদের বাসার ছোট্টমনিটার জন্যে অনেক আদর রইল" - ছোট্ট একটা দিনের আলাপচারিতা পড়তে পড়তে কারো নজরে 'আমাদের বাসার ছোট্টমনিটার' প্রসঙ্গটিও ধরা পড়লো বলে অনেক আনন্দিত হ'লাম। আর কেউ হয়তো সেটা লক্ষ্যই করে নি। ছোট তো!

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ১১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর লেখা।
বাংলাদেশে কবে ফিরবেন?

০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আগামী মাসের শেষে, ইন শা আল্লাহ!

৬| ০২ রা জুন, ২০২২ রাত ১২:৩২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অস্ট্রেলিয়া আমার খুব প্রিয় দুইজন মানুষ থাকেন। আপনাকে চিনেন একজন। তার সাথে আপনার দেখা টেকা হয় নাকি ?

০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ৯:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনাকে চিনেন একজন" - কে আমাকে চেনেন, তার নাম পরিচয় না বললে বুঝবো কিভাবে এরই মধ্যে তার সাথে দেখা-টেখা হলো কিনা!

৭| ০২ রা জুন, ২০২২ রাত ১:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শীত কাল আমার কাছে সব চেয়ে পছন্দের,
ভালো ভালো খেতে আর নাক ডেকে ঘুমাতে
শীত কালের বিকল্প নাই।

০৩ রা জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভালো ভালো খেতে আর নাক ডেকে ঘুমাতে শীত কালের বিকল্প নাই" - হা হা হা, ভালো বলেছেন।
বাংলার শীতকাল আর বর্ষাকাল সচ্ছল আলসেদের খুব আরামে কাটে। তবে অসচ্ছল এবং কায়িক শ্রমজীবিদের খুব কষ্ট হয়।

৮| ০২ রা জুন, ২০২২ রাত ২:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: লম্বা রাতের কথা শুনেই লোভ লাগলো বেশ । আমার সব সময় ঘুমানো পছন্দ । এতো লম্বা রাতে ঘুমিয়ে মজা হবে নিশ্চিত । বিশেষ করে শীতের রাত গুলো ! এর থেকে চমৎকার আরাম দায়ক আর কিছু হতে পারে না !
সাবধানে থাকুন আর সুস্থ থাকুন !

০৩ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এতো লম্বা রাতে ঘুমিয়ে মজা হবে নিশ্চিত" - বোঝা গেল, আপনি খুব আরামপ্রিয়, ঘুমকাতুরে লোক!
অনেক ধন্যবাদ আরাম প্রকাশক মন্তব্যের জন্য। প্লাসে প্রাণিত।

৯| ০২ রা জুন, ২০২২ রাত ২:০৯

গরল বলেছেন: মেলবোর্ন মূল ভুখন্ডের একেবারে দক্ষিনের সিটি, তাই আবহাওয়া অনেক সুন্দর। তবে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর ও মধ্যঞ্চলে অনেক গরম শুনেছি, মরুভূমিও আছে সেখানে। আশা করি অবসরটা ভালোই কাটবে আপনার সেখানে, বিশেষ করে নাতি নাতনিদের সাথে।

০৩ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আপনি ঠিক বলেছেন। মেলবোর্ন মূল ভুখন্ডের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এখানকার আবহাওয়া বছরের দশ মাসই চমৎকার থাকে। অবশ্য অনেক গরম শহরও আছে, যেমন ডারউইন (উত্তরাঞ্চল), পার্থ (পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া), পেনরিথ (নিউ সাউথ ওয়েলস), ব্রুম (পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া), ইত্যাদি।

'নাতি নাতনি' বলতে একজনই নাতনি আছে এখানে, সদ্যজাত। ওকে নিয়ে সময়টা ভালোই কাটছে। আরেকটু বড় হলে আরও ভালো কাটবে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, শুভকামনা!

১০| ০২ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একটা লম্বা রাত আমার দরকার, ঘুমাতে চাই অনেক খানি। আর এখন বারোটায় ঘুমালেই মুহূর্তেেই দেখি ফযরের আযান পড়ে যায়

সুন্দর অনুভূতি

০৩ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঢাকায় তো এখনই লম্বা রাতের সময়। এ মাসটা পুরোটাই! আর আপনি কর্মজীবি মানুষ, বারটায় ঘুমাবেন কেন? ১১টায়ই ঘুমাতে যাবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০২ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার চমৎকার বর্ণনা আমার কাছে দারুণ লাগে। নাতি নাতনিদের ভালো সময় কাটুক রইলো সেই প্রত্যাশা।

০৩ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পড়ে ভালো লাগার কথাটা এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।

১২| ০২ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: কি মনে হয় অস্ট্রেলীয়া সুন্দর নাকি বাংলাদেশ !!! জীবনমান বিচারে নয় !!!

০৩ রা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: দু'দেশের প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্য দু'ধরণের। দুটোই সুন্দর।
কিন্তু একটা দেশের আসল সৌন্দর্য সে দেশের মানুষের সৌন্দর্য। এ দেশের মানুষ খুব ফ্রেন্ডলি, পথ চলার সময় অচেনা মানুষগুলোও একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে অভিবাদন জানিয়ে চলে যায়। পথ সম্পর্কে কারো কাছে কোন তথ্য জানতে চাইলে সর্বাত্মক চেষ্টা করে সেটা ভালভাবে বুঝিয়ে দিতে। পারতপক্ষে কেউ কারও ব্যাপারে নাক গলায় না। পথপাশে থেমে কেউ তামাশা দেখে না, দেখায়ও না। অন্যের কোন ব্যাপারে ওরা মোটেই কৌতুহলী নয়।

১৩| ০২ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া চমৎকার!
যদিও আমরা বাংলাদেশের আবহাওয়া মেনে নিয়েছি!!

অশেষ শুভ কামনা রইল ভাই।

০৩ রা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া চমৎকার!" - জ্বী, তাই। বছরে অন্ততঃ দশ মাস চমৎকার আবহাওয়া পাওয়া যায়।
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ০২ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪০

ফয়সাল রকি বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ার ডাইরী ভালো লাগলো। চালিয়ে যান।

০৪ ঠা জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইচ্ছে আছে আরও কয়েকটা পর্বে চালিয়ে যাবার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৫| ০৫ ই জুন, ২০২২ ভোর ৫:৪৬

বেবিফেস বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৫ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আমার ব্লগপাতায় আপনি এই প্রথম এলেন, আপনাকে সুস্বাগতম!

১৬| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ৭:০২

সোহানী বলেছেন: আপনার অবসর জীবন আমাকে রীতিমত ঈর্ষান্বিত করছে। আহ্ কবে এরকম ছেলের বাসায় বসে লিখালিখি করবো আর নাতি নাতনীকে নিয়ে ইভিনিং ওয়াকে যাবো। :P

অস্ট্রেলিয়ার ওয়েদার যথেস্ট ভালো আমাদের তুলনায়। এখানে কাগজে কলমে সামার এসেছে কিন্তু বাস্তবে নয়। এবার ওয়েদার খুব খারাপ। দু'দিন একটু রোদ দেখি তারপরই শুরু হয় বৃষ্টি। আজও বৃষ্টি চলছে। এবার শীতও ছিল প্রচন্ড।

যাহোক, আপনার দৈনিক ওয়েদারের সাথে এডজাস্টমেন্ট এর বর্ননা ভালো লাগলো। আপনার লিখাগুলো পড়লে এমন কিছু লিখতে হাত নিশপিশ করে। জমিয়ে রাখছি, লিখবো অবসরে যেয়ে ছেলে বা মেয়ের বাসার বারান্দায় বসে ....... ;)

০৭ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব শীঘ্রই যাবেন। দেখবেন, কেমন চোখের পলকে দিনগুলো সব গত হয়ে গেল, আর আপনি নাতি-নাতনিদের নিয়ে কত ব্যস্ত হয়ে গেলেন! এটাই জীবন চক্র; মাঝখানে কিছুদিন ইঁদুর দৌড়ে অংশগ্রহণ, শুধুই অর্থহীন কিছু হাউ-কাউ!

"জমিয়ে রাখছি, লিখবো অবসরে যেয়ে ছেলে বা মেয়ের বাসার বারান্দায় বসে" - খুব সুন্দর একটি ভাবনা, চমৎকার পরিকল্পনা!

আন্তরিক মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা....

১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০

মিরোরডডল বলেছেন:




উইন্টার হচ্ছে আমার চরম শত্রু ।
আর একমাস পর শত্রুমুক্ত হবো ।

উইন্টারে কেমন অলস অলস লাগে ।
আউটডোর এক্টিভিটিজ করা যায় না, সারাক্ষন বৃষ্টি X((
ঠাণ্ডায় বৃষ্টি কি ভালো লাগে ! একদম না ।

অস্ট্রেলিয়ার বেড়াবার জন্য বেস্ট টাইম হচ্ছে বসন্তকাল, সেকেন্ড বেস্ট সামার টাইম ।
দিন অনেক বড় , আলো ঝলমলে , ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়ানো যায় ।
নেক্সট টাইম নো মোর উইন্টার ট্রিপ ।



১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "নেক্সট টাইম নো মোর উইন্টার ট্রিপ" - নাহ, আর শীতকালে নয়! মেলবোর্নের শীত গ্রীষ্ম দুটোই দেখা হলো। এর পরে হয়তো আসবো বসন্তকালে।
এখানকার শীত আর বৃষ্টি দেখে (একই ঋতুতে) কানাডার শীত কিভাবে সামাল দেব (যদি যাই), সে কথা ভেবেই দুশ্চিন্তার আর শেষ নেই!
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




দুশ্চিন্তার কিছু নেই ।
জুন জুলাই অগাস্ট ওখানে সামার, ওয়েদার আমাদের এখানে স্প্রিং এর মতো ।
সেসময় গেলে নিশ্চয়ই কমফোর্টেবল আর এঞ্জয়েবল হবে ।

২৪ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: নিজের পুরনো এই পোস্টটাতে এসে দেখি, আপনার সর্বশেষ মন্তব্যটির কোন উত্তর দেয়া হয়নি। অত্যন্ত দুঃখিত, জবাবটি কোন কারণে বাদ পড়ে যাবার জন্য।
"দুশ্চিন্তার কিছু নেই। জুন জুলাই অগাস্ট ওখানে সামার, ওয়েদার আমাদের এখানে স্প্রিং এর মতো। সেসময় গেলে নিশ্চয়ই কমফোর্টেবল আর এঞ্জয়েবল হবে" - আপনার এ কথাগুলোর সত্যতার প্রমাণ পাচ্ছি এই জুন মাসে কানাডায় বসে। তবে তার পরেও, সামারেও, হঠাৎ হঠাৎ করে ঠাণ্ডা পড়ে যায়, যেমন আজকের এই ক্ষণে। এখানে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রী। ঘরে একটা টি-শার্ট পরে থাকলেও, পায়ের পাতা দুটো ঠাণ্ডা হয়ে আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.