নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
দু'পাখা মেলে দিয়ে রোদ পোহাচ্ছিল পাখিটা।
২০১৩৪৩ জুন ২০২২
শিরোনামটি দেখে হয়তো অনেকেই চমকে উঠবেন। জীবনে আপনারা অনেক পাখির নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন, তবে এমন নাম তো বোধকরি কখনোই শুনেন নি। হ্যাঁ, আজ আমি এখানে যে পাখিটার কথা লিখছি, সেটার প্রকৃত নাম শিরোনামের নামটি নয়। পাখি সম্বন্ধে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। এই পাখিটাকে এখানে যেদিন প্রথম জলে ভাসমান দেখি, সেদিন তার শরীর পুরোটাই জলে ডোবা ছিল। লম্বা গলাটারও অর্ধেকের বেশি পানির নীচে ছিল, শুধু গলার কিয়দংশ এবং সোনালী ঠোঁটটা পানির উপর ভাসমান ছিল। জলের উপরে সেই অংশটুকুর নিঃশব্দ অগ্রসরমান গতিপথ দেখে প্রথমে আমি সাপ বলে ভুল করেছিলাম। একটু পরে সে দিল এক লম্বা ডুব। ডুবন্ত অবস্থায় ওটাকে দেখা যাচ্ছিল না ঠিকই, কিন্তু ওর গতিপথের সমান্তরালে পানির ওপরে একটা হাল্কা হিল্লোল খেলা করছিল। আমি সেইদিকে নজর রাখছিলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখি সে ভেসে উঠলো, আর ওর ঠোঁটে গাঁথা রয়েছে একটি চকচকে মাছ।
আমি প্রায় প্রতিদিনই ম্যারিওট ওয়াটার্সের পাশ দিয়ে যাতায়াত করি। এখানে কয়েকটি ঝুলন্ত ফুটব্রীজ আছে, সেখানে যে কোন একটার উপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে বিভিন্ন রকমের পাখি দেখি, যার বেশিরভাগই ছোট কিংবা মাঝারি আকারের। এ জলাশয়ে প্রচুর মাছ রয়েছে। পাখিরা পেট ভরে মাছ খেয়ে তীরে উঠে ঝোপ ঝাড়ে দাঁড়িয়ে রোদ পোহায়, নয়তো ডিম পাড়ে এবং ডিমে তা’ দেয়। মানুষ দেখলেও সহজে নড়া চড়া করে না, কারণ ওরা জানে যে এখানকার মানুষ ওদের জন্য কোন হুমকি নয়। তবে এটা হয়তো জানে না যে এখানে ওদের নিরাপত্তা আইন দ্বারাও সুনিশ্চিত।
যাহোক, এই পাখিটাকে আমি আজ নিয়ে বেশ কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করলাম। এটা যে কী পাখি তা আমি জানিনা। এক প্রজাতির বক, নাকি সারস, নাকি আমাদের দেশের পানকৌড়ির অস্ট্রেলিয়ান ভার্সন? আমাদের দেশের পানকৌড়ি সাধারণতঃ আকারে এর থেকে সামান্য ছোট হয়ে থাকে আর বর্ণে কালো কিংবা ধূসর বা ছাই রঙের হয়ে থাকে। আমার পরিচিত একজন পক্ষীবিশারদকে পাখিটির ছবি পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এটা কী পাখী?’ সে উত্তরে জানালো, “The great cormorant (Phalacrocorax carbo), known as the black shag in New Zealand and formerly also known as the great black cormorant across the Northern Hemisphere, the black cormorant in Australia”। ওর আসল নাম যাই হোক না কেন, আমি নিজে ওর ডুব সাঁতারের পারদর্শিতা আর লক্ষ্যবস্তু পাকড়াও করার সক্ষমতা দেখে ওর নাম দিয়েছি ‘সাবমেরিন পাখি’। একবার যদি পুরোটা শরীর নিয়ে ডুব দেয়, তবে শিকার না ধরা পর্যন্ত ভেসে ওঠে না। যখন ভেসে উঠবে, তখন অবশ্যই ওর তীক্ষ্ণ ঠোঁটে একটা মাছ গাঁথা থাকবে। মাছের ঠিক মাঝখানের পেট-পিঠ বরাবর ধরে তার ঠোঁট চিমটার মত করে তুলে আনে। সেটাকে ঠোঁটে ধরে রেখেই প্রথমে কয়েকবার মাথাটা এপাশ ওপাশ দ্রুত ঘুরিয়ে পানি ঝেরে ফেলে, তারপর সামান্য শূন্যে ভাসিয়ে পরক্ষণেই গপ করে গিলে ফেলে। মোট তিন ঢোকে সে সেটাকে সাবাড় করে ফেলে। এভাবে পরপর ডুব দিয়ে কয়েকটা মাছ খাবার পর সে শ্রান্ত হয়ে তীরে উঠে আসে।
গুগল ঘেঁটে আরও কিছুটা তথ্য জানলাম। এরা পানকৌড়ি বা cormorant পরিবারের পাখি। এরা ডুবসাঁতারে ওস্তাদ হয়ে থাকে। এদের লম্বা ও সরু গলার নীচে একটা থলে বা ‘পাউচ’ (Pouch) থাকে, যা প্রয়োজনবোধে অনায়াসে স্ফীত হতে পারে। এরা যখন ক্ষুধার্ত হয় তখন রাক্ষসের মত একটার পর একটা মাছ গিলে খেতে থাকে। কিছু মাছ থলেতে জমিয়ে রাখে, পরে বের করে এনে মজা করে খেতে পারে। এদের এই রাক্ষসের মত মাছ খাওয়া স্বভাবের জন্য ইংরেজী অভিধানে cormorant শব্দটির আরেকটি অর্থ যোগ হয়েছে। যে সকল মানুষ অত্যন্ত লোভী এবং রাক্ষসের মত খাওয়া দাওয়া করে, তাদেরকেও এই স্বভাবের জন্য cormorant বলা হয়ে থাকে।
আজ অনেকক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম, ও ডুব দেয় কিনা সেটা দেখার জন্য। কিন্তু না, আজ তার চালচলনে আলস্য স্পষ্টরূপে ধরা দেয়। প্রথমে তো অনেকক্ষণ ধরে জলে নামলোই না। এখানে পাখিদেরকে উত্যক্ত করা বা ভয় দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ, তা জেনেও আমি মুখ দিয়ে একটু জোরে আওয়াজ করলাম যেন সে জলে নামে। আমার আওয়াজ শুনে সে আলস্যভরে জলে নামলো ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরি ডুব দিতে অনিচ্ছুক ছিল। কিছুক্ষণ অনিচ্ছায় মাথা উঁচু করে জলে সাঁতরে সে এদিক ওদিক তাকিয়ে আবার তীরে উঠে বসলো। আজ আর ওর মাছ শিকার দেখা হলো না।
মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
২০ জুন ২০২২
শব্দসংখ্যাঃ ৬০৭
(ছবিসূত্রঃ ছবিটা আইফোন আই-৭ এ আমার নিজের তোলা, তারিখ ও সময় উপরে উল্লেখিত।)
২৯ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "বৈজ্ঞানিক নাম না পড়াই ভালো, ওটা মনেও থাকে না, সাধারণের কোনো কাজেও আসে না" - একদম আমার মনের কথাটিই বলেছেন। বৈজ্ঞানিক নাম বিজ্ঞানীদের জন্য রাখাই ভালো।
একজন ভেটেরান ব্লগার এর কাছ থেকে প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসটি পেয়ে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
২| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:০৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: পৃথিবীটা বড়ই বিচিত্র! কত রং কত ঢং এবং কত রকমের প্রাণি যে এই পৃথিবীতে আছে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
২৯ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবীটা বৈচিত্রময় বটে!
৩| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:২২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমাদের বাসাতে পানকৌড়ি মুরগির সাথে হেঁটে বেড়ায়। চাল খায় , ভাত খায় আবার পাশের ছোট্ট জলাশয়ে নেমে পরে। নিজেকে মুরগির মত গৃহপালিত পাখি মনে করা শুরু করেছে।
আপনার পোস্টটা দারুন। একসময় পাখি শিকারের শখ ছিল। বিশেষ কারণে বাদ দিয়েছি। আমাদের বাড়ির বাসের মাঠে অনেক পানি জমা হত বর্ষায়। আশে পাশের পুকুর ডুবে মাছ চলে আসতো মাঠে। রাতে আমরা জাল পারতাম। মাসের সাথে সাথে 'সাবমেরিন পাখি' আটক পড়তো।
২৯ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য।
আমার লেখা পড়ে কেউ যখন নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা লিখেন, আমি প্রীত হই। আমি নিজেও, সুযোগ পেলেই অন্যের পোস্টে আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করতে ভালবাসি।
৪| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার "সবমেরিন পাখি" দর্শনের চমৎকার বর্ণনা পড়ে মুগ্ধ হলাম, কিছুক্ষণের জন্য হলেও ম্যারিওট ওয়াটার্সে হরিয়ে গিয়েছিলাম।
আমাদের দেশে দিন দিন পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে এখন আর 'পানকৌড়ি' আগের মত দেখা যায় না।
৩০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমাদের দেশে দিন দিন পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে এখন আর 'পানকৌড়ি' আগের মত দেখা যায় না" - আগে গ্রাম বাংলার নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-বাওড় এবং অন্যান্য জলাশয়গুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি বসতো, তার মধ্যে 'পানকৌড়ি'ও থাকতো। এখন বেশিরভাগ জলাশয় শুকিয়ে গেছে, নয়তো জলের অভাবে শীর্ণ হয়ে গেছে। তাই পাখিরা আর তেমন আসে না। মাঝে মাঝে শুধু দু'চারটা কানিবক আর মাছরাঙা পাখি দেখা যায়।
পোস্টের প্রশংসায় আমিও মুগ্ধ ও প্রাণিত হ'লাম। সুন্দর মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৫| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৩
ইসিয়াক বলেছেন: আপনার নিখুঁত বর্ণনা পোস্টটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। সাবমেরিন পাখি আর পানকৌড়ির মধ্যে সম্ভবত আচরণগত কোন পার্থক্য নেই। রঙটাই যা আলাদা।
৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "সাবমেরিন পাখি আর পানকৌড়ির মধ্যে সম্ভবত আচরণগত কোন পার্থক্য নেই। রঙটাই যা আলাদা" - আপনার পর্যবেক্ষণটি সঠিক।
পোস্টের প্রশংসায় এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা....
৬| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর উপস্থাপন!
সাবমেরিন পাখিকে আমাদের দেশের প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ শ্রদ্ধেয় শরিফ খান নাম দিয়েছেন "কাঁচি চোরা"।
৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "খুব সুন্দর উপস্থাপন!" - অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
"কাঁচি চোরা" নামটি কেন দিয়েছিলেন?
৭| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
অষ্ট্রেলিয়ার নারীরা সুখে শান্তিতে আছে বলে বলে মনে হয়?
০১ লা জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য।
৮| ২৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
সাবমেরিন পৃথীবিতে না থাকলে কি নাম দিতেন,ভালো পর্যবেক্ষণ।
০১ লা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: সাবমেরিন পৃথীবিতে না থাকলে আমি পাখিটার নাম দিতাম 'ডুবুরি পাখি'।
৯| ২৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২৬
জুন বলেছেন: এই পাখি বিল বা বড় জলাশয়ে দেখা যায়। আমরা টাংগুয়ার হাওর এবং সুন্দরবন উপকূলে দেখেছি। এরা প্রধানত মাছ খায়। পানির অনেক গভীরে ডুব দিতে পারে। ল্যাপটপ নিয়ে বসলে একটা ছবি দিবো আপনাকে যাকে আমি দেখেছি হাওরে প্রবেশের সময়। বিলের উপর মরা গাছের ডালের উপর বসে আছেন উনি।
আপনার লেখাটিতে পুরনো স্মৃতি ভেসে উঠলো খায়রুল আহসান।
+
০১ লা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এরা প্রধানত মাছ খায়। পানির অনেক গভীরে ডুব দিতে পারে" - জ্বী, এ দুটো তথ্যেরই সত্যতার প্রমাণ আমি পেয়েছি। আর এ তথ্যটাও ঠিক যে এ পাখিগুলো বিল বা বড় জলাশয়ে দেখা যায়।
আপনার দেখা পাখিটার একটা ছবি এ পোস্টে সংযোজিত হলে ভালোই হতো।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১০| ২৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
নামটা ভালো হয়েছে, সাবমেরিন পাখি।
০১ লা জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: যাাক, একজন তাও এ কথাটা বললো! অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
১১| ২৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীতে পশু, পাখি, ফুল আর নদীর সুন্দর নাম গুলো সব বাংলাদেশের।
০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "সুন্দর নাম গুলো সব বাংলাদেশের" - এমনটি কখনোই সত্য নয়। সব বাংলাদেশের নয়, অন্য দেশের এবং ভাষার নামগুলোর মধ্যেও অনেক সুন্দর নাম আছে। তবে বাংলাদেশের পাখি, ফুল আর নদীর নামগুলোর বেশিরভাগই খুব সুন্দর!
১২| ২৯ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বেশ কিছু পাখি আছে যারা পানির বেশ গভীরে চলে যেতে পারে, অত্যন্ত দ্রুততার সাথে পানিতে এরা খুুবই দ্ক্ষতার সাথে মাছ শিকার করে থাকে। আপনার পাখির নামকরণ খুব ভালো লেগেছে। +++
০১ লা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "বেশ কিছু পাখি আছে যারা পানির বেশ গভীরে চলে যেতে পারে, অত্যন্ত দ্রুততার সাথে পানিতে এরা খুুবই দ্ক্ষতার সাথে মাছ শিকার করে থাকে" - হ্যাঁ, পোস্টে উল্লেখিত পাখিটাও এই শ্রেণীর।
পাখির নামকরণ খুব ভালো লেগেছে - জেনে প্রীত হ'লাম। প্লাসে প্রাণিত।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১৩| ৩০ শে জুন, ২০২২ ভোর ৫:২৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: এই পাখি আমি আগে কোথাও দেখেছি বলে মনে পরছে না। আপনার মাধম্যে জানতে পারলাম।
পোষ্টে ভাললাগা রইল।
০১ লা জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট পড়ে ভাললাগার কথা এখানে জানিয়ে যাবার জন্য।
ভালো থাকুন, শুভকামনা....
১৪| ৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:২২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।+
০২ রা জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ। +
১৫| ০১ লা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: সাবমেরিন পাখি সুন্দর নাম দিয়েছেন। নাম দেখেই ঢুকলাম। লেখাটা মনোমুগ্ধকর হয়েছে।
ঠিক ডুব দিলে আর উঠে না সাবমেরিনের মতনই ডুবে থাকে।
জলাসয়ে পাখি মাছ খায় কিচ্ছু মনে হয় না । কিন্তু যখন নিজের মাছ গুলো এই পাখি খেয়ে শেষ করে দেয় তখন খুব রাগ হয়।
দু বছর আগে জলাশয় ছেড়ে আমার বাড়িতে চলে এসেছিল এমন একটা পাখি। আর শখ করে পালা কয়িগুলো খেয়ে শেষ করছিল। তখন জেনে ছিলাম এর নাম করমোরান্ট এদের বংশ বৃদ্ধি খুব বেশি হয়।
০৩ রা জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "নাম দেখেই ঢুকলাম। লেখাটা মনোমুগ্ধকর হয়েছে" - অনেক ধন্যবাদ। কৃতার্থ হ'লাম।
"কিন্তু যখন নিজের মাছ গুলো এই পাখি খেয়ে শেষ করে দেয় তখন খুব রাগ হয়" - তা তো বটেই, এতে তো রাগ হবারই কথা!
প্রেরণাদায়ক মন্তব্যে প্রাণিত হ'লাম।
১৬| ০১ লা জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
জুন বলেছেন:
দেখেন টাঙ্গুয়ার হাওড়ে এক ঝাক করমোরান্ট বাংলায় বোধহয় এরই নাম পানকৌড়ি, মাছের আশায় বিলের মাঝখানে বসে আছে মরে যাওয়া গাছের ডালে।
ছবিটি আমার তোলা ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, জুন।
জ্বী, এগুলোই আমাদের দেশের আসল পানকৌড়ি। এরা ডুব সাঁতারে সেরা এবং দক্ষ মৎস্য শিকারি।
টাঙ্গুয়ার হাওড়ে তোলা আপনার ছবিটা এখানে শেয়ার করার জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
১৭| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাবমেরিন পাখি, নামটিই দারুন চমকের। আপনি অত্যন্ত ধৈর্যশীলতার সঙ্গে পাখিটিকে নিরীক্ষণ করেছেন বিষয়টি পরিষ্কার।++
০৫ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এরা ডুবুরি পাখি। সেজন্যেই এরকম একটা নাম মনে এসেছে। আর এটাও ঠিক কথা যে পাখিটিকে আমি দীর্ঘদিন ধরে (এখানে আসার পর থেকেই) দেখে আসছি।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২৬
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনার ইমেইল দেয়া যাবে?
২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী যাবে, কিন্তু কেন, তা বলা যাবে কি?
এখানে বলতে না চাইলে আপনার ইমেইল অথবা হোয়াটসএ্যপ নম্বরটা দিন, আমি যোগাযোগ করবো। উল্লেখ্য যে মেইল করলে তা আমি দু'দিনের আগে জানতে পারবো না, কেননা এখন থেকে ঘণ্টাখানেক পর থেকে আমি দু'দিনের জন্য মেইল খুলতে পারবোনা। তবে হোয়াটসএ্যপে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল শনিবার সকাল আট টা পর্যন্ত কথা বলতে পারবো।
১৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০৬
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: [email protected]
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রাঞ্জল, মনোমুগ্ধকর বর্ণনা। বর্ণনা পড়েই বুঝতে পারছিলাম, এটা তো পানকৌড়ী, যদিও রঙের সাথে মিলছিল না। ইংরেজি নাম পড়তে যেয়ে কষ্ট হয়েছে বলে নাম পড়া শেষ করি নি বৈজ্ঞানিক নাম না পড়াই ভালো, ওটা মনেও থাকে না, সাধারণের কোনো কাজেও আসে না
শুভেচ্ছা রইল স্যার সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য।