নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
আজ ভোর ছয়টায় মেলবোর্নের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রী ছিল, এখন সকাল নয়টায় দুই ডিগ্রী। জীবনে এই প্রথম শূন্য ডিগ্রীর মুখোমুখি হ’লাম। শূন্য ডিগ্রীর তাপমাত্রাটা কেমন হয়, তা অনুভবের প্রবল ইচ্ছেটা পূরণ করার জন্য একটু বাড়ির সামনের এবং পেছনের প্রাঙ্গণে মিনিট দুই/তিন হাঁটাহাটি করলাম। নাহ, তেমন সাংঘাতিক কিছু তো মনে হলো না। এরকম ঠাণ্ডা তো আমি মাঝে মাঝে আদিতমারীতেও পেয়েছি। তবে ঘাসের মাথার শিশিরবিন্দু গুলোকে দেখতে আজ অতি মাত্রায় বড় আর সাদা মনে হলো। এগুলোকে এখন আর শিশিরকণা বা শিশিরবিন্দু বলে মনে হলো না, শিশির ফোঁটাই (বড় ফোঁটা) মনে হলো। ঠাণ্ডা লাগার ভয়ে তাড়াতাড়ি ঘরে প্রবেশ করে ল্যাপটপের ডালি খুলে বসলাম। এদিকে দখিন জানালার পাশে এক গাছের ডালে বসে যেন কোন এক উদাসী ঘুঘু নিরন্তর ডেকেই চলেছে। বাংলার শ্যামলিমার কথা মনে পড়লো। কোকিল, ঘুঘু, চড়ুই, শালিক, বুলবুলির কথা মনে পড়লো। দেশে থাকতে ঘুঘুর ডাক সাধারণতঃ গ্রীষ্মের নিদাঘ দুপুরেই শুনেছি, এমন শীতের সকালে শুনেছি বলে মনে পড়ে না। হতে পারে, ব্যস্ততার কোলাহলে সকাল সকাল ঘুঘুর ডাক শোনার অবকাশ হয় নাই। ব্যস্ত জীবন আর অবসর জীবনের মাঝে পার্থক্য তো অনেক! একটাতে চোখ থাকে ঘড়িতে, অপরটাতে ঘড়ি থাকে চোখে, অর্থাৎ চোখ যা বলবে, সেটাই সময়।
ঢাকার তাপমাত্রা দেখলাম এখন ২৮ ডিগ্রী, দুপুরে সেটা বেড়ে ৩২ এ দাঁড়াবে। এখানে আমরা শীতে কাঁপছি, ওখানে সবাই গরমে ঘামছে। তার উপর চলছে রুটিন করে দেয়া এবং রুটিনের বাইরের লোডশেডিং- কি যে একটা দুর্দশা! লোডশেডিং এর অবসান হোক, অন্যান্য সরকারী ব্যয়ে কৃচ্ছ্রতা সাধন করে এদিকটাতে নজর দেয়া হোক, এতটুকুই সাধারণ মানুষের কাম্য। লোডশেডিং হলেও, একটানা যেন সেটা কিছুতেই ৩০ মিনিটের বেশি না হয়, এত এত উন্নয়ন করার দেশের জনগণ এটুকু চাইতেই পারে।
এদিকে ‘The Herald Sun’ শিরোনাম করেছে দেখলাম, Melbourne shivers through the coldest morning in four years। তবে ভিডিও চিত্রে দেখালো, এই কনকনে শীতের মাঝেও সৈকতে কিছু নরনারী সাঁতারের পোষাক পরে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ‘coldest morning’ কে celebrate করছে। এক বুড়োকে দেখলাম, নিজে হাফ প্যান্ট পরে তার কুকুরের গায়ে একটি কোট চড়িয়ে তাকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছে। সাক্ষাৎকারে সে কুকুরটাকে নিয়েই তার যত দুশ্চিন্তার কথা প্রকাশ করলো। সিডনীতে বেড়াতে আসা বন্ধু ইসহাকের সাথে কথা হলো। সেখানে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রী, কিন্তু সাথে প্রবল বৃষ্টি থাকার কারণে সেই তাপমাত্রাকে দুই ডিগ্রীর চেয়ে আরও অনেক নীচে বলে মনে হয়। আমাদের এখানে বাইরে এখন সূর্যের উজ্জ্বল হাসি দেখা যাচ্ছে, রোদের আলোয় পাতাহীন গাছের ডালে, ঘাসের ডগায় ঝুলে থাকা শিশিরের ফোঁটাগুলো ঝিকমিক করছে। । একটু পরে আমিও বের হবো একটু হেঁটে আসার জন্য। আবহাওয়ার কারণে জীবন এখানে স্থবির হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না, সামান্য শ্লথ হবারও উপায় নেই। চলার নাম জীবন, থামার নাম মরণ!
মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
২১ জুলাই ২০২২
শব্দসংখ্যাঃ ৪০৩
২২ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "হঠাৎ হঠাৎ পাড় সংলগ্ন গাছে যখন এসে বসে অজানা পাখি, ডেকে ওঠে নানা সুরে, বিভোর হয়ে কান পাতি" - এ যেন একজন খাঁটি প্রকৃতি প্রেমিকের বর্ণনা। তার উপর একজন কবি!
"ঘুঘু পাখি আমার অনেক প্রিয়" - আমারও। কি সুন্দর একটা নিরীহ পাখি, আপন মনে গান গেয়ে তার সাথীকে ডেকে যায় আর আমাদের মত নির্বাক প্রেমিকদের উন্মাতাল করে তোলে! ঘুঘুর ডাকের মধ্যে একটা হৃদয়ভেদী আবেদন থাকে, যা একবার শুনলে উপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। আবার ঘুঘু একটানা অনেকক্ষণ ধরে ডাকে না, থেকে থেকে কিছুটা বিরাম নিয়ে ডেকে যায়। তাদের বিরামকালে আগ্রহী শ্রোতারা কান পেতে থাকে।
প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
২| ২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের তথ্য মন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়াতেও ১৭/১৮ ঘন্টা লোড শেডিং হয়েছে, সত্যিই কি তাই?
২২ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ২০২০ সালে এ দেশে তিন মাস থেকে গিয়েছিলাম। তখন একদিনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন হতে দেখিনি। এবারে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে আছি। মাত্র একদিন কয়েক মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন হয়েছিল। তথ্য মন্ত্রী কোন এলাকার কথা বলেছেন, তা আমি জানি না।
৩| ২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এদিকে চরম গরমে নাজেহাল ইউরোপ! দাবানল লেগেছে কয়েক স্থানে।
২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, এটাই প্রকৃতির বৈচিত্র্য, এবং তার প্রতিশোধস্পৃহাও বলা যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল কেবলমাত্র দেখা দিতে শুরু করেছে।
৪| ২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
০ থেকে ২৮ ; মাঝখানে বিরাট ফারাক।
২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: তা বটে!
৫| ২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৮
শাওন আহমাদ বলেছেন: পরিচ্ছন্ন লিখা। লিখায় শীত টের পাচ্ছিলাম।
২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম।
শুভকামনা....
৬| ২১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: পৃথিবীর এক প্রান্তে তীব্র তাপদাহে মানুষ মরছে, আবার একপ্রান্তে তীব্র শীত!
২৫ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: এটাই প্রকৃতির বৈচিত্র, স্রষ্টার নিখুঁত পরিকল্পনার প্রমাণ।
৭| ২১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: প্রকৃতি সত্যিই অদ্ভুত, এই বছর অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়েছে, ইউরোপ আমেরিকা সব জায়গায় প্রচণ্ড তাপ-দাহ।
মেলবোর্নে কি সব সময়ই এমন তাপমাত্রা থাকে? আমি এক সময় ডেনমার্ক থাকতাম ,সেখানে বছরের নয় মাসেই ঠান্ডা থাকত, গরমের দিনেও খুব বেশী গরম পরত না।
২৫ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "প্রকৃতি সত্যিই অদ্ভুত, এই বছর অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়েছে, ইউরোপ আমেরিকা সব জায়গায় প্রচণ্ড তাপ-দাহ" - খেয়ালি প্রকৃতির এ বৈচিত্র হঠাৎ করে দেখা দেয় নি। এটা মনুষ্য অবিমৃষ্যকারিতার বিরুদ্ধে প্রকৃতির একটি প্রতিবাদ ও প্রতিশোধ বলে মনে হচ্ছে।
সেদিন মেলবোর্ননেের তাপমাত্রা ০ দিগ্রী তে নামলেও, ঘরের বাইর যেতে তেমন সমস্যা বোধ করিনি। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি শীত যেদিন পড়ে (শৈত্য প্রবাহের দিনগুলো ব্যতীত), সেদিনের মতই মনে হয়েছিল। তবে অন্যান্যদিন তাপমাত্রা সাত/আট হলেও, বহমান হিমেল বাতাসের কারণে শরীরের হাড় হাড্ডি পর্যন্ত যেন অনুভূতিহীন, স্থবির হয়ে যেত। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের প্রথমার্ধ পর্যন্ত্ মেলবোর্ন সফরের জন্য শ্রেষ্ঠ সময়।
৮| ২১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুন্য ডিগ্রীতে ''ফিলস লাইক'' কতো ছিল? গরম ঘর থেকে বের হয়ে ২/৩ মিনিট হাটাহাটি করলে শুন্য ডিগ্রীর তেমন কিছু বুঝবেন না। বুঝতে হলে কমপক্ষে ১০ মিনিট বাইরে থাকতে হবে। আমার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা মাইনাস ১৬ (যেটা ফিলস লাইকে ছিল মাইনাস কুড়ি!!!)। বিষয়টা বোঝার জন্য আট মিনিটের মতো বাইরে ছিলাম, ঠোট ফেটে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল!
আপনাদের ওখানে শীত, আর আমরা এখানে এখন গরমে সিদ্ধ হচ্ছি। গত মঙ্গলবার ছিল রেকর্ড ৪০ ডিগ্রী!!! দেশেও এই টেম্পারেচারের মোকাবেলা করি নাই কখনও। তবে ভালো দিক একটা যে, এই টেম্পারেচারেও দেশের মতো প্যাচপ্যাচে ঘাম হয় না। অবশ্য বুধবারেই তাপমাত্রা ২৭-এ নেমে এসেছে।
২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "গরম ঘর থেকে বের হয়ে ২/৩ মিনিট হাটাহাটি করলে শুন্য ডিগ্রীর তেমন কিছু বুঝবেন না। বুঝতে হলে কমপক্ষে ১০ মিনিট বাইরে থাকতে হবে" - আপনি ঠিক বলেছেন। "বুঝতে হলে কমপক্ষে ১০ মিনিট বাইরে থাকতে হবে"। তবে আমি ঠাণ্ডা লাগার ভয়ে দুই এক মিনিট মাত্র থেকেছিলাম। 'ফীলস লাইক' কত, তা ঠিক খেয়াল করিনি। তবে দিনটি যেহেতু উইন্ডি ছিল না, সেহেতু মনে হয় 'ফীলস লাইক'ও একই মাত্রার ছিল।
আশাকরি আপনাদের ওখানের দাবদাহ ইতোমধ্যে সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। লণ্ডন প্রবাসী আমার কিছু বন্ধুদের কাছ থেকে ইতোমধ্যেই ওখানকার দাবদাহ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছি।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। প্রবাসে ভালো থাকুন, শুভকামনা....
৯| ২১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২১
জোবাইর বলেছেন: জীবনে প্রথম শূন্য ডিগ্রী তাপমাত্রা অনুভবের জন্য আপনাকে অভিনন্দন! আমি জীবনে একবার সর্বনিম্ন মাইনাস ২৬ ডিগ্রীর মুখোমুখি হয়েছিলাম। টিভির পর্দায় শীতপ্রধান দেশগুলোর তুষার ও বরফে ঢাকা দৃশ্যগুলো খুবই মনোরম লাগলেও বাস্তবে এর মুখোমুখি হওয়া যে কত কঠিন সেদিন বুঝেছিলাম।
সুইডেনের প্রায় উত্তরে বসবাসকারী আমার এক সুইডিশ বন্ধুর আমন্ত্রনে শীতের সময় সেখানে গিয়েছিলাম শীতকালীন খেলাধুলো ও সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য। যাওয়ার সময় প্লেনে গিয়েছিলাম, তাই কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে একেবারে প্লাস তাপমাত্রা থেকে মাইনাস তাপমাত্রায় গিয়ে পড়লাম।
প্রথম দিন শীতকালীন খেলাধুলোর একটি রিসোর্টে গেলাম। এখানে ইনডোর ও আউটডোর খেলাধুলোর ব্যবস্থা আছে এবং প্রয়োজনীয় সবকিছুই ভাড়ায় পাওয়া যায়। স্কী, আইস হকি ইত্যাদি আমার দ্বারা সম্ভব নয়, তাই স্নো-স্কুটার ভাড়া নিলাম। সাথে নেওয়া শীতের কাপড়চোপড় পড়লাম। সেদিন সেখানে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ২৬! বাইরে গিয়ে ৫ মিনিট স্নো-স্কুটার চালাবার পর আমার মনে হলো হাতের আঙুলগুলো শক্ত হয়ে গেছে - নাড়াচাড়া করতে পারছি না। সেইসাথে সামান্য মাথাব্যাথা, মনে হচ্ছে মগজ ঠান্ডায় জমে গেছে। মাথা কাজ করতেছে না!
সাথে থাকা সুইডিশ বন্ধুকে বলার পর সে আমাকে রিসোর্ট সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গেল, যেখানে হিটার দিয়ে তাপমাত্রা প্লাস ২০ করা আছে। সে আমার ডাবল গ্লাভস, উলের তৈরি মাথার ক্যাপ এবং মোটা জ্যাকেট পরখ করে বললেন, "তোমার এই পোশাকতো এখানকার ঠান্ডার জন্য যথেষ্ট নয়।" অগত্যা রিসেপশনে গিয়ে যথোপযুক্ত পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী ভাড়া করলাম। তারপরে মাইনাস ২৬ ডিগ্রীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শীতকালকে ঘন্টাখানেক উপভোগ করলাম।
উল্লেখ্য, সেখানে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি হিসাবে শীতের পোশাকের দোকানে গিয়ে জ্যাকেট, গ্লাভস, ক্যাপ সবকিছু মোটা দেখে কিনেছিলাম। দোকানটিতে বিশেষভাবে তৈরি আরও কিছু শীতের পোশাক ছিল। যেগুলো খুব বেশি মোটা না হলেও বেশ মজবুত ও কয়েকগুণ দাম বেশি। পরে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বুঝলাম, মাইনাস তাপমাত্রার শীতকে কাবু করতে হলে শুধু সস্তা মোটা কাপড় পড়লেই হয় না, বিশেষভাবে নির্মিত অনেক দামী পোশাক পড়তে হয় ।
আপনার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
২৬ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: মাইনাস ২৬ ডিগ্রী! এ বয়সে কল্পনাও করতে পারি না! হয়তো তরুণ যুবা বয়সে সম্ভব ছিল। আগামী বছরে কানাডার সাচকাচুয়ানে যাবার একটা সম্ভাবনা আছে। তার আগে নিশ্চয়ই আপনার "বিশেষভাবে নির্মিত অনেক দামী পোশাক" পরার কথাটা বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
পোস্ট পড়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে পোস্টে ভাললাগার চিহ্ন হিসেবে প্লাস রেখে যাবার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
১০| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমার শূন্যড্রিগ্রীর অভিজ্ঞতা নেওয়ার আসলে খুব একটা ইচ্ছে নেই । সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে তো আরও নেই । সকালের শিশির ভেজার অভিজ্ঞতা আমার নেই বললেই চলে । সব সময় বেলা করে ঘুমানোর স্বভাব । কারণ দুনিয়ার সব কিছু থেকে আমি সকালের ঘুম কে বেশি বেশি পছন্দ করি । আর আমার শীত খুব বেশি । তীব্র গরমেও আমার খুব একটা সমস্যা হয় না । তবে সকালের শীতে শিশিরের ভেতরে দিয়ে হাটার অচিজ্ঞতা অবশ্য আছে । পাহাড়ে আমি প্রায়ই বেড়াতে যাই । বিশেষ করে শীত কালে যাওয়া হয় । তখন ট্রেকিংয়ের জন্য একেবারে আমাদের বের হতে হয় ভোরে । পাহাড়ের শীতের ভেতরে হাটতে বেশ চমৎকারই লাগে !
আপনার শূন্য ড্রিগ্রীর অভিজ্ঞতা পড়ে ভাল লাগলো !
২৬ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এ পোস্ট পড়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে পোস্টে ভাললাগার প্রতীক হিসেবে প্লাস রেখে যাবার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
"পাহাড়ের শীতের ভেতরে হাটতে বেশ চমৎকারই লাগে!" - এমন অভিজ্ঞতা নিয়ে কোন পোস্ট লিখেছেন কি? লিখে থাকলে লিঙ্ক দিবেন।
১১| ২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনিবার্য কারণ বশতঃ ৫ নং থেকে ১০ নং পর্যন্ত মন্তব্যের উত্তর দিতে আমার কয়েকটা দিন সময় লাগবে। এ কারণে উপরোক্ত মন্তব্যকারীগণের নিকট দুঃখ প্রকাশ করছি।
সকলের জন্য শুভকামনা.....
১২| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৬
ফারহানা শারমিন বলেছেন: আমি অতিরিক্ত শীত, গরম কোনটাই কোনটাই সহ্য করতে পারি না। শূন্য ডিগ্রী আপনার কাছে কিছু মনে না হলে আপনি আমার কাছে একজন অতি মানব।
২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই মনে করেন?
আসলে কিন্তু তা নয়। বাতাস না থাকলে শুন্য ডিগ্রী তেমন কিছুই নয়। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে যেমন শীত অনুভূত হয়, এখানে তাপমাত্রা শুন্য দেখালেও বাতাসহীন শুন্য ডিগ্রী আমার কাছে সেরকমই মনে হয়েছে। তবে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস বইলে আলাদা কথা। তখন শুন্য ডিগ্রীকে মাইনাস আট/দশ এর মত মনে হয়।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বেশ কিছুদিন পর ক্ষনিকের তরে সামুতে এসে ভাল একটি লেখার দেখা পেলাম ।
চল্লিশ ডিগ্রী অসহনীয় তাপমাত্রায় যখন আমরা আনেকেই জ্বলছি তখন আপনার
শুন্য ডিগ্রীর অভিজ্ঞতার কথামালা প্রাণে যেন শিতল পরশ বুলিয়ে দিল ।
একথা ঠিক , পাকৃতিক নিয়মের যাতাকলে বৈশ্বিক তাপমাত্রার নিজস্ব একটি
মর্জি মেজাজ আছে, একই সময়ে পৃথিবীর এক প্রান্তে যখন দাবদাহ
অন্য প্রান্তে তখন শুন্য ডিগ্রী তাপমাত্রার শৈত্য প্রবাহ । মেলবোর্নে
শীতের সকালে শুন্য ডিগ্রি কারো জন্য বয়ে আনে সাময়িক কিছু
নিপীড়ন, তবে অনেকের কাছে হয়ে উঠে তা আনন্দ শিহরন, আর
সাতারের পোশাক পড়ে দলবেদে শিতল সাগরে করে সন্তরণ ।
শুন্য ডিগ্রী তাপমাত্রায় আপনার প্রাত ভ্রমনের বিবরন শুনে মনে জাগে
শিহরেণ। শেষ বাক্যে ঠিকই বলেছেন, চলার নাম জীবন, থামার নাম মরণ ।
চরম উষ্ণতা কিংবা চরম শীত প্রকৃত অর্থে একটি স্বর্গীয় বারতা , এটি
আমাদেরকে আনেক কিছুই বুঝতে ও অনুভব করতে শিখায় , অনেকেই
জেনেও মানতে চায়না যে এটি অনেক ক্ষেত্রেই মনুষ্য সৃষ্ট অনিন্ত্রিত
বৈশ্বিক যন্ত্রনা , দানবিক মানবিয় আচরণে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের
জন্য এটি হতাশার একটি সিলমোহর - একটি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র
বিধ্বংসি মারনাস্র যা আমাদের কাছে পাঠানো হয়ে থাকে জলবায়ু থেকে।
যখন এটি আসে, জীবজগতের তাবত দেহযন্ত্র তা অনুভবে , কেহ তাকে
আটকে রাখে তার শ্বাসে ( পাকৃতিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে রেখে ) আবার
কারো বা প্রাণবায়ু যায় তাদের আচেতনা ও আসবধানতার কারণে।
তাই সচেতন চলাতেই জীবন, অসচেতনতা স্থবিরতারই নামান্তর
পরিনামে কেবলই নির্মম মরণ। বৈশ্বিক জরবায়ুর বিরোপ প্রভাব
নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে সকলের সচেতনতা আসুক এ কামনাই রইল ।
ভাল থাকার জন্য শুভকামনা রইল ।
২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "একই সময়ে পৃথিবীর এক প্রান্তে যখন দাবদাহ অন্য প্রান্তে তখন শুন্য ডিগ্রী তাপমাত্রার শৈত্য প্রবাহ" - জ্বী, এটাই বৈচিত্রময় প্রকৃ্তির বিচিত্র খেয়াল! এই পোস্ট লেখার দু'দিন পর বাংলাদেশে ফিরে এসে আমরাও এখন দাবদাহের শিকার হয়ে গরম সহ্য করে যাচ্ছি।
"বৈশ্বিক জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে সকলের সচেতনতা আসুক এ কামনাই রইল" - একই কামনা আমারও।
পোস্টে সুন্দর একটি মন্তব্য এবং প্লাস রেখে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
চোখের যন্ত্রনার কারণে উপরের মন্তব্যের লেখায় বেশ কিছু টাইপিং প্রমাদ রয়েই গেল ,
লেখা প্রকাশের পর দেখতে পেলাম । আশা করি নীজগুণে বুঝে নিবেন।
দেশে উন্নয়নের এ মহাযজ্ঞের সময় লোড শেডিং বিষয়টিকে আরো কিছু
বিদ্যুত সাস্রয়ী ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে মোকাবেলা করার প্রয়াস নেয়ার
সুযোগ ছিল বলে প্রতিয়মান হয় ।
২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, টাইপো নিয়ে ভাববেন না। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ব্লগে এসে আপনার পদচিহ্ন রেখে যাচ্ছেন, ব্লগারদের লেখা পড়ে মন্তব্য রেখে যাচ্ছেন, প্লাস দিয়ে প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন, এসব কিছুই ব্লগের প্রতি আপনার নিষ্ঠা ও ভালবাসার পরিচয় দেয়। আপনার চোখের যন্ত্রণার উপশম হোক, সকল ব্যথা বেদনার নিরাময় হোক, দয়াময়ের কাছে সর্বান্তঃকরণে এ প্রার্থনা রইলো।
আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা অদূরদর্শিতার কারণে লেজে গোবরে অবস্থায় রয়েছে। জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে আশু ব্যবস্থা না নিলে ভেঙে পড়তে পারে।
১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বছর তিনেক আগে দার্জিলিং এর সিঙ্গলিলা পর্বতে যাওয়ার সময় তাপমাত্রা দেখেছিলাম মোবাইলে চার ডিগ্রি দেখিয়েছিল।পরে আমরা সান্দাকফুর উল্টোদিকে শ্রীখোলাতে দুদিন নিশি যাপন করি কিন্তু কখনোই তাপমাত্রা চার ডিগ্রির নিচে নামেনি। সাত বা আট ডিগ্রি তাপমাত্রা মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করত। তবে যেদিন চার ডিগ্রি টেম্পারেচার দেখি বাস্তবে অবাক হয়েছিলাম ঠান্ডার বহর থেকে। তবে সাত ৮ ডিগ্রি টেম্পারেচার এর সঙ্গে চার ডিগ্রি টেম্পারেচারের মধ্যে আলাদা কোনো পার্থক্য আমরা অনুভব করতে পারেনি।
আপনার বর্ণনায় ০ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে কুকুরের গায়ে কোট পরিয়ে ভদ্রলোকের হাঁটতে পার হওয়া বা তাপমাত্রাকে ওয়েলকাম জানাতে সমুদ্র স্নানের ঘটনাটি ব্যতিক্রম বলে মনে হলো। অবশ্য ব্যতিক্রম আমাদের কাছে হলেও ওদের কাছে স্বাভাবিক হতেই পারে। সব মিলিয়ে বেশ আকর্ষণীয় পোস্ট।++
পোস্টে লাইক।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "তবে সাত ৮ ডিগ্রি টেম্পারেচার এর সঙ্গে চার ডিগ্রি টেম্পারেচারের মধ্যে আলাদা কোনো পার্থক্য আমরা অনুভব করতে পারিনি - আমিও ৭/৮ ডিগ্রী তাপমাত্রার সাথে এমন কি ০ ডিগ্রী তাপমাত্রারও কোন পার্থক্য অনুভব করতে পারিনি, যদি উভয় দিনেই গাছের পাতা দোলে না, এমন বায়ুপ্রবাহ থাকে। তবে বাতাস একটু বইতে শুরু করলেই ৭/৮ ডিগ্রী তাপমাত্রাকেও মাইনাসের মত মনে হয়। সে বাতাস হাড্ডিতে প্রবেশ করে যেন সারা দেহে কাঁপুনি তোলে। নাক দিয়ে প্রবেশ করে তালুতে গিয়ে কামড় দেয়।
মন্তব্যে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫১
শায়মা বলেছেন: আমি তো মনে হয় শূন্য ডিগ্রীতে মরেই যাবো।
গরমেও মরে যেতে পারি অবশ্য।
তবে আমার এক বোন আমেরিকাতে পড়ালেখা করছে। সে বলেছে ফ্রস্ট বাইট কি জিনিস সে জানতো না । সে ভেবেছিলো এ আর এমন কি শীত। তাই কোনো রকম টুপি না পরে বের হতেই নাকি তার কানে তালা লেগে গেছিলো। আরেকবার বরফে তার গাড়ি বন্ধ হয়ে যেতে সে তার তার ফোনও বন্ধ পেয়েছিলো।
ফ্রস্ট বাইটে নাকি কার আঙ্গুলও কেটে ফেলতে হয়েছে।
বাপরে আমি জীবনেও যেতে চাইনা এমন মরনের কাছে।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি তো মনে হয় শূন্য ডিগ্রীতে মরেই যাবো" - না, মরবেন না, যদি না তীব্র তুষারপাত হয় এবং তা আপনার মাথার উপর স্তুপীকৃত হতে থাকে।
ফ্রস্ট বাইট বড় সাংঘাতিক ব্যাপার। আমার আপন ভাগ্নে ওহায়োতে ডক্টরেট করার সময় তার বিরূপ অভিজ্ঞতার কথা আমাকে জানিয়েছিল। তা থেকেই জানি, ফ্রস্ট বাইট কতটা মারাত্মক হতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অক্কা পাওয়াও অসম্ভব নয়।
পোস্টে এসেছেন, নিজের ভাবনার কিছু বর্ণনাসহ মন্তব্য করেছেন, প্লাস দিয়েছেন-- অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দিল্লী গুরগাও তে শূন্য ডিগ্রী পেয়েছি অনেক দিন ই । আপনার বর্ণনায় আমার ও সেসব দিন ফিরে এলো। সেখানে সবাই সবচেয়ে কম তাপমান সেলিব্রেট করে আর আমাদের এখানে আমরা গরমে সারভাইব করার চেষ্টায় আছি সত্যি ই।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুন্য ডিগ্রী থেকে আমিও ৩২ ডিগ্রীতে স্থানান্তরিত হয়ে ঘোরের মধ্যে আছি, কোনটা ভালো ছিল এ নিয়ে ভাবতে গিয়ে! আর তার উপর তো দিনে তিনবার লোডশেডিং চলছেই, একবার ঘোষণা অনুযায়ী, আর দু'বার অঘোষিত।
মন্তব্যে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে অনুপ্রাণিত।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: আমাদের বাসার পিছন পাশে পুরানো একটা শ্মশান ঘাট আছে ।ঘাট সংলগ্ন বড় জলাশয়, নাম পন্ডিত পুকুর। আমার কাছে জলাশয়টিকে দীঘি বলেই মনে হয় এর বিশালতার কারণে। কত যে রং বেরংয়ের পাখি এসে ভীড় করে সেখানে দেখতে দারুণ লাগে । হঠাৎ হঠাৎ পাড় সংলগ্ন গাছে যখন এসে বসে অজানা পাখি, ডেকে ওঠে নানা সুরে, বিভোর হয়ে কান পাতি।
এখন যেহেতু ইয়ার গান নিষিদ্ধ তাই হয়তো পাখিদের আনাগোনা বেড়েছে পরিবেশটা অন্য মাত্রা পেয়েছে। কিছুদিন আগেও এখানে ইয়ার গান দিয়ে পাখি মারা হতো। কি যে খারাপ লাগতো।
এখানে প্রায় সারা বছর একটা ঘুঘু ডেকে চলে । সকালের দিকে একবার আর ঠিক মধ্য দুপুরে। আহ! মনটা একেবারে উদাস হয়ে যায় সেই ডাক শুনে। ঘুঘু পাখি আমার অনেক প্রিয়।
পোস্টে ভালো লাগা জানবেন।
শুভেচ্ছা রইলো।