নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
উন্মুক্ত আকাশে...
প্রায় চার মাসের মত সময় ধরে আমাদের প্রবাসী মেজো ছেলের বাসায় একটি চমৎকার অবকাশ কাটিয়ে আমরা সেদিন দেশে ফিরে আসলাম। কোথাও যাবার সময় যেমন মনে একটা আনন্দ থাকে, তার বিপরীতে ফিরে আসার সময় মনে অনুভূত হতে থাকে সাময়িক বিদায়ের একটা সূক্ষ্ম বেদনাবোধ। বিশেষ করে একেবারে শেষের সময়গুলোর স্মৃতি মনে ভাসতে থাকে। এবারে নবজাতক শিশুর কারণে বৌমা বিমানবন্দর পর্যন্ত আসতে পারেনি। তার সাথে এবং ছোট্ট নাতনি’র কাছ থেকে বাসা থেকেই উষ্ণ বিদায় নিয়ে এসেছিলাম।
সকালে খুব যত্নের সাথে ছেলের গাড়িতে আমাদের লাগেজগুলো তোলা, ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্র ঠিকমত সাজিয়ে নিয়েছি কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা, গাড়িতে উঠে তার পছন্দের গান ছেড়ে দেওয়া (এবং আমারও, কারণ সে জানে আমার পছন্দের গান কোনগুলো), রওনা হবার পর পরই পথিমধ্যে এক গ্লাস কফি নিয়ে পাশে রাখা এবং কিছুক্ষণ পরপর চুমুক দিয়ে পান করে একান্তমনে তার গাড়ি চালিয়ে যাওয়া, চেক-ইন এর সময় সাহায্য করা এবং সব শেষে বিদায় আলিঙ্গণ, ইত্যাদি স্মৃতিগুলো ঘুরে ঘুরে মনে ভাসছিল। লাগেজ গোছানো নিয়ে আগের রাতে একটু টেনশনে ছিলাম, তাই ঘুমের সামান্য ব্যাঘাত ঘটেছিল। ক্লান্তিজনিত কারণে গাড়িতে আমি কিছুটা সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আর একটু বেখেয়াল থাকায় ছেলেও হাইওয়ে থেকে বিমানবন্দরের পথে নামার একটি এক্সিট মিস করেছিল। ফলে, অযথা দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় মূল্যবান ৩০ মিনিট অপচয় হয়। হঠাৎ ঘুম ভাঙার পর আমার মনে হলো যে এতক্ষণে আমাদের বিমানবন্দর পৌঁছে যাবার কথা। ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আমরা কতদূরে আছি’? তদুত্তরে সে এক্সিট মিস করার কথা জানালো। ঘুমিয়ে যাবার কারণে তখন নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল।
ছেলেকে বলেছিলাম, পার্কিং লট থেকে গাড়ী নিয়ে বের হবার সময় আমাদেরকে যেন একটা কল করে অথবা বার্তা পাঠায়। বাসায় পৌঁছেও যেন পাঠায়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আমরা যখন বোর্ডিং এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখন আমার আদেশানুযায়ী পাঠানো ছেলের বার্তা পেলাম, সে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছে। সে আরও লিখেছে যে সে বাসায় পৌঁছার আগেই হয়তো আমরা আকাশপথে উড্ডীন হবো, তাই সম্ভব হলে যেন আমরা বিমানে আসীন হবার পর তাকে অথবা বৌমাকে একটা কল করি, অথবা বার্তা পাঠাই। আমাদের প্লেনটা যখন বোর্ডিং ব্রীজ থেকে সরে এসে একটু একটু করে চলা শুরু করলো, তখনই আমি তড়িঘড়ি করে (কারণ পরমুহূর্তেই ফোন সুইচ অফ করে রাখার আদেশ পাওয়া যাবে) তার অনুরোধ পালন করে উভয়কে ফোন দিলাম, প্রথমে বৌমাকে, পরে ছেলেকে। ছেলে জানালো, সে তখনো বাসা থেকে ১২ মিনিটের দূরত্ব-পথে আছে। সম্ভব হলে রাতে ট্রাঞ্জিট পোর্ট থেকে যেন একটা কল করি অথবা বার্তা পাঠাই, এ অনুরোধ করে সে বিদায় সম্ভাষণ জানালো। আমিও তথাস্তু বলে বিদায় সম্ভাষণ জানালাম।
কাউকে বিদায় জানানো কিংবা কারো কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসা, আমার জন্য দুটোই বেদনাদায়ক। ছোটবেলায় যখন আমাদের বাসায় কোন কাজ উপলক্ষে কিংবা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কেউ দুই একটা দিন থেকে যেত, তার যাবার সময় আমি তাকে যেতে দিতে চাইতাম না, কিংবা তার সাথে সঙ্গী হতে চাইতাম। মা অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে আমাকে নিবৃত করতেন। ছাত্রাবস্থায় কিংবা কর্মজীবনে যখন বাড়ি থেকে আসার সময় মা বাবার কাছ থেকে বিদায় নিতাম, তখন মায়ের চোখমুখ দেখেই বুঝতে পারতাম তিনি কতটা বেদনার্ত। বাবার অভিব্যক্তিহীন মুখ দেখে মোটেই বুঝতে পারতাম না, তিনি বেদনা বোধ করছেন কিনা। আজ মনে মনে ভাবি, বিদায় মুহূর্তে আমার মুখাবয়বও কি তেমনি অভিব্যক্তিহীন থাকে? আত্মজরা কি বুঝতে পারে, আমার ভেতরে কি তোলপাড় চলে? নিজের অনুভূতি থেকে আজ বাবার জন্য ভীষণ মায়া হচ্ছে। বেচারা কখনো প্রকাশই করতে পারেন নি, কঠিন শিলাসম তার হৃদয়ের তলদেশে কতই না স্বচ্ছসলিল একটি প্রস্রবন বহমান ছিল!
প্লেন যখন আকাশে পাখা মেলে দিয়ে প্রথমে মেঘের দেশে প্রবেশ করলো, তখন জানালা দিয়ে দেখা বাইরের ধূসরতা মনকে আরও ভারী করে তুললো। তবে একটু পরে প্লেনটা আরও অনেক উঁচুতে উঠে গেল, ভূমি থেকে প্রায় বার হাজার মিটারের কাছাকাছি। তখন চারিদিক ঝলমলে রৌদ্র সমুজ্জ্বল। নীচ দিয়ে হেসে হেসে ভেসে ভেসে যাচ্ছিল নীলাকাশে সাদা পেঁজা মেঘের ভেলা। কখনো সেগুলো আবার একত্রিত হয়ে মেঘশয্যার আকৃতি ধারণ করছিল। দেখে মনে হচ্ছিল কেউ যেন কোন মহানায়কের জন্য বিছিয়ে রেখেছে সেই শ্বেতশুভ্র মেঘশয্যা! মেঘের এমন আনাগোনা দেখে মুহূর্তের মধ্যে আমার মন ভালো হয়ে গেল। সারাটা পথ, দিনের আলোয় যেটুকু ছিলাম, সাথে আনা আমার এক শিক্ষকের লেখা একটা বই পড়ে আর ক্ষণে ক্ষণে মেঘের দিকে তাকিয়েই আমার কেটে গেল। কিছুক্ষণ পর পর ছবি তুলে রাখলাম। সান্ধ্যকালীন জলখাবারের ট্রে হাতে ধরা বিমানবালার আহবানে সম্বিৎ ফিরে পেলাম। আগে শোনা পাইলটের সম্ভাষণের কিছু নির্দেশিকা মনে ছিল। বুঝলাম, একটু পরেই বিমানের অবরোহণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
যাত্রাপথে দেখা সেসব মেঘমালার ছবি দিয়েই সাজালাম আজকের এই ছবিব্লগ।
ঢাকা
২৯ জুলাই ২০২২
শব্দসংখ্যাঃ ৬৭৩
উড্ডয়নের ছয় মিনিট পর তোলা ছবি
অস্ট্রেলীয় আকাশে বেলা ৩টা ৫৫ তে তোলা ছবি
অস্ট্রেলীয় আকাশে বিকেল ৪টা ৪৪ এ তোলা ....
অস্ট্রেলীয় আকাশে বিকেল ৪টা ৪৫ এ তোলা, নীলাকাশে সাদা পেঁজা মেঘের ভেলা ....
সুমাত্রা ও জাভা সাগরের উপর দিয়ে.... বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে
ওপরে সায়াহ্নের নীরবতা, নীচে কুলু কুলু রবে (হয়তো) বহমান জাভা সাগরের মৃদুকল্লোল.....
ইন্দোনেশীয় আকাশের কোন এক কোণে, হয়তো বা.... সময়, সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিট।
An wooly wooly, fleecy fleecy white bed.
231818 July 2022
সূর্যের আলো ক্রমশঃ কমে আসছে.... সন্ধ্যে ৬টা ১৯ মিনিট।
সন্ধ্যে ৬টা ৪৪ মিনিটে....
মালয়েশীয় আকাশে.... সময়, সন্ধ্যা ৬টা ৩৪ মিনিটে।
সন্ধ্যা ৬টা ৫৪ মিনিটে.....
সায়াহ্নে.... ৭টা ৩৬ মিনিটে
সাঁঝের আকাশ, কুয়ালালামপুর, সন্ধ্যে ৭টা ৩৭ মিনিটে।
কুয়ালালামপুরের আকাশ, সন্ধ্যে ৭টা ৩৯ মিনিটে। এর ২৮ মিনিট পর প্লেনটি মালয়েশীয় রানওয়ে স্পর্শ করে।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "প্লেনের জানলা থেকে এই মেঘময় আকাশটা দেখার আমার অনেক দিনের ইচ্ছে" - আপনার এই ইচ্ছেটা অচিরেই পূরণ হোক, এ শুভকামনা রেখে গেলাম।
"প্রতিবার ঢাকা থেকে যখন বাড়ি যাই তখন ঢাকার বাসার জন্য কেমন একটা বেদনানুভূতি জাগে ঠিক একই ভাবে যখন বাসা থেকে ঢাকা ফিরে আসি তখনও বাসার জন্য একই অনুভূতি জাগে মনে" - আমারও ঠিক এমনটিই মনে হতো, এখনো হয়। পৃথিবীটা খুবই মায়াময়। যেখানে যাই, সেখানেই মায়ার জালে জড়িয়ে পড়ি। এখনো যেমন মেলবোর্নের হাঁটাপথের ঘাস, ফুল, জলাশয়, সদাহাস্যময় পথচারী, পাখি ইত্যাদির জন্য মায়া হচ্ছে।
প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি একা এসেছেন?
অষ্ট্রেলিয়ার গল্পগুলো ভালো লাগছিল। আপনার ফিরে আসায় আমার ই খানিকটা মন খারাপ হল।
স্বদেশে স্বাগতম
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: না, আমরা উভয়ে একত্রে এসেছি। পোস্টের প্রথম লাইনেই 'আমরা' উল্লেখ করেছি।
"অষ্ট্রেলিয়ার গল্পগুলো ভালো লাগছিল" - আমি গল্প করতে ভালবাসি; যদিও যা লিখি, তা ঠিক 'গল্প' হয়ে ওঠে না। তবে ব্লগে শেয়ার করার মত অনেক গল্প জমা হয়ে আছে। সময় সুযোগ মত সেসব গল্পের ডালি খুলে বসার ইচ্ছে আছে।
"স্বদেশে স্বাগতম" - অনেক, অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য।
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী চমৎকার সব ছবি !
বিদায় শব্দ টাই ধূসর।
৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "বিদায় শব্দ টাই ধূসর" - খুবই সুন্দর বলেছেন কথাটা। ঠিক তাই।
ছবিগুলোর প্রশংসায় এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত।
ভালো থাকুন, শুভকামনা....
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: প্রতিবারই দেশ থেকে ফেরার পথে একটা দুঃখবোধ নিয়ে আসি। দুঃখটা বেশ কিছুদিন আমাকে তাড়া করে। আপনার বেদনা বোধটাও আমি কিছুটা হয়তো বুঝতে পারি। ছোটবেলা বাসায় কোন অতিথি আসলে তারা বিদায় নেয়ার আগেই আমি বাসা থেকে বের হয়ে বাইরে চলে যেতাম, কারণ কাউকে বিদায় জানানোটা আমার জন্য বরাবরই কষ্টকর ছিলো, বিশেষ করে কেউ যদি প্রবাসে চলে যাওয়ার জন্য বিদায় নিতে আসতেন।
তবে সবচেয়ে কষ্টকর বিদায় ছিলো প্রথমবারের মতো আমার দেশ ছাড়ার সময়। বাবা-মা এয়ারপোর্টে আমাকে বিদায় জানাতে এলেন। মা বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেছেন। এয়ারপোর্টে এসে বাবার লাল চোখ দেখে সব বুঝতে পারলে "বাবা আসি, আমার জন্য দোয়া করবেন" এটুকু ছাড়া আর কিছুই বলতে পারিনি। অশ্রু নিয়ে তিনি আমাকে মাথায় হাত রেখে বিদায় জানিয়েছেন। একুশ বছর সন্তানকে বুকে-পিঠে লালন করে ভিনদেশে চলে যাওয়ার জন্য বিদায় জানানোটা অনেকটা নাড়িছেড়া-র মতো ব্যাপার। ছোট ছিলাম, তাই বুঝতে সময় লেগেছে। এখন নিজের সন্তান আছে, তাই বাবা-মা'র সেই কষ্টগুলো অনুভব করতে পারি। বিদায় জানানো বরাবরই কষ্টদায়ক। তবুও এটাইতো জীবন। মেনে নেয়া ছাড়া মনে হয় আমাদের তেমন কিছু করারও নেই।
ছবিগুলো বেশ সুন্দর। ভীষণ ভালোলাগা থাকছে। আপনার সুস্বাস্থ্য আর সুন্দর জীবন কামনা করছি। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন। আমার আর আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।
অপু তানভীর বলেছেন: আমি এখনও প্লেনে উঠি নি । প্লেনের জানলা থেকে এই মেঘময় আকাশটা দেখার আমার অনেক দিনের ইচ্ছে । অনেক ছবি ভিডিও দেখেছি কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা নিশ্চিত ভাবেই আরও চমৎকার হবে!
নিঃসন্দেহে মহান রাব্বুল আলামিন এই পৃথিবীকে অসম্ভব রকম সুন্দর করে বানিয়েছেন, শুধু দেখার জন্য সময়, সুযোগ আর সক্ষমতা প্রয়োজন। উপর থেকে আকাশ আসলেই ভীষণ সুন্দর। গত বছর বাংলাদেশ যাওয়ার পথে কয়েকটা ভিডিও আমার চ্যানেলে দিয়েছিলা ৪কে -তে রেকর্ড করে। সেটা দেখতে পারেন।
এই ভিডিওটির টাইমলাইনের ১৫ মিনিটের পর থেকে দেখুন।
এটাও ভালো লাগতে পারে।
৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, নিজের অভিজ্ঞতা ও দুঃখ বেদনাবোধের অনুভূতি উল্লেখ করে এত সুন্দর একটা মন্তব্য রেখে যাবার জন্য। সেই সাথে দুটো ভিডিও ক্লিপও সংযোজন করার জন্য। দুটো ভিডিও ক্লিপই দেখলাম, ভালো লাগল এবং প্লেনের জানালা থেকে দেখা আমার বিভিন্ন সময়ের অনুভূতির কথা মনে জাগ্রত হলো।
প্রথমবারের মতো আপনার দেশ ছাড়ার সময় মা বাবার আবেগময় বেদনাবোধের প্রকাশ খুব সুন্দর করে ব্যক্ত করেছেন। মা শা আল্লাহ, এখন আপনি সন্তানের প্রতি আপনার অনুভূতি থেকে যে বাবার অব্যক্ত অনুভূতির গভীরতা বুঝতে পেরেছেন, এটাই আপনার সাফল্য, এটাই অনেকে বুঝতে পারে না। কর্মজীবনের প্রথম দিকে আমি সরকারী কর্তব্যে পাঁচ বছর প্রবাসে কর্মরত ছিলাম। তখন প্রবাসে থাকা অবস্থাতেই আমি বাবাকে হারিয়েছিলাম। যাবার আগে শেষ বিদায়ের স্মৃতিটা এখনও জ্বলজ্বল করে মনে ভাসে।
আমার সাধারণ, পুরনো মডেলের সেলফোন ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হ'লাম। আপনার আর আপনার পরিবারের জন্য আন্তরিক শুভকামনা এবং দোয়া রইলো।
অফ টপিকঃ সামুতে আপনি আমার চেয়ে দ্বিগুণ সময়ের চেয়েও বেশি কাল ধরে আছেন। একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করেছি, সাম্প্রতিক সময়ে আপনার লেখায় এবং ভাবনায় অনেক গভীরতা এসেছে। আপনার লেখ্য ভাষার অনেক উন্নতি হয়েছে, শুধু বানান বা ব্যাকরণগতই নয়, মন্তব্যে এবং পোস্টে সঠিক শব্দচয়ন এবং মার্জিত ভাষা ব্যবহার লক্ষ্যণীয়ভাবে চোখে পড়ে।
৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব মায়াভরা সুন্দর লেখা স্যার। চার মাসের একটা মধুর সময় কাটালেন মেজো ছেলের বাসায়। চলে আসার সময় সত্যিই বিষন্নতার চোরা স্রোত শান্ত স্নিগ্ধ মুখমন্ডলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়াটা স্বাভাবিক। মায়েরা হৃদয়ের কথা মুখ দিয়ে বা চোখের মুখের ভাষায় ব্যক্ত করতে পারলেও বাবাদের প্রকৃতির নিয়মে কিছুতেই বোধহয় মনের হাহাকার প্রকাশ করা চলে না। কাজেই সে লড়াইটা আরো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। মনের উপর পাথর চাপা দিয়ে মুখে হাসি রেখে সে বিদায় আরো যাতনাময় আরো কষ্টের পরিনত হয়। বোধহয় নিজেকে এই লড়াইতে পরাজিত না করতে ক্যামেরা বা অ্যান্ড্রয়েড সেট নিয়ে মেঘের দেশে ব্যস্ত রাখার অপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। অবশ্য এমন কিছু না করেও উপায় ছিল না। এক্ষেত্রে আপনার প্রচেষ্টা সফল বলা যায়। আর তারই সুবাদে আমরা এমন সুন্দর সুন্দর ছবিগুলো পেলাম।
প্রত্যেকটা ছবি ভীষণই সুন্দর++
শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: "চার মাসের একটা মধুর সময় কাটালেন মেজো ছেলের বাসায়। চলে আসার সময় সত্যিই বিষন্নতার চোরা স্রোত শান্ত স্নিগ্ধ মুখমন্ডলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়াটা স্বাভাবিক" - জ্বী হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। একেবারে চোখের পলকেই যেন চার চারটে মাস গত হয়ে গেল। আর বিদায়কালীন আমার অনুভূতিটাকেও আপনি সঠিকভাবে প্রকাশ করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর পরের কথাগুলোও ঠিক বলেছেন। মেঘ দেখে এবং স্রষ্টার অপূর্ব সৃষ্টির রূপ দেখে মনটা ভালো হয়ে যাক, এই আশাতেই সেলফোন ক্যামেরা হাতে নিয়ে মেঘের দেশে বিচরণ করেছি।
"তারই সুবাদে আমরা এমন সুন্দর সুন্দর ছবিগুলো পেলাম। প্রত্যেকটা ছবি ভীষণই সুন্দর++" - অনেক প্রীত হ'লাম এমন উদার প্রশংসায়। প্লাসে প্রাণিত।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা....
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩৯
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ৪ মাস প্রিয়জনের সাথে অবস্থানের পর তাদের বিদায় দেয়া যন্ত্রণা দেয়। আপনাকেও দিয়েছে। স্মৃতিমাখা ছবি ব্লগ দারুণ।
৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "৪ মাস প্রিয়জনের সাথে অবস্থানের পর তাদের বিদায় দেয়া যন্ত্রণা দেয়। আপনাকেও দিয়েছে" - বিদায় বেলায় আমার অনুভূতিটাকে আপনি সঠিকভাবে ধরতে পেরেছেন। মনযোগ এবং আন্তরিকতার সাথে পোস্ট পাঠের প্রমাণ। অসংখ্য ধন্যবাদ।
"স্মৃতিমাখা ছবি ব্লগ দারুণ" - প্রশংসায় প্রীত হ'লাম, প্লাসে প্রাণিত।
৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫০
কামাল৮০ বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর।আমি ভেবেছিলাম আপনি বোধহয় স্থায়ী হয়ে যাবেন।
৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "ছবিগুলো সুন্দর" - ধন্যবাদ, ছবির প্রশংসার জন্য।
'আমার সোনার বাঙলা' ছেড়ে গিয়ে পৃথিবীর অন্য কোথাও স্থায়ীভাবে বসবাসের কোন অভিপ্রায় আমার নেই। থাকলে তিন দশক আগেই যেতে পারতাম।
৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পৃথিবীর সব মেঘই মনে হয় একই রকম। মেঘের ছবিগুলি খুব সুন্দর।
আপনার অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের কারণে আমরা অস্ট্রেলিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মানুষ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। আপনি যত বেশী ভ্রমণ করবেন ব্লগাররা তত বেশী ভ্রমণ কাহিনী পাবে। তাই আপনি ভ্রমণের উপর থাকুন এই কামনা করছি।
আপনার নাতি আর নাতনীর জন্য শুভকামনা।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: "পৃথিবীর সব মেঘই মনে হয় একই রকম। মেঘের ছবিগুলি খুব সুন্দর" - আমাদের দেশে শরৎকালে আকাশে যেমন সুন্দর সুন্দর মেঘমালা নানান আকৃ্তিতে ভেসে বেড়ায়, আমি দেখেছি মেলবোর্নের আকাশে প্রায় সাড়া বছর জুড়েই তেমন মেঘপুঞ্জ ভেসে বেড়ায়, আর গ্রীষ্ম, শরৎ (অটাম), বসন্তকালে এবং শীতের প্রথম প্রথম ও শেষের দিকে সেই সাথে থাকে মৃদুমন্দ আরামদায়ক বাতাস।
"আপনি যত বেশী ভ্রমণ করবেন ব্লগাররা তত বেশী ভ্রমণ কাহিনী পাবে। তাই আপনি ভ্রমণের উপর থাকুন এই কামনা করছি" - এমন বিরাট একটি কমপ্লিমেন্ট এর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। নাতি নাতনির জন্য আপনার শুভকামনা পেয়ে অত্যন্ত প্রীত হ'লাম। প্লাসে প্রাণিত।
৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ওয়েল্কাম ব্যাক!
নিরাপদে ঢাকায়
প্রত্যাবর্তনের জন্য
শুভেচ্ছা।
৩১ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ওয়েলকাম গ্রীটিংস পেয়ে প্রীত হ'লাম।
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৮
শায়মা বলেছেন: ছবিগুলো দেখে মনে হলো একটা কথা। রবিঠাকুরও কি এই রকম সব মেঘ দেখেই লিখেছিলেন?
তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা ......
৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: চাঁদ, মেঘ, তারা.... প্রকৃতির এবম্প্রকার সৌন্দর্যগুলো খুব সহজেই মানুষের মনের সঙ্গী হয়ে যায় বলে আমি মনে করি। আর কবিগুরু'র মত মহাকবি হলে তো কথাই নেই!
.... "মম শূন্য গগন বিহারী
আমি আপন মনের মাধুরী মিশায়ে তোমারে করেছি রচনা
তুমি আমারই, তুমি আমারই
মম অসীম গগন বিহারী
তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা, তুমি আমার সাধের সাধনা"
১১| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৪১
আরাফাত৫২৯ বলেছেন: আকাশের ছবিগুলো খুব সুন্দর। সেই সাথে বর্নণাও। প্লেনের ডানা দেখে ভাবছিলাম আপনি মালয়শিয়া থেকে আসছেন যেহেতু প্লেনটা সম্ভবত মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সের।
আমি মনেহয় একমাত্র পাষাণ ব্যাক্তি যার দেশ নিয়ে তেমন কোন ফিলিং নাই। অবশ্য এর পিছনে যথেষ্ট কারণও আছে, যেটা না জেনে কোন মন্তব্য করা ঠিক না।
কিছুদিন আগে আয়ারল্যান্ড গিয়েছিলাম। লন্ডনের ফিরতে পথে আকাশের একটা টুকরো আমার চ্যানেলে রেখে দিয়েছিলাম। আকাশ আসলেই সুন্দর।
https://www.youtube.com/shorts/D17LboqBxdI
৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আকাশের ছবিগুলো খুব সুন্দর। সেই সাথে বর্নণাও" - এমন উদার প্রশংসার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
"প্লেনটা সম্ভবত মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সের" - জ্বী আপনি ঠিকই ধারণা করেছেন। পোস্ট পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে মালয়েশিয়া থেকে নয়, আমি ফিরছিলাম মেলবোর্ন থেকে।
আপনার চ্যানেলে রেখে দেয়া একটা টুকরো আকাশের ভিডিও চিত্রটা দেখলাম। আকাশ আসলেই সুন্দর!
১২| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
পরিজন পেছনে রেখে এসে নির্বাক হৃদয়ে গুঞ্জরিত কিছু বেদনাবোধের কথা না বলেও যেন মেঘের মতো থরে থরে সাজিয়ে গেলেন লেখাতে।
আসলেই হাযার হাযার ফুট উপরের আকাশে মেঘের বিছানা এক অচিন্তনীয় ভাবাবেগ তৈরী করে। তার সাথে সূর্য্যালোকের আপতিত সৌন্দর্য্যের খেলা এক ঐশ্বরিক অনুভবের ডানাও মেলে!
সুন্দর এই ছবিগুলো স্মৃতির সঙ্গী হয়ে থাক আপনার। স্বাগতম এই অভাগা দেশে .............
৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই আন্তরিক এবং মন ছোঁয়া একটি মন্তব্য। প্রতিটি বাক্য স্পর্শ করে গেল!
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা....
১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: স্যার, মন্তব্যে আপনার আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ আমাকে বরাবরই ভীষণভাবে অনুপ্রানিত করে। শুধু বয়োজোষ্ঠ্য বলে নয়, আপনার মার্জিত রুচিবোধ, লিখায় গভীরতার ছাঁপ এবং সর্বোপরি জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আমি ভীষণভাবে শ্রদ্ধা করি। এই ব্লগে অনেক জ্ঞাণী, শিক্ষিত এবং মানবিক দিক থেকে আমার দৃষ্টিতে বেশ উচুঁ স্তরের কিছু মানুষ আছেন যাদের আমি হৃদয়ের অন্ত:স্থল থেকে সম্মান করি, নি:সন্দেহে আপনি তাদের একজন।
আমার বাবা একজন নিভৃতচারী, ন্যায়পরায়ন, প্রচারবিমুখ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আগুনের মতো তার সততা এবং সত্যবাদীতার মতো মহৎ গুণাবলীগুলো তার অজান্তেই আমাকে মানুষ হিসেবে জীবনের সবচেয়ে দামী কিছু শিক্ষা দিয়ে গেছে। জীবনে বাবার সঙ্গ পেয়েছি খুবই কম। আমার জীবনের একুশ কিংবা বাইশ বছরে তাকে অফিস আর বাড়ি ছাড়া আর কোন রুটিনে অভ্যস্ত হতে দেখিনি। তাকে বাবা, সন্তান, মামা, চাচা হিসেবে যেদিক থেকেই আমি চিন্তা করি না কেন, তার মতো আর একজন দায়িত্ব এবং মমত্ববোধ সম্পন্ন মানুষ আমার চোখে আজও পড়ে নি। বাবা চলেও যাওয়ার পর যে শূণ্যতাবোধ আমি আজও অনুভব করছি, সেটা বোঝানোর মত ভাষা আমার নেই। শুধু মনে হয় আর ক'টা বছর যদি তিনি আমাদের মাঝে থাকতেন। তার সান্নিধ্য যদি আর ক'টা দিন পেতাম, যদি বাবার জন্য কিছু করতে পারতাম তবে সন্তান হিসেবে কিছুটা হলেও সার্থক মনে হতো। তার চলে যাওয়া শুধু অপূরণীয় ক্ষতিই নয়, আমার জন্য এই ক্ষত সেরে উঠার মতো নয়। আগামী জীবন বলে যদি কিছু থেকে থাকে, আমি সেখানেও তাকেই বাবা হিসেবে আমার পাশে চাইবো, সেটাও হবে আমার সৌভাগ্য। বাবা চলে গেছেন আজ তিন বছরেরও বেশী সময় হলো, এমন একটা ওয়াক্ত এখনো যায় নি যখন বাবাকে আমার মনে পড়ে নি, দিনতো অনেক বড় ব্যাপার। রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন তাকে বেহেশত নসীব করে, আমি যেন তার মতোই একজন মানুষ হতে পারি, আবার যেন বাবার সাথে দেখা করতে পারি।
জীবনে যেটাই করছি বা করার চেষ্টা করছি তাকে স্মরণ করে, তার সম্মানের বিষয়টুকু মাথায় রেখেই করার চেষ্টা করি যাতে আমার কারনে তার সম্মান যেন কখনো ভুলুন্ঠিত না হয়। একটা সময় ছিলো যখন মৃত্যুকে ভীষণ ভয় হতো, এখন আর সে ভয়টা কাজ করে না। যেতেতো হবেই, প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা করছি। আমার ধারনা প্রবাস জীবনে আমি অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছি। জীবন আমাকে শিখিয়েছে অনেক কিছু আর বুঝতে পেরেছি, কতটা ক্ষুদ্র আর অক্ষম আমি। তবুও যতটুকু পেয়েছি তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে মাথা নত করা আর এই জীবনের জন্য তার কাছে কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ বলা ছাড়া আমার খুব বেশী কিছু করার নেই। এক সময় আমার আর্থিক সমস্যা ছিলো অনেক, তবুও হাল ছাড়িনি। বিশ্বাস ছিলো ভোর হবেই, হয়েছেও সেটা। এখন প্রতিদানের পালা, মানুষের জন্য সাধ্যমত করার সময়।
ব্লগিং শুরু করেছি খুব অল্প বয়সে, লিখায় তারুণ্যের অনেক পাগলামো, উচ্ছ্বাস, ফাজলামো ছিলো। এখন হয়তো কিছুটা পরিণত হচ্ছি। জীবনের প্রতি হাম্বল হতে শিখছি। মানবিক কিছু গুণাবলী অর্জন করার চেষ্টা করছি, ভুল শোধারানোর চেষ্টা করছি। তবে অন্যায়, অযৌক্তিক, ভুল বলে যেটা মনে করি সেটা সমর্থন করিনি, করবোও না। লিখালিখিটা আমার বরাবরই ভালো লাগতো, আজও লাগে। ভিউ বা হিট কিংবা মন্তব্য পাওয়ার জন্য লিখি না। শুধু মনের কিছু কথা তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই লিখা।
আপনার অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ জানবেন।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন চমৎকার, হৃদয়স্পর্শী একটি মন্তব্য পড়ে আমি মুগ্ধ, অভিভূত, আপ্লুত এবং বলা যায়, কিছুটা বাকরুদ্ধ!
আপনার মুক্তিযোদ্ধা বাবার প্রতি র'লো আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং তার জান্নাতলাভের জন্য প্রার্থনা। আমার মনে আছে, তাঁর মৃত্যুর পর আপনি বেশ কয়েকটি আবেগাপ্লুত পোস্ট লিখে তাঁর স্মৃতিচারণ করেছিলেন।
আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা নিরন্তর। প্রবাসে নিরাপদে থাকুন, পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকুন!
১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: নিজ ভূমে শুভ প্রত্যাবর্বতন।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। আপনার নাতনি আর তার অনুজের ব্যাপারে 'মায়া' শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন এর আগে। সেখানেই এই প্রত্যাবর্তনের কথা লিখেছিলেন। বিদায় দেয়া ও বিদায় নেয়া, দুটোই বেদনাদায়ক। আমার মধ্যেও আপনার মতো অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য আছে। কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য অবশ্য সবার মধ্যে কমন। আমিও চাই সব সময় আমার বাসা ভর্তি গেস্ট থাকবে। তারা হৈ চৈ আনন্দ উল্লাস করবে। চেঁচামেচি করে বাচ্চারা বাসা মাথায় তুলে নিবে। বাচ্চারা অবশ্য আমার সাথেই বেশি খেলাধুলা করে, ল্যাপটপ, মোবাইল কেড়ে নিয়ে নিজেরাই খেলা করতে চায়, থামানো মুশকিল হয়ে যায় ওরা চলে যাওয়ার সময় কান্না আসে এই বড়ো বয়সেও, যেমন ছোটোবেলায়ও মেহমানরানরা চলে গেলে খুব কষ্ট পেতাম।
আপনার ছেলের সংসারের বর্ণনা পড়ে আমিও স্বপ্নাতুর হয়ে যাই - আর খুব অপেক্ষা হয়ত নেই, আমার ঘরেও পুত্রবধূ আসবে, মেয়ের জামাই হবে, নাতি নাতনিতে আমার বাসাও মুখরিত হবে। ভাবতেই আনন্দে উদ্বেলিত হই। সময়টা খুবই আনন্দঘন হবে, ইন শা'ল্লাহ।
আপনার ছেলের সংসারের জন্য দোয়া থাকলো স্যার। আপনার জন্যও দোয়া থাকলো, যাতে বিদায়ের বেদনাবোধ অতি শীঘ্র মন থেকে তিরোহিত হয়।
চমৎকার পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, 'মায়া' নামের আমার এই পোস্টটিকে স্মরণ করার জন্যঃ মায়া!
"সেখানেই এই প্রত্যাবর্তনের কথা লিখেছিলেন" - এই বাক্যটা পড়ে কিছুটা বিস্মিত না হয়ে পারলাম না। এটাও মনে রেখেছেন? আবারও অশেষ ধন্যবাদ, আমার পোস্টের প্রতি এতটা মনযোগ প্রদানের জন্য। সেই সাথে আপনার স্মরণশক্তিরও প্রশংসা করছি।
"ওরা চলে যাওয়ার সময় কান্না আসে এই বড়ো বয়সেও, যেমন ছোটোবেলায়ও মেহমানরানরা চলে গেলে খুব কষ্ট পেতাম" - এটা আমার সাথে একেবারে মিলে গেছে!
অচিরেই নতুন স্থায়ী অতিথিদের নিয়ে আপনার ঘর ভরে যাবে, ইন শা আল্লাহ। জীবন যাত্রার এ স্তরটিতে এসে আপনাকে বারবার পিছু ফিরে তাকাতে হবে, স্মৃতিরা এসে ভর করবে, আবার সেই সাথে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাবার প্রেরণাও আপনাকে শক্তি যোগাবে।
আমার ছেলের সংসার এবং ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য দোয়া করার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
১৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চমৎকার ছবি। বাস্তবে দেখতে মনে হয় আরও ভাললাগে তাইনা।
০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, ছবির চেয়ে বাস্তবে দেখতে আরও ভালো লাগে।
মন্তব্যে প্রীত হ'লাম, ধন্যবাদ।
১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমি নিচ থেকে আকাশের দিকে তাকিয়ে যে মেঘ দেখি সেটা এতো সুন্দর না।
অনেক গুছিয়ে লেখা। মেঘের মতোই সাজানো। প্রশান্তি এনে দিলো। ভালো থাকবেন স্যার।
০২ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মনে হয়, নীচের থেকে মেঘ দেখতে এক রকমের সুন্দর, ওপর থেকে দেখতে অন্য রকমের। ওপর থেকে দেখলে অনেকটা শয্যার মত মনে হয়।
লেখার প্রশংসায় এবং প্লাসে প্রীত ও প্রাণিত হ'লাম। বিশেষ করে "প্রশান্তি এনে দিলো" কথাটা আমাকেও অনেক প্রশান্তি দিল।
অনেক, অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২৭
অপু তানভীর বলেছেন: আমি এখনও প্লেনে উঠি নি । প্লেনের জানলা থেকে এই মেঘময় আকাশটা দেখার আমার অনেক দিনের ইচ্ছে । অনেক ছবি ভিডিও দেখেছি কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা নিশ্চিত ভাবেই আরও চমৎকার হবে !
প্রতিবার ঢাকা থেকে যখন বাড়ি যাই তখন ঢাকার বাসার জন্য কেমন একটা বেদনানুভূতি জাগে ঠিক একই ভাবে যখন বাসা থেকে ঢাকা ফিরে আসি তখনও বাসার জন্য একই অনুভূতি জাগে মনে ।
ঢাকায় আবারও স্বাগতম !