নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২” নিয়ে কিছু কথকতা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৬

বাচ্চারা যখন ছোট ছিল, তখন গিন্নী এবং ওদেরকে নিয়ে আমরা একসাথে বসে বিশ্বকাপের খেলা দেখতাম। ফুটবল এবং ক্রিকেট-দুটোই। সেই ১৯৯০ সাল থেকে আমাদের একসাথে বসে খেলা দেখার শুরু। বড় ছেলের বয়স তখন আট বছর, মেজো ছেলের ছয়। আমরা তখন থাকতাম ওমান সালতানাতের রাজধানী মাস্কাট শহরে। ফাইনাল খেলার দিন কয়েকটি সমমনা পরিবার একত্রিত হয়ে সপরিবারে খেলা উপভোগ করতাম। তখন থেকেই ওরা দুই ভাইই আর্জেন্টিনা দলের ভক্ত হয়ে উঠলো। ওদের মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার নাম। ওরা স্বপ্নেও তার খেলা দেখে। ছোটটার (তখন সে ‘ছোট ভাই’ ছিল, পরবর্তীতে মেজো) নামের সাথে ম্যারাডোনার নামের মধ্যাংশের একটু মিল থাকাতে ও এবং ওর মা মনে মনে একটু গর্বও বোধ করতো হয়তো। তারপর, কালের পরিক্রমায় ছেলেরা বড় হতে থাকলো, ওদের যার যার নিজস্ব বন্ধুবৃত্ত গড়ে উঠতে থাকলো, ওরা আমাদের ছেড়ে স্বাভাবিকভাবেই বন্ধুমহলে খেলা দেখা শুরু করলো। আমরা দু’জনে ক্রমশঃ একা হতে থাকলাম, আর সেই সাথে স্তিমিত হতে থাকলো আমাদের মাঝে খেলা দেখার উত্তাপ ও উত্তেজনা।

বহুকাল পর গতকাল আমরা দু’জন ‘Empty Nester’ খালি বাসায় একসাথে বসে “ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২” এর ফাইনাল খেলাটি দেখলাম। খেলা দেখার মাঝেই মনের পর্দায় ছেলেদের মুখগুলো ভেসে উঠছিলো। হায়, ওরা না জানি কে কোথায় বসে খেলাটি দেখছে। ছুটির দিন হওয়াতে বড়ছেলের খেলা দেখতে কোন অসুবিধে হবে না, তা জানি। আর তা ছাড়া সময়টাও ওর জন্য খুবই সুবিধেজনক- সকাল নয়টা। সবচেয়ে অসুবিধেজনক সময় মেজো ছেলের জন্য, রাত দুটো থেকে ভোর পাঁচটা, পরেরদিন সকাল নয়টা থেকে আবার অফিস। ছোট ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, সে সময় মত বাসায় আসবে কিনা। সে জানালো, অফিস থেকে ওরা কয়েকজন কলীগ মিলে সরাসরি চলে যাবে একসাথে বসে কোথাও বড় পর্দায় খেলা দেখতে।

ফুটবল পাগল (শুধু ফুটবলই নয়, প্রকৃত অর্থেই সে একজন যথার্থ ক্রীড়ামোদী) আমার এক বাল্যবন্ধু মাত্র দু’দিন আগে কন্যাবিদায় করে ইউনাইটেড হাসপাতালে গতকাল শয্যা নিয়েছে, আজ শল্য চিকিৎসার জন্য তার বুক চিড়ে করোনারি-আর্টারি-বাইপাস-গ্রাফটিং (CABG) হবার কথা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ড্রাইভার গাড়ির চাবি বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নিল স্থানীয় মাঠে বড় পর্দায় খেলা দেখার উদ্দেশ্যে চেয়ার দখলের জন্য। ও কিছুদূর যেতেই ওকে ফিরালাম। বললাম, আমার এক বন্ধু হাসপাতালে, অপারেশনের আগের রাতে ওকে একটু দেখে আসবো। আমার সেই বন্ধুকে সে ভালভাবেই চিনে। দুদিন আগে তার কন্যার বিয়েতে সে ভুড়িভোজ করে তৃপ্ত হয়েছে, সে কথা সে সেদিনই আমাকে বলেছিল। ও সবচেয়ে খুশি হয়েছিল সব ড্রাইভারকে ওরা ভেতরে ডেকে নিয়ে সহৃদয়তার সাথে আপ্যায়ন করেছিল বলে। আদর আপ্যায়ন কে না বোঝে?

আমার কথা শুনে আমার তরুণ ড্রাইভারের মুখটা যেন কালো মেঘে ছেয়ে গেল! আমি ওর মুখে আমার ছেলেদের মুখগুলো দেখতে পেলাম। আজ এ মুহূর্তে যদি ওদের বস খেলা দেখার পরিকল্পনা পণ্ড করে কোন কাজ দিত, ওদের কেমন লাগতো? আমার ছেলেদের মতই সেও তো আর্জেন্টিনা দলের এক মহা সমর্থক। সকাল থেকেই তো সে আর্জেন্টিনা দলের জার্সি পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে! আমি সেটা বুঝে ওকে আদরের সাথে বুঝিয়ে বললাম, আমি নয়টার আগেই ফিরে আসবো। এতে তোমার হয়তো চেয়ারে বসে খেলা দেখা সম্ভব নাও হতে পারে, তবে আরও অনেক মানুষের মত তুমি নিশ্চয়ই দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে পারবে। এর বিনিময়ে আমি একজন অসুস্থ বন্ধুকে দেখে আসার সুযোগ পাবো। ও প্রথমে ভেবেছিল, আজ তার খেলা দেখা পণ্ড হয়ে গেল! আমি নয়টার আগেই ফিরে আসবো বলায় সে আশ্বস্ত হলো, খুশিতে ফিক করে হেসে বললো, “কোন সমস্যা নাই স্যার”।

বন্ধুর সাথে দেখা করে আমি রাত আটটা চল্লিশে বাসায় ফিরে এসে ওকে মুক্ত করে দিলাম। ও লাফাতে লাফাতে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে এক দৌড় দিল। ঘরে বসে আমরা খেলার প্রথমার্ধটুকু বেশ স্বস্তি নিয়েই দেখলাম। সময়মত ঔষধ খেতে হবে বলে গিন্নী আগেই ডিনার সেরে নিয়েছিল। আমি হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে এশার নামায পড়ে নিয়ে খেলা দেখতে বসলাম, ফলে প্রথম পাঁচ মিনিট মিস করে বসলাম। হাফ টাইমের সময় নাকে মুখে খেয়ে নিয়ে আবার এসে বসলাম খেলা দেখতে। কিন্তু এ পর্বে খেলা দেখার সময় উত্তেজনায় আমরা দুজনেই কাঁপছিলাম। মাত্র সাতানব্বই সেকেন্ডের ব্যবধানে দু’ দু’টো গোল করে ফ্রান্স যখন বীর বিক্রমে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনলো, তখন আমাদের চোখে মুখে আশঙ্কার ছায়া! ফেসবুকে আর্জেন্টিনা সমর্থক বন্ধুরা থেকে থেকে আগাম বিজয়োল্লাস প্রকাশ করতে থাকে। আমি সেসব দেখে ছোট একটা স্ট্যাটাস দিলামঃ “Do not count the chickens before the eggs are hatched!” এটা তাদেরকে নিরুৎসাহিত করতে যতটা নয়, নিজেকে প্রবোধ দিতে তার চেয়ে বেশি। পেনাল্টি শুটআউটের সময় তো সোফায় বসে থাকতে পারছিলাম না, টিভি’র আশে পাশে পায়চারি শুরু করলাম। হাসপাতালে শয্যাশায়ী সেই ক্রীড়ামোদী বন্ধুর কথা মনে পড়লো। মনে মনে দোয়া আওড়ালাম, হে আল্লাহ, ও যেন আজ রাতের এই বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা দেখার জিদ না ধরে বসে!

আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম, আমার বড় ছেলে গতকালের খেলা দেখে ফেসবুকে সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছে। সেখানে সে ১৯৯০ সালের সেই বিশ্বকাপের খেলার কথা লিখেছে, যা আমরা কয়েকজন বন্ধু পরিবার ছেলেমেয়ে নিয়ে একসাথে বসে দেখেছিলাম। সে আমার কথা লিখেছে, তখন তার বয়স আট বছর ছিল। আমি তাদেরকে নিয়ে সেই বাসায় একত্রিত হয়েছিলাম। সে রাতে আর্জেন্টিনা জার্মানি’র কাছে পরাজয় বরণ করাতে সে আর তার ভাই কেঁদেছিল। জীবন বৃত্তের পরিক্রমায় গতরাতে সেও তার মেয়েকে নিয়ে বন্ধু পরিবার পরিবৃত হয়ে বিশ্বকাপ ২০২২ এর ফাইনাল খেলা দেখেছে। কাকতালীয় হলেও, তার মেয়ের বয়সও এখন আট বছর। শুধু পার্থক্য এই, সে রাতে তার প্রিয় দল পরাজয় বরণ করাতে সে কেঁদেছিল, গতরাতে তাদের প্রিয় দল ভালো খেলে জয়লাভ করাতে সে এবং তার মেয়ে দু’জনেই হেসেছে, ওরা দু’জনেই খুব খুশি। আমরাও, অনেকটা তাদের আনন্দের কারণেই!

ঢাকা
১৯ ডিসেম্বর ২০২২
শব্দসংখ্যাঃ ৮২১

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
৯০ সালে আমার বয়স ছিল আট। আমাদের টিভি ছিল না। আব্বা বিশ্বকাপ শুরুর আগে ম্যারাডোনার পোস্টের কিনে দিয়েছিলেন। আব্বা ব্রাজিলের সমর্থক। আমিও ব্রাজিল। ম্যারাডোনার পোস্টের পেয়ে অবাকই হয়েছিলাম।
ফাইনাল খেলা দেখতে গিয়েছিলাম অন্য বাড়িতে। জার্মানির কাছে হেরে গেলো আর্জেন্টিনা। খুশি মনে বাড়ি ফিরলাম। দেখলাম আব্বার মন খারাপ।
আব্বা বললেন , ম্যারাডোনা হেরে গেলো ?
সেদিনের অনুভূতি বুঝিনি। এন্টি টিম হেরে গিয়েছে তাতেই খুশি।

এবার ফাইনাল ঠিক তেমনই অনুভূত হলো। ২০১৪ তে যেটা হয়নি। এমবাপ্পে গোল পরিশোধ করলো। ক্যামেরা চলে গেলো মেসির দিকে। আচমকা চোখ ভিজে উঠলো।

ছেলেটাকে আর্জেন্টিনার জার্সি কিনে দিয়েছিলাম ফাইনালে। জার্সি পেয়ে খুব খুশি। মেসি মেসি মেসি করে চিৎকার করলো। আমি বললাম , মেসি কি করে ?
ও আমাকে অবাক করে দিয়ে বলে , 'ফুটবন' খেলে।
কে ভালো খেলে ?
ও আর আমি !


রাতে ঘুমানোর আগে ভাবলাম। নিজেকে প্রশ্ন করলাম , ব্রাজিল কোয়াটার ফাইনালে হেরে যতটা কষ্ট পেয়েছিলাম আর মেসি হারলে কি তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেতাম ?
হৃদয়ের গহীন থেকে উত্তর এলো , হ্যাঁ ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "কে ভালো খেলে ? ও আর আমি!" - বাহ, আপনার ছেলের বুদ্ধির তারিফ করছি। এই বয়সে এরকম একটা চমৎকার উত্তর দেয়াটা সহজ ব্যাপার নয়।
"হৃদয়ের গহীন থেকে উত্তর এলো , হ্যাঁ" - এটাই হওয়া উচিত। এটাই উদার ও কোমল মনের পরিচায়ক।
চমৎকার (প্রথম) মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা মানে স্ত্রী, দুই ছেলে, বড়ো ছেলের বৌ এবং আমাদের নাতনি মিলে খেলা দেখেছি। ছোট ছেলে ইনিংস ফুটবলের ভক্ত, অন্যরা সবাই আর্জেন্টাইন। খেলাকে আমি খেলার মধ্যেই রেখে কোনো প্রকার প্রেশার না নিয়েই খেলা দেখেছি।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, চমৎকার! গিন্নী, ছেলে, ছেলের বউ, নাতনি নিয়ে একসাথে বসে খেলা দেখার মজাই আলাদা। প্রেশার না নিয়ে খেলা দেখতে পারাটা প্র্যাকটিস করতে হবে। আমিও কোন দলের পাঁড় সমর্থক নই। তবে পেনাল্টি শুট আউটের সময় নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারি না।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২০

আরজু পনি বলেছেন: আমার বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার শুরু ১৯৯০ সাল থে‌কেই।

বাসায় র‌ঙিন টি‌ভি থাকায় বড় ভাইয়ের বন্ধুরা জটলা ক‌রে‌ছি‌লো বাইরের রু‌মে। আমি এক‌কোনায় ব‌সে ভাই, ভাইয়ের বন্ধু‌দের হল্লাচল্লা শু‌নি আর খেলা দে‌খি।

স্মৃ‌তি য‌দি ভুল না ক‌রে জার্মা‌নির এক খে‌লোয়ার ম‌্যারা‌দোনার হাত মা‌রি‌য়ে দি‌য়ে‌ছি‌লো।

খুব ভা‌লো লাগ‌লো আপনার স্মৃ‌তিচারণ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, বিশ্বকাপ নিয়ে আপনার স্মৃ‌তি থেকে কিছু অংশ এখানে তুলে ধরার জন্য।
মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রাণিত হ'লাম।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

অর্ক বলেছেন: কোমল হলাম পড়ে খায়রুল ভাই। এভাবেই জীবন সতত অগ্রসরমান। আজকের এ দিন কাল হয়ে যাবে কাল। কে কোথায় হারিয়ে যাবো। দিনশেষে সবাই গল্প, সবাই এলবামে বেরঙ ছবি। তবে এটাও ঠিক এসব ভেবে জীবনের আনন্দ মাটি করাটাও নেহাৎ বোকামি। কি বলেন? পঞ্চাশ পঞ্চান্ন বছর আগে যে কিশোর মাঠ দাপিয়ে ছুটে বেরিয়েছিলো, সে তো তখন ভাবেনি পঞ্চাশ পঞ্চান্ন বছর পরের কথা। এসব ভাবলে তার সে ডাংগুলি, গোল্লাছুট খেলার আনন্দ মাটি হতো। সুতরাং এখনও নিজের মতো ভরপুর উপভোগ করুন জীবন। হৃদয়ের কতো উপাদান চারিধারে। আপনাদের সময়কার ভারতীয় নায়িকা মালা সিনহার সাম্প্রতিক একটা সাক্ষাৎকার দেখলাম। সোজা বলে দিলেন, আমি সবসময় বর্তমান নিয়ে বাঁচি। এ মুহূর্তে এই যে তোমার সঙ্গে কথা বলছি এটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে যথাসম্ভব গুছিয়ে সুন্দর করে আমার কথা ব্যক্ত করবো এটা নিয়ে ভাবছি।

ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকলো।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর করে নিজের ভাবনাগুলো তুলে ধরেছেন আপনার এ মন্তব্যে। পড়ে মুগ্ধ হ'লাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



চাকুরী জীবনে বল খেলেছেন?

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: করোনার পড়ে সারা বিশ্ব এবার একসাথে আনন্দে মেতেছিলো।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, ফুটবল একটি সর্বসাধারণের খেলা। তাই বিশ্বকাপের সময় বিশ্বব্যাপী আপামোর জনসাধারণ এ খেলা নিয়ে মেতে ওঠে। তবে বিশ্বকাপ চলার সময় বাংলাদেশে মাতামাতিটা একটু বেশিই হয়। তা হোক, কারণ এ দেশের সাধারণ জনগণের বিনোদনের সুযোগ অত্যন্ত কম। ফুটবল নিয়ে মেতে থেকে তারা অনেক আনন্দ লাভ করে। আর তা ছাড়া আপনি ঠিকই বলেছেন, করোনার কারণে গৃহবন্দী মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিলো। তাই করোনার পর এই প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে বিশ্বব্যাপী ফুটবলপ্রেমী জনগণ আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিলো। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতেই হয়, মরুভূমির দেশ কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করে বিশ্বব্যাপী সমীহ অর্জন করেছে।

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি ব্রাজিল সমর্থন করি আর আমার দুই মেয়ে আর্জেন্টিনা সমর্থন করে । আহ খেলা দেখার সময় কী যে মজা। ছোট ভাতিজা মেসি মেসি বলে চিৎকার করে উঠে। ওর বাবা মেসি ভক্ত তাই সবাই ওরা একজোট ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরিবারে বিভিন্ন দলের সমর্থক থাকাটা ভালো। এতে মজা বেশি হয়।

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বহমান জীবনের চমৎকার অভিজ্ঞতা ! খুব সুন্দর করে লিখেছেন।
আমার আবছা মনে আছে ৮৬ এর বিশ্বকাপ থেকে। রাতের খেলা , আব্বা চুপিচুপি বড় ভাই বোনদের ডাকতেন। সমস্তদিনের ক্লান্ত মা কে বিরক্ত না করে। নিজেই চা বানাতেন আমাদের জন্যে, বলতে দ্বিধা নেই ঐ সময় চা নিষিদ্ধ থাকায় খেলার চেয়ে চায়ের আকর্ষণ বেশি ছিল।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাহ, আপনার স্নেহময় আব্বা নিশ্চয়ই একজন ক্রীড়ানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। সেই জন্যেই তিনি গভীর রাতেও আপনাদেরকে ডেকে আনতেন খেলা দেখার জন্য। এমন কি নিজেই চা বানিয়েও খাওয়াতেন।
অনেক ধন্যবাদ, আপনার সেই পুরনো স্মৃতিটা এখানে শেয়ার করার জন্য।

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। দারুণ অনুভূতি প্রকাশ।পিতা পুত্র মিলে হাজার মাইলের ব্যবধান ঘুচে যেন অনাবিল সুখানুভূতিতে একাকার। এমন সুখ স্মৃতি নিয়েই আপনার আগামীর দিনগুলো অতিবাহিত হোক কামনা করি।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যটাও খুব সুন্দর। শুভকামনা, আন্তরিক মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.