নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপিঃ কানাডা জার্নাল -১

০৩ রা জুন, ২০২৩ ভোর ৫:৩০


নতুন প্রভাত
10 May 2023, 05:36

০৭ মে ২০২৩
আকাশপথে দীর্ঘ যাত্রাজনিত ক্লান্তির কারণে গতরাতে একটানা বেশ ভালো ঘুম হলো। সকালে নাশতার পর এক কাপ কফি বানিয়ে ল্যাপটপটা খুলে বসলাম। আজ রবিবার বলে আনায়ার স্কুল বন্ধ, তাই সেও অনেকক্ষণ ঘুম দিয়ে উঠে দেখে গেল আমি কী করছি। আগে হলে কোলে উঠে বসতো এবং ইউটিউবে ওর পছন্দের গান শুনতে অথবা কার্টুন দেখতে চাইতো। এখন একটু বড় হয়েছে, তাই সে কোলে না উঠে পাশে এসে দাঁড়িয়ে রইলো। আমি ওকে আদর করে নাশতা খাওয়ার তাগিদ দিলাম। আর বিকেলে ওর সাথে বাসা থেকে দশ মিনিটের দূরত্বে ওর স্কুল দেখতে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম। ও টুকটাক কিছু দুষ্টুমি করে ওর দিদির কাছে চলে গেল নাশতা খেতে।

সকালের দিকে বেশ ভালোই রোদ উঠেছিল। দুপুরের দিকে আস্তে আস্তে রোদের আলো নিস্তেজ হতে শুরু করলো। বিকেলের দিকে শীতল বাতাস বইতে শুরু করলো। তানিয়া আর সবুজ এলো আনায়ার বয়সী ওদের দুই কন্যা আর্শী আর আয়রাকে নিয়ে, ছয়টার পর। গুগল করে দেখলাম, এখানে নামাযের সময়সূচীতে বাংলাদেশের তুলনায় বেশ কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। শুধুমাত্র যোহর আর আসরের নামায মোটামুটি বাংলাদেশের কাছাকাছি সময়ে পড়া হয়। ফজরের নামায পড়া যাবে রাত সোয়া তিনটা থেকে সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত। মাগরিব সাড়ে আটটায় এবং এশা সাড়ে দশটায়। ২২শে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন এ সময়গুলো আরও দুই তিন মিনিট করে বেড়ে যাবে।

আসরের নামায পড়ে আমরা সবাই বের হলাম হাঁটতে হাঁটতে আনায়ার স্কুল দেখতে যাবার জন্য। আনায়া খুব উদগ্রীব ছিল আমাদেরকে ওর স্কুল দেখাবার জন্য। আমার ভালো লাগলো এটা দেখে যে সে তার স্কুল এবং টীচারকে নিয়ে বেশ গর্বিত। আমরা স্কুলের প্রবেশমুখে পৌঁছানো মাত্র বাচ্চাগুলো দৌড়ে চলে গেল স্কুলের প্লে গ্রাউন্ডে রাখা নানা রকমের খেলার সরঞ্জামগুলোর দিকে। ওরা অনেকক্ষণ ধরে খেললো, আমরা নিজেদের মধ্যে গল্প করতে থাকলাম। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে বাড়ী ফিরে এলাম।

০৮ মে ২০২৩
নতুন কোন জায়গায় এলে আমার সাধারণতঃ দিক ভ্রম হয়। তবে এখন যে বাসায় আছি, সেখানে দিকভ্রম হবার কোন অবকাশ নেই। কারণ, ব্যালকনিতে দাঁড়ালেই পূর্ব দিগন্ত দেখা যায়, আর একটা দিক সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া গেলেই তো বাকি তিনটে দিক সম্বন্ধেও নিশ্চিত হওয়া যায়। তদুপরি এখন তো সব সেলফোনে একটা কম্পাস থাকেই। আজ ভোরে ফজরের নামায পড়ে যখন ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালাম, তখন অরুণোদয়ের আয়োজন চলছে। রক্তিমাভ পূবাকাশের কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের ছবি তুলতে আমার ভালো লাগে।

গতকাল আনায়া ওর নোট বই থেকে চারটা পৃষ্ঠা ছিঁড়ে তাতে কিছু ছবি এঁকে আমার পাশে সোফার উপর রেখে গিয়েছিল। ছবিগুলো তখন দেখিনি। চারটা পৃষ্ঠায় ছবির উপরে চারজনের নাম লিখা ছিলঃ দাদা, দিদি, বাবা আর আরহাম (ওর ছোট ভাই)। ছবিগুলো কিসের, তা দেখার জন্য হাতে নিলাম। আমারটাতে আঁকা একটা সেলফোন-স্ক্রীন এর ছবি। ওর দিদিরটাতে একটা ফুলের আর ওর ছোটভাই এর টাতে একটা গাড়ির। বাবারটাতে কী এঁকেছে তা দেখে বুঝতে পারলাম না। ও ঘুম থেকে উঠে যখন স্কুলের জন্য তৈরি হচ্ছিল, তখন ওকে জিজ্ঞেস করলাম ছবিগুলো কিসের এবং কেন সে তা এঁকেছে। সে বললো, "তোমরা সবাই যে যেটা ভালোবাসো, তার জন্য সেটার ছবি এঁকেছি"। ওর বাবারটার সম্বন্ধে সে বললো, ওটার নাম 'কন্ট্রোলার', ওটা দিয়ে ওর বাবা টিভিতে গেইম খেলে।

০৯ মে ২০২৩
গতকাল ভোরে যেমন আকাশটা উজ্জ্বল ও রক্তিমাভ ছিল, আজ ঠিক তার উল্টোটা। পূব দিগন্ত আজ ধুসর, মেঘাচ্ছন্ন। সাত সকালে এমন একটা আকাশ মনে বিষণ্ণতার ছায়া ফেলে। হাল্কা বাতাসও বইছে। আকাশ দেখে মনে হচ্ছে, আজ আনায়াকে ছাতা ক্যারী করতে হবে। এমন শীত শীত সকালে বড়রাই শয্যা ত্যাগ করতে গড়িমসি করে, বাচ্চাদের তো কোন কথাই নেই, সে যতই "ভোরের পাখি" হোক না কেন। আনায়াও উঠতে চাচ্ছে না। নানা প্রলোভন দেখিয়ে ওকে তোলা হলো। একবার উঠে গেলে ও অবশ্য তৈরি হতে বেশি সময় নেয় না, তবে কিছু খেতে ভীষণ ঝামেলা করে।

১০ মে ২০২৩
আজ আবার পূব-আকাশে গত পরশুদিনের মত অরুণোদয়ের উজ্জ্বল আলোর ছটা। কিছুক্ষণ ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থেকে সূর্য ওঠা দেখলাম। আনায়া তৈরি হবার পর আমি আর ওর দিদি মিলে ওকে স্কুলে দিয়ে আসলাম। পথেরও কিছু ছবি তোলা হলো। ফেরার পথে 'Safeway' থেকে কিছু grocery কিনে আনলাম।

১১ মে ২০২৩
আজ আকাশে সূর্যোদয়ের আভা থাকলেও, কিছু কিছু মেঘেরও আনাগোনা ছিল। শীঘ্রই বৃষ্টি নামতে পারে ভেবে তাড়াতাড়ি আনায়াকে তৈরি করে স্কুলে রেখে এলাম। তারপর এক এক করে দেশে অনেকের সাথে কথা বললাম এবং কুশল বিনিময় করলাম।

১২ মে ২০২৩
আজ সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে। এরই মাঝে তৈরি হয়ে আনায়াকে স্কুলে দিয়ে আসলাম। পথে বাতাসের কারণে মাঝে মাঝে আমাদের হাত থেকে ছাতা দুটো উড়ে যেতে চাচ্ছিল। কানাডায় আসার পর আজ প্রথম জুম্মাবার। দুপুরে একজন প্রতিবেশীসহ আমরা জুম্মার নামায পড়তে গেলাম। রাতে আল-বুরাক নামের এক রেস্টুরেন্টে ডিনার করলাম। আগামী কাল শনিবার, ছুটির দিন। স্থানীয় কতিপয় বাংলাদেশী পরিবার মিলে ঈদ-পুনর্মিলনি এবং বৈশাখ বরণ উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেখানে আনায়ারও সামান্য অংশগ্রহণ থাকবে। সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থকার আশা নিয়ে রাতে ঘুমাতে গেলাম।



রিজাইনা, কানাডা
১২ মে ২০২৩
শব্দ সংখ্যাঃ ৭২৯


07 May 2023, 20:09


অরুণোদয়
10 May 2023, 05:26


দাদার পছন্দের জিনিস (ওর মতে) এঁকেছে আনায়া।
08 May 2023


Overcast sky on a Summer day
09 May 2023, 06:39
Regina, SK, Canada

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২৩ ভোর ৫:৫৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাল লাগল দিনলিপি পড়ে। আজকে জুমার নামাজে দিয়ে দেখি দেরি হয়ে গেছে, সবাই নামাজ পড়ে বের হচ্ছে অবশেষে চার রাকাত জোহর পরে বের হলাম।
আনায়া কোন ক্লাসে পড়ে?

০৩ রা জুন, ২০২৩ ভোর ৬:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি এখানে যে এলাকাতে থাকি, সেখান থেকে গাড়িতে করে মাসজিদ ৫/৭ মিনিটের পথ। জুম্মার জন্য দুইটা জামাত হয়। প্রথমটা সোয়া একটায়, পরেরটা সোয়া দুইটায়। কেউ প্রথমটা মিস করলে পরেরটা পড়ে নেয়ার সুযোগ থাকে।
আনায়া গ্রেড থ্রীতে পড়ে।

২| ০৩ রা জুন, ২০২৩ ভোর ৬:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:



ভালোই সময় কাটছে আনায়ার সাথে।

ঈদ-পুনর্মিলনি এবং বৈশাখ বরণ এতো লেইটে!




০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, ভালো সময় কাটছে।
মাস খানেকের মত বিলম্বিত, তবুও প্রবাসে বসে তারা যে কিছু একটা করার প্রয়াস নিচ্ছে, এ জন্যেই তারা ধন্যবাদার্হ।

৩| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ৭:০৩

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: ভালো লাগলো ডাইরি পড়তে, টরন্টো বেড়াতে আসছেন কি?

০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ৮:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: একবার টরন্টো যাবার ইচ্ছে আছে। দেখা যাক, কবে যেতে পারি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২৭

আমি সাজিদ বলেছেন: কানাডা জার্নালের সাথেই আছি। আনায়া বেশ ক্রিয়েটিভ মাশাল্লাহ। ওই দেশে কি সবাই ব্যাক্তিগত গাড়ি নিয়েই কাছে দূরে সকল জায়গায় যায়? যেমন আপনি নিকটবর্তী মসজিদের কথা উল্লেখ করেছেন ৫/৭ মিনিট গাড়ি চালানো দূরত্ব যেখানটার। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা কেমন?

০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের মাসজিদটা যে জায়গায় অবস্থিত, ঠিক সে জায়গাটা পর্যন্ত কোন পাবলিক টান্সপোর্ট যায় না। কাছাকাছি যে জায়গায় নামিয়ে দেবে, সেখান থেকে হেঁটে যেতেও ৫/৭ মিনিট লাগবে। মেলবোর্নের পাবলিক টান্সপোর্টে (ট্রেন, ট্রাম ও বাস) চড়ে আমি শহরটার উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম চষে বেড়িয়েছি এবং প্রতিটি রাইড উপভোগ করেছি। মেলবোর্নে থাকতে নিকটতম যে মাসজিদে আমি জুম্মার জামাতে যেতাম, সেখানে যেতে ট্রেন বাস মিলে এক ঘণ্টা দশ মিনিট সময় হাতে নিয়ে ঘর থেকে বের হতে হতো, তবে জার্নি আরামদায়ক এবং উপভোগ্য ছিল।

রিজাইনা সাচকাচুয়ান প্রদেশের রাজধানী, তবে খুব বড় শহর নয়। এ প্রদেশের অপর বড় শহর সাসকাটুন। আমি সাসকাটুনে এখনো যাই নি, তবে এখানকার বাঙালিদের সাথে আলাপচারিতায় জেনেছি যে রিজাইনা আর সাসকাটুন হচ্ছে ঢাকা আর চট্টগ্রামের মত। রিজাইনা সিটি অভ এডুকেশন, আর সাসকাটুন সিটি অভ বিজনেস এ্যান্ড কমার্স। রিজাইনা সীট অভ দ্য প্রভিন্সিয়াল গভর্ণমেন্ট এ্যান্ড এস্টাবলিশমেন্ট্স, সাসকাটুন হাব অভ কমার্শিয়াল এ্যাক্টিভিটিজ। ওখানে হয়তো পাবলিক টান্সপোর্ট ব্যবস্থা রিজাইনার চেয়ে ভালো হতে পারে। একবার গেলে বুঝতে পারবো।

প্রশ্নটার জন্য ধন্যবাদ। প্লাসে প্রাণিত।

৫| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ৯:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



দিনলিপি দিনের মতোই উজ্জ্বল মনে হলো।
ভালো কাটুক আপনার রিজাইনার সময়গুলো।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ২:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন ভালো করা মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ব্লগারদের পোস্টে আপনার উজ্জ্বল মন্তব্যগুলোও চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।

৬| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার নাতনী আনায়া বেশ বুদ্ধিমতী। সে জানে কার কি পছন্দ এবং সেই পছন্দের জিনিসের ছবি সে এঁকেছে।

ভালো লাগলো আপনার কানাডার দিনলিপি। নাতনীর আঁকা ছবিটা কচি হাতে আঁকা হলেও সেটার মধ্যে একটা ভালোবাসার ছোঁয়া আছে। ভালো থাকবেন।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "সে জানে কার কি পছন্দ এবং সেই পছন্দের জিনিসের ছবি সে এঁকেছে" - একদম ঠিক কথা বলেছেন। একই সাথে সে আরও তিনটা ছবি এঁকেছিল যা আমি উপরে পোস্ট করিনিঃ একটা ওর দিদির জন্য (ফুল), একটা ওর সাড়ে তিন বছরের ছোটভাই আরহামের জন্য (বীটল গাড়ি) এবং তৃতীয়টা ওর বাবার জন্য (কন্ট্রোলার)। তৃতীয়টার সাথে আমি পরিচিত ছিলাম না, তাই ওকে জিজ্ঞাসা করলাম, ওটা কী? সে উত্তর দিল, "ওটার নাম কন্ট্রোলার, ওটা দিয়ে বাবা টিভি মনিটরে গেইম খেলে"। ছবি তিনটা এখন এখানে পোস্ট করলাম।




ও যখন ঢাকায় আমার বাসায় ছিল (বাংলাদেশে বেড়াতে এসে), তখন একদিন সে একটা ছবি এঁকে আমার হাতে দিয়ে গিয়েছিল। ছবিটা নীচের লিঙ্কটা কপি করে এ্যাড্রেস বারে পেস্ট করলে দেখতে পাবেনঃ
https://ibb.co/348JC7C ।
ছবিটাতে লেখা ছিল "আই লাভ দাদা বাট দাদা লাভস ল্যাপটপ"। আমার লেখালেখির সময় কখনো সে আমার মনযোগ আকর্ষণ করে তা না পেয়ে এ ছবিটা এঁকেছিল। আমি এতে খুবই অভিভূত হয়েছিলাম, ওর প্রাপ্য মনযোগটুকু ওকে না দেয়ার জন্য মনে মনে আহতও হয়েছিলাম। এ নিয়ে আমি এ ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা আপনি লাইক করেছিলেন এবং সেখানে মন্তব্যও করেছিলেন। পোস্টটি দেখতে পাবেন এখানেঃ

৭| ০৩ রা জুন, ২০২৩ দুপুর ২:২০

আগন্তুক৬৯ বলেছেন: আনায়া বাংলা ভাষায় কতটা সাবলীল। লিখতে পড়তে পারে।

আগ্রহ নিয়ে আপনার ডায়েরী পড়ছি এবং ভাল লাগছে।

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলা ভাষায় লিখতে পড়তে পারার পারদর্শিতা ক্রমশঃ ক্ষয়িষ্ণু। এটা এখন আমার জন্য একটা বড় মাথাব্যথা।
"আগ্রহ নিয়ে আপনার ডায়েরী পড়ছি এবং ভাল লাগছে" - অনেক ধন্যবাদ।

৮| ০৩ রা জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, সুন্দর লিখেছেন।
পড়ে আনন্দ পেলাম। ভ্রমন কাহিনী আমার বিশেষ প্রিয়।

আপনার কাছে আরজি আছে, কানাডাতে নাকি মসজিদ গুলো অনেক বড়। এবং সেখানে লাইব্রেরী আছে। খেলার ব্যবস্থা আছে। ফাস্ট ফুডের দোকান আছে। জিম আছে। এবং যে কেউ এই মসজিদে গিয়ে লাইব্রেরীতে বই পড়তে পারে। ইনডোর গেমস (ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল) খেলতে পারে। ব্যয়াম করতে পারে?
এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত জানবেন। এবং লিখবেন।

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটি পড়ে আনন্দ পাবার কথাটি এখানে জানিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ।
আমি এ পর্যন্ত মাত্র একটি মাসজিদেই গিয়েছি। সেটা এত বড় নয়। বেইজমেন্ট, একতলা ও দোতলা ভরে যায় জুম্মার দিনে। পর্যাপ্ত স্থান সংকুলান না হওয়াতে দুইবার জুম্মার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে এখানেও মাসজিদে অনেক বই পুস্তক রয়ছে। ফাস্ট ফুডের দোকান মাসজিদে নেই, তবে প্রায় প্রতি জুম্মাতেই কেউ না কেউ কিছু না কিছু খাবার দাবার আয়োজন করে থাকেন। এগুলোর কিছু থাকে সর্বসাধারণের জন্য বিনামূল্যে, আবার কিছু কিছু থাকে মূল্য পরিশোধ বাবদ নেয়ার জন্য। পরের গুলোতে থাকে সাধারণতঃ তেহারি, বিরিয়ানি ইত্যাদির প্যাকেট। শুনেছি, মূল্য পরিশোধ বাবদ উত্তোলিত অর্থ কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করা হয়। ব্যায়াম, খেলাধূলা, ইত্যাদির কোন ব্যবস্থা এখনও চোখে পড়েনি।

৯| ০৩ রা জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০

জটিল ভাই বলেছেন:
বরাবরের মতোই আনন্দঘন প্রত্যাবর্তনের কামনা......

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: শুভকামনা ও প্লাস, দুটোর জন্যেই অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ০৩ রা জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: টরন্টো আসার আগে পারলে একটা ইমেইল করবেন প্লিজ [email protected]

০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আচ্ছা, সোহানীও বলেছেন। যদি যাওয়া হয়, আপনাদের উভয়কে জানাবো।

১১| ০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৯

শায়মা বলেছেন: আনায়ার জন্য ভালোবাসা। :)

০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আনায়াকে ভালোবাসার জন্য।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সকাল ৭:০৫

সোহানী বলেছেন: সুস্বাগতম কানাডিয়ান লাইফে।

০৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, কানাডিয়ান লাইফে সুস্বাগতম জানাবার জন্য।

১৩| ০৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! বেশ সুন্দর দিনলিপি। অল্প কদিনেই বেশ মানিয়ে নিয়েছেন। আমাদের এখানে এখন ভয়াবহ আগুন চলেছে। সেক্ষেত্রে আপনি এবছরটা সেভ জোনে আছেন। ছোট্ট আনায়া বাসাটা কে মাতিয়ে রেখেছে।ওর নিজের হাতে চারজনের জন্য চারটি পছন্দের ছবি আঁকাকে তারিফ করতেই হবে।অল্প বয়সেই সেন্স অফ হিউমার চমৎকার। বাকিদিনগুলেও এভাবে দাদু দিদি মিলে আনায়াকে সুখানুভূতিতে কাটিয়ে দিন কামনা করি।

০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার এ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য। বিশেষ করে আনায়ার ব্যাপারে আপনার প্রশংসার কথা আমি ওকে বলবো। ও তা শুনে খশি হবে।
প্লাসে প্রাণিত।

১৪| ২১ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: তারিখ দিয়ে লেখা ছোট ছোট লেখা গুলো পড়তে ভালই লাগছিল।সেই সাথে মনে পড়ে গেল আমার পুরান দিনের ডায়েরি লেখার কথা।আমি এক সময় এমন করে ডায়েরী লিখতাম।

২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ডায়েরি লেখার অভ্যাসটা একটা ভালো অভ্যাস। সাধারণতঃ অন্তর্মুখী মানুষেরা ডায়েরি লিখতে ভালোবাসেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে আপন পরিবারের মধ্যেও আমাদের প্রাইভেসীর স্পেস কম। তাই ডায়েরি লিখে অনেক সময় বিব্রত হতে হয়।

মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৫| ২৪ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

শোভন শামস বলেছেন: ডাইরিতে কিছু কিছু করে কানাডার বিভিন্ন তথ্য যোগ করে দিন।
Travels in Siberia, Ian Frazier বইটা পড়ছিলাম। তুন্দ্রা আর বরফের দেশের কথা সুন্দর ভাবে লিখা।
আপনার থেকে আপনার মত কানাডার সম্পর্কে সে রকম কিছু চাই

২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি একজন নগন্য লেখক মাত্র। আমার কাছ থেকে এত বড় প্রত্যাশা দুরাশায় পরিণত হবার সম্ভাবনাই বেশি। যাহোক, তবুও আপনাকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করে যাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.