নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
Quietness precedes darkness....
14 May 2023, 18:59 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
গতরাতে বাসায় ফিরতে ফিরতে বারটা পার হয়েছিল। আজ সকাল সাড়ে আটটায় দশ বারটি পরিবার মিলে পিকনিকে ফোর্ট ক্যু'পেল (Fort Qu'Appelle) যাবার প্রোগ্রাম আমরা এখানে আসার আগেই আমাদেরকে ইনক্লুড করে নির্ধারিত হয়েছিল। রিজাইনা থেকে গাড়িতে যেতে এক ঘণ্টার মত সময় লাগে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই যথাসময়ে তৈরি হবার একটা তাড়া ছিল। Fort Qu'Appelle কানাডা'র সাচকাচুয়ান প্রদেশের রাজধানী রিজাইনা থেকে ৭০ কিমি উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি ছোট শহর। Qu'Appelle নদীর দক্ষিণ তীরে এ শহরটি গড়ে উঠেছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে এ শহরটিকে কানাডা'র পশমজাত দ্রব্যের ঐতিহাসিক বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এ শহরটির জনসংখ্যা মাত্র ২২৫৭ জন।
অনতিদূরেই, রিজাইনা শহরের প্রবেশপথে/বহির্মুখে Costco মোড়ে গাড়ি থামিয়ে হাল্কা স্ন্যাকস ও চা-কফি খেয়ে নিলাম। গাড়িগুলোতেও তেল ভর্তি করা হলো। নির্ধারিত সময়ের সামান্য দেরিতে আমরা ফোর্ট ক্যু'পেল অভিমুখে রওনা হ'লাম। সুন্দর রাস্তা, সুন্দর দু'পাশের প্রকৃতি। একনাগাড়ে বরফপাত আর তীব্র শীতের কশাঘাতে জর্জরিত নাঙ্গা নাঙ্গা গাছগুলোয় কেবল নবকিশলয় প্রস্ফূটিত হতে শুরু হয়েছে। অনুমান করলাম, আর মাত্র সপ্তাহ দুয়েক পরেই প্রকৃতি সবুজে আচ্ছাদিত হতে শুরু করবে, আরও খানিকটা পরে আরও সুন্দর হবে। তখন হয়তো আবার এ পথে আসা যাবে আরেকদিন।
Pasqua, Echo, Mission, and Katepwa – Qu'Appelle উপত্যকার আশ-পাশ দিয়ে এ চারটি বড় হ্রদ প্রবাহিত। এগুলোই উপত্যকার ব্যস্ততম অংশ এবং সবচেয়ে বেশি জন-অধ্যুষিত। এগুলোর মধ্যেই একটির পাশে এসে আমাদের গাড়ি থামলো। হাল্কা ঠাণ্ডা মৃদুমন্দ বাতাস বইছিলো, হ্রদের জলে ছিল মৃদুহিল্লোল। সবাই বাসা থেকে পোর্টেবল চেয়ার, চাদর, মাদুর, পাটি ইত্যদি বসার সরঞ্জামাদি নিয়ে এসেছিল। দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন আহার্য দ্রব্যাদি এনেছিল। এ ছাড়া যে যার মত চা, কফি এবং বাচ্চাদের পছন্দানুযায়ী স্ন্যাকস নিয়ে এসেছিল। ইকবাল নামে জনৈক আয়োজক অনেক যত্ন করে আমার হাতে চায়ের একটি ছোট ফ্লাস্ক দিয়ে গেল। আমরা কয়েকজন মিলে অত্যন্ত চমৎকার সেই চা পান করলাম।
বাচ্চারা চরম আনন্দে চারিদিকে ছুটাছুটি শুরু করে দিল। ওদের খেলার জন্য কিছু ব্যবস্থা ছিল। তাদের মা বাবারা খোশ গল্পে মেতে উঠলো, কেউ কেউ হ্রদের তীর ধরে হেঁটে বেড়াচ্ছিল। একটু পরে সবাইকে লাঞ্চ প্যাকেট দেয়া হলো। অনুষ্ঠান স্থলে কয়েক ঘণ্টা অতিবাহিত হবার পর একটা সমস্যা দেখা দিল; সেখানে কাছাকাছি কোন ওয়াশরুমের ব্যবস্থা নেই। যাদের প্রয়োজন হলো, তারা গাড়ি নিয়ে অনতিদূরের একটি মার্কেটপ্লেসে গিয়ে রেস্টুরেন্ট/কফিশপ থেকে কাজ সেরে এলো। বিকেলে মহিলা ও শিশুদের জন্য কিছু খেলাধুলার ব্যবস্থা ছিল। আয়োজকরা এসব প্রতিযোগিতায় আমাকে অন্য কয়েকজনের সাথে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে অনুরোধ জানালো। আমি সানন্দে সম্মত হ'লাম। প্রথমে ছিল বাচ্চাদের জন্য মার্বেল দৌড় প্রতিযোগিতা, পরে নারীদের জন্যেও একই প্রতিযোগিতা। এর পরে নারীদের পিলো পাসিং এবং সবশেষে বয়সভেদে দুই দলে বিভক্ত বাচ্চাদের মেমোরী টেস্ট। সবগুলো প্রতিযোগিতাই সুন্দরভাবে সুসম্পন্ন হয়েছিল এবং প্রতিযোগিতার পর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছিল। বিজয়ী হোক বা না হোক, অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিশুই কিছু না কিছু পুরস্কার পেয়েছিল। খেলাগুলো পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল সবুজ, তার সাথে আরও কয়েকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করেছিল। এতগুলো বাচ্চাকে ঠিকমত ব্রীফিং করে, তাদেরকে সামলিয়ে প্রতিযোগিতায় পাঠাতে আয়োজকদেরকে বেশ গলদঘর্ম হতে হয়েছিল।
এক ফাঁকে আমি একটু আলাদা হয়ে উপত্যকার আশে পাশে ঘুরে এলাম। কিছু ছবিও তুললাম। হ্রদের জলের ছবি তুলতে তুলতে আমার মনে ভাসছিলঃ
ক্যু'পেল এর জল
ক্যু'পেল এর জল
করে টলমল,
কুলুকুলু রবে
বহে নীরবে।
দূর থেকে এসে
থামে তীর ঘেঁষে।
আকাশটা তাকে
ছায়া দিয়ে রাখে।
সূর্যের আলো
করে ঝলোমলো।
বিকেল বেলায়
ম্লান হয়ে যায়।
ক্যু'পেল এর জল
অথৈ অতল।
তার হিল্লোলে
অস্তরবি দোলে।
ফিরে এসে দেখি সবাই প্রস্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফেরার আগে জায়গাটাকে পরিষ্কার করে যে যার মত রওনা দিলাম। ঘরে ফিরে এসে মনে হলো সপ্তাহান্তের দুটো দিন বেশ ভালোই কাটালাম। পরের পাঁচদিনের ব্যস্ত সপ্তাহের জন্য সবাই মানসিকভাবে তৈরি হতে থাকলো। আমাদের দু'জনের অখণ্ড অবসর। আমাদের সে ব্যস্ততা নেই। কিন্তু মস্তিষ্ক তো অলস বসে থাকেনা। তাই কিছু না কিছু ভাবতেই হয়, কিছু না কিছু করতেই হয়, যার কিছু কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এসব করেই দিন কেটে যায়।
রিজাইনা, কানাডা
১৪ মে ২০২৩
নীচের ছবিগুলো আমার নিজস্ব সেলফোন ক্যামেরা আই-১৩ দিয়ে তোলা। প্রত্যেকটি ছবির নীচে ছবি তোলার স্থান, সময় ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
Welcome board
14 May 2023, 20:13 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
বহে নিরবধি.....
14 May 2023, 16:03 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
Forlorn.....
14 May 2023, 17:09 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
Loved this sight, loved the soil.
14 May 2023, 17:11 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
Country roads.... take me home
14 May 2023, 17:14 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
A view of the Qu'Appelle valley....
14 May 2023, 17:14 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
Railway lines.... they attract me wherever they are!
14 May 2023, 20:12 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
Reflection....
14 May 2023, 17:48 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
Anayah appearing in the memory test...
14 May 2023, 19:21 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
At the lake side
14 May 2023, 16:28 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
জলতরঙ্গে আলোর খেলা....
14 May 2023, 17:26 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
Sunset pictures, taken from the running car while returning home
14 May 2023, 20:27 @Fort Qu'Appelle, SK, Canada
০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিগুলোর প্রশংসা পেয়ে খুব ভালো লাগল। খুশি হ'লাম।
"আর এসব প্রকৃতিতে মনে হয় খুবই আনন্দে কেটেছে সবারই" - ঠিক তাই। সবাই রৌদ্রোজ্জ্বল প্রকৃতির শোভা দেখে আনন্দে সময় কাটিয়েছে। সাচকাচুয়ানবাসীরা বছরের আট মাস সময়েই শীতের মধ্যে কাটায়, বিশেষ করে তিনমাস তীব্র শীতের মাঝে, রুম হীটারের কৃত্রিম উষ্ণতা নিয়ে কাটায়। তাই জুন, জুলাই আর আগস্ট মাস তাদের খুব প্রিয়। এই তিন মাসের প্রতি সপ্তাহান্তে ওরা (বাঙালি প্রবাসীরা) দল বেঁধে বেড়াতে বের হয়। আর কোথাও না গেলেও, স্থানীয় কোন পার্কে কিংবা লেকের ধারে বাসা থেকে খাবার নিয়ে এসে কিংবা কিনে, সবাই একসাথে বসে খায় ও গল্পগুজব করে। পৌর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এসব জায়গায় প্রয়োজনীয় সুব্যবস্থা রাখা থাকে। আর সবচেয়ে বড় কথা, খাওয়া দাওয়ার পর কেউ জায়গাটিকে নোংরা রেখে যায় না। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ যীল্যান্ডেও আমি একই ব্যবস্থা দেখেছি।
"তবুও আমার এই সব প্রকৃতিগুলোকে মনে হয় তারা বড়ই নিসঙ্গ! মানুষের আগমনে তারা উদ্বেলিত হয়" - খুবই সুন্দর আপনার এ উপলব্ধি ও পর্যবেক্ষণ। মানুষ ও প্রকৃতির সখ্য আদি ও অকৃত্রিম, অনেকটা মা ও সন্তানের মত।
প্রথম মন্তব্য ও দ্বিতীয় প্লাসটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২০
শেরজা তপন বলেছেন: একন যে কোন শীতল পরিবেশের গল্প শুনেই ভাল লাগছে। আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন যে এই ভয়াবহ দুঃসহ সম্যে দেশে ছেড়ে কানাডার মত চমৎকার দেশে পাড়ি দিয়েছেন।
বরাবরের মত ভাল লাগা। অপেক্ষায় রইলাম
০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের কানাডা সফরের পরিকল্পনা অনেক দিনের। কভিডের কারণে ভিসা পেতে মাত্রাতিরিক্ত বিলম্ব ঘটেছিল। গত বছরই আসতাম, কিন্তু গত বছর এই সময়টাতে মেলবোর্ন যাওয়াটা অধিকতর জরুরী ছিল বিধায় গত বছর এখানে আসা হয় নাই।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২২
মিরোরডডল বলেছেন:
Forlorn..... বেশি ভালো লেগেছে।
Country roads.... take me home
সব সময়ের প্রিয়।
Reflection....
রাইজ ও সেট দুটোই ভালো লাগে।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "Forlorn..... বেশি ভালো লেগেছে" - কেন, জানতে পারি কি ?
৪| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি কানাডাতে এখন কেমন আছেন? শুনেছি কানাডার বনে আগুন লেগেছে!! Be safe wherever you are.
কানাডার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখে মন জুড়িয়ে গেলো।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা রিজাইনাতে ভালো আছি। দাবানল হচ্ছে আলবার্টাতে।
প্রেরণাদায়ক মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভকামনায় স্পর্শিত।
৫| ০৯ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ভ্রমন কাহিনী।
১০ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
৬| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: "Forlorn..... বেশি ভালো লেগেছে" - কেন, জানতে পারি কি ?
ছবিটা কথা বলে।
দেখা মাত্রই একটা অনুভূতি হয়, কেমন যেন বিষণ্ণতা, একটা শূন্যতা।
কি যেন নেই নেই।
মানুষ চলে গেছে, এখন ওখানে আছে শুধুই ঝরা পাতা আর স্মৃতি।
১০ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: গুড!
এটাই জানতে চেয়েছিলাম, এটাই শুনতে চেয়েছিলাম, এ কারণেই ছবিটা তোলা, এ কারণেই সেটা এখানে পোস্ট করা।
অনেক ধন্যবাদ।
৭| ১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন স্যার। ভালো লাগলো এমন সদলবলে বিদেশ বিভূঁইয়ে আনন্দে মেতে থাকা। কচিকাঁচাদের সঙ্গে কাটানো ও বিচারকের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে দিনটি বেশ ভালো উপভোগ করেছেন। ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর ছন্দময় কবিতাটি। তবে একটা শহরের জনসংখ্যা যেটা উল্লেখ করলেন সেটা আমাদের এখানে যে কোনো গং
গ্রামের সঙ্গে তুলনীয়।ভেবে অবাক হলাম এতো কম মানুষের বাস অথচ একটা শহর।
ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে জনশূন্য কোনো স্থান। সবগুলো বেশ ভালো হয়েছে।
নিঃসঙ্গ রেললাইন যেন জনশূন্যতার নীরব সাক্ষী। যাইহোক সবমিলিয়ে পাঠক হিসেবে আমরাও কল্পনার জগতে গিয়ে ও আপনার লেখা পড়ে রিলেট করলাম কতোটা ভালো জায়গা।
পোস্টে প্লাস।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখার সাথে একাত্ম হয়ে, মনযোগ সহকারে লেখাটি পাঠ করেছেন, তা আপনার মন্তব্য থেকেই প্রতীয়মান। অনেক ধন্যবাদ, এ পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য।
জনসংখ্যাটি বেশি দিনের পুরনো নয়, ২০২২ সালের পরিসংখ্যান থেকে উদ্ধৃত। সংখ্যাটি দেখে আমিও একটু অবাকই হয়ে গিয়েছিলাম। ঢাকার একটি পাড়াতেও এর চেয়ে অনেক বেশি লোক থাকে। এখানে যখন নগর সীমা অতিক্রম করে একটু বের হই, তখন দেখি এত বিস্তীর্ণ জমি! রাস্তার দুপাশে শুধু জমি আর জমি, কোন ঘরবাড়ি নেই। কয়েক মাইল পর পর কিছু গুচ্ছ বাড়িঘর দেখা যায়। যেখানে বাড়িঘর দেখা যায়, তার আশেপাশে গবাদিপশু, ঘোড়া ভেড়া ইত্যাদিকেও সেচ্ছা স্বাধীনভাবে বিচরণরত দেখা যায়। এদের গরু ছাগলের গলায় কোন দড়ি লাগানো থাকে না, কারণ তাদের মালিকের জমির সীমারেখা এতই বিস্তীর্ণ যে তাদের পক্ষে সে সীমারেখা অতিক্রম করে অন্যের জমিতে গিয়ে ঘাস খাওয়ার প্রয়োজনও হয়না, তা সম্ভবও হয়না। দিনভর খেয়ে দেয়ে ওরা একত্রিত হয়ে একটা জায়গায় অবস্থান করে।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আনন্দ যেমন পেয়েছি, সম্মানিতও বোধ করেছি, আমার মত একজন অচেনা লোককে আয়োজকরা এ দায়িত্বটুকু দিয়েছিল বলে। আর এ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমারও তো প্রতিযোগিতায় এক ধরণের অংশগ্রহণের সুযোগ হয়েছিল!
কবিতার প্রশংসায় প্রীত ও প্রাণিত। অনেকদিন ধরে কোন নতুন কবিতা আসছে না।
৮| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জার্নাল পড়ে ভালো লাগছে। জেনে ভালো লাগলো যে সময়গুলো ভালোই কাটছে আপনার। বলছিলাম এতদূর যেহেতু এসেছেন, কষ্ট করে নিউ ইয়র্ক এসে ঘুরে যাওয়ার দাওয়াত থাকছে। সময় পেলে ঘুরে যাবেন। আর নিউ ইয়র্ক আসা হলে অবশ্যই জানাবেন। অফিস না থাকলে হয়তো আমি নিজেই গিয়ে আপনার সাথে দেখা করে আসতে পারতাম। কানাডা-তে কোন একটা সময় ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে আছে পরিবারসহ। যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার সুস্থতা কামনা করছি। ধন্যবাদ।
১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: "জার্নাল পড়ে ভালো লাগছে" - অনেক ধন্যবাদ।
নিউ ইয়র্ক যাবার ইচ্ছে রয়েছে। এবারে না হলেও আগামী বছরে যাবো ইন শা আল্লাহ। যদি যাই, তবে দেখা হতে পারে। আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ।
আপনিও ভালো থাকুন, সুস্বাস্থ্যে, সপরিবারে।
৯| ১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রেল লাইনের ছবিটি বেশ ভালো লেগেছে - পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রেল লাইন। রেল ও রেল লাইন নিয়ে আমার অনেক গল্প আছে সময় ও সুযোগ করে লিখবো। দুর পথের যাত্রায় বেড়িয়েছেন আপনার যাত্রা শুভ হোক।
২০ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: রেল ও রেল লাইন আমাকে সব সময় আকর্ষণ করে। বিশেষ করে ছোটবেলার সেই "কু ঝিক ঝিক" কয়লার ইঞ্জিন টানা রেলগাড়ির কথা বেশি করে মনে পড়ে।
আপনিও "রেল ও রেল লাইন" নিয়ে আপনার গল্পগুলো লিখে ফেলুন।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
১০| ২২ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখা আর ছবি মিলিয়ে দারুন পোষ্ট।অনেক ভাল লেগেছে+++
২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমারও অনেক ভালো লাগল, বেশ কিছুদিন পর আপনাকে পোস্টে পেয়ে।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৪৫
শায়মা বলেছেন: সব ছবিগুলিও খুবই সুন্দর!
আর এসব প্রকৃতিতে মনে হয় খুবই আনন্দে কেটেছে সবারই।
তবুও আমার এই সব প্রকৃতিগুলোকে মনে হয় তারা বড়ই নিসঙ্গ! মানুষের আগমনে তারা উদ্বেলিত হয়।