নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
বাসার সামনে ত্রিকোণাকৃতির পুষ্পশয্যার প্রতিটি হাস্যোজ্জ্বল ফুল যেন মাথা উঁচিয়ে বলছে "বিদায়, বিদায়, শুভবিদায়"!
২৭ জুলাই ২০২৩, দুপুর ১৩-৪৫
আজ থেকে আমার ঘরে ফেরার কাউন্টডাউন শুরু হলো। আর মাত্র পনেরটা দিন, তার পরেই শুরু হবে পরিব্রাজক পাখির পূবমুখী আকাশযাত্রা। আপন নীড়ে ফিরতে তো আনন্দ হবার কথা, তবু কেন হৃদয়ে বেদনার সুর বাজে? যেদিকে তাকাই, শুধু তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছে করে। জানালার ভেতর দিয়ে দৃষ্টিটা একটু বাইরে প্রসারিত হলেই দেখি প্রতিদিনের দেখা সেই গাছ, সেই চিরচেনা ল্যাম্প-পোস্ট, সেই নীল-সাদা আকাশ, পার্কিং লটের গাড়িগুলো দেখতে দেখতে প্রায় সবগুলোই চেনা হয়ে গেছে, অনেকগুলোর মালিককেও ইতোমধ্যে চিনে ফেলেছি। ঘর থেকে বের হলেই মনে হয়, লন-মোয়ার দিয়ে মাথা মুড়িয়ে দেয়া সবুজ লনের প্রতিটি তৃণ ফলা, প্রতিটি বৃক্ষপত্র, ত্রিকোণাকৃতির পুষ্পশয্যার প্রতিটি হাস্যোজ্জ্বল ফুল যেন মাথা উঁচিয়ে বলছে "বিদায়, বিদায়, শুভবিদায়"!
ভাবছি, আজ থেকে প্রতিদিন একটু একটু করে ব্যাগেজ গুছিয়ে রাখবো। আমার ব্যাগেজ আমি নিজ হাতেই গুছিয়ে রাখি। যাত্রার তিনদিন আগে ব্যাগেজ লক করে রাখবো, কেননা শেষ মুহূর্তের টেনশন আমার ভালো লাগে না। দীর্ঘ আকাশযাত্রা; প্রায় বিশ ঘণ্টা আকাশে, আরও দশ-বারো ঘণ্টা টার্মিনালের লাউঞ্জে- সব মিলিয়ে প্রায় ত্রিশ ঘণ্টারও ঊর্ধ্বের যাত্রাপথ, এ বয়সে যা খুব একটা উপভোগ্য বা সুখকর হয় না। তার উপর মন খারাপ থাকলে তো ক্লান্তিটা একটু বেশি করেই জেঁকে বসে। ব্যাগেজ নিজ স্পর্শে ঠিকমত গোছানো না থাকলে মন খুঁত খুঁত করে। এখানে আসার সময় যেসব কাপড় চোপড় নিয়ে এসেছিলাম, তার কয়েকটা এখনও পরাই হয় নাই, যাবার আগে আর হবেও না। সেগুলোকে আগে ঢুকিয়ে রাখবো। যেগুলো কয়েকদিন পরা হয়ে গেছে, সেগুলোর কয়েকটা ধুয়ে রেখেছি, বাকিগুলোও কয়েকদিনের মধ্যেই ধুয়ে ফেলবো। আমার পরিধেয় বস্ত্র আমি ওয়াশিং মেশিনে ধুই না, নিজ হাতে ধুই। তাই একসাথে দুই তিনটার বেশি ধোওয়া হয় না।
এখান থেকে চলে যাবার পর যেটা সবচেয়ে বেশি করে মিস করবো তা হলো আনায়ার স্কুলে যাওয়া আসার পথটা। সে পথ দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসার সময় আনায়া যেখানে যেখানে থেমে থেমে ফুল, গাছের পাতা ইত্যাদি ধরতো, সেগুলোর প্রতিটি আমার চেনা। একটা বাসার সামনে হয়তো ওরই মত কোন শিশু আমাদের দেশীয় 'এক্কা-দোক্কা' খেলার মত একটা কোর্ট এঁকে রেখেছিল; আনায়া সেই জায়গাটা অতিক্রম করার সময় এক্কা-দোক্কা খেলার স্টাইলেই ঘরগুলো লাফিয়ে লাফিয়ে পার হতো। ও লাফানোর সময় মাথার পেছনে ওর দিদি'র বেঁধে দেয়া পনিটেইলটাও লাফাতো। রাস্তার মোড়ের সেই বাসাটা, যেটার ব্যাকইয়ার্ডের কিচেন গার্ডেনে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এক ভিয়েতনামি দম্পতি হ্যাট মাথায় কাজ করে সব্জী বাগান করেছে এবং ভুট্টা ফলিয়েছে, সেটার কথা মনে পড়বে। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থেকে কয়েকদিন ওদের সাথে আলাপও করেছি। ভদ্রলোক খুবই অমায়িক এবং পরিশ্রমী। তার স্ত্রী ইংরেজী জানেননা বলে তার সাথে হ্যালো-হাই ছাড়া আলাপ তেমন জমেনি। ওদের বাগানের লালশাকগুলো আমার চোখের সামনে তরতর করে বেড়ে উঠেছে। যে পথ দিয়ে সচরাচর পদব্রজে এবং গাড়িতে করে চলাফেরা করেছি, সে পথগুলোর আশেপাশের সাইনবোর্ড, সিগনালপোস্ট, ইত্যাদির কথা মনে পড়বে। এ কয়মাসে যাদের যাদের সাথে মিশেছি, দূর দূরান্তে গিয়েছি, তাদের সাথে, তাদের সন্তানদের সাথে একটা ইনফর্মাল সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম। তাদের কথাও বেশ মনে পড়বে।
ডাইনিং টেবিলের যে কোণায় বসে ল্যাপটপ মেলে ধরে এতদিন লেখালেখি করেছি (এখনও করছি), সেটাকে মিস করবো। ঘরের প্রতিটি আসবাবপত্র যেন আমার সাথে কথা বলছে। বাসার সামনেই একটা বাস স্টপেজ রয়েছে, যেটা একটা রুটের স্টার্টিং ও ফিনিশিং পয়েন্ট। ক্ষণে ক্ষণে সেখানে বাস এসে থামে, পিঁপড়ের মত ব্যস্ত মানুষেরা একে একে সেখানে প্রবেশ করে কর্মস্থলে যায়, অথবা কর্মযজ্ঞ সম্পাদন শেষে ফিরে আসে। আমি একদিন অনেকক্ষণ সেখানে বসে রোদ পোহাচ্ছিলাম আর ব্যস্ত মানুষের আসা যাওয়া দেখছিলাম। প্রত্যেকেই যেন একেকটা চাবি দেয়া রোবট! সেখানে একটা সিনেপ্লেক্স, বেশ কয়েকটা বড় বড় সুপার মার্কেট, ফুড কোর্ট এবং একটি গণপাঠাগার রয়েছে। এখানকার পাঠাগারগুলো এত পাঠক-বান্ধব হয়! পাঠকের যে কোন চাহিদা চাহিবামাত্র পূরণ করা হয়। বলাবাহুল্য, বাসার কাছের এই পাঠাগারটি আমার একটি অন্যতম প্রিয় জায়গা ছিল। এখানে বসে আমি কানাডার আদিবাসীদের প্রতি যে অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের প্রতি, সে সম্পর্কিত কিছু বই পড়েছি। এসব বই পড়ে সে সময়ের অকুতোভয় আদিবাসী নারীদের সংসার পালন ও লালনে আত্মত্যাগ, সাহস ও সহিষ্ণুতার পরিচয় পেয়ে তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সমীহ অনেক বেড়ে গেছে।
এখানে চলার পথের বিভিন্ন দৃশ্য আমার সেলফোন ক্যামেরায় বন্দী করে রেখেছি। এ ছাড়া ম্যানিটোবা, এ্যালবার্টা এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রভিন্সের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়ানোর সময় অসংখ্য নৈসর্গিক দৃশ্যের ছবি তুলে রেখেছি। এসব ছবি ভবিষ্যতে স্মৃতিচারণে সহায়ক হবে। ক্যামেরার ছবি ছাড়াও, আমাদের সঙ্গী হয়ে যারা এসব স্থানে গিয়েছিলেন, তাদের এবং তাদের সন্তানদের (যারা আমাদের নাতি-নাতনির সমান) বহু স্মৃতি আমার মনে সুখ-স্মৃতি হিসেবে রয়ে যাবে। সবার সাথেই একটা অদৃশ্য মায়ার বাঁধন গড়ে উঠেছিল। আমাদের যাওয়ার দিন ঘনিয়ে আসছে বলে গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের নিকট প্রতিবেশী এক বয়স্ক দম্পতি (স্বদেশীয়) তাদের সন্তান ও নাতনিসহ আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। ওনারা আমাদের তিন সপ্তাহ পরে তাদের ছেলের বাসায় বেড়াতে এসেছেন, এবং দেশে ফিরে যাবেন আমাদের আড়াই সপ্তাহ পরে। এখানকার বাঙালি কমিউনিটি কর্তৃক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে/দাওয়াতে ওনাদের সাথে পরিচিত হয়েছি। যেখানেই দেখা হয়েছে, ভদ্রলোক অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আলাপ করেছেন। একদিন একসাথে জুম্মার নামাযও পড়তে গিয়েছিলাম। এইটুকু পরিচয়েই অনুভব করতে পারি, তিনি আমাদেরকে অনেক মায়ার চোখে দেখেন, এবং সে কারণেই উনি নিজ থেকে পরিবার নিয়ে আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। দেশের দুই প্রান্তের কৌণিক দূরত্বে (চট্টগ্রাম এবং লালমনিরহাট) আমাদের আদি পৈত্রিক নিবাস হওয়া সত্ত্বেও আমরা একে অপরের প্রতি মায়া অনুভব করি। দু'দিনের দুনিয়ায় এ বাঁধন হয়তো ক্ষণিকের তরে, কিন্তু মায়া তো মায়াই! এ মায়া নিয়ে এবং হয়তো কিছু মায়া রেখে চলে যাচ্ছি। জানিনা আবার কখনো এখানে আসা হবে কিনা, কিংবা হলেও, কখন!
"চলেছো পথিক আলোকযানে আঁধারপানে
মনভুলানো মোহনতানে গান গাহিয়া
হে ক্ষণিকের অতিথি!"
https://www.youtube.com/watch?v=GgkzywDPt2M
রিজাইনা, কানাডা
২৭ জুলাই ২০২৩
শব্দ সংখ্যাঃ ৮৩৮
পার্কিং লটের গাড়িগুলো
২৭ জুলাই ২০২৩, দুপুর ১৩-৩৬
সিনেপ্লেক্সের সামনেই একটা বাস স্টপেজ রয়েছে, যেটা একটা রুটের স্টার্টিং ও ফিনিশিং পয়েন্ট। ক্ষণে ক্ষণে সেখানে বাস এসে থামে, পিঁপড়ের মত ব্যস্ত মানুষেরা একে একে সেখানে প্রবেশ করে কর্মস্থলে যায়, অথবা কর্মযজ্ঞ সম্পাদন শেষে ফিরে আসে।
২৭ জুলাই ২০২৩, দুপুর ১৩-৩৪
২৭ জুলাই ২০২৩, দুপুর ১৩-৩৩
প্রতিটি বৃক্ষপত্র যেন বলছে "বিদায়, বিদায়, শুভবিদায়"!
২৭ জুলাই ২০২৩, দুপুর ১৩-৩৩
পার্কিং লটের গাড়িগুলো দেখতে দেখতে প্রায় সবগুলোই চেনা হয়ে গেছে, অনেকগুলোর মালিককেও ইতোমধ্যে চিনে ফেলেছি।
২৭ জুলাই ২০২৩, দুপুর ১৩-৩০
ভিয়েতনামি দম্পতি হ্যাট মাথায় কাজ করে সব্জী বাগান করেছে এবং ভুট্টা ফলিয়েছে,
২৭ জুলাই ২০২৩, দুপুর ১৩-৩৮
ভিয়েতনামি দম্পতি হ্যাট মাথায় কাজ করে সব্জী বাগান করেছে
২৭ জুলাই ২০২৩, দুপুর ১৩-৩৯
ভিয়েতনামি দম্পতির সব্জী বাগান
২৭ জুলাই ২০২৩, দুপুর ১৩-৩৯
২৭ জুলাই ২০২৩, দুপুর ১৩-৪৩
জানালার ভেতর দিয়ে দৃষ্টিটা একটু বাইরে প্রসারিত হলেই দেখি প্রতিদিনের দেখা সেই গাছ
২৪ জুলাই ২০২৩, ভোর ০৪-৩৭
সেই ভিয়েতনামির সব্জী বাগানের পাশে আনায়ার সাইকেল
১৪ জুন ২০২৩, সকাল ০৯-২৮
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। Regina সম্পর্কে যে কথাগুলি লিখেছেন তা সবই সত্য।
"দোয়া করি বিদায় ক্ষণের বেদনা কাটিয়ে পরিমল চিত্তে নির্বিঘ্নে দেশে নীজ আলয়ে ফিরে আসুন" - আমীন, ইন শা আল্লাহ!
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
স্মৃতির ডালি নিয়ে নিজ গৃহে ফেরার অপেক্ষায় থাকা একটি মনের ভাবনাগুলো অনবদ্য হয়ে উঠে এসেছে।
সহি সালামতে দেশের মাটিতে পা রাখুন, এই কামনায়।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ, প্রশংসা এবং শুভকামনার জন্য। মন্তব্যে এবং প্লাসে প্রাণিত হলাম।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৯
জুন বলেছেন: ঠিক যেন আমার ভাবনাগুলোকেই তুলে ধরেছেন খায়রুল আহসান। আমি যখন কোথাও থেকে বিদায় নেই তখন তার প্রতিটি জিনিস আমাকে যেন তার শক্ত মুঠিতে আকড়ে ধরতে চায়। রাস্তা-ঘাট, ধুলো মাটি, আকাশ- বাতাস, মানুষ জন সবার জন্য এক হাহাকার শুরু হয় হৃদয়ের গভীরে। আর তার সাথে থাকে যদি আপনজনদের ছেড়ে যাওয়ার বেদনা।আনায়ার জন্য রইলো আমার অশেষ শুভকামনা। ভালো থাকুন আর যাত্রা হোক নিরাপদ।
+
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। এরকমই অনুভূতি হয় আমারও।
ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে সুন্দর মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: বলা যায় আপনার সাথে সাথে সামুর ব্লগারদের কাডানা ভ্রমন হয়ে গেল এক দফা । যেভাবে শুরু হয়েছি তা এখন শেষ হওয়ার পথে । সুস্থ ভাবে ফিরে আসুন এই কামনা করি ।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। সময়ের অভাবে খুব কমই লিখতে পেরেছি। যেটুকুই লিখেছি, তার সাথে যেসব পাঠক ছিলেন এবং মন্তব্য করে প্রেরণা দিয়েছেন, তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: মনের কথা গুলো সুন্দর গুছিয়ে বলে গেলেন।
ব্যাগেজ নিয়ে আমি এত চিন্তিত কেন? অনেক কেনাকাটা করেছেন?? হাতে তো পনের দিন সময় আছেই।
২৮ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যাগেজ নিয়ে আমি মোটেই চিন্তিত নই, ব্যাগেজ গোছানো নিয়ে সতর্ক। সময়ের আগেই গুছিয়ে রাখতে চাই।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ছবিগুলো দেখে হ্রদয় জুড়িয়ে গলো!!
২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ছবিগুলো দেখার জন্য, পোস্ট পড়ার জন্য এবং এখানে ভালোলাগার কথাটি জানিয়ে যাবার জন্য।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ফিরে আসা শুভ ও সহজ হোক শুভকামনা রইলো।
- ফেরার সময় লাগেজ গোছানো একটা শিল্প। আমি মোটামুটি ভালোই পারি।
২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন, "লাগেজ গোছানো একটা শিল্প"।
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আস্সালামু আলাইকুম। আপনার এবারের ভ্রমন ফুরিয়ে আসছে ঠিকি কিন্তু আপনি যে ভ্রমণ প্রিয় মানুষ আবার কোন এক ভ্রমনে হয়তো নতুন কোন অভিজ্ঞতার ঢালি সাজিয়ে বসবেন। তবে আপনজনদের ছেড়ে আসাটা কষ্টকর বটে তারপরেও নিজের দিন শেষে নিজ আলয়ে ফিরতো হবেই! আপনার ফিরে আসা সুন্দর ও নির্মল হউক। আমরা আপনাকে সব যেনো পাই সেই প্রত্যাশা করে দোয়া কামনা করছি।
২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়া আলাইকুম আসসালাম!
"তারপরেও নিজের দিন শেষে নিজ আলয়ে ফিরতো হবেই"! - এটাই সত্য। কানাডা ভ্রমণের অনেক কথা মনে এবং ছবি সেলফোনে জমা আছে। সময় করে ধীরে ধীরে লেখার ইচ্ছে আছে।
মন-ছোঁয়া মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: এবার কানাডায় যাবার পরে এই লেখাটাই সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ও আবেগময় হয়েছে।
প্রতিটা লাইন পড়ছিলাম আর আমার বুকের মধ্যে আবেগে মোচড় দিয়ে উঠছিল। বার বার মনে হচ্ছিল আর কটা দিন থেকে গেলে হয় না।
মায়া মায়া মায়া- এই শত সহস্র মায়ার বাধনে যেভাবে আমাদের আস্টেপৃস্টে আটকে ফেলে সে বাঁধন ছিঁড়ে যেতে মন চায় না একদম চায় না!!!
২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি সাধারণতঃ একটা পোস্ট লিখে শেষ করে সেটা পুনরায় পাঠ করে একটা যুঁতসই শিরোনাম খোঁজার চেষ্টা করি। যথাসম্ভব উপযুক্ত একটা শিরোনাম সাব্যস্ত করে তার পরে পোস্ট দেই। কিন্তু এ পোস্টটি লেখার আগেই আমি শিরোনাম ঠিক করে ফেলি, কেননা সেই সকাল থেকেই আমার অন্তরে বেদনার বেহালা করুণ সুর বাজিয়ে চলছিল। সেজন্যেই শিরোনাম দিয়েছি "বেদনার সুর বাজে"। সেই সুর থেকেই কথা সৃষ্টি হয়ে আমাকে দিয়ে এ পোস্টটি লিখিয়েছে। বলা যায়, বেদনার্ত হৃদয়ে এক করুণ সুরমূর্ছনার মধ্য দিয়ে আমি এ পোস্টটি লিখেছি। তাই হয়তো এটাকে সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ও আবেগময় বলে আপনার মনে হয়েছে।
আল্লাহতালা মানুষের মনে এমনিভাবেই মায়ার সরোবর তৈরি করে রেখেছেন। সেটা বয়সভেদে, মানুষভেদে ভিন্ন ভিন্নরূপে দেখা দেয়। সে সরোবর থেকে চোরাস্রোতের ফল্গুধারা গোপনে মানুষের চোখে এসে জল ঝরায়।
মন-ছোঁয়া মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:০০
করুণাধারা বলেছেন: কানাডার দিনলিপির এই পর্বটি বিশেষভাবে ভালো লাগলো। যেসব জায়গায় গেছেন তার স্মৃতিময়তা, প্রিয় মানুষের সঙ্গর আনন্দময়তা আর মায়া মনে সঞ্চয় করে ফিরে আসতে হবে নিজের বাসভূমিতে... এই লেখার মধ্যে লেখকের কষ্ট ছবির মতোই স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
ছবিগুলোকে চমৎকার বললে কম বলা হয়, অতি চমৎকার ঝকঝকে হয়েছে।
গানটিও শুনলাম পোস্ট পড়তে পড়তে। আমার প্রিয় গানের অন্যতম একটি এই গান।
কানাডাবাসী আপনার সকল প্রিয়জনের জন্য শুভকামনা রইল।
২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: সমনোযোগ পোস্ট পাঠ থেকে উঠে এসেছে এ সদয় মন্তব্য। প্রশংসা, প্লাস এবং আন্তরিক শুভকামনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
গানটি শুনাতে খুশি হয়েছি।
পট পরিবর্তনের ডামাডোলে সরগরম ঢাকায় আপনার দিন কেমন কাটছে? কী নিয়ে ব্যস্ত রাখছেন এখন নিজেকে?
আপনি যে একটি অনুবাদ সিরিজ শুরু করেছিলেন, সেটার কথা কি ভুলে গিয়েছেন?
১১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আজকাল প্রায় সবার পোস্টেই মন্তব্যের সংখ্যাটা অনেক কমে গেছে। তবুও বেশ কিছু ব্লগার অনেক মূল্যবান মন্তব্য রেখে লেখকদেরকে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন।
১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩
রাজসিংহ ২০২৩ বলেছেন: মায়া আমৃত্যু ছায়ার মতো আমাদের সাথে লেগে থাকে। যার প্রতি আপনার মায়া জন্মাবে, তার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলেও মায়া থেকে যাবে। এটা আমার নিজের উপলব্ধি। তবে সবার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নাও হতে পারে।
২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে সুস্বাগতম! শুভ হোক আপনার ব্লগযাত্রা, আনগন্দময় এবং নিরাপদ হোক আপনার এ ব্লগে বিচরণ!
আপনার উপলব্ধিটা নিয়ে ভাবছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৩২
সোহানী বলেছেন: ওহ নো........... আপনি চলে যাচ্ছেন????????????
৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: এবারে এভাবেই চলে যাচ্ছি। ইন শা আল্লাহ, আগামীবারে যখন আসবো, প্রথমেই টরন্টো নেমে কয়েকটা দিন ঘুরে বেড়াবো। আপনার উষ্ণ আমন্ত্রণের কথা মনে থাকবে। সেটা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।
১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:০০
এইচ তালুকদার বলেছেন: বাগানের পরিধি তো বেশ ছোট, এতে দু জনের হচ্ছে তো? আমার আম্মুও ছাদে বাগান করেছে, সেই বাগানের লাউ,কুমড়া,ধুন্দল,লাল শাক কচু শাক, মিস্টি আলু, মরিচ তো প্রতিদিনই খাচ্ছি।
০১ লা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ছবিতে বাগান যেটুকু দেখা যাচ্ছে সেটুকু বাউন্ডারি ফেন্স এর বাহিরের অংশ। ভেতরে আরো বড় বাগান রয়েছে।
আপনার আম্মুর বাগানের একটা ছবি দিতে পারেন।
১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৩২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কানাডা আমার স্বপ্ন ছিল।
এ জীবনেও আর যেতে পারবো বলে মনে হয় না।
আফসোস!
১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখছি। কেমন ছিলেন এতদিন?
চেষ্টা করলে অবশ্যই যেতে পারবেন। চেষ্টা করতে থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পরিবারের কাছের লোকজনদেরকে ছেড়ে আসার বেদনাতো থাকবেই ।
শুধু কি পরিবারের কাছের লোকজন, Regina itself is a welcoming place to attract you and
excellent location to live with your family members. With hundreds of parks and
abundance of education sport and recreation facilities, arts and cultural centres,
museums and performance spaces, major attractions and events all year round,
there are many many things for everyone especially a touring personalities like
you. এ সকলই মনকে বেদনা বিদুর করার জন্য সহায়ক উপাদান ।
ভিয়েতনামী দম্পতির কৃষিকাজ ও সবজী বাগানের ছবিগুলি বেশ সুন্দর , বাসার সামনের শ্বেতশুভ্র
ত্রিভুজাকৃতির ফুলের আপুর্ব সমারোহ দেখলে চোখ জোড়ায় ।
দোয়া করি বিদায় ক্ষনের বেদনা কাটিয়ে পরিমল চিত্তে নির্বিঘ্নে দেশে নীজ আলয়ে ফিরে আসুন ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল