নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।
ট্রেন মিস হয়ে গেলে কত কিছু দেখা যায়,
প্ল্যাটফর্মে পায়চারি করা কুকুরেরা একান্তে শুয়ে পড়ে,
কলরবমুখর কুলিরা মাথার গামছা খুলে ঘাম মুছে,
প্ল্যাটফর্মের খালি বেঞ্চিতে শুয়ে ধীরে ধীরে দিবানিদ্রা যায়।
আবার কেউ কেউ জোট বেঁধে লুঙ্গি বিছিয়ে তাস নিয়ে বসে।
চা-ওয়ালারা উনুনের আগুন ক্ষণিকের তরে নিভিয়ে দেয়।
ট্রেন মিস করা যাত্রীরা কেউ কাঁচুমাচু করে এদিক ওদিক তাকায়,
বিলম্বে উপস্থি্তির জন্য ঝগরাটে কোন বউ
তার গোবেচারা স্বামীকে প্রকাশ্যে ক্রমাগত ভর্ৎসনা করতে থাকে।
তারপর এক সময়, বিরসবদনে তারা বাড়ি ফিরে যায়!
স্টেশনের বড়বাবু পান চিবুতে চিবুতে ধীর পায়ে বের হয়ে যায়,
ছোটবাবুকে স্টেশনের দায়িত্বে রেখে!
রিজাইনা, কানাডা
৩০ জুলাই ২০২৩
৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত ও প্রাণিত।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কবিতা সুন্দর হয়েছে ।
সুদুর কানাডার রিজোয়ানায় বসে দেশে ট্রেন মিসের পর ঘটে যাওয়া ছবি ও বিবরন দিয়ে সুন্দর কবিতা ।
এখন মনে হয় প্লাটফরমে কুকুর আর কুলিদের হাকডাক অনেকটাই কমে এসেছে বিবিধ কারনে ।
ইন্টারসিটি দুরপাল্লার ট্রেনের কারণে ছোট স্টেশনগুলিতে দিনে রাতে গুটি কয়েক লোকাল ট্রেন থামে ।
ছোট ছোট ষ্টেশনগুলির উপর দিয়ে ইন্টার সিটি পাস করে গেলে গুটা ষ্টেশনটিই তার বড় বাবু ছোট বাবু সহ
সেই কুকুরদের মতই ঝিমায় কিংবা ঘুমিয়ে সময় কাটায় ।
ষ্টেশনের প্লাটফরমে কুকুরদের পায়চারির কথা পাঠে মনে পড়ে গেল নীলকন্ঠ.in এর একটি ব্লগে দেখেছিলাম
নিত্যযাত্রীর মত প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করে একটি পথ কুকুর ।
লোকাল ট্রেনে প্রতিদিন অনেক মানুষকেই যাতায়াত করতে হয়। কর্মস্থলে পৌঁছতে হয়। এক পথ কুকুরও প্রতিদিন
নিত্য যাত্রীদের মত ট্রেনে সফর করছে। যা দেখে অবাক অনেকেই।
একটি পথ কুকুর প্রতিদিন একটি স্টেশন থেকে ওঠে এবং তার গন্তব্য স্টেশনে নামে। মাঝের রাস্তাটা সে কখনও
ঘুমিয়ে, কখনও চলন্ত ট্রেনের বাইরের দৃশ্য দেখে কাটিয়ে দেয়।
যাত্রীরা এর মাঝে বিভিন্ন স্টেশনে ওঠানামা করে। কিন্তু তার জন্য কাউকে সমস্যায় পড়তে হয়না। পাশ দিয়ে
নেমে বা উঠে গেলেই হল।
অত্যন্ত শান্তশিষ্ট কুকুরটি সব সময় গেটের কাছেই নাকি বসে থাকে। তারপর তার স্টেশনে এলে নেমে পড়ে। একটি বিশেষ
রুটের লোকালেই সে প্রতিদিন ওঠে। নিত্যযাত্রী কুকুরের এই কাহিনি সকলের সামনে এসেছে ইন্ডিয়া কালচারাল ক্লাব-
এর ইন্সটাগ্রাম পেজ থেকে।
কুকুরটি নাকি প্রতিদিন মুম্বাইয়ের বোরিভেলি লোকালে চড়ে বসে। ট্রেন পৌঁছায় আন্ধেরি। ফের আন্ধেরি থেকে বোরিভেলি
ফিরে আসে। এটা সে নিত্য করে চলেছে। যা সোশ্যাল সাইটে সামনে আসার পর অনেকের নজর কেড়েছে। অনেকেই বলে
কুকুরটির মনিব নাকি একদিন এই লোকাল ট্রেন থেকেই তার কাছ হতে হারিয়ে গিয়েছিল , সে নাকি এখন নিত্যদিন তার
মনিব/সাথীকে্ই খুঁজে । কুকুরটির নাকি কোন দিন ট্রেন মিস হয়না ।
বাংলাদেশেতো মানুষ বা ট্রেন কেও নিয়ম শৃংখলা মেনে চলেনা । বারটার ট্রেন কখন আসবে তার কোন ঠিক ঠিকানা না
থাকায় ট্রেন মিসের সম্ভাবনা অনেকটাই এখন কম, বরং ট্রেন সময়মত আসবে কিনা সেটাই এখন বেশী চিন্তার বিষয় ।
আপনার দেশে ফেরার সময় মনে হয় ঘনিয়ে এসেছে , দেখবেন ট্রেনের মত যেন বিমান মিস করে না বসেন ।
সহি সালামতে দেশে ফিরুন সে কামনাই রইল ।
শুভেচ্ছা রইল ।
৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এখন মনে হয় প্লাটফরমে কুকুর আর কুলিদের হাকডাক অনেকটাই কমে এসেছে" - হয়তো রাজধানী এবং মহানগর স্টেশনগুলোতে তা কমে এসেছে, কিন্তু লোকাল ট্রেনের স্টেশনগুলোতে এখনকার অবস্থাও সেই আগের মতই রয়ে গেছে। কবিতাটি বহু দশক আগে সে রকম একটি লোকাল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দেখা দৃশ্যের স্মৃতি থেকে লিখিত। সেই স্টেশনটিতে দিনে রাতে মোট ৬টা ট্রেন যাওয়া আসা করতো, ৩টা আপ আর ৩টা ডাউন। ট্রেন যাওয়া আসার সময়ের ঠিক এক ঘণ্টা আগে বড়বাবু অর্থাৎ স্টেশন মাস্টার স্টেশনে আসতেন এবং ট্রেন চলে যাবার পরপরই ছোটবাবুকে অর্থাৎ এসিস্ট্যান্ট স্টেশন মাস্টারকে দায়িত্বে রেখে বাড়ি চলে যেতেন। এটাকে তিনি বড়বাবু হবার একটি প্রিভিলেজ জ্ঞান করতেন।
প্রতিদিন সময় মেনে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করা নিত্যযাত্রী সেই কুকুরটির কথা পড়ে অভিভূত হলাম। কাহিনীটি এখানে উল্লেখ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার দেশে ফেরার সময় মনে হয় ঘনিয়ে এসেছে , দেখবেন ট্রেনের মত যেন বিমান মিস করে না বসেন - হা হা হা, ভালো বলেছেন! সতর্কবাণীটি মাথায় রাখবো।
চমৎকার মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মন্তব্য লেখার সময় অক্ষরের যে ফন্ট থাকে মন্তব্যটি প্রকাশের পরে দেখা যায় লেখাটির ফন্ট অনেটটাই বড় হয়ে গেছে ।
তাই লেখাটি প্রকাশের পর প্যরা ভেঙ্গে গিয়ে লেখাটির তার সৌন্দর্য হারায় । মন্ত্ব্য এডিট করা যায়না বলে করার
আর কিছু থাকেনা । ভাঙ্গাচোরা প্যারাটিকেই রেখে দিতে হয় । দায় নিতে হয় লেখককেই । সামুকে বিষয়টির প্রতি
নজর দেয়া প্রয়োজন । এবার ডান দিকে অনেকটা জায়গা বাদ দিয়ে লিখেছি । দেখা যাক কেমন দেখায় ।
০১ লা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এবারে তো ঠিকই হলো মনে হচ্ছে।
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:২৪
সোহানী বলেছেন: কানাডায় কি কোন ট্রেন মিস হলো কিনা চিন্তায় পড়লাম খায়রুল ভাই
০২ রা আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৪:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: না না, কানাডায় কোন ট্রেন মিস হয়নি। অনেক আগের একটি স্মৃতি মনে উদয় হওয়ায় এ কবিতা লিখা।
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: স্টেশনের অদুরেই আমার বাড়ি ছিল। নিত্য ট্রেন মিস হওয়া মানুষদের দেখতা। আপনার কবিতার সাথে অদ্ভুতভাবে মিলে যাত তার কিছু চিত্র।
আপনার কবিতার সাথে উপরি পাওনা; ডঃ এম আলী ভাই এর মন্তব্য।
০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "স্টেশনের অদুরেই আমার বাড়ি ছিল। নিত্য ট্রেন মিস হওয়া মানুষদের দেখতা। আপনার কবিতার সাথে অদ্ভুতভাবে মিলে যাত তার কিছু চিত্র" - যাক, আপনার কথায় আমার আঁকা শব্দচিত্রটা বৈধতা পেল তাহলে।
"আপনার কবিতার সাথে উপরি পাওনা; ডঃ এম আলী ভাই এর মন্তব্য" জ্বী, ডঃ এম এ আলী'র মন্তব্য মানেই মূল পোস্টের বাইরেও অতিরিক্ত অনেক কিছু পাওয়া।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:২৭
রানার ব্লগ বলেছেন: ট্রেন স্টেশান আর লঞ্চ ঘাট এই দুই জায়গা নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত কষ্ট বোধ আছে ।
০২ রা আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি তো গল্প ভালোই লিখেন। আপনার সেই "কষ্ট বোধ" নিয়ে লিখে ফেলুন একটা পোস্ট।
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর কবিতা।
০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রীত হলাম।
৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২০
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সুন্দর করে বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন কবিতায় -------
০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতা পাঠের জন্য ধন্যবাদ। মন্তব্যে প্রাণিত।
৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কবিতা ভালো হয়েছে। মনে হয়েছে ট্রেন মিস হয়ে যাওয়ার ছবি আঁকা হলো।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য, প্রেরণাদায়ক। অনেক ধন্যবাদ।
১০| ০১ লা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
করুণাধারা বলেছেন: কোনো ট্রেন মিস করে কি এই ভাবনার উদয় হয়েছে!! কিন্তু যে স্টেশনের ছবি এঁকেছেন শব্দে শব্দে, সেটা তো বাংলাদেশের!
রেললাইন, স্টেশন, জংশন ইত্যাদি নিয়ে আপনার কয়েকটি লেখা আছে। মনে হয় রেলস্টেশন আপনার প্রিয় জায়গা।
কবিতায় প্লাস।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: জী, সেটা বাংলাদেশেরই ছবি। এই সুদূর পরবাসে এসেও কেন যেন একদিন সাত সকালে মনের মধ্যে দৃশ্যটি ভেসে উঠেছিল। এখন বেশ বুঝতে পারছি, কবিতার শেষে আমার বর্তমান অবস্থা্নের উল্লেখ করাতে পাঠকের মনে একটু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মনকে তো আর পিঞ্জরাবদ্ধ রাখা যায় না! যখন যথেচ্ছা সেটা যেথা সেথা ঘুরে বেড়াতে পারে।
"রেললাইন, স্টেশন, জংশন ইত্যাদি নিয়ে আপনার কয়েকটি লেখা আছে। মনে হয় রেলস্টেশন আপনার প্রিয় জায়গা" - ঠিক ধরেছেন। আপনার প্রখর স্মরণশক্তির পুনরায় প্রশংসা না করে পারছি না। আমার অনেক লেখায় এ বিষয়গুলোর উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে মনে হয় সবগুলোতেই আপনার মন্তব্য আছে। বহু আগে ময়মনসিংহ নিয়ে আমার একটি স্মৃতিকথায় মন্তব্যে আপনি জানিয়েছিলেন, আপনিও কোন এক সময় ময়মনসিংহে ছিলেন। ১৯৮৫ সালের দিকে জয়দেবপুর চৌ্রাস্তা পার হয়ে সোজা উত্তরদিকে ভালুকা হয়ে ময়মনসিংহ যাওয়ার রাস্তাটি চালু হবার আগে পর্যন্ত ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যাবার সহজ উপায় ছিল রেলপথ। সে কারণে রেলপথে বহুবার ময়মনসিংহে এবং সেই সাথে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করা হয়েছে।
রেলভ্রমণের সময় আমি খুব অবজারভেন্ট থাকতাম। ফলে অনেক কিছুই চোখে পড়তো, আর চোখে যা পড়তো, তার অনেক কিছুই মনেও গেঁথে থাকতো। এখনও তার ব্যতিক্রম হয় না।
বরাবরের মত স্বল্পপঠিত এ পোস্টটিতে এসেও প্লাস দিয়ে প্রেরণা যুগিয়ে যাবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সপরিবারে, সুস্বাস্থ্যে- স্রষ্টার করুণাধন্য হয়ে।
১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ভাই। কানাডা কবে গেলেন?
ওখান কার ছবি নিয়ে মাঝে মাঝে ছবি ব্লগ দিয়েন। ধন্যবাদ
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়া আলাইকুম আসসালাম!
"কানাডা কবে গেলেন? " - এই তো মাস তিনেক হচ্ছে।
"ওখান কার ছবি নিয়ে মাঝে মাঝে ছবি ব্লগ দিয়েন" - ইতোমধ্যে দিয়েছি তো কয়েকটা। আরও কয়েকটা পোস্ট করার ইচ্ছে রয়েছে।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:২৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন কবিতাটি। কবিতার বিষয়বস্তু নির্বাচনও ভাল হয়েছে।