নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সুখী মানুষ, স্রষ্টার অপার ক্ষমা ও করুণাধন্য, তাই স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাবনত।

খায়রুল আহসান

অবসরে আছি। কিছু কিছু লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কিছু সমাজকল্যানমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত আছি। মাঝে মাঝে এদিক সেদিকে ভ্রমণেও বের হই। জীবনে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি, এখন তো করার প্রশ্নই আসে না। জীবন যা দিয়েছে, তার জন্য স্রষ্টার কাছে ভক্তিভরে কৃতজ্ঞতা জানাই। যা কিছু চেয়েও পাইনি, এখন বুঝি, তা পাবার কথা ছিলনা। তাই না পাওয়ার কোন বেদনা নেই।

খায়রুল আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাইকে ভেসে আসা গানের স্মৃতি

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনলে ভালো শোনা যায় বলে জানি। তবুও আমি হেডফোন ব্যবহার করি না, শ্রবণশক্তি নষ্ট হবার ভয়ে। আগে আমার শ্রবণশক্তি খুবই প্রখর ছিল; কিন্তু ২০২১ সালে কভিডে আক্রান্ত হবার পরে সেটার অবনতি ঘটেছে বলে নিজেই টের পাই। আর আমি সাধারণতঃ সেলফোনে গান শুনি না। কিন্তু যখনই ল্যাপটপ খুলি, এক নাগাড়ে ইউটিউবে গান বাজতে থাকে। অন্য কিছুতে মনোনিবেশ করতে গান কখনও আমাকে বাধ সাধে না, বরং সহায়ক হয়। যাহোক, ঘরে তো আর শুধু আমি একা থাকি না, আরও অনেকেই থাকে। অনেক সময় আমার বাজানো গান তাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ছেলেকে এবারে বললাম একটা ভালো হেডফোন সেট কিনে আনতে। আশা করছি, দেশে ফিরে গিয়ে ওটার সদ্ব্যবহার করবো, যেন গান শোনা নিয়ে কারও বিরক্তির কারণ না হই।

আমার শৈশবে গান শোনার একমাত্র উপকরণ ছিল একটা তিন ব্যান্ডের রেডিও। বাসার বড়দের পছন্দ ছিল রেডিওর নাটক; আমার ও আমার বড় বোনের ছিল অনুরোধের আসর। দুটো সাংঘর্ষিক হলে আমরা দু'জনাই অন্য পথ খুঁজতাম, বড়দের কথাই ধোপে টিকতো। আরেকটু বড় হয়ে টু-ইন-ওয়ান এবং ফিতের ক্যাসেটে গান শোনা শুরু করি। ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বরে দেশে টেলিভিশন চালু হলেও আমাদের বাসায় টেলিভিশন প্রথম আসে ১৯৬৮-৬৯ সালে। তখন 'ত্রিরত্ন' নামে একটি হাসির নাটকের সিরিজ দেশে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল।

আমরা তখন থাকতাম শেরে বাংলা নগরে একটি দোতলা বাসায়। বাসাটির দোতলায় সামনে ও পেছনে ব্যালকনি ছিল। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর কিছুক্ষণ সামনের ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াতাম। দূর থেকে মাইকে ভেসে আসতো তখনকার দিনের কিছু জনপ্রিয় গানের সুর। বিশেষ করে শীতকালে যখন বিয়ের মওশুম, তখন অনেক রাত পর্যন্ত গান শোনা যেত। সে সময়ে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল বর্তমান সময়ের এক পঞ্চমাংশ, বাড়িঘরের সংখ্যাও ছিল একই অনুপাতে। তাই রাতের বেলা অনেক দূর দূরান্ত থেকেও মাইকে বাজানো গান শোনা যেত দীর্ঘ সময় ধরে তখন আবালবৃদ্ধ্বনিতার অসম্ভব জনপ্রিয় গান ছিল "হাওয়া মে উড়তা যায়ে" (পরবর্তীতে বাকের ভাই এর সেই বিখ্যাত গান), রূপবান ও রহিম বাদশা ছায়াছবির গান "দাইমা গো" এবং সাত ভাই চম্পা ছায়াছবির বৃন্দসঙ্গীত "শোনেন শোনেন জাঁহাপনা শোনেন রাণী ছয়জনা"। স্মৃতি হাতড়ে মনে করতে পারছি, নিম্নোক্ত গানের সুরগুলোও তখন মাইকে ভেসে এসে আমার মনটাকেও তাদের সাথে ভাসিয়ে নিয়ে যেত। একেকটা গানের সাথে একেক রকমের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এখনও এসব গান শুনলে সেসব স্মৃতির কথা মনে হয়ঃ

প্রেম একবার এসেছিল নীরবে
একটা গান লিখো ও আমার জন্য
ভুল সবই ভুল
সাত ভাই চম্পা জাগোরে জাগো
আষাঢ় শ্রাবন মানে না তো মন

মন যদি ভেঙে যায়, যাও কিছু বলবো না
অনেক সাধের ময়না আমার
অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান যেন ভুলে যেও না
গল্প যদি শুনতে চাও, তবে চুপটি করে বসো

সোনার ময়না পাখি
মাঝি বাইয়া যাও রে
আজি ভাহাহাল করিয়া বাজান রে দোতরা
পদ্মার ঢেউ রে
ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে

তু যাঁহা কাভি ভি যায়ে
একেলে না যানা
কো কো করোনা
যাব কয়ি পেয়ারসে বুলায়ে গা
কিয়া হ্যায় যো পিয়ার তো পাড়েগা নিভানা
হ্যায় আপনা দিল
রঙ্গিলা রে......

এসব গান ছাড়াও, শীতের মাসগুলোতে মাঝে মাঝে দূরের কোন ওয়াজ মাহফিল থেকে হামদ ও নাতের সুরও ভেসে আসতো। বিশেষ করে ইয়া নবী সালাম আলাইকা, এই সুন্দর ফুল, সুন্দর ফল মিঠা নদীর পানি, ইত্যাদি। সেগুলোও ভালো লাগতো।

দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর সাধারণতঃ পেছনের ব্যালকনিতে কিছুক্ষণ দাঁড়াতাম। সে সময়ে দুপুর আড়াইটার দিকে তেজগাঁ বিমান বন্দর থেকে একটা প্লেন বিকট শব্দ করে আকাশে উড়তো, যেত সম্ভবতঃ লাহোর কিংবা করাচী। আমাদের বাসার পেছনের ব্যালকনি থেকে বিমান বন্দরের রানওয়ে দেখা যেত, তাই সেখানে দাঁড়িয়ে আমি অনেক সময় প্লেনের ওঠানামা দেখতাম। একবার আমাদের এক প্রতিবেশী পরিবার ঐ প্লেন ধরে কোথায় যেন গিয়েছিলেন। তাই ঐ প্লেনটার ওড়া দেখলেই ওদের কথা মনে পড়তো।

মানুষের কথা, কান্না, গান ইত্যাদি নাকি অনন্তকাল ধরে ইথারে ভেসে বেড়ায়। মানুষের স্মৃতির ইতি কি তার মৃত্যুর সাথে সাথেই কিংবা তারও আগে ঘটে থাকে, নাকি সেগুলোও অনন্তকাল ধরে কোথাও ভেসে বেড়ায়; তার আত্মাকে পুনরায় জাগ্রত করা হলে সেগুলো আবার ফিরে এসে তার মনে ঠাঁই নেবে? কে জানে!



রিজাইনা, কানাডা
০৮ অগাস্ট ২০২৩
শব্দ সংখ্যাঃ ৬১১

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভালো বলেছেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত হলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার ব্লগ পরিসংখ্যান দেখে উপলব্ধি করলাম, আমার ব্লগে পাওয়া আপনার উপরের এই মন্তব্যটি ছিল ২৫০০০তম। এমন সুখকরএকটি মাইলফলক পরিসংখ্যানের অংশ হিসেবে এলেন, এজন্য পুনরায় ধনদ্যবাদ জানাচ্ছি।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

ইসিয়াক বলেছেন: আহা! মুগ্ধতা ছড়ানো স্মৃতি। অনেক কথা বলার আছে, সময় সল্পতায় ভুগছি। কত স্মৃতি মনে পড়ে গেল। দেরি হলেও আবারও আসবো আপনার এই পোস্টে। শুভেচ্ছা সতত।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: "অনেক কথা বলার আছে,...... কত স্মৃতি মনে পড়ে গেল" - বলুন বলুন, আপনার স্মৃতিকথাগুলো চমৎকার হয়ে থাকে।
"দেরি হলেও আবারও আসবো আপনার এই পোস্টে" - বেশ, অপেক্ষায় থাকবো।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের বয়স যত বাড়তে থাকে অতীত তত গুরুত্বপূর্ন হয়ে ওঠে। আমার বয়স ৩৫। এখন আমার অতীতের কথা ভাবতে ভালো লাগে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: অতীত ও ভবিষ্যত দুটো নিয়েই ভাবুন। দুটো ভাবনাতেই আনন্দের উপকরণ রয়েছে।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



বই লেখার চিন্তাভাবনা করেছেন কখনো?

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: চিন্তা ভাবনা আছে, কিন্তু ঝামেলার কথা চিন্তা করলে আর আগে বাড়তে ইচ্ছে করে না।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০

শায়মা বলেছেন: আমার ছোটবেলার যে কত গান আছে এমন ভাইয়া।

১০/১২ বছরে সাত ভাই চম্পা আমাকে নিয়ে যেত রুপকথার রাজ্যে

১৬/১৭ তে ক ফোটা চোখের জল ফেলেছো যে তুমি ভালোবাসবে......

২০/২২ এ নচিকেতার পৌলমী


আরও এমন আরও কত শত কথা কত শত গান!!!!!!!!!!!

০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের মনে প্রেমানুভূতি গভীর হতে শুরু করে কিশোর বয়স থেকে, চেতনে বা অচেতনে। সেই সময় থেকেই সে গানের অর্থ খুঁজতে শুরু করে, সুরের সাথে তাল মেলাতে শুরু করে। সে সময়কার ভালো লাগার গানগুলোর কথা ও স্মৃতি চিরতরে তার মনে রয়ে যায়।
পোস্ট পড়ে আপনার নিজস্ব কিছু ভালোলাগা গানের কথা শেয়ার করার জন্য এবং পোস্টে প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: পদ্মায় ভেসে যাওয়া পানশিতে আব্বাস উদ্দিনের গানই আমার ছোট বেলার স্মৃতি।
আপনার হেডফোন ভালো কাজ করবে এই কামনা করছি।পুরনো ও নতুন গান শুনে আনন্দ উপভোগ করবেন আশাকরি।দেখতে দেখতে কানাডার দিনগুলি শেষের দিকে চলে আসছে।আপনার জন্য শুভ কামনা।

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "দেখতে দেখতে কানাডার দিনগুলি শেষের দিকে চলে আসছে।আপনার জন্য শুভ কামনা" - অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে, এমন আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।
আমরা আমাদের শৈশবে "কলের গান" এ আব্বাস উদ্দীনের গান প্রচুর শুনতাম।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনি বাংলা যে গানগুলো উল্লেখ করেছে আমিও ছোট বেলায় গ্রামে মাইকে সেই গানগুলো শুনেছি এবং অনেকে সেই গানগুলো মুখে মুখে গেয়ে চলতো। আহ্ সেই দিনগুলো এখন আর নেই সময় যেন ইট পাথরে আটকে গেছে।


একটা সময় মানুষ স্মৃতিকে হাতড়ে বেড়ায় বেড়াতে হয়; আনমনে সেগুলো স্মৃতিপটে ভেসে উঠে। ভেসে উঠে কত স্বপ্ন, কত ভালোলাগা, কত বেদনা। মন হারিয়ে যায় সেই দূরন্ত কিশোর বেলায়।

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আহ্ সেই দিনগুলো এখন আর নেই সময় যেন ইট পাথরে আটকে গেছে - ভালো বলেছেন এ কথাটা।
পুরো মন্তব্যটাই পড়ে ভালো লেগেছে, কারণ মন্তব্য পড়ে বুঝতে পেরেছি, আমি যে স্মৃতির কথা ভেবে আবেগতাড়িত হয়ে লেখাটা পোস্ট করেছি, সে আবেগ আপনাকে ছুঁয়ে গেছে এবং স্মৃতিকে উস্কে দিয়েছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, পুনঃমন্তব্যের জন্য।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গান আমারও অনেক প্রিয়। এসএসসি'র সময় থেকে গান ছেড়ে পড়ালেখা করতে ভালো লাগে। এখনো অফিসে যাওয়া আসার সময় কানে হেডফোন গুঁজে দিয়ে গান শুনতে থাকি। তবে, অতিরিক্ত হেডফোনের ব্যবহার হয়ত শ্রবণশক্তিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। আপনার স্মৃতিচারণ লেখা হৃদয় ছুঁয়ে গেল। বিশেষ করে দুপুর বেলা আর রাতে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে প্লেন দেখা আর গান শোনার স্মৃতি যেন নিজ চোখে দেখতে পেলাম।

শেষের প্যারায় বলা কথাগুলো ভাবনার খোরাক রেখে গেল। +++

শুভকামনা থাকবে সবসময়। ভালো থাকুন প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।

১০ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার স্মৃতিচারণ লেখা হৃদয় ছুঁয়ে গেল। বিশেষ করে দুপুর বেলা আর রাতে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে প্লেন দেখা আর গান শোনার স্মৃতি যেন নিজ চোখে দেখতে পেলাম" - অনেক ধন্যবাদ, লেখাটি মনযোগের সাথে পাঠ করার জন্য এবং সেই সাথে আপনার মনের কিছু প্রতিক্রিয়াও শেয়ার করার জন্য।
আপনার আন্তরিক শুভকামনায় স্পর্শিত হলাম, প্লাসে প্রাণিত।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:০৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আহা বড্ড নষ্টালজিক।
গভীর রাতে ঘুম ভেংগে গেলে দূরের বিয়ে বাড়ি থেকে মাইকে ভেসে আসতো,' বাড়ির ওনা দক্ষিন পাশে গো ও দাইমা কিসের বাদ্য বাজেগো আমার দাইমা দাইমা গো'কিযে ভালো লাগতো!

১১ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: জ্বী, আপনি ঠিক বলেছেন। তখন গভীর রাতে ঘুম ভেংগে গেলেও দূরের বিয়ে বাড়ি থেকে মাইকে ভেসে আসা গান শোনা যেত- 'ও দাইমা কিসের বাদ্য বাজেগো আমার দাইমা দাইমা গো' এবং সেই গান শুনতে শুনতে আবারও ঘুমিয়ে যেতাম।
পোস্ট পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার শেষ প্রশ্নের কোন উত্তর মানুষ সম্ভবত কোনদিনও পাবে না।
স্মৃতিজাগানিয়া পোষ্ট পড়ে বিমোহিত হলাম। আপনার টুকরো টুকরো স্মৃতি কিছু মিলে যায় আমার সাথে।

১১ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আপনার শেষ প্রশ্নের কোন উত্তর মানুষ সম্ভবত কোনদিনও পাবে না" - সম্ভবতঃ তাই।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
আপনার এ মন্তব্যটির উত্তর দেয়ার পরপরই ল্যাপটপ বন্ধ করে দিচ্ছি, মাতৃভূ্মিতে ফিরে যাবার জন্য। দোয়া করবেন।

১২| ১১ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার শোনা গানগুলি প্রায় সবগুলি শুনেছি এবং আমার ভীষণ প্রিয় গান এগুলি। এই গানগুলি শুনি নাই আগে।
১। গল্প যদি শুনতে চাও তবে
২। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে
৩। তু জাহা কাভি ভি জায়ে
৪। কো কো করোনা
৫। যাব কয়ি পেয়ার সে বুলায়ে

সবার সুবিধার জন্য সবগুলি গানের লিঙ্ক দিলাম নীচে।
১। প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে - লতা
২। একটা গান লিখো আমার জন্য - প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়
৩। ভুল সবই ভুল, এই জীবনের পাতায় পাতায় - সুজাতা চক্রবর্তী
৪। সাত ভাই চম্পা - লতা মঙ্গেশকর
৫। আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন - লতা মঙ্গেশকর
৬। মন যদি ভেঙ্গে যায় যাক যাক - সাবিনা ইয়াসমিন
৭। অনেক সাধের ময়না আমার - বশির আহমেদ
৮। অশ্রু দিয়ে লেখা এ নাম - সাবিনা ইয়াসমিন
৯। গল্প যদি শুনতে চাও তবে - ইসমত আরা
১০। সোনার ময়না পাখি - নিনা হামিদ
১১। মাঝি বাইয়া যাও রে - আব্বাস উদ্দিন
১২। সুন্দরী কমলা নাচে
১৩। পদ্মার ঢেউ রে - ফেরদৌসি রহমান
১৪। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে - আব্বাস উদ্দিন
১৫। তু জাহা কাহি ভি জায়ে - নূর জাহান
১৬। একেলে না জানা হামে ছোর - মালা
১৭। কো কো করোনা
১৮। যাব কয়ি পেয়ার সে বুলায়ে গা - মেহেদি হাসান
১৯। কিয়া হ্যাঁয় যো পেয়ার তো পারে গা নিভানা - মালা
২০। হ্যাঁয় আপনা দিল তো আওয়ারা - হেমন্ত কুমার মুখারজি
২১। রঙ্গিলা রে - লতা মঙ্গেশকর

১৩ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবগুলো গানের লিংক এখানে দিয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি॥ এটা আমারও অনেক কাজে লাগবে। এখানে আপনার না-শোনা গানের পাঁচটি গানের মধ্যে শেষের তিনটি ছিল পাকিস্তানি আমলের পাকিস্তানি সিনেমার গান। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে আব্বাস উদ্দিনের গান। আর প্রথম গানটি শিল্পী ইসমত আর গীত। উনি ষাটের দশকের শেষার্ধ থেকে সত্তরের দশকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত আধুনিক বাংলা গান গেয়ে প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। উনি সাধারণত ঘরোয়া এবং প্রাতিষ্ঠানিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতেন।

মন্তব্যে এবং ক্লাসে অত্যন্ত প্রীত ও প্রমাণিত হলাম। আবারও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা......

১৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পোস্টটা প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। পরে কাজে লাগবে। এতো সুন্দর সংগ্রহ হাতের কাছে রাখা উচিত।

১৩ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই অসামান্য কাজের পর আমি নিজেই আমার পোস্টটাকে প্রিয়তে তুলে রাখতে বাধ্য হলাম। পোষ্টের প্রশংসার জন্য আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২

মেহবুবা বলেছেন: অদ্ভুত লাগছে এহেন বিষয়ের অবতারণা! ক্লাস এইট আমি খুলনায় পড়েছি। দোলখোলা নামে একটা জায়গায় থাকতাম। বিভিন্ন পূজার সময় মাইকে বাজানো গান একটা অন্যরকম আবহ তৈরী করতো। আপনার প্রথম পাঁচটি গান ছিল, আরো ছিল
* পৃথিবী বদলে গেছে
* কারো কেউ নই তো আমি কেউ আমার নয়
* আমার স্বপ্ন তুমি ওগো চিরদিনের সাথী
* তুমি আজ কত দূরে তুমি আজ কত দূরে
* এমনি শারদ রাতে তোমায় আমায় দেকা হোল সেই
* যাবার বেলায় পিছন থেকে
* ললিতাগো ওকে আজ চলে যেতে বল না
* মধু মালতী ডাকে আয়
* হয়তো কিছুই নাহি পাবো
* যেতে দাও আমায় ডেকোনা

আরো ছিল, মনে আসছে না।
তবে যখন গ্রামে যেতাম, কোন বিয়ে বা পুজো উপলক্ষে দূরে গান বাজতো মাইকে রাতের নিস্তব্ধতা ভেদ করে গানগুলো কেমন যেন ঘিরে ধরতো। বিশেষ করে জগন্ময় মিত্র আর কিশোর কুমারের গান গুলো সেই পরিবেশে আমার এত কম বয়সেও অনেক ভালো লাগতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.